দিনটা এখনো শুরু করিনি। আমার বাসার কাজের টেবিলে সকালের রোদ্দুর এসে পড়েছে, জানালা খুলতেই একঝাঁক ঠাণ্ডা বাতাস মুখে এসে পড়ে, বাইরের মাঠে স্বাস্থ্যপ্রেমীদের ছোটাছুটি, পাখিদের ডাকাডাকি, ফুলের সৌরভ -- সর্বত্রই দিনশুরুর প্রস্তুতি। ওরা সবাই মিলে ডেকে আনে আমার বালকবেলা, সেই উনত্রিশ নম্বর বাড়িতে আমি পৌঁছে যাই এক নিমেষে।
স্মৃতির দিনগুলো ঝকঝকে হয়, মলিনতা ঝেড়ে ওরা সর্বদাই তরতাজা। ওখানে আব্বা রীতিমত যুবক পুরুষ, সকালে গুনগুন করে গান করেন, নাস্তার টেবিলে টুকটাক আলাপ করেন আর অজান্তেই জীবনদর্শন ঢুকিয়ে দেন মাথার মধ্যে। রান্নাঘর থেকে রেশমি ধোঁয়া উড়ছে, মিষ্টি গন্ধটা ফুলের নয়, মিষ্টি কুমড়া নিয়ে তৈরি সব্জির। আর ছ্যাৎ ছ্যাৎ শব্দটাতেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ওটা পরোটা ভাজার শব্দ। দূরে কোথাও সাগর সেন গাইছেন -- “তুমি এপার-ওপার করো কে গো ওগো খেয়ার নেয়ে ...”, এই সকালের চলচ্চিত্রে ব্যাকগ্রাউণ্ড সঙ্গীতের মত ছড়িয়ে পড়ে তাঁর অপূর্ব কন্ঠের ব্যাকুলতা। এই আশ্চর্য ভোরবেলাটা যেন বিস্মৃতির আড়াল থেকে উঠিয়ে আনে একমুঠো স্মৃতির শহর। সেই শহরে আর ফের হয়না -- তার অপার্থিব সৌন্দর্যের জলছবি দেখি শুধু।
বারান্দায় বসে আছে বোকা চেহারার হাঁ-করা একটা কাক, যেটাকে আমার বড়ভাই ডাকেন—স্টুপিড কাক। উনিও উঠে পড়েছেন। একটু পরেই বাথরুম থেকে বেরুবেন, লম্বা চুল আঁচড়ে। আব্বার সাথে একদফা ঝগড়াও হয়ে যেতে পারে -- নানান বিষয়-টিষয় নিয়ে। উচ্চস্বরে কথা বলাটা আমাদের সবার জন্মগত ত্রুটি। আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তি করা আলোচনাও ঝগড়া বলে মনে হতে পারে। টিভিতে সকালের খবর হচ্ছে, রাষ্ট্রপতির গতকালের দিনলিপি দেখছি, উনিও এখন হয়ত একটু পরেই রেডি হয়ে আজকের শ্যুটিং-এ বের হবেন। আচ্ছা ওনাদের কি ভালো লাগে এই বাক্স দখল করে বসে থাকতে?
কাকডাকা ভোরে উঠে আমার মেজভাই পড়তে বসেছেন, ফিটফাট, রুটিন মেনে জীবন-যাপন করেন সেই শৈশব থেকেই। তাঁর উপর স্কুলের স্যারেরা খুবই প্রসন্ন, হয়ত মাধ্যমিকে স্ট্যান্ড করবেন। উনিও এসে বসেছেন নাস্তার টেবিলে। এসে গেছে আজকের খবরের কাগজ। সেখানে আছে মিথ্যা প্রেসনোটসহ আরো ঝুরি ঝুরি রাষ্ট্রীয় মিথ্যাভাষণ। আমরা সবাই পয়সা খরচ করে মিথ্যে কথা পড়ি, শুনি এবং দেখি। আম্মাও এসে গেছেন নাস্তার টেবিলে, বাজারের ফর্দ রেডি, আমাদের খাইয়েই আলো ছুটবে কাওরান বাজারে।
আমাদের আলোচনার বিষয় হয় রাজনীতি অথবা রসাতলে যেতে থাকা এই দেশ অথবা তেজগাঁ স্টেশন রোডের অধঃপতন। দেশ-কাল-সমাজ -- সর্বত্রই এক পচনশীল চিত্র, যা হয়ত আজও রয়ে গেছে অপরিবর্তনীয়। এর থেকে আমাদের মুক্তি কিভাবে হবে? সমাজতন্ত্র? গণতন্ত্র? নাকি অন্য কিছু? কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর কোনোদিনও আর জানা হয় না।
আমিও আছি সেই আলোচনায় হয়ত শ্রোতার বেশে। হয়ত স্কুল কামাইয়ের নতুন অজুহাত খুঁজছি, বগলের নিচে রসুন দিলে কোন কাজ হয় না, সেটা যেই-ই বলুক না কেন। রেডি আছে “চারমূর্তির অভিযান”, সবাই চলে গেলে আমি টেনিদার সাথে ডুয়ার্সের জঙ্গলে যাবো। যাবার জায়গার অভাব নেই, সূর্যদেবের বন্দীদের একটু পরেই ভাজা হবে, টিনটিনের এইবার খবর আছে!! নেতাজী সুভাষ বোস কি পালাতে পারবেন গোয়েন্দা আর পুলিশের চোখ এড়িয়ে? অশ্লীলতার দায়ে নিষিদ্ধ বই “রাত ভ'রে বৃষ্টি” পড়ে নেব একটু খানি, নিষিদ্ধ জিনিসের মজাই আলাদা। আবাহনী কেনোই বা ইস্টএন্ডের মত দলের সাথে ড্র করে পয়েন্ট হারায়?
বাসায় থাকলে দিনগুলি অনেক অনে--ক লম্বা মনে হয়। গল্পের বই, পাড়া বেড়ানো, আমার পোষা কুকুর জো-এর সাথে খেলা করার পরেও অনেক সময় রয়ে যায়। আচ্ছা স্কুলে গেলে এত তাড়াতাড়ি সময় কেটে যায় কেন? পুরো স্কুল জীবনটাই মনে হয় হুশ করে কেটে গেল, এক লহমায়।
স্কুল গেলেও মন্দ হয় না আজ, পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে অনেকদিন। পড়াশুনাটা ওখানে মুখ্য নয়, ওখানেও আছে একরাশ আনন্দের ভাণ্ডার। তবে মনের এক কোনে পড়া নিয়ে ভয়ও আছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে খবরের কাগজে এইরকম অনেক বিজ্ঞপ্তি আসতো...
বাবা সুমন, তুমি যেখানেই থাক ফিরে এসো। তোমার চিন্তায় তোমার মা শয্যাশায়ী। তোমাকে বাসায় কেউ কিছু বলবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর সুমন ছেলেটা ঢাকার গোপীবাগের বাসা থেকে হারিয়ে গেছে, কোন সহৃদয় ব্যক্তি তার সন্ধান পেলে...সুমন বাংলায় কথা বলে।
আমি আতঙ্ক নিয়ে এইগুলো পড়ি, হয়ত ভবিষ্যতে কোনো একদিন আমার জন্য এরকম বিজ্ঞপ্তি আসবে পত্রিকাতে। সেই ভয়েই কি একদিন পড়তে বসে গেলাম?
আজ এই সকালটা কেন যেন বিস্মৃতির অতল থেকে ডেকে আনে আমার ফুটবল খেলার মাঠ, সকালবেলার তাড়াহুড়া, দুপুরবেলার ক্লান্তি, বিকেলের হট্টগোলগুলো। আর সবাইকে পেছনে ফেলে সামনে চলে আসে বালক এক --সালাহউদ্দীনের মত ফুটবলার হতে পারে সে, হতে পারে বৈমানিক, হতে পারে আইসক্রিমওয়ালা, হতে পারে কবি, তার স্পঞ্জের স্যান্ডেল পরা পায়ে ধূলো মাখা, চোখ তার চকচক করছে আবিষ্কারের নেশায়, চুলগুলো এলোমেলো...বিশাল এক পৃথিবী ডাকছে তাকে ...আর আমার বাড়তে থাকা মধ্যপ্রদেশ, কমে যাওয়া চুল, রিডিং গ্লাস, নিয়মিত ঔষধ সেবন-- আমাকে কি ও আর দলে নেবে?
