ঘটনাটা ঘটেছিল ১৯৮২ সালের ২৪ শে মার্চ। আমার মেজভাই তখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। সেদিন ছিল শেষ পরীক্ষা, কেমিস্ট্রি। সেসময় টিভিতে সকালে অনুষ্ঠান হত কয়েক ঘন্টা। আমরা নাদান বাচ্চা-কাচ্চা, সকালের কার্টুনগুলো দেখতে সাতসকালেই উঠে পড়ি। সেদিন সকালে কার্টুন-টার্টুন দেখা হয় নি, বাসাশুদ্ধ সবাই দেখলাম আমাদের সেনাপতি সাহেবকে। এই সেনাপতিকে আগে চিনতাম না। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরে প্রথম টিভিতে দেখি, এরপর দেখেছি উনি সাপ্তাহিক বিচিত্রাতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কয়েকমাস আগে, বলেছেন সেনাবাহিনীর উচিত নয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাতে হাত দেওয়া। দেশের রাষ্ট্রপতি তখন আব্দুস সাত্তার, উনি জিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হওয়ার পরে উনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত এবং তারপরে নির্বাচন করে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন।
সাত্তার সাহেব খুব কঠিন লোক ছিলেন না। “আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রেসিডেন্ট দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত হয়েছেন” – এই লাইনটা বলতে গিয়ে উনি হোঁচট খেয়েছিলেন বারংবার। আর সেই “দুষ্কৃতিকারীরাও” কেমন যেন – ক্ষমতা দখলের জন্য ক্যু করতে হয় ক্ষমতার কেন্দ্রে - সেটা না করে ক্যু করে বসল চট্টগ্রামে। নাকি ঢাকাতে কেউ ছিল যে গাছে উঠিয়ে মই সরিয়ে নিয়েছে? অনেক প্রশ্নের উত্তর আর জানা হবে না। সাত্তার সাহেব পরিস্থিতি বেশি ভালো মোকাবিলা করতে পারছিলেন না। বিএনপিতে দ্বন্দ্ব আর কলহ চরমে। মন্ত্রীর বাসা থেকে সন্ত্রাসী খুনি ধরা পড়েছে। তারপরেও দেশের মানুষ ক্ষমতার বদল চায় নি। রক্ত কম ঝরেনি স্বাধীনতার পরের দশ বছরে।
টিভিতে সেনাপতি সাহেব লম্বা একটা ফিরিস্তি দিলেন – দেশ রসাতলে যাচ্ছে, এই সময়ে দেশপ্রমিক সেনাবাহিনী কিভাবে চুপ করে থাকবে...তাই তিনি বাধ্য হয়েই রাষ্ট্রপতির অনুরোধে ক্ষমতা নিচ্ছেন। সামরিক আইন দেশে আগেও এসেছে, কিন্তু এই প্রথম আমি নিজের চোখে দেখলাম এর রন্ধন প্রণালী।
সামরিক আইনে সেনাপতি হচ্ছেন রাজা - তাকে মানুষ ডাকবে সিএমএলএ – চিফ মার্শাল ল' এডমিনিস্ট্রেটর। সকালের আইন বিকালবেলা পালটে ফেলেন, তাই বদলোকে বলে - ক্যান্সেল মাই লাস্ট এনাউন্সমেন্ট। এর পাশাপাশি দরকার কিছু বেসামরিক মুখ – বিবেক ও মেরুদণ্ডহীন কিছু বিচারপতি আছেন এদের কুর্কমে সিল মারতে। সেই রকম এক বশংবদকে ধরে বানানো হলো প্রেসিডেন্ট। রাতের দিকে কারফিউ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকে, তবে এই রাতে কারফিউ মনে হয় আগে থেকেই ছিল। প্রকাশ্য রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো আর হ্যাঁ সব বিশ্বসুন্দরীরা যেমন বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করেন – তেমনি সকল সামরিক শাসকরাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদে যান। তাই অনেক রাজনৈতিক নেতা গ্রেফতার হলেন।
সামরিক আইন বড় কঠিন এটা বুঝলাম। এর বিরুদ্ধে কথা বললেই জেল, আকারে ইঙ্গিতে বললেও একই বিপদ। আকারে ইঙ্গিতে কিভাবে সামরিক আইনের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় সেটা আজও মাথায় ঢুকেনি। রশিদ ভাইও একই বক্তব্য দিলেন...ভাইয়া “সামরি” আইন চলতাছে...সাবধানে থাইকো। কথাটা ভুল নয় - আমাদের অখ্যাত আরামবাগ রেঁস্তোরা থেকেই দুই জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে সেনাবাহিনী, ওরা নাকি আর্মির সমালোচনা করছিল।
আমার চেনা প্রতিটা লোকই বিক্ষুদ্ধ, শুধু মুখ বন্ধ। স্কুলের স্যারেরাও অখুশি যদিও সেটা মুখে তেমন প্রকাশ করছেন না। শুধু খায়ের স্যার খুশি। উনি স্বাধীনতার আগে উর্দু পড়াতেন, এখন ধর্ম আর আরবি পড়ান। উনার মতে বাঙালির চরিত্র বুঝেছিল একমাত্র আইয়ুব খান-- বেতের বাড়ি ছাড়া এই জাতি ঠিক হবে না। সেই বেতের বাড়ি এখন বাঙালির পশ্চাৎদেশে যত্রতত্র পড়াটা একদম যথার্থই মন হয়েছে উনার কাছে। আমার বড়ভাই বামপন্থী ছাত্র রাজনীতি করতেন, বাবা-মা সরকারি চাকরি। ভাইয়া অল্প কয়দিনের জন্য গা-ঢাকাও দিলেন। দেশের প্রতিটা লোককে ক্ষেপিয়ে এই লোক কিভাবে দেশ শাসন করবে? কিন্তু দেখা গেলো দেশ শাসন করতে গেলে জনপ্রিয় হতে হয় না, কালক্রমে সেনাপতির ভালো নাম হলো স্বৈরাচার, আমিও বড় হতে লাগলাম তার মিথ্যে কথা শুনতে শুনতে।
দেশে সুশাসনের বদলে কুশাসন আর অনাচার থাকলে বাচ্চাদের বড় হওয়াটা বেশ দ্রুতই হয়। দেখা গেলো এই অতি অপছন্দের এবং অতি অ-জনপ্রিয় স্বৈরাচারের কাছেও হরদম বিক্রি হচ্ছে ঘাগু নেতা, টিভি উপস্থাপক, কবি, তুখোড় ছাত্র নেতা। আমাদের দুর্নীতির গোপন রোগটাও স্বৈরাচারের অজানা নয়, উনি ভাত ছড়াচ্ছেন আর কাকের অভাব হচ্ছে না। ভাত ছড়াতে ছড়াতে পুরো দেশটাই কাকময় না হয়ে যায় আবার। টিভির সংবাদে স্বৈরাচারের দিনলিপি দেখি। একদিন পত্রিকা খুলে দেখলাম স্বৈরাচারের কবিতা। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষিত হলো, সেই সঙ্গে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হয়ে শুক্রবার ছুটির দিন ঘোষিত হলো। এই বাটপারের হাতে দেশ, ধর্ম, রাজনীতি সবই ধর্ষিত হলো।
আমাদের স্কুলের দিনগুলোও বেশ তথ্যবহুল ছিল। একদিন শুনলাম স্বৈরাচার শালা নাকি - "আটকুইড়্যা”...অর্থাৎ আঁটকুড়ে মানে নিঃসন্তান। এরসাথে রাজনীতির সংশ্রব কি সেটা জানি না কিন্তু এই বদনাম রটার অল্প পরেই স্বৈরাচারের স্ত্রী এক সন্তানের জন্ম দিলেন। এক সপ্তাহ আগেও উনাকে টিভিতে দেখা গেছে, আসন্ন প্রসবা বলে মনে হয় নি। তবে সিএমএলএ সাহেব চাইলে একমাসেও বাচ্চা পয়দা সম্ভব। সামরিক আইন এমনই কঠিন জিনিস।
স্কুলে অনেক মজার জোক - সেগুলোর প্রতিটাই চূড়ান্ত রকমের অশ্লীল। স্বৈরাচার আবার নাকি আবার লম্পটও, প্রায়ই নানান গুজব শোনা যায় তাকে জড়িয়ে। সে সময়ে গুজবও গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ মাধ্যম ছিল। উঠতে বসতে স্কুলের বন্ধুরা গালি দেয় তাকে, বেশির ভাগ গালিই “চ” দিয়ে শুরু...আমার নিজের দেওয়া প্রথম “চ” বর্গীয় গালিটাও স্বৈরাচারকেই দেওয়া। বালক, যুবক, নবীন এবং প্রবীণ – সবাই তাকে গালি দিয়েই যাচ্ছে, অথচ উনি ক্ষমতায় অবিচল। মিথ্যে কথা রাষ্ট্রীয়ভাবে উনি প্রতিষ্ঠা করেছেন অল্প সময়েই। একবার টিভিতে দেখলাম উনি রাতের স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পরদিন দুপুরবেলায় মগবাজারের এক মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করছেন। মসজিদের কাছেই বন্ধুর বাড়ি, সে জানালো প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই গোয়েন্দা আর পুলিশ মিলে ওই জায়গার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে- বলা যায় না গোয়েন্দারা হয়ত স্বপ্নের খবরও আগেই পেয়ে যায়!!
আমি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন দেখিনি। কিন্তু এই মিথ্যে কথার মেরুদণ্ডহীন দেশে বড় হতে গিয়ে টের পেলাম ছাত্রদের শক্তি। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে চোখ তুলে কথা বলতে পারে শুধু ছাত্ররাই এবং প্রথম আন্দোলনের সূচনা হলো তাদের হাত দিয়েই। মজিদ খানের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধাচারণ দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ১৯৮২ সালেই। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে শহীদ হন জয়নাল, জাফর আর দীপালী সাহা সহ আরো কয়েকজন। শিক্ষাভবনের সামনে ঘটে যাওয়া সেই নারকীয় ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন অনেকেই, আমার মা তখন ওই ভবনেই কর্মরত ছিলেন।
এ সমস্ত ঘটনার বিবরণ পত্রিকাতে বেশি আসতো না - সেন্সরশীপ ছিল প্রবল। সরকার থেকে প্রেসনোট দেওয়া হতো, গুগল করে ১৪ই ফেব্রুয়ারির ঘটনার পরদিনের ইত্তেফাক রিপোর্টটা পুরো তুলে দিলাম।
গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সরকার এক প্রেসনোটে ঢাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের লক্ষ্যে পরিচালিত ক্রমবর্ধমান ও পরিকল্পিত ছাত্র গোলযোগ বন্ধের উদ্দেশ্যে কতিপয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ঘোষণা করিয়াছেন। প্রেসনোটে বলা হয়, এই ছাত্র গোলযোগ শান্তিপ্রিয় জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করিতেছিল। ঢাকায় ছাত্রদের একদিনের উস্কানিমূলক গোলযোগের প্রেক্ষিতে সরকার নিম্নোক্ত ব্যবস্থাবলী ঘোষণা করিয়াছেন:
(১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হইয়াছে। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল নয়টার মধ্যে ছাত্রদের সকল আবাসিক হল ত্যাগ করিতে হইবে।
(২) সভা, শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা সংক্রান্ত বিধিসমূহ কঠোরভাবে প্রয়োগ হইবে।
(৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টা হইতে ভোর ৫টা পর্যন্ত এবং মেট্রোপলিটন ঢাকার অবশিষ্ট এলাকায় রাত্রি ১০টা হইতে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকিবে।
