আমি ঘুম জড়ানো গলায় তাকে তাড়াতে চাই। সে ফিরে আসে বারবার, দুষ্টু হাসি মুখে ঝুলিয়ে বলে - "আমার কথা মনে আছে তো?"
মাঝে মাঝে সাতসকালে আমি প্রাত্যহিকের ব্যস্ততা সামলাতে সামলাতেই সে হঠাৎই সামনে সেই পুরানো বেশ নিয়ে এসে দাঁড়ায়। একগাল হেসে বলে - "চলে এলাম”।
সে ঠাঁয় বসে থাকে নাছোড়বান্দা। নিরুপায় হয়ে আমিও মেতে উঠি গল্পে তার সাথে। আমার চারপাশ পালটে গিয়ে হয়ে যায় স্টার অথবা প্লাজা হোটেল – বাইরে দিনের শেষ আলো। চায়ের কাপ নিয়ে আড্ডা দেই এক বন্ধুর সাথে - আরেকজনের অপেক্ষায়। বাইরে প্রবাহমান জনস্রোত, টেম্পোর আওয়াজ, রিকশাওয়ালার সাথে যাত্রীর ঝগড়া, উঠতি মাস্তানের খিস্তি। আমাদের আলাপচারিতা দখল করতে পারেনা ঈশ্বর অথবা পঁচে যাওয়া রাজনৈতিক নেতারা, বরং সবুজ জামা পরা শ্যামলা মেয়েটা আমাদের মোহিত করে রাখে, সে আজ অবশ্যই খালাম্মা বলে সম্বোধিত। কিন্তু সেই ম্লান আলোতে সেও সময়ের আঁচড় থেকে মুক্তি পেয়ে যায়।
সে এক শহর আছে। আমি শিশুর সামনে পড়ে থাকা বাবা-মায়ের লাশ দেখে তার দিকে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে বলি - "তুমি এতো বদলে গেছ?"
সে আমাকে বলে - "জানো এখনো জ্যোৎস্না হয় আমার বুকে, কংক্রিটের গায়ে লেগে থাকে সেই আলো। তুমি সেই আলো কেন গালে মাখো না? এখনো বৃষ্টি হয় ঝমঝমিয়ে, ভিজে যায় পথ-ঘাট, ইলেট্রিকের তার, পাখির বাসা এবং মিষ্টান্ন ভাণ্ডার - তুমি তো সেই বৃষ্টিতে ভেজো না। কারো ঠোঁটে ঠোঁট রাখো না হুড তোলা রিকশায়, তাই দেখতে পাও না কেমন ভাবে বেঁচে থাকে ছোট্ট চারাগাছ”।
আমি বিরক্ত হয়ে তাকে বলি - "তোমার রাস্তায় তো হাঁটা বড় দায়। মানুষের ঘামের গন্ধ যেন পৌঁছে যায় বন্ধ দরজার ওপারে" ।
সে আমাকে বলে- “তুমি আকাশের দিকে তাকাও নি কেন? ওটা রয়ে গেছে প্রায় আগের মতোই। ভালো মতো লক্ষ্য করলে দেখবে, ওখানে এখনো আছে হারানো ঘুড়ির জন্য হাহাকার। সেই আকাশে আজও উড়ে বেড়ায় ডাইনোসরের মতো মেঘ, লাগাম ছেঁড়া কল্পনার রং-তুলি দিয়ে আজও কেউ না কেউ আঁকছে স্বপ্নদৃশ্য সেই ক্যানভাসে। সেই আকাশে মলিনতা নেই।
আমি তাকে বলি - “ছুটি নিয়ে তোমার নোংরা-ময়লা দেখতে যাওয়া আহম্মকি ছাড়া আর কিছু নয়।
সে আমাকে বলে “তুমি তো ছুটি নাওনি অনেকদিন। তোমাদের দেশে ছুটির বদলে আছে ভ্যাকেশন। দেখতে গিয়েছো সাজানো শহর, ফুলের বাগান, ঝর্ণা অথবা পাহাড়। ছুটি নিলে বুঝতে কেমন মাদকতা আছে এতে। দেখতে পেতে খোলা একটা মাঠ, তাতে ফুটে আছে অজস্র কাশফুল। যেমনটি থাকতো গ্রীষ্মের বন্ধের পরের ইশকুলের মাঠ। অথবা দেখতে বিষণ্ণ একটা দোতালা বাড়ির প্রায় অন্ধকার ঘরের জানালায় বসে বৃষ্টি দেখছে এক কিশোর। অথবা ব্যস্ত মহাসড়কে এক কিশোরি ফুল বিক্রেতা, সেই দৃশ্যে একমাত্র রঙিন জিনিসটা হচ্ছে একগুচ্ছ লাল গোলাপ। এইবেলা ছুটি নিয়েই দেখনা একবার।”
আমি তাকে বলি - "তোমার ওখানে গিয়ে তো থাকা অসম্ভব, কলে পানি থাকে না, গরম, বিদুৎ নেই, খেলার মাঠ নেই..."
সে বলে ওঠে - " তুমি বোধহয় ভুলে গেছ, ছেলেবেলায় তোমার বাবাকে পাহাড়ের মতো বড় মনে হতো তোমার কাছে। অফিস ফেরৎ তিনি বিকেলে দরজাতে কড়া নাড়লেই তুমি ছুটে যেতে, লাফিয়ে উঠতে সেই পাহাড়ে। তাঁর বুক পকেটে রাখা কলমের চেয়ে বড় খেলনা তুমি পেয়েছো কখনো? অথবা সেই কমলাটে বলটা চেয়ে বড় উপহার কেউ দিয়েছে কখনো? সেই প্রাচীন পাহাড়টা আজও আছে, তার কাছে আজও গিয়ে থাকা যায় বসে, চুপচাপ। বৃক্ষেরা প্রাচীন হলেও তাদের ছায়ারা পুরানো হয় না। হাত ছাড়লেই তুমি হারিয়ে যাবে এই ভেবে শক্ত করে ধরে রাখতে তাঁর হাত পথের ভিড়ে, আজ জীবনের ভিড়ে তোমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে কে? এখন দরজায় আওয়াজ শুনলে তাঁরও কেন জানি মনে হয় পথ ভুলে তুমি এসেছো ফিরে। একবার ফিরে দেখো - একবার দেখোই না।”
গাঢ় স্বরে সে বলে চলে - “তোমার খেলনা বন্দুক, লাল রঙের বালতি, স্কুলের মাঠ, প্রথম ভালোবাসা, কলেজ পালিয়ে দেখা সিনেমা, বাকিতে কেনা সিগারেট, রেঁস্তোরার চপ, পুকুরের পানিতে বৃষ্টির ফোঁটা, রিকশায় শহর ভ্রমণ, ধূমায়িত আড্ডাঘর, অর্ধেক পড়া উপন্যাস, ছাদের চিলেকোঠা, পুরানো আকাশ, সবুজ সোয়েটার, ভাঙা রেডিও, ধ্রুবতারা - সবই জমিয়ে রেখেছি আমি। সবই রয়েছে আজও চমৎকার।”
সেই শহরের বিষণ্ণ চোখ ভেসে উঠে বারেবার।
###
মন্তব্য
চমৎকার । আপনি মানুষের মন খারাপ করিয়ে দেয়ার ওস্তাদ ।
মন ভালো করার জন্য উদাসবাবুর জগাখিচুড়ি আছে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কিভাবে এমন লিখতে পারেন খুব জানতে ইচ্ছে করে !! প্রশংসার ভাষা জানা নাই।
আপনার শহর আপনার অপেক্ষায় আছে, আমাদের শহর আমাদের অপেক্ষায় আছে।
ফেলে আসা খুব সহজ, ফিরে যাওয়া সহজ নয়।
ভাল থাকবেন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এমন করে লিখতে নেই। আপিস বসে কান্নাকাটি করা যায় না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
অফিসে বসে কান্নাকাটি করা অনুচিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কান্না চাপতে তাই হাই তুলতেছি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
চমৎকার!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"প্রিয় আসমানি ........ সাদা সোডিয়াম বাতি কেড়ে নিয়েছে নিয়ন আলো",
এই আর্তিটাই বুঝি ফুটে উঠলো সবশেষে........
খুব ভালো লাগলো ........
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ধন্যবাদ ঝরাপাতা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, এমনিতেই মন খারাপ, আর মন খারাপ করাইয়েননা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পরের লেখাতে মন ভালো করে দেওয়ার অঙ্গীকার রইল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শহরটার সাথে শহরটার মানুষগুলো কি অদ্ভুত রকম অবিচ্ছেদ্য, ঠিক না তাসনীম ভাই? ঢাকা থেকে দূরে থাকি, বলে বোঝাতে পারিনা কাউকে -প্রিয়তমা মলিন বেশে বসে থেকেও প্রিয়তমা, প্রিয়তমা চোখের অপেক্ষায় থাকে!
সচল জীবনের এই আটমাস চারদিন পূর্ণ হলো আজ, আপনার লেখায় প্রিয় শহর খুঁজে পেয়েছি বারবার .. চলে আসেন, আসতে হলে এতো ভাবতে হয়না, যেতে হলে হয় .... চলে আসেন ..
শহরগুলো আসলে মানুষ। ধন্যবাদ তানিম।
সত্য কথা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'মনুষ্যজন্ম বড় যাতনার মা!
পাখি কিংবা গাছেদের সমাজে স্মৃতিদণ্ড নেই,
কিন্তু মানুষ?
ভুবন ভ্রমিয়া শেষে ফের এসে ঘর বাঁধে স্মৃতিশ্বরী নদীপাড়েই!'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আসলেই। স্মৃতির শহর ই-বুক করার সময় থেকেই এই লাইনগুলো মাথায় ঘুরঘুর করে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমতকার।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ! মন খারাপ হয়ে গেল!
একবার একসঙ্গে যাবো দেশে সবাই, মনে আছে তো ভাই?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
২০১৫ রাইট? আমি অবশ্য সব ঠিক-ঠাক আছে কিনা সেটা এই বছর একবার গিয়ে চেক করে আসতে পারি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অপেক্ষায় রইলাম।
আমি ২০১৫'র আগেই যাইতে চাই! কিন্তু ধুগো'দার তো কোনো সুখবরের লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না! অগত্যা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
২০১৫?? এতো দেরী? ২০১৫ আসতে আসতে হয় আমিই মরে যাব নয়তো প্রিয় ঢাকা শহরই মরে যাবে
ঢাকা মরে যাবে
ভাই, চলে আসেন। কোঞ্চিপায় বসে একসাথে চা খাবেন, লোডশেডিং এ বারান্দায় বসে বাতাস নেবেন।
লেখাটা ভীষণ নরম। ভীষণ।
কোঞ্চিপা জায়গাটা কোথায়? ছবি দেখেছি ফেসবুকে। এই বছর দেশে আসার সম্ভবনা আছে।
ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সে শহর রয়ে যাবে আর হয়তো একদিন কবরের দরজায় টোকা দিয়ে কিংবা বাতাসের উড়ে যাওয়া আমার তোমার ছাই দেখে বলবে "এলে না একটি বার ছুটি নিয়ে ?"
হয়তো বলবো "সময় পেলাম কই ?"
প্রতিটা লাইন এর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আর কিছু বলার নেই।
আপনাকেও ধন্যবাদ রাকিব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী ভয়াবহ ব্যাপার! জঘণ্য এই শহরটাতে বাস করেও, রাত দিন শাপশাপান্ত করেও আপনার এই লেখাটা পড়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম। যে শহর আজো বর্তমান আমার জীবনে, তার জন্যও স্মৃতিকাতর করতে পারা কী চাট্টিখানি কথা !!
বহুদিন পর একটা লেখা পড়ে আবেগাপ্লুত হলাম, সত্যি সত্যি !
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ সবজান্তা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ।
মার্কিন মুল্লুক
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ।
ধৈর্যধারণ করুন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুবই চমৎকার একটা লেখা।
ধন্যবাদ পরিবর্তনশীল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটা।
ধন্যবাদ অপ্র।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ ! অসাধারণ !! অসাধারণ !!! বলার কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এভাবে লিখলে আসলেই হিংসে হয়। যে শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু, তার কাছে কিন্তু বারবারই ফিরে আসতে হয়।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
তার কাছে বারবার ফিরে আসা যায়। ধন্যবাদ অদ্রোহ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনটা খারাপ হয়ে গ্যালো।
আহারে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্মৃতিটুকুই সত্যি, আনন্দময়, বর্তমানের চেয়ে।
সত্য। স্মৃতি না থাকলে কি সাংঘাতিক ব্যাপার হতো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি খুব অস্থির থাকি ইদানীং, কোনকিছুই মন দিয়ে বেশিক্ষণ করতে পারি না। অনেকদিন পরে খুব মন দিয়ে কোন লেখা পড়লাম... এমনিতেই আপনার লেখার আমি খুব বড় ভক্ত, আজকে উপমা, ভাষা, গল্প, একটা আকাশ আর একটা ছোট্ট ছেলে খুব ছুঁয়ে গেল আলাদা করে...
আমার সাথে প্রায় কোন সচলেরই দেখা সাক্ষাৎ হয় না, ঢাকার কয়েকজন ছাড়া, প্রবাসীরা দেশে আসলে তো হয়ই না! খুব প্রিয় কিছু মানুষ আছেন যারা সচলায়তন থেকে পরিচিত হলেও নিজ দেশে পরবাসে থাকেন দেখা হয় খুব কম, আর সময় কাটানো আরও কম। আপনি দেশে আসুন, আবার সেই ছোট ছেলেটা হয়ে কাটিয়ে যান কয়েকদিন, আশাকরি সেইবার আপনার সাথে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ হবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এবার দেশে আসলে দেখা হবে নিশ্চয়। দেশে গেলে ঢাকার বাইরে যাওয়াই হয় না। গতবার অবশ্য কিছুটা জোর করেই চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার গিয়েছি। তুমি কি ঢাকায় মাঝে মাঝে আসো?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঢাকায় যাওয়া হয় মাঝে মাঝেই, তবে বেশিরভাগ সময়েই কোন কাজে। দেশের বাইরে থেকে যখন কেউ আসেন, সেসময়ে কেন জানি আমার কখনোই ঢাকা যাওয়া হয়ে ওঠে না! :|
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি পুরাই উত্তরবঙ্গের কন্যা। দেশে গেলে উত্তরবঙ্গের কোন না কোন জেলায় ঢুঁ মারা হবেই হবে। আর রাজশাহী শহর তো মাস্ট স্টপেজ। আমার সঙ্গে দেখা না করলে ল্যাং মেরে ঠাং ভেঙ্গে দেব।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
অসম্ভব সুন্দর একটা উক্তি ! গল্পটার ঝিনুক লাইনও তা ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রণদা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'ঝিনুক লাইন' শব্দটা পছন্দ হয়েছে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দেশের ভিতরে থাকার পরেও একটা শহরের জন্য মনটা সবসময় কাঁদে। কি মায়াই না আছে ঐ শহরে, কে জানে। আমি শহরটাকে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত মনে করে যাব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হিমাগ্নি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমন ভাবেই লেখলেন!
খাঁটি আবেগ দিয়ে খোদাই করা প্রতিটি শব্দ।
facebook
ধন্যবাদ অণু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমন করে মনের কথাগুলো বলে দিলেন?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
মনের কথাগুলো মনে হয় একই, তাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুপুরে ঘুম থেকে উঠেই মন খারাপ করে দিলেন! বুকের ভেতর এরকম অনুভূতি বোধকরি অনেকেরই জমানো থাকে। আপনার মত সেই অনুভুতিগুলোকে যারা একেবারে চোখের সামনে এনে দৃশ্যমান করতে পারেন, তাঁরাই বোধহয় লেখক। বাকি যাঁরা লেখে বা লেখেন, তাঁরা বোধহয় শুধুই লেখে বা লিখে যান, লেখক হয়ে ওঠেন না।
এরকম লেখা কম কম দিয়েন। বিদেশে আসার পর চোখের পানি খুব সস্তা হয়ে গেছে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ইদানীং হালকা লেখা কিন্তু বেশি দেই
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
না চাইলেও লেখাটা আবার পড়লাম। আজ সকালে মা ফোন করেছিল বাবা অসুস্থ, ঘুমিয়ে থাকায় বাবার সাথে কথা হয়নি। এই লেখাটির প্রতিটি শব্দ যেন নিজের কথা, নিজের অতীত, নিজের অনুভূতি। শেষ বিকেলে কাঁদালেন তাসনীম ভাই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
প্রবাসীদের দুঃখ কষ্ট আনন্দগুলো কাছাকাছি, সবগুলোই স্পর্শ করা যায়।
আশা করছি তোমার বাবা দ্রুতই সুস্থ হবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনটা খারাপ করে দিলেন ভাই
এরপরের বার মন ভালো করে দিব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত সুন্দর কি করে লেখেন!!
অভ্র ব্যবহার করুন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা! আবারো দেশে যেতে ইচ্ছা করছে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা 'অসামান্য' বলতে বলতে টায়ার্ড হয়ে গেছি।
মাঝে মধ্যে 'সামান্য'-টাইপের কিছু লিখলে কী হয়?
বাজে কথা বাদ দিয়ে বলি----স্মৃতিচারণ ব্যাপারটা আপনি একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
কলমের এক খোঁচায় আমাদের সবার বুকের ভেতরে স্মৃতির শহরগুলো জিন্দা করে দিতে পারেন---
আপনি নমস্য!
ঠিক ঠিক ঠিক ।
ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চিরচেনা ঢাকাকে ছলছল চোখে আবার যেন চিনলাম।
মন খারাপের মধ্যেও ভালোলাগা, ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার পড়া সচলায়তনের অন্যতম সেরা লেখা ।
কী অসম্ভব সুন্দর আপনার ভাষা ।
কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয় ।
খুব খুব ভাল থাকুন আর আরও অনেক অনেক লিখুন ।
আপনিও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জানি এভাবেই প্রতিটা বাবা সচেতনে, অবচেতনে প্রতিক্ষা করেন তাঁর সন্তানের ঘরে ফেরার।
গতবার শহর ছেড়ে আসার সময় ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম বাবা আমার ঝরঝর করে কাঁদছেন চলে যাওয়া আমার দিকে চেয়ে। এভাবে কোনোদিন কাঁদতে দেখিনি উনাকে গত ৩২ বছরে। আপনার লেখাটা পড়ে এই দৃশ্যটা ভেসে উঠলো চোখের সামনে আর আবার বহুবার বহুদিনের মতো বারবার চোখ মুছলাম আমার কোনার ডেস্কটায় বসে।
ইদানিং প্রতিবার ফোন রাখার আগে গভীর দীর্ঘশ্বাসের আড়ালে একটি কথাই বলেন "তুমি ভাল থেক, সব ঠিক আছে, আমি ভাল আছি, শুধু এই নিঃসঙ্গতাই আর ভাল লাগে না"
কোন জবাব আসে না মুখে, অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা করে, কিছুই বলিনা শেষমেশ, একবুক মনখারাপ নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি - আসলে আছে কি কোন জবাব?
লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে বরাবরের মতো।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখন থেকে বিষাদের ফুটনোট হিসেবে এই লেখা ব্যবহার করবো
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফাহিম হাসান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা!! কি লিখলেন!!
[ছুটি ছুটি, গরম গরম রুটি]
ধন্যবাদ মরুদ্যান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রাচীন বৃক্ষের সান্নিধ্যেই আছি এখনো, তাই তার ছায়ায় ফিরে যাওয়ার আকুলতাটা নিজের মাঝে নাই। কিন্তু আপনার লেখাটা ছুঁয়ে গেলো। বাবা/মা কোন কাজে কয়েকদিনের জন্য বাইরে থাকলে পুরোটা ঘর খালি খালি লাগে। প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে দরজায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করি তাঁরা ফিরেছে কীনা। জানিনা তাঁদের থেকে দূরে গেলে কী করে থাকব
ছায়ারা সরে গেলেই টের পাওয়া যার বৃক্ষের বিশালত্ব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব ভালো লাগল।
ধন্যবাদ কোয়াসিমোডো (আপনার নিকটা ভালো লাগলো
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই জন্যেই অফিসে বসে সচলে ঢোকা করা ঠিক না
আমার অবশ্য অফিস থেকে বসে সচল পড়ি, অধিকাংশ সময়েই।
ধন্যবাদ শিরোনামহীন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই লেখাটা আজকে পড়া ঠিক হয়নি। নানা কারণে মন খারাপ হয়েছিলো, একদম দুম করে সেটা আকাশসীমা ছাড়িয়ে দিলো।
খুব ভাল লিখেছেন, এজ ইউজুয়াল।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ধন্যবাদ কনফুসিয়াস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কি যে অদ্ভুত নরম আর মন কেমন করে দেয়া একটা লেখা!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ। এফওয়াইআই, ফাঁকিবাজদের তালিকায় আপনার নাম দেখলাম গতকাল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ও মা!
এখনো কি ফাঁকিবাজ আছি নাকি!
দিব্যি তো কমেন্ট করে যাচ্ছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শুধু কমেন্ট করে লেখা না দেওয়াটাকেই ফাঁকিবাজের প্রথম লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সুতরাং এইবেলা বড়সড় একটা লেখা দিয়ে দেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই রকম একটা লেখা পড়ে অনুভূতি ব্যক্ত করার মত কোন কথাই আসলে মানায় না মুখে, জাস্ট চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সাবেকা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাইয়া,
আপনি না-----------এম্নিতেই দেশে থেকেও কেরানিগিরির ঠেলায় বন্ধুদের হারিয়ে খুঁজছি , তার উপর এমন লেখা পড়লে আর কি ঠেকানো যায় বলেন------মমতা ব্যানার্জীর ভাষায় জাকে বলে "ফারাক্কার ফুটো দিয়ে চলে আসা জল"
দেশে আসলে আওয়াজ দিয়েন। আপনার লগে দেখা করতে মুঞ্চায়
ধন্যবাদ। দেশে আসলে দেখা হবে নিশ্চয়ই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আজকাল পার্টনার অনিকেতদা'র সংগঠনের জন্যে আপিসের কর্মভিন্ন অন্যকিছু করা ঝামেলার, তারপরেও মোবাইল থেকে পড়েছিলাম। অসাধারন!!!!
কবে আসছেন ভাই?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ সিমন। এই বছরে একবার আসার ইচ্ছে আছে। দিন-তারিখ ঠিক করিনি। শেষের দিকে হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ লেখা তাসনীম ভাই।
ধন্যবাদ শমসের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার বৃক্ষটা রিটায়ারমেন্টের পর হঠাৎ করেই কেমন জানি হয়ে গেছে। আগের মতো রাগতস্বর নাই। বাচ্চাদের মতো অভিমান আছে। মাঝে মাঝে, রাত ভোরে ফোন করে বলেন, 'তোর কোনো খবর নাই, তাই ফোন করলাম। ব্যস্ততা না থাকলে একটু গল্প করতাম তোর সাথে!'
আমি ঘুম জড়ানো গলায়, চোখ বন্ধ করে গল্প করি- অনেক হাবিজাবি সব জিনিস নিয়ে। আমার বৃক্ষ শব্দ করে হাসেন। বলেন, 'ছোট বেলায় আমাকে অফিস যেতে দিতি না। আর এখন তো আমার হাতে অফুরন্ত সময়...।'
আচ্ছা, আপনি ঝুম বৃষ্টিতে পুকুরের পানিতে নেমেছেন কখনো তাসনীম ভাই? চারদিক সাদা করে নেমে আসা বৃষ্টিতে পুকুরের পানিতে কান পর্যন্ত ডুবিয়ে বসে থাকলে অদ্ভূত একটা শব্দ শোনা যায়। ঝিম ধরা, মাতাল করা, মন কেমন করা...
আমাকে কোনো শহর ডাকে না জামার আস্তিন ধরে, কিন্তু একটা বৃষ্টিমুখর দুপুরের পুকুরের পানি অথবা চান্নিপসর রাতের ধানক্ষেতের আল আমাকে স্বস্তি দেয় না এক দণ্ডও!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি সাঁতার শিখেছি মার্কিন দেশে এসে, এদেশে পুকুরের বড়ই অভাব।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব বেশি সুন্দর।
ধন্যবাদ রু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার চমৎকার চমৎকার
রুদ্রপলাশ
ধন্যবাদ রুদ্রপলাশ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই প্রায় মরা শহরে বসেও আপনার লেখা পড়তে পড়তে মন খারাপ হয়ে গেল।তবে এই শহরে এখনও আড্ডা দেয়ার জায়গা আছে আর শ্যামলা মেয়েরাও আছে যাদের দেখলে আকাশের কাছে আকুতি জানানো যায়।
*এখানে আমরা এখন উইকেন্ড ছুটিতে স্কুলে ভ্যাকেশন কাটাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ শাকিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার শহরটির স্মৃতিকথা আমার ছোট্ট আদরের বগুড়াকে মনে পড়িয়ে দিল। জীবনের প্রথম ষোল বছর কেটেছে সেখানে টকটকে নীল আকাশের নিচে, ঝরঝরে জীবন-রঙা সবুজ মাঠে দৌড় ঝাঁপ দিয়ে। আমার শহরটি এখনও আগের মতই সতেজ, রঙ্গীন, নির্জন, প্রাণময় আছে।
লেখা অসাধারণ মাপের, বলাই বাহুল্য। শুভেচ্ছা।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ উচ্ছলা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার
ধন্যবাদ রায়হান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তুমি দেশে আসো ভাইয়া, তোমার শহর অপেক্ষায় আছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অফিসে বসে বসে কাদলাম, তুই এত সুন্দর লিখিস!
এটা কবিতা হয়ে গেছে
যাবি বন্ধু সব ছেড়ে ছুড়ে? সবাই কেমন পালিয়ে আছি !!! এখন শুধু দীর্ঘশাস
কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয় !
এমন আপ্লুত হলাম যে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সত্যিই প্রিয় শহরটাকে এমন গভীরভাবে অনুভব করি।
নতুন মন্তব্য করুন