অতিদূর থেকে আমি চাতকের মত ব্যাকুল তাকিয়ে রই বালকবেলার পানে...
ভাঙিলে হাট দলে দলে সবাই যাবে ঘরে চলে
আমি তখন মনে ভাবি, আমিও যাই ধেয়ে ।।
দেখি সন্ধ্যাবেলা ও পার-পানে তরণী যাও বেয়ে
দেখে মন আমার কেমন করে, ওঠে যে গান গেয়ে
ওগো খেয়ার নেয়ে।।
মন্তব্য
সতত সুখের স্মৃতিগুলো ফির ফিরে আসুক বারেবারে।
শুভকামনা অবিরাম।
kabir.aahmed@yahoo.com
প্রশ্নবোধক
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রশ্নবোধক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনে হলো তুমি গল্প বলছো, আর আমি চোখ বন্ধ করে সিনেমার মতো দেখে যাচ্ছি!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
সিনেমাটা হঠাৎ শেষ করে দিলাম না তো?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বালিকা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উহু... শেষ হয়নি... আমি আমার মতো কাহিনি এগিয়ে নিয়ে গেছি!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এইতো চাই!!!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এসব পড়লে দীর্ঘ একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সিমন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আগে মনে হয় কখনো বলা হয়নি, এই সিরিজটা দারুণ পছন্দ আমার... এটা পড়লেই ইচ্ছে করে বালকবেলা নিয়ে লেখতে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সদয় মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
এবার শুরু করে দেন বালকবেলার গল্প, এগুলো আমার অলটাইম ফেভারিট
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তারপর?? বাকিটা কই?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এরপর...রেডি হয়ে অফিসে গিয়ে কলম (ওয়ার্ক স্টেশন) পেষা শুরু করলাম
শেষটা বেশ দুঃখের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমনিতেই খানিক পড়ার পরে মনে হয় পড়তেই থাকি, পড়তেই থাকি...
ভালো লাগছে না কিছু পড়তে, দেখতে বা করতে, আগ্রহ নিয়ে ঢুকলাম তো আজকে পুরাই ফাঁকিবাজি পোস্ট... শুরু করেই শেষ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঠিক আছে পরের পর্ব সময় নিয়ে বড় করে লিখব
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভূত। সত্য। সুন্দর। আর কোন বিশেষণ এ মুহূর্তে মাথায় আসছে না
---আশফাক আহমেদ
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আশফাক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন! এক নিমিষে পড়লাম,এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল !
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পড়াচোর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এ এক অনির্বচনীয় অনুভব, অনিবার্য জিজ্ঞাসা, অতলান্ত দীর্ঘশ্বাস! আমায় আনমনা করে রাখে অনেক অনেকক্ষণ; আর চোখের সামনে ভেসে উঠে পড়ন্ত রোদ, ধুলোয় মাখা স্মৃতির সাইকেল! কাঁদালে তুমি মোরে.........
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মন ছোঁয়া মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রোমেল ভাই। মনে হয় শৈশবকে আমরা একই চোখে দেখি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
... হঠাৎ করে শীতকালের ছুটিগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। নিকোলাস রোজারিওর ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর দিন, সকাল দশটায় পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচ শুরু করবার দিন...
আজ দিনটা নষ্ট হবে নস্টালজিয়ায়...
_________________________________________
সেরিওজা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুহান।
নস্টালজিয়া যে কত দিন খেয়ে ফেলে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রসুনের আইডিয়া প্রথম পাই স্কুলের এক স্যারের কাছ থেকে। তবে, আমি ডাইরেক্ট এ্যাকশনে যেতে গিয়ে স্নানের গরম জলেই ডুবিয়ে দেই থার্মোমিটার। আমায় বিস্মিত এবং শঙ্কিত করে ওটির মাথা টুপ করে জলে খসে পড়ে, ভেতরের পারদ জমা হয়ে জলপাত্রের তলায়! তারপর, সম্পূর্ণ ধূসর...
