মার্কিনি দেশে বৈচিত্র্য বড় কম। কাজ ও ভ্রমণের সুবাদে এই দেশের অনেক জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। হাইওয়েগুলো দেখতে একই রকম, একটু পরপর ফাস্টফুডের দোকান, রেস্ট এরিয়া। রাস্তা থেকে নেমেও যে খুব বিচিত্র কিছু দেখা যায় সেটা বলা যাবে না। বাড়িগুলোও দেখতে কাছাকাছি, ওদের সামনের বাগানগুলোও যে একটা থেকে আরেকটা খুব আলাদা তাও নয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার বাড়ির ভেতরের মানুষগুলোও প্রায় একই রকম। আমাদের ফার্মগেটে প্রায় একশ রকম হোমোসেপিয়ান্স আছে অথচ বিস্ময়কর ভাবে মার্কিনদেশের মানুষগুলোকে আমার যন্ত্রে তৈরি করা মানুষ মনে হয়। অধিকাংশই মিষ্টভাষী, দেখা হলে হাই-হ্যালো বলবে, আজকের আবহাওয়া নিয়ে প্রশংসা বা নিন্দা করবে, টুকটাক দু'একটা কুশল জিজ্ঞাসা করবে এবং তারপর নিজের ডেরায় ঢুকে যাবে। এদেরকে আপনি এদেশের উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সর্বত্রই পাবেন।
একটু সময় লাগলেও আমি পরে বুঝতে পেরেছি যে এই দেশ ভর্তি সুশীল মানুষ। কোথায় তৈরি হয় এই সুশীলরা? এর উত্তর পেয়েছি মেয়ের স্কুলে ভর্তি হওয়া পরে। একদিন স্কুল থেকে ফিরে মেয়ের প্রশ্ন।
“আব্বু তুমি যে জোরে জোরে বকা দাও, ইজ দ্যাট রেসপেক্টফুল?”
এই প্রশ্নে একটু থতমত খেয়ে যাই। জিজ্ঞেস করলাম রেসপেক্টফুল মানে কি?
“এটা মানে হচ্ছে, ইয়ু হ্যাভ টু ট্রিট পিপল উইথ কাইন্ডনেস...” মেয়ে বেশ দয়ার্দ্র গলাতে জানায়। “আই লার্নড ইট ফ্রম স্কুল। ইউ হ্যাভ টু বি নাইস টু আদারস”...“আম্মু যে বলে- পিট্টা লাল করে দেব, ইজ দ্যাট রেসপেক্টফুল?”
আমি মানতে বাধ্য হলাম যে এটা মোটেও রেসপেক্টফুল নয়। দেখা গেল আমরা যা যা করি তার সবই বেশ দুঃশীল কাজ। এছাড়াও খালি গায়ে ঘোরাঘুরি, খাওয়ার পরে বিকট শব্দে ঢেঁকুর তোলা- ইত্যাদি নিয়েও মেয়ের আপত্তি আসতে লাগলো। আমিও মেনে নেই এগুলো। সম্মান শেখার দরকার আছে। নারীর প্রতি সম্মান, সংখ্যালঘুর অধিকারের প্রতি সম্মান এগুলো শেখানোর সবচেয়ে উত্তম বয়সটা এই শৈশবেই। ঠিক বয়সে না শেখার কারণে অনেকের সারাজীবনেও আর এগুলো শেখা হয়ে ওঠে না।
তবে সমস্যা হচ্ছে আমাদের ছোটবেলাতে স্কুলে স্যারেরা বেশি “রেসপেক্টফুল” ছিলেন না। উঠতে-বসতে বেতের বাড়ি, চড়-থাপ্পড়, কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা, আঙুলের ফাঁকে পেন্সিল রেখে চাপ দেওয়া এগুলো সবই চলত দেদারসে। স্পেয়ার দ্য রড এন্ড স্পয়েল দ্য চাইল্ড নীতিতে বিশ্বাসী আমাদের অভিভাবকরাও এগুলোতে কিছু মনে করতেন না। এই কারণেই আমাদের মুল্লুকে সুশীলরা এখনো সংখ্যালঘু, পত্রিকার পাতাতে বিবৃতি আর টক-শো ছাড়া তাদের দেখা মিলে না। মার্কিনরা নিজেরা যেমন সুশীল, ওরা অন্যদেশের সুশীলদের বড় ভালোবাসে। ওরা চায় বিশ্বের দেশে দেশে সুশীলরা শাসন করুক আর পৃথিবীটা হয়ে উঠুক সুশীলায়তন।
তবে একটা ব্যাপার বলতেই হবে। দশ হাজার ফুট দূরের আকাশ থেকে নিরস্ত্র মানুষের ওপর গোলা মারার সময় কেন জানি এদের অনেকেই ছোটবেলার শিক্ষাটা বেমালুম ভুলে যায়। মনে হয় এদের শিক্ষা ব্যবস্থাতে এখনো কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। বাচ্চাদের আরও কিছু জিনিস শেখাতে হবে। যেমন কারো উপরই টমাহক মারা উচিত নয়, অন্যের তেল না খেয়ে নিজের তেল খাওয়াটাই উত্তম। হয়ত একদিন এই শিক্ষাগুলোও এদের পাঠ্যসূচীতে চলে আসবে। পৃথিবীটা পুরোই সুশীল হবে তখন।
সিবলিং রাইভ্যালারিঃ
এদেশে বাচ্চাদের খেলনা নিয়ে একটা নিয়ম আছে। নিয়মটা হচ্ছে “আই গট ইট ফার্স্ট”, অর্থাৎ যে আছে দখল করবে তার অধিকার সেটা উপর। ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলে এই নিয়মটা শুধু বাচ্চাদের নয়, এটা দুনিয়ার নিয়ম। ইংরেজদের আগে ফরাসীরা ভারতবর্ষ দখল করলে আমরা সবাই হয়ত ফ্রেঞ্চ শিখতাম।
দুই মেয়ের মধ্যে ঝগড়া- টিভির রিমোট কন্ট্রোল কে আগে নিয়েছে। বাচ্চা-কাচ্চা থাকলে আপনি বুঝবেন যে টিভির রিমোট আসলে কোনো বোকা যন্ত্র নয়, এটা আসলে ছদ্মবেশি খেলনা। বাচ্চাদের জন্য এরকম হাজারো খেলনা আছে ছড়ানো ছিটানো।
বড় মেয়ে গায়ের জোরে রিমোটের দখল বুঝে নেয়। সোফা থেকে ধাক্কা মেরে বোনকে ফেলে দিয়ে নো-ফ্লাই জোন কায়েম করে। আমি সর্বত্রই বিশ্বরাজনীতির ছোঁয়া দেখি এই শিশুপালন কর্মে।
ছোট মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে নালিশ দেয় আমার কাছে। আমি ব্যাপারটা সুরাহা না করেই পকেট থেকে আরেকটা ছদ্মবেশি খেলনা (ওটার নাম আইফোন) তুলে দিতে চাই মেয়েকে। কিন্তু গাজা স্ট্রিপে যে নিজের অধিকার নিয়ে লড়ছে তাকে হাওয়াইতে ভ্যাকেশন দিলে কোনো লাভে হবে কি?
ক্ষুব্ধস্বরে মেয়ে জানায় যে আমি সবসময়েই ওকে কম ভালোবাসি...এবার আপনি নিশ্চয় বুঝেছেন সিবলিং রাইভ্যালারি কি? এটার কোন ভালো বাংলা প্রতিশব্দ পেলাম না। আপনার জানা থাকলে মন্তব্যে শেয়ার করুন।
একাধিক সন্তান থাকলে পিতা-মাতাকে এই সমস্যার ভেতর দিতে যেতে হতে পারে। দুইজনকে সমান ভালোবাসলেও কাজে-কর্মে সেটাকে দেখিয়ে বাচ্চাদের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি না করা অন্যতম কঠিন একটা চ্যালেঞ্জ। ভালোবাসার পাশাপাশিতে শাস্তির ক্ষেত্রেও সমতা আনতে হবে। ১/১১ পরবর্তী সেনাসমর্থিক সরকারের শাসনামলে নিয়মিত টিভি আর পত্রিকা পড়লে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বেশ উপকার পাবেন। একই অপরাধে একজন জেলে যাবে আর অন্যজন গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরবে সেটা হবে না।
আমার ধারনা বাচ্চা-কাচ্চা যত বেশি রেষারেষির পরিমাণও ততবেশি। কারণটা নিশ্চয় সম্পদের সীমাবদ্ধতা। ভাইয়ে-ভাইয়ে, বোনে-বোনে বা ভাই-বোনের এই দ্বন্দ্ব অনেক সময় বড় হয়ে গেলেও থাকতে পারে, ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধের মত কুৎসিত জিনিস এই পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। তাই শৈশবেই এটাকে নির্মূল করা উচিত। আমি সত্তর বছরের মানুষ দেখেছি যে তার প্রয়াত বড়ভাইকে এখনো মনে মনে অপছন্দ করে, কেননা বাবা তাকেই বেশি ভালোবাসতো। শৈশবের কাঠিন্য পরবর্তীতে আমাদের মনুষ্যত্ব নিয়ে টানাটানি করতে পারে, তাই সর্বদাই উচিত বাচ্চাদের শৈশবকে আনন্দময় করে তোলা।
তাই বলছিলাম যে বিশ্বরাজনীতি বলুন আর দেশী পলিটিক্স বলুন সব কিছুর ফ্লেভারই আছে শিশুপালনে। এগুলো নিয়ে তো লেখালিখি কম করলেন না। এবার জীবনে সেটার ছোঁয়া আনুন। উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়...
মন্তব্য
সিবলিং রাইভ্যালারি জিনিসটা সব সময়েই কী খারাপ? আমাদের তিন বোনের মাঝে এটা লেগেই থাকত। আমাদের ঝগড়ার একটাই টপিক ছিল, আব্বু আম্মু কাকে বেশি ভালোবাসে। ভালোবাসা জিনিসটার যেহেতু প্রমাণ হয় না, সুতরাং ঝগড়ার শান্তিপূর্ণ মীমাংসারও কোন পথ ছিলো না। তবে এটাও ঠিক, আমি বেশি ঝগড়া করেছি আমার মেজ বোনের সাথে, কারণ আমরা দুজনেই ছিলাম জেদি। তারপরেও ওর সাথেই আমার খাতির বেশি। সেই তুলনায় বড় বোন অনেক বেশি আদর করতো আমাকে, এখনো করে। তার সাথেও ভালো সম্পর্ক, কিন্তু মেজো বোনের সাথে মারামারি করা যে টক ঝাল সম্পর্ক, সেটা আলাদা মজার।
শিশুপালন আসলো তাহলে আবার।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
ধন্যবাদ টিউলিপ। টক-ঝাল-মিষ্টি ঝগড়াটা খারাপ নয়, সেটা কিন্তু রেষারেষি নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতো ভালো হয়েছে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শিশুপালন আবার শুরু করার জন্য। আপনার গত লেখার কমেন্টে জিজ্ঞেস করেছিলাম শিশুপালন নিয়ে, আর আজকে পেয়ে গেলাম। অনেক খুশি লাগছে।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিয়েন।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ সুপ্রিয়। পরের পর্ব যে কবে আসবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারন তাসনীম ভাই! অনেক দিন পর শিশুপালন আসলো। সিবলিং রাইভালরিটা মনে হয় ভাইবোনদের মাঝে একটু বড় রকম বয়সের ব্যবধান থাকলে আর হয় না। মানে দুজনেরই পয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট আলাদা আলাদা থাকলে ঝগড়াটা কম হবে। বড়টা ছটোটার প্রতি স্নেহও অনুভব করবে আর ছোটটাও বড়টাকে একটু এড্ভাইসর এর মত দেখবে। অবশ্য বাবামাকে এই দৃষ্টিভঙ্গিটা ছোটবেলায় শেখাতে হবে আগে। আরো লিখুন এরকম লেখা ঃ)
ধন্যবাদ igol। ঠিকই বলেছেন, পিঠাপিঠিদের মধ্যেই ঠোকাঠুকি বেশি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যেটা বলেছি ভাই বিশ্বমন্দার কারণে লেখার বাজেট কাট। এতে লেখক ও পাঠক দু'জনেরই সাশ্রয়। তবে আগামী মার্কিন মুল্লুকে বড় করে লিখবো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পর্যাপ্ত কিপ্টামি করে লেখা দেয়ায় মাইনাস!
আমি আজকে ভাবছিলাম এই সিরিজটার নাম 'শিশুপালন' বদলে 'পরীপালন' করে দেয়া দরকার। দুই পিচকার একটা ছবি জুড়ে দিয়ে দেখেন সবাই আমার সঙ্গে একমত হবে।
অনেকদিন পর নতুন পর্বের জন্য ধন্যবাদ। পরের পর্ব কী এরকম দেরিতেই ছাড়বেন? স্মৃতির শহর, মার্কিন মুল্লুকে (বিশেষত ড্রিম সম্পর্কিত ঘটনাগুলো), গল্প আর ছবি এসব কই?! আপনি ইদানিং বেশ ফাঁকি দিচ্ছেন!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
"আম্মু যে বলে- পিট্টা লাল করে দেব, ইজ দ্যাট রেসপেক্টফুল?”
"যেমন কারো উপরই টমাহক মারা উচিত নয়, অন্যের তেল না খেয়ে নিজের তেল খাওয়াটাই উত্তম।"
লেখা ভালো লাগলো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
ধন্যবাদ আব্দুর রহমান। আপনার লেখা দেখি না কেন?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার প্রফেসর যাতে আমার সাথে রেসপেক্টফুল আচরণ করেন, তাই গবেষণা করি মন দিয়ে।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
eye opener এর বাংলা কি? লেখাটা চোখ খুলে দেয়। খুবই ভাল লাগল পড়ে। না না আসলে ভাল লাগেনি। কেমন যেন চিন্তায় পড়ে গেলাম।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
ধন্যবাদ বিবাগিনী। মন্তব্য পড়ে আমিই চিন্তায় পড়ে যাচ্ছি। আই ওপেনার বাংলা যে কী হবে- একটা যুৎসই শব্দ আছে...মনে পড়ছে না এখন। তবে এখানে অনেকেই আছেন যারা বলতে পারবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আই ওপেনারের বাংলা জানি না, তবে বটল ওপেনারের বাংলা জানি। "মোটকা খুলুইন্যা"। বোতলের মুখকে আমরা (ইয়ে মানে, আমিই বলি এইটা) মোটকা বলি তো তাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো তো ধুগোই।
বোতল মানে মটকা??
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
"আমাদের ফার্মগেটে প্রায় একশ রকম হোমোসেপিয়ান্স আছে"...হক কথা, পকেট সামলে রাখতে পারলে ফার্মগেট বড়ই বৈচিত্রময় ও আনন্দময় জায়গা।
খুব ভাল লাগলো লেখাটা।
পড়াচোর
ধন্যবাদ পড়াচোর। ফার্মগেট বড় প্রানবন্ত জায়গা। আব্বার পরামর্শ মতো ওয়ালেট ফ্রন্ট পকেটে রাখতাম সব সময়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রায় এক সপ্তাহ পরে সচলায়তনে ঢুকলাম। প্রথমেই খুব ভাল একটা লেখা পড়লাম। খুব ভালো লাগলো। -রু
ধন্যবাদ রু
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আকারে কিঞ্চিত ছোট তাই অনেকেই ফাঁকি দেয়া পোস্ট বললেও আমার তা মনে হয়নি, বরংচ অতি-অতি প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় উত্থাপন করেছেন এখানে।
আমার প্রিয় কিছু বন্ধু-বান্ধবের মাঝে এখনও এসবের অভাব দেখে কান্না পেয়ে যায় মাঝে-মাঝে, হয়ত আমার নিজেরও আছে।
খুব ভালো লিখেছেন।
- দিগন্ত বাহার
ধন্যবাদ দিগন্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সিবলিং রাইভ্যালরির বাংলা হতে পারে সহোদরারিত্ব (সহোদর/সহোদরা যখন পরস্পর অরি, এমন অবস্থা)।
আই ওপেনার হচ্ছে উন্মীলক।
লেখাটা ভালো লাগলো। ব্লগস্পটে একটা ছোটো প্রাইভেট ব্লগ খুলে দিন দুই পিচ্চির জন্য। ছোটোবেলা থেকেই যৌক্তিক তর্ক শেখা দরকার। যা কিছু কিলাকিলি ব্লগে করলে টাইপিং স্পিডও বাড়বে, আবার রেকর্ডও থেকে যাবে।
সিবলিং এর বাংলা যে সহোদর এটা মনে আসছিল না। যৌক্তিক তর্ক শেখানোর ব্যাপারটা আমারও মাথায় আছে। অন্যের সাথে তর্ক নয়, নিজের লাইফ এনালাইসিসের জন্যও এর দরকার আছে। স্কুলের ডিবেট ক্লাবেও দেব যথাসময়ে। ব্লগ খোলার আইডিয়ার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত কঠিন শব্দটা দেখে আই আসলেই বড় বড় করে ওপেন করে আছি।ধন্যবাদ হিমু ভাই।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::
লেখায় । (সে আর নুতন কী? )
আমরা তিন ভাইবোন।
দু-বোনের কারুরই সন্দেহ নেই যে, একমাত্র ভাইটি জননীর নয়নপুত্তলি আর কনিষ্ঠা ভগ্নি 'দ্যুতি' জনকের।
আমি 'দুধভাত'।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুম...আমিও দুধভাত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার ভাই বোন নেই - কাজেই ওই সিবলিং রাইভ্যালরি বস্তুটার স্বাদ কেমন জানিনা
পোস্টে
লেখায় প্রথম পাঁচতারা কাল রাতে আমিই দিয়ে গেসলাম।
... খুব খুশি হবো, যদি এদের বাদানুবাদ নিয়ে একখানা পোস্ট দ্যান।
ধন্যবাদ সুহান। এদের সাথে কথোপকথন আর ওদের বাদানুবাদ নিয়ে একটা লেখা দিব
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- ভুল করছেন, এরা আগেই বলে নেয় যে ওইসমস্ত দেশের সুশীলদের বাঁচাতেই তাদের কুশীলদের ওপর আক্রমণ, মাঝে মাঝে এক্সিস অফ কুশীলস না কিসব যেন বলে কিছু কিছু দেশকে সরকারীভাবে কুশীল তালিকাভুক্ত করাও হয়।
- আবারও, এদের দেশের সুশীলেরা জানে তারা টাকা দিয়ে তেল কেনে ...
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সব সুশীলই কিন্তু বোমাবাজী করে না, ভালো সুশীলও আছেন যারা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ বা অন্যান্য ভালো কাজ করেন। আশারাখি একদিন এরাই রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবেন। অবশ্য লঙ্কায় গেলে তারাও রাবণ হয়ে যেতে পারেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ লাগলো পড়ে।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ধন্যবাদ তারানা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
১
লেখা ভালো লেগেছে।
২
দুনিয়াজুড়া পচুর রাজনীতি। আগেভাগেই বাচ্চাদের পাকসাফ রাজনীতি শিখিয়ে রাখা ভালো।
৩
আম্রিকি সুশীলতার ব্যাপারে আপনার বিশ্লেষণ দেখে উপকৃত হলাম। এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছিলাম কিছুদিন আগে।
৪
সিবলিং রাইভ্যালারি=সহোদর-প্রতিদ্বন্দ্বিতা
৫
ধারনা > ধারণা
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আফামণি, তোমার ধরণ > ধরন -এর তোপের মুখে আমারো প্রায়ই ধারণা > ধারনা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনেক কষ্ট করে "ধরন" বানান শিখে সেখান থেকে "ধারনা" বানিয়েছিলাম। বাংলা ভাষা এত কঠিন কেন?
হিমুর দেওয়া "সহোদরারিত্ব" মন্দ না, যদি অরি মানে শত্রু আর রাইভ্যাল হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"সহোদরারিত্ব" প্রথমে খেয়াল করিনি। বেশি দাঁতভাঙা ঠেকছে আমার কাছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখা ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেকদিন পর এই সিরিজে হাত দিলেন।
ধন্যবাদ...এই সিরিজটা আরো কিছুদিন চলবে হয়ত। এটা লিখে মজা পাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কারণ ওদের কেউ শিক্ষা দিতে পারে না।
লেখা বরাবরের মতই চমৎকার!
উদ্ধৃতিটা হাওয়া হয়ে গেল!
সুমিমা ইয়াসমিন
হা হা হা! দারুণ!
আমার কাছে ইংল্যান্ডের হাইওয়ে অসীম বোরিং মনে হয়েছে একসময়ে, আমাদের দেশে যেখানে শহর থেকে বেরুলে ১৫ মিনিটের মাঝে প্রকৃতি আর মানুষের হরেক বৈচিত্রের দেখা মিলে সেখানে অসীম প্রান্তর জুড়ে একই দৃশ্য... অসহনীয়! আমার মন মেজাজ খারাপ থাকলে তাই রিকশা নিয়ে হলেও বেড়িয়ে পড়তে ভালো লাগে, খানিক্ষণের মাঝেই দেখবার এত কিছু মিলে যে মনটন সব ভালো হয়ে যায়।
আমি নিশ্চিত আমার মায়ের আমার ছোট ভাইয়ের প্রতি আদর অনেক বেশি। বাবা-মা কেউই এই ছেলেরে ছোট থাকতেই যথেষ্ট (সবাই পড়েন - আমার সমান) পিডা যে দেয় নাই তা তো সচক্ষেই দেখেছি! তার সাথে আমার বয়সের ব্যবধান কম নয়, কিন্তু মাইরপিট পচুর করেছি আমরা। এবং সেটা বেশ বড় হয়েও চলেছে, (বদটা আমার চেয়ে বেশি শক্তিশালী না হয়ে গেলে এখনো চলতো মনে হয়)! কিন্তু অদ্ভুত হলো এই ছোটটার আমার প্রতি যে টান একেক সময়ে প্রকাশ পায় তা আমাকে অভিভূত করে ফেলে, তাকে অবশ্যই জানানো হয় না সেটা, আমাকেও বেশি জানান দেয় না (এটাও একরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিন্তু! ) এমনিতে সে যথেষ্ট বিজ্ঞ হলেও বয়সে বড় বলে নয়, তার চেয়ে সামান্য অভিজ্ঞতা বেশি বলে মাঝে মাঝে কিছু রূঢ় সত্য তাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে বা বুঝিয়ে দেবার দায়িত্ব ঘাড়ে চেপেছে ইতিমধ্যে বেশ ক'বার। তাকে আমার মতোই ধীরে ধীরে 'বড়' হয়ে যেতে দেখা, সারল্যহীন করে দেয়া স্থির মাথায় জোরের সাথে, জীবন যে আসলে বেশ কঠিন সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্বটা আসলে খুব খারাপ লাগে পালন করতে। আপাতত টাইফয়েড, এবং শয্যাশায়ী, সামনে জরুরি পরীক্ষা, বাড়িতে আনানো হয়েছে হোস্টেল থেকে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টাইফয়েড বড় বদ রোগ- তোমার ভাইয়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আশা করছি তোমাদের ভাই-বোনের সুসম্পর্ক সারাজীবন অটুট থাকবে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা শত্রুতাতে রূপ নিলে সেটা ভালো নয়। মেজরিটি পরিবারেই সাধারণত সেটা হয় না। এক্সেপশনও আছে, আমি দেখেছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কঠিন মজা পাইলাম...
"পিট্টা লাল করে দিব"
জোস...
আম্রিকাতে উলটা পুল্টা হইবই...
হিমাগ্নি
ধনব্যাদ হিমাগ্নি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজটা আমার এত প্রিয়!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পিচ্চিদের ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। দারুণ লিখেছেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সম্ভব হলে আমার ছেলেবেলা মোড়কে পুরে আপনার কাছে পাঠিয়ে দিতাম। আপনি সেটা লিখে ছাপিয়ে দিতেন।
অতীত
ধন্যবাদ।
আমাকে পাঠাতে হবে না, আপনি নিজেই একদিন শুরু করে দিন। দেখবেন গড়গড়িয়ে চলছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাললেখায় মন্তব্য না করাটা ফৌজদারি অপরাধের সামিল, তাই দেরিতে হইলেও তাসনীম ভাই সিলডা মাইরা যাই
love the life you live. live the life you love.
আইসো সার্টিফিকেশন ধন্যবাদের সাথে গৃহীত হলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাই হাসতেই আছি।ভাবছি আমারো ছেলেপুলে হবে তারাও কি এভাবে বিভিন্ন ত্রুটি ধরিয়ে বলবে আমি ডিসরিস্পেক্টফুল।ভালো লিখেছেন সিরিজটা উপভোগ করছি।
ধন্যবাদ জাহার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম আপনার এই সিরিজটি যে খুব পছন্দ করি, আগে কি তা বলেছি?
লেখা চলুক ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
আগেও বলেছেন...আবার বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা ভালো লাগলো তাসনীম ভাই। বুঝলাম, এখন মধ্যবয়স যার শিশুপালনের তার শ্রেষ্ঠ সময়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ঠিকই বুঝেছেন ভাই ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনাকে একটা কথা বলা হয়নি। প্রথম পর্ব থেকেই আমি শিশুপালন এর প্রতিটি পর্ব আমার হার্ড ডিস্কে সেভ করে রাখছি। (অনুমতি নেইনি বলে দুঃখিত)। আগামী ২ মাসের মধ্যে বাবা হচ্ছি, লেখাগুলো আমার খুবই কাজে দেবে। আরো ভালো হতো যদি বাচ্চা হওয়ার পর পরই বাবাদের কি করণীয় বা কিভাবে কি করতে হয় সেটা নিয়ে একটা লেখা দেন। অনুরোধ থাকলো।
সুপ্রিয় দেব শান্ত
অনেক অভিনন্দন রইল। ওয়েলকাম টু প্যারেন্টহুড, বেতন না থাকলেও মজা অনেক এই কাজে। শিশুপালন সেভ করার জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই।
বাচ্চা হওয়ার পরে বাবাদের জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই করতে হয় আপনি গুগল করলে প্রচুর তথ্য পাবেন। তবে তথ্যভারাক্রান্ত না হয়ে যখন যেটা দরকার সেটা জেনে নিবেন। বাচ্চার জন্ম নিলে সেই সাথে বাবাও জন্ম নেন। বাচ্চা বড় হবে আর সেই সাথে বাবাও বড় হবে। আস্তে আস্তে সব কিছুই জেনে যাবেন। রিয়েল লাইফ লেসন শেখার সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে রিয়েল লাইফ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রেসপেক্টফুলি দিয়ে গেলাম।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধন্যবাদ কৌস্তুভ ও কনফুসিয়াস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাচ্চারা এতো প্রশ্ন কোথায় পায়?
বাচ্চারাই জানতে চায়...বড় হলে আর জানতে ইচ্ছে করে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার ও আপনার মত দুইখান কন্যা চাই।
দোয়া রইল, পাবেন নিশ্চয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া পিচ্চি দুইটা কে সামনে পেলে আমি খেয়ে ফেলব এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই
আর আপনার লেখা র কথা নাই বা বললাম।
নতুন মন্তব্য করুন