মাসুদ আমার বাল্যবন্ধু। ওকে আমরা বলি “অনলাইন মাসুদ”। আমেরিকাতে একটা কোম্পানিতে আইটির কাজ করে। সারাদিন ল্যাপটপ নিয়ে নেটে ঘোরাঘোরি। ফোন করলে জবাব পাওয়া যায় না, ওকে ধরতে হলে নাকি আইএম অথবা ই-মেইল করতে হবে। কম্পিউটারে আমার বড়ই অনীহা, তাই ই-মেইল করে বলেছিলাম ফোন ধরতে। সেই কারণেই ওর গলাটা শুনতে পাচ্ছি। একটা কাজেই ফোন করেছি।
"শোন তুই কল দিয়ে ঠিকই করেছিস...বিয়ের জন্য ছেলের খোঁজখবর নেওয়া কোথায় শুরু করতে হয় জানিস তো? শুরু করবি ইন্টারনেট দিয়ে, বুঝলি...পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব জানবে না এই রকম অনেক তথ্যই তুই ওয়েব ঘেঁটে পাবি...বল নামটা আবার বল..." অনলাইনের থাকার ফজিলত আরেক দফা জানিয়ে মাসুদ তার প্রশ্নটা আবারও করল।
"ছেলের নাম মোহাম্মদ রাজিব আলম..."
"শোন দোস্ত ছেলে বা মেয়ের সম্বন্ধে খোঁজখবরের ফার্স্ট স্টেপটা হচ্ছে, নামটা নিয়ে গুগল করবি...ইয়ে যেই দিনকাল পড়ছে, বুঝলি তো, চারিদিকে ভিডিওর ছড়াছড়ি...গুগল করলেই বেরিয়ে আসবে ছেলের ভিডিও-টিডিও মার্কেটে আছে কিনা, বুঝলি তো...নামটা বললি...মোহাম্মদ রাজিব...মোহাম্মদ বাদ দেই, আড়াই লাখ রেজাল্ট আসবে...শুধু যদি রাজিব দিয়ে খুঁজি.." ওপার থেকে একটু নীরবতা শোনা যায় সেই সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড সঙ্গীত অর্থাৎ কিবোর্ডও নীরব হয়ে যায় মাসুদের মতোই।
"ইয়ে রাজিব দিয়ে খুঁজলে একটা হিট পাওয়া যাবে...ওই যে ওই ছেলেটা বুঝলি তো, কোন এক মেয়ের বয়ফ্রেন্ড ছিল, ছ্যাঁকা খেয়ে ভিডিও রিলিজ করে দিয়েছিল...একদম ইয়ে অবস্থা...দেখেছিস তো ওটা? নাইলে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি...তুই ফাইল শেয়ারিং সফটওয়ার ব্যবহার করতে পারিস তো?..." দ্রুতগামী মেইল ট্রেনের মতো মাসুদ কলকল করতে থাকে, দিব্য চোখে ওর চকচক হয়ে ওঠা চোখগুলো দেখতে পাই।
"তবে ভিডিও রিলিজ ইজ নট এন্ড অফ দি লাইফ, ইন ফ্যাক্ট এক্সপেরিয়েন্সেড লোকের কদর সব ফিল্ডেই..." মাসুদ আশ্বস্ত করতে চেষ্টা করলে আমি বাধা দেই।
"আরে না ওই ছেলে আর এই ছেলে এক না...আর নাম মিললেই কি মানুষ এক হয়ে যাবে নাকি?" একটু বিরক্ত হয়েই আমি জানাই।
"আরে আরে দোস্ত এটা হচ্ছে নেইম চেক। আমেরিকানরা ভিসা দেওয়ার আগে এটা চেক করে। বুঝিলি গতবার ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে দুই মাস আটকা পড়লাম না...এই শালার নেইম চেকের জন্য। কোথায় আফগানিস্তানে কোন মাসুদ ইসলাম কি করেছে আর সেটা নিয়ে আমার ইয়ে টানাটানি...যেটা বলতে চাইছিলাম দোস্ত...নেইম চেক মিললে প্রথমেই একটু সন্দেহ হয়, বুঝলি আগামী বিশ বছর যত রাজিবের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসবে ততবার মানুষজন একটু চেক করে দেখবে...বিন লাদেনের মতো ওই নাম এখন ব্র্যান্ডেড, হা হা হা..." অট্টহাসির পাশাপাশি মাসুদের কিবোর্ডের খটখট আওয়াজটাও শুনতে পাই। বুঝতে পারি কথা বলার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে চলছে সে।
"কোথায় কাজ করে বললি, আরপিটি টেকনোলজি। দাঁড়া প্রথমে গুগল করে দেখি ওই নামে কোন কোম্পানি আছে কিনা। আরে বাংলাদেশে মানুষ বিয়ের বায়োডাটাতে কতো রকম বালছাল লেখে বিশ্বাস করবি না, প্রায়ইতো এই সব চেক করতে হয়...এক ইয়ের ভাই লিখছে যে সে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ে...হা হা হা...দাঁড়া আর...পি...টি...আরে বুঝলি একটা সময় ছিল এবিসিডি ডট কম লিখলেও কোনো কোম্পানির ওয়েব সাইট পাওয়া যেত, সেই দিন আর নাই মামু...ডটকমটম সব তলায়ে গেছে, আমেরিকার খবর আছে...চান্দু আমগোরে ভিসা দাও না...আরে কয়দিন পর তোমগোরে চায়নার ভিসার জন্য খাড়াইতে হইব..." আমেরিকার আসন্ন পতনের আনন্দে মাসুদের উল্লাসটা আর চাপা থাকে না। বহুদূর থেকেও আমি সেটা টের পাই।
"আরপিটি ইজ অ্যা ভ্যালিড কোম্পানি...ইন ফ্যাক্ট আমার অফিস মেইট জানালো যে ওই খানে ওর বউয়ের ছোট বোনের বয়ফ্রেন্ড কাজ করে..." গলার স্বরটা এইবার একধাপ নামিয়ে আনে সে।
“বুঝলি ওই শালায় ইন্ডিয়ান, এরাই আমেরিকারে খাইছে...কয়দিন পরে হাইটেকে সাদা চামড়া মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে...আমেরিকা আর সেই আমেরিকা নাই রে...অফিস ভর্তি আন্ডু আর চিঙ্কু..." এইবার গলাটা দুই ধাপ চড়ালো সে।
“আবে ইয়ার ক্যান ইউ আইএম রাকেশ অ্যান্ড চেক দিজ মোহাম্মদ আলম গাই ইন দ্য ইয়ে কি জানি...ইন দ্য ডিরেকটরি অফ আরপিটি..." নাহ এতো বছর আমেরিকাতে থেকেও মাসুদের ইংরেজিটা রপ্ত হলো না।
"দাঁড়া ওই অফিসে এই নামে কেউ আছে কিনা চেক করে দেখছি..." মাসুদ আমাকে আশ্বাস দেয়।
আমি টুনটুন শব্দ শুনতে পাই, তার সাথে খুটখাট, টকটক শব্দ...তথ্য প্রযুক্তির বিস্ময় নিয়ে একটু ভাবিত হই। দুনিয়ার সব খবর দেখি নেটেই পাওয়া যায়।
হঠাৎ ও প্রান্ত থেকে একটা রজনীকান্ত মার্কা একটা হেঁড়ে গলা ধেয়ে আসে...
"আব্বে ইয়ার দিজ মোহাম্মদ গাই ইজ দেয়ার ওনলি...হি ওয়ার্ক অ্যাজ অ্যা কনট্রাক্টর ওনলি..."
এই লোকের পাশে মাসুদের ইংরেজিও শেক্সপিয়ারের মতো লাগবে নিশ্চিত। মাসুদের বিজয়ীর হাসি শোনা যায়।
“দোস্ত শুনলি তো...এই ব্যাটা রেগুলার নয়, কনট্র্যাক্ট এমপ্লয়ি... অসুবিধা নেই...বুঝলি যেই দিন কাল পড়ছে - এখন কোম্পানি আর রেগুলার এমপ্লয়ি রাখতে চায় না, পারলে এরা সিইওর পজিশন কন্ট্র্যাক্ট করে দেয়। বুঝলি তো যাতে এক মাসের বেতন দিয়া হোগায় লাথি মাইরা কোম্পানি থেকে বাইর করন যায়...আমেরিকা আর সেই আমেরিকা নাই রে" - হাহাকার করে ওঠে মাসুদ।
আমি রেগুলার আর কনট্র্যাক্টের পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করি। মাসুদই আরেক দফা এগিয়ে আসে।
"তোর বাড়ির ফুলটাইম বুয়াটা হচ্ছে রেগুলার, আর সকালে যেই মেয়েটা ঘর পরিস্কার করতে আসে, সেইটা হোলো কন্ট্র্যাক্ট মানে ঠিকা কাজের লোক...কাজ করবি একই – কিন্তু প্রজেক্ট শেষ হলেই চাকরি নট..." ব্যবধানটা প্রাঞ্জল করে দেয় মাসুদ।
"দাঁড়া খবর এখনো শেষ হয় নাই। আসল চেকটা বাকি আছে এখনো। ইমেইলে দোস্ত পোলার খোমাটা দেইখ্যা একটু লুইচ্চা লুইচ্চা লাগছিল...ওইটা চেক করতে হবে।” এইবার পাত্রের আসল পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দেয় মাসুদ।
“এইজন্য দোস্ত আমি কম কাপড় পড়া একটা মেয়ের ছবি দিয়ে ফেসবুক একাউন্ট রাখছি...ওই একাউন্ট থেকে পোলারে অ্যাড করি...বুঝলি ফেসবুক একাউন্ট আছে ৭ টা, অফিসের জন্য একটা, শ্বশুর বাড়ির জন্য একটা, জাকির নায়েকের ভক্তদের জন্য একটা, নাস্তিকদের জন্য একটা, লুচ্চামি করার জন্য একটা...রিকোয়েস্ট পাঠাইলাম পোলারে...এই একাউন্টে আমার নাম হইতেছে দেশি ম্যাডোনা-২...হা হা হা...আমি শালা একটা জিনিয়াস" নিজের বুদ্ধিতে মাসুদ নিজেই চমকৃত হয়। আমিও বিস্মিত হই এই নেটনির্ভর দুনিয়া দেখে। কত কিছুই অজানা ছিল।
"আরে হালায় কাজকর্ম করে কখন? অ্যাডানোর লগে লগে এক্সেপ্ট..." মাসুদের কন্ঠে বিস্ময়। “হালায় তো মনে হয় ফেসবুক খুলে বসে থাকে অফিসে...আর তোরা ভাবিস আমেরিকাতে লোকজন কাজ করে উল্টায়ে ফালায়, আসলে তলা দিয়ে সব শালাই ফেসবুক...এই দেশের ডোবার বেশি বাকি নাই আর...আমেরিকার কি এমনি এমনি এই অবস্থা" এরপর চাপাস্বরে বলে...
"এই শালা পাশের কিউবের আন্ডুটা...ওই শালায় কি করে জানিস..."
জানার জন্য আমিও একটু উৎসুক বোধ করি। কিন্তু অবাধ তথ্যপ্রবাহের স্রোতে আমাদের আলোচনার স্রোত আটকে যায়।
"আরে আরে পোলায় আমারে মেসেজ দিয়েছে, সে ফোন নম্বর চায়...হায়রে হায় ইয়ের ভাই, লুইচ্চার লুইচ্চা...আর দোস্ত ইংলিশের যেই অবস্থা...হালায় মেট্রিক পাশ কিনা সন্দেহ আছে" মাসুদ ফলাফল জানায়। ছেলের ইংরেজি নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না, কিন্তু চরিত্রের পরীক্ষায় ফেলমার্ক নিশ্চিত।
মনে মনে আমিও মাসুদকে ধন্যবাদ দেই। শালা আসলেই একটা জিনিয়াস...মাত্র ২০ মিনিটে এতো সব তথ্য। সোমার জীবনটা রক্ষা পেয়ে গেল। আমরা তো সব্বাই ভেবেছিলাম দারুণ একটা ছেলে পাওয়া গেছে। ইন্টারনেটের ওপর রীতিমতো ভক্তি হয়ে যায় আমার। একটু মন দিয়ে ব্রাউজ করা শিখতে হবে এখন থেকে। সেই সঙ্গে গুগল সার্চ করাটাও। আর ফেসবুকেও এখন একাউন্ট নিতে হবে। নিজেকে বনমানুষ মনে হয় মাঝে মাঝে ।পৃথিবীটা যে কোথায় এগিয়ে...ক্রিং ক্রিং ক্রিং...ফোনের শব্দে চমকে যাই।
"মাসুদ তুই দোস্ত একটু ধর...বাসার ফোনটা বাজছে"
"বাবা বাবা...পিয়াল..." ওইদিক থেকে শাশুড়ির আর্ত চিৎকার শোনা যায়।
"বাবা, আমার মেয়ে এইটা কি করল বাবা...বাবা...তোমার শ্বশুর হাজি মানুষ...তার মেয়ে হইয়া এইটা কি করল..."
"কেন আম্মা সোমা কি করেছে?" চিন্তিত স্বরে আমি জিজ্ঞেস করি।
"ওই পাশের বাড়ির ওই বদপোলার লগে ভাগছে গো বাবা...ওই হারামজাদা পোলায় ব্লগ না কি যেন লিখতো, আমার মাইয়ারও দোষ আছে, ওর লেখা পইড়্যা সে তার ফেসবুকে পোলারে ঢুকাইছে...বাবা এই কবি সাহিত্যিক এইগুলা কি ভালো মানুষ হয়...ওই পোলায় সোমার মাথাটা খাইছে...আমরা ওরে অন্য জায়গায় বিয়া দিমু বুঝতে পাইরা চিঠি লেইখ্যা গেছে গিয়া...আমি এই একটু আগে দেখলাম...আমাদের কি হবে, তোমার শ্বশুর হাজি মানুষ, তোমার ড়্যাবের ছোটমামারে একটা ফোন দাও বাবা................." আর্ত চিৎকার চলতেই থাকে...চলতেই থাকে।
শাশুড়িকে কোনমতে শান্ত করে অনলাইন মাসুদের ফোনটা ধরি।
"দোস্ত ইয়ে একটু সমস্যা হয়ে গেছে...সোমার পছন্দ ছিল, আমরা ঠিক জানতাম না...ইয়ে ওই ছেলের সাথে বেরিয়ে গিয়েছে। ছেলে উঠতি সাহিত্যিক, কোনো একটা ব্লগে লিখতো..."
মাসুদ মোটেও দমে না। বরং উল্লসিত গলায় বলে..."এইটা দোস্ত ভালোই করেছে। আমেরিকায় চাকরি দেখেই বিয়ে দিবি না...এই আমেরিকা আর সেই আমেরিকা নাই রে...ছেলে কি করে বললি...ব্লগ লিখে...উঠতি সাহিত্যিক...খারাপ না তো...এরপর মিডিয়াতে ঢুকে প্যাকেজ নাটক বা বিজ্ঞাপন বানাবে...একটু আধটু লুচ্চামি বাদ দিলে এই পোলাগুলা খারাপ হয় না...তবে দোস্ত কোন ব্লগ জানিস কিছু...সোনাব্লগ নাতো আবার...ওইটা ছাগু ভর্তি...তবে দোস্ত সামু হইলেও লেখার কন্টেট চেক করতে হবে...তোর শাশুড়িকে ফোন করে ওই ছেলের নাম আর নিকটা একটু জানা দেখি...জাস্ট টুয়েন্টি মিনিটস...সব খোঁজ তোরে এনে দিব...নো ওয়ারিস...
[কাল্পনিক কাহিনী, কারো সাথে মিল পেলে বা কারো অন্তরে আঘাত লাগলে সেটা ঘটনাচক্রের চক্রান্ত]
মন্তব্য
ব্লগ এখন পর্নোগ্রাফিতে পরিণত হয়েছে। ব্লগাররা সব পর্নস্টার। সোমা সুখেই থাকবে, অন্তত রাতের বেলা। আলহামদুলিল্লাহ।
হুম তাই। যার পর্ণস্টার হওয়ার কথা সে রাজনীতিতে গেলে সবাইকেই নিজের মতো ভাববে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সাহিত্যিক শুনে মনে হৈতেছে চরম উদাসের কাহিনী।
কন কি, আমি তো ভাবছি উদাস দা সবকিছুতেই চরম উদাস! এখন !
facebook
সব্বোনাশ...ওই বলেছিলাম না...গল্পের সাথে জীবিত বা মৃত কারো সাথে কোনো ইয়ে নাই...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হে হে, ওটাতো কথার কথা বলেছেন, দেখি এহন গরম দা কিছু কয় নাকি, আবার শরম পেল।
facebook
বড় ভাই লজ্জ্বা পায় কেন?
-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
facebook
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ব্লগ-সাহিত্যিক, ফেইসবুক সংক্রান্ত লুলামো, গুগল সার্চে পাত্র/পাত্রীর ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, ড়্যাব -
সবই তো কাভার্ড এক লেখায়!
দারুন মজা পেলাম পড়ে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ উচ্ছলা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এক দমে পড়েছি। সাথে তৃপ্তি রসের পুরোটা-ই . . . .
ধন্যবাদ সজল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যেইসব পোলা ফেসবুকে দেশি ম্যাডোনা-২ এর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করে, সেগুলা শুধু লুইচ্চা না, বেকুব ও।
কাজিনের কোন বিয়ের প্রস্তাব আসলেই আমরা বাকি কাজিনেরা ঐ পোলারে ফেসবুকে বাজিয়ে দেখে নেই। এইটা এখন ফরজ কাজ।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বেকুব লুইচ্চাগুলোই ধরা খায়, স্মার্টগুলোকে চেনা কঠিন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হাহাহাহাহা .. একদম ঠিক কথা বলেছেন।
এই লেখা আর কমেন্ট পড়ে কিন্তু সাবধান হয়ে গেলাম
ও! লেখা অছাম হইছে!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হেহে ফেস্বুক টেস্ট এখন লিটমাস টেস্ট
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
তাই তো মনে হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সচলে যে কয়েকজনের লেখা খুঁজি তাদের মধ্যে আপনি একজন। এই আপনারদের জন্যই আমার মত অলস মানুষ ও অভ্র ইন্সটল করে আজ বাংলায় কমেন্ট করে।
যথারীতি সেইরকম।
আশা করি আরও ঘন ঘন আপনার লেখা পাব।
ধন্যবাদ নাফিস। টুকটাক লেখার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সময় যে বড় সকীর্ণ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাফিস আমার মনের কথাটা বলে দিয়েছেন! লেখা বরাবরের মত ভাল লেগেছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার বর্ননার ভংগি অনেক সাবলীল। গল্পটির বিষয়বস্তু বাংলাদেশের অনেক পরিবারেরই কমন পড়ে যাবে। শেষটুকু যথারীতি চমক দেয়ার জন্য এনেছেন; কিন্তু আমার কাছে বেশী ভাল লেগেছে প্রথম অংশটুকু যেখানে এক প্রবাসী পাত্রের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হয় অনলাইনে। বিষটি নতুন এবং একই সঙ্গে বাস্তব।
সিইউর পজিশন তো 'চুক্তিভিত্তিক'ই থাকে সবসময়!
এই শেষের লাইনটা ফাটাফাটি হয়েছে; টাইটেলের সাথে দারুণ গেছে এই শেষের লাইন।
ধন্যবাদ কাজি মামুন। সিইওর নিয়োগ কোম্পানির বোর্ড দিয়ে থাকে সাধারণত, কোম্পানির ভেতরের লোকই হয়। আর মার্কিন দেশের কন্ট্রাক্ট কর্মচারীরা হচ্ছেন অন্য একটা কোম্পানির লোক। বহু কোম্পানিতে অনেক লোক এই রকম বছরের পর বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। কাজ করছেন কোম্পানি এক্সে বেতন আসছে কোম্পানি ওয়াই থেকে। অর্থাৎ কোম্পানি এক্সে দেওয়া কোম্পানি ওয়াইয়ের লোক। বোঝাতে পারলাম? প্রজেক্ট শেষ হলে এরা ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বছর দেড়েক আগে এফবিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেয়ে একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কি কোন সুত্রে আমার পরিচিত?
তাঁর উত্তর ছিল-- হ্যাঁ, আমি সচল ***'র কলেজ ফ্রেন্ড আর আপনার ইউনি বন্ধু ***'র বয়ফ্রেন্ড।
মজা লেগেছিল পড়ে।
খোমাখাতা জুড়ে প্রচুর গোলমাল! [দার্শনিক ইমো]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই সব গোলমালের কারনেই বড়রা ছোটদের কম্পিউটার ধরতে বারণ করেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ওই শাব্দিক বিবি, আপনে হাসেন কেনু?
আমি কি এখনো ছোট নাকি?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছোটরা কবে কোনদিন নিজেদের ছোট ভাবসে?
মজারু হইছে
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গল্পের কথা পরে, আগে কন সোমা নামে আপনার সত্যই একজন শালি আছে কিনা!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্প কি আর বিশ্বাস করতে হয়?
তবে রেগুলার সচলে লিখলে সোমা জুটাতে অসুবিধা হবে না (নিচের একটা মন্তব্য দ্রষ্টব্য)। মোরাল হচ্ছে এই দুনিয়াতে নিজের সোমা নিজেরই জোগাড় করতে হয়। কর্মেই ফল। এইবার ফাডায়ে লেখা শুরু কর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বুঝছি, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! দুর্নীতিবাজ মেম্বরের কথা স্মরণে আসতেছে জনাব।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ" সত্যিই আছে কিন্তু একটা।
ইদানিং মানুষ চালাক হয়ে গেছে। ফেসবুক টেস্ট কাজ করেনা। ব্লগ পড়ে কতজনের প্রেমেই পড়লাম, ব্লগের বাইরে তাদের খুঁজে পাইনা। কারো কারো লেখা পড়লে আমারো সোমা হইতে মঞ্চায়
সর্বনাশ।
সোমার একজন ধূসর ক্যান্ডিডেট কিন্তু উপরে হাজির।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
www.wub.edu.bd
সাইট ভিজিটের দাওয়াত দিলাম। কিছুদিন জ্ঞান বিতরণ করছিলাম বাংলাদেশের বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে, ব্যাপক হাসাহাসি করতাম তখন এই নাম নিয়ে। বেচারাদের কী দোষ। সবাই আগেই উত্তরদক্ষিণপূর্বপশ্চিম আমেরিকা এশিয়া সব দখল করে ফেলেছে। এরা তাই আর না পেরে পুরো ওয়ার্ল্ড নিয়েই নেমেছে।
সমস্যা তো ধূসরেই। ধূসর মানবদের ব্লগের বাইরে কোথায় পাওয়া যায় জানি না। (এই ইমোতে হচ্ছেনা, ব্যাপক মন খারাপের ইমো হবে)
লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ। তবে কবি সাহিত্যিকের থেকে দূরে থাকাই ভালো, এর জীবন ভাজা ভাজা করে দিতে ওস্তাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা দারুন যথারীতি, সচলে আপনার সবগুলো পুরোন লেখা পড়েছি।
আপনার লেখা বরাবরই অসাধারন।
অনেক ধন্যবাদ শাব্দিক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এটাই সিস্টেম এখন, তবে স্মার্ট হলেও লুল তো লুলই, সবই ধরা নেটের কল্যানে
লিখা মজারু
ধন্যবাদ লাবণ্যপ্রভা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পোলা ব্লগার???
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ আশফাক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বহুত মজা পাইসি।
ধন্যবাদ মরুদ্যান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঘটনার পেছনের ঘটনা জানবার মন চায়
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আরে না ভাই, পেছনে কোনো ঘটনা নেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন লাগলো
ধন্যবাদ অমিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্তিস!!!
ধন্যবাদ অনিকেত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জাস্ট ফাটা ফাটি----------
ধন্যবাদ জুবায়ের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ
হুম তাই। ধন্যবাদ সুমিমা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গল্পটা মজার হয়েছে।
ধন্যবাদ অরিত্র।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হায় খোদা!!!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শিমুল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পুরাই জোশ !! মারাত্মক মানে পুরাই মারাত্মক।
আপনার উপ্রে একটু ক্ষেপে আছিঃ মার্কিন মুল্লুক কই
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ। মার্কিন মুল্লুকের একটা পর্ব অর্ধেক লেখা হয়ে আছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
অনলাইনে যেমুন লাইন মারা যায় তেমুন ধরা খাইয়া মনের সুখে গালিও দেয়া যায়
তবে সাবধান, মন্ত্রিরে দেন ঠিকাছে, তয় পরধান্মন্ত্রীরে দিলে কিন্তু খবর আছে
ইয়েপ, সাবধান, পিপল আর ওয়াচিং।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, বহুদিন আপনার দেবশিশুদের নিয়ে কোন লেখা নেই, ছবি নেই।
কেন কিছু দিন আগেই শিশুপালন দিলাম না। গল্প আর ছবিও দেব সময় করে। বেশ কিছু লেখা ড্রাফট হয়ে আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আচ্ছা
খাইসে!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কেন?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
টুয়েন্টি মিনিটে এতদূর!!! আর ঘন্টাখানেক সময় পেলে তো পাত্রের দাদার জেনেটিক কোডসহ বের করে আনতো।
বদভ্যাসটা আমারো। বানাম চেক করার জন্ন আজকাল ডিকশেনারী হাতাই না। গুগল টিপে বের করি। সাথে বোনাসও মেলে। সেদিন এক কলিগ বলে কাস্টম থেকে ফোন আসছে ওরা জানতে চায় spam আমদানী করছি কেন? আমি বললাম স্প্যাম তো মেইলে থাকে, আমদানী করতে হবে কেন। কলিগ বললো, spam নামের একটা খাদ্যবস্তু আছে আমাদের তালিকায়। তিনটা টিন পাওয়া গেছে। কাস্টম ওগুলোর স্যাম্পল নিয়ে গেছে। দেখতে সন্দেহজনক। নিষিদ্ধ খাবার হলে পেনাল্টি করবে। আমি নিশ্চিত হবার জন্য গুগুল মামারে জিগালাম। দেখি এইটা শুয়োরের মাংসের একটা ব্রান্ড, টিনজাত খাবার। আমার শিরদাড়া বেয়ে ঘাম ঝরতে লাগলো। আমদানী নিষিদ্ধ পন্য শুয়োরের মাংস। এবার রক্ষা নাই!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
spam নামের খাবারটা দেখেছি সুপারমার্কেটে।
দিনে দিনে আমাদের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কিছু মনে কইরেন না ভাই। আমি একদা মিল খুঁজি পাইছি। এই মাসুদ এর লগে মাসুদ রানার মিল খুঁজি পাইছি। অনলাইন গোয়েন্দাগিরি।
লিখা তো বস হইছে। কওন লাগবো?
ধন্যবাদ অন্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাইটেক হাসি পাইতাছে ভাই । তাই স্মাইলি দিয়া হাসি ।
ধন্যবাদ প্রদীপ্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কঠ্ঠিন লেখা হইছে।
লুল পোলা যেমন আছে, তেমন শীলা, মুন্নি টাইপ মাইয়াও কিন্তু আছে। এদের দশ জনের কোলের উপরে উইঠা তনুখানি দেখাইয়া হাজারো ছবি দেখা যায়।
আপনার শিশুপালন অনেক দিন ধরে দেখতেছি না।
ধন্যবাদ। শিশুপালন আসবে, সময়াভাবে শেষ করতে পারছি না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন