কঠিন প্রশ্নঃ
পৃথিবীর বাকি আর সব কাজের মতই শিশুপালন দিনে দিনে কঠিন হতে থাকে। প্রথমে এতে থাকে কায়িক শ্রম আর নির্ঘুম রাত। যতই দিন গড়ায় ততই মনে হয় যে “শারীরিক শ্রম মানসিক শ্রম অপেক্ষা অনেক উত্তম”। ওদের প্রশ্নগুলো প্রথম প্রথম সহজ থাকলে দিনে দিনে ওগুলো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের ভাইভার মত কঠিন হতে থাকে। যারা নিয়ত শিশুপালন করেন তারা জানেন যে এই চাকরির প্রশ্নগুলো কঠিন আর উত্তরগুলো আরো অনেক কঠিন।
“আব্বু আমাদের কে ক্রিয়েট করেছে?”
গাড়ির পেছনের সিট থেকে আসা এই প্রশ্নে একটু উত্তেজিত হয়ে পড়ি। একই উত্তেজনাবোধ করেছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষাতে ইংরেজি রচনা “কমন” পড়াতে। এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি...
“কেন আব্বু আমাদের ঈশ্বর বানিয়েছেন...ইউ নো ইট অলরেডি”
“কিন্তু কেন বানিয়েছেন?”
“কেন বানিয়েছেন...কেন বানিয়েছেন...ভগবানের লীলা বোঝা দায়...ওনার বানাতে ছয়দিন সময় লেগেছিল বলে শুনেছি, সপ্তম দিনে নাকি একটু রেস্ট নিয়েছিলেন। কিন্তু কেন এই হয়রানি? উনি পুরোটা সময় ভ্যাকেশনে থাকলে তো আমাদের এতো সব ঝামেলা পোহাতে হতো না।
“ইয়ে...আই থিং হি লাভস আস...” মিনমিন করে আমি উত্তর দিতে চেষ্টা করি।
“ডু উই হ্যাভ টু পে হিম?”
উনি সৃষ্টির বিনিময়ে কারো থেকে ক্যাশ, চেক অথবা ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন এটা শুনিনি। নিয়মিত প্রার্থনা উনি অবশ্যই দাবি করেন।
“ডু উই গো ব্যাক টু হিম হোয়েন উই আর ডেড?”
কী যন্ত্রণারে বাবা। ঈশ্বরের অস্তিত্বের ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার হয়। যদি বলি ঈশ্বর-টিশ্বর এগুলো কিছু নেই রে বাবা...মরার পরে সবই ঘন অন্ধকার, ব্যাপারটা খুবই আনরোমান্টিক হয়ে যায়। পাপ-পূণ্য এগুলো মাপার কোন দাঁড়ি-পাল্লা নেই এটা জানলে পূণ্য করতে যাবে কোন গর্দভ? হকিং সাহেব বলেছেন যে স্বর্গ-নরক সবই রূপকথা...বোধহয় যারা পৃথিবীতে নিয়ত নরক প্রসব করে তারা একপাতা বিজ্ঞান না জেনেও ঠিক একই রকম ভাবে। সত্য ঈশ্বর তাই থাকেন হৃদয়ে, সেই ঈশ্বর দূর আকাশের ঈশ্বর থেকে অনেক বেশি শক্তি রাখেন। যদিও কে যে কাকে বানিয়েছে সেই প্রশ্নের সমাধা আজও হয় নি। নাহ...ছোটদের ঈশ্বর নামে একটা বই লিখতে হবে।
প্রশ্নবান কিন্তু থামে না।
“ইজ দেয়ার অ্যা ওয়াল এট দ্য এন্ড অফ দ্য ইউনিভার্স?”
এই ধারনা আমারও ছিল। গুলশান পৌরসভা পার হলে সাদা একটা দেওয়ালে “খোদা হাফেজ” লেখা থাকতো। সেই রকম একটা দেওয়াল এই মহাবিশ্বের পৌরসভার শেষে থাকতেও পারে।
“ক্যান উই গো এন্ড সি দ্যাট...”
নাহ, আমার জ্ঞানের পরিসীমা ছাড়িয়ে গেছে অলরেডি। শিশুপালন করার জন্য মহাবিশ্বের জন্মকথা পড়ছি। মানবজন্মের মতোই রোমাঞ্চকর সেই গল্প। সেখানেও নানান ধরনের ব্যাং-ট্যাং আছে, ওটা ছাড়া কোন জন্মই মনে হয় সম্ভব নয়।
জ্ঞানের বোঝা প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে। এই বোঝা বহন করা সহজ নয়, বুঝলেন তো? তাই মাথার চুলগুলো অবশিষ্ট থাকতে থাকতেই শুরু করে দিন এই কর্ম। আজই শুরু করে দিন চেষ্টা তাহলে।
ভাবানুবাদঃ
“আব্বু হোয়াট ইজ দ্য মিনিং অফ ফকিন্নি?”
দেশ থেকে দূরত্ব যা-ই হোক না কেন, দেশ আসলে দূরে নয়। দেশের খবর এদেশে বসে দেখছি, দেশের বই পড়ছি, দেশের চানাচুর খাচ্ছি, দেশের ব্লগে লিখছি, দেশের বন্ধু-বান্ধবের সাথে ফোনে অথবা সামনা-সামনি গল্প করছি, বাংলাদেশিরা যেখানেই যান সেখানেই এক ব্যাগ বাংলাদেশ নিয়ে ঘুরেন। সেই ব্যাগ ফস্কে গালাগাল বেরিয়ে যাওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়। মিষ্টি মিষ্টি করে কথা বলাটা মার্কিনিরা পারলেও আমরা পারি না।
এটা কোথা থেকে শিখেছে সেটা জিজ্ঞেস করা বেশ বিপদজনক। আমি দেখেছি প্রায়ই আমার দিকেই ওই তীর উড়ে আসে। এরচেয়ে বরং ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা যাক।
“আব্বু এটা কোনো ভালো ইয়ে না, ইট ক্যান হার্ট সামওয়ান'স ফিলিং...প্রথমেই সুশীল ফিল্টারে ছেঁকে নেই বক্তব্য...ফকিন্নি মিন'স...ইয়ে সামওয়ান উইথ নট সো নাইস ড্রেস”...ভেবেচিন্তে এরচেয়ে ভালো কিছু না পেয়ে এটাই বলে দেই।
যেকোন বুদ্ধিমান প্রানী পালাই অনেক জটিল কাজ। শিশুর বুদ্ধি যতই বাড়ে তাদের পালা ততই কঠিন হয়ে উঠে। আমাদের বাসাতে আমি ছাড়া সব্বাই ফিটফাট থাকে, আমি প্রায়ই বেঢপ এবং প্রাগৈতিহাসিক কাপড়-চোপড় পরে ঘুরে বেড়াই। মেয়ে সরু চোখে আমাকে লক্ষ্য করে জানালো...
“ইউ আর অ্যা ফকিন্নি...” বলেই মেয়ে একটু চিন্তায় পড়ে গেল...আমার ফিলিং-টিলিং হার্ট হলো না-তো আবার।
আমি যেসব গালাগালি শুনতে শুনতে বড় হয়েছি তাতে “ফকিন্নি” শুনে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার “ফিলিং হার্ট” করতে হলে আরও অনেক অনেক শক্ত গালি দিতে হবে । কিন্তু পরের প্রশ্নটা এলো আরও মারাত্মক।
“হোয়াট ডাস ফকিন্নির পোলা মিন?”
এবার আমি জ্ঞানের উৎস বুঝতে পারি। কয়েকদিন আগে টিভি একজন মাননীয় সাংসদকে দেখানো হচ্ছিল। উনি স্কুলের ভর্তির ফিস নেন নির্ধারিত ফি-এর চেয়ে তিনগুন বেশি। ওটা নিয়ে ফিচার করতে গিয়ে এক বেচারা মহিলা সাংবাদিক নাজেহাল হয়েছিলেন। ব্যাপারটা বেশ ভালো মতোই রিপোর্ট করা হয়েছিল। ওদের খিদের কাছে কোনো কিছুই ফেলনা নয় – সবকিছু গিলতে পারেন ওনারা। গাছ-পালা, নদীনালা সব উজাড় হতে দেখে মনে হয় সেই নিরন্নকালের কবিতা স্যাটায়ার হয়ে ফিরতে পারে আমাদের রাজনীতিকদের কাছে...
...অবশেষে যথাক্রমে খাবো: গাছপালা, নদীনালা
গ্রামগঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত...
টিভিতে দেখছিলাম সাংসদ বলছেন...
“আমি ভাই অসুস্থ মানুষ, হাত মুচাড়ায়ে দিব কেমনে?” টিভির পর্দায় ইনসেটে তখন মোচড়া-মুচড়ির দৃশ্য দেখানো হচ্ছে।
এই দৃশ্য থেকে হৃদয়ের উৎসমুখ থেকে একটা গালি বেরিয়ে গিয়েছিল...সেটা নিয়েই আজকের জিজ্ঞাসা। এর সাথে আরও একটা কিছুর পোলা মনে হয় বলেছিলাম, ভাগ্যিস ওটা জিজ্ঞেস করে বসে নি।
গালাগালকে কখনও শাব্দিক অর্থে নেওয়া উচিত নয়, কাউকে শালা বললে আমরা নিশ্চয় তার বোনকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করি না, আর যার বোনকে সত্য সত্যই বিয়ে করি তাকে কখনোই শালা বলে গালাগাল করি না। গালাগালকে সরাসরি অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করা উচিত – যেই রাজনীতিবিদ প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করা পরেও ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো সব খেতে চান তাকে আর কি বলব? ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেড়ানো ছাত্রনেতারা যখন পিটিয়ে মারে মানুষদের তখন কি বলব? অভিধানের মিষ্টি আর সুশীল গালাগালের সীমানা অনেক আগেই এরা ছাড়িয়ে গেছে। মনে হয় যতদিন পর্যন্ত টুকরো টুকরো বাংলাদেশ ঢুকবে আমার জানালা দিয়ে, ততদিন পর্যন্তই এগুলো বহাল থাকবে।
বড় হলে বুঝিয়ে বলব, এগুলোর এটার মানে হচ্ছে “করাপ্ট পিপল”। পৃথিবী বোঝাই আছে এই প্রজাতি, এই গালিটার প্রয়োজন ফুরাবে না কখনো।
###
মন্তব্য
এইটা ফাঁকি দিলেন হালকা! লাইনের মাঝে মেলা ফাঁক রেখে রেখে ফাঁকি দিলেন! তবুও, শিশুপালন, সে কী আর মন্দ হতে পারে! যথারীতি, দারুণ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই বছর বিশটা লেখা দিব সচলে...(নববর্ষের রেজোলিউশন)...বড় লেখা দিলে কিভাবে প্রতিজ্ঞা রাখব?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আশা করি ২০টা শিশু পালন আর মার্কিন মুল্লুক সাইড ডিশ হিসেবে দেবেন।
এই আনন্দে তিনটা ইট রেখে যাচ্ছি।
তাও ভালো। পারলে টেনেটুনে ২৪টা করে দেন, মাসে দুইটা
হ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সরান পারলে এইবার ইটা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এইডা কি একটা ভালো জীবাণুর মতো কাম হইলো?
যাহোক, লেখা বরাবরের মতোই সুস্বাদু হইছে তাসনীম ভাই।
ধন্যবাদ চরম উদাস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
-ঘ্যাচাং-
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমরা এখন যেই বাড়িতে থাকি, তার ঠিক গেটের উপরেই একটা 'খোদা হাফেজ' সাইনপোস্ট ছিলো সিমেন্টের। এটা ছিল আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়াকালীন কোন এক সময় থেকে। যেহেতু আমরা ছোট থেকেই অনেক বেড়াতাম, আমার তাই ভাবতে ভালো লাগতো যে বাড়ি ফেরার সময়ে বাইরের দুনিয়াটাকে বাই বাই জানিয়ে আমরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ছি। আর আবার যখন আমরা বেরুচ্ছি আমাদেরকে শহর বিদায় জানাচ্ছে, অনেকটা সফরের শুভেচ্ছার মতন।
আমি আসলেই কেন ইদানীং লিখি না তা বুঝতে পারছি, অনেকদিন পরে ছুটি পেয়ে সচলায়তনে সময় নিয়ে আসা। আর বরাবরের মতই পছন্দের লেখকদের লেখা পরপর পড়তে গিয়ে আজকে এই নিয়ে নতুন পুরাতন মিলিয়ে আপনার ৪টা লেখা পড়া হলো। ছোট থেকেই আমার লেখক হবার শখ। আমি যদি কখনো এত চমৎকার করে গুছিয়ে লিখতে পারতাম!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সবগুলো মন্তব্যের জন্য একসাথে ধন্যবাদ দিয়ে দিচ্ছ।
আবার লেখা শুরু করে দাও। আমি নিজেও প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যেই লিখছি। ইন ফ্যাক্ট ছুটির সময়ে লিখতে পারি না, বরং কাজের চাপের মধ্যেই লিখতে ভালো লাগে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ওরে, চরম
-মেফিস্টো
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বস একটা বই লেখেন সিরিয়াসলি শিশুপালন নিয়া ...
লেখা বরাবরের মতই স্বাদু
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি। বই বের করা অনেক হ্যাপারে ভাই...এই ব্লগই ভালো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা হা। বাসায় ফিরে আয়েশি ভঙ্গিয়ে বসে আপনার লেখা পড়ে হাসতেছি। মজার বিষয় হচ্ছে জীবনের প্রথম গালি কিন্তু বাবার কাছ থেকেই শিখেছিলাম
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ক্ষেত্রেই তাই হয়
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া,
দেশে আসবেন কবে? এ পিচকি দুটোকে দেখতে চাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই বছর আসার খুব ইচ্ছে আছে। তিন বছর হয়ে গেল দেশে যাই না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেশে আসবেন কবে?
লেখা যথারীতি জাঝা!
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ। এই বছর আসব, জোর ইচ্ছে আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্কুলে হেঁটে হেঁটে যাওয়া-আসা করতাম আম্মুর সাথে। আসতে যেতে "চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসা"র বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়ত। একদিন জিজ্ঞেস করে বসলাম, "আম্মু, যৌন কী?" আম্মু একটু ভেবে বললো, "এইটা একটা অসুখ।"
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওই ডাক্তারদের কাছে যাওয়াটাও ঝামেলা। অন্য রোগিরা ভাবে আমি শেষোক্ত রোগাক্রান্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই পিচ্চির মাথা ভর্তি বুদ্ধি, এত পুরাই দার্শনিক।
এর জন্য এত মজার একটা সিরিজ পাচ্ছি। তাই ওকে এবং যারা ওকে পৃথিবীতে এনেছে তাদের দুজন কে ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছোট হয়ে গেছে এবার। তারপরেও এই সিরিজ পড়লে মন্তব্য না করে পারি না ভাইয়া
আমিও তোমাদের মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত্ত সুন্দর করে কেম্নে লেখেন আপ্নি আল্লা মালুম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ আশালতা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সত্যিইতো! এধরনের বিখাউজ প্রশ্নের উত্তর দেওয়াতো আসলেই কঠিন। শিশুপালন পর্বের প্রশ্নগুলো পড়ে নিজে একটা উত্তর তৈরি করি, শেষে আপনার উত্তরটাকেই সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মেনে নিই।
এখানে বলে রাখি, আমার কিন্তু 'নাইস ড্রেস' আছে তবে বাসাতে আমি খুবই সাদামাটা পোশাকেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করি। সেই হিসাবে আপনার বয়ান মতে বাসায় আপনার মেয়ে আমাকে দেখলে ফ়়়়ই ভাববে।
আরে না...আমার পোশাক ভয়াবহ, ওটাকে ডিফিট দেওয়া কঠিন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মেতে মেয়েদের নিয়ে আসবানা ভাইয়া? মে মাসের এতো দেরী ক্যান?
লেখা... [ এট্টু ফাকিবাজী!]
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মে' মাস না হয়ে পরেও হতে পারে। তবে জোর ইচ্ছে আছে আসার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তবে ছোট্ট লেখায় মন ভরেনা ... মাত্র ২০ টা লিখবেন ? আরেকটু বেশি লিখলে হয়না ?
লেখা চলবে ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার লেখা! তবে কনটেন্টে গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়ার মতো সামান্য ফাঁকিবাজি আছে।
হা হা হা...ফাঁকি না মেরে উপায় নেই রে ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীমভাই, এই সিরিজটারও প্রয়োজন ফুরোবে না কখনও (এই যেমন শুনলুম সিমনভাই সদ্য বিয়া কর্সেন ), শিশুপালন দৌড়াক
সিমনের জন্য দোয়া করছি। ও বাবা হলেই আমি এই সিরিজের ভার ওর হাতে তুলে দেব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক মজা পড়তে এই সিরিজটা...ঠিক লাড্ডুর মতো
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ উচ্ছলা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাই, আপনার পিচ্চি সিরিয়াস চিন্তাশীল পিচ্চি... আদর রইল তার জন্য...
মাসে তিনটা করে ৩৬টা লেখা দিলে হয় না???
মেয়ে বড় হয়ে মহাবিশ্ব নিয়ে নতুন থিওরি দেবে সেই আশায় আছি। মাসে দু'টো লেখা দেওয়ার চেষ্টা সবসময় করি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চলুক প্রশ্নবাণ ! রিওর রোদের বন্যা ঘিরে থাকুক আপনার শিশুদের। আপনাকেও !
facebook
ধন্যবাদ তারেক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কঠিন কঠিন প্রশ্নে খুব বিপদে ফেলে দেয় দেখছি!!! সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ কবি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা আমার দারুণ প্রিয়, মুচমুচে একটা ফ্লেভার পাওয়া যায় সব সময় । আর এই সিরিজটি তো এককথায় অসাধারণ । যদিও মন্তব্য করা হয়না কখনও আলসে বলে । আজকের লেখাটা খুবই ছোট হয়ে গেল তবু কিছু কিছু জায়গা পড়ে গতকাল রাত দুপুরে হাস্তে হাসতে পেটে খিল ধরে গিয়েছিল
ধন্যবাদ সাবেকা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা পড়ে বেশ লাগছে । সিরিজের বাকি পর্বগুলো পড়ার প্রবল ইচ্ছা জাগলো ।
ধন্যবাদ মাসুম। শিশুপালন ট্যাগে ক্লিক করলে সব লেখা পাবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার চোথা ব্যবহার করি আমি। কাজেই ভাই .... কিচ্ছু বাদ্দিয়েন্না।
ইদানিং আমার মেয়ের ২ব৩মা বয়সেও পটি ট্রেনিং হয় নাই দেখে ঐ শিরোনামে কিছু ইউটিউব ভিডিও নামালাম। দেখি কাজ হয় কি না। আপনার মত সাহসী হয়ে প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং দেয়ার রিস্ক নেই না। আর দেখালেও আপনার লেসনটা খেয়াল রাখি (কখনই দাঁড়িয়ে করা দেখাই না )।
এখন অন্য সমস্যা হল, ডোরেমন এবং মিনা। ডোরেমন - টিভিতে, সমস্যার নাম হিন্দী + দুষ্টামী শেখা। মিনা ডেস্কটপে, সমস্যা - আঞ্চলিক ভাষা (করতেয়াছি, খাইতাছি টাইপের)। মিনা সমস্যা সমাধানকল্পে আপাতত অপেক্ষাকৃত প্রমিত বাংলার কিছু কার্টুন নামিয়েছি (নন্টে-ফন্টে + অন্যান্য)।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
কারও কাজে লেগেছ জানতে পেরে আমি আনন্দিত। ঢাকায় গিয়ে টিভি ছাড়লে হিন্দির অত্যাচার আমার কাছেও অসহ্য লাগে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিশুপালনের এই পর্বে কিন্তু অন্যকিছু মেশালেন। তবে যথারীতি সুখাদ্য।
আমার কন্যার সাড়ে তিন বছর বয়সে একদিন সন্ধ্যায় শিশুপার্কে বসে বাপ মেয়ে পপকর্ন চিবোত চিবোতে জগতের সবচেয়ে মধুর সময় পার করছিলাম, অদূরে অন্ধকারে আরেকটা বেঞ্চে দুটো ছেলে বসে বসে বিড়ি ফুকছিল মনের সুখে। কন্যা ওদের দিকে তাকিয়ে বললো, "বাবা বাবা দেখো আমরা পপকর্ন খায়, আর ওরা আগুন খায় "
আমি বললাম, "ওরা বোকা, তাই আগুন খায়।"
কন্যা ফট করে জিজ্ঞেস করে, "ওদের পেটে আগুনের খিদে কেন বাবা?"
এক আগুনখোরের কাছে এর কি জবাব আছে? আমি বললাম, "চলো একটা বেলুন পাখী কিনে বাসায় যাই।"
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হা হা হা।
আপনার মেয়েটাও মজার। ওকে নিয়েও লিখুন না...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কথায় আছে না, প্রত্যেকটা শিশুই দার্শনিক। যেসব মানুষ বড়বেলাতেও শিশুসুলভ কৌতূহল আর বিস্ময় অনুভব করার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে,তারাই দার্শনিক হয়।
শিশুপালন চলতে থাকুক
সাধারণত বড়বেলায় মানুষেরা বোরিং হয়ে যায়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা আপনার বাবু দুইটা খুবই মজার। ওদের জন্য অনেক আদর।
আপনার লেখা ভাল পাই, আরও বেশি বেশি লিখেন ভাইয়া।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কাশফুল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি দুর্ধর্ষ!
এই কথাটা খুব ভাল্লাগলো। যদিও ব্যাক্তিগত জীবনে আমি 'হস্ত থাকিতে কেন মুখে কহ কথা' নীতিতে বিশ্বাসি, কিন্তু মাঝে মাঝে গাল দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
নতুন মন্তব্য করুন