।।১।।
জীবনটা আসলে একটা শিক্ষাসফর। এই ব্যাপারটা যত বড় হচ্ছি ততই পরিষ্কার হচ্ছে। ছোটবেলাতে ক্লাসে শেখানোর জন্য স্যারেরা খুব মারধোর করতেন। এতে ভালো কাজ হতো। সমস্যা হয়েছে যে এরপর থেকে মারধোর ছাড়া আর কিছুই শিখতে পারি না। মারধোরের অভাবে বড় হয়ে আর নতুন কিছু শিখতে পারি নি, দিনে দিনে স্পঞ্জববের বন্ধু প্যাট্রিকের মতো হয়ে যাচ্ছি। বাচ্চা পালতে গিয়ে বুঝলাম যে শিক্ষাসফর থেকে মারধোরকে দূরে রাখতে হয়, যেটা আমাদের স্যারেরা জানতেন না। এটা বোঝার পর থেকে আমার প্রতিটি কাজকর্ম শিশুদের উপযোগী করে করতে হয়।
টিভি দেখতে গিয়ে প্রায়ই মানুষজনকে এটা-ওটার পোলা বলে গালি দেই। বাচ্চারা মানে জিজ্ঞেস করলে বলি - ওটার মানে হচ্ছে নটি বয়। সেদিন মেয়ে জিজ্ঞেস করল পৃথিবীতে এতবেশি নটি বয় কেন? শিক্ষামূলক জীবন ব্যবস্থার সুফলটা দেখলেন তো? এই বয়সেই পৃথিবী সম্বন্ধে একটা সম্যক ধারনা হয়ে যাচ্ছে। গালাগালগুলোরও একটা ব্যবহারিক মূল্য আছে - পৃথিবী আসলেই নটিবয়ে পরিপূর্ণ।
কথা ছিল জুলাই মাসের ১৩ তারিখ রোজ শুক্রবার ডালাসে মেহবুবা জুবায়ের ভাবির বাসাতে সচলাড্ডা বসবে। ব্যাপারটার একটা শিক্ষামূল্য তৈরি করতে হবে। এই ছাড়া শিশুদের বিনোদনের ব্যাপারটাও দেখতে হবে তো। ডালাস শহরে দেখার মতো কিছুই নেই, শুধু দুটো কুমির ছানা আছে। এই দুই ছানা অনেকবার দেখা হয়েছে - তবুও সেই অমোঘ সত্য অনুধাবন করতে হলে মাঝে মাঝে ডালাসে যেতে হয়।
বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করলাম যে তারা ডালাসে গিয়ে কি কি করতে চায়?
“আই ওয়ান্ট টু স্টে ইন অ্যা বিগ হোটেল, ওয়ান্ট টু গো টু দ্য ওয়াটার পার্ক, ওয়ান্ট টু পেট অ্যা পাপি (কুকুর ছানা) ইন দ্য পার্ক, ওয়ান্ট টু প্লে উইথ...”
বাধ্য হয়ে আমার থামাতে হলো। জীবনের সব দাবীই পুরো মানা হয় না, কামান চাইলে পিস্তল পাওয়া যায়। এই শিক্ষাও মেয়েদের হয়ে গেছে। ঠিক হলো সব্বাই মিলে বৃহস্পতিবার রাতে হোটেলে থাকবো এবং এরপর শুক্রবার শিশুদের উপযোগী কিছু করা হবে, তার পরে সচলাড্ডা দেওয়া হবে।
।।২।।
ডালাস শহর অস্টিন থেকে দু'শো মাইল দূরে। টেক্সাসের লোক জন এটাকে অল্প দূরত্ব মনে করে। বড়জোর সাড়ে তিন ঘন্টা। অনেকে অফিস করতে ষাট মাইল দূরে যায়। কিন্তু বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সাড়ে তিন ঘন্টাই এক জীবনের মতো মনে হতে পারে। বিশেষত যখন আপনার দায়িত্ব হচ্ছে ওদের প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক জবাব দেওয়া।
“হোয়াট ইজ সচলাড্ডা?”
“আব্বু হোয়েন ইট'স ডে ইন অস্টিন, উইল ইট বি নাইট ইন ডালাস?”
“আব্বু ডালাস বেশি দূর না অস্ট্রেলিয়া বেশি দূর?"