ঘোষণায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গোলযোগে পর্যবসিত ঘটনাবলীর উল্লেখ করা হয়। ১৪টি রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনসমূহের মোর্চা তথাকথিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঘোষণা কয়িয়াছিল যে, তাহারা সরকারী নীতির প্রতিবাদে সচিবালয় অবরোধ করিবে।
সকাল ১১টায় তাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত হয় এবং বক্তারা সামরিক আইন ভঙ্গ করিয়া ছাত্রদেরকে আইন নিজের হাতে তুলিয়া লওয়ার আহ্বান জানাইয়া উত্তেজনাপূর্ণ বক্তৃতা দেয়। ছাত্রনেতা নামধারী এই সকল পেশাদার উস্কানিদাতাদের উস্কানিতে ছাত্ররা একটি শোভাযাত্রা বাহির করে, যা কিনা সামরিক আইনে নিষিদ্ধ। সরকারের বিরুদ্ধে ধ্বনি দিতে দিতে তাহারা একযোগে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হইতে থাকে এবং পুলিশ পুরাতন হাইকোর্টের কার্জন হল সংযোগস্থলে তাহাদিগকে থামাইয়া দেয়। অতঃপর উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তিরা কর্তব্যরত পুলিশের প্রতি ব্যাপকভাবে ইট নিক্ষেপ করিতে শুরু করে এবং পুলিশ কর্ডন ভাঙ্গার চেষ্টা করে।
সংখ্যাগত কারণে কোণঠাসা হইয়া শুধুমাত্র লাঠি ও বেতের ঢাল সজ্জিত পুলিশ বিপদগ্রস্ত হয় এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করিবার জন্য হোসপাইপের সাহায্যে পানি নিক্ষেপ করে। উহা ব্যর্থ হইলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করিয়া ছত্রভঙ্গ করিয়া দেয়।
এই নিউজ পড়ে ও দেখে যে বড় হয়েছে, মিডিয়া সম্বন্ধে তার উচ্চধারণা থাকবে না। আমি ও আমার সমসাময়িক অনেকের মনেই মিডিয়ার ব্যাপারে চিরস্থায়ী অবিশ্বাস জন্মে গেছে।
স্বৈরাচারের শাসনকালেই আমি স্কুল থেকে কলেজে ভর্তি হই। আমাদের স্কুলের প্রায় সব ছাত্রই রাস্তার ওপারের ঢাকা কলেজে পড়ার স্বপ্ন দেখে, আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমাদের স্কুলের বিরাট একটা দল ঢাকা কলেজে ঢুকে। ঢাকা কলেজ রাজনৈতিকভাবে খুবই সচেতন একটা জায়গা। ছাত্রলীগের একনেতা আমাদের স্কুল সূত্রে বড় ভাই। উনি আমাদের প্রায় সবাইকে ঢুকিয়ে দিলেন ছাত্রলীগে। প্রথম দুই মাস সকালে একটা-দুইটা মিছিল – এইটুকুতেই আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ও শেষ। আমার ভূমিকা ছিল দর্শকের, আর মন দিয়ে পত্রিকার খবর পড়া।
সে সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটো দলই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করে যাচ্ছে। দু'জনে একসঙ্গে ঠেলা দিলে স্বৈরাচারকে সদর দরজা দেখানো যাবে - এই বিশ্বাসটা প্রবল ছিল। আমিও তখন এবং এখনো বিশ্বাস করি সেটা। ১৯৮৬ সালের প্রহসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নাম লিখিয়ে স্বৈরাচারকে আরও দীর্ঘায়িত করল, এর পরপর আমাদের কলেজে ছাত্রলীগ আর ছাত্রদল প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে। দু'দিন আগেও ছাত্রলীগের মিছিল থেকে আন্দোলনের হুঙ্কার শোনা যেত, আর এখন সেখানে নির্বাচনমুখি কথাবার্তা। ওদিকে ছাত্রদল বলছে - নির্বাচনে যাওয়া জাতীয় বেঈমানী। ওদের নেত্রী স্বৈরাচার প্রশ্নে আপোষহীন। লীগের ছাত্রনেতারা বলছেন...আওয়ামী লীগ ইয়াহিয়ার আমলেও নির্বাচন করেছে, সুতরাং...জানিনা এই বুদ্ধি কে দিয়েছিল জননেত্রীকে, কিন্তু এই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে এবং পুরো জাতিকে।
স্বৈরাচারবিরোধী সবচেয়ে বড় আন্দোলনটা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। দুই বড় দলের যুগপৎ আন্দোলনের এক পর্যায়ে শহীদ হন নূর হোসেন। কয়েক সপ্তাহ আগে রিটন ভাইয়ের এই লেখাটা পড়ে সেসব কথা মনে পড়ছিল। সেবারও স্বৈরাচার পতনের একদম কাছে গিয়েও আমরা শেষ হাসি হাসতে পারিনি।
সেই হাসি হাসতে আরো তিন বছর লেগেছে। আমি এরই মধ্যে কলেজ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। ততদিনে অবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে, আন্দোলন করলেই স্বৈরাচার হটে যাবে এই বিশ্বাসও কেমন যেন টলে গেছে। ১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু হলো। কিন্তু এবার সেটা বেগবান হতেই থাকলো, নভেম্বর নাগাদ আমরা আবারো আশার আলো দেখতে পেলাম।
আমি তখন বুয়েটের প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি। ফিরে দেখলে মনে হয় এই সময়টা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। আমি সক্রিয় রাজনীতি থেকে বহুদূরে কিন্তু অসচেতন নই। স্বৈরাচার এবার ভাড়া করেছে অভি আর নীরুর মত বৃহৎ মাপের ছাত্রনেতা। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য আর সাধারাণ ছাত্রদের মুখে তারা ক্যাম্পাস থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যেন আমি ইতিহাসই দেখতাম সেই সময়ে।
এর মধ্যেই এসে গেল ২৭ এ নভেম্বর। সেদিন সকালে একটা পরীক্ষা ছিল। আমি আর আমার বড়ভাই সকালে ফার্মগেট থেকে বুয়েটের সবেধন নীলমনি বাসটা ধরলাম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার অনেকগুলো পথই বন্ধ। বাস বেশ ঘুর পথেই ক্যাম্পাসে ঢুকল। সকাল আটটার পরীক্ষাটাও হলো। এরপরই ক্লাস বর্জন। সকাল ১০ নাগাদ আমাদের ক্যাম্পাস থেকে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মিছিলটা বেরিয়ে গেল। এর পরপরই গুলির শব্দ শুরু হলো। চারধার প্রকম্পিত করার মত শব্দ। গুজব শুনলাম আমাদের বুয়েটের মিছিলটা আক্রান্ত হয়েছে - স্বৈরাচারের অস্ত্র তখন অভি আর নীরুর গুন্ডাবাহিনী। জানা গেল রাজু নামে এক বুয়েট ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। রাজুভাইকে আমি মুখে চিনতাম।
একটু পরেই গোটা শহর কুরুক্ষেত্রে পরিণত হলো। বুয়েট থেকে প্রায় পুরোটা পথই হেঁটে আর দৌড়ে বাসায় ফিরতে হলো। আর একটু পরেই শুরু হলো অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ। এর ভেতরই বিচ্ছিন্ন গুলির শব্দ, আমি ১৯৭১ দেখিনি কিন্তু ১৯৯০ তে দেখলাম মানুষের সেই একই ঐক্য। বিকেলে এক ডাক্তার বড়বোন জানালেন অভি-নিরু গ্রুপের গুলিতে ডাঃ মিলন নামে একজন ডাক্তারের শহীদ হওয়ার কথা। ডাঃ মিলনকে আমরা কেউ চিনতাম না, কিন্তু মুহূর্তেই যেন উনি সাধারণ থেকে অসাধারণত্বে উন্নীত হলেন। এই মিথ্যে বলার কাপুরুষ দেশ যেন অপেক্ষা করছিল যেন এক সাহসী পুরুষের, যে নিজেকে বিলিয়ে সবার জন্য আগুন নিয়ে আসবে। এরপরের ঘটনা সবারই জানা।
স্বৈরাচার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সপ্তাহব্যপি বিজয় উৎসব চলে। আমরা প্রতিদিন সকালে যেতাম সেই অনুষ্ঠানে, সারাদিন থাকতাম, কনসার্ট দেখে, হৈচৈ করে আর রঙ মেখে সন্ধ্যায় ফিরতাম। বোকার মত ভেবেছিলাম যে দেশের যাবতীয় সমস্যার সমাধান এবার হয়ে যাবে, যেই বাংলাদেশ আমরা সবাই স্বপ্নে দেখি সেই বাংলাদেশ এবার ধরা দেবে।
স্মৃতির শহর আমার শৈশবের গল্প। শৈশবের শেষ কোথায় এটা বলা মুশকিল কিন্তু আমি জানি যে শৈশবটা স্বপ্ন দেখার সময় আর সেই স্বপ্নের পরাজয়টা বড়বেলার গল্প। শৈশবের তুলনায় তাই বড়বেলার গল্পগুলোই বড়ই ধূসর। আমিও এরপর স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়েই আমি বড় হয়ে গেলাম। সেই গল্পগুলোও অন্য একসময়ে করব।
এটাই স্মৃতির শহরের শেষ পর্ব। দীর্ঘদিন আমার সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের প্রতিটা মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া আমি মন দিয়ে পড়ি এবং শিরোধার্য মনে করি। আমাকে যেসব জিনিস স্পর্শ করেছে ব্যাপকভাবে, আমার পরিবার, আমার পিতামাতা, শৈশবে বন্ধুরা, আমার বইপড়া, অতিপ্রিয় কবি, ইশকুল, ঘুম ঘুম তেজগাঁ ...সবাইকে নিয়েই আমি পর্ব লিখেছি একটি করে। আরো কিছু বিষয়ে লিখতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু কিছু গল্প অপ্রকাশিত থাকাই হয়ত ভালো। সিরিজ শেষ হয়ে গেলেও আমার লেখনিতে শৈশব উঁকিঝুকি মারবে সুনিশ্চিত।
জীবন নিয়ে যদি আমার অভিমত জানতে চাওয়া হয়, তবে আমি বলব জীবন অত্যন্ত বিস্ময়কর এক যাত্রা, যতই এর ভেতর দিয়ে যাচ্ছি সেই বিস্ময় যেন শুধু রঙ পাল্টাচ্ছে এবং আরো নতুন রূপে আসছে আমার কাছে। তবুও এই মাঝবয়েসের কাছে এসেও যেন বালকবেলার বিস্ময় রয়ে গেছে অমলিন অথবা হয়ত এখনো আমি শৈশবকে অতিক্রম করতে পারিনি। এতদিনেও যদি না পারি, তবে বাকি জীবনে যে এর থেকে মুক্তি নেই সেটাও সুনিশ্চিত। তবে শৈশব কৈশোরের স্মৃতি আছে বলেই জীবনযাপন বাস্তবতার কষাঘাত থেকে একটা সুরক্ষা পায়।
স্মৃতির শহর হুট করে লিখতে বসলেও এই গল্পগুলো আমার মাথার ভেতরে ছিল অনেকদিন। সচল আর অভ্রের কল্যাণে সেই গল্পগুলো আপনাদের শোনাতে পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। সবার কপালে এই সৌভাগ্য জোটে না। এই সিরিজ পড়ে কেউ কেউ স্মৃতি ভারাক্রান্ত হয়ে নিজের শৈশব নিয়ে লিখেছেন - এটা আমার পরম পাওয়া। একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের সবচেয়ে বেশি মিল মনে হয় থাকে শৈশবেই, এর পর পথগুলো সব নানান দিকে যেতে থাকে। তাই হয়ত শৈশবই আমাদের সম্মিলিত ঐক্যের স্থান। কাউকে শৈশব অভিমুখে যাত্রা করতে দেখলে আমরাও হয়ত আনমনে হৃদয় খুঁড়ে তুলে আনি এক টুকরো স্মৃতির শহর। আমরা শৈশব ছেড়ে গেলেও শৈশব আমাদের ছাড়ে না !!!
বেঁচে থাকুক -- আমাদের সবার স্মৃতির শহর।
শহরের টহলদার ঝাঁক ঝাঁক বন্দুকের সীসা
নূর হোসেনের বুক নয় বাংলাদেশের হৃদয়
ফুটো করে দেয়ে; বাংলাদেশ
বনপোড়া হরিণীর মতো আর্তনাদ করে, তার
বুক থেকে অবিরল রক্ত ঝরতে থাকে, ঝরতে থাকে।
(বুক তার বাংলাদেশের হৃদয় / শামসুর রাহমান)
মন্তব্য
আসোলেই
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শেষ করে দিলেন ?
আমি ফাঁকিবাজ পাঠক, সিরিজ ফলো করতে পারি না প্রায়ই। আপনার এই সিরিজটা এমনভাবে টানতো যে সময় করে সব কটাই প্রায় পড়েছি।
খুব পছন্দের কোন টিভি সিরিয়াল শেষ হয়ে গেলে এই বয়সে এসেও আমার মন খারাপ হয়, আপনার এই লেখাটা পড়ে সেরকম অনুভূতিই হলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
দীর্ঘদিন মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ সবজান্তা। সব কিছুই শেষ হতে হয়...তবে শৈশবের স্মৃতিচারণ শেষ হবে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রাজু ভাই '৮৫ ব্যাচের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র ছিলেন, জাতিয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯০-এর ২৭শে নভেম্বরে বুয়েট ছাত্রদের করা লাঠি মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে রাজু ভাইয়ের ডান হাতে গুলি লাগে। এতে তাঁর ডান হাতখানা প্রায় অকেজো হয়ে যায়, লেখাপড়ায় যতি পড়ে দীর্ঘসময়ের জন্য, বার বার চিকিৎসা করাতে হয় দেশে ও দেশের বাইরে। অবশেষে ১৯৯৬ সালে তিনি স্নাতক হন। আমি তাঁকে সর্বশেষ দেখেছি ২০০০ সালে। তখন তিনি গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করতেন। ঐ বিষয়ে সুইজারল্যান্ড থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। কামনা করি রাজু ভাই ভালো থাকবেন। তবে তাঁর জীবন তছনছ করে দেয়া পতিত সামরিক স্বৈরাচার এখন ক্ষমতার কেন্দ্রের কাছাকাছি অবস্থান করে; সামরিক শাসন বিরোধী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে দম্ভোক্তি করে। এসব দেখে রাজু ভাই কি ভালো থাকতে পারবেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রাজুভাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন এটা জেনে দারুণ ভালো লাগলো। আশাকরি ওনার বাকি জীবন মসৃণ হবে। স্বৈরাচারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আস্ফালন দেখে আমারই উন্মত্ত ক্রোধ হয়, যাঁরা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের সেই প্রবল কষ্টটা বুঝতে পারি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'স্মৃতির শহরে'র অনাহূত শেষ পর্বে এসে অন্যরকম একচোখে স্মৃতির শহরকে দেখলাম।
চাইবো, আপনার লেখনীতে আরো বহুবার ফিরে ফিরে আসুক শৈশবের স্মৃতি।
_________________________________________
সেরিওজা
প্রথম থেকে সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ সুহান। লেখনীতে শৈশব ফিরবে নিশ্চিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শেষ হয়ে গেল!!! আর শেষ করলেন ওই বাটপারকে নিয়ে। আমি তখন ছোট ছিলাম। মনে আছে তার আমলের শেষের দিকে যখনই রাত আটটার খবর শুরু হত আব্বু টিভি বন্ধ করে দিত। বলত এই বাটপারের মিথ্যা শোনার কোনো দরকার নাই। প্রতিদিনই আব্বু এটা করত। দুঃখজনক হল, কোটি কোটি মানুষকে কষ্ট দিয়ে এই হারামজাদাটা খুব আরামেই তার জীবন কাটালো।
যাই হোক দারুন ছিল আপনার এই সিরিজিটা। কখনো শৈশব নিয়ে নস্টালজিক হলে আবার ঢু মারব আপনার এই সিরিজটাতে।
অনন্ত
বাটপার দেখে দেখে বড় হলে আর কী করব
অনেক ধন্যবাদ অনন্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা! কয়েকটা লাইন বাদ রাখতেন। দীর্ঘদিন এই বিষয়ে না লিখতেন। তাও জানতাম যে এটা শেষ হয়নি। এখন শেষ করে দিলেন, মনে হল বিদায় নিয়ে চলে গেলেন!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত।
চলে যাই নি তো...এইখানেই আছি, শৈশবও আছে...এটা না থাকলে আমি সর্বহারা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলন শুধু মনে আছে বেহায়া যেদিন পদত্যাগ করে, সবাই ব্যাপক আনন্দে, আমি বুঝিনি কিছুই। তাই এরশাদ মিয়ার 'স্বৈরাচারী' বলতে শুধু বুঝি 'লুই মিয়ার নাটকীয় বাণীসমুহ'। তবে আমাদের নেতৃত্ব পর্যায়ে “সামরি” আইনের অবদান অপরিসীম!
সুপার লাইক! আমি এই উপায় অবলম্বনে এখনও শৈশবেই থাকতে চাই!
'স্মৃতির শহর' শেষ হয়ে যাচ্ছে, প্রথম দিন শুনে দুখিঃত হয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে থাকুক না এভাবেই, বেঁচে থাকুক আমার শৈশব প্রিয় ম্যাক্গাইভারের মতো।
তাসনীম ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দিগন্ত বাহার...বেঁচে থাকুক সবার স্মৃতির শহর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সম্ভবত ক্লাস নাইনে উঠে গেছি, যখন তিনি ক্ষমতা দখল করলেন এবং ক্ষমতা ছাড়া পর্যন্ত কিছু সময় তিনি আমাদের পেদিয়েছেন আর কিছু সময় আমরা ওনাকে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিকজোট, ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ দুটোতেই সমান অংশ গ্রহন ছিল আমার। বিজয় উৎসবটা মনে হয় একটু বেশী ঘটা করেই হয়েছিল।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সব চেয়ে বেশী লাভবান হয়েছে জামাত শিবির।
আন্দোলনের ঠিক শেষ দিনে শহীদ হলেন ডাঃ মিলন। এই পথে একই দিনে হয়তো কয়েক মিনিট আগেই আমিও হেঁটে গেছি।
এমন একটা জানোয়ার পরাজিত করেও আমরাই যেনো হেরে গেলাম! এতো রক্ত, এতো প্রাণ বৃথা গেলো! আমাদের দেশ আমাদের জাতি এখনো সামরিক ঘরানা থেকে বের হতে পারলো না!
এরশাদকে একটা বিষয়ে ধন্যবাদ দিতে হয়; তিনি আমাদের ঈমান পরিক্ষা করে দেখিয়েছেন।
এমন কোন ক্ষেত্র নেই, যেখানে তিনি টোপ ফেলে ব্যর্থ হয়েছেন। কম্যুনিষ্ট থেকে শুরু করে নায়ক, গায়ক শিল্পী এম কী কবি পর্যন্ত এরশাদের জন্য পাছার কাপড় তুলেছে!
আমরা বোকারা শুধু বলেছি; সামরিক বাহিনী ব্যরাকে যাও।
তখন সময় এবং সাধ্য ছিল। রাজ পথে গিয়েছি। অনেক সময় মনে হয়; বৃথাই এ ধান্ধাবাজি। মানুষ সহজে পাল্টায় না। স্বাধীনতার পরে এতো বড়ো গনআন্দোলন মনে হয় এরশাদ খেদানো। তার পরেও কিছুই বদলায়নি।
আফসোস করে লাভ নেই; রাজকাররা এদেশে গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে রাস্ট্রনায়ক হয়েছে। এরশাদ জামাইবাবু না হয় রইলই।
কিন্তু আমাদের চিন্তায় চেতনায় কোন পরিবর্তন হল না। গনতন্ত্রতো আকাশ থেকে পড়ে না। হয়তো তার জন্য আমাদের আরো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে।
বয়সে আমরা হয়তো কাছাছি। স্মৃতির শহরে আপনার সাথে বেরাতে গিয়েছি। হয়তো সময়ের টানা-পোড়ণে সব সময় মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু সাথেই তো ছিলাম। গোটা একটা শহর মাথায় করে ঘুড়ে বেড়ানো কঠিন বৈ কী। কিন্তু আমরা তা করি। সে শহর এখন কোথাও নেই। এম কী ঢাকায়ও না। ঢাকায় গেলে মনে হয় নতুন কোন শহরে এসেছি। স্মৃতির শহর বড় রোমান্টিক। আপনি সেই রোমান্স ফুল তোলা রুমালের মতো আমাদের জন্য লিখে রাখলেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নির্মম সত্য...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জানতাম এদিনটা আসবে, সব ভালো জিনিসের লয় অবশ্যাম্ভাবী, একদিন না একদিন ফুরিয়ে যায়-ই, মনে মনে হয়তো এর জন্য খানিকটা প্রস্তুত ছিলাম তাও স্বীকার করতে কসুর করবনা, তবুও স্মৃতির শহরের শেষটা আপ্লুত করল...ভীষণভাবে।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগলো । আমার দেশের কথা মনে পড়লেই আপনার এই সিরিজের লেখাগুলো বারবার করে পড়তাম। কতবার যে মন ভাল হয়ে গেছে এটা আমি নিজেও বলতে পারবনা। স্মৃতির শহর শেষ হয়ে যাক কিন্তু আপনার লেখা চলুক , আমি তাতেই খুশি।
ধন্যবাদ পড়াচোর, লেখা চলবে অবশ্যই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ!
অনেক ধন্যবাদ একদম প্রথম পর্ব থেকে উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার জন্য
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা এই গোত্রের হলে উৎসাহ আপনাআপনি আসে।
পরের সিরিজ কবে শুরু হচ্ছে যেন?
দারুন একটা সিরিজ তাসনিম ভাই।
স্মৃতির শহরের অলিতে গলিতে আমরাও যে আপনার সাথে ঘুরে বেড়াতাম- তা আর হবেনা ভেবে একটু খারাপ লাগছে।
ধন্যবাদ বাউলিয়ানা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'৮৬ তে এইচ এস সি পরীক্ষা দিয়ে শ্বাস ফেলতে না ফেলতেই মা পাঠালেন আপনার স্মৃতির শহরে। মফস্বলের ছেলে এসে উঠলাম আহসানউল্লাহ হলের ১৫ নং রুমে, সেসময় মেকানিক্যালের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত দূরসম্পর্কের মামা জুলফিকার আলী জুয়েলের কাছে। কোচিং করতে হবে ফ্রেন্ডস কোচিং সেন্টারে, বুয়েটে চান্স পেয়ে পূরণ করতে হবে মায়ের স্বপ্নসাধ! পাশের দুই রুম পরে ইলেক্টিক্যালের হাসানুজ্জামান মুকুল ভাই, একই স্কুলের। প্রতিশ্রুতির কি বিশাল ভার! মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে, মামার মান রাখতে হবে, মুকুল ভাইয়ের কাছে কিছুতেই ছোট হতে পারবো না! কিন্তু মন যে আমার চলে যায় টিএসসির মোড়ে 'জাতীয় কবিতা উৎসবের' চৌহদ্দিতে। সেখানে আমার স্বপ্নপুরুষ শামসুর রাহমান, সেখানে আমার পরানের গহীন ভেতরে হৃদকলমের টান দেন সৈয়দ শামসুল হক। লজ্জিত ভীরুবুকে নিভৃত কবিতার খাতায় আমি তুলি শৃংখল মুক্তির শ্লোগান। কোচিং সেরে ফেরার পথে নীলক্ষেতের ফুটপাতে চোখ ঘোরাফিরা করে- রবার্ট ফ্রষ্ট, বোদলেয়ার, রিলকে, লংফেলোর অনুবাদ খুঁজে। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়বার স্বপ্ন বিসর্জন দেবার কষ্ট আপনার শহরের কলাভবনের দোরগোড়ায় এখনও ক্ষুদিত পাষাণের মেহের আলীর মাতমের ধরণে এখনও ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়, কান পাতুন স্পষ্ট শুনতে পাবেন।
সেই শহরের, সেই উম্মাতাল দিনের কথা, আপনার নির্ভুল বর্ণনায় পুনরায় চিনচিনে ব্যথা জাগানিয়া গান হয়ে বাজে স্মৃতি সংকুল আমার পুরনো ক্ষতে!
ভীষণ নিষ্ঠুর আপনি, আলাভোলা পদ্যকারকে কাঁদান!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই...আপনি আর আমি সমসাময়িক, একই সময়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের ছাত্র ছিলাম...উই সিওর হ্যাভ ক্রসড ইচ আদার, আমরা সেই সময়টাকে তাই একই চোখে দেখি...একই ব্যাকুলতা নিয়ে স্মৃতি হাতড়াই। আপনার মন্তব্য পড়ে এবার আমার দাবী, আপনিও স্মৃতিচারণমূলক একটা লেখা লিখুন, আমাদের সময়টা বেঁচে থাকুক আমাদের লেখনিতে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রোমেল ভাই, আপনি কোন ব্যাচ? কোন হল?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রোমেল ভাই ইইই, ৮৬ ব্যাচ। উনার একটা ব্লগে ছবি দেখে চেনা চেনা লাগছিল। ৮৬ আর ৮৭ ব্যাচ এক সাথে ক্লাস শুরু করেছে, সুতরাং উনাকে এফেক্টিভলি আমরা তিন বছর পেয়েছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমন অসামান্য সিরিজ আমার আর পড়া হয়নি। মাঝে মাঝে ব্যস্ততায় কিছু কিছু পর্ব বাদ গেছে। কিন্তু এই সামনের বছর ঝাড়া হাত-পা হয়ে বসব আপনার সিরিজ নিয়ে---যেগুলো বাদ পড়েছে আর যেগুলো পড়ে নি---সব একসাথে নিয়ে।
আপনাকে কখনোই যে কথাটা বলা হয় নি---- সেটা হল, আমি আপনার গদ্যের ভীষন ভক্ত। এমন নির্ভার নির্মেদ গদ্য আর এমন সহজিয়া প্রকাশ ভঙ্গী সহজে দেখা যায় না।
আপনি আরো লিখতে থাকুন--নিজেই নিজেকে অতিক্রম করে যান--এই কামনা রইল। স্মৃতির শহরের পাট চুকল, কিন্তু আমি নিশ্চিত আবার আপনার দেখা পাব অন্য কোন শহরে, অন্য কোন এক সময়ে---
অনেক অনেক ভাল থাকুন!!
অনেক ধন্যবাদ অনিকেত। আপনাদের ভালোবাসার ভরসায় এই সিরিজটাকে ই-বুক করতে সাহস পাচ্ছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দিলেন তো শেষ করে ................ একটু না হয় বিরতি দিয়ে দিয়ে চালিয়ে যেতেন!
তখন স্কুলের ছাত্র। হঠাৎ দপ্তরী প্রত্যেক ক্লাসে গিয়ে বললেন তোমরা এক্ষুনি বাড়ি চলে যাও। পথে কোথাও দাঁড়াবা না। দেশে মাশাল্লা আইছে। আমরা এই মাশাল্লার অর্থ উদ্ধারে কিছু সময় ব্যায় করলেও বাড়ি যেতে দেরী করলাম না।
তারপরের কথা আর কি বলি। সীমাহীন দুঃসময় গেলো আমাদের যা চিন্তা করলে এখনও গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। আপনার লেখা সেইসব দিনগুলোকে চোখের সামনে তুলে আনলো।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়।
দপ্তরি ভাই ঠিকই বলেছেন...মাশাল্লা বড় ভয়ঙ্কর জিনিসরে ভাই, এতে ভালো কিছুই নেই, আইয়ূব, জিয়া, এরশাদ, ১/১১ সব রসুনেরই গোড়া এক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই পর্বটা কমন পড়লো। কয়েক বছরের ছোট চোখ নিয়ে এগুলো দেখেছিলাম আমিও। দারুণ লাগলো।
বিজয় উৎসবটা পর পর কয়েকবছর দারুণ হয়েছিলো। কী যে আনন্দ হতো। এই উৎসবটা আমরা সেভাবে ধরে রাখতে পারলাম না! আফসোস।
সিরিজটা শেষ হয়ে গেলো। কী আর বলবো... অসাধারণ একটা সিরিজ ছিলো। আপনার গদ্য অনেক দারুণ।
এবার তরুণবেলা সিরিজ চালু করে দেন। আপনার তারুণ্যের শহর ঢাকাকে দেখি।
১৪ ফেব্রুয়ারির ইত্তেফাক নেটে কোথায় পেলেন? গুগলে সার্চ দিয়ে বের করতে পারলাম না। লিঙ্কটা দিতে পারবেন? এটাকে সূত্র ধরে আমি তাহলে কয়েকটা তথ্য খুঁজতে চেষ্টা করতাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই। বিজয় উৎসব এখন থাকলে সেটা গ্রামীণ ফোনের স্পন্সরশিপে হয়ত হতো...না থেকে মনে হয় ভালোই হয়েছে
বুয়েট জীবন নিয়ে লিখব, প্ল্যান আছে...
খুঁজে পেতে ১৪ই ফেব্রুয়ারির লিঙ্ক পেয়েছিলাম আমার দেশ পত্রিকাতে, এইখানে দেখেন...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমনিতে আপনার এই সিরিজের প্রত্যেকটা লেখা কয়েকবার করে পড়া হয়, মন্তব্যগুলোও পড়ি। এবার পড়েছি কয়েকবার কিন্তু মন্তব্য করিনি ইচ্ছা করেই। সিরিজটা বেশ পছন্দের আমার, এটা শেষ হওয়াতে কষ্ট পেলাম যদিও আগে থেকেই জানা ছিল। কিন্তু কষ্টটা ঠিকই পেলাম।
আমি লেজেহোমোর শাসনামলে অনেক ছোট ছিলাম, কিছুই বুঝতাম না রাজনীতি, দেশের হালচাল তাই আমি বলতে পারবো না সেসময়কার অবস্থা কিন্তু আপনার লেখা পড়ে আমার আগের ধারণাটি আরো পাকাপোক্ত করলো। কিন্তু আফসোস, এখন সেই স্বৈরাচার আবারো ক্ষমতায়, মাঝে মাঝেই সে দম্ভোক্তি করে যে তার আমলে নাকি দেশের অবস্থা ভালো ছিল। এগুলো শুনলে খুব কষ্ট হয়। আওয়ামী লীগ কী পারতো না, এই স্বৈরাচারকে বাদ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে? আমার ধারণা, অবশ্যই পারতো কিন্তু কেন যে এই স্বৈরাচারের সাথে জোত বাঁধতে গেল, সেটাই ট্রাজেডি আমাদের।
ভাল থাকবেন। আর আশা করবো আপনার অন্য কোন লেখায় আমাদের প্রিয় স্মৃতির শহর আবার ফিরে আসবে।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ পাগল মন।
অবশ্যই পারতো, বিএনপিও পারে রাজাকার বর্জন করতে...ইন দ্য লং রান এটা দুই দলকেই কলুষতামুক্ত করবে...কিন্তু আদর্শ নিয়ে ভাবলে আর রাজনীতি হয় না...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ।
আমরা এসব শুধু ভাসা ভাসা শুনেছি, ওই সময়ের গল্প গুলো বেশি করে লেখায় উঠে আসলে এখনকার অনেকের কাছে হয়তো অনেক পুরোনো পাপীর স্বরূপ আরো পরিস্কার হয়ে উঠতো।
স্মৃতির শহরের গল্পগুলো সবসময়ের প্রিয় গল্পের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
অনেক ধন্যবাদ সুরঞ্জনা।
স্বৈরাচারের শাসনামল নিয়ে বেশি লেখা দেখি নি, নতুন প্রজন্মের জানা দরকার সেই সময়ের কথা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসামান্য একটা সিরিজ... শেষ পর্ব পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো অনেকখানি!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথী প্রথম থেকে আমার সাথে থাকার জন্য এবং এই সিরিজের বানান শুদ্ধির জন্য
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনারে কইষা মাইনাচ! লগে কয়েক বালতি ১ ভোট, একটু আরাম করে স্মৃতির শহরে ঘুরবো, তাও সইলো না আপনার!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাইফ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিনা দ্বিধায় মাইনাস।
এরকম একটা সিরিজ শেষ করা কি ঠিক, বলেন?
যদ্দিন না নতুন কোন সিরিজ নিয়া আসতেসেন (তা হতে পারে বুয়েট লাইফ কিংবা আপনার প্রবাস জীবন নিয়ে), তদ্দিন আপনার সাথে কোন কথা নাই।
---আশফাক আহমেদ
ডরাইসি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুবই মুন্সীয়ানার সাথে শেষ করলেন। তবে সিরিজ শেষের জন্য 'অশ্রুজল' 'দুঃখশোক' তো অনেকেই বলেছে, তাই আমি বরং অন্য কথা বলি, শ্যাষ হইসে আপদ গ্যাসে! আপনার উল্লেখিত আপদ অবশ্য শেষ হয়েও হয় নি।
ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, অনেক দুঃসহ দিনে আপনার লেখনী জাগিয়েছে পথ চলার নতুন সাহস। আপনার লেখাগুলো অনুসরণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। এটাই সচলে আমার প্রথম মন্তব্য। আশা করি আমাদের উন্মুখ চেহারার দিকে তাকিয়ে হলেও আপনি আপনার লেখনী চালু রাখবেন।
ভাল থাকবেন।
রোবোকপ।
ধন্যবাদ আরিফ।
আপনাদের সবর আর নীরব ভালোবাসা আমাকেও উৎসাহ আর সাহস দেয় নিয়ত। লেখনী অব্যাহত থাকবে, সাথেই থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেজেহোমো'র আমল আমার প্রকৃত শৈশব। ১৯৮২ তে ক্লাস ওয়ান আর ১৯৯০ তে ক্লাস নাইন। পুরো সময়টাই একরকম ফটোগ্রাফিক মেমরি হয়ে আছে। অনেকের মতো আমিও বাংলাদেশের আর আমার ঢাকা শহরের এই মেটামরফোসিসের সাক্ষী।
আপনার পোস্টটা কলার ধরে টেনে নিয়ে গেলো আশি'র দশকে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ সুমন।
লেজেহোমোকে বাদ দিয়ে স্মৃতির শহর লেখা অনুচিত হতো। আশির দশকের ঢাকা নানান দিক দিয়েই মোহনীয় ও স্মৃতিময়, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এই সময়ের একটা বিরাট মাইল ফলক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা ভাল লাগলো কারণ,ইতিহাস কিছুটা জানতে পেরেছি।আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় শুধু স্বাধীনতা পূর্ব ইতিহাসই শেখানো হয়।কিন্তু পরবর্তীকালের ইতিহাসও জানা জরুরী।কারণ ইতিহাস থেকেই শিক্ষা নিতে হয়।আর স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসের গুরুত্ব অনেক।ভাল লাগলো...
অনেক ধন্যবাদ এই সিরিজটার জন্য। আমার জন্ম ১৯৮৬ তে, লেজেহোমোর কথা ভাসা ভাসা মনে পড়ে, কিন্তু এখন ভোটের সময় এদেশের রাজনীতিতে তিনি সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে পড়েন। সামনের নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হবেনা মনে হয়। বড় স্কেলে দূর্নীতির ট্রেন্ডটা এদেশে তিনিই চালু করেছেন। এই একটা কারণেই তাকে পরিত্যাগ করা উচিৎ।
নতুন মন্তব্য করুন