সিগারেট কেনার জন্য রিকশা থেকে নেমেছিল মামুন। কেনা শেষ করে আবার রিকশায় চড়তেই মিলিকে দেখতে পেল সে। বেশ হেসে হেসে গল্প করতে করতে যাচ্ছে বিপুলের সাথে। মামুনের সাথে আবিরও ছিল, সেও দেখেছে মিলিকে।
“কিরে, ওইটা তোর মিলি না?” নিরীহ গলায় প্রশ্ন করল আবির।
মামুন মনে মনে প্রমাদ গুনল। আজ সারারাতের প্ল্যান। জুয়েলের বাসায় আজ আসর বসবে। রেড লেবেল জোগাড় হয়েছে এক বোতল। মনে হয় আজ সারারাত ধরেই বন্ধুরা খোঁচাবে তাকে। মামুন সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা তরুন। চাকরি শুরু করেছে মাত্র কয়েকমাস। মিলি তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বান্ধবী। ফোর্থ ইয়ার শেষ হওয়ার আগেই কেটে পড়েছে। সাদামাটা একটা গল্পের মতই মোটামুটি সার্থক একটা ছেলেকে বিয়ে করেছে। মিলি একটা চিঠি লিখে তার বিচ্ছেদের কারণ জানিয়েছিল মামুনকে, পাঁচ পাতার সেই চিঠির মূল বক্তব্য অত্যন্ত সরল – মামুন ঠিক পুরুষ মানুষ কিনা সেটা নিয়েও তার সন্দেহ আছে। যদিও মামুন ঠিক পুরুষত্ব দেখানোর কোন সুযোগ পায়নি মিলির সাথে, মামুন এটাকে তার ব্যক্তিত্বের প্রতিই ইংগিত বলেই মনে করেছিল। মামুনও মেনে নিয়েছিল সেই বক্তব্য, আর মেনে না নিলেও ফলাফল একই থাকত। কিন্তু সেই চিঠির কথা কিভাবে যেন বন্ধু মহলে রটে গেছে, ফল স্বরূপ প্রায়ই তার মাশুল মামুনকে গুনতে হয়। আজকেও আবিরের নিরীহ প্রশ্নটাও মনে হলো তবলার ঠুকঠাক বোল।
রিকশা পৌঁছে গেছে জুয়েলের লালমাটিয়ার বাসায়। মোহাম্মদপুর থেকে লালমাটিয়া কতখানিই বা পথ। সন্ধ্যে হতে বাকি আছে এখনো একটু। ভাড়া মিটিয়ে দুই বন্ধু উপরে উঠে গেল। জুয়েলের বাসা আজ খালি। মুনির আর সোহেলও এসে গেছে অলরেডি। বোতল খোলা হয়ে গেছে, কে জানি বলেছিল হুইস্কির সাথে পানি মেশালে দুটো ভালো জিনিসই নষ্ট হয়ে যায়। সেটাকে বেদবাক্য মনে করে এই তিন শালাই কাঁচা হুইস্কি শুধু বরফ দিয়ে চালাচ্ছে। গ্লাসটা এক তৃতীয়াংশ পানি ভরে দিয়ে ভরে ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। যার ফলে গ্লাসের নিচটা পুরোটাই বরফ। হুইস্কি ঢালা হচ্ছে সেই জমে থাকা বরফের উপর। বরফটা গলা পানি মেশার আগেই সেই ঠান্ডা হুইস্কি চালান হচ্ছে পেটের ভেতর। নীচটা সাদা বরফ আর উপরটা সোনালী একটা তরল, জিনিসটা দেখতে বেশ কাব্যিক-- মনে হল মামুনের। স্কটল্যান্ডের লোকরাও এভাবে খায় নাকি?
“দোস্ত আমি স্ট্রেইট মারতে পারুম না, কোক কুক নাই?” মামুনের জিজ্ঞাসা।
“কোক নাই মামু, ডাইরেক্ট বরফের লগে খাইয়া দেখ না...” জুয়েলের কথাটা অসমাপ্তই থেকে যায়।
“বেশি স্ট্রং লাগে দোস্ত...আমি কোক নিয়া আসি মোড়ের দোকান থেকে...”
“আইজক্যা আসার সময় মিলিরে দেখছস না...কাঁচাই খা চুদির ভাই...তাও যদি পুরুষ মানুষ হইতে পারস...” আবির এবার ফর্মে আসছে।
বাকি বন্ধুরা হৈ হৈ করে উঠল। এটাতো জব্বর খবর। মামুন কবিতা লেখে, দেহজ প্রেমে বিশ্বাস করে না, প্রেমিকা তাকে ছেড়ে চলে গেছে, যাওয়ার আগে আবার যা-তা বলেও গেছে। মিলির চিঠি যেটুকু দুঃখ মামুনকে দিয়েছে, মনে হয় মামুনের বন্ধুরা তার চেয়ে বেশি আহত হয়েছে।
উপায় না দেখে মামুন একটা গ্লাসে ঢেলে নেয় কিছু সোনালী তরল। আস্তে আস্তে ঠোঁট ছোঁয়ায়, বিস্বাদ একটা তেতো স্বাদ যেন সারাটা মুখে ছড়িয়ে পরে। মুখটা একটু বিকৃত হলেও সামলে নেয় মামুন।
“দোস্ত ছ্যাঁকা, ম্যাকা খাইয়া কবিতা লেখস নাই কোন?” মুনিরের জিজ্ঞাসা। “তুইতো ছ্যাঁক খাওনের আগে একদম খাতা ভরাইয়া ফেলাইসিলি...”
“নাহ...কবিতা আর লিখি না এখন...” মামুন অনেকটা আত্মসমর্পণ করে দেয়।
“ক্যান ক্যান...ওই মাগীর জন্য তুই কবিতা বাদ দিবি ক্যা...আরে শালা তোরতো প্রতিভা ছিল, খালি তোর ওই ইয়েটা দাঁড়া করাইতে পারলি না...আপসোস...” সোহেল এবার মুখ খুলে।
খচ করে বুকের মধ্যে এসে লাগে কথাটা মামুনের। অসুন্দর সব কিছুই মামুনের অপছন্দ। মিলিকে ভালো লাগার কারণটাও এই সৌন্দর্য। মামুন মনে হয় এক জনম শুধু মিলির দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতে পারত।
“তা দোস্ত...একটা প্রাইভেট কথা জিগাই...শোন...ডেটিংতো মারছস...হাত ধরলে মনে কর দশ পয়েণ্ট...ইয়েতে ধর পঞ্চাশ পয়েন্ট...আর আসল কাম করলে একশ পয়েন্ট...তুই কবি মানুষ...তোরে কিছু খুইল্যা কইতে হইব না...খালি ক কত স্কোর করছস।”
মামুন একটু চিন্তায় পড়ে যায়। হুইস্কিটাও একটু একটু জায়গা দখল করে নিচ্ছে মাথার ভেতর। মিলির হাত সে অনেকবারই ধরেছে নিরলায়, আর কিছু করার বাসনা হয়নি। মিলি কী এই জন্যই ছেড়ে গেছে...ওই হাত দুটো ধরে সে অনেক কবিতা বলেছে, মামুনের মনে হয় দুটো মনের অনুরণনটাই ভালোবাসা। তার মনে হয়েছে যে তাদের দুটো মন একই সুরে বেজে উঠেছে। এটাই কি কাপুরুষতা?
বন্ধুরা আপাতত খেলার গল্পে ব্যস্ত। বাংলাদেশ দল নাকি টেস্টে যা রান করে, ওয়ান ডেতে প্রায় তার কাছাকাছি রানই করে, টি-টোয়েন্টিতে তার থেকে আরেকটু কম। মোটামুটি একই রানের পারফরমেন্স সব খেলাতেই। খেলাটা দশ ওভারে নামিয়ে আনলে মনে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নই হয়ে যেত দেশটা। এই নিয়ে একপ্রস্থ হাসি-ঠাট্টা হয়ে যায়।
“কী দোস্ত কইলি না স্কোর কত?” জুয়েলের প্রশ্নে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় মামুন। কার স্কোর জিজ্ঞেস করেছে?
“ওই বেকুব...মিলির লগে তোর স্কোর?”
“এই ধর পাঁচশ-টাচশ হবে” একটু স্মার্ট হতে চেষ্টা করে মামুন।
“আরে শালা, পাঁচ বছর প্রেম কইর্যা মাত্র পাঁচশ...এই জন্যই তো গেছে গিয়া ওই মাইয়া...আরে তিন ডেটিং-এ তোর এর চেয়ে বেশি স্কোর তোলা যায়...”
রাত বেশি হয় নি। টিভিতে কি একটা খবর হচ্ছে, মামুন মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে তাতে। খাদ্যমন্ত্রী কোন সম্মেলনে দামী কিছু কথা বলেছিলেন, সেটা গভীরভাবে বোঝার চেষ্টা করে। হুইস্কিটা এখন মাথার দখল নিতে ব্যস্ত, একটু ঝিম ঝিম ভালো লাগা মাখানো মৌতাত...
"এই শালার পো..." জুয়েলের ডাকে সম্বিত ফিরে পায় মামুন।
"তোর সমস্যা কী ক শালা? তুই এমন ক্যা?" নেশাটাও কন্ঠস্বরের ধারটা আড়াল করতে পারলো না।
"এমন কী?” মামুন একটু বিস্মিত হয়েই প্রশ্ন করে।
"এই যে তোর কোন মর্দামি নাই...সেই বাচ্চা কাল থাইক্যাই তুই শালা লাথি খাইয়া আইতাছস... কবে তোর ঘাড় খাওন বন্ধ হইব...সেই ক্লাস এইটে তোরে পাড়ার বিল্লাইল্লা পিটাইসিল, ঐটারে একটা থাপ্পড় দিলে উইড়া যাইত...না তুই লেখস কবিতা...এই রকম একটা না...তোরে ইয়ে মাইর্যা গেছে কম মানুষে না...ওই যে বজলু...ওই খানকির পোলা...ওর মায়েরে...আর তুই শালা খালি বইয়্যা বইয়্যা কবিতা আর কবিতা চোদাস...ওই মিলিও তোরে এর লাইগ্যাই ছাড়ছে...হইতি আরেকটু মরদ...তোর ওই বাংলাতে কি জানি কয়...বীরভোগ্যা পৃথিবী...না না বসুন্ধরা..."
জুয়েলে ক্রমাগত বলতেই থাকে, আজ সে মামুনের জীবনের পরাজয়ের একটা সারমর্ম জানাবেই মনে হয়। আর বাকি রাত তো পড়েই আছে, ওর ভবিষ্যত আলোচনার জন্য।
"এই আমি উঠি..." বন্ধুদের বাধা সত্ত্বেও মামুন জোর করে উঠে বের হয়ে আসে।
রাত এখন এগারোটা, এই শহরে বেশি রাত নয়। রিকশা পাওয়া যাবে, আর মোহাম্মদপুরই বা কত আর দূর। নেশা মাথা নিয়েই হাঁটা শুরু করে মামুন। মনে হয় নেশাটা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে। বীরভোগ্যা বসুন্ধরা...বীরভোগ্যা বসুন্ধরা...মাথায় ঘুরছে লাইনটা। যতই দিন যাবে পরাজয়ের বোঝাটা বাড়বে, বেড়েই চলবে, সে তো আর বীর নয় যে ভোগ করবে বসুন্ধরাকে। পরাজয় নিয়ে বেঁচে থাকার গ্লানিটা মামুন হঠাৎ টের পায়।
শৈশবটা গেছে সংসারের অভাব আর মা-বাবার নিত্য কলহ দেখে এবং এরপর অবধারিত প্রহার হজম করে। এর মধ্যেও মনটাকে ঠিক রাখত তার সেই কবিতা, বাইরের অসুন্দরের মধ্যেও তার একটা নিজের সুন্দর জগত ছিল। যতই বড় হচ্ছে সেটা ততই আহত হচ্ছে আর দফায় দফায় পরাজয় হচ্ছে তার। পরাজয়ের এই গ্লানিটা ঢাকার মত পানীয় এখনো তৈরি হয়নি। অবসাদ আর ক্লান্তি নিয়ে মামুন হেঁটে চলে। মোহাম্মদপুর টাউন হলটা সামনে...বড় রাস্তাটা পার হলেই। দৈত্যের মত গর্জন করে ট্রাকগুলো ছুটছে রাস্তায়...ঝাঁপিয়ে পড়লে কেমন হয় একটা ট্রাকের সামনে? এই জীবন রেখেই বা এমন কী লাভ হচ্ছে তার? এই লাফটা দিলে হয়ত ভবিষ্যতের পরাজয়গুলোর গ্লানি আর সহ্য করতে হবে না।
মামুন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ইতস্তত ভাবতে ভাবতে একটা সিগারেট ধরায়। একজন প্রৌঢ় লোক পাশের দোকান থেকে কলা কিনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। একটু আনমনাই ছিলেন হয়ত, মামুন প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করেনি, সে নিজেও কাউকে লক্ষ্য করার মত অবস্থায় ছিল না। যখন মামুন লোকটাকে দেখল ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে...ট্রাকের ধাক্কা ছিটকে পড়েছে প্রৌঢ়ের শরীর...রক্তের বন্যা বইছে এই মাঝরাতের রাস্তায়। সাদা ওটা কী মাথা মগজ?...মামুন কী একটু আগে ঠিক এই পরিণতিই চাইছিল...রাস্তার উপর রক্তে ভাসবে তার শরীর...স্মৃতিগুলো মিশে যাবে এই কালো পথে...না না না...
টলতে টলতে বাসায় ফিরে মামুন। বাথরুমে গিয়েই উগরে বমি করে...বেরিয়ে আসে রাতের খাবার...পানীয়...এইভাবে যদি গ্লানি আর পরাজয়গুলো উগরে দেওয়া যেত। একটা রিলাক্সেন গিলে বিছানায় শুয়ে পড়ে সে।
পরদিন অনেক বেলাতে ঘুম ভাঙে মামুনের। ঘুম থেকে উঠে বেশ ঝরঝরে একটা অনুভূতি হয় অনেক দিন পরে। মাথাটাও অনেক হালকা লাগছে...গতরাতে ঘটনাগুলো মনে হয় সুদূর অতীতে দেখা কোন দুঃস্বপ্ন। কী সুন্দর এই সকালটা।
হঠাৎ মনে হয় বেঁচে থাকাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয়ের ঘটনা।
মন্তব্য
বড় সত্য বলেছেন ভাই।
অলস সময়
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পলাশ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গল্প ভালো লাগলো ভাইয়া।
--------
অট:
সেই মনীষীর সাথে দ্বিমত। কয়েক ফোঁটা পানিতে স্বাদ আরো খোলে, বরং বেশি বরফেই জিভে আসল স্বাদ দেয় না, শুধু চিলড্ অনুভূতিটা দেয়।
কোকের কথা বললেন - আহা, জ্যাক এন কোক এর সনাতনী কম্বিনেশান বড় মধুর!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এককালে বরফের উপর কাঁচা হুইস্কি ঢেলে খেলাম, মার্কিন দেশে দেখলাম জ্যাক ডানিয়েল কোক দিয়ে খায়। সেটা খেতেও বেশ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল্লাগছে তাসনীম ভাই অনুমতি দিলে এটা সেটা সন্দেহও করতে পারতাম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে নাহ...জীবিত বা মৃত কোন ব্যক্তির সাথে এই গল্পের কোনো ইয়ে নাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সন্দেহের পালে হাওয়া লাগলো!
ইয়ে, হাফসেঞ্চুরির অভিনন্দন! ইউরোপ অঞ্চলে পার্টির খরচটা আমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেই বাকি সবাই পেয়ে যাবে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এটাই সবচেয়ে বড় কথা।
তবে কিনা মাঝে মাঝে অনেক বড় বিজয়ও ভালো লাগে না, পানসে মনে হয়।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
এককালে বরফের উপর কাঁচা হুইস্কি ঢেলেই খেতাম। মার্কিন দেশে এসে দেখলাম জ্যাক ড্যানিয়েল কোক দিয়ে খায়। খেতেও বেশ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাগল মন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল্লাগছে
ধৈবত
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা সবসময়ই ভাললাগে, এইবারের গল্পটাও তার ব্যতিক্রম না।
অট: গল্পের নাম না জানা সেই মনষী বড় সত্য বলছেন আর জ্যাক আর কোক একসাথে মানে দুইটা কম্পানীর প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করা
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ তারাপ। জ্যাক এন্ড কিন্তু মন্দ লাগে না আজকাল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভারী ভালো লেগেছে গল্পটি।
ধন্যবাদ পাঠক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখার ভংগী এবং গল্পটা দারুন। একদম চোখের সামনে যেন সবকিছু দেখতে পেলাম।
-নিলম্বিত গণিতক
ধন্যবাদ নিলম্বিক গণিতক। আপনার নিকের মানে টা কী?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত জান্তব জীবন্ত গল্প ক্যম্নে লিখে
অতীত
ধন্যবাদ অতীত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার কাছ থেকে আরো ভালো লেখা আশা করি। মনো হোলো শুরু হবার আগেই একটা সম্ভাবনাময় গল্প শেষ হয়ে গ্যালো। চমৎকার শুরু, চমৎকার হিউমার থাকা সত্ত্বেও গল্পের মৃত্যু দেখলাম। পরের গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
পঞ্চাশটা লেখার মধ্যে এটা দ্বিতীয় গল্প। লিখতে গিয়ে বুঝতে পারি যে কাজটা কঠিন, বেশ কঠিন। আরো গল্প লেখার ইচ্ছে আছে, আশা রাখি ভবিষ্যতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা- ট্যাগে 'গল্প' দেখে তাই আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।
সুন্দর হয়েছে, আরো সুন্দর হতো ভাইয়া- শেষের তিন প্যারায় একটু ছন্দ কেটে গেছে। যাক, আরো গল্প দ্যান।
এক্সপেরিমেন্ট চলবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কবি কহিয়াছেন, "ভালোবাসা পেলে কোন বোকা পড়ে থাকে নষ্ট জলে"। তাই ভালোবাসা পেলে তরল সোনালী অগ্নিতে নষ্ট জল মেশাবেন না, নীট খাবেন। আর সেখানে কার্বোনেটেড ড্রিংক! নৈব নৈব চ। তাই জ্যাক বা জিম কে আমার পছন্দ না, ফায়ার অন আইসই ভালো।
আর এটাতো গল্প না, জীবনের প্রতিচ্ছবি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ ষষ্ঠ পাণ্ডব। দেখা যাচ্ছে জিম এন্ড কোক বিরোধী সচলের সংখ্যা অনেক
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লেগেছে, তবে এর থেকে ভালো গল্প লেখার ক্ষমতা আপনার আছে। পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
শিশু পালন এর কি খবর?? অনেকদিন ধরে নাই।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
কথাটা নির্মম হলেও সত্য
বড় ভালো লেগেছে।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালোই লাগলো।
ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল লেগেছে তাসনীম ভাই। আরো গল্প লিখুন।
ধন্যবাদ বইখাতা, আরো গল্প আসবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গল্প বেশি ভালো লাগলো না তো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
কী আর করা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার স্মৃতিচারণ করা লেখাগুলো খুবই ভাল লাগে পড়তে, সবসময়েই পড়ি আর ভাবি,খুব দুর্দান্ত আপনার লেখার হাত।
গল্পটা তাই আরও আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। ভালো লেগেছে। তবে আরও ভালো লাগতো, সংলাপগুলো যদি আরও ছোট ছোট, বাস্তবধর্মী হতো। ঘটনার বর্ণনায় খানিকটা কাঁচা ভাব রয়ে গেছে, এটায় আরেকটু মনোযোগী হলো খুব ভাল হবে।
এত কথা বললাম, কারণ আপনার কাছ থেকে কিছু খুব ভাল গল্প পড়ার প্রত্যাশা রাখি।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ছোট গল্পে আমি একেবারেই নতুন, এটা দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। এই গল্পের কিছু দুর্বলতা আমার নিজের চোখেও ধরা পড়েছেন। স্মৃতিচারণ আর গল্প লেখার মধ্যে অনেক ফারাক আছে, লিখতে গিয়ে টের পাই। আমি ফিডব্যাক সর্বদাই স্বাগত জানাই।
গল্প প্রচেষ্টা অবশ্যই চালু থাকবে তবে হাতে সময় বড় কম
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক হতাশাগ্রস্ত ছিলাম এই কয়দিন... আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগল। আশা জাগানিয়া...
আমার মত হতাশাবাদীদের জন্য এমন কিছু লেখা মাঝে মাঝে লেখবেন প্লিজ...
হিমাগ্নি
নতুন মন্তব্য করুন