“হোয়াই দেয়ার ইজ অ্যা রুবেল চাচু ইন এভরি সিটি উই গো টু?" [এর মধ্যে বেশ সত্যতা আছে, দেখা গেছে প্রতিটি শহরেই রুবেল নামে আমার একজন বন্ধু আছে]
“আমরা আমাদের বাসা বেচে দিয়ে হোটেলে থাকি না কেন?” [আমাদের বাসাটা যে ওদের বাবার হোটেল সেটা আর বললাম না]
পেছনের সিট থেকে প্রশ্নের তীরের বান আসতেই থাকে, এরই ভেতর আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা মিলানোর মুখে ডালাস শহরে পৌঁছে যাই।
।।৩।।
হোটেল আমার খুব অপছন্দের জায়গা। সম্ভবত আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও হোটেল ভালোবাসেন না। খালেদা জিয়া একবার হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে শেখ হাসিনা উনাকে সংসদে বকে দিয়েছিলেন – ভদ্রঘরের মেয়েরা নাকি হোটেলে থাকে না। প্রতিবার হোটেল উঠলেই আমার কেন জানি এই কথাটা মনে হয়। বউকে সেই কথা বলতেই সে প্রচন্ড রেগে গেল। সেইসব কথা লিখতে গেলে আবার হাইকোর্ট রাগ করতে পারে। বাদ দেই সেই প্রসঙ্গ।
হোটেলে আমার সবচেয়ে অসুবিধা হয় ঘুমাতে। কোনো এক বিচিত্র কারণে আমি হোটেলে ঘুমাতে পারি না। শুক্রবার সকালে লালচে চোখে ঘুম থেকে উঠে আমার মনে হলো আজকে সচলাড্ডা শুরু হওয়ার আগেই আমি ঘুমিয়ে পড়ব।
আমার মেয়ে বড় হয়ে হোটেলের রিসেপশনে কাজ করার অঙ্গীকার করল। এটা তার তিরিশতম জীবনের লক্ষ্য। জীবনে কেন প্রতিটা জিনিস করা যায় না এটা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করল সে। আমি হাই চেপে যথাসম্ভব শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করলাম। ডালাস ভালো নাকি অস্টিন ভালো সেই প্রশ্নের জবাবও দিয়ে দিলাম। এরপর ডালাসবাসী এক বন্ধুকে ফোন করে জানালাম যে ওর বাসায় থাকতে আসছি, ইনফ্যাক্ট দুপুরে একটু ঘুমের ব্যবস্থাও লাগবে সেটাও জানালাম।
আমার বন্ধু সচলায়তন কি জিনিস এবং সচলাড্ডা কি জিনিস সেটা জানতে চাইলো। আমার বন্ধুরা সব্বাই কমবেশি কম্পিউটার ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত হলে ব্যক্তিগত জীবনে কেউ বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে না। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলার পরে বিস্ময় প্রকাশ করে বলল – "দুনিয়া কতো এগিয়ে গেছে"।
।।৪।।
ডালাসে চামেলি নামে একটা বাংলাদেশি রেঁস্তোরা আছে। অনেকদিন এখানে যাবো যাবো করছিলাম। এইবার সুযোগ মিলে গেল। ঢুকেই নানান ধরনের খাবার অর্ডার দিলাম। যে কোন শহরে বাংলাদেশি বহুল জায়গাতে গেলে পরিচিত লোকজনের দেখা মিলে। এখানেও তার ব্যতিক্রম হলো না। আমি রেঁস্তোরার মেনু সাধারণত পরীক্ষার আগের রাতের পড়ার মতো মনোযোগ নিয়ে দেখি। মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে সেটা আর হলো না।
রেঁস্তোরার খাবার ভালো। দাম বেশ রিজনেবল। কিন্তু বের হয়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় উঠতেই পেটটা মোচড় দিয়ে উঠল। মার্কিন দেশে বাথরুম অতি সুলভ ব্যাপার। বিপদ মোকাবেলা করতে অতি দ্রুত যেই দোকানটাতে গাড়ি থামালাম সেটার নাম হচ্ছে কৃষ্ণা শাড়িস। বউ ও বাচ্চাদের একটু কেনাকাটার অভিনয় করতে বললাম, আর আমি টুপ করে ওদের প্রক্ষালনকক্ষে ঢুকে গেলাম।
আব্বা বলেছিলেন হ্যাভ দ্য অ্যাবিলিটি বাট ডু নট বাই। আমি এই কথাকে জীবনের বেদবাক্য মনে করি। কিন্তু বেরিয়ে দেখলাম যে অভিনয়কে বাস্তবে রূপ দিয়ে ফেলেছে সবাই। নানান সাইজের প্যাকেট ওদের হাতে। কথায় বলে দেয়ার ইজ নো ফ্রি লাঞ্চ, আসলে শুধু তাই নয়, খাবারের অন্যদিকের ব্যাপারেও তা-ই বলা যায়। লিভ অ্যান্ড লার্ন...শুরুতেই বলেছিলাম যে জীবনটা আসলে শিক্ষাসফর।
।।৫।।
বাস্তবের সাথে কল্পনার অনেক ফারাক থাকে। লেখালেখি পড়ে আমরা গল্পটার ছবি যেমন মাথায় আঁকি, তেমনি লেখকের একটা ছবিও এঁকে রাখি। আমার স্বপ্নের কাজীদা এখনো আটকে আছেন ২৯ বছর বয়েসে, মাসুদ রানার মতোই তাঁর অবয়ব। আমি তাঁকে চোখে দেখিনি, সত্যি বলতে কি আমি দেখতেও চাই না। আমার চেতনায় তিনি প্রখর রুদ্রের মতোই প্রখর, দুপুরবেলার সূর্যের মতোই তার পরিচয়। খামোখা এই রকম একটা লোককে বাস্তবে টেনে নামানোর ইচ্ছা আমার নেই।
ভাবি বলেছিলেন ঠিক বিকেল সাড়ে সাতটাতে ওনার বাসায় আসতে। টেক্সাসের হিসাবে সাড়ে সাতটা সন্ধ্যা নয়, সাড়ে সাতটাতেও মাথার উপর দাউ দাউ করে জ্বলে সূর্য। আড্ডাতে যোগ দিতে আসছে উচ্ছলা, চরম উদাস, সত্যপীর, সচল পাঠক নীলকমলিনী এবং দুই কন্যা সহ এই অধম। বেটার হাফরাও থাকছেন। সত্যপীর থাকে ক্যানাডাতে। আড্ডার টানে সে বর্ডার-টর্ডার পাড়ি দিয়ে, সীমান্তের প্রহরীদের বন্দুকের নলকে ফাঁকি দিয়ে, ফেন্সিডিল ব্যবসায়ীদের হুমকিতে ভয় না পেয়ে, গরু চোরাচালানকারীদের কাচকলা দেখিয়ে এই পাণ্ডববিবর্জিত দেশে চলে এসেছে। নীলকমলিনীও অ্যালাবামাতে থাকেন। এছাড়া সব্বাই টেক্সাসের টেক্সাসের অধিবাসী।
সচলাড্ডা আসলে কল্পনা আর বাস্তবের মধ্যে একটা সেতু। সেই সেতু বানানোর লক্ষ্যে ঠিক সাতটা একত্রিশে আমি ভাবির বাসার সামনে পৌঁছালাম। বুকটা উত্তেজনাতে একটু টিপটিপ করছে -সেতু তৈরি কতো কঠিন সেটা পদ্মাসেতু কাহিনির পরে আমরা এখন নিশ্চয় সবাই হাড়ে হাড়ে জানি। আসুন সচলদের সাথে পরিচিত হই।
উচ্ছলা আসলে বেশ গম্ভীর প্রকৃতির মেয়ে। ওর আসল নাম গম্ভীরা বেগম। ব্লগে কেন ফটকামি করেন জানতে চাইলে মুচকি হেসে আমার সেই প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন। সচলজামাই মাইনুল হাসি-খুশি লোক। আদর্শ কাপল। এই সুখের রহস্য কি জিজ্ঞেস করতেই একটু গম্ভীর হয়ে জানালেন - সফল সম্পর্কের জন্য জন্য দরকার রেসপেক্ট আর স্পেস। এটা শোনার পর বউয়ের সোফা থেকে দূরে দূরে বসেছি, আরো ঠিক করছি এখন থেকে বউকে আপনি আপনি করে বলব। রান্না-বান্না উচ্ছলার প্যাশন – যারা ওর ব্লগে মন্তব্য করেন তাদের সবাইকে উনি বাসায় দাওয়াত জানাবেন বলেছেন।
আমাদের হোস্ট মেহবুবা জুবায়েরকে সচলের সবাই চেনেন। উনি প্রাণান্ত পরিশ্রম করে বিপুল খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। সেই খাবার ধারণ করতে দুটো ডাইনিং টেবিলের প্রয়োজন হয়েছিল। এমনিতেই এই লেখা লিখে অনেকেরই অনেক অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেলেছি, পাঠকের খাদ্যনুভূতিতে আর বাড়ি দিতে চাই না। তবে এইটুকু বলে রাখি, ওনার বানানো মিষ্টি না খেলে জীবন বৃথা মনে হতে পারে।
সচল পাঠিকা নীলকমলিনী থাকেন অ্যালাবামা, অনেক দূরের পথ। ওনার মেয়েরা বড় হয়ে গেছে, উনি জীবনের দায়িত্বগুলো সব ঠিকঠাক পালন করে ফেলেছেন। পুরো অবসরটাই সচলকে দেন, উনাকে এখন প্রায় "হাফেজে সচল" বলা যায়। মুখফোড় থেকে শুরু করে দলছুট – সবাই ওনার চেনা। সচলাড্ডা হবে শুনে এক বান্ধবীকে সাথে করে ষোল ঘন্টা ড্রাইভ করে চলে এসেছেন। জীবনে এই প্রথম নিজে নিজে এতো দূরের পথ পাড়ি দেওয়া। কেননা সচল পড়েই জেনেছেন – ডরাইলেই ডর...
