আম্মা আমাকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে নিজেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। এই ঘটনা বেশি বিরল নয়, দুপুরে একটা বই হাতে নিয়ে শুয়ে পড়তেন, সাথে আমি। বইটা হতে পারে "কেরি সাহেবের মুন্সি" অথবা "অনুবর্তন", যা-ই হোক না কেন, দুপুর বেলা ছাপার অক্ষরে চোখ বুলানো চাই। সেই সময় আমার দুপুরে ঘুমাতে অসহ্য লাগতো, যদিও এখন ফাঁক পেলেই আমি নিদ্রাদেবীর বন্দনা করি।
আম্মা ঘুমিয়ে গেলেই আমি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসি। আমাদের বাসার পেছনে এক চিলতে একটা মাঠ আছে। বড় বহুরূপী এই মাঠ, কখন এটা ফুটবল খেলার স্টেডিয়াম, কখনো ব্যাডমিন্টনের কোর্ট, কখনো আমার শৈশবের জাহাজ, কখনো চোর-পুলিশ খেলা...কখনো আড্ডাস্থান...একই অঙ্গে এর এতো রূপ। মাঠের পাশেই তার টানা আছে। সেই তারে রোদের উষ্ণতার আকাঙ্ক্ষায় ঝুলছে বিছানার চাদর, সার্ট-প্যান্ট, শাড়ি...তাদের শরীর থেকে আসছে জেট সাবানের সতেজ ঘ্রাণ, যা মিশে আছে এই দুপুর বেলার খাঁ খাঁ বাতাসে।
ওদের একটু পেছনেই আমাদের দেয়াল, সেই দেয়ালের ওপারে পুরো রহস্যের খাসমহল। বিশাল একটা জায়গার মাঝে একটা ছোট্ট একটি পুরানো বাড়ি, তার চারপাশটা কেমন জংলা আর এরই মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক সুবিশাল জাম গাছ। পড়শিদের সেই বাড়ি দেখলেই কেমন গা-ছমছম করে। একটা সতেজ সবুজ কামরাঙা গাছ দাঁড়িয়ে পাঁচিলের ঠিক ওপারে, যার বেশির ভাগ শাখা-প্রশাখাই হেলে আছে আমাদের বাসার সীমানার এপারে। বিনা যত্নেই সে দেদার ফল বিলায়, মাটিতে পড়ে থাকে তার সন্তানেরা অতি অবহেলাতে। এই গাছটাতে থাকে অনেকগুলো টিয়াপাখি, ওদের আহার ও বাসস্থান দুটোই দিচ্ছে এই গাছটা।
আমাদের সেই একচিলতে জমিতে দুই একটা ঘাসফুল ফুটে আছে। এই বাসায় ফুল খুব দুর্লভ নয়, আমার বাবার লাগানো ফুল ও ফলের গাছে চারিদিক শোভিত। সেই লোভে লোভে প্রতিদিন আসে বেশ কয়েকটা রঙিন প্রজাপতি। আমি তাদের পিছু নেই, ওদের চকমকে ডানাদুটো আলতো করে ধরেই যদি আবার ছেড়ে দেই, তবে হাতের আঙ্গুলে ওদের ডানার নকশা লেগে থাকে। কী অদ্ভুত এই প্রাণীগুলো!!!
