আমি বেশ অলস মানুষ, এই বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আমার বন্ধুদের ধারণা জমিদারপ্রথা চালু থাকলে আমি ক্রেডিট কার্ড ঘষে টষে একটা জমিদারি কিনতাম। বিনা পরিশ্রমে প্রজাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে নাচগান আর গরীব মানুষের জন্য অশ্রু বিসর্জন করে দিন কাটাতাম। আমার উত্তর পুরুষরা আমার আলস্য (জমিদারী) নিয়ে হয়ত রীতিমত গর্ব করত। কিন্তু কিছুই হয়নি, আমাকে সকালে অফিসে আসতে হয় বিরসবদনে...কিন্তু জীবনে একবার একটা ড্রিম জব প্রায় পেয়ে গিয়েছিলাম। এই গল্প সেটা নিয়েই।
আমি তখন নতুন এসেছি আমেরিকাতে। টেক্সাস টেকের রেডনেক ছাত্ররা আমাদের বলে "পিগস"। এর মানে হচ্ছে পুওর ইন্ডিয়ান গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ড, দারিদ্র আমাদের সাথে হাতধরাধরি করে চলে। আমাদের বই কেনার পয়সা নেই, অন্যের বই ধার করে ফটোকপি করতে হয়। হেঁটে হেঁটে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই, মাঝে মাঝে ছাত্রাবাস থেকে বেলুনভর্তি পানির গোলা ছুঁড়ে মারে বদমাশগুলো। ইন্টারন্যাশানাল স্টুন্ডেট এডভাইজার মাইকেল মার্ফির মতে এই ক্যাম্পাসের মত শান্তিময় জায়গা আর গোটা আমেরিকাতে নেই – ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ও একটা মিছিল হয় নি এখানে!!!
আমি এইসব জিনিস গায়ে মাখি না। দিনরাত আমি একটা কাজ খুঁজছি। ক্লাস শুরু হতে একটু বাকি আছে, প্রফেসররাও একটু কম ব্যস্ত। এই সময় ওনাদের মন নরম থাকে, হাড়ে রাগের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একটা কাজ জোটানোর এটাই সময়। আমি আপাতত দাঁড়িয়ে আছি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের হেড ডঃ জন ব্রেডেসনের রুমের সামনে। উনি ফোনে কথা বলছেন, হাতে একটু সময় আছে, আমি চারদিক দেখছি। উনার রুমটা আমাদের বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ডিপার্টমেন্টের হেড সিদ্দিক হোসেন স্যারের রুমের চেয়ে ছোটই হবে। রুমটা একদম বিশেষত্বহীন, স্যারের বাথরুম পেলে উনাকেও দৌড়ে যেতে হবে অনেকটা দূর। এবার আমার দিকে চোখ ফেরানো যাক। আমি শুধু বঙ্গসন্তান নই, আপাদমস্তক বঙ্গবাজার সুপার মার্কেট থেকে কেনা কাপড় পরে আছি। প্যান্টটা অল্টার করে একটু দৈর্ঘ্য কমাতে হয়েছে, যার ফলে ওটার অবস্থা হুমায়ূন আহমেদের ছোট গল্পের মত অর্থাৎ দেখলে মনে হবে হঠাৎই শেষ হয়ে গেছ। জামাটাতে হলুদ দাগগুলো ডিজাইনারের করা নয়, ওগুলো ডাল খাওয়ার সময় দুর্ঘটনা থেকে হয়েছে।
"ইয়েস, হাউ ক্যান আই হেল্প ইউ...?"
স্যারের ডাকে সম্বিত ফিরে পাই আমি।
"স্লামালাইকুম স্যার..." মাথা নেড়ে বলেই জিব কাটতে হলো। এগুলো হচ্ছে কালচারাল শক, উনি সিদ্দিক হোসেন নন, জন ব্রেডেসন, সালাম কী জিনিস তা জানেন না।
আমার অবাক করে ডঃ ব্রেডেসনও মাথা নাড়লেন। দূর থেকে উনি সালাম শুনেননি মনে হয়, ওটা হ্যালো ভেবে ওয়ালাইকুম হ্যালো দিয়েছেন।
আমি আমার উদ্দেশ্য উনাকে ব্যক্ত করলাম। একটা কাজ পেলে ভালো হয়। উনার কোনো রিসার্চ এসিসট্যান্ট দরকার হলে এই বান্দা জীবন দিয়ে সেই কাজ করবে এটাও জানালাম।
"তুমি সি প্লাস প্লাস জানো?"