ঘড়ির কাঁটা সাঁইসাঁই করে বয়ে চলছে - কিন্তু চরম উদাসের দেখা নেই। সত্যপীরকে সে-ই বগলদাবা করেছে এয়ারপোর্ট থেকে। নীলকমলিনী নিদারুণ হতাশ হয়ে চরম উদাসের নাম পালটে দিলেন – নতুন নাম হলো চরম হতাশ। যেহেতু বাচ্চা-কাচ্চাকে ধমক দিয়ে আমার অভ্যেস আছে সেহেতু আমাকেই দায়িত্ব দেওয়া হলো উদাসকে ফোন করা বকা দেওয়ার।
ফোন দিতেই চরম উদাস জানালো যে সে একটু রেডি হচ্ছে। ছদ্মবেশ ছাড়া সে কোথাও বের হয় না। এছাড়া স্নো-পাউডার ফুরিয়ে গেছে, ওগুলো কিনতে বাইরে যেতে হবে। কোথায় নাকি ডিসকাউন্ট আছে, সেটা পেতে হলে ওই দোকানের ক্রেডিট কার্ড অ্যাপ্লাই করতে হবে - আমাকে ধৈইজ্জ ধরার উপদেশ দিল। মেহবুবা জুবায়ের ভাবি রেগেমেগে আমাকেই আবার দু'ঘা বসিয়ে দেন কিনা সেই চিন্তায় পড়ে গেলাম। শুরুতেই বলেছি, মারধোর ছাড়া আমি কিছু শিখতে পারি না।
অবশেষে রাত দশটাতে হাউজফুল হলো। সত্যপীর আর চরম উদাসের কথা একটু আলোচনা করি।
চরম উদাস একজন গবেষক। সম্প্রতি কিভাবে ছাগু হবেন এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়েছে সে। এতে মনোজগতে বিপুল পরিবর্তন এসেছে। এখন ও সবুজ বাংলা ব্লগ ছাড়া আর কিছুই পড়তে পারে না। খাবার টেবিলে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে খোঁজ নিল কোনো আইটেমে পর্ক আছে কিনা। চা-খাওয়ার আগেও নিশ্চিত করে নিল যে ওটা দুলুর দোকানের নয়। ওই দোকানের চায়ে হারাম কি সব মেশানো থাকে।
উদাসের প্রতিটি লেখাই এতোদিন দুই দফা মডারেশন হতো। ওর বউ – মানে চরম উদাসিনী প্রথমে পড়ে-টড়ে সম্মতি দিতেন, এর পরে সেটা মডুদের ব্লেডের নিচের ছাঁটাই হতো। যেসব লেখা ছাপা হয়নি সেগুলোর কথা চিন্তা করে আমার গায়ের লোম একদম ইয়ে হয়ে গেল। চরম উদাস সম্প্রতি সচল হয়েছে। এখন থেকে মডারেশন হবে একদফা। তবে উদাসবাবু আর হালকা কিছু লিখবেন না। উনি এখন লাইনে এসেছেন – সামনেই হয়ত আপনারা নতুন এক চরম উদাসকে পাবেন।
সত্যপীর – কামেল পুরুষ। স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে সে মার্কিন দেশে আড্ডা মারতে এসেছে। স্বপ্নে আদেশ ছাড়া কিছুই করেনা সে। ওর দাড়ির দৈর্ঘ্য প্রায় মাটি স্পর্শ করেছে। চোখে সুরমা, ক্রেডিট কার্ডের বিনিময়ে পানিপড়া দেন উনি। তবে ছবি তোলার আগে দাড়ি খুলে রাখে সে। ফেসবুকের যুগে ছবির ট্যাগ বেয়ে বেয়ে বাসায় এফবিআই চলে আসা খুবই সম্ভব। সচলে হালাল লেখার সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে কমে যাচ্ছে দেখে চরম উদাস আর পীর দু'জনেই উদ্বেগ প্রকাশ করল। রোজার মাসে ওরা নিদারুনভাবে সচলকে হেদায়েতের চেষ্টা করবে।
আমি নিজেও ওদের সাথে একাত্মবোধ করলাম। ইদানীং আমারও জাকির নায়েক দেখতে বেশ লাগে। তারেক মুনওয়ারের কথাও যুক্তিসঙ্গত মনে হয়।
আমাদের আলোচনা নানামুখী হলো। কলকাতার মিছিলের রাবীন্দ্রিক শ্লোগানের সাথে ফেনী কলেজের মিছিলের শ্লোগানের তুলনামূলক বিচার হলো। নীলকমলিনী আমাদের নিকের রহস্য জানতে চাইলেন। আমার নিকের কোনো রহস্য নেই – ওটা আমার আব্বা রেখেছিলেন। যুৎ মতো কিছু বলতে না পেরে চুপ করে থাকতে হলো।
রবীন্দ্রনাথ বলেছেন – সেই সত্য যা রচিবে তুমি - কবি, তব মনোভূমি রামের জনমস্থান অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো। উনি অবশ্য সোনার বাংলা ব্লগ না পড়েই এটা বলেছেন। কিন্তু এই সার্টিফিকেট নিয়েই আমরা ব্লগ লিখি। সুতরাং আমরা সব্বাই কবি অথবা সাহিত্যিক। সুতরাং সাহিত্য নিয়েও আলোচনা হলো। আমি আবার সাহিত্য বেশি পড়িনি। রসময় গুপ্ত ছাড়া আর কোন লেখকের পুরো রচনাবলী আমার পড়া হয় নি।
তবে আমরা একমত হলাম যে রবীন্দ্রনাথ সচলে লিখলে প্রচুর বকা খেতেন। কেননা তিনি ডেইলি ডেইলি কবিতা লিখতেন। এছাড়াও তার লুলামির অভ্যাসে ছিল। মেয়ে সহসচলদের নিয়ে কবিতা লিখে মডারেশনের আওতায় আসার সমূহ সম্ভবনা ছিল তাঁর। ওনার কিছু কিছু কবিতা "মায়েরে বাপ" পর্যায়ের হলেও প্রতিদিন কবিতা লিখলে চিবি দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকতো না।
আমার বউ সাহিত্য ভালোবাসে না, বিড়ালও না। সমস্যা হচ্ছে আড্ডাতে দুটোই উপস্থিত। আমাদের উচ্চমার্গীয় সাহিত্য আলোচনার মাঝখানে ডোরার বিড়ালটা বড় উৎপাত শুরু করল। তার লক্ষ্য আর কেউ নয়, আমার বউ। সোফার পেছন থেকে বিড়ালের কালো হাত প্রায় খামচে দিল তাকে। সাহিত্য আর বিড়াল দু'টোই তাকে প্রায় তাড়া করে অন্য ঘরে নিয়ে গেল।
সাহিত্য, বিড়াল, বাচ্চা-কাচ্চার উৎপাতে ইচ্ছে না থাকা স্বত্ত্বেও আমাদের একসময়ে আড্ডা ত্যাগ করতেই হল। ঠিক করা হলো আগামী বছরের আড্ডা হবে নিউইয়র্ক শহরে। আড্ডার স্পন্সর নীলকমলিনী। আপনারা যোগ দিতে চাইলে ওনার সাথে যোগাযোগ করুন। উনি অবশ্যও এখনো মন্তব্যের ঘরে আছেন, ব্লগের খাতা খুলেন নি। কিন্তু ওনার স্টকে অনেক মজার মজার গল্প আছে, আশা করছি আগামী আড্ডার আগেই ওনার ব্লগ আমরা বাজারে পাবো।
।।৬।।
একজনের কথা বলা হয় নি। আমাদের আড্ডার প্রতিটি মুহুর্তে একজনের নীরব উপস্থিতি ছিল। সেই মানুষটা আমাদের সামনের দেওয়ালের ছবিতে আটকে আছেন – আটকে আছেন আমাদের অনেকের হৃদয়ে। এক সময়ে সচলায়তনে আসতাম জুবায়ের ভাইয়ের লেখা পড়তে। কখনও মন্তব্য করা হয় নি, কম্পিউটারে বাংলা লিখতে পারি না বলে। কত মানুষকেই মনের কথাটা বলা হয় নি, ভালোবাসাটা জানানো হয় নি।
এখন মাঝে মাঝে জুবায়ের ভাইয়ের পুরানো লেখাগুলো খুঁজে খুঁজে পড়ি। কস্মিনকালেও ভাবিনি যে একদিন এই প্ল্যাটফর্মে আমিও লিখবো, ভাবিনি ডালাস শহরের তাঁর বাড়িতে বসে সচলাড্ডা দিব।
বড় অসময়ে চলে গেলেন আপনি। যেখানেই থাকুন – ভালো থাকুন।
মন্তব্য
চমৎকার লেখা তাসনীম ভাই।
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ উদ্ভ্রান্ত পথিক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লুই সিকের একটা কমেডি সিরিজ আছে, লুয়ি নাম। ওটা দেখতে গিয়ে আপনার কথা মনে হলো। দেইখেন, এনজয় করবেন।
ডাউনলোড দিলাম। আইএমডিবিতে দেখি খুবই হাই রেটিং
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ। নেটফ্লিক্সে আছে দেখতে হবে। স্ট্যান্ড কমেডিয়ানরা সিরিজ করলে সেগুলো দারুণ হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত মায়ার লেখা!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কথা দিয়ে ছবি আঁকা যায়, এটা আপনাকে দেখে শেখা!
একদম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ ইয়াসির।
আপনাকে শিখিয়ে দেই ব্যাপারটা। প্রথমে একটু সত্য নেবেন, তারপর সেটার সাথে যায় সেই রকম সামান্য কল্পনা মেশাবেন। এরপর ঝালমুড়ির কৌটার মতো ঝাঁকি দেবেন, যাতে সত্য আর মিথ্যা ভালো মতো মেশে।
আর দুইটা কথাকে বেদবাক্য মনে রাখবেন
১/ সেই সত্য যা রচিবে তুমি
২/ ডরাইলেই ডর
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সহমত।
ভালো লাগলো তাসনীম ভাই।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার লেখা।
আট্টু বড় হয়ে কোন একটা সচলাড্ডায় সাহস করে হাজির হতে হবে একবার। কী আছে জীবনে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ।
সামনের ডিসেম্বরটার যোগ দিও। এর মধ্যেই বড় হয়ে যেতে চেষ্টা কর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত গুছিয়ে, এত সুন্দর করে, এত মজা করে সচল আড্ডার কথা আর কেইবা লিখতে পারে?
আমি আর মেহবুবা জুবায়ের প্রতিটি কাজের মাঝে জুবায়ের ভাইয়ের কথা বলেছি। উনি থাকলে যে কি খুশী হতেন, ভাবি বারবার সেটা বলেছেন।
আসলেও উনি না থেকেও আমাদের মাঝে ছিলেন। রবিবার আমি আর শাহীন ( ভাবির ডাকনাম) কবরস্তানে গিয়েছিলাম।
এখন চরম উদাসের লেখায় তাসনীম কেমন সেটা জানা যাবে।
তাসনীম ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। অনেক কষ্ট করেছেন এই আড্ডাটার জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত একটা লেখা তাসনীম ভাই। পুরাটাই একটানে পড়ে ফেললাম... আরো একটু বড় করলেও পারতেন !
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ সবজান্তা। সামনেরটায় মনে হয় তোমাকেও পাব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সচলাড্ডার জয় হোক।
জয় হোক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত সচ্ছ, সহজ আর প্রাঞ্জল ভাবে একটির পর একটি , একজনের পর আর একজনকে যেভাবে বর্ণনা করলেন তাতে সত্যি অবাক লাগে ,তাসনিম ভাই । এত সরলভাবে লেখেন কি করে। আপনার জন্যে হ্যাটস অফ।
অনেক ভালো লেগেছে। একজন লেখকের সার্থকতা মনে হয় সেখানেই যখন তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে পাঠককে ঠিক ওই জায়গায় হাজির করেন যে জায়গাটির বর্ণনা তিনি করছেন। ঠিক ওই মুহূর্তটা পাঠকের সামনে নিয়ে আসেন যেই সময়টার কথা তিনি বলছেন। এই লেখনিতে এগুলোর সবখানিই পেলাম।
ভালো থাকবেন । আমি আপনার শিশুপালন সিরিজের একজন ভক্ত পাঠক বলতে পারেন।
ধন্যবাদ অমি_বন্যা। আপনিও ভালো থাকবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আসিতেছে হালাল পোস্ট।
যথারীতি কাঁপায় দেওয়া পোস্ট তাসনীম ভাই।
..................................................................
#Banshibir.
হালাল পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী সুন্দর করে লিখেছেন!!
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ, দারুণ একটা লেখা। এদ্দম খাঁটি ব্লগরব্লগর
বোঝাই গেলো না কখন শেষ হয়ে গেলো।
অনেক ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত্ত বড় লেখা,তবুও মনে হচ্ছে আরও একটু ক্যান লিখলেন না??এতো ভাল ক্যামনে লিখেন!!আপনার রেসিপি এপ্লাই করলেও এই জন্মে এরাম লেখা লিখতে পারব না! বাই দ্য ওয়ে,হোয়াট ইজ সচলাড্ডা??!!
সুবর্ণনন্দিনী
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুবর্ননন্দিনী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন লাগল। তবে সচলাড্ডায় না যেতে পারার হিংসেটা হলো না কেন যেন। বোধহয় খাবারের লিস্টি দেন নাই দেখেই। আপনার লেখা নিয়ে বলার কিছু নাই। উপরেই সবাই বলে দিয়েছে। জোকারকে ভাল লাগছে যেনে উৎফুল্ল বোধ করছি।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
অনেক ধন্যবাদ জুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
(গুড়)
শিঘ্রী দেখা হবে, তাসনীম ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে যোগ দেবার জন্য। এই লেখাটির জন্যও ধন্যবাদ নিন।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
যারা যারা আপ্নার রান্নার পোষ্টে কমেন্ট দিবে তাদের খানাপিনার ব্যপারটা যেনো মনে থাকে
অনেক ধন্যবাদ।
আবারও দেখা হবে শিঘ্রী। ভালো থেকো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা সবাই কী মজাটাই না করে! আমি কবে থাকবো এমন কোন আড্ডাতে?!
খুব সুন্দর হয়েছে লেখা ভাইয়া। আসলেই লেখা দিয়েও মাঝে মাঝে ছবি আঁকা যায়। আর ফেসবুকে সবার চেহারা দেখা থাকলে সেই ছবি আঁকতে আরো সুবিধা হয় চমৎকার সময় কাটলো।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ধন্যবাদ মেঘা। আপনি কোথায় থাকেন? ঢাকাতে প্রায়ই এই রকম আড্ডা হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী সুন্দর লেখা...!!!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নেক্সট টাইম আড্ডায় আছি
ধন্যবাদ। মোস্ট ওয়েলকাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এর পরেরটাতে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে। লেখা খুবই মুচমুচে।
অবশ্যই। ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত সুন্দর করে, সরস লেখা কীকরে লেখেন? আপনার কন্যাদ্বয়কে বরাবরের মতই ভালবাসা জানাবেন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ধন্যবাদ সুমাদ্রী। ভালোবাসা জানিয়ে দেব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা চোখে পড়লে কাজ-কাম বাদ দিয়ে এক বসায় পড়ে ফেলি। এইটা পড়েও বেশ মজা লাগলো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ সজল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অ্যালাবামা্র সচল পাঠিকা, খাওয়া-দাওয়া নিয়ে টেক্সাসে আড্ডা হলো...অ্যালাবামাবাসী সচলদের পক্ষ থেকে তেব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম!
আমার তো ধারনা ছিল আপনি ফ্লোরিডাতে থাকেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যাযাবর জীবন...এখন ঘাঁটি অ্যালাবামা্য়।
আলাবামার কোথায় থাকেন? মেহবুবা ভাবি সচল আড্ডার তারিখ জানিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন জুন মাসে, দেখেননি? আমি থাকি শিকারপুর, রকেট সিটিতে। উত্তর আলাবামা। সাবেকার মন্তব্যে আমার ইমেইল আছে। যোগাযোগ করেন। কাছাকাছি থাকলে দেখা হতে পারে।
শিকারপুর নামটা তো বেশ। আমরাও উত্তরে, তবে শিকারপুর থেকে একটু নিচে। আপনাকে ইমেইল করেছি।
ইউরোপ টু টেহাস গেটলক শিক্ষাসফর আয়োজনের প্রেরনা পাইলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনে বড় আশা ছিলো মালিকের মুখের উপর বলবো, ' ালের কাম করুম না, আই কুইট!' নানা হাদুমপাদুমের কারণে বলা যাচ্ছিলো না। অবশেষে কালকে বলতে পারছি। বলার পর থেকেই মনমেজাজ বেশ ফুরফুরা হয়ে আছে, তাই অসাংবিধানিক কিছু বললাম না। আড্ডার সাথে একাত্মতা জানায়ে গেলাম। কিন্তু, আমার 'কুইট' যদি গৃহীত না হয়, (এক মাস আল্টিমেটামের পর) আর যদি একটা দিনও (কামলার) গুলি চলে, তাইলে মনে রাখবা, বয়ান যখন দিয়েছি, বয়ান আরও দিবো কিন্তু সচলাড্ডার হাড্ডাহাড্ডি সমালোচনা করে ছাড়বো ইনশাল্লা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বসের মুখের উপর ' ালের কাম করুম না, আই কুইট!' আমিও অনেকদিন ধরে বলতে চাচ্ছি। কিন্তু এরপরে কি হবে এই ভেবে করতে পারছি না।
হাতে সময় থাকলে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে এই মুল্লুকে আড্ডা মারতে আসার এই সুসময়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাহ নিউইয়র্কের টা মিস করা যাবে না। আপনার পিচ্চি দুইটা বেশি বড় হয়ে গেলে আর কল্পনার সাথে মেলানো যাবে না।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
গুড। যথাসময়ে খবর পাবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গুল্লি গুল্লি!!!! চালাইয়া যান দাদা!
-ক্রান্তিবৃত্ত
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হোয়াই দেয়ার ইজ এ রুবেল চাচু ইভ্রি সিটি ইউ গো টু। হা হা, দারুণ কনফিউশনে আছে বাচ্চাটা।
কুমির ছানার কাহিনী পড়েও বেশ আনন্দ পেয়েছি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি আমার বউরে মাঝে মাঝেই বলি, আমি মরে গেলে তুমি কি মেহবুবা ভাবীর মত আমাকে নিয়ে স্মৃতিকথা লিখবে ?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আরে না না, ওখান থেকে অনেক দূরে আছো তুমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগলো আপনার লেখা সবসময়ের মতোই।
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ শান্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া আপনার লেখা দি বেস্ট ।
ধন্যবাদ শাব্দিক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমন মায়ায় ভরা কেন আপনার সব লেখাগুলা ভাইয়া।পড়ার পর কেমন যেন নিজের ভিতরে ভালোলাগার একটা রেশ থেকে যায় অনেকক্ষন।
ধন্যবাদ বন্দনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সচলে মুষ্টিমেয় কয়েকজনের লেখার ক্ষেত্রেই আশা করতে থাকি যে লেখাটা যেন শীঘ্রি শেষ না হয়। আপনি তাদের একজন।
এই লেখাটা ফুড়ুত করে শেষ হয়ে গেল।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বলেন কি ভাই? এইটা তো হাতি পোস্ট প্রায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উচ্ছলার লেখায়/ছবিতে আপনার মেয়েদের সহ আপনাদের সবাইকে দেখে খুব ভাল লেগেছে । তবে বাস্তবের সাথে কল্পনার বেশ গরমিল আছে
আপনার লেখায় কিছু ছবি দিলে পারতেন, আমরা মন ভরে দেখতাম অবশ্য আপনি লেখায় সে অভাব পূরণ করে দিয়েছেন, আপনার লেখার বর্ণনার সাথে সাথে অসাধারণ সব ছবি ভেসে উঠে মনের আয়নায় ।
ভাল থাকবেন মেয়েদের নিয়ে আজীবন ।
আমি আবার ছবিতে কাঁচা। ধন্যবাদ সদয় মন্তব্যের জন্য।
বাস্তবের সাথে কল্পনার পার্থক্য বিস্তর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ তাসনীম ভাই, স্রেফ অসাধারণ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনাদের এই ব্যাপারটা আমার দারুণ লাগছে।
একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটা ঘটনাকে এপাশ থেকে ওপাশ থেকে বিভিন্নভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখা। এবং প্রতি লেখাতেই বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন মজাদার আরো কিছু খবর।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
পুরোটা বিশ্বাস করে ফেলা ঠিক হবে না
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
লেখা ভাল লেগেছে। আপনার লেখা ভাল লাগার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। ভাল লাগছে, আড্ডায় উপস্থিত একেক জনের লেখায় একেক জনের চরিত্র চিত্রণ। বাকি লেখাগুলোর অপেক্ষায়।
পরিবার সহ ভাল থাকুন।
ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চরম উদাস থেকে ভদ্র হয়ে হালাল উদাস হয়ে গেছি বলে এক দণ্ড শান্তিতে থাকার উপায় নেই। লোকজন একের পর এক আমারে পচায়ে যাইতেছে একজন সন্ত্রাসী যদি ভালোমানুষ হয়ে যেতে চায়, একজন জালেম যদি আলেম হয়ে যেতে চায় তবে এই নিষ্ঠুর সমাজ তাকে সেই সুযোগ দেয় না। খাড়ান, আইতেছি জগাখিচুড়ি পোস্ট নিয়ে। বহুদিন লোকজনরে পচাইনা
ডিপজলের এই রকম এটা মুভি আছে মনে হয়, নামটা মনে পড়ছে না। তোমার লেখার অপেক্ষায় আছি, সবসময়ের মতো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এবারে আপনার পালা ! অপেক্ষায় আছি
একদম মনের ভিতর থেকে উঠে আসা আনএডিটেড বর্ননা। অসাধারন!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাহ
কথা দিয়ে স্বপ্নজাল বোনা। আসলেই কথা দিয়ে ছবি আঁকা যায় তা আপনার লেখা না পরলে জানা হত না।
ধন্যবাদ আরেকটি সুন্দর লেখার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখন দেখি চউ দা কি লেখে, বাকী সবাই তো লিখে ফেললেন!
ইয়ে মানে, আপনার কন্যারা যে তাদের বাবার হোটেলে থেকে বললেন, টেক্সাস গেলে কি সেই হোটেলে থাকা যেতে পারে_ ?
facebook
চউ দার (এই নামটা কার দেওয়ারে ভাই) লেখার অপেক্ষায় আছি।
হোটেল দ্য পাপ্পাতে আপনি স্বাগতম। কবে আসছেন?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
টরোন্টোয় পীরের মাজারও খোলা আসে। এফ ওয়াই আই।
..................................................................
#Banshibir.
আপনি ভালো লোক, খাওয়াদাওয়া নিয়ে তেমন বিজ্ঞাপন করেননি
খাদ্যনুভূতিতে আঘাত দিতে চাই নি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ বর্ণনা--- পুরাই গোগ্রাসে গিললাম--
ধন্যবাদ পথিক পরাণ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বেশ উপাদেয় হয়েছে লেখাটি
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখার শরীরে মায়ার আদর, যেনো অভিমুন্যের চক্রবূহ্য- মুগ্ধতায় ঢুকলাম, আর বের হতে পারছি না।
অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমাদের শিশুর মুখে বোল ফোটানোর যে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা দুজন, দুদিন পরে সে থামাতে কী কষ্ট করতে হবে তার ধারনা পেলাম
কৌস্তভ'দা পোস্টটা আপনাদের জন্য পারফেক্ট টাইমিং
আমার জবাবটাই শাব্দিক দিয়ে দিয়েছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রেস্টুরেন্টের মেনু পড়ার এই মনোযোগ আমারও আছে। বউকে আপনি-আপনি করে বলবেন শুনে হেসে ফেলেছি একটা কথা মনে পড়ায়। আপনার লেখা ভালো লাগে, দেরিতে হলেও এসে পড়ে যাই, মজার ব্যাপার হলো কিছু না কিছু এমন থাকে যে লগ-ইন করে মন্তব্য করতেও বাধ্য হই। ভেবেছিলাম মেইল করে অনেক কিছু হাবিজাবি লিখবো, কিন্তু এখানেই কমেন্ট করলাম, পরে আবার মেইল করা যাবেনি আপনাকে।
মেহবুবা ভাবির উপরে আমার কিঞ্চিত রাগ থাকলো, এত কষ্ট করে ছুটে ওনার সাথে দেখা করতে গেলাম, ঢাকার জ্যাম আমাদেরকে ১৫ মিনিটের বেশি সময় দিলো না, যার মূল্যবান ৭-৮ মিনিট উনি আমাকে কী দিয়ে আপ্যায়ন করবেন সেই ব্যবস্থায় কাটিয়ে দিলেন! কিন্তু তাও নিজের হাতের বানানো মিষ্টি তো খাওয়ান নাই, ওনাকেও একটা মেইল করতে হবে দেখি। মুশকিল হলো ইদানীং লেখালেখি করতে ভালো লাগে না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ। আমিও তোমার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি চমত্কার লেখা তাসনিম ভাই ... পিচ্চি গুলোর ছবি দেখলাম এর আগে উচ্ছলার পোস্ট এ .. আপনার লেখাগুলো সব সময় অনেক মজা করে পড়ি আর ওদেরকে কল্পনায় দেখার চেষ্টা করেছি .. এবার ওদেরকে দেখে খুব ভালো লাগলো .. অবাক ব্যপার! আমার আঁকা কল্পনার পিচ্চি গুলো যেন বাস্তবের পিচ্চি গুলোর সাথে মিলে গেলো ! শুধু মেলাতে পারিনি সত্যপীর আর চরম উদাস কে ... আড্ডা যে মজার হয়েছে তা আপনাদের লেখা + ফটো দেখেই কল্পনা করতে পারছি.. চরমউদাস এর লেখার অপেক্ষায় রইলাম.
আবারও ধন্যবাদ চমত্কার লেখার (নিঁখুত বিবরণসহ) জন্য.
আপনাকেও ধন্যবাদ একাকী আমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভিন্ন স্বাদের আড্ডা-পোস্ট। ভালো লাগল বরাবরের মতোই। দেশে আসেন। আমরাও সবাই মিলে একদিন একটু দেখা-সাক্ষাত করি।
বছরের শেষভাগে আসার উজ্জ্বল সম্ভবনা আছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ!
নতুন মন্তব্য করুন