প্রজাপতির পিছু ছেড়ে আমি রঙ্গন ফুলের গাছ থেকে একটা ফুল ছিঁড়ে নিয়ে তার পেছনে মুখ লাগিয়ে টেনে নেই এক ফোঁটা মিষ্টি তরল, এটাই মনে হয় ফুলের মধু। মাঝে মাঝে কুড়াই সন্ধ্যামালতী ফুলের কালো রঙের বীজ। আবার কোনো কোনো দিন প্রজাপতি আর ফুল কেউই আমাকে টানেনা...আমি গেট খুলে স্টেশন রোডে দাঁড়াই।
বাসার সামনেই “আশ্চর্য হাড়ভাঙার তৈল”, যে কোন ভাঙা হাড় জোড়া দেওয়ার আশ্চর্য ঔষধ, আবিষ্কর্তা হেকিম হাবিবুর রহমান। হেকিম সাহেব হাড়ভাঙা রোগীর হাতে তেল মাখিয়ে দিয়ে বড় একটা হাড় নাড়িয়ে মন্ত্র পড়তে থাকেন, রোগীর প্রবল আতর্নাদে চারিদিক ভেসে যায়। রোগী দেখার পাশাপাশি উনি কোক-পেপসি, চানাচুর, চকোলেট আর মাঝে-সাঝে ডিমও বেচেন। ওনার চিকিৎসা দেখা এবং আড্ডার লোভে প্রচুর লোকসমাগম হতো দোকানের সামনে। আড্ডাবাজরা অধিকাংশই তেজগাঁ স্টেশনের কুলির কাজ করেন। ঠিক উলটো দিকেই যে স্টেশনের মালের বুকিং অফিস আর গোডাউন।
দুপুর বেলা আমাদের বাসাটা যতই নিস্তব্ধ, স্টেশন রোড ততটাই সরগরম। সত্য বলতে কী, স্টেশন রোড সর্বদাই ব্যস্ত থাকে মানুষের ভীড়ে, এই এলাকায় গভীর রাতে চা “খেতে” মন চাইলেও সেটা খুবই সম্ভব। বুকিং অফিসের পাশ দিয়ে একটা সরু পথ গিয়েছে একদম রেললাইন পর্যন্ত। রেলগাড়ির আসা-যাওয়া দেখতে চাইলে মাত্র ১০০ গজ হাঁটতে হবে। আমার বাবার শৈশবে রেলগাড়ি বড় পছন্দের ছিল, উনি চাইতেন যেন বাসা থেকেই ট্রেন দেখা যায়। উনার সেই বাসনা পূর্ণ হয়েছে, আমিও অনেক দুপুরই রেলগাড়ির যাতায়াত দেখে কাটিয়েছি।
রেলগাড়ি দেখার পর একই পথে বাড়ি ফিরতে যে হবে সেরকম কোন কথা নেই। প্ল্যাটফর্ম দিয়ে হেঁটে স্টেশনের মূল ভবনে ঢোকা যায় অনায়াসে। আমার তেইশ বছরের তেজগাঁ জীবনে কোনদিন কেউ টিকেট দেখতে চায় নি। রেলের ব্যবসায় যে কেন লোকসান হয় সেটা আমার খুবই বোধগম্য। লাল ইঁটের তৈরি স্টেশনের ভবনটা অতি প্রাচীন মনে হতো আমার কাছে। অনেক বছর পরে আমেরিকার একটা ইন্ডিয়ান রেঁস্তোরাতে ভারতের একটা ছোট শহরের স্টেশনের পুরানো ছবি দেখে চমকে উঠেছিলাম। অনেক পুরানো সেই অজানা স্টেশনের ছবিটি যেন আমার শৈশবের সেই স্টেশন ঘর!! বৃটিশরা মনে হয় একই ডিজাইনে অনেক স্টেশন তৈরি করেছে। স্টেশনের ভেতরে রাখা যন্ত্রপাতিগুলোও স্টেশনের বয়েসের কাছাকাছি, সর্বত্রই একটা মিউজিয়াম মিউজিয়াম গন্ধ।
স্টেশনে দর্শনীয় তেমন কিছুই নেই। দু'তিনটা দোকান, ভ্রাম্যমান বিক্রেতা যাদের অধিকাংশই ঢোল কোম্পানির দাদের মলম বিক্রি করছে। এই রোগ আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়। স্টেশনের উলটো দিকে আরামবাগ রেঁস্তোরার তখন স্বর্ণযুগ যাচ্ছে, এই দীনহীন স্টেশনের পাশে থেকেও ওরা জমিয়ে ব্যবসা করছে। ওদের ব্যবসা এখনো বেশ জমজমাট বলেই মনে হয়েছে আমার। আমার জীবনে দেখা অন্যতম বড় খোলা ড্রেনটাও এই অঞ্চলেই, সেটার পানির কোন কলকল ধ্বনি নেই, কেমন কেন যেন কালো থকথকে কাদা কাদা চেহারা তার।
রেঁস্তোরা, নাপিতের দোকান আর যা কিছু জমজমাট আছে, সেগুলো পেরিয়ে একটা রাস্তা চলে গেছে ফার্মগেটের দিকে। যতই ঢুকবেন সেই পথে, ততই সরু ও নির্জন হয়ে পড়বে সেটা। এই রাস্তার পাশে আছে অতি প্রাচীন একটা গীর্জা এবং তার সাথে পাল্লা দেওয়ার মত পুরানো এক কবরস্থান। দিনের বেলায় ভূতদের ঘুমানোর সময়, তাই আমি অবলীলায় হেঁটে যেতাম তার পাশ দিয়ে। কবরস্থানের গা-ঘেঁষে বেখাপ্পা দাঁড়ানো কিছু শাল গাছ, স্টেশনের গমগমের পরিবেশ থেকে সাত মিনিট হাঁটলেই কেমন নৈঃশব্দের কবিতা শোনা যায়। এই গীর্জাতেই মাদার টেরেসা তাঁর নির্মলা হোম অফ চ্যারিটির শাখা খুলেন কিছু দিন পরে। এর পাশেই মেয়েদের বিখ্যাত স্কুল আর কলেজ হলিক্রস এবং একটু কম খ্যাতি সম্পন্ন স্কুল বটমলি হোমস। এইসব জায়গায় মিশে আছে ছেলেবেলা ছেলেবেলা গন্ধ। গীর্জায় বিকেলের ঘন্টা বাজছে ঢং ঢং...নাহ...বাসায় ফেরা উচিত, আম্মা নিশ্চয় উঠে চায়ের সরঞ্জাম করছেন।
দুপুরবেলার গল্পগুলো খুব সহজেই অতিক্রম করে স্থান ও কালের সীমানা। এরা হুট করে ৩০ বছর পাড়ি দিয়ে চলে আসে আমার কাজের মাঝে, অন্য রকম এক দুপুরে, অন্য এক শহরে। কিছুতেই বাধা মানে না তারা, এমনই নাছোড়বান্দা। যে শহরকে কতকাল আগে বিদায় দিয়েছি এক মেঘলা সকালে, সে এতদিন পরেও কেন ফিরে ফিরে আসে এই ব্যস্ত দুপুরবেলায়?
আজকের দুনিয়ার মানুষ এক দেশে জন্মে অন্য দেশে অবলীলায় চলে যাচ্ছে, বদলে ফেলছে তার নাগরিক পরিচয়। কিন্তু মানুষের নাগরিকত্বের মানবিক ব্যাপারটা আমার মনে হয় শৈশবের সাথে সম্পর্কিত। বহুদূর দেশে থেকেও মানুষ চোখ বন্ধ করলেই যে শহরটা দেখতে পায়, সেই শহর থেকে তার মুক্তি নেই। সেই হিসাবে আমি ঢাকা শহর বা আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে তেজগাঁর নাগরিক। দেশে থাকার সময়ে ঢাকার বাইরে বেড়াতে গেলেই একধরণের অস্থিরতায় আক্রান্ত হতাম, কবে ফিরব, কবে ফিরব...সব সময়ে এটাই মনে হতো। এই প্রবাসে সেটা আজ আর নেই, তবুও কোথাও যেন রয়ে গেছে একরাশ শূন্যতা। সেই শূন্যতা ঢাকায় নামলেও আর পূরণ হয় না, হবারও নয়। সেই শহর হারিয়ে গেছে আমার শৈশবের সাথে সাথে, প্রত্যাবর্তনের দিকে ওরা ফেরাবে না মুখ কস্মিনকালেও। তবু তাকে ছোঁয়া যায়, তার গন্ধ নেওয়া যায়, তার কাছে যাওয়া যায়...শুধু এই স্মৃতির শহরেই।
তখন কি আমি জানতাম
দুপুর এমন বাঙ্ময় হতে পারে, হতে পারে কোনো পাখির দীর্ঘ ডাক?
হ্রদের ছলছলানি ? এমন সম্মোহনময় ?
পুলিশের বাঁশি, মাইল মাইলব্যাপি বুটের শব্দ,
বম্বারের মৃত্যুবর্ষী গর্জন, বাতিল শাসনতন্ত্রের হাহাকার
আর পাঁচশালা পরিকল্পনার আর্তনাদ ছাপিয়ে
একটা দুপুর চাইকোভস্কির সুর হতে পারে...
(একটি দুপুরের উপকথা/শামসুর রাহমান)
আগের পর্বগুলো এইখানে।
স্মৃতির শহর আগামী পর্বে সমাপ্য, এর পর এই সিরিজটা নিয়ে একটা ই-বুক বের করার ইচ্ছে রাখি। এই বিষয়ে আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ ও মতামত ই-মেইল করে অথবা মন্তব্যে জানাতে পারেন। দীর্ঘদিন সাথে থাকার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের প্রতিটা মন্তব্য ও পরামর্শ আমাকে দারুণ উৎসাহিত করেছে, আমি পুরানো ব্লগের মন্তব্য এখনো মাঝে মাঝে পড়ি।
আমাদের সবার শৈশবের গল্পগুলো ভিন্ন হলেও আমরা কোনো এক ইন্দ্রজালে একে অপরের নিকটে আসতে পারি এই শৈশবেই। শৈশবের কোথাও যেন আমাদের সবার একটা ঐক্য আছে। তাই বেঁচে থাকে স্মৃতির শহর – সবার স্মৃতিতেই ।
মন্তব্য
আহ কি সুন্দর সোঁদা সোঁদা গন্ধ আজকের লেখাটায়! অপূর্ব
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
অনেক ধন্যবাদ হরফ। আমার শৈশব কেটেছে খাওয়া ফাঁকি দিয়ে খাদ্যপ্রীতি বয়েসের সাথে সাথে বাড়ছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ওহো তাসনীম একটা সাজেশান ছিল ই-বুক প্রসঙ্গে, আগের কমেন্টে কিখতে ভুলে গেসলাম। আপনার ছোটবেলার প্রিয় স্বাদ-গন্ধ নিয়ে একটা পর্ব লিখতে পারেন ই-বুকে। আমি আসলে খুব খেতে ভালবাসি তাই খাদ্য-সুখ বাদ দিয়ে আত্মকথা ভাবতেই পারি না। একটু ভেবে দেখবেন কেমন?
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
@হরফ
খেতে ভালোবাসেন ? আমিও! আর এখন ঢাকায় সকাল পৌনে ৭টার মত বাজে - দারুন খিদে পেয়েছে। রান্নাঘর থেকে ডিম ভাজার ছ্যাঁত-ছ্যাঁত শব্দ আর গন্ধ ভেসে আসছে। কিন্তু এই পোস্টটা পড়তে পড়তে ডিম বাদ দিয়ে আমার মনে পড়ে যাচ্ছে অন্য এক জীবনে আমার প্রিয় নাশতার কথা : মাখম-মাখম জিভে জল আসা সুতি কাবাব আর গরমা-গরম নানখাতাই বা ঢাকাই পরোটা। ভাবতেই জিভে সুড়সুড় করছে। উফ! কোন্ দুঃখে যে স্মৃতিচারনের পোস্টে খাবার কথা মনে পড়িয়ে দিলেন। এখন ঐ বদ্খৎ গৎবাধা ডিম-পাঁউরুটি গিলি কিভাবে ?
মনমাঝি
যথারীতি, অসাধারন ! আরো কয়েক পর্ব লিখুন প্লীজ, এত তাড়াতাড়ি শেষ করে দিবেন ?
শৈশবের স্মৃতিও ভাই সীমাবদ্ধ, বাড়ছে নাতো তবে আমার লেখায় শৈশব উঁকি দিবে সুনিশ্চিত, এটুকু বলতে পারি। স্মৃতির শহর শেষ মানে স্মৃতিচারণের সমাপ্তি নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার পুরো স্মৃতির শহর সিরিজটা অসাধারন লেগেছে। নিজের মনের ভেতর যে স্মৃতির শহর লুকিয়ে আছে তাতে প্রবল আলোড়ন ওঠে যে! কোথায় গেল আমার সেই ঢাকা!
"ওদের একটু পেছনেই আমাদের দেয়াল, সেই দেয়ালের ওপারে পুরো রহস্যের খাসমহল।"--রহস্যের খাসমহল কথাটা শুনলেই টেনিদার প্যালার কথা মনে পরে যায়.
ভালো থাকুন।
------------------
অনঘ
অনেক ধন্যবাদ অনঘ...টেনিদা পড়াতাম প্রচুর, পড়শির বাসা দেখলে তাই ওটাই মনে পড়ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার এই সিরিজটা খুব ভালো লেগেছে। ছোটবেলায় মুনতাসীর মামুন বা আলী ইমাম এর গল্প যেরকম স্বপ্নালু লাগত, এই সিরিজটা ও আশা করি বড়দের পাশাপাশি শিশুকিশোরদের মন জয় করতে সক্ষম হবে। অনুরোধ রইল ইবুক এর পাশাপাশি মুদ্রিত বই আকারে ছাপানোর জন্য। শুভকামনা জানাই
সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আশরাফ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এতো তাড়াতাড়িই শেষ করে দিবে?
অ.ট.: জানো, স্মৃতির শহর পড়লেই আমার লিখতে ইচ্ছা করে, আমার অনেকগুলো লেখাই তোমার লেখা পড়ার পরে লেখা...
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এবার তুমি স্মৃতির শহরের হাল নাও আমার লেখা পড়ে যে মানুষ স্মৃতিচারণ করেছে এটা আমার বিরাট পাওয়া।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাহাহাহাহা! হ! আমি ভার নেই আর মাইনষে আইসা আমারে মারুক!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমিও বালিকার সাথে একমত, আমারো আপনার এই সিরিজ পড়লেই লিখতে ইচ্ছা করে। এটা শেষ না করে বরং রেখে দিলে হয় না? ই-বই বের হোক, কিন্তু অনেক দিন পরে যদি আরো কিছু গল্প-কথা মনে পড়ে, সেগুলো স্মৃতির খাম খুলে আবার সযতনে পড়তে দেবেন আমাদেরকে, না হয় ই-বইয়ের পরের পর্ব হবে আবার।
স্টেশন আর দুপুরবেলার গল্প ভালো লাগলো অনেক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
দেরিতে জবাবের জন্য দুঃখিত। তোমার প্রোফাইলের ছবি আর কৌস্তভের প্রোফাইলের ছবি একই লাগে...আর কেন জানি তোমাদের মন্তব্যগুলো পরপর থাকে। এইগুলো হলো বয়েসের দোষ
শৈশবের কথা মনে হলেই কেন যেন দুপুর আর সকালবেলাগুলো উঠে আসে বিস্মৃতির আড়াল থেকে। বয়েস বাড়ছে আর শৈশব হানা দিচ্ছে স্থানে-অস্থানে...সেই সময়টাকে ধরতে গেলে স্মৃতির শহর চলতেই হবে না তা না। আমি এই সিরিজ শেষ করলেও সেই সময়টা নিয়ে লিখব, ব্লগ, স্মৃতিচারণ, গল্প...কিন্তু এই সিরিজটার কারণে আর অন্য কিছুই লেখা হয়ে উঠছে না। সময় বড় অল্প, অনেক কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাই দ্য ওয়ে, ছবিটা রাজশাহী বাইপাসের, মাঝখানে যে হলুদ ডট দেখা যায়, ঐটা আসলে তিনটা আমের একটা স্কাল্পচার!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাসনীমভাই, শুধু বয়সের দোষ কেন, আমার মত নওজোয়ান মানুষরাও এইসব গণ্ডগোল করে থাকে। এই তো সেদিন বুনোদিকে বলছিলাম, 'আগে সচলে আমি বুনোহাঁস আর তিথীডোর গুলিয়ে ফেলতাম খালি।' জবাবে শুনলাম, 'আমি তিথীডোর আর তুলিরেখা গুলিয়ে ফেলতাম। বেচারি তিথী!' তাহলেই দেখেন!
তবে কামটা আপনি ভাল করেন নাই। একে মা মনসা তায় ধুনোর গন্ধ যাকে বলে। সম্প্রতি এইরকম গুলিয়ে ফেলার জন্যই যাযাপু আমার উপর চটে আছেন। আপনি আমারে আরো কনভিক্টেড করে দিলেন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইনকিলাব জিন্দাবাদ। যদি এমনকি পরের পর্বে নিজের চরিত্রকে উঁচু জলপ্রপাত থেকে ঠেলে ফেলেও দেন, তবুও পাঠকের দাবিতে...
হা হা হা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমিল ভাই
আপনি এই সিরিজটা বন্ধ করতে পারবেন না। No Way. পাঠকদের চাপে পড়ে স্যার আর্থার কেনান ডয়েলকেও শার্লক হোমসকে পুনরজ্জীবিত করতে হয়েছিল।
আপনার এই সিরিজটা চলতেই থাকবে। পাঠক হিসাবে এটা আমার দাবী। এতদিন আপনার লেখা পড়ে সময় নষ্ট করেছি, সেটার মূল্য পরিশোধ না করেই সিরিজটা বন্ধ করে দেবেন, বললেই হলো?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাহোশি। উপরে পড়াচোরের মন্তব্যের উত্তর দেখুন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সন্ধ্যামালতীর রঙ অনেক ধরনের হয়। সন্ধ্যায় ফোটে বলে সন্ধ্যামালতী।
হাড়জোড়া নামে একটি রসালো লতা আছে। গ্রামের মানুষ এই লতা দিয়ে পেচিয়ে রাখে ভাঙা অঙ্গটি।
আমার ধারণা প্রমথনাথ বিশীর কেরি সাহেবের মুন্সীর তুল্য উপন্যাস বাংলায় খুবই কম আছে। বইটি নিয়ে বহুদিন ধরে লেখার ইচ্ছে আছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
লেখেন। আপনার লেখা প্রাঞ্জল এবং বাঙময়। আমার ভাল লেগেছে। আমার মনে হয়--আমাদের লেখালখির মধ্যে দিয়েই আমাদের সবকিছু জ্যান্ত রাখা দরকার। আপনি সে কাজটি করেছেন।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
কেরি সাহেবের মুন্সী বইটা পড়ে শেষ করতে পারিনি, বেশি ছোট ছিলাম...আপনি রিভিউ লিখলে খুব খুশি হব।
সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, লেখালেখি অব্যাহত থাকবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি খুবই ভাল লাগল। তেজগাঁ এলাকায় একসময় থাকার সুবাদে চেনা রাস্তার স্মৃতিগুলিও বেশ রোমন্থন করা হল। ধন্যবাদ।
অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম
ধন্যবাদ অমিত্রাক্ষর, তেজগাঁবাসী কাউকে পেলেই রোমাঞ্চ হয়। আপনারা কোথায় থাকতেন?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গীর্জা, হলিক্রস আর স্টেশনের পাশ দিয়ে গেলেই আপনার লেখাগুলোর কথা মনে পড়ে !!! সেই ফাঁকা প্রান্তরে এখন সারি সারি অট্টালিকা... একটা পর একটা মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে শুধু !!!
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
হুম জায়গাটা আর ফাঁকা নেই, স্মৃতির শহর হারিয়ে গেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জাহামজেদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিজ্ঞান কলেজের সামনে দিয়ে রিকশায় করে প্রতিদিন অফিসে যেতাম, একটু দূর থেকে তেজগাঁও স্টেশনটা দেখা যেত। স্মৃতির শহরে পড়তে গিয়ে প্রতিদিনকার চেনা জায়গাগুলো একটু অন্যরকম ভাবে ধরা দিচ্ছে। এই সিরিজ পড়তে গিয়ে প্রায় সবসময়ই মন খারাপ হয়ে যায়, অনেক ভালো ও লাগে। ধন্যবাদ এই চমৎকার সিরিজটির জন্য।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সজল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই দুপুর বেলাতেই আম্মার কাছে দেখতাম নানা রঙের, নানা মলাটের, পেট মোটা কিংবা চিকন নানা আকৃতির বই। তখন থেকেই মূলত তারা শংকর, সুনীল, সমরেশ, বিভূতিভূষণ এই নামগুলোর সাথে পরিচয়।
আপনাদের বাসার পেছনের মাঠটার মত আমাদেরও একটা মাঠ ছিল, সব ধরনের খেলার জন্য, আবার আমাদের পিকনিক-টিপার্টি এগুলোরো ভেন্যু। মর্নিং স্কুল ছিল বলে, বিকেল হতেই মাঠে যাবার পারমিশন ছিল। তবে তার আগে শর্ত হচ্ছে ভাতঘুম দিয়ে নিতে হবে। এর কোনো মাফ নেই।
আহা এখন এমন ঘুমের জন্য কেউ বলেনা
ঘুমের জন্য কেউ বলে না দেখেই এতো ঘুম পায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তা আর বলতে, এই মড়ার ঘুমের জন্য পড়ালেখা সব লাঠে উঠসে
তাসনীম ভাই,
ই-মেলে মতামত পাঠাবো। তার আগে সবগুলো পর্বে আবার একটু নজর বুলিয়ে নিই।
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্মৃতির শহরের এই পর্বটি বেশি উত্তম...! সেই একযুগ পূর্বের দুপুরবেলার স্বাদ ফিরে এল, মা/বাবা ঘুমানোর জন্যে কী বিনীত প্রার্থনাই না করতাম! অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
এরকম ঘোষণা দিয়ে স্মৃতি রোমন্থন বন্ধ করে দেয়া যায় নাকি? বিরতী নিতেই পারেন, কিন্তু স্মৃতির শহরের হঠাৎ মনে পরে যাওয়া নতুন কোন কোন উপজীব্য নতুন আরেকটি পর্বের সূচনা করবে না আর এই কথা কি বলে দেয়া যায় এমিল ভাই(আজকে এই নামেই সম্বোধন করতে ইচ্ছা করল ) ?
ধন্যবাদ দিগন্ত।
যেটা বলেছি শৈশব উঁকি মারবে অন্যান্য লেখাতেও
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি, অসাধারন!!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন্তব্য বানানশুদ্ধির জন্য অফিসিয়াল ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শৈশব বা বালকবেলার দুপুরের কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে একটা অদ্ভুত "ঝিম" ধরা দুপুরের কথা। বাসা থেকে চুপকে বেরিয়ে পাড়ার অন্য বন্ধুদের বাসার আশেপাশে ঘুর ঘুর করতাম। তালে থাকতাম, নজরে না পড়ে কি করে ওদেরও ওদের মায়ের (জাঁহাবাজ আন্টিদের) খপ্পর থেকে বের করে আনা যায়
তারপর যারা বেরুতো, তাদের নিয়ে কত রকম শিশুতোষ এ্যাডভেঞ্চারের কাল্পনিক আঁকিবুঁকি !
এই শ্রবণেন্দ্রিয়ভেদী, কর্মব্যস্ত, জনাকীর্ণ, ভারাক্রান্ত, উদ্ভ্রান্ত নগরী ও জীবনে, সেই 'ঝিম' ধরা দুপুরের কোন বালাই নেই এখন।
লেখা যথারীতি দারুন লাগলো !
মনমাঝি
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মনমাঝি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো, সুগঠিত। কিন্তু স্মৃতির শহরের মূল আকর্ষণ যে নস্টালজিয়া- সেটা কীবোর্ডে একটু কম ঢেলেছেন এবার। রেলস্টেশনের অংশটা বর্ণনা করতে গিয়ে সেই আবহটা প্রায় ফিরে ফিরে আসছিলো- কিন্তু এরপরে সেই সুরটা কেটে গেলো কেনো জানি।
... স্মৃতির শহর সিরিজের কাছে প্রত্যাশা বেশি। এই বার তাই মন খুলে সমালোচনা করে গেলাম।
_________________________________________
সেরিওজা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুহান। স্টেশনের ভেতরের বর্ণনা দিতে নিশপিশ করছিল হাত, হঠাৎ মনে হলো এই [url=www.sachalayatan.com/tmhossain/35198 ]পর্বে[/url] সেটা করেছি কিছুটা। রিপিট করতে মন চাইলো না।
দীর্ঘদিন ধরে সিরিজ চালালে এই সমস্যা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজটা এক ঝলক শীতল হাওয়ার মত, যা প্রচন্ড গরমে শরীর মন দুটোই জুড়িয়ে দেয় কিন্তু আক্ষেপও রেখে যায় কেন আর কিছুক্ষন থাকলো না।
আপনার এই সিরিজের লেখাগুলো পড়লে খুব খুব ভালো লাগে আবার কষ্ট হয় আমাদের অতি প্রিয় শহরটি স্মৃতির অতলে দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
তাসনীম ভাই, আপনি এই সিরিজটা অফিসিয়ালি শেষ করবেন না প্লিজ, ই-বুক বের করেন কিন্তু এটা থাক। এটাকে স্মৃতির শহরেরে মত স্মৃতিতে পরিণত হতে দেবেন না। এটা পাঠক হিসেবে আমার অনুরোধ।
পাগল মন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাগল মন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার স্মৃতির শহর লেখাগুলোতে আমি আমার মত স্মৃতি খোঁজার চেষ্টা করি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিল পাওয়া যায় না। তবে বলা যায়, আপনি পুরোটা দেখেছেন, আর আমি দেখেছি ক্ষয়ে যাওয়া....
সকালে অফিসের কাজ ধরতে না ধরতেই আপনার লেখা চোখে পড়েছিলো, ফেলে রাখি কীভাবে সকালে এমন লেখা পড়ার পরে কাজ করতে অবশ্য একটু আলসেমি লাগে, তবে পুষিয়ে যায়
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শিমন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তারে মেলা শাড়ি-কাপড় থেকে জেট সাবানের ঘ্রাণ বলতেই ঘ্রাণটা নাকে এসে লাগলো!
যেহেতু ই-বুক করবেন, তাই বলি, দাদের মলমের কথা কথা বলতে গিয়ে বলছেন, এই রোগ আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয়।
রোগ জনপ্রিয় হওয়াটা কেমন যেন শোনায়। খুবই সাধারণ বলাটাই ভালো! অথবা অন্য কোনোভাবে বলতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পান্থ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, এ যে আমারই মনের কথা! আপনি কী করে জানলেন?
জন্মসূত্রে আম্মো তেজগাঁর (তেজতুরী বাজার) নাগরিক। আপনার ই-বুকের প্রত্যাশায় রইলাম।
-কুটুমবাড়ি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হে পড়শি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই প্রথমবার কোন লেখায় মন্তব্য না পড়েই মন্তব্য করতে বাধ্য হচ্ছি। আপনার শেষ প্যারাটা পড়ে আর ধৈর্য্য রাখা গেল না।
ই-বুক আমরা সবাই চাই, তা বলে সিরিজ বন্ধ হবে কেন?
চলতে থাকুক না স্মৃতির ট্রেন, শেকল টেনে বন্ধ করবেন কেন? যেখানে থামবার সে আপনাতেই থামবে।
আর যদি নেহায়েত বন্ধ করেই দিতে চান, ঘোষনা না দিলে হয় না?
অন্তত আশাটা বেঁচে থাক।
ধন্যবাদ মর্ম। সিরিজ বন্ধ হলেই স্মৃতিচারণ বন্ধ হবে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বন্ধ করে দেবেন কেন? বেশ তো চলছিলো...
পারলে চালিয়ে যান। সব পর্বে মন্তব্য না করলেও এই সিরিজটা আমার খুব প্রিয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
সমস্যা হচ্ছে লিখতে বসলে দেখি অনেক কিছুই রিপিট হয়ে যাচ্ছে...তাই মনে হয় থামা উচিত। তবে শৈশব অন্যান্য লেখাও উঁকি মারবে, এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই এপিসোডে "উৎসাহ" দেওয়া হয় নি, পড়ে থাকলেও তাড়াহুড়োতে মন্তব্য করতে ভুলে গেছিলাম। কোটা মিটিয়ে গেলাম। নিন, এবার নতুন সিরিজ স্টার্ট করুন দেখি।
নতুন মন্তব্য করুন