আপনার লেখাটাই টানে, ভাষারীতি, কিন্তু, আজ কোন ঘটনা ছাড়াই যেন পুরনো কাটপিস দিয়ে কোলাজ চালালেন। ফাঁকিবাজ! একটা ইমো চাই এটার কিন্তু পাপিষ্ঠ মডুডেভুরা কি দেবে?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ধন্যবাদ মহাস্থবির জাতক। আমি ফাঁকিবাজির ব্যাখ্যা দিয়েছি নিচে।
ফাঁকিবাজির ইমো হলে কিন্তু অনেকেরই অবস্থা টাইট হবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুলনা সেন্ট জোসেফস্ স্কুলের প্রয়াত বাংলার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম স্যার বলতেন-
আপনার এই সিরিজটা পড়ি আর বারবার অতীতে ফিরে যাই। গত সপ্তাহে ৫ বন্ধু এক হয়েছিলাম। ১৯৭৭ থেকে বন্ধুত্ব। দীর্ঘ বিরতিতে দেখা সাক্ষাত। একটা কিউবান মন্টিক্রিষ্টো সিগার ৫ জনে মিলে টানলাম আর ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করতে লাগলাম। যত বয়স হচ্ছে লাইফটা ততোই ডাল মনে হচ্ছে।
একমত। বগলের নিচে রসুন দিলে শুধু রসুনটাই নষ্ট হয় আর শরীরে দুর্গন্ধ হয়, আর কিছুই হয় না। অনেক ট্রাই করেছি।
রাতঃস্মরণীয়
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়।
মজার ব্যাপার হলো আমারো পাঁচ বন্ধু একসাথে হয়েছিলাম গত সপ্তাহে...তবে আমাদের দেখাশোনার বিরতি অনেক কমই বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম ! এই পর্বের ভাষা ও বর্ণনায় অন্য পর্বগুলির তুলনায় মায়াবী, যাদুময় মেদুরতা আর আবেশের ভাবটা একটু কম মনে হচ্ছে। কেমন একটা যেন সুক্ষ ছন্দপতন। লেখার সময় মুড বা মনোসংযোগে একটু ব্যাঘাত ঘটেছে মনে হচ্ছে। আপনার লেখা না হলে এই পর্বটা খুবই ভালো লাগত, এখনো লেগেছে, কিন্তু আপনার কাছে প্রত্যাশাটা আরো বেশী। সেই দোষটাও অবশ্য আপনারই - আপনিই আপনার কাছে পাঠকের প্রত্যাশার মাত্রাটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন পান থেকে চুন খসলেই...
বিরাট বিপদে আছি দেখছি
এই লেখাটা অতিদ্রুতই লিখেছি -- এবং সাধারণত একটু ঘষামাজা করি যেটা করিনি...তবে ফাঁকিবাজির ব্যাখ্যাও দিয়েছি নিচে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আসলেই।
কেমন সুন্দর লেখা আপনার।
মন ভাল মন ভাল লেখা।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
অনেক ধন্যবাদ সুরঞ্জনা...স্মৃতির শহর আমাকেও আনন্দিত করে...প্রতিনিয়ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আজকে ফাঁকি মারলেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ সবজান্তা -- ফাঁকির ব্যাখ্যা আছে নিচে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"তুমি যেখানেই থাকো, অতি সত্বর ফিরিয়া আসো" - এই ধরনের জিনিস আর নাই, তাই না? মনে করিয়ে দিলেন। এগুলো বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়তাম ছোটবেলায়।
আর মনে হতো, বাপ-মা খালি কিছু বলে দেখুক, রাগ করে বেরিয়ে যাবো। আমাকে নিয়েও ওইরকম বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
রসুন পেয়াজ দিয়ে আসলে জ্বর আনা যায় না তাহলে? আমি অবশ্য সারাজীবন পেটব্যথার ওপর দিয়েই গেসি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শিমুল।
পেটে ব্যথা অনেক সেই--ফ। এই বিষয়ে একটা গল্প লিখব সামনে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কখোন মন্তব্য করা হয় নাই কিন্তু আপনার এই সিরিজ টা অসাধারণ...কি ভীষণ নষ্টালজিক! কেমন একটা আপন আপন অনূভুতি...যেন নিজেকেই বার বার খুঁজে পাই।
আমারও শৈশব থেকে শুরু করে জিবনের অনেক গুলো বছর কেটেছে ঢাকাতে। তাই এই লেখার সাথে সাথে আপনাকেও খুব চেনা আর নিজেদের একজন মনে হয়।
- মেঘলা
ধন্যবাদ মেঘলা।
আমাদের সবার শৈশবের গল্পগুলো কম-বেশি কাছাকাছি, তাই হয়ত আমরা সবাই স্মৃতির শহরকে ভালোবাসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সচলায়তনে আমার প্রিয়তম সিরিজ এই 'স্মৃতির শহর'...এবারেরটা হুট করে শেষ হয়ে গেছে...তাতে কি? চলুক এই মায়াবী সিরিজ এই ভঙ্গিতেই...তাসনীম ভাইকে নিজের ট্র্যাকেই থাকতে বলি...
''পোড়ো ভিটার মিষ্টি লেবু ফুলের গন্ধে, সজনে তলার ছায়ায় ছায়ায় আবার কবে গতিবিধি?''
সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিগন্ত বাহার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মিষ্টি কুমড়োভাজি আর পরোটা? আহা!
---
ক্লাস টুতে পড়ার সময়ে বাবার সাথে অভিমান করে বিছানার তলায় শিশু শ্রেনীর স্কুলের ছোট সুটকেসটায় কাপড় গুছিয়ে রেখেছিলাম। রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়বে তখন পালিয়ে যাবো। শুধু যদি দেখি কাগজে 'ফিরে এসো- তোমার বাবা কাঁদছে', লেখা তবেই ফিরে আসবো, নইলে আমাকে আর কেউ খুজে পাবেনা। কিন্তু পালিয়ে গিয়ে কোথায় বসে রেগুলার কাগজ পড়া যাবে, এই ভাবনাটা জরুরী মনে হয়নি একেবারেই।
এর অনেকবছর পর এক ইঁদুর নিধন প্রকল্পে বিছানার তলার সেই সুটকেস খুঁজে পেয়ে নিজেই নিজের ভুলে যাওয়া পরিকল্পনা মনে করে একাকী হেসেছিলাম। গোলাপী আর তুলতুলে নরোম ইঁদুর শিশুরা আমার পালিয়ে যাবার স্বপ্ন জড়িয়ে তখনো ঘুমুচ্ছিলো।
বাহ...খুব ভালো লাগলো আপনার একচিলতে স্মৃতিচারণ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হে হে হে! দুর্দান্তদা অনেক মজার কথা মনে পড়িয়ে দিলেন, আমারো একোটা ব্যাগ ছিল, রাগ হলেই তাতে কাপড় গুছাতাম আমি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আতকা শেষ হইছে মনে হইলো! মানি না, মানি না!
লেখা 'লা জবাব' হইছে!
ধন্যবাদ সৈয়দ আখতারুজ্জামান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ফাঁকিবাজির অভিযোগ শিরোধার্য। লেখা পড়ে নিশ্চয় বুঝেছেন যে সারা স্কুল লাইফ ফাঁকি মেরে এসেছি -- আর ব্লগে ফাঁকি মারব না তাও কি হয়?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নরম ভোরের বালক/বালিকাবেলা কি ভাল ছিল তাই না? লেখা খুব খুব ভাল লাগলো (যথারীতি)। থ্যাংক্সগিভিঙের আগাম শুভেচ্ছা রইলো আপনার পরিবারের আর আপনার জন্য। আজ বিকেল থেকে পুরো হপ্তা ছুটি, তাই বোধহয় আরো উপাদেয় লাগলো এই কিস্তির লেখা
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হরফ।
আপনাকেও সপরিবারে থ্যাংকসগিভিং এর শুভেচ্ছা...আমাকে কাজ করতে হবে আগামীকাল...তারপরও চারদিনের ছুটি। মন্দ কী?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটু দেরি করে পড়লাম, তবে এমন জিনিস তো আর বাসি হয় না। লেখার কলেবর নিয়ে আমার ক্ষোভ নেই, বেশ সকালবেলার জলখাবার পরোটা আর কুমড়োর ছক্কা, একটু হাল্কাই ভালো বরং।
ধন্যবাদ মূলত পাঠক।
আপনিই বুঝতে পারলেন...সকালে ভারি জিনিস কী পোষায়?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থ্যাঙ্কসগিভিং এর সকালবেলা পরোটা আর কুমড়োভাজা? বেশ বেশ।
ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
থ্যাঙ্কসগিভিং কিন্তু আগামীকাল
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তখনকার দিনে সকালে টিভি চলতো? আমারতো কেনো যেনো শুধু বিকাল ৫ টাতেই শুরুর কথা মনে পড়ছে। নাকি এটা পরের ঘটনা? হিসাবেতো মিলে না।
আপনার লেখা টানে, খুব টানে। সিরিজ শুরু করে সেটা না থামিয়ে, না ঝুলিয়ে টানেন এটা ভালো লাগে। শিশুপালনটা দারুণ।
ভালো থাকবেন। সচল থাকুন, সচল রাখুন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ নাজমুল আলবাব।
বিটিভি কিছুদিনের জন্য সকালে তিন ঘন্টা সম্প্রচার করত, এরশাদের ক্ষমতা দখলের কথা ভোরের টিভি ভাষণ থেকেই জানি আমরা। যদ্দুর মনে পড়ে সকালে একটা নিউজ আর বাচ্চাদের কিছু কার্টুন দেখাত। মূল অনুষ্ঠান বিকেলে শুরু হতো।
আমি পুরোই স্মৃতি নির্ভর লেখা লিখি, তথ্য ভুল থাকতে পারে, পাঠকরা সেগুলো ধরিয়ে দিলে আমি খুশি হই।
খুব ভালো লাগলো জেনে। সচলের মাধ্যমে বিরাট এক পাঠক ও লেখককুলের সাথে পরিচয় হয়েছে, আমার বর্তমান জীবনের বাস্তবতায় সেটা সম্ভব ছিল না। আপনাদের মন্তব্য ও উৎসাহ আমার জন্য বিরাট পাওয়া।
ভালো থাকবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এখন মনে হচ্ছে সকালের কথা। কিন্তু সেটাতো মনে হয় শুধু রোববার বা শুক্রবারেই দেখাতো... কি জানি মনে পড়ছে না পুরাটা। কাঠের মানুষ বা এই টাইপ একটা সিরিজ দেখতাম মনে পড়ছে শুধু। নিজেদের টিভি ছিলো না। পাশের বাড়িতেও টিভি ছিল না। প্রায় মিনিট পনেরো হাটতে হতো টিভি দেখার জন্যে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনি শুক্রবার সকালের অনুষ্ঠানের কথা বলছেন -- "কাঠের মানুষ ভন্ডুল" ছিল নাটকটার নাম। পিনোক্কিও এর বাংলা রূপ। কিন্তু এটা অনেক পরের ঘটনা।
১৯৮১ সালের দিকে (পুরো নিশ্চিত নই) বিটিভি প্রতিদিন সকালে ঘন্টা তিনেক অনুষ্ঠান দেখাতো, টার্গেট গ্রুপ ছিল মূলত বাচ্চারা। প্রায় একই সময়ে বিটিভি দ্বিতীয় একটা চ্যানেল চালু করে, যেটাকে সবাই বলত ছয় নম্বর চ্যানেল। এটা সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলত। এর অনুষ্ঠান ছিল মূলত রি-রান, অর্থাৎ জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলো পুনঃপ্রচার ছিল এতে।
এই দুটো উদ্যোগই বেশিদিন স্থায়ী হয় নি, তাই এটা খুব বেশি লোকের মনে নেই।
আমার আব্বার খবর দেখা ও পড়ার বাতিক ছিল...বিটিভির সংবাদ বা পেপারের খবর পড়তে পড়তে উনি বলে উঠতেন..."চোরেরা"...একবার এরশাদ আমলে উনি বিটিভিতে ফোন করে একই অভিমত দিয়েছিলেন। বিটিভির নিউজ দেখে অনেক ঠান্ডা মাথার লোকেরই ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেত।
আমি প্রবাসে বহুদিন দেশের টিভি দেখিনি...তখন কোনো চ্যানেল পাওয়া যেত না। ২০০৪ সালে এনটিভির কানেকশন নেই...টিভি ছাড়তেই দেখি বিটিভির গভীর রাতের সংবাদ (একসময় কেবল চ্যানেলগুলো বাধ্য ছিল এটা দেখাতে)। দেখতে গিয়ে একটু নস্টালজিক হয়ে পড়ি হয়ত...আব্বার মত আমার মুখ দিয়েও বের হয়ে যায়..."চোরেরা"...
ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ও ভাই, ৮১!!!!!! এইটা আমার কাপের চা না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হা হা হা...বুঝতে পারছি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি তো জাতিশ্বরের পর্যায়ে চলে যাচ্ছি দেখি। ছয় নম্বর আর নয় নম্বর চ্যানেলের কথা আমার মাথায় প্রতিফলিত হচ্ছিলো। কিন্তু এটা যে কবেকার কথা- এই নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলাম না! ছয় নয় নিয়ে একটা আংরেজী সিরিজের কথা আবছা ভেসে ওঠে মাথার ভেতরে। দুইটা দল ছিলো সেই সিরিজে। একদল লিলিপুট আরেক দল স্বাভাবিক। পোশাকে-আশাকে দুই দলই ছিলো আধুনিক। এর বাইরে আর কিছুই মনে নাই। আংরেজী সিরিজটার নামও না। কিংবা এই রকম কোনো সিরিজ আদৌ আছে কি-না জানি না। সেই জন্যই বলছিলাম জাতিশ্বর হয়ে যাচ্ছি কি-না!
তাসনীম ভাই সকালের যে অধিবেশনের কথা বলছেন সেটা ছিলো শনিবারে। সেটা একসময় বন্ধ হয়ে যায় স্বৈরাচারের শাসনামলে, শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণার পর। তার অনেক অনেক পর সকালের অধিবেশন শুরু হয় আবার, শুক্রবারে। এইটা আমরা দেখেছি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিটিভির ছয়-নয়ের চক্করে পড়ে আপনাদের মেমারি দেখি সব নয়-ছয় হয়ে গেছে ! হাঃ হাঃ !
একটা ধাঁধা দেই স্মৃতি-স্পেশালিস্টদেরঃ
ল্যান্ড অফ দ্য জায়ান্টস, ডিপার্টমেন্ট এস, জেসন কিং - এই আংরেজী সিরিয়ালগুলি এবং 'মাইটি স্যামসন' - এই কার্টুনটি বিটিভিতে কত সালে দেখানো হতো বলেন দেখি স্মৃতি-বীরেরা ?
এজগ্রুপটা ডিফাইন করে দ্যান
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ফুটানি মারিস না, ৭৭ মডেল হয়েই আমি মনে করতে পারি না, আর তুই...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ম্যান ইজ মরটাল, বয়স হৈলেই মানুষ ভুলে যায়।
বাউলেরও বয়স হৈছে। হে হে হে
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আলবাব ভাই ঠিক বলেছেন! ফুটানি মেরেন না! আর নাইলে ঠিক করে কন দেখি আপনার বয়স কত?!
নয়-ছয় চ্যানেলের কিছুই মনে নাই, তবে আপনার লিলিপুটিয়ান-আর হিউম্যান টিভি সিরিজটা মনে আছে! হয় শুক্কুরবারের সকালে সেই ছোটদের সিরিজগুলো দেখাবার সময় দেখাতো, নাহলে বিকেলে। কিন্তু ক্যান য্যান মনে হচ্ছে সন্ধ্যায় দেখাত! কইতারিনা! আর নাম আমারো মনে নেই। অনেক আফসোস ছিল তখন মনে আংরেজী বুঝতাম না বলে! কী যে ছিল ঘটনাটা কিছুতেই বুঝতাম না। একটা সিনের কথা মনে পড়ে, তাতে মানুষেরা বসে গল্পগুজব করছে, আর লিলিপুটেরা লুকিয়ে সূতোর গুটি চুরি করছে মানুষদের ঘর থেকে, আসলেই এটার নাম কী ছিল? দেখতে ইচ্ছা করছে এখন!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ফুটানি আমি মারব কেন ? আমি তো স্মৃতিচারন করতে করতে কোন সেই সুদূর অতীতে হারিয়েও যাচ্ছিনা বা জাতিস্বরতাও অর্জন করি নাই ! সেই ক্ষমতাও নাই। ভাবলাম আপনারা হয়তো জানতে পারেন। যাই হোক এই নামগুলি বড়ভাইর মুখে অনেক শোনা, জিজ্ঞেস করে জানাবনে। তবে মনে হয় সম্ভবত ৭০ দশকের কোন এক সময়।
কিন্তু স্মৃতির শহরের লেখক কোথায় পালালেন ? উনিও কি জানেন না ?!
যাযাবর আপনাকে নয় ধূগোকে বলেছে ফুটানির কথা
আমিও জানিনা ভাই, জানলে বলতাম
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
থুক্কু !
স্কুলের জাবার আগে নাস্তা খেতে খেতে সাদা-কালো কার্টুন দেখার কথা মনে পড়ে গেল। টপ-ক্যাট, জেটসন্স, শেজান, ব্যাটেল অব দা প্ল্যানেট্স।
সন্ধায় দেখানো হত 'ইলেক্ট্রিক কোম্পানী' নামক একটা ইংরেজী পড়তে শেখানোর অনুষ্ঠান। সেই সাথে 'টেলিমেচ' নামক আজব প্রতিযোগীতার অনুষ্ঠানসহ ট্রান্সটেল এর বেশকিছু মজার প্রামান্যচিত্রের কথাও মনে পড়ে গেল। মনে হয় ডোরা-ডিয়েগোরা এখন সে জায়গাগুলো নিয়ে নিয়েছে।
আমিও চলে গেলাম আমার বালকবেলায়। বালকবেলাতেই মনে হয় সব কিছু জয় করা সম্ভব। এখন এই রূড় বাস্তবতায় মনে হয় আবার ফিরে যাই আমার বালকবেলায়।
থ্যাংক্সগিভিংএর শুভেচ্ছা।
অনন্ত
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অনন্ত।
থ্যাঙ্কসগিভিং এর শুভেচ্ছা রইল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবসময়েই ভাবি এই লেখাগুলায় আর মন্তব্য করবো না, কিন্তু তারপরেই মনে হয় ভালোলাগাটা জানান দিতেও যাহোক কিছু একটা বলা দরকার!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগাটা খুব ভালো লাগে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যতদিন পর্যন্ত না বলছেন যে 'স্মৃতির শহর'-এর বই বা ই-বই কবে করছেন তার আগে আর আপনার স্মৃতির শহরে মন্তব্য করতে আসা ঠিক হবে কি না ভাবছি।
আপনার লেখার ভক্ত আমি সচলায়তনে, তবে কেনো যে মন্তব্য করা হয় না সেটা আমার নিজের কাছেই বিরাট এক রহস্য!
অটঃ "গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল" হয়ে যাচ্ছে হয়তো, তবু বলে রাখি- ই-বই যদি করেন তাহলে কি একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন? অন্ততঃ ভাল লাগাটা জানানোর জন্য মন্তব্য করার সুযোগ যেনো সেখানে থাকে!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মর্ম।
ই-বুকের কাজ শুরু করব ডিসেম্বরে। আমার ইচ্ছে আছে এই ব্লগের কিছু মন্তব্যও ই-বুকে যোগ করব। ই-বুক বের হলে, সেটা নিয়েও একটা পোস্ট দিব, সুতরাং সেখানেও মন্তব্য করতে পারবেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই পর্বটা অন্যগুলোর তুলনায় একটু অন্যরকম লাগল, ঠিক আরাম পেলাম না। আমারই ব্যর্থতা হয়ত, পরের পর্বে পুষিয়ে দিবেন, তাও জানি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাইফ। চেষ্টা করব, পারব কিনা জানিনা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেখি সন্ধ্যাবেলা ও পার-পানে তরণী যাও বেয়ে
দেখে মন আমার কেমন করে, ওঠে যে গান গেয়ে
ওগো খেয়ার নেয়ে।।-
--------------------------------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন