ক্লাসে টু'তে যখন শুনলাম সাত্তার স্যারের বয়েস ত্রিশ তখন রীতিমত বুড়ো লোক মনে হয়েছিল তাঁকে। এখন নিজের বয়স প্রতি বছর একটু একটু করে বাড়ছে, কমার নাম মাত্র নেই। বিশ বছর আগে যেসব মেয়েদের সাথে টাঙ্কি এবং ইয়ার্কির সম্পর্ক ছিল তারা সবাই বতর্মানে খালাম্মা বলে সম্বোধিত এবং জীবন নিয়ে দারুন ব্যস্ত, অনেকের টিনেজার সন্তানও আছে। আমরা ছেলেরাও পুত্র কন্যা নিয়ে ব্যস্ত; আমাদেরকেও আনায়াসে আঙ্কেল বলে ডাকে আজকের ২০/২২ বছরের ছেলেমেয়েরা। ঐ বয়েসী ভাগ্নে-ভাস্তে আমাদের সবারই আছে।
আমার আশি বছর বাঁচার কথা। এটা আমার হিসাব নয়, ছোটবেলায় একজন হাত দেখে বলেছিল। আমাদের দীর্ঘজীবি পরিবার। আশি-নব্বই কোনো ব্যাপারই না। বড়রা যখন গোপন আলাপ করার জন্য ছোটদের অন্য ঘরে যেতে বলেন তখন চল্লিশের আশে-পাশের সদস্যরা উঠে যায়। সুতরাং আশি বছর বাঁচা হয়ত সম্ভব।
এক সময়ে এটাকে অনন্তকাল মনে হতো। এখনও যে খুব অল্প সময় মনে হয় তা না। আশি বছর বাঁচলে আমি অর্ধেক জীবন পাড়ি দিয়েছি। এইপথ পাড়ি দিতেই প্রচুর ঝামেলা হয়েছে, খুব মসৃণ ছিল এটা বলব না। ঠিক এর সমান আরও একটা পথ পাড়ি দিতে হবে, এটা ভাবলেই কেমন অলস অলস একটা ভাব হয়...একটু ছুটি নিতে ইচ্ছে করে জীবন থেকে। মনে পড়ে ছোটবেলাতে লেখা ছুটির দরখাস্ত...
“স্যার, আমি গত তিন পেটে ব্যথার কারণে স্কুলে আসতে পারনি। বিনীত নিবেদন এই যে...”
অফিস থেকে ছুটি নেওয়া গেলেও জীবন থেকে ছুটি নেওয়া বড় দুরূহ ব্যাপার।
আমার যেদিন ত্রিশ বছর বয়েস হয়েছিল, সেদিন ভেবেছিলাম যে একটা মাইলস্টোন পাড়ি দিয়েছি। অথচ শরীরের কোথাও বিশ আর ত্রিশের পার্থক্য ছিল না। বিশ আর ত্রিশ দু'জনেই বেশ চটপটে জোয়ান ছোকরা। সে তুলনায় চল্লিশ অনেক গম্ভীর প্রকৃতির ভদ্রলোক, সকালে হাঁটুর ব্যথা নিয়ে প্রায়ই সেই কথা মনে হয়। চল্লিশ সাহেব চোখে চশমা রাখেন, শৈশবের হারানো মাঠের কথা ভাবেন, উনার তুলনায় ত্রিশ একদম চটুল যুবক, প্রায় বিশের মতই। তার মনে শৈশব নিয়ে আদ্যিখেতা নেই, আছে যৌবনের বেদনাগুলো। অথচ চল্লিশ ভাবছে - দিন চলে গেলো।
মধ্যবয়স ব্যাপারটা কি সেটা নিয়ে আমি প্রায়ই ভাবিত হই। আশি বছরের জীবন হলে চল্লিশ হবে গাণিতিকভাবে মধ্যবয়স। কিন্তু ব্যাপারটা অঙ্কের হিসাব নয়, কতোদিন বাঁচবো সেটা কেউই জানে না। তাই নেটের দ্বারস্থ হই। উইকিপিডিয়া বলছে...
Middle age is the period of age beyond young adulthood but before the onset of old age. Various attempts have been made to define this age, which is around the third quarter of the average life span of human beings
শুরুটা পড়েই মনে হলো যে - এই লেখাটা নিশ্চয় মার্কিনি কারো। ওদের অভ্যেসটাই হচ্ছে সব কিছুকেই চারভাগে ভাগ করে ফেলার। কোম্পানিগুলোও লাভক্ষতির হিসেব করে কোয়ার্টারে। মার্কিন দেশের মারামারিপূর্ণ ফুটবল খেলাও হয় চার কোয়ার্টারে।
চারভাগের মধ্যে তৃতীয়ভাগের শুরু নিশ্চয় দ্বিতীয় অর্ধের শুরু। জীবনটাকে আমাদের ফুটবল খেলা হিসাবে দেখলে - মধ্যবয়স হচ্ছে সেকেন্ড হাফের খেলা। এইবার ব্যাপারটা আমার কাছে পরিষ্কার হয় অনেকটাই। প্রথমার্ধে খেলার ফলাফলের উপর দ্বিতীয়ার্ধের খেলার উত্তেজনা অনেকখানিই নির্ভর করে। জীবনের প্রথমেই গোটা দশেক গোল খেয়ে ফেললে সেকেন্ড হাফে তেমন করার কিছুই থাকে না। “মারকুটে ভাবে” - আমার শ্বশুরবাড়ির দেশের লোকের যেটাকে বলে “চ্যাতভ্যাত” - সেই চ্যাতভ্যাত ছাড়াই বাকি জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। আরও এক ডজন গোল খেলেই বা কি?
প্রথমার্ধ গোলশূন্য হলে দ্বিতীয়ার্ধে আপনাকে অবশ্যই “চ্যাতভ্যাত” নিয়ে মাঠে নামতে হবে। বীরভোগ্যা বসুন্ধরা বলে একটা কথা আছে না? বিনাযুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনি...অথবা পিংক ফ্লয়েডের ভাষায় ডোন্ট গিভ ইন উইথাউট অ্যা ফাইট – এই সবই আপনাকে গোপনে জানিয়ে দেয় যে জীবনে অতিরিক্ত সময় বলে কিছুই নেই।
তবে সবচেয়ে ভালো নিশ্চয় প্রথমার্ধে গোটা দু'এক গোল দিয়ে দেওয়া। এই প্রসঙ্গে অবশ্যই বলতে হয় হেলাল হাফিজের “নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়” কবিতার লাইন।
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।
কি করতে বলা হচ্ছে এবং কেনই বা সেটা বলা হচ্ছে বুঝলেন তো? ব্লগ বলেই আরেকটু সহজ করেই বলি – সময় থাকতেই ফাডায়ে ফেলার চেষ্টা করুন। কেননা উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়...
যাই হোক উইকিতে আরও উঁকি দিলাম...
The US Census lists middle age as including both the age categories 35 to 44 and 45 to 54, while prominent social scientist, Erik Erikson, sees it ending a little later and defines middle adulthood as between 40 and 65.
মধ্যবয়স তো বেশ লম্বা সময় দেখি! ছোটবেলাতে বয়েসের হিসাব করতাম ক্রিকেটের রানের মতো। ২৫ বছর বয়েসে বন্ধুদের বলেছিলাম, গাভাস্কারের মতো ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে কোয়ার্টার সেঞ্চুরি করলাম। এখন দেখছি সেটার সমান সময় এই মধ্যবয়সে লটকে থাকতে হবে।
আমি নিজে যেহেতু ক্রিজে আছি, সেহেতু আমার ব্যাটিংটাই দেখা যাক।
সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুম থেকে জাগরণ, এর পর বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে অফিসে আগমন, গোটা পাঁচেক মিটিং, ফেসবুক, সচল, কোডিং, মিটিং, ফোনে বউয়ের সাথে সাংসারিক আলাপ, দুপুরে খবর পড়তে পড়তে দেশের রসাতল যাত্রা নিয়ে দুশ্চিন্তা, বিকেল থেকে সন্ধ্যা বউ বাচ্চাকে সময় দেওয়া, বাচ্চার হোমওয়ার্কে সহায়তা, দুনিয়ার হালহকিকত জানা...সকালে উঠতে হবে তা-ই আগে ঘুমিয়ে পড়া...উইকএন্ডে বাসার কাজ, সামাজিকতা...মাঝে সাঝে দেশে কথা বলা...নানান হাহাকার...
নাহ...গাভস্কারের ব্যাটিংও এর চেয়ে অনেক উত্তেজনাকর। মধ্যবয়সের রুটিন প্রায় মেগাসিরিয়ালের মতোই। চার-ছয়টয় কদাচও দেখবেন না। প্রতিটি স্ট্রোক হতে হবে একদম মাপা। পাওয়ার প্লে দূরাশা।
শামসুর রাহমান লিখেছেন...
দেখছিস না, আমার হাতে কতো কাজ, দু-ঘন্টায় পাঠক-ঠকানো
নিপুণ সম্পাদকীয় লিখতেই হবে, তদুপরি
আছে দীর্ঘ প্রতীক্ষায় দেশ-বিদেশের বহু চিঠির জবাব
এবং প্রুফের তাড়া, নিত্য-নৈমিত্তিক
কবিতার সোনালী তাগিদ।
স্ত্রী-পুত্র-কন্যার জন্য কিছু ঘন্টা
বাঁচিয়ে রাখতে হয়, আমার সময় প্রতিদিন
সুমিষ্ট পিঠের মতো
ভাগ ক'রে নিয়মিত খাচ্ছে হে সবাই।
(দুঃসময়ের মুখোমুখি)
এটাই দস্তুর। আপনার সময়টা হচ্ছে সুমিষ্ট এক পিঠা - যেটার স্বাদ আপনি ছাড়া আর সব্বাই পাবে। জীবনটা যদি একটা চর হয়, তবে মধ্যবয়সে সেই চরের প্রতিটা ইঞ্চি জমি একদম বেদখল হয়ে যাবে।
এমনই এক হাঁসফাসময় দিনে আমি হঠাৎ মধ্যবয়সকে দেখতে পেলাম চোখের সামনে। মানসচক্ষে নয় ভাই – একদম এই চর্মচক্ষে। বেশিদিন আগের কথা নয়। বিরাট দল-বল নিয়ে গিয়েছিলাম ক্যানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহর। সেই মেঘের দেশের উত্তরে আছে এক ঝুলন্ত কাঠের সেতু। সেই সেতুর নাম ক্যাপিলানো সাসপেশন ব্রিজ। সেতুর নিচে হা-হা করছে খাদ। মধ্যবয়সের মতোই সেই সেতুতে নড়াচড়ার বেশি সুযোগ নেই – আর পাটাতন সর্বদাই দোদুল্যমান। দুইপাশে আছে দুই ধরণের আকর্ষণ। ঠিক যেন মধ্যবয়সের রূপক গল্প হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে সেই সেতু।
সেই থেকে মধ্যবয়সটা আমার কাছে একটা লম্বা সরু সেতুই মনে হয়। এর একপাশে আছে শৈশব, কৈশোর আর যৌবন। অন্যপাশে আছে বার্ধক্য। দুটোই হতে পারে সমান আবেদনপূর্ণ। আপনি কার ডাকে সাড়া দিবেন সেটা তো আপনার বিবেচনা। আমার সব বন্ধুবান্ধবই বর্তমানে সেই সেতুতে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ কেউ তাকিয়ে আছে সামনের দিকে। অবসরে তারা ধর্মের বই পড়ে, ঈশ্বরের নৈকট্য কামনা করে...নিয়ত সঞ্চয় করে অদেখা পূণ্য। এ যেন ধীরলয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি।
ও পারেতে সোনার কূলে আঁধারমূলে কোন্ মায়া
গেয়ে গেল কাজ-ভাঙানো গান।
নামিয়ে মুখ চুকিয়ে সুখ যাবার মুখে যায় যারা
ফেরার পথে ফিরেও নাহি চায়,
তাদের পানে ভাঁটার টানে যাব রে আজ ঘরছাড়া---
সন্ধ্যা আসে দিন যে চলে যায়।
(দিনের শেষে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
আবার কেউ কেউ আমারই মতো তাকিয়ে থাকে শৈশবের দিকে। হঠাৎই দূরে এক অভিমানী বালকের দেখা পায় তারা...মনে হয় শৈশবের গল্প সমেত সেই ছোকরাকে ছুঁয়ে দেওয়া যাবে...সেই গল্প, ছবি, আলো-ছায়া আর গন্ধ যেন হার মানিয়ে দেয় ক্রমশ অগ্রসরমাণ বার্ধক্যকে। হঠাৎই উপলব্ধি হয় - শৈশবের চেয়ে বড় সত্য আর এই জীবনে নেই। মধ্যবয়সে এসে আমি যেন সেই সত্য আঁকড়ে ধরি...নিচে কম্পমান পাটাতন, নড়ার জায়গাও নেই তেমন...তবুও...
নীরবতার অপর পারে সন্ধে নামার একটু আগে
বয়স হচ্ছে বলেই বোধহয় হাটতে হাটতে একলা লাগে;
সন্ধে নামার সময় হলে, পশ্চিমে নয়, পূবের দিকে,
মুখ ফিরিয়ে ভাবব আমি কোন দেশে রাত হচ্ছে ফিকে...
(বয়স আমার – কবীর সুমন)
আজকের ছবিঃ ক্যাপিলানো সাসপেনশন ব্রিজ
বোনাস হিসাবে জুড়ে দিলাম সময় নিয়ে পিংক ফ্লয়েডের গান।
###
মন্তব্য
অসাধারণ লাগলো। আমি ধরে ধরে লোকজনের মন ভালো করার চেষ্টা করি আর খুশী রাখার চেষ্টা করি। আর আপনে এক ঝটকায় দেন সবার মন উদাস করে
দেখা যাচ্ছে ব্যালান্স আউট করার জন্য আমাদের লেখাগুলো পরপর থাকে। আমার লেখা পড়ে মন উদাস হলে তো আপনার নিকটা আমারই প্রাপ্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরে তাইতো, আগে খেয়াল করিনি। আমার আর আপনার লেখা মাঝে মাঝেই পরপর হয়ে যায় কিভাবে জানি । আমাকে তুমি করে বললেই খুশী হবো, আমি বয়সে আপনার ছোট, জ্ঞানেগুনে তো বটেই
ধন্যবাদ
এগুলো মডুচক্রের চক্রান্ত। ডালাসে আসতে পারি সামারে, তখন তোমার সাথে দেখা হবে। মিষ্টিও খাব। তবে এই জীবনে আর চপ স্পর্শ করছি না। ডোনাটও নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জানায়েন কবে আসবেন। পদধূলি দিলে খুবই খুশী হব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহ শৈশব ! হা শৈশব !
দারুণ লেখা তাসনীম ভাই, বড় বিষণ্ন লেখা ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাত্র ২৫ শেষ করতে যাচ্ছি
লেখায় (গুড়)
---------------------
আমার ফ্লিকার
চালিয়ে যাও ভাই। এখন যৌবন যার...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়ে আরাম লাগল অনেক।
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ সত্যপীর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো পোস্টটা। বিশেষ করে চাকরিজীবনের রুটিনের সাথে মাত্রই পরিচিত হচ্ছি দেখে আরও জীবনঘনিষ্ঠ লাগলো। সকাল ৮টা থেকে মিটিং সেরে কফি হাতে পড়ার জন্য আদর্শ লেখা! আর শৈশব নিয়ে এমনিতেও ক'দিন বেশ নস্টালজিক আছি...
জীবন থেকে নেওয়া তো তবে শিশুপালনের আগে এতো টাইট অবস্থা ছিল না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাগ্যিস, মধ্যবয়স আসতে কিছুটা দেরী আছে। ভালো লেগেছে ভাইয়া। আচ্ছা, ব্লগিং, ফেসবুকিং এগুলোকে নিজের সময় ধরবেন না?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ওই দুটোই পারসোনাল টাইম কিন্তু সেগুলোও নিজের ইচ্ছামাফিক করতে পারি না।
আমার যে ইচ্ছে করে বাড়ির ছাদে বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিতে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কবিতা আওড়ালাম না, এমনিই মাইন্যষে খালি গাইল দেয়। একটা গান শুনুন ভাইয়া-- ...সফল জনম আর কী পাব?
তবে আমি মধ্যবয়স অবধি বাঁচতে চাই না। ভারবাহী গাধার মতো জীবন টেনে নিতে এখনি অসহ্য লাগছে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এখন যে জীবনের সুসময় যাচ্ছে সেটা দেখছো না কেন? উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়।
গানটার জন্য ধন্যবাদ। বেশ পছন্দের একটা গান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুম... বয়স বেড়ে যাচ্ছে... চিন্তার বিষয়
এই ব্রিজের উপরে শুয়া থাকতে ইচ্ছা করতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুম, এটাই দুঃখের বিষয়, বয়স কমার লক্ষণ নেই।
এই ব্রিজটা দারুণ মজার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার দেওয়া হিসাব মতে মধ্য বয়স পেরিয়ে চতুর্থ কোয়ার্টার কাটাচ্ছি। হ্যাঁ, সত্যিই বলেছেন, নিজেকে বুড়ো ভাবতে ভাল্লাগেনা। তাই প্রৌঢ় বলেই চালিয়ে যাচ্ছি। আর একটি কথা, যে দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চেয়ে আন্দোলন হয় সেখানে দুর্ঘটনা, হাইজাক, গুম, খুন ইত্যাদিকে পাশ কাটিয়ে এই যে তৃতীয় কোয়ার্টার পার করতে পারলাম এটাও কম কৃতিত্ব নয়।
লেখাটা ভালো লেগেছে, অনেক ভাবিয়েছে, স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত করেছে।
ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন সকলকে নিয়ে।
আপনিও শান্তিতে থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেদিক এক বড় ভাই বললেন, আরে পুরুষের যৌবন শুরুই হয় ৪০ থেকে, বুঝলা মিয়াঁ! উ নার বয়স এখন ৪২ !
facebook
কথাটা ভুল নয়। সেকেন্ড হাফের যৌবন...অনেক পরিণত পুরুষ মানুষ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা পড়ে মনে হল মধ্যবয়সের দ্বারপ্রান্ন্তে এসে দাড়িয়েছি। লেখায়
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার সব সময় মনে হয় আমি ৪০ পর্যন্ত বাঁচব। এর চে বেশি বাঁচার বাসনাও নাই। যদি বাঁচি তবে ঐটা বোনাস, তখন আমি ছুটি নেব।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সব্বাই দেখি চল্লিশ পর্যন্ত বাঁচতে চায়। চল্লিশে এসে এক্সটেনশনের আবেদন
চল্লিশে ছুটি নিতে পারলে হ্যাটস অফ টু ইউ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঐ বয়স ঢের আগেই পার হয়ে এসেছি,সুখ, অসুখ নিয়েই ঐ ক্যাপিলানো সাসপেনশান ব্রিজের মতই অভিজ্ঞতা।
লেখাটি খুব ভালো লেগেছে, জীবনের কাজ গুলি করে ফেলার পর অবসর জীবন এই যেমন ছেলে মেয়ে মানুষ করা বিয়ে শাদি দেওয়া, কিছু সমাজ সেবা করার পর দেখবেন বাগানে ফুল সবজি লাগিয়েও তারপরেও পরের দিনের প্লানে কিছু কাজ থাকে।
আমি এখনও আগামী কালের প্লান করি, ছোট মাপের, বয়স যত বাড়ে প্লান তত ছোট হয়, জীবন মানে কি এই?
ধন্যবাদ আপনাকে। প্ল্যান যত ছোটই হোক ওটা হচ্ছে আশার মতো - আশাই বাঁচিয়ে রাখে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"বয়স যত বাড়ে প্লান তত ছোট হয়" ত্রিশ ছুঁইছুঁই করে কিন্তু আমার আশা আর প্ল্যান ছোট হয়না কেন
(গুড়)
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যখন ছোট ছিলাম এক একটা জন্মদিন আসছেনা কেন এই জন্য তর সইতোনা, কবে বিশ হবে, কবে পঁচিশ হবে তার জন্য কেমন অপেক্ষা ছিল। কারন এক্টাই, বড় হতে চাইতাম। এখন বয়স যখন আর ও একটু সাম্নের দিকে যাচ্ছে, এখন আর বড় হতে ইচ্ছে করেনা, মনে হয় এখানেই আটকে থাক্তো যদি।
লিখা অসাধারন হয়েছে ভাইয়া।পারিবারিক ধারা বজায় রেখে আপনি আর ও মেলা মেলা দিন বেঁচে থাকুন।
আমিও পঁচিশে আটকে থাকতে চাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইন্টারেস্টিং।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই করে করে তো বার্ধক্যের ইনিংসেই চলে আসলাম...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম, তাই
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, খুব ভালো লাগলো। যদিও এখনো পোলাপানের মত লাফায় বেড়াই, কিন্তু রিলেট করতে পারছি মনে হয়।
আমিও ভেতরে ভেতরে পোলাপাইনই...বড় হয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারি না
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার মা খুব বই পড়েন। একদিন রোমান্টিক একটি বই পড়ে বললেন, মনের বয়স বাড়ে না রে। নিজের বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেটা ভালভাবেই বুঝতে পারছি।
আমি নিজে আমার বুড়িয়ে যাওয়া এনজয় করছি। সন্তানদের বড় হতে দেখা, ওদের স্বপ্ন পুড়ন হতে দেখা, প্রিয় সঙ্গীর সাথে বুড়ো হওয়া আনন্দের বইকি।
সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
জুলাই এর দ্বিতীয় সপ্তাহে ডালাসে যাব ভাবছি। উচ্ছলা আর মেহবুবা ভাবীর সাথে আড্ডা হবে। চরমউদাসকেও বলার কথা। আপনিও তখন চলে আসুন।
ধন্যবাদ। আমি অস্টিনে থাকি...ডালাস থেকে মাত্র তিন ঘন্টা দূরে। এই জন্য বেশি প্ল্যান লাগে না ডালাসে যেতে। প্রতি বছরই যাই, সম্ভবত জুলাইতেই যাব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাহ্ , আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে বয়েস কমার একটা লক্ষণ যাতে অন্তত দেখা যায়।
লেখা খুব ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি সবসময়ই নিজেকে ছোট বলেই মনে করি, মানে করতাম আর কী! কিছুদিন আগে এক বন্ধুকে এই কথা বলার পর বিরক্ত হয়ে বললো, ছোট ছোট না করে একটু হিসাব কর, বয়স কতো হইলো, কতোদিন আগে মেট্রিক পাশ করলি কিংবা অনার্স শেষ করসিস তাও কয় বছর হইলো।
বেকুব হয়া গেলাম
যাই হোক, আপনার বয়স ফয়স ব্যাপার না- বেঁচে বর্তে লিখতে থাকেন। কপালে থাকলে হয়তো কোনদিন টেক্সাস এসে আপনার সাথে দেখা করবো
লেখা নিয়ে আর কিছু বললাম না, আগের মতোই অছাম।
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ। এই বছর দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে, তখনো দেখা হবে নিশ্চয়। আমি মনে মনে নিজেকে এখনো পোলাপাইন ভাবি...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই লেখা পড়ে নিজেকে কেমন খোকা খোকা লাগছে
শিশুপালন জগতে আগমনের পরে এই জিনিস দ্রুত কেটে যাবে। তবে যেটা বলেছি উপরে, মনে মনে নিজেকে বালক আমিও ভাবি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি তো জানতাম আমার বয়স এখনো সতেরোতে আটকে আছে। কিন্তু বিশ-পঁচিশ বছর বয়সীদেরকে যে নিতান্তই পোলাপাইন মনে হয়...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
চেষ্টা করুন সতেরোতেই লটকে থাকতে। বিশ বছরের লোকজনকে আপনি করে বলুন। সিরিয়াসলি আমার এক ক্লাসমেট বান্ধবী বলেছে যে সে পাব্লিকলি আমাকে ভাইয়া বলে ডাকবে...কারণ সে নাকি ২৯ এ আটকে আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমারে তো ছোটবেলা থেকেই সবাই বুড়ি ডাকে। বেশী পাকনা পাকনা কথা বলার অপরাধে । তবে যত দিন যাচ্ছি আমি মনে হয় ছোট হয়ে যাচ্ছি, আগের মত পাকনামি করতে পারি না। বরং ছোটদের পাকনামি দেখে মুগ্ধ হই।
লেখাটা পরে উদাস হয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ। ছোট থাকুন, ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবার হইছে কী!
কেন আপনি ছুটি চান না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো লেখাটা। যে গানগুলোর কথা বলেছেন তার প্রতিটি খুব পছন্দ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা পড়তে গিয়ে কখনো ছন্দ কাটে না, একবারে পড়ে যাই, কিন্তু এইবার কিছুক্ষন পর পর থমকে দাঁড়ালাম। এক দুই করে কখন যে আমার মধ্যবয়সের কাছাকাছি চলে এসেছি টের পাইনি, আপনি মনে করিয়ে দিলেন।
ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন এই শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে, আপনিও ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।
নিখিলেশ প্যারিসে, মঈদুল ঢাকাতে নেই তারা আজ কোনো খবরে
গ্র্যান্ডের গিটারিস্ট গোয়ানিজ ডিসুজা, ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেনো ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে, পাগলা গারদে আছে রমা রয়
অমলটা ধুকছে দুরন্ত ক্যান্সারে, জীবন করেনি তাকে ক্ষমা হায়।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে, শুনেছি যে লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে,বাড়ি-গাড়ি সবকিছু দামী তার,
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল বিজ্ঞাপনের ছবি আকত,
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে ডিসুজাটা বসে শুধু থাকতো
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই,আজ আর নেই।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা, চারমিনার ঠোটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণু দে কখনো যামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলত।
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই।
কবি কবি চেহারা, কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতাও তার হলো না কোথাও ছাপা, পেলো না সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোস্যালে, অ্যামেচার নাটকে রমা রয় অভিনয় করত,
কাগজের রিপোর্টার মঈদুল এসে রোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়ত।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে, সাতটা পেয়ালা আজও খালি নেই,
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুড়ি, শুধু সেই সেদিনের মালী নেই।
কত স্বপ্নের রোদ উঠে এই কফিহাউজে, কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এল গেল কতজনই আসবে, কফিহাউজটা শুধু থেকে যায়
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই.... আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই, আজ আর নেই....
****************************************
প্রিয় গানটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ তাসনিম ভাই, যদিও মনটা হালকার উপর উদাস হইছে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ। চরম উদাসের সাথে নিক বিনিময় করব ভাবছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কি বলবো বুঝতে পারি না
পড়েছ তাই আমি খুশি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার ক্ষেত্রে একটু উল্টা হয়েছে, নিচের দিক থেকে পড়তে পড়তে আগে উদাস দাদার লেখা পড়ে ফেলেছি। এখন কী হবে? তবে যে ভাবনা মাথায় আসল সেটাই বলিঃ
খুব ছোট বেলা থেকেই আমি তাড়াতাড়ি বড় হতে চেয়েছি, কিন্তু সময়ের আগে বড় হতে পারিনি। আমার কাছে জীবনের কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই যার মাপকাঠিতে নিজের জীবনকে মেপে নিব, কিন্তু আমার এই বেঁচে থাকাটাই ভালো লাগে না। কোন কারন নেই, কিন্তু ভাল লাগেনা। রোবটের মত কাজ করি, ঘুমাই, আবার কাজ করি। রবিবার আসে, সোমবার, আবার শুক্রবার আবার গড়িয়ে রবিবার। সময় বয়ে যায় আজ গড়িয়ে কাল, কাল গড়িয়ে পরশু তারপরও গড়ায়। নিজেরে বারবার বলি, প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবী ১৮ মাইল যায় তুমি? তখন মনে হয় সেকেন্ডের হিসাব করার দরকার ছিল নাতো, শুধু শুধু। সবজায়গায় শুধু এক সুর, ভালো লাগে না, ভালো লাগে না। বিশ্ববিদ্যাল জীবনে আমরা দুই বান্ধবী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, জীবনকে চিপে রসগোল্লার মত সব রস, সব আনন্দ নিংড়ে নিব। কিন্তু এখন জানি, আমি পারিনি, সে হয়ত আমারই দোষে।
আপনার লেখাটি পড়ে কেনি জানি ভেতর থেকে শুধু হাহাকার উঠে আসছে।
আমার বেঁচে থাকতে দারুণ লাগে। কিন্তু ক্লান্তি আমার ক্ষমা কর প্রভু...যেখানেতে অবাধ ছুটি মেল সেথা তোর ডানা দুটি...এইগুলোই মনে হয়। আশারাখি হাহাকার অতিক্রম করে অনেক আনন্দ নিয়ে বাঁচবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রংবাজী করতে করতে ত্রিশ অতিক্রম করেছি
এখনও সগৌরবে সমানে রংবাজী করে যাচ্ছি
আমার একটুও মনে হয় না যে আমারও বয়স হচ্ছে। মাঝে মাঝে দুই একটা পাকা চুল মাথার এদিক ওদিক ঝিলিক দিয়ে ওঠে; তখন কিঞ্চিত হা-হুতাশ হয় আরকি।
লেখা ভাল লেগেছে, বলাই বাহুল্য।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ। রংবাজী অব্যাহত থাকুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ছোটবেলায় আমিও দ্রুত বড়ো হতে চেয়েছি। এখনো নিজেকে বুড়ো ভাবতে শিখিনি; মাত্র তো ৩০ ছুঁয়েছি। তবুও মাঝে মাঝে ক্লান্ত লাগে, ক্লান্ত লাগে এতটা পথ আসার জন্য নাকি এ পথ পাড়ি দিতে জন্মাবার জন্যে আমি জানি না। নিজের ফ্যামিলিতে আসাকে তেমন কোন কন্ট্রিবিউশন করা লাগেনি, সেই থেকে হয়তো অন্য কেই ভালো থাকবে, অন্য কেউ তো হাসবে.. নিজের একটু কষ্ট হোক - এই ধারনা থেকে যখন অন্য কোন ফ্যামিলির ভার আমি নেই, অামার ২৪ বছর বয়স থেকে.. তখনো ততো ক্লান্ত লাগতো না। ক্লান্তি আসে যখন সম্পর্কগুলো ভুল বুঝে। ঋন স্বীকার আশা করি না কোনদিন, শুধু দিনের পর দিন দূরত্বের দেয়াল .. সেতুতে মরচে পড়া .... চলার পথ কো একটু স্লো হয়। ভুল কি ঠিক করলাম.. সেই হিসেব করতেও পারি না। কি জানি .. যেভাবেই থাকি .. বেঁচে থাকাতেই আনন্দ! কিছু গল্প হয়তো বলতে ইচ্ছে করে.. যদিও কোথাও সে গল্প কোনদিন বলা যাবে না, বলা হবে না।
আপনার লেখাটা ভালো লাগলো অনেক।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ ক্রেসিডা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বয়স হচ্ছে এটা আমার মনেই থাকে না আর যখন মনে হয়ও তখন ও মন থেকে মানতে পারি না। মাত্রই ত্রিশ পার করে ভাবি কিসের বয়স হচ্ছে কিসের কি! জীবন তো শুরুই হয় চল্লিশ র পর থেকে।
এত অসাধারন লিখেন কিভাবে আপনি!! আপনার লেখা পড়ে কেমন একটা ঘোরের আবেশে থাকি অনেকটা সময় জুড়ে্।
-তপতী
নতুন মন্তব্য করুন