এটার উত্তর এককথায় দেওয়া যায়। আমি সি++ জানি না। সেই সময় বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে ফোরট্র্যান ছাড়া আর কোনো কিছু শেখা যেত না। ফোরট্র্যান দিয়ে মনে হয় মিউজিয়ামে চাকরি খুঁজতে হবে। অনেকদিন আগে আমাদের বাসার কাজের ছেলে রফিকের রিক্রুটমেন্ট ইন্টারভিউতে আমি উপস্থিত ছিলাম। আম্মা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে সে রাঁধতে জানে কি না। রফিকের চেহার দেখে উত্তরটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল কিন্তু একটা মরিয়া ভাব নিয়ে সে জবাব দিয়েছিল – রান্না সে দ্রুতই শিখে ফেলবে। আমি ঠিক সেই রকম মরিয়া হয়ে জানালাম যে আমিও সি++ শিখে ফেলব।
"আমার তো দরকার ইমেডিয়েট আউটপুট...আচ্ছা তোমার কথা আমার মনে থাকবে..."
আমি এইবার অন্য একজনকে পাকড়াও করি। লর্ড ভানু বন্দ্যোপাধ্যয় বলেছেন যে চাকরির জন্য সৌরজগতের যে কোনো জায়গায় যাওয়া যেতে পারে। আমিও যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। সার্কিট ডিজাইন থেকে এম্বেডেড সিস্টেমস সব বিষয়েই আমার সমান জ্ঞান – অর্থাৎ কিছুই জানি না।
"ফাইবার অপ্টিকের ট্র্যান্সমিশন উইন্ডোর ব্যাপারটা জানো তো?"
এবার টেনিদার কথা মনে পড়ল। প্রাণীতোষিণী মহাপরিনির্বানের পাতা উল্টেয়িছো কোনোদিন? টেনিদার আঁতকে উঠে বলল...আজ্ঞে না...উল্টাতে চাইও না। বড় ভাইয়ের বিয়েতে ফাইবার অপ্টিকের একটা লতা উপহার দিয়েছিল কেউ, আমি ওটাকে বসবার ঘরের প্লাগে লাগিয়েছিলাম। বিজ্ঞানের এই অনবদ্য আবিষ্কার নিয়ে আমার কাজ ঠিক ওইটুকুই।
"তোমার রিসার্চ ইন্টারেস্ট কী?" অন্য একজন প্রশ্ন করেন।
প্রফেসর ঠিক যেই কাজ করেন আমার রিসার্চ ইন্টারেস্ট ঠিক তা-ই হয়ে যায়। কিন্তু আসল উত্তর হবে আমার কোনো রিসার্চ ইন্টারেস্ট নেই (মাধুরী দীক্ষিত ছাড়া), একটা কাজ দিলে আমি জুতা সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ সব কিছুই শিখতে রাজী আছি।
সবাই এরকম টুকটাক প্রশ্ন করেন। কেউ ইমেজ প্রসেসিং, কেউ পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, কেউ বা সেমিকন্ডাকটার নিয়ে। সব প্রশ্নের জবাবেই আমি দ্রুত শিখে ফেলার আশ্বাস দেই। আমার ভগ্নহৃদয় আর জ্ঞানের পরিমাণ দেখে একজন আমাকে জানালেন যে ইউনিভার্সিটি সেন্টারে একজন ঝাড়ুদার নিয়োগ হবে, আমি চাইলে সন্ধ্যায় সেখানে যেতে পারি। কাজটা সন্ধ্যা বেলাতেই। ইউনিভার্সিটি সেন্টার হচ্ছে আমাদের টিএসসির মত, সারাদিনই ছাত্রছাত্রীদের ভীড়ে গমগম করে জায়গাটা।
শ্রমের মর্যাদা হচ্ছে বেতনের পরিমাণে। বিশ ঘণ্টা ঘর ঝাড়ু দিলে চলে যাবে মোটামুটি- এই ভেবে হাজির হলাম সেখানে। ঝাড়ুদারদের সর্দারনী মেয়ে এটা জানা ছিল। এটা নতুন কিছু নয়। বুয়েটে পড়ার সময় সকালে পলাশীর মোড়ে সর্দারনী ঝাড়ুদার দেখেছি। যেটুকু দেখেছি সেখানে, তাতে মনে হয়েছে যে তাঁরা সাধারণতঃ দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সমান হন, একই সঙ্গে গলার আওয়াজ থাকে পিলে চমকানো। আমি সেই রকম কাউকেই দেখব ভেবেছিলাম। কিন্তু সব কালচারাল শকই খারাপ নয় বোধহয়...এই সর্দারনীকে দেখে চোখ ট্যারা হয়ে গেল। হিমুর কাছ থেকে বর্ণনা ধার নিয়ে বলতে হয় দেখতে বেশ "ইয়ে" মেয়েটা। ধরা যাক তার নাম জুলি। দিনের বেলা বিজনেস স্কুলে পড়ে আর সন্ধ্যায় ইউসির ঝাড়ুদারদের তদারকি করে। বয়স একুশ-বাইশ হতে পারে। দেশে থাকলে এই কাজ আর করতে হতো না তাকে, অনায়াসে জলিল ভাইয়ের নায়িকা হতে পারতো সে। ইউনিভার্সিটি সেন্টার বা ইউসির পাশেই সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, মাঝে বসার ছিমছাম কিছু জায়গা আছে।ইউসির পাশের সেই ছিমছাম জায়গায় আমাকে নিয়ে বসল সে। জুলি একটা সিগারেট ধরালো, আমাকেও দিল একটা। আমি প্রশ্নের অপেক্ষায় আছি। সব প্রশ্নেরই তো একই উত্তর।
ফস করে ধোঁয়া ছেড়ে বলল...
"আচ্ছা ছেলেদের বাথরুমের ইউরেনাল...যেখানে দাঁড়িয়ে তোমরা হিসু করো...সেটাতে প্রচুর চুল পড়ে থাকে দেখি...পুরুষ মানুষ মনে হয় প্রতিবার বাথরুমে গেলেই একটু করে চুল হারায়...এরকম চললে তো ওইখানে টাক পড়ার কথা...কিন্তু আমি একটাও ব্যাটা মানুষ দেখিনি যার ওইখানে টাক...ব্যাপারটা কী বলত?" (এখানে চুলটাকে হিন্দিতে অনুবাদ করলে আপনারা যথার্থ ভাবটা ধরতে পারবেন, এই ভাষাটা আসলেই অনেক গূঢ়)।
আমি হঠাৎই আমার ড্রিম জবটা দেখতে পেলাম। এই বুদ্ধিমতি মেয়েটার সাথে কাজ না করলে জীবনের বারো আনাই মাটি। লোকে বলে যে ব্লন্ডরা বেকুব হয় – এটা মনে হয় সত্যি না । সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তাও ঈশ্বর মাঝে মাঝে একসাথে দিয়ে দেন, যদিও উনি টায়ার্ড থাকলে এসব ঘটনা ঘটে।
"শোনো এই কাজ যেকোন গাধাও করতে পারবে - রাত দশটার মধ্যে কাজ শেষ...পার্টি ও গেটিং লেইড...এই কাজ করে সবই করা সম্ভব..." কাজের বেনেফিটগুলো তুলে ধরে সে।
আমি সাথে সাথেই রাজি। কথা হলো পরের সোমবার থেকে কাজ শুরু করব আমি। কিন্তু আমার ভাগ্য ওই চুলের মতই। সোমবারের আগেই জানলাম যে আমার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে আমাকে এক প্রফেসর বিশ ঘন্টা কাজ দিয়েছেন। ইমিগ্রেশনের নিয়ম অনুযায়ী আমি বিশ ঘন্টার বেশি কাজ করতে পারবো না, ড্রিম জব শুধু মরিচিকাই রয়ে যায়।
আমি এরপরে অনেক কাজই করেছি। এখনও করে যাচ্ছি। মোটাসোটা সব লোকজন আমার সহকর্মী, তাদের প্যান্টগুলো ভুড়ি পিছলে প্রায়ই বিপদজ্জনক স্থানে নেমে আসে। দুপুরে তারা হুপুস হাপুস চিজ পিৎসা আর ডায়েট কোক খায়। ওদের দোষ দেই কেন, আমার নিজের অবস্থাও তথৈবচ। সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতি সহকর্মী আর হলো না এই জন্মে...না হলো পাহাড়ের চূড়ায় থাকা।
সবই ভাগ্য বুঝলেন ভাই, সবই ভাগ্য।
মন্তব্য
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বর্ণনা অনেক দারুণ, পাঠককে টেনে নিয়ে যায়।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ কবি। আপনার লেখা মিস করি...এক শুভদিনে আবারো চালু করে দিন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্য করতেই অফিসে বসে লগালাম। চাকরি গেলে আপনার দোষ।
যাক, কথা হচ্ছে, আপনি তো হিমুর কাছাকাছি চলে যাচ্ছেন
সদয় মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আমি নিজেও অফিস থেকেই লগড ইন...ভাববেন না...সচল পড়ে কেউ চাকরি হারায়নি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্য করার জন্যে লগইন করতেই হল। খাসা হচ্ছে, চালিয়ে যান। এটাকে বই আকারে চাই।
আমার প্রাথমিক ব্লগ জীবনে লরা নামের এক আমেরিকান মেয়ের ব্লগ পড়তাম - কমেন্টের মাধ্যমে সখ্যতাও হয়েছিল। তার দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সিঙ্গেল ফ্যামিলি। একদিন লিখছে.. "হ্যা আমি একজন জ্যানিটর, লুকিয়ে লাভ নেই। কিন্তু আমার সন্তানদের জন্যে আমাকে খাটতে হয়। এতে হয়ত আমার পাঠক সংখ্যা কিছু কমবে কিন্তু আমার তাতে কিছু আসে যায়না।" এরপর তার সাথে সখ্যতা আরও দৃঢ় হয়।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ধন্যবাদ রেজওয়ান। এটা খুব অনিয়মিত একটা সিরিজ হবে।
মার্কিনিরা তাদের কাজ নিয়ে লজ্জিত নয়, অন্তত আমার তাই ধারণা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ লেখা ভাইয়া!
[অঃটঃ পিগস তাই না? মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে চাবকে পিঠের চামড়া লাল করে দেই। আমার গরীব দেশ বলে যার যা মনে চায় করে গেল বলে গেল। আর কয়দিন। শেষ সবেরই আছে।]
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ধন্যবাদ সুরঞ্জনা।
সব ক্যাম্পাস একরকম নয়, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই পরিবেশ ভালো। টেক্সাস টেকের পরিবেশও খারাপ বলবো না। তবে টেক হচ্ছে লাবোকে...ওয়েস্ট টেক্সাস, বেশ রক্ষণশীল জায়গা। স্থানীয় ছাত্রদের ঘাড় কিছুটা লাল ছিল। কিন্তু তাদের চেয়েও রেডনেক মনে হয়েছে প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে। কিছু শিক্ষক বিদেশীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিষেদ্বগার করতেন। পরবর্তীতে অনেক স্থানীয় লোকের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। সবাই রেডনেক নন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুমম .. এই টার্ম আমি আগে শুনি নাই... আমি নিজে আছি ওকলাহোমা স্টেটএ.... অবাক হলাম
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আপনার মত এত অসাধারণভাবে না লিখতে পারলেও আমি কিন্তু আপনার মতই জ্ঞানী বৈকি। যথোপযুক্ত প্রমাণ উপরের উদ্ধৃতিতে।
-অতীত
হা হা হা...মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দরীকে উত্তরটা কি দিয়েছিলেন, তা তো বল্লেন্না?
আর টেক্সাস টেকের এত ভালো অবস্থা, জান্তেম্না...
টেকের বেশি বদনাম করে ফেলেছি মনে হয়, পরে ভালো কিছু লিখতে হবে।
উত্তরটা জরুরী নয়, কিন্তু ওর প্রশ্নটা এখনো ভাবায়...
ধন্যবাদ কৌস্তুভ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ বর্ণনা তাসনীম ভাই। নতুন করে আর বলার কিছু নেই, আপনার সব লেখাই মুগ্ধ হয়ে পড়ি।
আমি কিন্তু আমার ড্রিম জবটাই করছি গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। এই জব ছেড়ে দিলে আর কোনওদিন কোনও জব করবো না। হয়তো বিজনেস করবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়। ড্রিমজব সবাই পায় না...ধরে রাখুন প্রাণপনে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত লেখা!
টেক্সাস টেকের রেডনেক ছাত্ররা আমাদের বলে "পিগস"
এমন কিন্তু কখনো শুনি নি আমি। হয়তো আপনাদের সময় দেশিদের মধ্যে এমন কানাঘুষা চালু ছিল।
মাইকেল মারফিকে আমিও পেয়েছিলাম। তার সাথে কাউন্সেলিং পড়লে ওইখানেই যেত সারাদিন মাটি!
