।।১।।
এক সময়ে ডায়েরি লিখতাম। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। ঢাকা শহরে তখন আকাশ ছোঁয়া বাড়িঘর ছিল না। মানুষজন দোতালার ছাদে উঠেই আকাশ স্পর্শ করতে পারতো। ডিজুস ছিল না, হিন্দি মেগাসিরিয়াল ছিল না, শপিং মল ছিল না, টি-২০ ছিল না, ইন্টারনেট ছিল না – বলা যায় আমরা তখন সর্বহারা ছিলাম। সেই সময়ে রাতে ঘরে ফিরে একটা সিগারেট ধরিয়ে মুখের উপর গল্পের বই নিয়ে শুয়ে থাকা ছাড়া আর তেমন কোনো বিনোদন আমরা আবিষ্কার করতে পারিনি।
সেই ডায়েরির ভগ্নাংশ কিছুদিন আগে খুঁজে পেলাম। ওতে কয়েক দিনের দিনলিপি আছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পরের সময়। ওই সময়ে আমার মূল কাজ ছিল সকালে ঘুম থেকে উঠে আড্ডা মারতে বের হওয়া এবং রাতে বাসায় ঘুমাতে আসা। আমাদের কিছু না থাকলেও দিনগুলো বেশ বিচিত্র ছিল। প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে – নতুন বন্ধু হচ্ছে, পুরানো বন্ধু বিদায় নিচ্ছে, সংসদ ভবন প্রাঙ্গনে বিবাদ হচ্ছে, গান হচ্ছে, চটপটিতে ঝাল বেশি হচ্ছে, মামুর দোকানে বাকি হচ্ছে, কেরু কোম্পানির পন্যে হাতেখড়ি হচ্ছে, আমরা লাবণ্যময় পাথর দেখছি, ভাগ করে গাঁজা খাচ্ছি, রোদ-বৃষ্টি-আলো মাখছি গায়ে। জীবনটা ছিল প্রায় ধারাবাহিক স্পাই থ্রিলারের মতো উত্তেজনাকর।
।।২।।
সেই তুলনায় বর্তমান সময় নিতান্তই বর্ণহীন। বলা যায় আমার জীবনের একদিনের ঘটনাগুলোকে “কন্ট্রোল-সি” চেপে কপি করে আগামী একবছর ধরে “কন্ট্রোল-ভি” মেরে পেস্ট করে দেওয়া যাবে। তারপরও দিনিলিপি লিখতে বসলাম। তবে ভালো দিকটা হচ্ছে আর একবছর কিছু লিখতে হবে না। বৈচিত্র্যহীনতাও অনেক সুবিধা নিয়ে আসে।
আর বাকি সব দিনগুলোর মতো এই দিনটাও শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ছয়টায়। স্মার্ট ফোনের কল্যাণে অ্যালার্ম ঘড়িগুলো হাসপাতালের রাগী নার্সের মতো আর ডাকাডাকি করে না। ওদের কন্ঠস্বর এখন অনেক মধুর, অনেক ভালোবাসা নিয়ে ওরা ডাকে আমায়। প্রায় সকালের মতো আজো গুনগুন করলাম…তুমি ডাক দিয়েছো কোন সকালে কেউ তা জানে না…
রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কোন কবিকে আমি সকাল বেলা নিয়ে কবিতা লিখতে দেখি না। আজ সকালেও সেটা মনে হলো। তবে রবীন্দ্রনাথকে মনে হয় সকালবেলা অ্যালার্ম দিয়ে উঠতে হতো না। আমি বিখ্যাত লোকদের নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করি না, শুধুমাত্র রবীন্দ্রনাথ একমাত্র ব্যতিক্রম।
উনি সকালে চা আর সিগারেট খেয়ে বাথরুমে কবিতার খাতা নিয়ে যেতেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তর আমি মাঝে মাঝে খুঁজি। আমরা অতিমানব রবীন্দ্রনাথ সহজেই পাই – কিন্তু মানুষ রবীন্দ্রনাথকে খুব বেশি দেখি না। সেই রবীন্দ্রনাথকে আমি প্রায়ই আমার ব্যস্ত সকালবেলাতে খুঁজি, উনিও কি দ্রুত চা শেষ করে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতেন কিনা, পত্রিকাতে খবর পড়ে কাউকে “চ” অক্ষরের গালি দিতেন কিনা সেই সব প্রশ্নের উত্তর কোথাও পাই নি। রবীন্দ্রনাথের উচ্চারিত সবচেয়ে খারাপ গালিটা কি ছিল এই নিয়ে হয়ত কেউই গবেষণা করেন নি।
মহামানব রবীন্দ্রনাথকে প্রায় প্রতিদিনই স্মরণ করি।
জগৎ-মাঝারে যেথায় বেড়াবি,
যেথায় বসিবি, যেথায় দাঁড়াবি,
কি বসন্ত শীতে দিবসে নিশীথে
সাথে সাথে তোর থাকিবে বাজিতে
এ পাষাণ প্রাণ অনন্ত শৃঙ্খল
চরণ জড়ায়ে ধরে ।
।।৩।।
গাড়িতে উঠেই রেডিওটা ছেড়ে দেই। পেছনের সিটের বাচ্চাদেরও দায়িত্ব হচ্ছে রেডিওর খবরের মানে বোঝা।
“আব্বু হোয়াই দ্যাট গাই কিল্ড সেভনটি সেভেন পিপল? হি উইল বি ইন জেইল ফর টুয়েন্টি ওয়ান ইয়ার্স। হোয়াই ডিড হি ডু ইট?”
“টেক্সাসে আবারও ওয়াইল্ড ফায়ার হবে? আমার তখন কোথায় যাব?”
“নিউ অর্লিন্সে কেন এতো হারিকেন হয়? ডু দে হ্যাভ বোটস?”
পৃথিবীটা যে মারমেইডময় নয় সেটা আশাকরি ওরা অচিরেই বুঝে যাবে। প্রতিদিনের বাস্তবতাকে সকাল সকাল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি ন্যাশানাল পাবলিক রেডিওকে ধন্যবাদ দেই।
হায় সখা, এ তো স্বগর্পুরী নয়।
পুষ্পে কীটসম হেথা তৃষ্ণা জেগে রয়
মর্মমাঝে, বাঞ্ছা ঘুরে বাঞ্ছিতেরে ঘিরে,
লাঞ্ছিত ভ্রমর যথা বারম্বার ফিরে
মুদ্রিত পদ্মের কাছে। হেথা সুখ গেলে
স্মৃতি একাকিনী বসি দীর্ঘশ্বাস ফেলে
শূন্যগৃহে—হেথায় সুলভ নহে হাসি।
রবীন্দ্রনাথ থাকেন সারা সকাল জুড়ে।
।।৪।।
অফিসের অনেক লোকই বাসার থেকে কাজ করে। দিনে দিনে অফিস জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে। বাসায় বসে আমিও কাজ করেছি অনেকদিন। এরচেয়ে বিরক্তিকর কিছু আর নেই। চার্চ আর স্টেটের মধ্যে যেমন পার্থক্য থাকা উচিত তেমনি অফিস আর বাসার মধ্যেও পার্থক্য থাকা বাঞ্ছনীয়। ঘরে বসে কাজ সেই পার্থক্য ঘুচিয়ে দেয়। বাথরুমে ঢুকলেও তখন কাজ পিছু ছাড়ে না। সব দেখে শুনে আমি নিয়মিত অফিসে আসা শুরু করেছি।
আমি অফিস ভালোবাসি। ভালো না বেসে উপায়ও নেই – দিনের তিনভাগের একভাগ সময় এইখানে থাকি। এরসাথে কোন রকম গ্যাঞ্জামে জড়ানো ঠিক হবে না। আমার সহকর্মীরাও প্রায় সব্বাই অফিস ভালোবাসেন। কোনদিন তারা ডোনাট অথবা টাকো নিয়ে বাকিদের আপ্যায়িত করেন।
আমাদের অফিসে প্রায় সবাই মোটা লোক। এখানে চিকন মানুষকে অতিদ্রুত মোটাতাজা করন প্রক্রিয়ার আওতায় নেওয়া হয়। সর্বশেষ যে পাতলা মেক্সিকান মেয়েটা চাকুরিতে ঢুকেছিল সেও এখন মাশাল্লাহ বেশ ভালো স্বাস্থ্য বানিয়ে ফেলেছে।
টু-এম-২১৬ তে ডোনাট, কফি আর ড্যানিশ আছে। লগ ইন করেই মেসেজ পেলাম। আমার মোটা হওয়ার ভয় নেই, তাই দ্রুতই ছুটে গেলাম টু-এম-২১৬তে।
“রিওর শরীর ভালো নেই…অনেক বছর ধরে আমাদের সাথে আছে…এইবার মনে হয় বিদায় দিতে হবে, ও চোখেও দেখে না ভালো মতো…বার্ধক্যের শেষ সীমানা পৌঁছে গেছে প্রায়…”
রিও মহিলার কুকুরের নাম। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। প্রায় আট হাজার ডলার খরচ করেছেন কুকুরের চিকিৎসার পেছনে। কুকুরটা অনেক অংগপ্রত্যঙ্গ ফেল মারালেও গলার স্বর এখনো অক্ষুন্ন আছে।
সারাদিনে বলা যায় একবারই মাত্র আমি মানুষের সাক্ষাৎ পাই। সেই সময়টা সাধারণত আবহাওয়া, খেলা, ক্রমনিম্নগামী অর্থনীতি, চিন আর ভারতের বিস্ময়কর উত্থান, কুকুরের স্বাস্থ্য, ছুটির দিনের পরিকল্পনা – এই কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
রিওর জন্য দুঃখ প্রকাশ করলাম। লোকমুখে যদিও শুনেছিলাম অতি বজ্জাত কুকুর। এইবেলা ঘুম পাড়িয়ে দেবেন মনে হচ্ছে। হাহাকার চলতে লাগলো।
দুটো ডোনাট আর এক কাপ কফি নিয়ে আমি রুমে ফিরি। কাজে মন দেই, কানে ইয়ারফোন গুঁজে দিয়ে সেই বুড়োর গান শুনি আপন মনে। বুড়ো বেঁচে থাকলে ওনাকে হাতে-পায়ে ধরে ফেসবুকে অ্যাড করতাম। ওনার প্রতিটি স্ট্যাটাসে কমেন্ট করতাম – ফাডায়ে ফালাইসেন বস।
কলিযুগে হয় মানুষ অবতার – আর সেটাতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেগুলোর ভালো ভূমিকা আছে। আমাদের জীবন এখন ভার্চুয়াল রিয়েলিটিমুখী।
জয়বাবা জুকারবার্গ।
আমার কানের কাছে সেই বুড়ো গান গেয়ে চলে।
মোরে না হেরিয়া নিশির শিশির ঝরে,
প্রভাত-আলোকে পুলক আমারি তরে এ কি সত্য।
মোর তপ্তকপোল-পরশে-অধীর সমীর মদিরমত্ত
হে আমার চিরভক্ত, এ কি সত্য...
।।৫।।
একটা সময় ছিল সকালে অফিসে ঢুকেই দুপুরে কোথায় লাঞ্চ খেতে যাবো সেই পরিকল্পনা করতাম। সেই দিন এখন আর নেই। এখন আমার টার্গেট হচ্ছে কোনমতে কাজ শেষ করেই বাসায় চলে যাওয়া। দুপুরে তাই অফিসের ক্যাফেটেরিয়া থেকে খাবার কিনে রুমে বসে খাই।
পৃথিবীর আর সব ক্যাফেটেরিয়ার মতো এই ক্যাফেটেরিয়াতে অনেক অখাদ্য পাওয়া যায়। গত পাঁচ বছর ধরেই পরিকল্পনা করছি নিজের অফিস রুমে একটা ছোট ফ্রিজ আর মাইক্রোওয়েভ কিনবো। খাবার বানিয়ে সেখানে রাখবো আর সারাদিন সেখান থেকেই নিয়ে নিয়ে খাবো – এই প্ল্যান এখনও প্ল্যান রয়ে গেছে। এই সংক্রান্ত ক্রয় কমিটি এখনো বৈঠকে বসতে পারে নি, তাই বাস্তবায়নও হয় নি।
লাঞ্চের সাথে ফেসবুকের সম্পর্ক খুব মধুর। আমদের জীবনে ফেসবুক ঠিক জানালা না হলেও দরজার ফুটোর মতো। ওখানে উঁকি দিলে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। কারো মন বা পেট খারাপ কিনা, কোন ছবিটা দেখতে হবে, কে নতুন কি বই পড়ল, কোন কাজে সোয়াব কি পরিমান আসবে – এই সব কিছু সম্বন্ধে একটা সম্যক ধারনা জন্মে। আমি পতিত এক পাঠক, এখন আর বই পড়ি না, সিনেমা খুব বেশি দেখতে পারি না, নিজের মন বা পেট খারাপ নিয়েই চিন্তিত হই না – এইসব কারণেই হয়ত ধর্মীয় পোস্টগুলোই মনোযোগ দিয়ে পড়ি।
যতদূর মনে হয় সোয়াবের ইউনিট হচ্ছে নেকি। হয়ত কোথাও নেকির সংজ্ঞা দেওয়া যাছে, নিউটনের বলবিদ্যায় যেমন বলের একক বলের সংজ্ঞা আছে হয়েছে – যে পরিমান বল একক ভরের কোন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে একক ত্বরণ সৃষ্টি করে – তেমনি হয়ত পরিমানযোগ্য কোন ভালো কাজে এক নেকি সোয়াব হয়। সোয়াবের ব্যাপারটা অনেকটা এয়ারলাইনের মাইলেজ প্রোগ্রামের মতো। কিছু কিছু দিন যেমন ডাবল বা ট্রিপল মাইলেজ পাওয়া যায় তেমনি কিছু কিছু সময়ে তিন/চার/সত্তরগুন সোয়াব মিলে।
বলতেই হবে ধর্ম থেকে জিরাফ - সর্বত্রই একটু মুক্তবাজার মুক্তবাজার গন্ধ আছে। বাজার ব্যবস্থার বাইরের ঈশ্বরকে কোথায় খুঁজে পাই? বুড়ো দেখি এই বিষয়েও অনেক কিছু বলে রেখেছে।
সংসারে মোরে রাখিয়াছ যেই ঘরে
সেই ঘরে রব সকল দুঃখ ভুলিয়া।
করুণা করিয়া নিশিদিন নিজ করে
রেখে দিয়ো তার একটি দুয়ার খুলিয়া।
মোর সব কাজে মোর সব অবসরে
সে দুয়ার রবে তোমারি প্রবেশ-তরে...
পাঁচটা বাজতে এতো দেরি হয় কেন? বাসায় ফিরবো কখন?
।।৬।।
“আব্বু একটা গল্প বল…”
“মিয়ানা আর টিয়ানার গল্প শুনবি…ওরা ভিনগ্রহের দুই বোন…ওদের গ্রহের নাম হচ্ছে ফার ফার অ্যান্ড অ্যাওয়ে প্ল্যানেট…”
“না, আমি তোমার চাইল্ডহুডের গল্প শুনব…টেল মি অ্যাবাউট ইয়োর পেট…”
“আমার কুকুরের নাম ছিল জো…”
“হাউ ওল্ড ওয়ার ইউ?”
“আমার বয়েস তখন বারো…”
“নট ফেয়ার, আমার কোন কুকুরছানা নাই কেন?”
“কেননা আম্মু বলেছে বাসায় কুকুর ঢুকলে সে এই বাসায় আর থাকবে না।”
“নট ফেয়ার…তুমি জো কে অনেক আদর করতে…”
“করতাম কিন্তু আমেরিকানরা কুকুর নিয়ে যেই কচলা-কচলি করে সেই রকম না।”
“হোয়াট আদার পেটস ইউ হ্যাড?”
“আমাদের কবুতর ছিল…”
“নট ফেয়ার…”
“কালু আর টিনা নামে আমাদের দুটো গিনিপিগ ছিল। সীমানা পেরিয়ে নামে একটা সিনেমা দেখে আমি ওদের নাম দিয়েছিলাম…কালু ছিল সাদা-কালো আর টিনার ছিল সাদা-মেটে…টিনা প্রায়ই পালিয়ে যেত…”
“নট ফেয়ার…”
“আমাদের বাসায় একটা হাঁ করা কাক আসতো, তোর বড় চাচু ওর নাম দিয়েছিলেন স্টুপিড কাক…হা হা হা…”
“নট ফেয়ার…”
“পাঁচিলের ওপর কাঁচ দেওয়া ছিল। মোটাসোটা বিড়াল হাঁটতো ওখান দিয়ে। ওদের কেন পা কেটে যায় না সেটা নিয়ে অনেক ভাবতাম। দাদাভাইয়ে অনেক গাছ ছিল, কোকোনাট ট্রি, পেয়ারা গাছ, জাম্বুরা কাছ, তেজপাতা গাছ, কাঁঠাল গাছ – বাসায় অনেক পাখি আসতো। টিয়াপাখিরা ছিল সবুজ। আর ছিল ইয়া বড় বড় প্রজাপতি…খুব সাবধানে ওদের ধরে ছেড়ে দিলে ওদের নকশা গায়ে মেখে রাখা যেত। সবচেয়ে বড় ভিলেন ছিল শুঁয়োপোকা।”
“নট ফেয়ার…”
ঘুমে ওদের চোখ জড়িয়ে আসে। নিদ্রাদেবীর আশীর্বাদ আমিও পাই। কিন্তু সেই বাসা আমার পিছু ছাড়ে না।
ঘুমের ঘোরে আমি যেন বর্ষণের শব্দ পাই। অনেক দূরের, অনেক আগের কোনো একদিনের বৃষ্টির ঘ্রাণ সেন্ট্রাল এসির গুনগুনকে পরাভূত করে দেয়। রাতের রেলগাড়ির আওয়াজ নিয়ে আসে বালকবেলা। মনে হয় আমার বন্ধুরা যেন কেউ পালটে যায় নি, হারিয়ে যায় নি, আমার শহরকে কেউ হত্যা করেনি, আমার শৈশবের স্মৃতিচিহ্নগুলো ফ্যাকাশে হয় নি…আমি তলিয়ে যাই ওদের ডাক শুনে।
তুমি ডাক দিয়েছ কোন্ সকালে কেউ তা জানে না,
আমার মন যে কাঁদে আপন মনে কেউ তা মানে না।
ফিরি আমি উদাস প্রাণে, তাকাই সবার মুখের পানে,
তোমার মতো এমন টানে কেউ তো টানে না।
###
মন্তব্য
তুমি ডাক দিয়েছ কোন্ সকালে কেউ তা জানে না,
আমার মন যে কাঁদে আপন মনে কেউ তা মানে না।
ফিরি আমি উদাস প্রাণে, তাকাই সবার মুখের পানে,
তোমার মতো এমন টানে কেউ তো টানে না।
মানুষকে টানার জন্য আপনার লেখার মত লেখাও খুব কম জন লিখতে পারে। (গুড়)
facebook
ধন্যবাদ অণু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ফাডাইলাইছেন বস
ধন্যবাদ বস
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উদাস হইগেলাম
--বেচারাথেরিয়াম
ধন্যবাদ বেচারাথেরিয়াম (নিকটা মনে হয় সুকুমার ইন্সপায়ার্ড, পছন্দ হলো)
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
--বেচারাথেরিয়াম
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই জীবনে আপনার সঙ্গে একটা সন্ধ্যে ছেলেমানুষি করে আমি কাটাবই। জীবনের টু ডু লিস্টে লিখে রাখলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ওকে আমিও টু-ডুতে রাখলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেশের প্লান মনে আছে তো? ২০১৩তে, কী বলেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কি লেখা !
ধন্যবাদ সাবেকা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখার মত অন্তত এক প্যারাগ্রাফ লেখার আমার অনেক ইচ্ছা।
..................................................................
#Banshibir.
তাসনীম ভাই নানারকম বিনয় করবেন আমি জানি। কিন্তু ওনার মত লিখতে পারলে আমি সারাজীবন কেবল লিখেই যেতাম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিনয়ই করতে চাইছিলাম, কিন্তু অনার্যের জন্য পারলাম না।
অনেক ধন্যবাদ সত্যপীর। আমি তোমার স্মৃতিচারণমূলক লেখাও মুগ্ধ হয়ে পড়ি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপ্নেরা দু'জনেই বেশি বেশি ভালো লেখেন! নট ফেয়ার!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্যর লেখাও সুন্দর-- বিজ্ঞানের বিষয়গুলো ব্লগের মতো করে কয়জন লিখতে পারে?
খাঁটি কথা।
..................................................................
#Banshibir.
"ফাডায়ে ফালাইসেন বস।"
আপনার লেখায় অসাধারণ একটা মায়া আছে যা খুব সহজেই মন ভাল করে দিতে পারে। "নট ফেয়ার"
ইমা
ধন্যবাদ ইমা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর, সুন্দর।
হিল্লোল
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এভাবে লেখেন তাসনীম ভাই, বুকের একদম গভীরে গিয়ে ছুঁয়ে যায় প্রতিটা অক্ষর। ভাল থাকবেন। আপনার পুতুল দুটোকে অনেক আদর জানাবেন।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনিও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সুমাদ্রী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাহ্- অতি মাত্রায় ভাল- "নট ফেয়ার"...
ধন্যবাদ কড়িকাঠুরে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নট ফেয়ার
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"ফাডায়ে ফালাইসেন"
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ বস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেদিন একটা লেখা পড়লাম, ক্যাডেট কলেজ ব্লগে। দেশে ফেরা নিয়ে। সেখানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরা একজনের কথা বলা হচ্ছিলো। মোটামুটি সহায় সম্বল সব হারিয়ে তিনি দেশে ফিরছেন খুব কষ্ট নিয়ে। কিন্তু প্লেন ঢাকার আকাশে ঢুকতেই সেই সহায়সম্বল হারানো ব্যক্তিটির সঙ্গে অন্য অনেকেই দাঁড়িয়ে পড়লেন। প্লেন তখনো ল্যান্ড করার অনেক বাকি। কিন্তু এই মানুষগুলো দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন একটু পরেই দেশের মাটি স্পর্শ করবেন, স্বজনদের দেখবেন- সেই উত্তেজনায়। লেখকের মতে, সেই সবকিছু হারানো লোকটির মুখেও তখন এক টুকরো হাসি ফুটে উঠেছিলো সব কষ্ট ছাপিয়ে।
বাংলাদেশ ছাড়া এমন আর কোন দেশ আছে যে দেশ তার সন্তানদের এমন গভীর এক আকর্ষণে নিয়তই কাছে টানে...!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসলেই তাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী যে অদ্ভূতরকমের ভাল লেখেন আপনি, একবার যদি জানতেন---
শৈশবকে নিয়ে মায়াচ্ছন্নতা, ফেলে আসা শহরটির জন্যে স্মৃতিমেদুরতা কী যে অনাবিলতায় বাঙ্ময় হয়ে ওঠে আপনার লেখাতে .......
