আমাদের বাসাটা ঠিক বড় রাস্তার উপরে ছিল না। একটু ভেতরে কিন্তু পশ্চিম আর দক্ষিণ পুরো খোলা। কারণটা হচ্ছে ওটা একটা কলেজের অংশ। ওদের খেলার মাঠের উদরতাটা আমরা ভোগ করে চলেছি। আমাদের ছাদের ট্যাঙ্কের পাশে দাঁড়ালে সেই খেলার মাঠটা স্টেডিয়াম মনে হতে পারে। মাঠের পাশেই ছোট একতলা একটা বাড়ি, ওটাতে কলেজের হোস্টেলের তদারককারী থাকেন। বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটা পুকুর আছে, কোনো একটা কারণে সেই সময়ে ঢাকা শহরের অনেক কলেজেই একটা পুকুর থাকত। সেই পুকুরটা একদম আমাদের বাড়ির দেওয়াল ঘেঁষে।
তেজগাঁর রাস্তাগুলো যতই খারাপ হোক না কেন, আমাদের বাসার ভেতরে ঢুকলে গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিণ্ণ হওয়া যায়। ছাদে দাঁড়ালে নিজেকে নিঃসঙ্গ নাবিক, পাইলট অথবা আইসক্রিমওয়ালা ভাবতে কেউই বারণ করে না। কল্পনাশক্তিতে টান পড়লে সেবা প্রকাশনীর একটা বই নিয়ে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে শুয়ে পড়তে থাকুন, নিমিষেই এই বাসাটাই নীলনদের দুই মাইলের মধ্যে চলে আসবে।
আমাদের বারান্দায় দাঁড়ালে পুকুরটা দেখতে পাবেন, ইনি আবার বহুরূপী। বাঁধানো একটা পাড় আছে, সকালে শান্ত, দুপুরে কোলাহলময় আর বিকেলে আড্ডামুখর। পুকুরের খুব কাছেই ঝাকড়া একটা আম গাছ। মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে একটা রাস্তা। কলেজে কোনো উঁচু দালান নেই, সব একতলা ভবন। সেই বারান্দার দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখা- প্রথমে আকাশটা কালো হয়ে আসে, এরপর পুকুরের পানিতে টুপটাপ তারপর ঝমাঝম। কিছু দুষ্ট ছেলের জলে দাপাদাপি। পুকুর পাড়ের রাস্তাটা আস্তে আস্তে ঘন বর্ষণে অদৃশ্য হতে থাকে। এই দৃশ্যটাই আমার প্রকৃতির প্রথম পাঠ- সেই দৃশ্য যেন আজও গেঁথে আছে মাথার ভেতর।
সেই থেকেই বর্ষার সাথে আমার ভালোবাসা। আমার বড় হওয়ার গল্পগুলোও বৃষ্টির অজানা নয়। বৃষ্টিতে আমি ফুটবল খেলেছি(খুব বেশি নয় যদিও), কাকভেজা হয়েছি, রিকশায় ঘুরেছি, কাঁথামুড়ি দিয়ে বই পড়েছি- নিজের জীবন নিয়ে সিনেমা বানাতে হলে সিনটা এমনই বানাতাম– এক অর্বাচীন বালক ঘন এক মেঘের দিনে লম্বা একটা দৌড় দিয়ে বড় হয়ে গেল, চারিদিকে ঝমঝম বৃষ্টি তখন।
আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতেও বৃষ্টি হয় ঝমঝমিয়ে, সে জানান দিয়ে যায় আমার জীবনে তার দখল আছে ষোল আনা। আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা যেদিন শেষ হয় সেদিন বৃষ্টি হয়েছিল, উচ্চ মাধ্যমিকেও তাই। বন্ধুদের সাথে অনেক আড্ডাই চলছে বৃষ্টি দেখে দেখে আর সিগারেট টেনে। সালাহউদ্দীনের মত খেলোয়াড় পর্যন্ত বর্ষণমুখর মাঠে পেনাল্টি মিস করে বসেছেন। হোস্টেল সুপারের বাড়ির এগারো বছরের মেয়েটা যেদিন জ্বরে ভুগে মারা যায়, সে রাতেও ভেসে গিয়েছিলও পথ-ঘাট। ও বাড়ির কান্নার আওয়াজ চাপা দিয়েছিল বৃষ্টি, তাও কেন যেন বাড়িটার বারান্দায় পা মেলে বসে থাকা শুকনো আর বিষণ্ণ সেই মেয়েটার মুখটা যেন ফিরে ফিরে আসত প্রতি বর্ষায়। সেটাই ছিল আমার জীবনের দেখা প্রথম মৃত্যু।
সঙ্গত কারণেই যেই দিনটা আমি দেশ ছেড়ে বিদেশে আসি, সেটাও মেঘলা ছিল। তবে সেই সকালের বৃষ্টিটা আর দেখিনি, ওটা ঠিকমত জমে ওঠার আগেই আমি অনে--ক দূরে চলে গেছি। বাংলাদেশের ঘন বর্ষা আর দেখা হয়ে উঠেনি এরপর। আমি চলে আসি সুদূর এক বৃষ্টিহীন নির্বাসনে। এখানে বৃষ্টির রূপ বইয়ের পাতায় পড়তে হয়...
আকাশের মেঘ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি প'ড়ে ভিজে গেছে ধুলো,
এখন মাটির গন্ধ চারিদিকে টের পাওয়া যায়
স্টেশন ছাড়িয়া ট্রেন চ'লে গেল, - এঞ্জিনের কালো ধোঁয়াগুলো
চাঁদের আলোয় যেন বাদুড়ের মত লাফায়।
(স্ট্যাঞ্জা তিনেক /জীবনানন্দ দাশ)
টেক্সাসে বৃষ্টি হয় না- সেটা বলা যাবে না। সব সাইজের বৃষ্টিই এখানে হয় তবে কেমন যেন ভয়ে ভয়ে তারা আকাশ থেকে পড়ে। বাংলাদেশের সেই অকুতোভয় বৃষ্টির মত বারিপতন খুব বেশি দেখিনি। অথবা এটাও হতে পারে যে মুখে যতই বিশ্ব নাগরিকতার কথা বলি না কেন, ভেতরে ভেতরে আমি খুবই আঞ্চলিক। নইলে আকাশের কথা উঠলেই কেন তেজগাঁর বাসার বিছানায় শুয়ে যেই আকাশটা দেখতাম– তার কথা মনে পড়ে? অথচ আকাশটা এখানে দেখতে হুবহু সেই রকমই!
বিদেশ থেকে দেশে গেলে মানুষ শীতকালটাই বেছে নেয়, দেশের আবহাওয়াও অনুকূল, ছুটিছাটাও মিলে ওই সময়টায়। তবে গতবার (২০০৯) এপ্রিল মাসে দেশে যাওয়া হলো। এটা বৃষ্টির সময় নয়, তবে মার্চ-এপ্রিলে কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ও বৃষ্টি হয় আকাশ কালো করে। সেটাও দেখা হয়নি।
ইতিমধ্যে অনেক কিছুই পালটে গেছে। সেই পুকুরটা ভরাট হয়ে গেছে, আম গাছটাকে আমি দেশে থাকতেই কে যেন মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমাদের তেজগাঁর বাসার বারান্দাটা বহু আগেই আমরা দেওয়াল তুলে একটা ঘরে পরিণত করেছি। আনন্দী কল্যাণ যেমন বলেছে - আমরা সবাই আততায়ী। আর সবচেয়ে বড় কথা তেজগাঁর সেই বাড়িতে আমরা আর থাকি না। সেই ছাদে উঠতে গেলে আমাকেও হয়ত পরিচয় দিতে হবে, বলতে হবে - ভাই এই বাড়ির দেওয়ালগুলোকে জিজ্ঞেস করে দেখেন – ওরা আমাকে চেনে। হয়ত কিছুদিন পরেও ওরাও আর চিনবে না।
ঢাকায় বেশির ভাগ মানুষই ফ্ল্যাটবাড়িতে থাকে। মন্দ নয়, বারোয়ারি ছাদ, সকালে লিফটের মুখে সামান্য বাক্যলাপ, আর রাতে একটু মদ্যপান করলে না-চেনা আর না-দেখার ভান করা। আমরাও এখন এমনই একটি বাড়িতে থাকি। দিনগুলোতে মন্দ কাটলো না, তবে ঝড় বৃষ্টির দেখা নেই। ঢাকার বাইরে এক সপ্তাহ কাটিয়ে এলাম সেটাও একদম বৃষ্টিহীন। প্রবাসে থাকলে সবাই ভুলে যায়, এমন কী আমার বড় হওয়ার সঙ্গী জনাব বৃষ্টিও আমার সাথে এমনটি করল! বলা যায় না সে হয়ত আমাকেই বেঈমান ভাবে।
দেখতে দেখতে প্রায় ফেরার দিন হয়ে যায়। এমনি একদিনে বিকেল বেলা আকাশ কালো করে এলো। শৈশবের সেই বন্ধু যেন ফিরে এলো আচমকা, এক লহমায় টেনে নিয়ে গেল আমাকে বালকবেলায়, অভিমান ভুলে। এই শহরে আমাকে ভুলেনি এমন অনেকেই তাহলে আছে! রাতে জানালা খুলে আমি শুনলাম বৃষ্টির শব্দ প্রাণ ভরে, যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে, সে কথা আজি যেন...থাক বলার দরকার নেই সেগুলো। বৃষ্টির বেশি ছবি আমি তুলিনি, কয়েকটা ছবি জুড়ে দিলাম সাথে একটা গানও।
যদি কোনোদিন স্থায়ীভাবে এই শহরে ফিরতে পারি, তবে ঠিক করেছি বর্ষাকালেই ফিরব। এক মেঘলা সকালে ছেড়ে গিয়েছিলাম যাকে, তার কাছে ফেরার জন্য এরচেয়ে আর উত্তম কোনো সময় হতে পারে না। সেই সকালের বৃষ্টিটা আমি দেখবই, মনে হবে ছেড়ে যাওয়ার দিনের সেই চলচ্চিত্রের ঠিক পরের দৃশ্যই এটা। মাঝখানের এতোগুলো বছর যেন স্বপ্ন...কেটে গেছে এক নিমেষেই। আমি সেই বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি।
বানান কৃতজ্ঞতাঃ বুনোহাঁস
মন্তব্য
আপনার লেখা ভাইরাসের মতো! পাঠকের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে যাচ্ছেতাই করতে পারে ইচ্ছেমত!
একটা দাবী করে গেলাম, আপনার প্রেমের গল্প শুনবো। একেবারে স্কুলবেলা থেকে শুরু হবে। না করার উপায় নেই। জানেনই তো কনিষ্ঠ সচলেরা কীরকম নচ্ছার আর দলেভারী! হুমকি হরতাল দিতেও ছাড়েনা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ব্লগ পড়ে অসুখ বিসুখ হতে পারে তাহলে
সব্বোনাশ...বিপদে পড়ার ইমো নাই?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইমো দিয়ে কেটে পড়ার চেষ্টা আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে
এক দফা এক দাবী
লেখা চাই দিতি হবি!
আমার দাবীতে সবার সমর্থন চাইলাম! দলে দলে কাতারে শামিল হোন!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রেম নিয়ে যা বলার সুমন চাটুজ্জে তা বলে দিয়েছেন- প্রথম প্রেমে পড়ার পর সবাই পস্তায়...যেটা বলেলনি সেটা হোলো- প্রতি প্রেমেই একই অবস্থা হয়
বুয়েট লাইফ নিয়ে আরেকটা ছোট সিরিজ দেওয়ার প্ল্যান আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনার্য-র কমেন্টের সাথে পুরোপুরি একমত।
"প্রতি প্রেমেই একই অবস্থা হয়" - তা হোক, সেটা আপনার মুখ থেকেই নতুন করে শুনতে চাই।
এক দফা এক দাবী
লেখা চাই দিতি হবি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চরমভাবে সহমত
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ছাদে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করে। কতদিন ছাদে যাই না! আমাদের আকাশছোঁয়া ফ্ল্যাটের ছাদ চলে গেছে মুঠোফোনবেবুশ্যেদের দখলে। আমাদের ওখানে যাওয়া বারণ।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এর মানে কি সেলফোন টাওয়ারের কারণে ছাদে যাওয়া বারণ?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রথমে কারণ ছিলো ছাদে রেলিং না থাকা। সেলফোন টাওয়ার বসানোর পর রেলিং বসানোর চেষ্টা আর করা হয় নাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ঘোরতর অন্যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ !!!!!!!!!! আপনার লেখা পড়ে সবসময় মনেহয় কমেন্ট করি, কখনো করা হয়না, আজ বাধ্য হলাম
ধন্যবাদ, গান এবং মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দিলাম একটা বৃষ্টির গান ছেড়ে...
http://www.opendrive.com/files/17107083_KYBR8/Brishtir_Gaan.mp3
আপনার লেখায় আজকাল সত্যি সত্যি মন্তব্য করার ভাষা খুঁজে পাই না। চলতে থাকুক অবিরাম এই স্মৃতিচারণ... আর কোন এক বৃষ্টির দিন আপনিও ফিরে আসুন আপনার শহরে...
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ সবজান্তা। অনেকদিন আপনাকে পাইনি মন্তব্যের ঘরে
ফিরতে পারলে মনে হয় জীবনের সবচেয়ে আনন্দের ঘটনা হবে সেটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ পোস্ট।
ধন্যবাদ সবুজ পাহাড়ের রাজা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হায়রে বৃষ্টি ... ... একটু বড় হয়ে 'বৃষ্টি' জিনিশটা বোঝার পর থেকে আকাশে মেঘ দেখা মাত্র বন্ধুরা মিলে রাস্তায় বেড়িয়ে 'অগস্ত যাত্রা' করতাম। উদ্দেশ্যহীন হাঁটতাম যতটা দূরে যাওয়া যায়। কখনওবা এলাকার মাঠে বল নিয়ে ঝাপাঝাপি, যত খেলোয়াড়ই থাকুক সবার জন্য একটাই কমন গোলপোস্ট ... গোলকিপারের জান শেষ !!!
গানস & রোজেসের নভেম্বর রেইনের মহা ভক্ত আমি। মাষ্টার্সের পরীক্ষাটা শুরু হয়েছিলো নভেম্বরেই আর সেদিন কেনো যেনো ধুম বৃষ্টি ছিলো, আমি ঐ গানটা হেরে গলায় গাইতে গাইতে রিক্সার হুড না ফেলে কাকভেজা হয়ে হলে উপস্থিত হলাম। সবাই এমনভাবে তাকাচ্ছিলো যেনো কোনো এলিয়েন সামনে উপস্থিত, কারন তখনো দাঁত কেলিয়ে আমি হেরে গলায় গান গেয়েই চলছি।
আমার আর রোয়েনার সংসার জীবনের প্রথম বাসাটা ছিলো বিশাল ছাদের লাগোয়া খুব সুন্দর একটা চিলেকোঠা। দরজা খুললেই ছাদ ... বর্ষায় জাস্ট ঘরের ভেতর থেকে এক হাঁটা দিয়ে বেড়িয়ে গেলেই 'বৃষ্টি ধোয়া' হতাম। মাঝে মাঝে রাত ২টা ৩টার দিকেও নেমে পড়তাম বৃষ্টিতে। হায়, বাড়ীটা ভেঙ্গে এ্যাপার্টমেন্ট হচ্ছে ... এখন যেখানে থাকি, খুব কষ্ট করে আকাশটাকে দেখতে হয় ... ...
আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে। এটা অনেক বেশি ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ছবি দিয়েন তো পারলে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নভেম্বর রেইন আমারও খুব প্রিয় গান। প্রায়ই শুনি, নভেম্বর মাসে বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই।
এরকম একটা বাসায় আমার যাতায়ত ছিল নিয়মিত। ইচ্ছে ছিল এরকম বাসায় থাকবো। ফাহিমের মত আমারও একই অনুরোধ, ছবি থাকলে জুড়ে দিয়েন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বৃষ্টির সাথে আপনার মিতালি ভালো লাগলো খুব। কানাডা আসার পর বাংলাদেশের ঝুম ঝুম বৃষ্টির অভাব অনুভব করি খুব। বৃষ্টিকে অনুভব করা যায় শরীরের প্রত্যেকটা ইন্দ্রিয় দিয়ে। শহরে বৃষ্টির মৌসুমে ব্যাঙ ডাকে না বুঝি। এই ব্যাঙের ডাক শুনতে না পেলে মন খারাপ হয় খুব।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম। ব্যাঙের ডাকের কথা লিখতে ভুলে গেছি। পুকুরের পাড়ে বাসা হওয়ার কারণে বৃষ্টির রীতিমত কনসার্ট শোনা যেত ওদের। বাড়ির উঠানে বিস্তর ব্যাঙাচির ঘোরাফেরা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাই ,
আরেকটি ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন কিনে জানিনা, দেশে বৃষ্টির পরে একটা সোদা মাটির গন্ধ বের হয়, যেটা বাইরে পাওয়া যায়না।
পড়াচোর
এটাও লক্ষ্য করেছি, এখানে বৃষ্টির গন্ধ নেই। তেজগাঁতে এর পাশাপাশি আরেকটা গন্ধ পাওয়া যেত, বৃষ্টির পরে কোনো এক অজানা কারণে নাবিস্কো বিস্কুট ফ্যাক্টরি থেকে ভেসে আসত টাটকা বিস্কুটের গন্ধ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখন ঢাকার বৃষ্টিতে খালি ড্রেনের গু-পানি উপচে উঠে আসে। গাড়ি না থাকলে কী যে সমস্যা হয়... বাড়ি ফিরে ছেলেবেলার বৃষ্টিটাকে খুব করে কাছে পেতে চেয়েছিলাম তাই গত বছর। পুরো মৌসুমে বৃষ্টি হয়েছে হাতে গোনা ৪ দিন।
আমি ভাবছি আপনার লেখা পড়া ছেড়ে দেব। ভালো লাগাটার চেয়ে কষ্টটা বেশি হয় পড়ে, আর খালি উল্টা-পাল্টা পুরানো কথা মনে পড়ে যায়। আমার কি ছাই আপনার মতোন বয়স হয়েছে যে পুরানো কথা মনে করে পেট পুড়বে? এটা কি উচিত বলেন আপনি?
তবু কী যে হয়, একটানে শেষ করতে হয় আপনার লেখাগুলো, আর তারপর কিছু বলার, মানে পড়তে পড়তে যেসব কথা ভাবছিলাম সেগুলো বলার ভাষা হারিয়ে যায়... ভারি অনুচিত এসব!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
স্মৃতিকাতরতার বয়েস নেই কোনো, যেকোন সময়েই এই রোগে আক্রান্ত হওয়া যায়। এটা সাময়িক রোগ বেশিক্ষণ থাকে না, ইনফ্যাক্ট আমার ধারণা স্মৃতিপীড়া মনকে ইন দি এন্ড চাঙ্গা করে দেয়। তবে যতই বয়েস বাড়ে ততই এই রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বৃষ্টি বুঝি মানুষকে অকপট হতে সাহায্য করে, নইলে আপনার অনেকগুলো লেখা আমার পড়া হয়েছে। কিন্তু মন্তব্য করিনি যুতসই শব্দ খুঁজে না পেয়ে। আজকে পোষ্টের বৃষ্টি কেমন বলতে সাহস যোগালো। ভীষণ রকমের মন উদাস করার মতো লেখা। আর আমার এদিকের আকাশও মুখ ভার করে আছে...যে কোন সময়ে ভ্যা করলো বলে.....আপনার বাবুদের জন্য অনেক আদর। আপনার জন্য শুভেচ্ছা।
- আয়নামতি
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আপনি সম্ভবত আগেও আমার অন্য কোনো ব্লগে মন্তব্য করেছিলেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা পড়া ঠিক হয় নাই।
আশাকরি এতক্ষণে মন চাঙ্গা হয়ে গেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম, আপনার লেখা পড়ার বিপদটা কী জানেন? এক নিমিষে এই যাপিত জীবনের সব নিয়মের কারাগার ভেঙ্গে দিতে ইচ্ছে করে । মনে হয় এই মুহুর্তে চলে যাই স্মৃতির ছায়ায় ঘেরা মায়াময় সেই শহরে যেখানে রেখে এসেছিলাম কালবোশেখীর ঝড়, ফাল্গুনের মাতাল হাওয়া, শীতের কুয়াশা......আর অর্থহীন নিঃশর্ত ভালবাসার মানুষগুলো...যাদের কেউ আছে, কেউ নেই...যারা আছে তারাও আগের মত নেই...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
এই ইচ্ছেটা আমারও প্রায়ই করে, সেখান থেকে এই লেখা তৈরি হয়। স্মৃতি শহরে কিছু পাল্টায়ে না, তাই সেটা ধরতে এতো ভালো লাগে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি এখনো তেজগাঁ এলাকাতেই থাকি। আমার জন্ম এখানেই। সত্তরের দশকের কথা জানি না, আমার জন্ম আশির দশকের মাঝামাঝি। স্কুলে পড়ার সময় এলাকাটাকে খুব বিরক্ত লাগতো, বিশেষ করে রাজপথগুলোতে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওার পরে কলেজে যাওা-আসার পথে বারবার রিকশা বদল করতে খুব মেজাজ খারাপ হতো। কিন্তু বৃষ্টির দিনগুলোতে রিকশা না নিয়ে ঝুম বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফেরার সেই দিনগুলো কখনো পুরোনো হবে না।
এখন ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকাগুলোতে ফ্ল্যাটবাড়ির বস্তিগুলা দেখলে প্রতিবার নতুন করে আমাদের এলাকাটার প্রেমে পড়ে যাই
সমস্যাটার কথা আমার মনে আছে, এটা এখনো আছে। এটা ঠিক যে তেজগাঁ এখন তুলনামূলকভাবে অন্য জায়গার চেয়ে ভালো আছে। আপনি তেজগাঁর কোন জায়গায় থাকেন?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার বৃষ্টিস্নাত বারান্দায় কিম্বা ছাদে
চলুন না ধুম আড্ডা হোক আর কদিন বাদে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সেই আশায় আছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনের কথা; আমার মনের কথা। আমার শহরে বৃষ্টি হয় শীতকালে। আমি বর্ষার দেশে ফিরে যাবো। বর্ষার শহরে... কোন এক বর্ষাকালে।
___________________________
হামিদা রহমান
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
আশাকরি আমার মত আপনারও মনের আশা পূর্ণ হবে একদিন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমিও এখনো তেজগাঁ এলাকাতেই থাকি। আমার জন্ম এই এলাকাতেই। সত্তর দশকের কথা জানি না, আমার জন্ম আশির দশকের মাঝামাঝি। স্কুলে পড়ার সময় এলাকাটাকে খুব বিরক্ত লাগতো, বিশেষ করে রাজপথে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পরে বারবার রিকশা বদল করে কলেজে যাওয়ার সময়। আবার বরষার দিনে ঝুম বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে হেঁটে ফেরার সেই দিনগুলো কখনোই ভোলার নয়।
এখন ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকাগুলোতে ফ্ল্যাটবাড়ির বস্তিগুলো দেখলে প্রতিবার নতুন করে আমাদের এলাকাটার প্রেমে পড়ি
ডুপ্লিকেট মন্তব্য। উপরে একবার এসেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই কাঠদুপুরে ক্লাস থেকে ঘামে জবজবে হয়ে ফেরার পরে এই লেখাটা পড়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে খুব। ...
আপনার লেখায় এখন থেকে মন্তব্য কম করবো ভাবি, কারণ কী বলবো বুঝি না।
খুব অনুরোধ, বুয়েটের দিনগুলো নিয়ে আপনি কিছু লিখবেন।
বুয়েট নিয়ে লেখার পরিকল্পনা আছে। কিছু নোট রেডি করেছি, বসতে হবে সময় করে, ওই শেষের জিনিসটার বড় অভাব এই সময়ে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা পড়ার পর থেকেই বৃষ্টি দেখতে ইচ্ছে করছে, আর মাথায় ঘুরছে এই কবিতাটা---------
'মন মানে না বৃষ্টি হলো এত....
সমস্ত রাত ডুবো-নদীর পারে,
আমি তোমার স্বপ্নে-পাওয়া আঙুল--
স্পর্শ করি জলের অধিকারে।
এখন এক ঢেউ দোলানো ফুলে....
ভাবনাহীন বৃত্ত ঘিরে রাখে-
স্রোতের মতো স্রোতস্বিনী তুমি
যা-কিছু টানো প্রবল দুর্বিপাকে!
তাদের জয় শঙ্কাহীন এত,
মন মানে না সহজ কোনো জলে
চিরদিনের নদী চলুক, পাখি।
একটি নৌকো পারাবারের ছলে
স্পর্শ করে অন্য নানা ফুল
অন্য দেশ, অন্য কোনো রাজার,
তোমার গ্রামে, রেলব্রিজের তলে,
ভোরবেলার রৌদ্রে বসে বাজার।'
#নবধারাজলে : উৎপলকুমার বসু
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কবিতাটার জন্য ধন্যবাদ, আগে পড়িনি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি মশাই লোক ভাল না।
বিদেশ-বিভূঁইয়ে সব ভুলে ভাল আছি। অনর্থক স্মৃতিকাতর বানিয়ে দিলেন ।
পালাতে চাই যত সে আসে আমার পিছু পিছু
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই ফাল্গুন মাসেও বর্ষার আমেজ এনে দিলেন। বর্ষা আমার অনেক ক্ষতির কারণ হলেও বর্ষা এখনো আমার সমান প্রিয়। লেখা ছবি আর গানে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চরম ভাল্লাগছে।
ধন্যবাদ মুর্শেদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার স্মৃতিময় লেখাগুলো পড়লে একটা মিশ্র অনুভূতি হয় তাসনীম ভাই। এই অনুভূতিগুলো লিখতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু সাহসে কুলায় না। ঠিক ফুটিয়ে তুলতে পারবো না বলে! তবে দেখে নিয়েন, পাশে যখন থেকে একজন সার্বক্ষণিক 'দজ্জাল এডিটর' অবস্থান করবেন, তাঁর সাথে কথোপকথনের সূত্রে, তাঁর হাত ঘুরে এই অনুভূতিগুলো একে একে প্রকাশ পাবে এই সচলায়তনেই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দজ্জাল এডিটর কি এই বছরই নিয়োগ পাচ্ছেন? অপেক্ষায় রইলাম, লেখা ও সুখবরের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা খুব খুব খুব, ভীষণ ভালো হচ্ছে। একদম নেশা ধরিয়ে দিলে!
--------------------------------------------------------------------------------
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাবী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুই তিন ধরে আপনার লেখাটি দেখছি কিন্তু ইচ্ছে করেই পড়ছিলাম না। আজ পড়েই ফেললাম কিন্তু যে ভয়টা ছিল তাই হল। অনেক নস্টালজিক হয়ে পড়লাম অথচ কিছু করার নেই। কারণ "যে শহরে আমি ফিরতে চাই তা আমার স্মৃতির বাইরে আর কোথাও নাই।"
বর্ষা আমার অসম্ভব প্রিয় বিশেষ করে যখন ঝুম বৃষ্টি হয়। কত ভিজেছি, কত খেলেছি কাদামাটিতে! আহ, সেই দিনগুলা এখন আর নাই! ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এখন এক হাঁটু পানি সাথে ফ্রি হিসেবে নর্দমার ইয়ে থাকে। তবে এই মন্দের ভালও পাইনা মার্কিন মুল্লুকে। এখানে বৃষ্টি হয় শীতকালে। এদেশের মানুষ গুলো কখনো হয়ত জানবেনা উষ্ণ হাওয়ার পর ঝুম বৃষ্টির নেশা কী রকম, কাল বৈশাখির হঠাৎ উড়ে আসা হাওয়া মনকে কী উদাস করে দেয়! জানবে না কখনো সোঁদা মাটির মাতাল করা গন্ধ!
অনন্ত
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অনন্ত। দেখা যাচ্ছে বৃষ্টির জন্য ভালোবাসা অনেকেরই আছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি এখনো তেজগাঁ এলাকাতেই থাকি। আমার জন্ম এখানেই। ছোটবেলায় এলাকাটাকে খুব বিরক্ত লাগতো, বিশেষ করে রাজপথে রিশা চলাচল বন্ধ করে দেয়ার পরে বারবার রিকশা বদল করে কলেজে যাওয়া-আসা করতে। কিন্তু ঝুম বৃষ্টির মধ্যে রিকশা না নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফেরার দিনগুলো কখনই পুরোনো হবে না।
এখন ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকাতে ফ্ল্যাটবাড়ির বস্তিগুলা দেখলে প্রতিবার নতুন করে আমাদের এলাকাটার প্রেমে পড়ি.....
ধন্যবাদ তিন্নি, তেজগাঁর কাউকে পেলে ভালো লাগে। একবার এক প্রতিবেশির সন্ধান পেয়েছিলাম আচমকা। রাস্তাঘাটের অসুবিধা আছে দেখেই ফ্ল্যাটওয়ালারা এখনও সেভাবে জায়গাটার বারোটা বাজায় নি। ইন ফ্যাক্ট ঢাকার অন্য জায়গার তুলনায় আমার তেজগাঁকে এখন বেটার লাগে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
(আপনার সঙ্গে আমার একটা চুক্তি আছে কিন্তু!)
আমাদের বাসার কাছেই বড় রাস্তার উপর হল পাতিপুকুরের বিখ্যাত মাছের আড়ত, কলকাতার সবচেয়ে বড় মাছের পাইকারি কেনাবেচার জায়গা। সেই সুদূর অন্ধ্র থেকে বিশাল বিশাল ট্রাকে মাছ আসে ভোরভোর। আর লাগোয়াই রাস্তার পাশে একটা ফুটবলমাঠের মত বড় জঞ্জালের জায়গা। রোজ সকালে সেখান দিয়ে বাসে করে স্কুলে যেতাম। সেসব কথা মনে পড়িয়ে দিলেন। তবে বলাই বাহুল্য, সেইটা নস্টালজিক হবার মত কোনো ব্যাপার না!
বৃষ্টি বস্টনেও জুতের না। আরামের বৃষ্টি মার্কিনমুলুকে একমাত্র পেয়েছিলাম হাওয়াইতে, এত ভাল লেগেছিল যে অনেকটা লিখেছিলাম সেটা নিয়ে। দেশের কালবৈশাখীর মত গরম উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা করে দিয়ে যায়। আঃ।
তেজগাঁতে আমাদের বাসার কাছেই আছে ডিম এবং কলার আড়ত, ঢাকা শহরের যাবতীয় ডিম আর কলা আমাদের রাস্তাতেই খালাস হয় প্রথমে। মনে হচ্ছে আপনি কলকাতার তেজগাঁতে থাকতেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর, কিন্তু, মনে হচ্ছে যেন এরকম লেখা আপনার আরও পড়েছি। নতুন সিরিজ চাইছি!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
রাইট, এই অভিযোগ অন্য একজনও করেছেন। তবে এই সিরিজটা পাঁচমেশালি অনেক কিছুই লিখব, শুধু স্মৃতিচারণ নয়। মার্কিন মুল্লুকে নামে অন্যটাইপের একটা সিরিজ চলছে, পড়ে দেখতে পারেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গানটা খুবই ভাল লাগে। কথা কে লিখেছে তা জানিনা তবে সুরকার আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন আজমীর বাবু। অডিও আর্ট ষ্টুডিওতে গানটা রেকর্ডিংএর সময় ওখানে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
প্রিয় লেখকের কাছ থেকে তো প্রিয় একটা লেখাই কামনা করি, যেমনটা পেলাম এই লেখাটা। সাথে আরও কিছু ভাললাগার কথা। এই যেমন, সুহাস ভাই+রোয়েনা আপার ছাদের বৃষ্টি, আর মন ভিজিয়ে দেওয়া সেই নভেম্বার রেইন আর স্ল্যাশের গিটার সলো............ ইটস হার্ড টু হোল্ড আ ক্যান্ডল ইন দ্য কোল্ড নভেম্বার রেইন।
এন্ড
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়। আপনি জেমসের যেই গানটা দিয়েছন, ওটা আমার বেশ ভালো লাগে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধীরে ধীরে আপনার লিখার ভক্ত হয়ে পড়ছি।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একারনেই বাঙাল আমি, বাংলার বর্ষা-জল-কাদা আমার রক্তে একাকার হ্য়ে আছে।
শাফি।
এই দেশেই তো আছি---এখানেই---বৃষ্টির শহরে--চাইলেই ভিজে যেতে পারি তবু কেন যেন লেখাটা পড়ে মন বিষণ্ণ হলো! কোন এক বৃষ্টির দিনে ফিরে আসুন ভাইয়া। বৃষ্টি দেখার আমন্ত্রণ রইলো।
আপনার লেখা পড়লে মনে হয় নিজে আসলে কিছুই লিখতে জানি না। স্মৃতিচারণ এত অসাধারণ কেমন করে হয়?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
নতুন মন্তব্য করুন