“আব্বু পেঙ্গুইনের টামির রং কি?”
আমি ঘুম জড়ানো গলায় উত্তর দেই - “পিংক”। এটা মেয়ের প্রিয় রং, পারলে দুনিয়া সে মুড়িয়ে দেয় এই রঙে। ছেলেদের রঙ হচ্ছে নীল আর মেয়েদের রঙ হচ্ছে গোলাপি, এটাই এই দেশে প্রচলিত ধারণা। সবাই মিলে এই গোলাপী রঙের স্তুপ ঢুকিয়ে দেয় মেয়ে বাচ্চাদের মাথার ভেতর। ছেলে আর মেয়ের বিভাজন মার্কিনিদের চেয়ে বেশি কারো পক্ষে করা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না।
তবে দুঃখের বিষয় আমার এই উত্তর মেয়ে গ্রহন করল না।
“ইউ আর সিলি আব্বু, ইট ইজ ব্ল্যাক অর হোয়াইট...জাস্ট ক্যান্ট রিমেম্বার নাউ...”
“পেঙ্গুইনের টামির রঙ হচ্ছে কালো”।
উত্তর দিয়ে আবার ঘুমাতে যাই। বাবাদের পক্ষে মেয়েদের মুগ্ধ করা জটিল নয়। মেয়েদের মুগ্ধ করার কঠিন দায়িত্বটা পড়ে তাদের প্রেমিকদের ওপর। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে যখন একশ আটটা নীল পদ্ম জোগাড় হয় তখন সেগুলোকে তাদের কাছে আর বিরাট ব্যাপার মনে হয় না। প্রেমিকের চাকরির চেয়ে বাবার চাকরিটা ঢের সহজ।
“আব্বু, আব্বু, হোয়াট হ্যাভ ইউ ডান?” - মেয়ের আর্ত চিৎকার ভেসে আসে এইবার।
“কেন আবার কি অসুবিধা হলো?” ঘুমটা প্রায় কেটেই গেছে আমার।
“পেঙ্গুইনের টামি ব্ল্যাক না হোয়াইট...ইউ রুইনড মাই পিকচার, আমি এখন গুগল করে দেখছি ইট'স হোয়াইট...হাউ কুড ইউ ডু দ্যাট?'' পেঙ্গুইনের মধ্যপ্রদেশে ভুল রঙের শোকের মাতমে বাড়ি কাঁপতে থাকে।
এই ভুল অশোধনযোগ্য নয়। আমরা নতুন একটা পেঙ্গুইনের ছবি আঁকি, এইবার বুক, পেট, মাথা সবই গুগলের পরমার্শ মেনে রঙিন করি। মেয়ের মুখে দ্রুত হাসি ফুটে। বাবার চাকরিটা খুব জটিল নয়।
পেঙ্গুইন পর্ব শেষ হলে নতুন পর্ব শুরু হয়।
“আব্বু ক্যান ইউ ফিক্স মাই ইউনিকর্ন নাউ? ওর ডানা ভেঙে গেছে...”
আমি জীবনে কখনো ইউনিকর্ন মেরামত করি নি। দেখলাম এই বিষয়ে গুগল সাহেবও কিছু জানেন না। পৃথিবী খুব কম আদম সন্তানকেই ইউনিকর্নের ডানা মেরামত করতে হয়েছে। ডানাটা হাতে তুলে নিয়ে দেখলাম খুব মারাত্মক আঘাত নয় সেটা। প্রবল বেগে চাপ দিতেই ইউনিকর্ন মহাশয় আগের চেহারা ফেরৎ পেয়ে যান।
“হাউ ডু ইউ নো এভরি থিং?” বিস্ময়টা আর চাপা থাকে না।
“ক্যান ইউ ফিক্স মাই মারমেইড নাউ?”
পেঙ্গুইন আঁকতে পারে যেই লোক, সেই লোক আবার ইউনিকর্নের ডানাও সারাতে পারে। এমনি সেই একই লোক ছয়ের সাথে সাত যোগ করলে কতো হয় সেটাও জানে, জ্বরের ওষুধও অজানা নয় তার, ঘুমাতে অসুবিধা হলেও তাকে ডাকা যায়। তার উচ্চতা পর্বতের মতো, প্রখর রুদ্রের মতো তার ফিগার, রাতে বাতি ছাড়া নিচতলায় নেমে যাওয়ার মতো সাহসী সেই ভদ্রলোক।
কে সেই লোক? আরে না...আব্দুল জলিল অনন্ত নয় সে, আপনিও চেনেন তাকে। আপনার নিজেরো একটা আছে...আমারও আছে। সেই লোকটার নাম হচ্ছে বাবা।
অফিসে মাথা কুটে মরেও প্রমোশন মিলছে না? স্ত্রীর মন পাচ্ছেন না? আপনার গল্প শুনে বন্ধুরা কেউই মুগ্ধ হচ্ছে না? আপনি ভুল জায়গায় শক্তি ক্ষয় করছেন। অতি সামান্য কাজ করেই হিরো হয়ে যাওয়ার এই সুযোগ আর কোথাও পাবেন না। নিমিষেই হয়ে যেতে পারবেন স্টিভ জবস অথবা টম ক্রুজ। জীবনে অন্য যতগুলো চাকরি করেছি তাতে এতো অল্পে কেউই কাজে-কর্মে মুগ্ধ হয় নি।
তবে বাচ্চারা বড় হতে থাকে আর সমস্যাগুলোও যোগ-বিয়োগ-গুন-ভাগের সীমানা ছাড়িয়ে সেকেন্ড অর্ডার ডিফারেন্সিয়ালের মতো জটিল আকার ধারন করে। সেগুলোর সমাধান আর এক সময়ে বাবা দিয়ে হয় না। নিজের বুদ্ধি আর সাহস লাগে। কিভাবে দেই সেই সাহস?
হঠাৎই জবাবটা পেয়ে গেলাম। মেয়ে কাছ থেকেই।
“আব্বু বলতো, হোয়াট ইজ দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল থিং ইন দিজ ওয়ার্ল্ড?”
আমি বিরাট বিরাট সব মরণাস্ত্রের তালিকা দেই। ওগুলোর ডাকনাম হচ্ছে “উইপেনস অফ মাস ডিস্ট্রাকশন”।
“নো আব্বু - ইউ আর সিলি - দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল থিং ইজ ট্রু লাভ'স কিস...হি হি হি...আমি এনচ্যান্টেড মুভিতে দেখেছি...হি হি হি...”
হঠাৎই আমি দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী জিনিসের সন্ধান পেয়ে যাই। ভালোবাসার চেয়ে বলশালী আর কিছুই নেই – ওটা থাকলেই বুকে সাহস থাকে আর বুকে সাহস থাকলেই সকল সমস্যার সমাধান মেলে, সেটা ভেক্টর ক্যালকুলাসের মতো জটিলই হোক না কেন। ভালোবাসার শক্তি রুখতে পারে এমন অস্ত্র কই?
আপনি কবে যোগ দিচ্ছেন আমাদের দলে?
“আব্বু হোয়াট ইজ সেক্সি?”
নাহ ... এটা আমার দোষ নয়। আমার মুখে এটা শুনেনি, দেশের নিউজ দেখে মাঝে মাঝে রাগারাগি করে দুই-একটা গালাগাল দেই ঠিকই, কিন্তু আমি বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে খারাপ কথা বলি না। আর এই শব্দটাকে এই দেশে মনে হয় তেমন খারাপও ভাবে না কেউ।
কিন্তু এটা শিখিয়েছে বোকা বাক্স। তাকে যত বোকা ভাবি তত বোকা নয় সে। বাচ্চাদের মাথায় ঢোকার অনেক অনেক কৌশল জানা আছে তার। যখনই এই ধরণের প্রশ্ন আশা শুরু করে দেবে তখনই বুঝতে হবে নিয়ন্ত্রণের সময় এসেছে।
মার্কিনি ডাক্তাররা টিভি, গেমস আর কম্পিউটারে কাটানো সময়কে বলেন স্ক্রিন টাইম । ডাক্তাররা কেউই টিভি দেখার পক্ষে কথা বলবেন না। দিনে খুব অল্প সময়েই তারা টিভি দেখার অনুমতি দেবেন। নিয়মিত তারা আপনাকে টিভি দেখার কুফলগুলো জানিয়ে দিবেন।
আমার মেয়ের ডাক্তারের কথাই ধরা যাক।
“বাচ্চাদের প্রতিদিন টিভি দেখার লিমিট জানো তো?” ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন।
আমরা মাথা নাড়তেই উনি রায় জানিয়ে দিলেন।
“দিনে আধা ঘন্টা”।
ওনার নিজের বাচ্চাও খুব বড় নয়। আমি নিশ্চিত বলতে পারি সেই ছোকরাও দিনে আধা ঘন্টার বেশি টিভি দেখে। সত্যি সত্যি যদি সব্বাই বাচ্চাদের টিভি দেখা রোধ করতো তাহলে এতোগুলো বাচ্চাদের চ্যানেল আর দুর্দান্ত গ্রাফিক্সের অ্যানিমেটেড ছবিগুলো কিভাবে চলত? এই দুনিয়ার সবচেয়ে প্রকাশ্য গোপন কথাটা হচ্ছে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণে টিভি দেখতে দেন। কেউই স্বীকার করে না যে টেলিভিশনের মতো ভালো বেবিসিটার আর দ্বিতীয়টি তৈরি হয় না। বিল দিবেন? অফিসের কাজ বাসায় বসে করবেন, ঘর পরিষ্কার করবেন? রান্না করবেন? বন্ধুদের খবর নিতে ফোন করবেন? বাসার টিভিটা ছেড়ে দিয়ে বাচ্চাটা বসিয়ে দিন, নিশ্চিন্ত মনে কাজ সারতে পারবেন।
আমাদের ছোটবেলাতে টিভির অনুষ্ঠান ছিল খুবই সামান্য। তারপরও মার্কিন টিভি সিরিজ “সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান” বা “বায়োনিক ওম্যান” দেখে অনেক শিশু উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়ে হতাহত হয়েছিল বলে খবরে পড়তাম। জনপ্রিয় ওই সিরিজ দুটোর নায়ক আর নায়িকারা লাফিয়ে অনেক দূরত্ব অতিক্রম করতে পারতেন, ওরা উপর থেকে লাফ দিলে স্লো-মোশনে নেমে আসতেন। সেই নান্দনিক দৃশ্য দেখে অনেক শিশুই ছাদ থেকে লাফ দিতে আগ্রহী হয়েছে এবং মধ্যাকর্ষণের কবলে পড়ে হতাহত হয়েছে।
এখন টিভিতে ছোটদের অনুষ্ঠানের পরিমাণ প্রচুর এবং অনেকগুলোর মানই দুর্দান্ত। মাঝে-সাঝে আমিই বাচ্চাদের সাথে বসে ওগুলো দেখি। ওগুলো অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নির্মান করা হয় বলেই মনে হয়। ওগুলোর ভেতরে শিক্ষামূলক অনেক মালমসলা দেওয়া থাকে। ভুলে বিপদজ্জনক কিছু কি দেওয়া হয়ে গেল কিনা সেটা নিয়েও ওরা গবেষণা করে। মার্কিন দেশ সুশীল দেশ। টিভিতে বাচ্চাদের অনুষ্ঠানগুলোও বাচ্চাদেরকে সুশীল করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়। কারো “ফিলিং হার্ট” করা অত্যন্ত কবিরা গুনাহর কাজ মনে করা হয়, অনুষ্ঠানগুলোও সেই সব শিক্ষা দেয়। কিন্তু টিভি দেখে কেউ কখনো সন্ত্রাসী বা নম্রভাষী হয়েছে বলে আমার কখনো মনে হয় না।
আমাদের বন্ধু আরশাদ ক্লাস ফাইভ থেকেই পুরানো ঢাকার জব্বর সব গালাগাল নিয়ে ক্লাসে হাজির হতো। তাতে আমার ক্ষতির চেয়ে মঙ্গলই হয়েছে বেশি। পৃথিবীটা বড় কঠিন জায়গা। এখানে গালাগালি, গলাগলি, হাতাহাতি, ভালোবাসা প্রতিটি জিনিসই জানতে হয়। তাই টিভি দেখে শেখা খারাপ শব্দ নিয়ে আমার বেশি মাথা ব্যথা নেই।
কিন্তু প্রযুক্তির আগ্রাসন আমাদের কল্পনার লাগামটা কেড়ে নিচ্ছে যে। টিভি নিয়ে আমার আপত্তিটা এইখানেই। কষ্ট করে স্নো-হোয়াইটের বই পড়ে সেটার ছবি মাথায় আঁকার চেয়ে ডিজনির কার্টুন দেখাটা হাজার গুনে সহজ কাজ। যদি কল্পনা করার কাজটা অন্য কেউ করে দেয় তাহলে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে অতিরিক্ত কি সুবিধা পেলাম আমরা?
সম্ভবত এই সব কারণেই মার্কিনদেশের স্কুলগুলোতে বই পড়াকে দারুণভাবে উৎসাহিত করা হয়। পাবলিক লাইব্রেরির শাখাও থাকবে হাতের নাগালে। বইকে জনপ্রিয় করা নানান বিচিত্র কার্যক্রম দেখে অবাক লাগে। শৈশবে মোটামুটিভাবে একটা পাঠভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে বইকে আর স্যালাইন খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন আর পড়ে না। পাঠক এক সময় তৈরি হয়ে নিজেই জোগাড় করে নেবে নানান সুখাদ্য।
মেয়ের কাছে প্রায়ই শুনি...
“আব্বু ইফ আই রিড ফর সিক্স হান্ড্রেড মিনিটস, আই উইল গেট অ্যা ফ্রি টিকেট টু সিক্স ফ্ল্যাগস...”
“আব্বু ইফ আই রিড দিজ বুক, আই গেট অ্যা ফ্রি স্যান্ডউইচ ইন সাবওয়ে...”
“আব্বু জানো আমি সামারে একটা জব করব...হি হি হি...লাইব্রেরিতে কুকুরদের বই পড়ে শোনাব, আই উইল গেট অ্যা বুক ফর দ্যাট...”
এক সময়ে মেয়ে নিজেই বলে...আব্বু ক্যান ইউ গেট মি দ্য ডায়েরি অফ অ্যা উইম্পি কিড ফর মাই বার্থ ডে...ইট ইজ সো ফানি...আই রেড পার্ট অফ ইট...
বনফুল পাঠকের মৃত্যুর কথা বলেছিলেন, যেটা আমি পুরানো বই পড়তে গেলে প্রায়ই টের পাই। কিন্তু একই সঙ্গে নবজাতক পাঠক আমি নিজের বাড়িতেই দেখি।
অবধারিতভাবে আমার মাঝে মাঝে মনে পড়ে স্কুলে লুকিয়ে লুকিয়ে সেবা প্রকাশনীর বই পড়ার কথা। আধা ঘন্টা পড়লেই “বিপদ সঙ্কেতের” খুনি কে সেটা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু ওই আধাঘন্টার মধ্যে সত্যিকারে বিপদ সঙ্কেত ঘনিয়ে আসে...পিঠের উপর নেমে আসে দমাদম কিল। স্যারেরা পাঠ্যবইয়ের বাইরের বইকে (যেটাকে আউট বই বলতেন অনেকে) প্রায় গুপ্তবাবুর বইয়ের সমতুল্য ভাবতেন। প্রতিদিনই তারা চেষ্টা চালাতেন পাঠককে হত্যা করার।
বই কিনে যেমন কেউ দেউলিয়া হয় না, তেমনি বই পড়েও কেউ বখে যায় না। এইভাবে কল্পনা বেঁচে থাকে, এইভাবেই কল্পনাকে বাঁচতে হয়। এইভাবেই মানুষ স্বপ্ন দেখে, এইভাবেই মানুষ একদিন মানুষ হয়ে যায়।
আমাদের কল্পনাগুলোর কারিগররা আছে দুই মলাটের ভেতর। ওটাই হোক শিশুর সেরা উপহার।
###
মন্তব্য
দারুণ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নায়কঃ
লাইফ ইজ বিউটিফুল। বেঁচে থাকাটা অর্থময় এবং প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা!!
কল্পনাঃ
বই পড়ার অভ্যাসটা শ্রেষ্ঠ অভ্যাস।
(বাচ্চাদের জন্য অনেক স্নেহ আর আদর রইলো)
_____________________
Give Her Freedom!
আদর পৌঁছে দেব। আপনাকেও ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কথা সত্যি। বই পড়াটাকে উৎসাহিত করার জন্য আমেরিকানদের অদ্ভুত কান্ডকারখানাগুলো ভালো লাগল।
এই দেশের পোলাপাইনগুলারে যদি কোনভাবে বই পড়ার জন্য ইন্সপায়ার করা যাইত
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে বই পড়াকে উৎসাহিত করতে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মেয়ে বাচ্চাদের প্রিয় রঙ কেন গোলাপী আমিও অনেক চিন্তা করেছি, কিন্তু কোন উত্তর খুঁজে পাইনি। আপনার মেয়েকে আমার স্নেহ দিবেন।
তবে আজকে লেখায় ফাঁকি দিয়েছেন
ধন্যবাদ।
আজকের লেখা কিন্তু সাধারণ শিশুপালনের চেয়ে বেশ বড় এক্সট্রা লার্জ সাইজ। তাও ফাঁকি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, এই প্যারাগ্রাফটা এই লেখাটাতে সবচেয়ে শক্তিশালী মনে হল। ভিতরটা চুরমার হয়ে গেল এই কয়েক লাইন পড়ার পর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার পিচ্চিগুলাকে দেখতেই একবার টেক্সাস আসতে হবে, ওরা বড় হয়ে যাবার আগেই। লেখার ব্যাপারে আর কী বলব। বরাবরের মতই মায়াভরা লেখা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মোস্ট ওয়েলকাম। আমিও নিজেও দেশে যাব এই বছরে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেশে যাচ্ছেন কবে? অগাস্টে মাস্টার্স শেষ হলে তিনমাস দেশে কাটিয়ে আসার প্ল্যান আছে। পিএইচডি সুপারভাইসর যদি ডেফার করা অ্যালাউ করে আরকি। সেসময় দেশে গেলে পিচ্চিদের অবশ্যই দেখতে আসব
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দারুন সিরিজ ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি আগে টিভিতে প্রচুর নানা-রকম সিরিজ দেখতাম। এখন বাধ্য হয়ে মেয়ের সাথে বসে ডিজনি চ্যানেল দেখি । 'শেইক ইট আপ', 'অস্টিন এন্ড এলি', এন্ট ফার্ম, জেসি -প্রতিদিন একই সিরিজ দেখতে দেখতে সব ঘটনাই এখন আমার মুখস্থ!
আমিও দেখি। বেশ আসক্তিকর এবং মজার সিরিজ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সঠিক
খুব সুন্দর! ছোটবেলার লুকিয়ে লুকিয়ে পাশের রুমের আলোতে বই পড়ার কথা মনে পড়ে গেল!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বড় ভালো লাগে তোমার এই সিরিজটি। নিজেদের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে পেছনের সেই টক-ঝাল-মিস্টি দিনগুলিতে ফিরে যাওয়া যায়। তবে তোমাকে একটা আগাম দুঃসংবাদ দেই। তোমার খুব শিঘ্রিই নায়ক থেকে খল-নায়কের চরিত্রে ডিমোশন হবে। ধরে নিতে পারো সারে এগারো থেকে শুরু হবে, ভাগ্য ভালো হলে চলবে সতেরো-আঠেরোতক। না হলে আরো বেশী।
দুটো দল হবে তখন। একদলে তোমার বউ আর দুই মেয়ে, অন্য দলে 'সো মিন' তুমি!
--------------------------------------------------------------------------------
ধন্যবাদ ভাবি। যতদিন নায়ক আছি ততদিন সেটা উপভোগ করে নেই
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর, সাবলীল।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত ভাইয়া!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতই অসাধারণ!
আর এই বুদ্ধিমান, বইপ্রেমী মেয়েটাকে আদর!
ধন্যবাদ নীলম। আদর পৌঁছে দেব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
(গুড়) , নাহ মিয়াঁ ভাই, আপনার পরী দুইটা বড় হবার আগেই একবার ঘোড়াই চড়িয়া টেক্সাস আসতে হবে।
আপনের লেখাগুলো খুব অন্য ধরনের, তীব্র ভাল লাগার সাথে সাথে মন ভিজিয়ে যায়, হাসির দমকে কেঁপে ওঠার সাথে সাথে স্মৃতিকাতরতার কান্নার ঢেউ আসছে পড়ে বুকের ভিতরে।
কিন্তু আব্দুল জলিল অনন্ত উইটটা দুর্দান্ত!
facebook
মোস্ট ওয়েলকাম। আপনার পদধূলি পেলে এই শহর ধন্য হবে। মেক্সিকো পর্যন্ত এসেছেন - আমি বর্ডার থেকে মাত্র ২৪০ মাইল দূরে।
সদয় মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মত অসাধারণ!
আর এই বুদ্ধিমান, বইপ্রেমী মেয়েটাকে আদর!
ডুপ্লিকেট মনে হচ্ছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমাদের কল্পনার কারিগররা আছেন দুই মলাটের ভিতর। ওটাই হোক শিশুর সেরা উপহার।
আসাধারন লাগলো তাসনীম ভাই।
আমারও এক ছেলে । শিশুপালনের ক্ষেত্রে আপনার এই চরম লেখা অবশ্যই একটা ভালো গাইডলাইন হয়ে থাকবো। এক্ষেত্রে আপনার অন্য লেখা গুলো তাড়াতাড়ি পড়ে শেষ করতে হবে।
বেড়ে উঠুক সব শিশু
গড়ে উঠুক বই পড়ার অভ্যাস
নেড়ে চলুক সব রকমের পড়া
পাঠাভ্যাসের নেশাটা হোক গড়া
শুভকামনা রইলো আপনার সন্তানের জন্য।
আপনার ছেলের জন্যেও অনেক শুভকামনা।
ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার নিজের এখনও নাই, কিন্তু আপনার সিরিজ পড়তে পড়তে মাঝে মাঝে ভাবি আমার পোলাপাইন হইলে কি বলবে কি করবে ইত্যাদি।
আসছে সামনে শুভদিন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নুতন করে কী বলব?
পাঁচ তারা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লেগেছে। এই সিরিজের কোন লেখা আজই প্রথম পড়লাম। বাকিগুলো শীঘ্রই পড়ে ফেলবার চেষ্টা করবো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারন তাসনীম ভাই। সদ্য মেয়ের বাবা হয়েছি বলে মনে হয় এবার শিশু পালন একটু অন্যরকম লাগলো। মেয়ের আড়াই মাস বয়স হতেই আমি অবশ্য তার জন্য বই কিনে ফেলেছি
প্রতিদিন উপভোগ কর জীবনের সেরা উপহার
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
৫ তারা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি কে ভাইটি?
তবে সাফির প্রশ্নটা আমারও
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ! মায়াকাড়া!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন !
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ কানিজ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমরা বাপ-ব্যাটায় শপিং মলে গিয়ে একসাথে মেয়ে দেখি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দ্রোহী ভাই, অনেকদিন ধরে আপনারে বলব ভাবতেছি। তাসনীম ভাইয়ের এই অসাধারণ সিরিজটার সব কিছুই মেয়ে বাচ্চারে নিয়া। আপনারতো ছেলে। আপ্নিও একটা শিশুপালন সিরিজ নামাইয়া দেন না। এতে চাইল্ড সাইকোলজির দুইটা দিকই আমরা জানতে পারতাম। আর সাথে অবশ্যই ফ্রী আপনার দুর্দান্ত রসময় লেখা। এম্নিতেই তো অনেকদিন লেখেন না। দেন একটা লেখা ছাইড়া আপনাদের বাপ-ব্যাটার কাহিনী নিয়া (অবশ্যই যদি না, ঘরের কথা পরেরে জানাইতে আপত্তি না থাকে)। আগাম ধন্যবাদ।
অনেক মন খারাপের মেঘের মাঝে আপনার লেখাটি পড়ে এক টুকরো সুর্য উঁকি দিয়ে গেলো।
ধন্যবাদ।
মামনিদের জন্য অনেক ভালোবাসা।
অনেক ধন্যবাদ। মনের মেঘ কেটে যাক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
(গুড়)
---------------------
আমার ফ্লিকার
দলে যোগ দিচ্ছ কবে?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি খুব ভালো একটা বাবা , লেখা যথারীত চমৎকার।
ধন্যবাদ বন্দনা।
আমি ভালো বাবা কিনা সেটার চূড়ান্ত বিচার কিন্তু মেয়েদের হাতে ওরা যখন স্মৃতির শহর লিখবে তখন বোঝা যাবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার বাবাও আমার ছোট বেলার হিরো, আমি সত্যি সবসময় ভাবতাম - "বাবা কিভাবে সব জানে, সব বোঝে? বকেও না মা'র মত.....বাবা এত ভাল কেন"। এখনো ফোনে অনেক কথা বলি বাবার সাথে, মা একটু হিংসা করে তাই বাবাকে ।
আর প্রেমিকদের পক্ষে এই কঠিন প্রতিপক্ষকে হারানো কখনোই সম্ভব না :)।
আপনিও অনেক ভাল একজন বাবা। শুভকামনা বাবা - মেয়ে, ৩ জনের জন্যই ।
ধন্যবাদ লাবণ্যপ্রভা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমারো প্রথম পড়া এই সিরিজটা। আগেরগুলো পড়ে ফেলবো। দুর্দান্ত!!!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ। শিশুপালন ট্যাগে ক্লিক করলে সব লেখা এক সঙ্গে পাবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ লেখা!
ছেলেমেয়েদের চোখে সব বাবার প্রতিমূর্তিই বোধকরি এরকম।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাত্র ৫মাস আগে নিজের বাবাকে হারিয়েছি। বাবা চলে যাওয়ার পরে মনে হয়েছে বাসায় খুটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে কার সাথে আলোচনা করবো? এটা কি হবে, ওটা কি হবে। মনে হচ্ছে মাথার উপর ছাদ ছাড়া চলছি।
আমার মেয়ের বসয় এখন ১১ মাস। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার বাবা আমাকে যেসব সুখ দিতে পেরেছেন আমি কি আমার মেয়েকে সেসব সুখ দিয়ে যেতে পারবো? আমি কি পারবো আমার বাবার মতো হতে?
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
বাবা হারানোর কথা শুনে ব্যথিত হলাম। অবশ্যই পারবেন আপনি আপনার বাবার মতো হতে।
শুভেচ্ছা রইল আপনাদের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ
-
আমাদের সিন্দাবাদ এর চেহারা ছিল একেকজনের কাছে একেক রকম - এখন সবার সিন্দাবাদ একই রকম
রাইট, ওটাই আমার পয়েন্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বেশ ভাল্লাগ্লো।
মনেপ্রাণে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার মায়াঘেরা লেখা। বরাবরের মতই।
****************************************
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার এই সিরিজের প্রত্যেকটা পর্বেই কিছু না কিছু প্রাপ্তিযোগ ঘটে। এটা নিয়ে একটা বই বের করলে সেটা অবশ্যই আমার বুকশেলফে থাকবে। এটি কেবল শিশুপালন না, বুড়ো পালনও বলা যায়।
যারা ইসকুলে ডেস্কের তলায় সেবার বই(আউট বই) লুকিয়ে পড়েনি তারা জীবনে মোক্ষম পড়ুয়া হতে পারবে না কোন বিদ্যাতেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বইপড়ুয়া গ্রুপে ঢোকার আগে এটা চেক করা উচিত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ!
আমার কাছে বাবা নামের মানুষটা ঠিক এমন ছিলেন।
বাংলাদেশে বড় হয়েও আমার একটা বয়স পর্যন্ত এমন মনে হত, বেশিভাগ মেয়ে বাচ্চাদের অদ্ভুত সাইকোলজি এটা।
লেখা বরাবরের মতই
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহ ! কি লিখা একেকটা আপনার! দুনিয়ার সবচে সুখি বাবা !
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারন তসনীম ভাই।
চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন তো!!
_____
বুনোফুল
ধন্যবাদ বুনোফুল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসা। অনেক ভালো লেগেছে আপনার লেখা পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গোলাপির ব্যাপারে একটা পিচ্চির একটা ভিডিও মনে পড়লো, মেয়েতা ত্যাক্ত হয়ে অভিযোগ করছিলো যে তাকে কেন গোলাপি পুতুলই কিনতে হবে? দোকানে কেন আর অন্য কোন রঙের পোশাকের পুতুল নেই? আর ছোটছেলেদের যদি নীল পছন্দ না হয় তাহলে? ভিডিওটার লিংক খুঁজে পেলে দিয়ে যাবোনি। বন্ধুদের কাছ থেকে এও শুনছি কীভাবে মেয়েরা সায়েন্টিস্ট এঞ্জিনিয়ার হলে নিশ্চয়ই সুন্দর হবে না টাইপ অদ্ভুত ডিস্ক্রিমিনেশনও আছে! এগুলো টুকিটাকি জিনিস শুনলে আমার আবারও মনে হয় বাংলাদেশের উপরে থাকার জায়গা হয় না!
আচ্ছা, ইউনিকর্নের তো শিং থাকে, পেগাসাস মানে পঙ্ক্ষীরাজের পাখা থাকেনা?
ছোটকালে আমার ধারণা ছিলো আশেপাশে যা কিছু দেখি সব আমার বাবার। ফ্ল্যাট বাড়ির সামনের চত্ত্বর বাবার, বাবার বাস, বাবার মার্কেট, এমনকি দেশে নাকি একজন প্রেসিডেন্ট আছে যিনি দেশ চালান জানার পরে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম সেটা আমার বাবা কিনা? আমার অবশ্য এখনো ধারণা আমার বাবার থেকে বেশি পাওয়ারফুল আর কেউ নাই দুনিয়ায়।
মেয়েরা মনে হয় সবসময়েই বাবার মতো কাওকে খোঁজে জীবনে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইউনিকর্ন নিয়ে তো চিন্তায় পড়ে গেলাম। বাসায় যেটা আছে সেটা দেখতে ইউনিকর্নের মতোই দেখতে অর্থাৎ ছোট একটা শিং আছে, আবার ডানাও আছে। ম্যাকডোনাল্ডসের খাবারের সাথে দেওয়া খেলনা - চাইনিজ জিনিস। প্রায়ই পার্টস খুলে যায়। মেয়েরা ওইটা ইউনিকর্নই বলে - পেগাসাস বলতে শুনিনি। মাই লিটস পনি সিরিজের টয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বলতে ভুলে গেছিলাম তাসনীম ভাই - আপনি হচ্ছেন দুনিয়ার সেকেন্ড Coolest Dad. এক নম্বরে এই পাগল ব্যাটা
রি-লগ ইন করতে বাধ্য হলাম! চরম! চরম!! চরম!!!
থ্যাঙ্ক ইউ লিংকের জন্যে! বোরড পান্ডা মজা পাই। কিন্তু এইটা খেয়াল করি নাই। সাবানের ফেনার সান্তাটা জোস! নিজের আবার বাবার সব এক্সপেডিশনের কারণেই কিনা জানি না, তবে আমার সবসময়ে মনে হয় পিচ্চি একটা মেয়ে না থাকলে ছেলেমেয়ে থাকার অপূর্ণতা থেকে যায়।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চরম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ভাল লাগল ।
সুপারম্যান, টিনটিন নয়- বাচ্চাদের কাছে প্রথম সুপারহিরো বাবা
বই- এত ভাল বন্ধু আর কে?
শুভকামনা রইল ।
কড়িকাঠুরে
ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখাগুলো শিশুদের সরলতার মতই সুন্দর। সম্ভব হলে জুলাইয়ের আড্ডায় টুনটুনি পাখি আর কাকাতুয়া পাখিকে সঙ্গে আনবেন, প্লীজ। প্রাণ ভরে গালটানা আর চি----------পে hugs দেব
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
সবাই মিলেই জুলাইতে আসার ইচ্ছে আছে। বউয়ের ক্লাসের পরীক্ষা বাধ না সাধলে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার শিশুপালন সিরিজটা প্রিন্ট করে রাখা আছে। চোথা ভাল কাজে দিচ্ছে আপাতত সিরিজের প্রথম দিকেই আছি।
অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনার শিশুপালন আনন্দের হচ্ছে নিশ্চয়। আপনার অস্টিনবাসী বন্ধুও দলে যোগ দিচ্ছে আগামী মাসে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ লেখা!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম এতোক্ষণ। আমার মনের কথা এটা। আমি অন্যের কল্পনার ছবি দেখার চেয়ে বই পড়ে নিজে কল্পনা করতে বেশী ভালোবাসি। ছোটবেলা থেকে এমন বই পড়ার অভ্যাস হয়েছে যে এখন মনে হয় আমি একা কিভাবে করে থাকতাম বই না পড়তে পারলে?! আর বইগুলো দেখতেও খুব ভালো লাগে। পুরনো বইয়ের কী সুন্দর একটা গন্ধ থাকে! সাড়ে চার হাজার বই আমার ভাবতেই মজা লাগে
আপনার মেয়ে দুটোই জন্য অনেক আদর ভাইয়া। সব মেয়ের কাছে বাবারা থাকেন সুপার হিরো।
ধন্যবাদ মেঘা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাহ, এবার একটা ব্যবস্থা করতেই হয়। মেয়ে দুইটা বড় হয়ে যাচ্ছে। তাদের জন্য গণ্ডা চারেক কাজিন যোগাড় করতেই হয় এই যাত্রা! এটা আবার ভেবে বসবেন না যে আমি আমার কথা চিন্তা করতেছি। চাচা হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে না! সেই জন্যই আরকি...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অপেক্ষায় রইলাম। তবে যেই গতিতে যাচ্ছো তাতে মনে হয় মেয়ে নয় নাতিদের জন্য কাজিন যোগাড় হবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এভাবে বৈলেন নাগো তাসনীম ভাই। কথায় আছে না, স্লো এন্ড স্টিডি উইনস দ্য রেস! কাজে না হোক, কথায় বিশ্বাস রাখাটা তো মুমিনের জন্য কর্তব্য। তাছাড়া, মনে করেন এখন গ্রামের মাইট্যা পথে আছি। ঠেক্কায়া ল্যাটকায়া চলতাছি। হাইওয়েতে উইঠা এমন এক টান দিমু যে টাটা-হিনো-পোর্শে-জাগুয়ার সব পিছে পইড়া যাবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইটা একটা দারুণ লেখা, একটানেই পড়ে ফেলেছি কাল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই সিরিজ যাতে কোনদিনও শেষ না হয়, এই দাবি জানিয়ে গেলাম।
আপনার পিচ্চিগুলিকে ছবিতে দেখেছি তাসনীম ভাই, কি কিউট!! ......
নাহ, বাবা হয়ে গেলেই হয়।
ডাকঘর | ছবিঘর
সিরিজটা একটা সময়ে শেষ করে দিতে হবে। ওরা তো চিরকাল শিশু থাকবে না।
বাবা হওয়ার আইডিয়া কিন্তু দারুণ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সিরিজের এই পর্বটা পড়ে 'বাবা' হইতে ইচ্ছে করতেছে
উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতোই চমৎকার! খুবই ভালো লাগলো।
একটা ব্যাপার, ইংরেজি সংলাপগুলো ইংরেজিতে লিখলে কেমন হয়? পড়তে আরও আরাম হওয়ার কথা তাতে।
ধন্যবাদ। নাকি ইংরেজি সংলাপগুলো বাংলা করে দেব? কোনটা ভালো লাগবে জানিও।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিশুপালন পড়ার সময় আমার মেয়েদের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। এত তাড়াতাড়ি চলে গেল সেই সময়টা, মনে হয় মেয়ে দুটোকে কাছে রেখে মন ভরেনি।
এখন যত পারুন এনজয় করুন ওদের। চোখের পলকেই একদিন দেখবেন ওরা বড় হয়ে গেছে। মেয়েদের প্রথম প্রেম মনে হয় বাবা। মেয়েরা কিন্তু বাবার মত স্বামীও চায় মনে মনে। তার কারন হয়ত বাবার মত ভালত আর কোন ছেলে বাসবে না।
মেহবুবা ভাবি যে টিনএজ সমস্যার কথা বললেন সেটা সেই সময় না আসা পর্যন্ত বুঝা সম্ভব নয়।
আপনার লেখা পড়ে মনে হয় আপনি মেয়েদের জীবনে নায়কই থাকবেন সারাজীবন।
মামনিদের জন্য ভালবাসা।
জুলাই মাসে দেখা হবে আশাকরি।
জুলাই মাসে দেখা হবে এই আশা আমিও রাখি।
টিনএজ শুনলে ভয় হয়। আরও কয়েক বছর আছে তাতে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ
দেশে কবে আসছেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ।
সব ঠিক থাকলে এই বছরের শেষভাগে আসা হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার দুই বছরের মেয়েটি ও Child care থেকে বই পড়া enjoy করতে শুরু করেছে। আর সেটা এতোটাই যে Child care এ তার নাম হয়েছে Professor। হা হা হা । বই পড়া তার কাছে হলও পাতা উলটানো আর নিজের মনে বিরিবির করে অবোধ্য ভাাইয় কথা বলা। আর আমি যদি হেসে ফেলি তবেই হয়েছে
মেয়ে বলে " No. Not Funny"
হা হা হা
শুভকামনা রইল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার ছেলের জন্য আমি সাজিয়ে রেখেছি আমার সারা জীবনের সঞ্চয় - সেবা প্রকাশনীর যাবতীয় কিশোর ক্লাসিক, তিন গোয়েন্দা, সত্যজিত, সুকুমার সমগ্র, শিব্রাম, আব্দুল্লাহ আল মুতী, মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাজেদুল করিম, আহসান হাবীব ইত্যাদি ইত্যাদি - এখন শুধু একটাই আশঙ্কা কাজ করে - ছেলেটা বই পড়বে তো? নাকি সারাদিন কম্পিউটার, টিভি নিয়ে মেতে থাকবে!
-অয়ন
নতুন মন্তব্য করুন