অনার্যের আপনার সাথে দেখা করার প্ল্যান যেমন আছে, আমারও তেমন একটা প্ল্যান আছে---
আপনার সাথে দেখা না করার---!
আপনাকে আমি আমার কল্পনার প্রিয় লেখকদের সাথে রেখে দিতে চাই
তাদের সাথে আপনার তফাত রইবে এইটুকু---আপনি আমার করা মন্তব্যের উত্তর দিতে পারেন--হে হে হে --
অনেক আগে আমার অভ্যেস ছিল, লেখা পছন্দ হলেই দুই হাতে আকাশের তারা বিলোতাম---
আজ লেখাটা পড়ে সেই পুরোনো অভ্যেসটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল
এই লেখাটার জন্যে আপনাকে এক আকাশ ভরা সূর্য-তারা উপহার দিলাম---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
সব তারা হাত পেতে নিলাম। অনেক ধন্যবাদ অনিকেত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই ভর সন্ধ্যা বেলায় লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেলো
অলমিতি বিস্তারেণ
মন খারাপ করা বিকেল মানেই মেঘ করেছে। আশাকরি মার্কিন দেশ ভালো লাগছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যে সময়টাতে আপনি ঢাকায় বড় হয়ে উঠবার কথা লিখেছেন তার সাথে খুব সহজেই relate করতে পারি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী জীবনের monotonousness বোঝানোর জন্য আপনার ctrl+C, ctrl+V এই উপমাটা অসাধারন হয়েছে। চমতকার লেখা। খুব ভাল লেগেছে।
করোটীতে আকাশ
ধন্যবাদ ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপাতত এটুকু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সক্কালবেলায় আপনার লেখা পড়ে এখন মন কেমন করছে, নট ফেয়ার তাসনীম ভাইয়া।
ধনবাদ বন্দনা। মন ভালো হয়ে যাবে আশা রাখি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ভালো লেগেছে। এখন পড়ার সময় লেখকের চেহারাটিও দেখতে পাই। নুইইয়র্ক এ আসবেন আশাকরছি।
এটা কি লেখকের জন্য ভালো না খারাপ সেটা নিশ্চিত নই
ধন্যবাদ, নিউইয়র্কে আসার ইচ্ছে আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার ভাল ভাল লেখাগুলাও মন খারাপ করে দেয়। এরকম লেখায় মন্তব্য করলে নেকি হাসিল হবে মনে হয়। নেকির ব্যবস্থা করেন আরও।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি। জীবনের চাপে নেকি আদায় কম হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বেশি প্রশংসা করলে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের গো-হারা হারার মতো লেখাও হারিয়ে যায় সেই ভয়ে প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকলাম।
প্রশংসা লাগবে না ভাই, মানুষ পড়ছে, নিজের শৈশবের কথা ভাবছে, এতেই খুশি আমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"চ" অক্ষরের গালি,....................ফাডায়ে ফালাইসেন বস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি এত কম লেখেন কেন?
এমন করে যারা লেখতে পারেন,
প্রত্যেকদিন তারা অন্তত একটা লেখা শেয়ার করা উচিত্।
'নট ফেয়ার..!'
অনেক দিন পর,
সকাল সকাল এত্ত চমত্কার কোন ব্লগ পড়লাম।
ভাল থাকুন। অনেক ভাল, সবসময়।
খুব কম কিন্তু লিখি না
ধন্যবাদা আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা খুব ভাল্লাগছে। আপনার সব লেখাই ভালো লাগে, এইটা বেশি লাগছে।
সকাল নিয়ে আমার পড়া সেরা কবিতার একটি এটি।
চমৎকার লাগলো কবিতাটা। অনেক ধন্যবাদ। এইখানে শেয়ার করছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত কবিতা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খালি দেন পাবলিকের মনডা উদাস কইরা। আপনি মন খারাপের ব্যপারী।
তোমার লেখা পাচ্ছি কবে? আমাদের তো পরপর লেখা দেওয়ার কথা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কন্ট্রোল+সি (তাসনীম ভাই এর দিনলিপি)
কন্ট্রোল+ভি + বাসায় ফিরে থিসিসের কাম করা= আমার দিনলিপি
ইন্টারমিডিয়েটের পরের কথা মনে করায়ে দিয়ে নস্টালজিক করে দিলেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জাহিদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বলতে চাচ্ছিলাম---'ফাডায়ে ফালাইসেন বস'।
আগেই সবাই বলে দিয়েছে অনেকবার--- 'নট ফেয়ার'।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা।।
ফাডায়ে ফালাইসেন বস।
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা।।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে মনে হলো "আজি শরৎতপনে প্রভাতস্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়", এখন মনে হচ্ছে আপনার এই লেখাটিই চেয়েছিলাম সকালে। ঢাকা শহরে আমার প্রতিদিনও এখন এমন হয়ে রয়েছে, কন্ট্রোল সি আর কন্ট্রোল ভি। তিন বছর আগে যখন এসেছিলাম চাকরী নিয়ে এই শহরে, এমন ধূসর দিনগুলির কথা কল্পনাতেও আনিনি। কিন্তু আমি এক ধূসরতার আবীরে সারাদিনমান ডুবে রই।
রবিঠাকুর না থাকলে যে কী হত! এখনো যে মাঝে মাঝে বেচেঁ থাকবার অনুভূতি পাই শুধু তার জন্যই।
চাকরি-বাকরি আর সংসার শুরু করলেই কন্ট্রোল-সি আর ভি শুরু হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কী যে আচ্ছন্ন করা একটা লেখা লিখলেন, ভাইয়া...
ধন্যবাদ ইশতিয়াক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাল লেগেছে খুব। লেখাটা শেয়ার করলাম। আপত্তি থাকলে জানাবেন প্লীজ। https://www.facebook.com/notes/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA/%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%9B-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87/485213071498666
নো প্রব্লেম। ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইভাবে শেয়ার করাটা একদমই ভালো লাগলো না। লিংক শেয়ার করাটাই উত্তম।
তারপরও যদি রেখেই দিতে চান তবে একেবারে নোটের শুরুতে মূল লেখকের নাম দিন; তারপর মূল লেখার লিংক দিন অর্থাৎ সচলের লিংক দিন।
আসলেই সহজ সরল পুরোনো দিনগুলো হারিয়ে যাচ্ছে...
রাইট।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এখন ঢাকা বা বাংলাদেশের জীবনেও দিনগুলো একটা আরেকটার কার্বনকপি বস্! সমস্যাটা বয়সের, নাকি সময়ের, নাকি অন্য কোন কিছু জানি না। মাঝে মাঝে এই একঘেঁয়েমি এমন অসহ্য লাগে যে কী বলবো! মাথায় চুল থাকলে সেগুলো টেনে ছিঁড়তাম।
বদের হাড্ডি দাঁড়িওয়ালা বুড়াটারে সাতশ' বছরের ফাঁসি আর চৌদ্দশ' বছরের জেল দেয়া উচিত। এই ব্যাটা আর কাউকে বাংলা ভাষায় মনের কথা বা আবেগ প্রকাশের কোন সুযোগ রাখেনি। নট ফেয়ার ....
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সমস্যাটা মনে হয় বয়সের।
আমারও একই সমস্যা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা পড়লে একইসাথে ভালো লাগা আর খারাপ লাগায় মন ভরে ওঠে।
দুই-তিনদিন আগেই ভাবছিলাম রবীন্দ্রনাথ না থাকলে জীবন কেমন হত? অনেক অস্থির সময়ে ওখানেই আশ্রয় খুঁজে নিই।
ধন্যবাদ নীলম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার সবগুলো লেখাই কেমন যেন মায়াভরা। লেখাগুলো চুম্বকের মতো টানে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। শিশুপালন কি আর আসবে?
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ শান্ত। শিশুপালন চলবে হয়ত টুকটাক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
ফাডায়ে ফালাইসেন বস।
আপনার লেখাগুলো বই আকারে পাই না কেন কোন বইমেলায়। নট ফেয়ার
নির্ঝরা শ্রাবণ
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক আগের কোনো একদিনের বৃষ্টির ঘ্রাণ
গানটার জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রাখলাম। পরে এসে পড়ে যাব।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বি মাই গেস্ট
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার তো ভিসা-পাসপোর্ট কিছুই নেই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মারাত্মক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এভাবে কেউ লেখে? আপনি তো মেরে ফেলবেন বস!
নট ফেয়ার! নট ফেয়ার অ্যাট অল
ধন্যবাদ একলব্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপ্নার লেখা পড়লেই মন টা খারাপ হয়ে যায়। এত ভাল লেখেন কি ভাবে?
নট ফেয়ার।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। শুধু পড়ার পর একটা ছায়াময় নীরবতা কাজ করে, ভেতরে।
ধন্যবাদ তানিম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার বাল্যকালের লীলাভূমি তেজগাঁ সাতরাস্তার মোড়ের কাছেই সিএনজি নামক সবুজ খাঁচায় আটকা থাকা অবস্থায় মুবাইলে পড়তেছিলাম, আর ইংরেজিতে একখানা কমেন্টও ঠুকেছিলাম, কিন্তু ইংরেজি দেখে মনে হয় মডারেশন পার হয় নাই। যাউকগা না হয়ে ভালই হইছে
যাই হোক, ওইখানে যা বলছিলাম সেইটাই আবার বলি- তাসনীম ভাই লোকটা খুব খারাপ
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
সিএনজি গুলো কেন গ্রিল দিয়ে ঘেরা থাকে? এইটা ছিনতাইকারীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য?
ধন্যবাদ ওডিন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ্যাঁ , দুইপাশ থেকে ছিনতাইকারী যেন উঠতে না পারে ! প্রথম যখন গ্রীল লাগানো হলো দেখে মনে হতো জন্তুবোঝাই খাঁচা, গ্রীলে ধরে বাইরে তাকিয়ে থাকা যাত্রীদের দেখে মনে হতো ঝাকায় রাখা মুরগী !
কিন্তু ছিনতাইকারী যদি পাইলটের দুইদিক থেকে এসে তার সিটে উঠে বসে, তাইলে?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাইলটের সিটটাও গ্রীল দিয়ে ঘেরা থাকে।
লেখাটায় একটা অদ্ভুত কোমল ঘোরলাগা ভাব আছে। সেই ভাবটা কেন জানি আমাকে টাইমমেশিনের মত আমার কৈশোরের ঢাকায় নিয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
আর...ফাডায়ালাইসেন বস
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ খেকশিয়াল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার সোনার কী-বোর্ড অক্ষয় হোক! কী অদ্ভূত মায়াময় লেখা,এমন লেখার জন্মান্তরের পাঠক হয়ে থাকাও ভাল।
ধন্যবাদ যুমার। সোনার কিবোর্ডে একটা কি নড়বড় করছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ণোঠ ফেয়াড়!
দেশে আসো জলদি ভাইয়া।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দেখা হবে শিগগিরি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চোখ ভিজে এলো!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, লেখার জন্যে স্যালুট সাথে অসংখ্য তারকা।
আসলে আপনার লেখা বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ইমেজকে একেবারে সামনে নিয়ে আসে। পড়তে পড়তে কখন যে ওই সময়ে হারিয়ে যাই তা টের পাই হঠাৎ করে যখন লেখা শেষ হয়ে যায় । অনেক ভালো লাগে আপনার লেখা। ভালো থাকুন সবসময়।
ধন্যবাদ অমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঢাকা কলেজে আমাদের ক্লাসের সেন্জুছেফের পোলাপানগুলির কিছু বিষয় কমন ছিল, ডিটেলে আরেক্দিন্ক্মুনে। ওরা মার্কার খুব ভালু পাইতো। পাঠ্য় বইতে তো দাগাইতোই, একজনরে দেখতাম ক্লাসে নিজের লেখা নোটেও দুই তিন কালারে হাইলাইট করতাছে।
আপনার এই লেখাটার কিছু জায়গা সেইরকম মার্কার মাইরা হাইলাইট করার বেশ বুলন্দ সেন্জুছেফি ওয়াসওয়াসা অনুভব করলাম। যেমনঃ
১) জীবনটা ছিল প্রায় ধারাবাহিক স্পাই থ্রিলার মতো উত্তেজনাকর
২) বৈচিত্র্যহীনতাও অনেক সুবিধা নিয়ে আসে।
৩) চার্চ আর স্টেটের মধ্যে যেমন পার্থক্য থাকা উচিত তেমনি অফিস আর বাসার মধ্যেও পার্থক্য থাকা বাঞ্ছনীয়।
৪) লাঞ্চের সাথে ফেসবুকের সম্পর্ক খুব মধুর।
৫) মনে হয় আমার বন্ধুরা যেন কেউ পালটে যায় নি, হারিয়ে যায় নি, আমার শহরকে কেউ হত্যা করেনি, আমার শৈশবের স্মৃতিচিহ্নগুলো ফ্যাকাশে হয় নি…আমি তলিয়ে যাই ওদের ডাক শুনে।
ধন্যবাদ দুর্দান্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ডায়েরি এক সময়ে আমিও লিখতাম। যাহোক, আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ে গেল, সেই কবেকার সদামাটা ঢাকার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াবার কথা। ঢাকা শহর তখন এত্ত রঙচঙা ছিলোনা। সে ঢাকা ছিল আমার ঢাকা। সে ঢাকার উপর আমার অধিকার ছিল। এখন মনে হয় এ ঢাকা, আমার সে ঢাকা নয়। এ ঢাকা বিউটি পার্লার থেকে মেক-আপ করা মেকি শহর। পরিচিত লোকগুলোকেও কখনো-সখনো কেমন যেন অচেনা অচেনা লাগে। বোধহয় জেনারেসন গ্যাপ।
লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ বুঁদ হয়ে থাকলাম। ভাল থাকুন। আর অনেক অনেক লিখুন।
আপনিও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বস কে? আপনি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখায় মায়াময়তার কথা আর নতুন করে না বলি।
"আমাদের অফিসে প্রায় সবাই মোটা লোক। এখানে চিকন মানুষকে অতিদ্রুত মোটাতাজা করন প্রক্রিয়ার আওতায় নেওয়া হয়।" - পড়ে হাস্তে হাস্তে শেষ। আমাদের এক বন্ধুকে ওই অফিসে পাঠাতে পারলে ভালো হতো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মার্কিন দেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মোটা লোক দেখা যায়। আর আমাদের অফিসে মোটার পরিমান ন্যাশানাল অ্যাভারেজের অনেক উপরে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"ঘুমের ঘোরে আমি যেন বর্ষণের শব্দ পাই। অনেক দূরের, অনেক আগের কোনো একদিনের বৃষ্টির ঘ্রাণ সেন্ট্রাল এসির গুনগুনকে পরাভূত করে দেয়। রাতের রেলগাড়ির আওয়াজ নিয়ে আসে বালকবেলা। মনে হয় আমার বন্ধুরা যেন কেউ পালটে যায় নি, হারিয়ে যায় নি, আমার শহরকে কেউ হত্যা করেনি, আমার শৈশবের স্মৃতিচিহ্নগুলো ফ্যাকাশে হয় নি…আমি তলিয়ে যাই ওদের ডাক শুনে।"
গাঁয়ে কাঁটা দেয়ার মত লেখা! সেলুট!
ধন্যবাদ ইঁদুর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ। খুব ভাল লাগল পড়ে। কি সুন্দর উত্তেজনাকর আনন্দময় এক শৈশব আর কৈশোরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হয়েছি আমরা ভাবতেই নিজেকে খুব লাকি লাগে।
আমারও। অনেক ধন্যবাদ ক্লোন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত মায়াভরা লেখা মানুষ লিখে কি করে। নট ফেয়ার।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত সুন্দর লেখেন; নট ফেয়ার..................
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ মৃত্যুময় ঈষৎ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সকাল বেলাতেই মনটাকে উদাস করে দিলেন...
নট ফেয়ার...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইরকম লেখায় কী মন্তব্য করবো বুঝি না
এই তো পেয়ে গেলা:)
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভুত!
(গুড়)
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন খারাপ ছিলো, সচলে ঢুকলাম, আরও মন খারাপ হয়ে গেল। দীর্ঘশ্বাস।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আশাকরি অচিরেই মন ভালো হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভাল লাগলো, ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ বিলাস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই লেখা পড়তে এসে মহা যন্ত্রণা হলো দেখছি; কবিতার উদ্ধৃতি অনুসরণ করে কবিতাগুলো খুঁজে খুঁজে পড়তে হলো! অবশ্য সন্ধ্যাটা আলোকিতও হলো বটে। শুভেচ্ছা জানবেন!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ধন্যবাদ মণিকা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবচেয়ে ভালো লাগলো - নট ফেয়ার। এ যুগের ফার্মের মুরগীর মত খাঁচায় বন্দী হয়ে বড় হওয়া বাচ্চাদের (ঢাকা বাসী) কাছে অনেক সময় বাবা-মায়ের শৈশব এক ঝলক আলোর মত - অন্তত আমার ছেলেটাকে যখন আমার ছেলেবেলা শোনাই, তখন এমনই আভাস পাই।
-অয়ন
ধন্যবাদ অয়ন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি যদি বলি, আপনি দেশে আসলে অবশ্যই রাজশাহীতে এসেন, আপনাকে সেই রকমের কোকোনাট ট্রি আর বাতাবিলেবু, আম, কাঁঠালের গাছ ওয়ালা একটা বাসা দেখাবো... আপনি তো আসবেন না... কাজেই বললাম না।
রাজশাহী যাওয়ার ইচ্ছে অবশ্যই আছে। তবে দেশে যাই অল্প কয়েকদিনের জন্য খুব বেশি জায়গায় যাওয়ার সময় হয়ে উঠে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
রাহমান, যিনি আপনার, আমার ও আরো অনেকেরই প্রিয় কবি, তাঁর 'কবিতার সাথে গেরস্থালি' কাব্যগ্রন্থের নামকবিতায় রবীন্দ্র-বৃত্তের বিশালত্বের অসাধারণ প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এই বুড়োর আনন্দলোক, মঙ্গলালোক, সত্য-সুন্দরের বাইরেও যে অরিজিনাল সিনের একটা শিল্পময় জগত আছে, সেটা বোধকরি বোদলেয়ারের 'ক্লেদজ কুসুম' কিম্বা দয়েস্তভস্কির 'ভূতলবাসীর আত্মকথা' না পড়লে জানাই হতো না। সে সময় বাংলায় একজন ছিলেন বটে, নাম তার জগদীশ গুপ্ত
আপনার লেখার অমোঘ আকর্ষণ ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বলবার কিছু নেই। শুধু এটুকু বলি, আপনার লেখা পড়ে পড়ে শেষে না আবার আমৃত্যু পদ্মভোজী হয়ে যাই।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার মন্তব্য বুঝতে আমার গুগল সার্চ করতে হয় - নট ফেয়ার
ভালো থাকুন অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এমন একটা লেখা পড়ে ফেলে আসা অতীতের জন্য চোখের জল ফেলাই যায়। এমন একটা লেখা পড়লে মনে হয় বড় হয়ে গেছি। আমার সেই স্বপ্নের দিনগুলো কোথাও নেই।
অসাধারণ। লেখায় পাঁচ তারা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ধন্যবাদ মেঘা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি একা অপূর্ব মায়াময় দুটো মেয়ের সাথে গল্প করতে করতে ওদের ঘুম পাড়াবেন! নট ফেয়ার!!
আপনার প্রতিটা লেখাই কেন সুন্দর হবে! নট ফেয়ার!!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কাজটা মাঝে মাঝে কঠিন হয়ে যায়
ধন্যবাদ গৌতম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মায়াময় লেখা...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কাজের ফাঁকে ফাঁকে, হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির শহর ডাকে
চেনাজানা হাজার মুখের ভীড়, বলে ওরে বোকা
সব ফেলে তুই কিসের টানে হারিয়ে গেলি একা
আয় দেখে যা সবাই মিলে ফুর্তি করছি কেমন
আমি বলি, ব্যস্ত আমি, প্রয়োজনটাই এমন
ফিরব আমি তোদের মাঝে হলে কাজের শেষ
মুচকি হাসেন ওপরওয়ালা, তাই বুঝি? বেশ বেশ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা পড়তে পড়তে নানান কথা মাথায় আসছিল যেগুলা মন্তব্য লিখব ভেবেছিলাম। পড়া শেষে দেখি সব ভুলে গেছি।
মনে করার চেষ্টা করি...
যেমন ধরেন, বলতে চাচ্ছিলাম যে আমার জীবনের "সর্বহারা" phase আমি নিজেও খুব মিস করি। বড় হওয়া একটা মতিকণ্ঠীয় অভিশাপ!
আমার খুব শখ একটা রেডিও ঘড়ি কেনার। বিভিন্ন সিনেমায় যেমন দেখা যায়, একটু চওড়া, বড় ডিজিটে সময় দেখা যায়। দেশে খুঁজি অনেক, পাই না কোথাও।
Up in the Air সিনেমাটা দেখেছেন? আমার খুব পছন্দের।
রবি বুড়ার ভক্ত আমিও। শিল্পসাহিত্যের অঙ্গনে এমন কিছু নাই যা এই ভদ্রলোক করে যান নি। আমি তো এই লেখা পড়ার সময়ও উনার গানই শুনছিলাম!
শেষ অংশটা খুবই সুন্দর লাগল।
বাকি আর সব কথা ভুলে গেছি। ভালো থাকেন। নিয়মিত লিখেন। একটু দেরিতে পড়লেও, আপনার লেখা পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে, আগ্রহ পাই।
ধন্যবাদ।
আপ ইন দ্য এয়ার দেখি নি - এই মাত্র নেটফ্লিক্সের কিউতে যোগ করলাম।
চেষ্টা করি মাসে একটা লেখা দিতে। এর বেশি আর সময়ে কুলায় না।
তুমিও ভালো থেকো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পৃথিবীর স-অ-ব সরলতা, শুভ্রতা আপনার লেখায়, তাসনীম ভাইয়া।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম, আপনার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে । শুরু করলেন "কন্ট্রোল সি" আর "কন্ট্রোল ভি" দিয়ে আর শেষ করলেন রেলগাড়ির শব্দে ফিরে আসা শৈশব, প্রিয় মুখ, বন্ধু, শহর ...
মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ধন্যবাদ জোহরা।
আমার দিনগুলো ঠিক যেই রকম কাটে ঠিক সেই রকমই লিখতে চেয়েছি। সারাদিন কন্ট্রোল-সি আর ভি, রাতে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের গল্প বলতে বলতে স্মৃতিচারণ, এই তো আরকি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ফাডায়ালাইসেন বস
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন