আমি ব্লগে লেখালিখি শুরু করেছি মাত্র পৌনে দুই বছর হলো। এই অল্প সময়েই লেখাটা একটা বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন পরপর কোন একটা কিছু লেখার জন্য রীতিমত বেগ হয়, প্রায় প্রাতঃকালীন বেগের মতোই। নানান কারণে লেখা হচ্ছে না ইদানীং। বেশ কয়েকটা লেখা অর্ধেক লেখা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে বসতে ইচ্ছে করে না। রাইটার্স ব্লগের মত ব্লগার্স ব্লক বলেও হয়ত কিছু একটা আছে। বেশ অস্বস্তিকর একটা ব্যাপার, অনেকটা কোষ্ঠকাঠিণ্যের মতো।
ভেবে দেখলাম এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য দিনলিপি টাইপের কিছু একটা দেওয়া যায়। আমার দৈনন্দিন কাজের তালিকা হচ্ছে খাওয়া, টিভি দেখা, বাচ্চা পালা আর ঘুমানো। “খাইলাম, দাইলাম, ঘুরলাম...এই বিষয় গুলো নিয়ে সামুতে অনেক সুন্দর সুন্দর লেখা আসে। ইদানীং দেখলাম সরকার বাহাদুর বলেছেন ওটা সবচেয়ে ইনোভেটিভ ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। সরকারের এই কথায় আমারও টনক কিছুটা নড়েছে। সচলে এই ধরনের মালের বড় অভাব, সেই অভাবটাও পূরণ হওয়া দরকার। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে আগামীবার ইনশাল্লাহ ফার্স্ট প্রাইজটা একদম ছিনিয়ে আনতে পারবো।
২.
ফেসবুকে প্রায়ই চোখ বুলাই। আমার সমবয়েসি পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা বেশ বিরক্ত আমার উপর। এই বয়েসে এতো ফেসবুক কিসের? ওদের বক্তব্য যদি সরল বাংলায় অনুবাদ করি তবে সেটার মানে দাঁড়ায়... কাজে মন দে ইয়ের ভাই। কিন্তু কাজের ফাঁকে ফাঁকে মানুষের স্ট্যাটাস দেখতে ভালোই লাগে। কনকো ফিলিপের সাথে চুক্তি নিয়ে প্রতিবাদের এক পর্যায়ে দেখলাম লোকজন ওদের ফেসবুক দেওয়ালে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অনেক মন্তব্যই বাংলায়, একজন লিখেছে...
বাংলার গ্যাস তোদের দেব না...এমনকি পশ্চাৎদেশের গ্যাসও...
এই বিনোদন আর কোথায় পাবো?
আরেকটা ব্যাপার দেখলাম – মেয়েদের প্রায়ই মন খারাপ থাকে। এটা আমার কাছে বেশ বিস্ময়কর। আমি সহ আমার চেনাজানা প্রায় সব পুরুষ মানুষই সর্বদাই আনন্দে থাকে। মেয়েদের মন খারাপ এতো বেশি হয় কেন? আমি ছোটবেলা থেকেই ভানু বন্দোপাধ্যয়ের বিরাট ভক্ত। মন একটু বেচাল হলেই ভানুর রসিকতাগুলো শুনি, অধিকাংশ আমার মুখস্থই আছে। মন ভালো করার এরচেয়ে ভাল ওষুধ আজও আবিষ্কার হয় নি। ভানু হচ্ছে বাংলা ভাষার সবচেয়ে মজাদার মানুষ। উনি বেঁচে থাকলে ওনাকে কদমবুসি করে আসতাম। বিষাদে ভোগা মানুষদের জন্য ভানুর একটা ক্লিপ জুড়ে দিলাম। সবাই ভানুকে হৃদয়ে ধারণ করুক।
http://www.youtube.com/watch?v=NFxgrvwLiz0
৩.
দালাই লামা বলেছেন – মানুষের জীবনের লক্ষ্যই হচ্ছে সুখ লাভ। সেই সুখ পাওয়ার কোনো শর্টকাট উপায় বলে দেন নি উনি। দিনে দিনে সেই সুখ বড়ই দুর্লভ বস্তু হয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে যা ঘটছে তাতে সুখে থাকার চেষ্টা করাটাই বাতুলতা। কয়েকদিন আগে ঢাকার ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলে ঘটে গেল শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের মত ভয়ংকর ঘটনা। শিক্ষকটি হিন্দু - এই জন্য প্রচুর সাম্প্রদায়িক মন্তব্যও দেখলাম। এই নিয়ে ফেসবুকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে আলোচনাও হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত সম্প্রদায় বিরাজমান ততদিন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িকতাও বিরাজমান থাকবে - আমাদের আলোচনার এটাই মূল বক্তব্য। মাই গড ক্যান কিক ইয়োর গড'স এ্যাস – এই ধারণা ততদিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
তবে আমি বুঝে গেছি সংসারে এবং সমাজে বাস করে সুখলাভ সম্ভব নয় – এর জন্য দরকার মোটামুটি ভালো সাইজের একটা বোধিবৃক্ষের তলা। এই মার্কিন দেশে বোধিবৃক্ষও দেখিনি একটাও। সম্ভবত এই দেশে ওই গাছটাও জন্মায় না তেমন। যদি দুই একটা থাকে তবে হয়ত এক শুভদিনে আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখবেন
মহামুক্তির জন্য গৃহত্যাগ – আপনাদের সবার দোয়াপ্রার্থী, সময়ের অভাবে আত্মীয় পরিজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা করে পারিনি দেখে দুঃখিত।
এর পর গাছের তলার গেরুয়া বসনে ধ্যানরত ছবিও পোস্ট করব।
সেই দিন কবে আসবে?
৪.
আমার বেঁচে থাকতে বড় ভালো লাগে। বেঁচে থাকলে হয়ত ধানমন্ডি লেকের ধারে দাঁড়িয়ে সবান্ধবে আবার চটপটি আর ফুচকা খেতে পারবো। মরে গেলে সেটা আর সম্ভব নয়। আমি আবার রিসাইকেল করা পছন্দ করি তাই হয়ত সেই কারণেই পুনর্জন্মে বিশ্বাস করি। আমার ভাগ্য যেহেতু খারাপ তাই আমার ধারণা আগামী জন্মে আমি মঙ্গোলিয়া বা সাইবেরিয়ার কোথাও নেব। ভাগ্য আরও খারাপ হলে হয়ত পাকিস্তানে জন্ম নিতে পারি। এই জন্মেও পাকিস্তানি হয়ে জন্ম নিয়েছি। বারবার একই ঝামেলা ভালো লাগে না। সেই জন্মে আর ফুচকা খাওয়া হবে না - এই জন্যই এই জন্মটাই চেষ্টা করি যথাসম্ভব ধরে রাখতে। একবার দেশে গিয়ে ৫ প্লেট চটপটি খেয়েছিলাম পরপর, ওই দিনই প্রায় পঞ্চত্বলাভ হয়ে যাচ্ছিল। এই দারুণ অসুখী পৃথিবীতে আনন্দের উপকরণও কম নেই।
৫.
কাজ থেকে ছুটি নিয়েছি। একদম পাক্কা দুই সপ্তাহ। যাচ্ছি দূরদেশে। যাওয়ার আগে এই লেখা দিয়ে যাব। এর মধ্যে অফিসের ই-মেইল যেমন পড়ব মাঝে মাঝে, তেমনি সচলও খুলবো মাঝে মধ্যে। এর আগে কোনো লেখাকে এমন অনাথ করে পালিয়ে যাই নি। এটা লেখার কোষ্ঠবদ্ধতা কাটানোর জন্য – সুতরাং এটা কী জিনিস সেটা নিশ্চয় বুঝেছেন?
যাই হোক সুখে থাকুন – কাজটা কঠিন তবে চেষ্টা চালিয়ে যান। টা টা...
মন্তব্য
তাসনীম, বরাবরের মতই লাজবাব ।
সুখের কথা বলছেন? মনে পড়ে, রবীন্দ্রনাথ কি বলেছেন...
http://youtu.be/7ppxuzHQmq8
যাক গে, আপনার ছুটির দিনগুলো আনন্দের হোক । আপনজনদের সঙ্গে ভাল কাটুক ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
দূরদেশ যাত্রার জন্য শুভকামনা রইল।
টা টা; বাই ভাই..
এম আব্দুল্লাহ
আমার নিজের অবশ্য বিষণ্ন ধাঁচের দিনপঞ্জি পড়তে বেশ ভাল্লাগে।
ছুটির দিনগুলো খুব ভাল কাটুক, শুভকামনা রইলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যাত্র শুভ হৌক আর মনষ্কামনা পুর্ন হৌক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গেরুয়াধারী হয়ে বোধীবৃক্ষের তলায় বসার কথা ভাবী জানেন? পিট্টা খেয়ে লাল হয়ে যাবার কথা তো
শুভকামনা থাকলো, ছুটির দিনগুলো আনন্দে,সুখে কাটুক। ফিরে এসে দারুণ একটা পোষ্ট দিবেন সে আশায় থাকলাম
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুমম, লাল হল বৌদ্ধ শ্রমণদের বেশ, সেটাই বা মন্দ কী...
''লাল আজকে আমার কাছে রাজনীতি, বড় হয়ে গেছি যে হায়....
কী করা যায়!''
নীল একটা রঙ: অঞ্জন দত্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গেরুয়া পরা ছবিতে ভাবীকে ট্যাগ করে দেব - সেখান থেকেই জানতে পারবে।
একটা পোস্ট অবশ্যই দেব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছুটির দিনগুলো ভালো কাটুক। এখানে দেশেও আমাদের অনেকেই অবশ্য ছয়দিনের হরতালের ছুটি কাটাচ্ছে।
ভাইয়া অতি সত্য, তবে অতিথি লেখকতো আমার হয় অতি দ্রুত, প্রতি সপ্তাহে একটা না দিলে...... .......(তবে মডুবৈতরণী পার করা বড় কষ্টের )!!!
ভাগ্যিস এখনও এই দিনগুলোতে আছি, তবে আমরা 'চাপ' খাই বেশি, আরেকটু এদিকে আবাহনী মাঠের দিকে আসলে 'কাদেরের চাপ', এটা আরো ভালো..........
ছুটির দিন পরিপূর্ণ ছুটিতেই কাটুক, শুভ কামনা রইল তাসনীম ভাই...............
ভ্রমণ আনন্দময় হোক। লেখা যথারীতি 5*
love the life you live. live the life you love.
প্রত্যেকটা সেকশনেই দিতে ইচ্ছা করছে। বিশেষ করে ওই কথাটায়, যে মেয়েরা হরহামেশাই মন খারাপ করতে আর সেটা নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে পছন্দ করে। এই নিয়ে সন্ন্যাসীদার দারুণ একখানা কথা আছে।
ভাল করে ঘুরেফিরে, সুখে খেয়েদেয়ে আসেন। তারপর পছন্দনীয়কেও ছাপিয়ে যেতে পারেন এমন একখানা লেখা দেন সেই নিয়ে।
গ্যাস সংক্রান্ত স্ট্যাটাস পড়ে বাকি লেখার কোথাও , কোথাও আর খান কতক জায়গায়
ভানু ভালোই লাগে, তবে তার কৌতুকগুলো লাউড আর একদমই সোজাসাপ্টা। আমার পছন্দ একটু ইঙ্গিতপূর্ণ রম্য- যেমনটা পাই আপনার, কৌস্তুভ, পছন্দনীয়, সজল বা আদি যুগের সংসারে সন্ন্যসী, মৃদুল বা লুৎফুল ভ্রাতঃবৃন্দের লেখায়। মৌখিক সংলাপের ক্ষেত্রে উৎপল দত্তের জুড়ি মেলা ভার। তুলনা করছি না - হাসির কথা এলো বলে এই এমনি বললাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যাঁদের সঙ্গে আমার নাম নিলেন দেখে করা নিতান্তই সমীচীন বোধ করলুম...
ইঙ্গিতপূর্ণ রম্য মানুষের কেন বেশী ভাল লাগে, এইসব আলোচনা নিয়ে এই বছরই Daniel Dennett একটা বই লিখেছেন, Inside Jokes - Using Humor to Reverse-Engineer the Mind নামে। ফিলোজফি-সাইকোলজি মিলিয়ে জটিল ব্যাপার। যেইটুক বুঝেছি এইখানে লিখলাম।
এইটা নিয়ে ওনাদের বক্তব্য এইরকম - একটা ইঙ্গিতপূর্ণ রম্যের প্যাঁচ ছাড়িয়ে আসল মজাটা উদ্ধার করতে পারলে একটা আনন্দ হয়, যেটা একটা জটিল ধাঁধা বা একটা কঠিন অঙ্ক সমাধান করার আনন্দের মতই এক্কেবারে। তাহলে এরকম রম্য শুধুর মজা হিসাবেই আনন্দ দেয় না, বুদ্ধিকে একটা রিওয়ার্ডও দেয়। সেইজন্য এগুলোয় ডবল মজা।
কী, ব্যাখ্যা পছন্দ হল? আমাকে unweaving the rainbow-এর মত দোষ দিবেন্না তো?
পছন্দ হয় নাই মানে? জব্বর হয়েছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কার কার সাথে আমার নাম নিচ্ছেন? এসব কামেল ব্যক্তিবর্গকে অপমান না করলেও তো হতো...
সবাই বিনয় দেখালেও আমি কিন্তু ওই পথে যাচ্ছি না। এই দুর্মূল্যের বাজারে একটু-আধটু প্রশংসা যা পাওয়া যায়, তাও যদি বিনয়খাতে খরচ হয়ে যায়, তাইলে আর হলো কী!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কাকেশ্বরের সময় বাঁচানোর কথা মনে পড়ে গেল...
আপনার লেখাগুলো খুব ভালো লাগে তাসনীম ভাই। একেবারে সরল সিধে বাক্যগুলো একসাথে মিলিয়ে কত যে অসাধারণ!!! দূরদেশ থেকে ফিরে এসে লেখা দেন।
ফুচকা কেমন জানি মেয়েলি মেয়েলি খাবার মনে হয়। মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে চা-বিড়ি খাওয়ার আশা পোষন করে আছি গত এক বছর যাবৎ।
ঘুরে আসুন শান্তিতে। আপনার জন্য একটা গান http://www.youtube.com/watch?v=lTEMVkbRph8
তাসনীম ভাই, বলেন তো, মরে গেলে, পরের জন্মে আদিম যুগে জন্ম নেওয়া সম্ভব না? আমার আবার আদিম যুগ খুব ফেবারিট । সবকিছুর ভিতর একটা আদিম ভাব, সবচে বড় কথা কোনও লেখাপড়া আর চাকরি-বাকরি ঝামেলা নাই, প্রেম করাও অনেক ইজি হবে, (কোনও শ্রেণীবিভাগ নাই এই ব্যাপারে)। গাঞ্জা খাইতেও কোনও নিষেধ নাই, বাঁশের কলকিতে গাঞ্জা খাইতাম, পুরা ব্যাপারটাই পাঙ্খা......। টাইম-মেশিন থাকলে আমি সবার আগে মনে হয় আদিম যুগে যাইতাম। একটু স্বপ্ন বিলাস করলাম...
শিরোণামটাই চুড়ান্ত কথা বলে দিয়েছে। তবু জানতে চাই, দু হপ্তার জন্য কি সুখের সন্ধানে বেরুচ্ছেন? পাহাড় সমুদ্র না অরণ্যে? কিন্তু ফিরে এসেও মনে হবে, সেই খাড়া বড়ি থোড় ....সুখ নাইরে পাগল
আমার তুচ্ছ একটা সুখবোধের উদাহরন দেই।
সেদিন বাসায় ফিরছিলাম হেঁটে। জমাট মেঘ আকাশে। ঠিক বৃষ্টি আসার আগের মেঘ। কেন জানি বাড়ি ফেরার সময় আকাশে মেঘ দেখলে একটা সুখবোধ হয় বিশেষ করে যদি বাড়িটা পাঁচ মিনিটের এক দৌঁড়ের দুরত্বে থাকে। বাড়ি আধকিলোমিটার দূরে থাকতেই পথের ফুটপাতে বাদামঅলা দেখে সুখের যেন ষোলকলা পূর্ণ হলো। পাঁচ টাকার বাদাম কিনে মচমচ করে ভাঙতে শুরু করতে না করতেই বৃষ্টি নামলো ঝেঁপে। দৌড়ে ফুটপাতের পাশের একটা বন্ধ ঝুপড়ি দোকানের চালার নীচে দাড়িয়ে গেলাম। মুখে বৃষ্টির হালকা ঝাপটা মেখে বাদাম ভেঙ্গে খাবার সেই সুখটা ছিল স্রেফ অসাধারণ!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনাকে অভিনন্দন! সৌন্দর্য্য আর সুখ খুঁজে নেয়ার মনটা এখনও ধরে রেখেছেন
"আরেকটা ব্যাপার দেখলাম – মেয়েদের প্রায়ই মন খারাপ থাকে। এটা আমার কাছে বেশ বিস্ময়কর। আমি সহ আমার চেনাজানা প্রায় সব পুরুষ মানুষই সর্বদাই আনন্দে থাকে। মেয়েদের মন খারাপ এতো বেশি হয় কেন? "
আসলেই সত্যি কথা বলছেন ভাইয়া, আমার ও সারাখনই মন খারাপ থাকে। লিখা অতি চমতকার লাগলো। আপনার পরামর্শ মেনে ভানুর জোকস শোনার চেষ্টা করবো যদি লেগে যায়।
কেকয় সুখ নাই? সুখ সর্বত্র... মানুষ কেন জানি খালি সুখ রাখিয়া দুঃখ খুঁজে নেয়...
লেখা ঠিকাছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গেরুয়াধারী হয়ে বোধীবৃক্ষের তলায় বসার কথা ভাবী জানেন? পিট্টা খেয়ে লাল হয়ে যাবার কথা তো
এই একটা ভয়েই তো পোলাগুলা সব গৃহস্থ হয়ে গেলো। মানে গৃহপালিত হয়ে গেলো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আসলেই সুখ নাইরে, সুখ নাই।
নিটোল
কোষ্ঠবদ্ধতা কাটানোর লেখাই এতো চমৎকার !
মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন