মার্কিনদেশে শিশুপালন করতে গেলে এই অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে সবাইকেই যেতে হয়। এটা এক বিশাল দেশ। এই মাথা থেকে ওই মাথা পর্যন্ত সারা দেশে মুড়িয়ে রেখেছে এরা চমৎকার সব রাস্তা দিয়ে। বিমানযাত্রার খরচ বাঁচাতে এই রাস্তাগুলো দিয়ে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দেন বহু বহু পরিবার। সমস্যা হচ্ছে বাচ্চাগুলোকে নিয়ে। হাজার মাইলটা যে আসলে কি জিনিস সেটা বোঝানো বড় দায়। ধরা যাক হিউস্টনে যাচ্ছি, শহর থেকে রওনা দিলাম শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায়, হাইওয়েতে ওঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম পাঁচটা চল্লিশ...
“আব্বু, আর উই দেয়ার ইয়েট?”
“না - মা - একটু সময় লাগবে...”
“কতক্ষণ আব্বু?”
“থ্রি আওয়ার্স...”
“ইজ থ্রি আওয়ার লং অর শর্ট?”
তিনঘন্টা বেশি না কম সেই প্রশ্নের আজও সমাধা হয় নি। পরীক্ষার হলে বসলে এই তিনঘন্টাই অনেক লম্বা সময় মনে হয় আবার ডেটিং করতে গেলে এই সময়টা চোখের পলকেই চলে যায়। কী বলা যায়?
যাত্রাপথকে আনন্দময় করার জন্য গাড়িতে ডিভিডি প্লেয়ার আর ছবি চালিয়ে দেওয়া হয়। ডিজনির কার্টুন আর গানের বিস্ময়ও বেশিক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। বাইরের শোভা বলতে কিছুই নেই এই মুল্লুকে, থাকলেও শিশুরা তাতে মোটেও আগ্রহী নয়।
“আব্বু আর উই ইন চায়না?”
আকস্মিক এই প্রশ্নে থতমত খেয়ে যাই। আশেপাশে চিনের প্রাচীরের দেখা মিলে গেল নাকি?
“আই স' আ হাউজ উইথ চাইনিজ লেটারস...”
“ওটা একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট মা।”
“ইজ চায়না ফার আ ওয়ে?”
“ফার ফার আ ওয়ে...”
“আব্বু ইজ ব্রাক ওবামা আ নাইস গাই?”
এই ভদ্রলোককে আমার মোটামুটি “নাইস” বলেই মনে হয়। টি-পার্টি রিপাবলিকানদের ভিন্নমত আছে যদিও।
“ইজ হি ফ্রেন্ড উইথ জর্জ ওয়াশিংটন?...জাপানে কেন আর্থ কোয়েক হয়েছে?...দাদাভাই কেন বাংলাদেশ থাকে?...হোয়াই ডোন্ট উই লিভ ইন ওয়াশিংটন ডিসি?”
প্রশ্নের পর প্রশ্ন আসতে থাকে। আমি আবারও বুঝতে পারি তিন ঘন্টা কতো লম্বা সময়। এতে একশো আশিটা মিনিট আছে, দশ হাজার আটশো সেকেন্ড আছে...হায় ঈশ্বর...পথটা এতো লম্বা কেনে? ঘড়িতে বাজে সবে মাত্র ছয়টা পঁয়ত্রিশ।
“এতো বকর বকর কেন? চুপ করে বসে থাক সবাই...বিশ মিনিট পরে আমরা একটা ম্যাকডোনাল্ড'স থামবো...সেখানে বাথরুম আর স্ন্যাক্স, এর আগে পর্যন্ত একটা শব্দও যেন না শুনি...ওকে?” হুঙ্কার দিয়ে সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেন গিন্নি।
এরপর একটু উশখুশ শব্দ আর গান আর প্রচুর অনুচ্চারিত জিজ্ঞাসার ভেতর দিয়ে আমরা ম্যাকডোনাল্ডস পৌঁছে যাই।
“আম্মু ইজ নট নাইস...” ফিসফিস করে মেয়েরা আমাকে জানিয়ে দেয়।
সেটা না হয়ে উপায় আছে? প্রশাসন চালাতে হবে না? জনপ্রিয় শাসক কখনো ভাল শাসক হন না - এর উদাহরন হচ্ছি আমি নিজে। গুড কপ আর ব্যাড কপের মত কঠিন আর কোমলে মিশিয়ে আমরা শিশুপালন চালিয়ে যাচ্ছি। চলে যাচ্ছে মোটামুটি আরকি।
তা আপনাদের শিশুপালনের খবর কী? আর উই দেয়ার ইয়েট?
“শোন - মেয়ে কি তোমাদের সাথেই রাতে ঘুমায়?” একটু সন্দেহ মাখা স্বরে ডাক্তার আমাদের জিজ্ঞেস করেন।
আমরা একটু আমতা আমতা করতে থাকি। মেয়েরা দু'জনেই সাথেই ঘুমায়, একদম বাবা-মায়ের মাঝখানে। এইজন্য ঢালাও বিছানা থেকে শুরু করে আরও অনেক “লজিস্টিক সাপোর্ট” আছে আমাদের।
“বাচ্চাদের একবছর বয়েসের মধ্যেই আলাদা ঘরে শোয়াতে হয়।” উনি জানালেন আমাদের। আমরাও জানলাম। উনি আদতে মার্কিনদেশি ডাক্তার নন আর আমরা চেষ্টা করলেও মার্কিনি হতে পারব না। এই ব্যাপারটা নিয়ে কেউই উচ্চবাচ্য করলাম না। সকল জ্ঞানের আধার গুগল মহাশয় ঘেঁটেও জানলাম যে এই বিষয়ে অর্থাৎ বাচ্চারা বাবা-মায়ের সাথে শুতে পারবে কিনা এটা নিয়ে মতভেদ আছে। বৈজ্ঞানিক উপায় শিশুপালনের শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে নিজের বুদ্ধিতে কাজ করা। হাজার হোক দু'পাতা বিজ্ঞান তো আমিও পড়েছি।
সেই থেকে বাচ্চাদের নিয়েই শুই। একদম সপরিবারে...এতোবড় খাট নেই দুনিয়াতে তাই ভূমিশয্যা। প্রতিরাতেই বাচ্চাদের সাথে নানান আলাপচারিতা হয়।
“আব্বু আর ইউ গেটিং ওল্ড?”
চিন্তা করে দেখলে শুধু আমি একা নই, এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড প্রতিদিন একটু একটু করে বুড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওর জিজ্ঞাসা সেটা নয়।
“কেনো এটা মনে হলো?”
“তোমার দাড়ি হোয়াইট হয়ে গেছে।”
পৃথিবীর প্রতিটি জিনিসই পেকে যায়, আম-জাম-লিচু-কাঁঠাল, মানুষের বুদ্ধি...আর আমার দাড়ি তো কোন ছার! ওই বেচারা অনেকদিনই “কেচে” ছিল – এখন হয়ত একটু পরিপক্ক হতে শুরু করেছে।
“দাড়ি পেকে গেলে কি হবে মা?”
“তুমি ওল্ড হয়ে যাবে এন্ড ইউ উইল ডাই ওয়ান ডে...” মেয়ের গলা ধরে আসে। “আই উইল মিস ইয়ু আ লট...ইয়ু ক্যান'ট ডাই” এইবার গলাটা প্রায় কাঁদোকাঁদো হয়ে যায়।
রবীন্দ্রনাথের উপর আমার বেজায় রাগ। উনি প্রায় সব কিছুই লিখে ফেলছেন – আমাদের জন্য কিছুই বাদ রাখেন নি। তাই ব্লগ লিখতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। উনি না লিখতে আমিই লিখতাম...
ওরে মোর মূঢ় মেয়ে ,
কে রে তুই, কোথা হতে কী শকতি পেয়ে
কহিলি এমন কথা, এত স্পর্ধাভরে —
‘যেতে আমি দিব না তোমায়' ? চরাচরে
কাহারে রাখিবি ধরে দুটি ছোটো হাতে
গরবিনী, সংগ্রাম করিবি কার সাথে
বসি গৃহদ্বারপ্রান্তে শ্রান্ত ক্ষুদ্র দেহ
শুধু লয়ে ওইটুকু বুকভরা স্নেহ ।
মেয়েই অমরত্বের পথটা বাতলে দিল।
“আব্বু তুমি প্রতিদিন শেভ করবে, তাহলে ইয়ু উইল নেভার হ্যাভ হোয়াইট দাড়ি...তুমি আর ওল্ড হবে না কোনোদিন...উই উইল স্টে টুগেদার ফর এভার...”
আহ আমি জানতামই না বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখা এতোই সহজ। বন্ধু-বান্ধব সব্বাই কেন ক্লিন শেভড থাকেন সেটাও বুঝতে পারি। আপনাদেরকে গোপন বিদ্যাটা জানিয়ে দিলাম। আপনারাও শুভ্র জঙ্গল ছেঁটে অনন্ত যৌবন আবিষ্কার করে ফেলুন। দু'বেলা শেভ করলে গালে মাছি বসলেও পিছলে যাবে (কৃতজ্ঞতা জটায়ু)। আর আমার বাবাকেও জানাতে হবে এটা...তাহলে হয়ত উনিও আর বুড়িয়ে যাবেন না।
কী মজা তাই না?
মন্তব্য
আমার যে চুলও পাকা, তার কি হবে?
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
মাথা কামায়ে দেখতে পারেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আপনার লিটল এনজেলদের জন্য অনেক আদর রইলো! পৃথিবীর বিশাল বিছানায় ওদের মঙ্গলময় যাত্রা হোক! শুভেচ্ছা,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একবার এক বাংলাদেশি ভাইয়ার গাড়িতে তার পরিবারের সাথে তিন ঘন্টার জার্নিতে গিয়েছিলাম, তখন বুঝেছিলাম, এই "আর উই দেয়ার ইয়েট?" প্রশ্নের গুরুত্ব।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আবার শিশুপালন! অনেক দিন পর দিলেন! দুই পিচকাকে দেখতে চলে আসব দেইখেন মার্কিন মুল্লুকে
আপনার শব্দ নিয়ে তো আর কিছু বলার নেই! খালি বলে রাখলাম, ধুগো'দার ফাড়াটা কাটলেই আমিও একদিন বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে পোস্ট দিমু!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মোস্ট ওয়েলকাম।
ধূগোর ফাঁড়া এই জন্মে কাটবে বলে মনে হয় না। সেই ছোটবেলা থেকেই ফাঁড়ার কথা শুনে আসছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরে, আমি তো পঁপ পঁপ ভেঁপু দিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু সামনের ট্রাফিক পুলিশ যে পইক্ষের মতো দুই ডানা দুই দিকে ছড়ায়ে রাখছে তো রাখছেই। হাত আর নামানোর নাম নাই।
কানে কানে জিগাই তাসনীম ভাই, ফাঁড়া কাটানোর কোনো পীর ফকিরের তাবিজ-কবজের সন্ধান আছে নাকি আপনার কাছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঘটক পাখি ভাই কাটাতে পারে এই ফাঁড়া
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হে হে হে, আমি চাই পীর-ফকিরের দোয়া (তাও নিজের জন্য না, দেখেন না পিছন থেকে ছোট ভাইরা হাইড্রলিক হর্ন বাজায়ে কানের পর্দা ফাটায়ে ফেললো!) আর আপনি কিনা আমারে দেখান রমনার বিখ্যাত সেই শুভ্র বাড়ি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাইকোর্ট না দেখায়ে উপায় কি। এতো সচলের সমস্যা দূর করার জন্য এতো শালি পাই কই? শ্বশুর সাহেব তো আর নতুন করে শিশুপালন করবেন না
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেকদিন পর শিশুপালন পেয়ে খুব মজা পেলাম!
আমিও অনেকদিন পরে শিশুপালন লিখে বিমলানন্দ পেলাম
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এরকম করে যারা কথা বলে তাদের দেখতে খুব ইচ্ছে করলো ভাইয়া!!!! বুদ্ধিমান সব প্রশ্ন আর বুদ্ধিমান উত্তর
_____________________
Give Her Freedom!
দেখা একদিন নিশ্চয় হবে মৃত্যুময় ঈষৎ। আপনাকে ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
facebook
ধন্যবাদ তারেক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাঃ, লিটেল-তাসনীম তো খুব বুদ্ধিমতী।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পিচ্চিদের সাথে অর্থহীন কথা বার্তা বলতে আমার খারাপ লাগে না।
অর্থহীন কথা থেকেই অর্থপূর্ণ কতকিছু শিখে নিই।
বাচ্চাদের সাথে সময় কাটানো সবচেয়ে আনন্দময় ব্যাপার। বয়স্কলোকজন বোরিং হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি খুব ভাল লাগলো পড়ে।
আপনার এই সিরিজটা পড়লে আমার নিজের শৈশব আর তখন বিশেষ করে বাবার সাথে কাটানো নানা সময়ের কথা মনে পড়ে খালি।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ধন্যবাদ। বাবার সাথে কাটানো সময় আমারো মনে পড়ে - খুব পড়ে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই লেখাটা পড়ছিলাম আর খালি মনে পড়ছিল বাবার কাছে শোনা আমার ছোটবেলার 'প্রশ্ন' যন্ত্রণার কথা, মিনিটে শ'খানেক প্রশ্ন করে মাথা আক্ষরিক অর্থেই নাকি খারাপ করে দিতাম, বিশেষত কোথাও যাওয়ার সময়। আমার নিজেরই এখনও মনে আছে - আমি কোন জলাশয় দেখলেই জিগেস করতাম "এই নদীর নাম কী" এবং "এই নদীতে সাপ আছে কি না"
আর খালি মনে পড়ছিল, ছোটবেলায় আমার ঘুমানোর সময় বাবার গলা জড়িয়ে না ধরলে ঘুমাতে পারতাম না, এবং অবশ্যই আমার দাবি থাকত - 'গল্প বল'......... খুব খুব মনে পড়ছিল, খুব বেশি...
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
শিশুপালন চলছে ধুমায়ে। অফিস থেকে ফিরে আসলে বাবলু খুব হাই স্পীড হামাগুড়ি দিয়ে পায়ের কাছে চলে আসে। বাইরের জীবানু সমেত কোলে নিতে চাই না দেখে দৌড়ে হাত ধুতে গেলে সেও পিছে পিছে দৌড়গুড়ি দেয়। অথচ কোলে তুলে গালে একটা হাপ্পা দিলেই আবার নামার জন্য মুচড়া মুচড়ি শুরু করে।
গত দুদিন ধরে রাত দু'টার দিকে উঠে যায়। শুয়ে শুয়ে দ্দা দ্দা দ্দা দ্দা, ন্না ন্না ন্না ন্না করে। গত রাতে আবার কান্না। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলছে। পরে দাঁত ওঠার ব্যাথা ধারনা করে আইব্যুপ্রফেন খাইয়ে দিতে ঘুমালো।
আর মাঝে মাঝেই নাক মুখ দিয়ে বমি করে বাচ্চাটা। গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট এক্সরে, আল্ট্রা সাইন্ড সহ বিভিন্ন টেস্ট ধরিয়ে দিলেন।
এইসব নিয়েই আছি আরকি।
আর অমরত্বের কথা বললেন যেটা সেটা আসলে এই বাচ্চাদের মধ্যেই নিহীত আছে। দ্যা আল্টিমেট সারভাইভাল অভ দ্যা জিন।
শিশুপালনের জয় হোক। ঠিক কথা - অমরত্ব এই বাচ্চাদের মাঝেই আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা বরাবরের মতই উপাদেয় হয়েছে
ধন্যবাদ স্বাধীন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একজন বাবার জন্য কী চমৎকার একটা লাইন!
পরীর ছানাদের জন্য আদর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথিডোর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি আমার বাবার থেকে অনেক দূরে থাকি, বাবাকে প্রায়ই রাত-দুপুরে ফোন দিই-বাবা ঘুম আসছে না, ভয় লাগে (বাহানা আর কাকে বলে)। ইস! যদি আবার ছোট হয়ে যেতে পারতাম! বাবার গলা ধরে বলতাম "I miss you baba ...."
লাবণ্যাপ্রভা
আহ...সব বাচ্চারাই যেন বাবার কাছে ফিরতে পারে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- ঘ্যাচাং -
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পিচ্চিদের সাথে অর্থহীন কথাবার্তা চালিয়ে যেতে মন্দ লাগে না। অর্থহীন কথাবার্তার হঠাৎ হঠাৎ চুড়ান্ত অর্থপূর্ণ হয়ে উঠার মাধ্যমে জীবনটাকে নতুন করে ভাবতে খারাপ লাগে না।
ডুপ্লিকেট মন্তব্য মনে হচ্ছে - উপরে একবার এসেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমিও ছোটবেলায় বাবাকে জিজ্ঞেস করতাম, "বাবা আমরা কি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি??তুমি কি মরে যাবে?তাহলে তখন কে আমাকে পোলো কিনে দেবে?"
লেখা আগের মতই অসাধারণ।
অলস সময়
ধন্যবাদ পলাশ। বাবার কথা বলেছিলে আগেও মনে আছে - ওনাকে নিয়েও লিখো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই দশটা পর্বের একটা চোথা বানায় রাখতে হবে
কেন!
একই প্রশ্ন আমারো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যা দিনকাল
আমি আর কিছু জিগাইলাম না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গতকাল আমার বর শুনলাম তার বন্ধুকে বলছে, "আমার ছেলে আমাকে একদম ভয় পায়না। তার মাকে ভয় পায়।" ফোন রাখার পরপরই ছেলে এক শিশি পানি এনে ঘরএর মাঝখানে ফেলে দিল। আমি একবার মাত্র বললাম, "বাবা, please এমন করেনা।" সাথে সাথে তার কান্না আর তার বাবারও মুখ ভার। ছেলেও দেখলাম বাবার sympathy পাওয়ার জন্য কান্নার sound তুলে দিল। আমিও হুমকি দিলাম আর যেন কখনও না শুনি ছেলে কথা শুনেনা।পুরাই opposition party তে আছি বাসায়। আমিও আমার ছেলের কাছে not nice
শিশুপালন সিরিজ আমাদের বাসায় আমরা দুজন খুব মন দিয়ে পরি...আপনার দেবশিশুদের জন্য রইল অনেক অনেক আদর।
বাসায় মায়ের ভূমিকা অনেকটা সরকারী দলের মতন - যাই করুক না কেন বিরোধী দল বলবে "নট নাইস"। আপানার পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা পড়তে পড়তে কবে যেন সচলায়তনে এসে আর যেতে পারছিনা। ইদানিং সকালে অফিসে এসে প্রথমে মেইল-ফেইসবুক দেখে তারপর সচল! হায় এভাবে দিন গেলে পরাশুনা বাদ দিয়ে জমিজমা দেখাশুনা করতে হবে দেশে গিয়ে
যাই হোক বরাবরের মতই মজার, আপনের আর পৈতা লাগবেনা আপনার নামের সাথে যে শিয়ালের ছবিটা আছে ঐটা দেখলেই মনেমনে বলি আসছে আসছে তাসনিম ভাই আসছে
মাহমুদ
সচলের নেশায় আমি নিজেও আসক্ত। পড়ালেখা বাদ দিয়ে দেশে গিয়ে জমিজমা দেখার কাজটাও মন্দ হবে না - যেভাবে অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে এই পাশ্চাত্যে তাতে মনে হয় পুনর্মূষিক ভব হতে হবে আবার।
প্রোফাইলের ছবিটা একটা বিড়ালের ওর নাম হচ্ছে সিলভাস্টার। গত ত্রিশ বছর ধরে একটা হলদে রঙের পাখি ধরে খাওয়ার চেষ্টা করছে সে - এখনও পারেনি। এমনি করিৎকর্মা
ধন্যবাদ মাহমুদ। সচল থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
করিৎকর্মা বাদেও সিলভেস্টারের আরেকটা পরিচয় সে পুংমার্জাররাগের অতি উচ্চমার্গীয় ওস্তাদবিশেষ... নিন, একখানা শুদ্ধ পুংমার্জাররাগ শুনুন,
http://www.youtube.com/watch?v=qbuVMKm4juo
(মাঝরাত্রে জানালার বাইরে হুলোর গান কী জিনিস সেটা যদি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জেনে থাকেন তাহলে এই রাগ পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন অভিজ্ঞতা না থাকলে একটুখানি বাকি রয়ে যাবে )
অমরত্ব লাভের আরেকটা বিকল্প উপায় আছে তাসনীম ভাই, কলপ এণ্ড পরচুলা
love the life you live. live the life you love.
শেভ করা এরচেয়ে সহজ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শেভ করা মাথায় আর কতো শেভ করবেন তাসনীম ভাই! পরচুলাই বেস্ট অপশন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওয়ান ফাইন মর্নিং, ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুতে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই - হঠাৎ করে নিজের চিবুকে এখানে সেখানে জীবনে প্রথম বারের মত ছোপ ছোপ সাদা দাগ দেখে (যা আগের দিনও ছিল না) আপনার অনুভূতি কেমন হয়েছিল জানতে কৌতুহল বোধ করছি।
শিশুপালন - পালন আর সেটা নিয়ে লেখা, দুটোই - আনন্দময় হোক।
দাড়ি পেকে যাওয়ার অনুভূতিটা বেশ দুঃখজনক। চুলের চেয়ের দাড়ির বয়েস অন্তত ১৩/১৪ বছর কম। প্রথমে সাদা দাড়ি আবিষ্কার করি একটি মাত্র, সেটাকে "ম্যাভেরিক" ভেবে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। অচিরেই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ল - লন্ডনের রায়টের মত গাল আর চিবুকের রাজপথ সব দখল করে নিল শুভ্রতা...সময়ের সাথে তাফালিং চলে না...মেনে নিলাম মধ্যবয়েসের চরদখল।
ইনফ্যাক্ট মধ্যবয়স নিয়ে প্রবন্ধধর্মী একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা লেখার চিন্তা মাথায় ঘুরছে অনেকদিন ধরেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হি হি হি হি...
আমাদের একটা পিচ্চি বোন একবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এলো, সে তখন কেবল কথা বলা শিখেছে, মাথাভর্তি প্রশ্ন তার। সারাদিন আমাদের ভাই বোনদের সাথেই থাকে, আর খানিক পর পর জিজ্ঞেস করে। "এতা কীই? ওতা কীইই?"
আমার ভাই কম কথা বলতো ছেলেবেলায়, কিন্তু আমি ভাবি আমি কী হাল করতাম বাবার!
আমার বাবার তো ছোট থেকেই সব চুল পাকা, তাহলে বুদ্ধি করে কলপ দিয়ে রাখতো এই জন্যেই!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যতই বড় হয়ে মানুষ ভেতরের প্রশ্নগুলো ততই কমে যায়। কিচ্ছু আর জানতে ইচ্ছে করে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হা হা হা... যথারীতি দুর্দান্ত।
শিশুপালনের মতো একটা অতি সুদূর ভবিষ্যতের ব্যাপারও আপনার লেখার গুণে খুবই আগ্রহ নিয়ে পড়ি !
অলমিতি বিস্তারেণ
হঠাৎ একদিন দেখবেন সেইদিন আর বেশি দূরে নেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি মশাই লেখেন চমৎকার! পড়তে কী যে আরাম হয়!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার মেয়ে মোটামুটি ৪০/৫০ মাইল পরেই বলা শুরু করে "আর ঊই দেয়ার ইয়েট?" আর রাত্রে শুবার বেলায় প্রতিদিন বলে "আব্বু আজকেই শেষ রাত তুমাদের সাথে, কাল থেকে আমার খাটে শুব"! ওর মা মাঝে মাঝে বলে একা ঘুমাতে শিখ, হয়্ত আলাদা খাটে ঘুমও পারিয়ে দেয়, কিন্তু আমি যখ্ন বিছানায় যাই ঠিকি আমাদের খাটে নিয়ে আসি আবার।ওর মা বলে এত আদর ভাল না, আমি বলি আর কয়েকটাদিন থাক না।
ঠিকই তো - আরো কয়েকটা দিন থাকলে কি হয়? বড় হয়ে গেলে তো আর আসবে না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নিধির আবার পথক্লান্তি নাই... বেদম ঘুরতে পারে...
এই তো কয়েকমাস আগে চট্টগ্রাম, বান্দরবন, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন, কক্সবাজার ট্যুরে গেছিলাম, ছয়দিন ধরতে গেলে পাবলিক বাসেই...
আমরা টায়ার্ড হয়ে গেছি, কিন্তু তার একটুও ক্লান্তি নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেই ক্ষেত্রে মনে হয় আপনারাই নিধিকে জিজ্ঞেস করতে পারেন - আর উই দেয়ার ইয়েট?
নিধিকে আদর রইল, ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই "আর উই দেয়ার ইয়েট?" প্রশ্নের গুরুত্ব আমি হাড়ে হাড়ে জানি।
তাসনীম আপনি ভয়ানক ভয়ানক ভয়ানক ভালো লেখেন। [ সরি, বিশেষণগুলো ঠিক যুতমত এল না, কিন্তু সুপারলেটিভ বোঝাতে আর কিছু মাথায় আসছে না।]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনাকে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপ্নের এই সিরিজটা বই হিসেবে বের করেন...ব্যাপক কাজে দিবে জনগণের...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ধন্যবাদ স্বপ্নহারা। হয়ত ই-বুক করতে পারি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাই, চরম হইছে লেখা। বাবুকে আদর দিয়েন।
অবশ্যই দেব। আপনাকে ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার শিশুরা অনেকদিন শিশু থাকুক...। আর 'শিশু পালন' চলতে থাকুক...
সুমিমা ইয়াসমিন
যতদিন শিশু থাকে ততদিনই ভালো। ইনফ্যাক্ট বাবা-মার কাছে ওরা সর্বদাই শিশু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি চমৎকার।
বাংলা ভার্সান 'আর কতদূরের' সাথে খুব পরিচিত। আমাদের ঢাকা-চিটাগাং রোডে (চার-লেন রাস্থার কাজ চলিতেছে) হাজার হাজার মাইল না থাকতে পারে, তবে 'ঘন্টার পর ঘন্টা' বসে থাকতে হতে পারে। (কুমিল্লার আগে ...টনগঞ্জ এবং গৌ...রে জ্যাম পাইনি এমন হয়নি, নোয়াখালির ড্রাইভারের হাইপোথিসিস সেখানের মানুষের নাকি আওডিনের ঘাটতি আছে, তাই নাকি ক্যালাস, রাস্থার উপর উদাস ঘুরে ফিরে...)
ধন্যবাদ। ঢাকা-চিটাগাং রাস্তা চার লেন হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করি এটা তৈরি হলে আর ঘন্টার পর ঘন্টা বসতে হবে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
-লাফাং মন্তব্য -
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যাক! চার লেনের রাস্তা হবার পরে জ্যাম কমে কিনা দেখা যাক! এক সময়ে যমুনা ব্রিজ পেরুবার পরে আমরা আমরা টাঙাইল-মির্জাপুরে অনন্তকাল অপেক্ষা করেছি রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে। কিন্তু ঢাকা থেকে তো বেরুতে পারতে হবে আগে! সেটার কী হবে?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাবা কে আমারা দুই ভাই বোন বাবু ডাকি। বাবু সবসময়ই শেভ করেই থাকেন। বাবুর গালে যেন ভাজ পরা শুরু হয়েছে। দেখে বাচ্চাদের মত রাগ হচ্ছে। আমার বাবুর এত সুন্দর চেহারাটা এমন কেন হয়ে যাচ্ছে????
আমার মেয়েও আমার "সৌন্দর্য" নিয়ে চিন্তিত। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনাদের বাবু ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রবিন্দ্রনাথের এই কোবতেটা জানা ছিল না, পড়ে বিমলানন্দ পেলুম।
আপনার পোস্ট টাও আগে পড়া ছিল না, এটা পড়েও বিমলানন্দ পেলুম
ধন্যবাদ দিফিও। এই কোবতেটাতো বেশ বিখ্যাত...যেতে নাহি দেব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুউব কিউট একটা লেখা! আপনার বুদ্ধিমতী কন্যাদ্বয়ের জন্য অনেক আদর থাকলো ভাইয়া।
আপনাকে ধন্যবাদ অনেক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখাটি পড়ে পনের-ষোল বছর আগের স্মৃতি মনে পড়ল। ছেলেটা তখন ছোট ছিল। বাবার কাছে তখন কত ধরনের যে আবদার ! ছেলেটাকে ঘাড়ে তুলে নিয়ে সেকি ঝাকাঝাকি আর ছেলেটার খিলখিলিয়ে হাসি। এখন সেগুলো বড়ই মিস করি। ছেলেটার এখন একটাই আবদার, টাকা লাগবে। কিছুক্ষন আপনারদের সাথে থাকায় সেই সব দিনে ফিরে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীতো রীতিমত স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত হল। অনেক অনেক ধন্যবাদ সেইসব আনন্দঘন দিনগুলোয় ফিরিয়ে নেবার জন্য।
মন্তব্য লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রৌঢ়ভাবনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিশু এখনও নেই, তবে দূরের যাত্রায় স্ত্রী নিয়মিত বিরতিতে ঘুম থেকে উঠে আর কত দূর জাতীয় খোঁজ দ্য স্যার্চ করেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাচ্চারা সত্যিই খুব ইন্টারেস্টিং।
শিশুপালন সিরিজ বন্ধ হলে আপনার চুল-দাড়ি এমনিতেই আর আস্ত থাকবে না। কাজেই...
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ আর এই সিরিজটা টুকটাক চলবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছোট বেলার কথা মনে পড়েগেল, যখন প্রথম জানলাম মানুষ একদিন বুড়ো হবে, মরে যাবে সে রাতে মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আসলেই কি মানুষ বুড়ো হয়? মার মুখে হ্যাঁ শুনে হাউমাউ করে কান্না পাচ্ছিল কিন্তু লজ্জায় কাঁদতে পারছিলামনা, সারা রাত কেঁদে বালিশ ভেজানোর অভিজ্ঞতা বোধয় ওটাই আমার প্রথম।
খুব সুন্দর লেখা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ খরগোশ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগলো। আমার ছোট ভাগ্নীকে চেষ্টা করেও সময় দিতে পারি না। আবার এটাও বুঝি যে পরে আফসোস হবে। বেচারীর মোশন সিকনেস আছে। দুরপাল্লার যাত্রায় অবধারিতভাবে দুই থেকে তিনবার বমি করে।
ধন্যবাদ রু। ছোটবেলার মোশন সিকনেস বড় হতে হতে সাধারণত সেরে যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজের সবগুলো লেখা নিয়ে ইবুকের দাবি জানিয়ে গেলাম। দারুণ হবে তাহলে।
তোমার জন্য ই-বুকের দাবী বেশ বিপজ্জনক, কারণ কাজটা তো তোমাকেই করতে হবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটা চার বছর বয়সী বাচ্চা নাকি দৈনিক গড়ে ৪৬৫ টা প্রশ্ন করে! শিশুপালন কি মুখের কথা?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
দুটো বাচ্চা তাহলে ৯০০ এর বেশি প্রশ্ন করবে - শিশুপালন চাট্টিখানি কাজ নয়
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চলতে থাকুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
চলবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার জন্মের আগ থেকে আমাদের বাসায় বিরাট এক পালঙ্ক ছিল, আমি ও সেটাতে ও ছোটবেলায় ঘুমাইছি, এখন ও সেই পালঙ্কে আব্বাআম্মা ঘুমান। আমার বাবা শখ করে এই পালঙ্ক বানিয়েছিলেন সব পুলাপান নিয়ে একসাথে ঘুমাবেন বলে। শখের পালঙ্ক এখন ও ফেলতে পারেন না, আমরা যতই চাই ও্টা ফেলে নতুন খাট কিনে আনতে, ওনারা কিছুতেই রাজী হননা, বলেন এটা এখন ও কত মজবুত দেখেছো।আপ্নার লিখা পড়ে হুট করে আমার বাবার কথা মনে পড়ে গেলো, সেই খাটের কথা মনে পড়ে গেলো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রতিদিন কিছু সময় হলেও বাবার কাছে ঘুমাতাম। এ জন্য স্বজনদের কাছ থেকে "ধাড়ি মেয়ের আদিখ্যেতা" - কম শুনতে হয়নি। আর এখন পিচ্চি দুটোকে আলাদা রাখার কথা ভাবতে পারিনা। থাকুক ওরা আমাদের সাথে যতদিন বড় না হয়। আপনার টাইমমেশিন আমাকে একই সাথে শিশুবেলা, কিশোরী বেলা ও মা বেলা-তে নিয়ে গেল। আপনার টুনটুনিরা চমৎকার শৈশব স্মৃতি নিয়ে বেড়ে উঠুক।
নতুন মন্তব্য করুন