ধন্যবাদ তানভীর।
কানঘুষা নয়, আমি নিজেও শুনেছি...ছাত্রাবাসের পাশ দিয়ে হাঁটার সময়। মাইক মার্ফিকে অভিহিত করেছিলাম ব্যাপারটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল লেখছেন মিয়া অনেক বেশি ভালো।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন লেখা!
ধন্যবাদ ভ্রম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা একদম মেফিস্টোফিলিস
ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যটাও পুঁদেচ্চেরি লাগলো
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাহ, পৃথিবীতে খালি আমি একাই 'জ্ঞানী' না, জেনে ভালো লাগছে
আরে নাহ...আমি আছি না
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেই খামসা খামসির পর অনেকদিনে এল...খুব্বি ভালো লেগেছে। চাকরি জীবন এখনও শুরু করিনি...এ লেখাটা স্মরণে থাকবে, সুন্দরী বুদ্ধিমতি পেলে আপনার মতো মিসটেক করতে চাই না আর...
- দিগন্ত বাহার
ধন্যবাদ দিগন্ত বুদ্ধিমান হউন ঠিক কাজটি করুন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গত সেমিস্টারে আমার প্রফেসর ওয়াদা দিয়েছিলেন আমার সাথে এক ট্রান্সফার স্টুডেন্ট, চৈনিক বালিকা কাজ করবে। কিন্তু কেউ কথা রাখেনি, তাই আমার আর.এ এর জবটা ড্রিমজব হতে গিয়েও হলোনা। লেখা ভালো লাগল।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল, আশাকরি মনোবাসনা পূর্ণ হবে অচিরেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চৈনিক বালিকা থাকলে ড্রিমটা কোন ধরণের ড্রিম হতো সন্দেহ আছে
একটি কর্মমুখর স্বপ্ন
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হেঃ হেঃ হেঃ
মাথায় থাকলো!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল লেগেছে।
(অটঃ বাথরুমে ‘চুল’ হারনোর রহস্যটা আসলেই ধরতে পারলাম না। নাকি এই ডায়লগের যথার্থ ভাবটা ধরতে পারলাম্না, ভাষাটা আসলে অনেক গূঢ়... ড্রিম-জব করতে ইচ্ছে হয়।)।
চুল হারানো রহস্য না বুঝলেও অসুবিধা নেই ভালো লাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুবই ভালো লেগেছে। এই সিরিজটা অনেক বড় হয়ে যাবার পরে মুজতবা আলী লেভেলের একটা বই হবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ধন্যবাদ স্পর্শ...মুজতবা আলীর কথা বলে লজ্জায় ফেললেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে মুজতবা আলীর ছোট গল্প আর দেশে-বিদেশে পড়ছি একটু একটু করে। উনার লেখা পুরানো হয় না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়াচোর
ধন্যবাদ পড়াচোর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও আপনার লেখাগুলো কখনো মন ভালো করে দেয়, কখনো কাঁদায়। আজ হাসলাম, প্রান খুলে হাসলাম।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো জাহিদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ক্লাসিক পর্যায়ের রস রচনা।
ধন্যবাদ আরিফ ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পোস্টে বিপ্লব।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ধন্যবাদ শামীম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইটাকে সাপ্তাহিক সিরিজ বানানোর দাবি জানায় গেলাম!
এই দাবি পুরো বিরোধী দলের দাবির মত...পূরণ করা অতি দুরূহ। তবে পাঠকদের ভালো লেগেছে এটার উৎসাহে চলবে টুকটাক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
জ্যোৎস্নাকিরণের মতো স্বচ্ছ, মনমুগ্ধকর বর্ণনা খুব ভালো লাগলো। একমনে পড়লাম, অন্য কোন কাজের কথা মনেই ছিলো না।
শুভকামনা।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই। আপনাকেও শুভকামনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সদ্যপ্রাপ্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করলাম!
শেষ পর্যন্ত কোন্ কাজের প্রফেসর ডাক দিয়েছিলেন?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদের সাথে তোমার ভোট গৃহীত হোলো।
আমি সেমিকন্ডাক্টর প্রসেসিং কাজ করেছিলাম। বেশ আন-ইন্টারেস্টিং কাজ কেউ করতে রাজী হয় না। তবে সেটাও শেষ পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছে, ওটার ফান্ডিং বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অন্তত যদ্দিন এই রঙ্গভরা বঙ্গদেশে আছি তদ্দিন এসব দিল্লীকা লাড্ডু বরাতে জোটবেনা, আপাতত পৌষের এই হাঁড়কাপানো এসব আষাঢ়ে গপ্পো বলেই মনে হবে...
এই সিরিজের জন্য মালমশলা যে কবে হবে, আইডিয়া এন্তার থাকলে সাপ্লাই টাপ্লাই দিয়েন একটু তাসনীম ভাই।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
চোখ আর কান খোলা রাখুন, বঙ্গদেশেও রঙ্গ কম হয় না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্লার পারলে পুরা লেখাটাই কোট কর্তাম। এইটা একটা ক্লাসিক পর্যায়ের রম্য হইসে, বহুদিন পরপর এখানে এসে হেসে যাবার ইচ্ছা রাখলাম।
আজ পর্যন্ত কোন ইয়ে মেয়ে'র সহকারী হতে পাল্লাম্না। জলিল ভাইই বনে যেতে হবে দেখছি।
হুম জলিল ভাইয়ের চাকরিটাই আসল ড্রিম জব। ওটা না পেলে শুহেল রানারটা চেষ্টা করা যেতে পারে। ইয়ে মেয়ে দেখা আর মিনারেল ওয়াটার খাওয়া, এই তো...কঠিন নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা...হা...
ব্যাপক বিনোদন পাইলাম।
---------------------
তৌফিক হাসান
চিলেকোঠা
ধন্যবাদ তৌফিক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
-ঘ্যাচাং-
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মেয়েটাকে পরে ফেসবুকে খুঁজে পান নাই?
দূর্দান্ত লেখা।
ধন্যবাদ। ফেসবুক আবিষ্কার হতে হতে আমার মেয়ে খোঁজার দিন ভালো ভাবেই গত হয়ে গেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ক্লাসিক লেখা।
আমার জব খোঁজার দিুংলো যে কী দুঃসহ ছিল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
চাকরি খোঁজার দিন আসলেই দুঃসহ অভিজ্ঞতা। ধন্যবাদ রানা মেহের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তোমার রসবোধ অসাধারণ তাই তোমার গল্পটাও হয়েছে জব্বর, এই সিরিজও চালিয়ে যাও, মনে হয় পাবলিক খাবে
ভ্রাতৃসংঘের কেউ মন্তব্যে এলে দারুন লাগে। এই ব্লগের হিট সংখ্যা দেখে আমি নিজেও অবাক হয়েছি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এতো ভালো কীভাবে লিখেন !!!!
-আদু ভাই
সবই অভ্রের গুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুবই মজার।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ক্লাসিক
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ওরে জবর। চালিয়ে যান।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
-ঘ্যাচাং-
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
টুকটাক চলবে...ধন্যবাদ ত্রিবেদী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্লিজ, ভাইয়া, বলেন না, ব্যাপারটা কী???
ব্যাপারটা কবিতার মত গূঢ়...কীভাবে যে বোঝাই?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ দ্রোহী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"ওয়ালাইকুম হ্যালো"
কথাটা পইড়া হাসতে হাসতে উল্টাইয়া পইড়া গড়াগড়ি খাইতেছি...
কিন্তু ভাই আমিওতো অনেক ইউরেনালে হিসু করলাম, কিন্তু কোথাও তো চুল পড়া দেখলাম না...
আমার জ্ঞান কিন্তু আপনার থেইকাও বেশি (আমি কিছুই পারি না)...
হিমাগ্নি
বলেন কী? আমি তো প্রায়ই দেখি...বলা যায় না, এই দেশের পানির দোষ আছে কোনো, মাথার চুল না পড়লেও...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হিমাগ্নি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভুটান, তাসনীম ভাই, ভুটান!
লেখা মারাত্মক! সাপ্তাহিক না হোক, পাক্ষিক হোক, এই দাবী আমারও!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ঠিকই বলেছ ভাই ভূটান...একদিন ওইখানেই চলে যাব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারন হয়েছে তাসনীম ভাই। চালায় যান।
গুরু ভাই
এটা কি ইন্টারভিউএর কোশ্চেন ছিল?
আর একটা ব্যাপার... বেলুনভর্তি পানির গোলা...!!!
সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা লেখা।
চরম ব্যস্ততার মাঝেও এই সিরিজটা পড়ছি, খুবই ভাল লাগছে। প্যান্টের বর্ণনায় যেভাবে হুমায়ুনের ছোটগল্প এনেছেন - অনবদ্য
নতুন মন্তব্য করুন