।।১।।
শৈশব নিয়ে অনেক লিখেছি। আমার সব লেখাতেই সে উঁকি মারতে আসে, দেখে মনে হয় সব ব্যাপারেই তার কিছু অভিমত আছে; এমনই নাছোড়বান্দা সে। আজকে অনেকদিন পরে কলম (নাকি অভ্র?) ধরলাম – আর ধরা মাত্রই সেই ব্যাটা এসে হাজির। মেহদীকে জিজ্ঞেস করতে হবে, অভ্রের সাইড এফেক্ট হিসাবে এটার কথা উল্লেখ আছে নাকি কোথাও।
আমাদের স্কুলের ক্লাস ওয়ানের জানালাগুলো দিয়ে বাইরে তাকালে অনেকখানি আকাশ, অনেকখানি মাঠ আর অনেকখানি বারান্দা দেখা যায়। সেই বারান্দাতে মাঝে মাঝে একজন তরুণীকে দেখি। আমার খুব চেনা তিনি। তাঁর সন্তান আমার সাথেই পড়ে। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কয়েক বছর আগে, আমরা প্রায় ভাঙাচোরা এক দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। সেই যুদ্ধে তিনি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন। শ্বশুড়বাড়ি মেয়েটাকে রেখে দিয়েছে। ছেলেটাকে যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখেন তিনি। স্কুলের বারান্দাতে তিনি অথবা পরিবারের কেউ না কেউ থাকবেই।
অপূর্ব সুন্দরী ছিলেন তিনি। সকালের আলোতে তাঁর মুখের বিষণ্ণতার ছায়া যেন এখনো দেখতে পাই, বাতাসে উড়ছে তাঁর চুল, ভঙ্গীতে আত্মবিশ্বাস…এখন মনে হয় আমি যেন তাঁকে নয় আমার বিষণ্ণ কিন্তু দারুণ প্রত্যয়ী দেশটাকে দেখেছি বিস্ময় নিয়ে।
প্রেমেন্দ্র মিত্র কি সেই দৃশ্য দেখেছিলেন?
কার চুল এলোমেলো।
কি বা তাতে এলো গেলো !
কার চোখে কত জল
কে বা তা মাপে ?
।।২।।
আমার বাংলাদেশ তখন চড়ে বসেছে এক উদ্ভট উটের পিঠে। দেশে নতুন শাসক এসেছেন। অনেক দিন পরে যেন সুশাসন পাওয়া গেছে। শাসকের চোখে কালো রোদচশমা, কেমন যেন রহস্যঘেরা মানুষ তিনি। রাজনীতিকে “ডিফিকাল্ট” করে দেবেন ভাবছেন।
রাজনীতি জটিল করতেই হয়ত জেল থেকে দাগী সব যুদ্ধাপরাধীদের বের করে এনেছেন। বড়সড় একজন রাজাকারকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ দিয়েছেন। তাঁকে ক্ষমতায় এনেছে যারা, তাদেরকে টাইটের উপরে রেখেছেন। ওদের পালের গোদাটা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবেন – ব্যাটার খালি বিপ্লব করার স্বপ্ন। ওদেরকে টাইট না দিয়ে উপায় নেই, ওদের গায়ে “সমাজতন্ত্র”, “সমাজতন্ত্র” গন্ধ। বিশ্বের প্রতিপালকরা তখন এই গন্ধ একদমই ভালোবাসে না। ওদের তখন ইসলামী সেন্ট পছন্দ। রোদচশমাধারী নেতা মনে হয় সেন্ট মাখতেই ভালোবাসেন না, দুনিয়াতে যেই গন্ধের মার্কেট ভালো সেই জিনিস আমদানী করলে রাষ্ট্রের মঙ্গল। আজকের পৃথিবীর সেই বাস্তবতা সেই সময়ে থাকলে হয়ত উনি ইসলামী গন্ধ দূরে সরিয়ে রাখতেন।
আমরা নাদান বালক, রাতে মাঝে মাঝে বিছানা ভিজিয়ে দেই। এইসব আমাদের বোঝার কথা না। রাজকার প্রধানমন্ত্রী হওয়াতে কেউ কেউ একটু মৃদু আপত্তি করেছিলেন। পরে ভেবেছেন ইট’স ওকে। ওই দিকে গোলাম আজম হয়ত পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমাদের সহনশীলতা অসাধারণ, ইহুদীদের মতো অত খারাপ আমরা নই যে ধরে ধরে নাৎসিদের বিচার করব, হত্যা করব। কারো কারো একটু কেমন কেমন লাগলেও সব্বাই মেনে নিয়েছে ব্যাপারগুলো। আমরা তো শিখেছিই ক্ষমাই মহত্ত্বের লক্ষণ।
হৃদয়ে কি জং ধরে যায় কিনা সেই প্রশ্নটা আমাদের হয়ত কখনই জানা ছিল না। প্রেমেন্দ্র মিত্র এইসব হাবিজাবি ভাবতেন।
হাওয়া বয় সন সন
তারারা কাঁপে।
হৃদয়ে কি জং ধরে
পুরানো খাপে।
।।৩।।
একদিন স্কুল আগে আগে ছুটি হয়ে গেল, জানা গেল খান-এ-সবুর নামে একজন মারা গেছে। লোকটা নিশ্চয় দারুণ কেউ ছিল, পুরো দিন স্কুল বন্ধ তার মৃত্যুতে? দুষ্ট কিছু লোক বলল ব্যাটা নাকি রাজাকার ছিল। লোকটা কবর হল সংসদ ভবনের ধার ঘেঁষে, রাষ্ট্র তাকে ভালো সম্মান দিল। তাহলে রাজাকার কেন গালি? শব্দটা কেমন একটু দুর্গন্ধ দুর্গন্ধ ছড়ায়। পত্রিকাগুলোতে “পাকিস্তান” আর “রাজাকার” বদলে “হানাদার” আর তাদের “দোসর” শব্দ দুটো ব্যবহৃত হতে লাগলো। আজে-বাজে শব্দ বাচ্চাদের শিখে লাভ নেই। কিন্তু পাকিস্তানটা বাদ দিতে হবে কেন? উদ্ভট উট আমাদের হয়ত ওই দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। যেই দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি আমরা খামোখা সেই দেশকে দুষে লাভ আছে? ওরা মানুষ মেরেছে…আরে ওরা না মারলে কি লোকগুলো মরতো না…কেউ কি অমর নাকি?
ভালোই চলছিল আমাদের দিনকাল। আমরা মাঝে মাঝে স্কুলের মাঠে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গল্প করতাম। কারও বাবা, কারও চাচা, কারও মামা সদর্পে যুদ্ধ করেছিল ৭১ সালে, মাঝে মাঝে শিউরে উঠতাম বীরত্বের গল্প শুনে। আমাদের চারিদিকের বাস্তবতাতে সেই বীরত্ব দেখানোর মতো কেউ নেই। মাত্র কয়েক বছর আগের ঘটনা অথচ কতই না দূর মনে হয়।
এরই মধ্যে স্কুল আবারও ছুটি হয়ে গেল। রোদচশমা পড়া সেই নেতাকে কিছু বিপথগামী সেনা মেরে ফেলেছে। পুরো দেশে শোকের ছায়া নেমে এলো। উনি রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন, মুক্তিযুদ্ধের বয়েস তখন ১০, আমার ১১। এরই মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে যেই লোকগুলো শুধু বিরোধীতা নয়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডগুলো চালিয়েছিল, তারা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। রাজনীতি নিশ্চিতভাবে জটিল হয়ে গেছে। এমনই জটিল যে রোদচশমার নিজের দলকেও ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হলো।
দেখা গেল আমাদের নতুন জেনারেল সাহব বেশ ফিটফাট মানুষ। উনি কবিতা লিখেন। বউ আছে, বান্ধবী আছে, সন্তান নেই, রোদচশমা নেই। জেনারেল সাহেবের ইচ্ছায় সন্তানের জন্ম হলো। জেনারেল বলে কথা। ধর্মের গন্ধ উনিও ছাড়বেন না, এই গন্ধের গুন যে অনেক। সংবিধান কাটা-ছেঁড়া আগেই হয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্রেরও ধর্ম থাকা উচিত সেই জ্ঞানও আমাদের হলো।
দেশের প্রায় সব্বাই অপছন্দ করে জেনারেল সাহেবকে। কিন্তু উনি যখন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজকবি, টিভি উপস্থাপকসহ সকল পেশার মানুষদের কিনতে চাইলেন, তখন আমরা দেখলাম সব নীতিকথার পেছনেই হয়ত একটা প্রাইস ট্যাগ থাকে। ভালো পয়সা ঢাললে সবই কেনা যায়। আমরা তখন সবে বেশ্যা শব্দের মানে বুঝতে শিখছি…আমার সমবয়েসি বাংলাদেশও বেশ্যাদের মানে বুঝতে শুরু করেছে।
ছাত্রদেরকে অবশ্য কেনা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। ওরা কয়েকদিন পরপরই কিছু না কিছু একটা ছুতো নিয়ে রাস্তাতে নেমে পড়ে। কখনও লাঠির বাড়ি, কখন গুলি, কখনও ট্রাক উঠিয়ে দিয়ে কোনমতে ওদেরকে সাইজ করে রাখা হলো।
ওইদিকে একাত্তর নিয়ে মাথা ঘামানো সময় মানুষের নেই। রাজকারেরা মিশে গেছে মূলধারার রাজনীতিতে। বিবর্তনের ইতিহাসে তেলাপোকার পাশাপাশি ওদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখা উচিত। দুই বিরোধী নেত্রীর একজন জেনারেলের অধীনে নির্বাচনে গেলেন, সাথে নিয়ে গেলেন তেলাপোকাদের। এক টিকিটে দুই ছবির মতো, এক নির্বাচনে স্বৈরাচার আর রাজাকারকে তিনি স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন একই সাথে। ঝড়ঝাপটা কাটিয়ে ডায়নোসরের আমল থেকে টিকে থাকা সহজ কোনো কাজ নয়, এইজন্য দরকার বড় গাছের ছায়া।
আমাদের বন্ধুবান্ধব, বান্ধবী সবার মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা। ইমরান খান প্রায় প্রতিদিন আমাদের দেশের প্রচুর মেয়েদের চিঠি পান। ইমরান খানের চাচা জেনারেল নিয়াজী জোর করে যেই দেশের মেয়েদের ক্যাম্পে উঠিয়ে নিয়ে যেতেন, সেই দেশের মেয়েদের ভালোবাসা তার কাছে নিশ্চয় খুবই উপভোগ্য। মুক্তিযুদ্ধ অনেক অনেক দূরের ঘটনা হয়ে গেল। একাত্তরের রঙ কেন এতো লাল ছিল সেটা জেনে কি প্রয়োজন?
দিনগুলি কুড়োতে
কত কি তো হারালো।
ব্যথা কই সে ফলা-র
বিঁধেছে যা ধারালো!
হাওয়া বয় সন সন
তারারা কাঁপে।
জেনে কি বা প্রয়োজন
অনেক দূরে বন
রাঙা হ’ল কুসুমে, না,
বহ্নিতাপে?
হৃদয়ে মরচে-ধরা
পুরানো খাপে।
নাহ, প্রেমেন্দ্র মিত্র লোকটা শুধু ঘনাদা নিয়েই মেতে ছিলেন না। খুব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় একটা প্রশ্নের ফয়সলা এই ভদ্রলোক করে দিয়ে গেছেন। হৃদয়ে জং ধরে যাওয়া খুবই সম্ভব।
।।৪।।
ব্যাপারগুলো ফয়সালা হয়ে যাওয়াতে ব্যাপারটা মন্দ হয় নি। আমি বড় হয়ে গিয়ে আর বাংলাদেশকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখি না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ-টাশ করে এক বর্ষার দুপুরবেলা সেই দেশকে ছেড়ে চলেও এসেছি। একটু মন খারাপ লেগেছিল, মাঝে মাঝে আকাশ মেঘ করলে এখনও বাড়ির পাশের সেই পুকুরে পড়া বৃষ্টির ফোঁটার কথা মনে হয়। দেশ বললে আমি মানচিত্রের বদলে সেই পুকুরের ছবিটাই দেখি। তবে ইট’স ওকে…আমি দেশ-ফেশ এইগুলো ছাড়া বাঁচতে পারি।
বাংলাদেশের সমবয়েসী আমি, পৌঁছে গিয়েছি মধ্যবয়েসে, হাঁটুতে মাঝে মাঝে একটু ব্যথা করে। বাংলাদেশের কোথায় ব্যথা এই নিয়ে আর ভাবি না। তাছাড়া আমি বড় হয়েছি নিরবতার সময়ে। আমাদের বুক ফাটলেও মুখ ফোটে না।
জিয়া ১৯৭৮ সালে রাজকারকে প্রধানমন্ত্রী বানায়ে দিলেন কেউ কিছু বলেনি।
আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ সালে জামাতের সাথে একসাথে এরশাদের নির্বাচন করছে, তেমন উচ্চবাচ্য হয় নি।
১৯৯২ তে গণআদালতে রাজাকারের বিচারের প্রতিজ্ঞা করে আওয়ামী লীগ তিন বছর পরে একসাথে জামাতিদের সাথে আন্দোলন করেছে, কেউ তেমন মাইন্ড করে নি।
২০০১ বিএনপি একসাথে জোট বেঁধে ক্ষমতা গিয়ে জামাতিদের মন্ত্রী করেছে - সব্বাই একটু অভিমান নিয়ে ভেবেছে আচ্ছা ঠিক আছে।
অথচ এই দলটার লুন্ঠন, গণহত্যা, ধর্ষণ, জবাই সব কিছু করার রেকর্ড আছে পাইকারি রেটে। রাজনৈতিক বেশ্যার মতো এরওর সাথে জোট বেঁধে নিজেদের তেলেপোকা থেকে প্রায় ডায়নোসর বানিয়ে ফেলেছে ওরা। জামাত প্রতিপালনে রাজনৈতিক দলগুলো যেন বেশ্যার দালাল। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা সেই নষ্টামি দেখছি এবং চুপ থাকছি।
কিন্তু এই ফেব্রুয়ারিতে অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার ঘটল। সাড়ে তিনশ খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত কাদের মোল্লাকে দেওয়া হলো ২৫ বছরের জেল। খুব অবাক হইনি। যেই দেশে পুলিশ মানুষ মেরে ফেললে শাস্তি হয় বান্দরবানে বদলি সেই দেশে এই রকমই হওয়া উচিত।
কিন্তু দেখা গেল এই প্রজন্ম সেই রায় মানতে নারাজ। তারা ফেটে পড়ল ক্ষোভে, সেই ক্ষোভ আর দেশের জন্য ভালোবাসার অভূতপূর্ব মিশ্রন আমরা দেখলাম রাজপথে, ওরা দখল করে নিল শাহবাগ। প্রতিটি যুদ্ধপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ওরা নিশ্চিত করতে চায়।
ওরা কারা, ওদের বয়েস কতো? কোত্থেকে আসে এতো সাহস?
ফেসবুকে আমার সমবয়েসী অনেকের প্রোফাইল থেকে যখন দুর্গন্ধ আসে ঠিক তখনই এই ছেলেমেয়েগুলো বাংলাদেশ নিয়ে আমাকে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে বাধ্য করে। ওরা আর এই নষ্টামি দেখতে চায় না। ওদেরকে দেখে দেখে আমারও মনে হয় এই নষ্টামি বন্ধ হওয়া উচিত। আর অভিমান নিয়ে মিনমিন করে নয় এইবার জোর গলাতে সুবিচার চাইছি আমরা।
আমি হঠাৎ জেনে গেছি একটা দেশের হৃদয়ে জং ধরতে পারে না। একটি বা দুইটি প্রজন্মকে অন্ধকারে রাখা যায়, বোকা বানানো যায় হয়ত, কিন্তু প্রজন্মের পর পর প্রজন্ম সেই ধাঁধা চলে না। কেউ এসে একদিন না একদিন মিথ্যেগুলো সরিয়ে ফেলবেই। সেই দিন মনে হয় এসে গেছে।
জং-হীন হৃদয়ের সেই প্রজন্মের জন্য আমার স্যালুট। বিজয় তোমাদের হবেই।
####
মন্তব্য
অনেক হতাশ হয়ে পরছিলাম ধীরে ধীরে। আমার আম্মু নিয়মিত শাহবাগ যান,আরবিস্মিত হয়ে বলেন এই ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গুলো কিভাবে সঠিক ইতিহাসটা শিখে ধারণ করলো!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
হতাশা কাটিয়ে ওঠার দিন মনে হয় চলে এসেছে। ধন্যবাদ রিক্তা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শীতনিদ্রা ভাঙ্গলো তাহলে ?
যা বলতে চাই, ঠিক তাই বলেছেন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নিতাইগঞ্জ থেকে ফিরে বড় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিরে ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম, ব্যস্ততা ভাল । কিন্তু লেখালেখির কাজটাও তো একটু আধটু সচল রাখতে হবে ! নইলে আমরা এমন চমৎকার লেখা কোথায় পাই ?
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
চ' তে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অ তে অপেক্ষায় থাকি আপনার লেখার।
ধ তে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প তে প্রথম, মানে সবার আগেই আমি পড়েছি।
আর প তে প্রশংসা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অনেকদিন পর লিখলেন। দারুণ এক সময়ে দেশে আছি। কাল অনেকক্ষণ ছিলাম শাহাবাগ এলাকায়। আজকেও যাবো। গিয়ে একা একা ঘুরি। অপরিচিত লোকের মাঝে, ভিড়ের মাঝে মিশে যেতে দারুণ লাগে।
মনে হচ্ছে কেন ফেব্রুয়ারিতে গেলাম না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গুরু দেশে আছেন কয়দিন? আপনার একটা অটোগ্রাফ (ওহ! এখন তো আবার ফটোগ্রাফের যুগ!) পেতে পারি?
-- ইতি আপনার লেখার গুণমুগ্ধ পাঠক
শাহবাগের এই ছেলেগুলি একবারে স্টেনলেস স্টীল।
..................................................................
#Banshibir.
পুরাই
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জানি ইচ্ছা করে ওভারলুক করেননি, কিন্তু এ কয়দিনে তাদের অত্যন্ত সরব উপস্থিতির কারণেই বাক্যে তাদের অনুপস্থিতি খানিকটা গায়ে লাগলো। শাহবাগে কিন্তু বেশ কিছু মেয়েও রয়েছেন।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ছেলে মানে কি আর শুধুই ছেলে? দেশটা কি সৌদিয়ারব?
আপনাদের সকলেই দেশের গর্ব।
..................................................................
#Banshibir.
খুব সুন্দর লেখা।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনে লাগে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি
* * * * * * * * *
দুই জেনারেলের আমলে একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। জেনারেলদের নিজেদের দল না থাকায় তারা যে দলগুলো বানিয়ে নিয়েছিল সেখানে দলে দলে রাজাকার-আল বদর-আল শামস্ ঢুকে পড়েছিল। আরো বেশি ঢুকেছিল শান্তি কমিটির লোকজন। আজকে লোকজন তাদেরকে বিএনপি বা জাতীয় পার্টির লোক বলে জানে। তাদেরও ভাবটা এমন যেন তারা জন্ম থেকেই বুঝি বিএনপি বা জাতীয় পার্টি করে আসছে। নব্বইয়ে সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের পতন হলে দলে দলে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ আর বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। এতে বরাহদের পূর্ব পরিচয় আরো বেশি ব্লার হয়ে গেছে।
* * * * * * * * *
কালো চশমা জেনারেলের এতো পাকিপ্রীতি, বরাহপ্রীতির কারণটা খুব জানতে ইচ্ছে করে। এই প্রশ্নের উত্তরটা বাংলাদেশের ইতিহাসে যেসব ঘটনা এখনো বোধের অগম্য রয়ে গেছে তার অনেকগুলোই পরিষ্কার করে দেবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসাধারণ!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্যে
এই প্রশ্নটা আমাকেও খুব ভাবায়।
এই লোকগুলোর তালিকা কেউ প্রকাশ করেছে? এই কাজটাও হওয়া জরুরী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভুৎ সুন্দর একটা লেখা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাই খুব সুন্দর করে লিখছেন। অনেক ধন্যবাদ।
আপনার অধিকাংশ লেখায় একটা সিন্গ্ধতা ঝড়ানো থাকে।
আমি ও শাহবাগ যাই, একা একা ঘুরি। মাঝে মাঝে স্লোগান ধরি। তবে, গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিছিলাম, শুক্রবার, শাহবাগে লোক খুব কম ছিল সেদিন দুপুরে। বইমেলাতে যাবো বলে বের হইছিলাম। পথে জামাতি তান্ডব শুনে, শাহবাগ গিয়ে শুরু করলাম চিৎকার। দেখতে দেখতে ৫০ জন থেকে লোকসংখ্যা ৫০০ হয়ে গেলো। রাতে যখন বাসায় ফিরি, ততক্ষনে হাজার হাজার লোক। চোখে না দেখলে বোঝানো যাবেনা। বিক্ষুব্দ লোকজন রিকশা থেকে নামার আগেই স্লোগান ধরতেছিল।
স্যরি জড়ানো বানানটার জন্য...
ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা পড়লেই কেন যেন চোখে ঝাপসা দেখি।
আপনারা যারা সেই সময়টা দেখে এসেছেন এবং এখন চলমান জাগরণ দেখছেন, এটা নিশ্চয়ই দারুণ একটা অনুভূতি। মাসখানেক আগেও এই দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখা অসম্ভব মনে হতো। শাহবাগ সেটাকে ভুল প্রমাণ করেছে। নিজেকে সম্পূর্ণ নতুন মানুষ মনে হয় এখন। চারপাশের মানুষগুলোকে নতুন লাগে। এই দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখা খুবই সম্ভব। আমরা যে পরিবর্তনগুলো দেখতে চাই, সেগুলো অর্জন স্রেফ সময়ের ব্যাপার এখন। শেষ কথা, সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে হবে। হবেই সেটা।
বয়েসের দোষ?
বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা যায়। শাহবাগ আমাকে দারুণ উজ্জীবিত করেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভুৎ অদ্ভুৎ সুন্দর। অনেকের মতো দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আবারও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন....
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো লেখাটা ভাইয়া
ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার হয়েছে তাসনীম ভাই।
আপনার লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকি। আপনার লেখাগুলোর সাথে সাথে নিজের শৈশবে একটু ঘুরে আসার সুযোগ হয়। সানগ্লাসের জেনারেলের আমল ভালো করে স্মৃতিতে নেই। ৮১ সালে ৫ বছরের ছিলাম। কিন্তু ভন্ড লম্পটটার আমল ভালো করেই মনে আছে। দু:খের বিষয় হল মানুষ রাজাকারদের মত এই ভন্ডটার অপরাধও প্রায় ভুলতে বসেছে। মুখে গনতন্রের ফেনা তোলা, এই দুই জেনারেলেরই পা-চাটা মিচকা শয়তান ব্যারিস্টারটা গতকাল বিবৃতি দিয়েছে সামরিক শাসন নাকি ভালো নয়। সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করার দরকার ছিল ভবিষ্যতে অন্য কোন জেনারেল আমাদের উপর নাজেল হলে কতদিনের মাথায় এই মিচকাটা তার সাথে যোগ দিবে।
বাংলাদেশে সাংবাদিকরা কেউ উচিত প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করে না, সেটা কি মেধার অভাব নাকি সাহসের অভাব কে জানে।
ধন্যবাদ শমসের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ভালো লাগলো এই দারুণ ব্যালেন্সড লেখাটা ভাইয়া
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ অনিন্দ্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিজয় আমাদের হবেই! এই প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার, তাদের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করার ক্ষমতা কারো নেই। এখনো অনেক পথ বাকি। আমাদের সংগ্রাম চলবেই। জয় বাংলা!
এমন দিনে মনে পড়ে তাদেরকে যারা বলেছিলো শাহবাগ আন্দোলন আরেকটা বুয়েট আন্দোলনের মত হতে যাচ্ছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বিজয় আমাদের হবেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কোথায় যেন শুনেছিলাম- ''১০০ জন খাটি মানুষ দিয়ে একটা দেশের চেহারা পাল্টে ফেলা যায়। '' এখানে এই এত গুলো স্বপ্নবাজ তরুনের মাঝে অন্তত ১০০ খাটি মানুষ আমরা ঠিক ই পাবো, কোনো সন্দেহ নেই
আমিও এখন নিঃসন্দিহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সময়োপযোগী অসাধারন একটি লেখা।
আমি ১২/১২/১২ ইং তারিখে একটি লেখায় লিখেছিলাম,
এত তাড়াতাড়ি যে আমার আকাঙ্খা পুরন হবে, আমায় জীবদ্দশায় যে এটা দেখে যেতে পারবো, ওহ্, আমি দারুণ উল্লসিত।
'জয় বাংলা'। পরিশেষে বলি,
অনেক ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেলু রাজাকারের ফাঁসির রায় হয়েছে। জং কাটা শুরু হয়েছে ভাই। খুব তাড়াতাড়ি কালচে লাল ক্ষতগুলো থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছি আমরা
এখন ইস্পাত হৃদয় আমরা, ১০০% জং মুক্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
Thank you for reading my mind!
অসাধারণ তাসনীম ভাই।
লীগের চরিত্র নিয়ে দুইলাইন লেখার জন্যেও ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
ওদের চরিত্র নিয়ে রচনা লেখা সম্ভব
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া আপনাকে সালাম। চিন্তার কোনো কারন নাই। টাইট হয়া বসেন। বিজয় আমরা আনবোই। একটু দেরি হলেও হতে পারে, রাস্তাঘাটের অবস্থা তো ভালো না। বুঝেনই তো!!
সেই অপেক্ষাতেই আছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ তাসনীম ভাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা পড়ার পর থেকে এখন পর্যুন্ত যাকেই পেয়েছি এটা পড়তে দিয়েছি... অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা এর বেশি কিছু বলার ভাষা নেই... মুগ্ধতা!
ধন্যবাদ রংতুলি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আপনার লেখাটা পড়েই মন ভাল হয়ে গেল।
তারুণ্যে কখনো জং ধরে না, হয়ত কিছু নাম তারুণ্যের খাতা থেকে বাদ পড়ে জং ধরা শুরু হয়(৭১ দেখিনি, কিন্তু ৯০ এর সেই দেশ কাঁপানো ছাত্রনেতাদের অধঃপতন নিজ চোখে দেখা)। কিন্তু তাই বলে শাহবাগ তো ফাঁকা নেই। শাহবাগ কখনো ফাঁকা হয় না।
ধন্যবাদ তানজিম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার মনের ভেতরে একটা সুইডিশ নোবেল কমিটি আছে। যেকোনো লেখা পড়লেই তারা আপনা থেকেই যাচাই করতে শুরু করে সেই লেখাটা। উহু, কোনো সাহিত্যের পেলব বিচার না, ভাষাতত্ত্বের কঠিন বাটখারায় মাপজোকও না। তারা মাপে হৃদয় দিয়ে, স্বপ্ন-আশা-ভালোবাসার দাগহীন মাপকাঠিতে যে লেখাটা সবচে বেশি দাগ কাটে মনে, সেই লেখাটাকেই নোবেল দিয়ে দেয় তারা।
জীবনের এই শ্রেষ্ঠতম লেখাগুলো পড়া আসলেই একটা অভিজ্ঞতা।
মার্চের ১ তারিখ, শুক্রবার বন্ধের দিন। সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসেছি নেটবুকে, জানলায় উঁকিঝুঁকি মারছে নরম রোদ, সারা ঘরে ঘাই মারছে নির্জনতা। এরকম সময়ে আপনার লেখাটা পড়তে মনের সেই নোবেল পুরস্কারটা দিয়েই ফেললাম আপনাকে!
বাঙালি, বাংলাদেশের ইতিহাস আসলে গণমানুষের ইতিহাস। কোটি কোটি মুষ্টিবদ্ধ হাত কোনো এক আশ্চর্য বিস্ফোরণে কী করে যেন আচমকাই একসাথে জ্বলে ওঠে... সে এক রহস্য!
বাঙালি হৃদয়ের গহীনে লুকিয়ে থাকা এই আগুনে রহস্যের সন্ধান আমাদের দুয়েকটি নেতা বাদে কেউ কোনোদিন পান নি, সহসা পাবেনও কিনা সন্দেহ!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সর্বনাশ, আমার উচ্চতা ৪ ইঞ্চি বেড়ে ছয় ফুটে গিয়ে ঠেকল ছোটবেলা থেকেই ছয়ফুট হওয়ার শখ ছিল, এইবার সেটা মিটে গেল
নেতা হওয়া সহজ নয়, কৌশল দিয়ে নয় হৃদয় দিয়ে নেতৃত্ব নিতে হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
আমি নৈরাশ্যবাদী মানুষ, খুব সহজে আশান্বিত হই না। আমার কাছে মনে হচ্ছে রাজাকারদের বিচার, শাহবাগ চত্ত্বর এইসব ঘটনা জামাতকে আরো শক্তিশালী করে দিল। আগে জামাত নিজে এককভাবে কখনো হরতাল এর ডাক দেওয়ার সাহস করে নি, এবার তারা সেটা করেছে। বিএনপি এবং মাঝে মাঝে আওয়ামীলীগের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভূতের মতো চড়ে বসা পরাশ্রয়ী জামাত যেন খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে এলো।
আরেকটা ব্যাপার কি খেয়াল করেছেন, জামাতের এত নেতা কর্মী কোত্থেকে আসল? জামাত বাংলাদেশের স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করে না অথচ এই স্বাধীন দেশের কত তরুন জামাতের সমর্থক!! এই তরুনরাও তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, কি আশ্চর্য!!
আমরা জামাতকে যা ভাবি, কার্যত ওরা তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী। কিন্তু অ্যাট দ্য সেইম টাইম এটাও প্রমাণ হয়ে গেছে বাংলাদেশে জামাতের প্রতি ঘৃণা আগের চেয়ে অনেক বেশি এবং ওদের প্রতিহত করাও সম্ভব।
তুমি আমার কাছাকাছি বয়েসি, এই জং এর গল্প তুমিও জানো, এই জং ধরা দশকগুলোতে জামাত যে শক্তিশালী হবে সেটা অবিশ্বাস্য কিছু নয়। কিন্তু এর ভেতর দিয়ে এই রকম একটা প্রজন্মের বেরিয়ে আসাটা কি আশা জোগায় না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন ছুঁয়ে গেল! অসাধারণ!
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ দিগন্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনাকে স্যালুট এই অনবদ্য জীবনালেখ্যর জন্য। এ সাধারণ লেখা নয়, আমার জনম দুখিনী মায়ের করুণ রক্তলেখা। কি নির্মমভাবে এদেশের শাসকগোষ্ঠী মানুষের স্বপ্নকে দলিত-মথিত করেছে! আমরা যখন দেখেছি তখন এই বিষবৃক্ষের ডাল-পালা ছড়িয়ে গেছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি গ্রামে। বিষের প্রতিষেধক কি জেনেও ভয়াবহতার কথা ভেবে প্রগতিশীলরাও ভয় পাচ্ছেন প্রতিষেধক দিতে। বিঁষে জর্জরিত বাংলাদেশ। আমাদের বিজয় তখনই হবে যখন আমরা একাত্তর পরবর্তী ভুলগুলোর ঊর্ধ্বে উঠতে পারব।
প্রেমেন মিত্তিরের কবিতাগুলো মোক্ষম বেছেছেন!
ধন্যবাদ নির্ঝর।
পুরো লেখাতে প্রেমেন মিত্তিরের একটাই কবিতা ব্যবহার হয়েছে, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সেই কবিতার নামও "জং", প্রেমেন মিত্তির এমন চোথাবাজ সেটা দেখে বিস্মিত হয়েছি খুব
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ একটা লেখা
সকাল থেকেই মনটা খুব বিষণ্ণ ছিল দেশের বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি জানার পর । আপনার লেখাটা আবারো সেই আশার আলোটাকে জাগিয়ে তুলল । এই রকম লেখার এই মুহূর্তে বড্ড বেশি প্রয়োজন ।
ভাল থাকবেন আপনি ।
ধন্যবাদ আপনিও ভালো থাকবেন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেকে আছেন যাঁদের লেখা মন ছুঁয়ে যায়, কারোর লেখা আরো ধাপ উপরে ঊঠে একেবারে নিজের মনে হতে থাকে। কথাগুলো এত আপন করে দেন আপনি, সেলাম আপনাকে, সেলাম!
আপনার লেখনীর সাথে পরিচয় আছে, সত্যি ভাল লাগে ভাবতে।
সচল থাকুক আপনার কী-বোর্ড, একের একের লেখা আসুক আমাদের জন্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেক ধন্যবাদ মর্ম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অদ্ভুত সুন্দর একটি লিখা!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই লেখাটা পড়ে একটা অদ্ভুত ভালোলাগার শিহরণ হলো। মনে হলো দেশকে যারা স্বাধীন করেছিলেন নিজেদের প্রাণ দিয়ে, সেই মুক্তিযোদ্ধারা নতুন করে জন্ম নিয়েছেন আবার, এই তরুণ-তরুণীরা তাঁরাই। পবিত্র আগুনকে কখনো দমানো যায় না, কতদিন ছাইচাপা দিয়ে রাখবে একে?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সেই শিহরণ থেকেই এই লেখা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এতো ভালো কিভাবে লেখেন? আমি বসে বসে পড়ি আর চোখটা ঝাপসা হয়ে যায়।
ধন্যবাদ রূপক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এক দমে পড়ে ফেললাম।
এতদিন অনাচার সইতে সইতে যখন চোখ জ্বালা করত, তখন কেবল চোখ ঘষেই জ্বালা মেটোতে হত। এখন আর চোখ জ্বালা করে না, জ্বলে ওঠে।
রাইট।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক অনেক ভাল লাগলো।।।।অনেক হতাশার মাঝেও মনে হয় হয়ত কোথাও এখনও আলো আছে।
আলো অবশ্যই আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ, তাসনীম ভাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"...একটা দেশের হৃদয়ে জং ধরতে পারেনা "
ধন্যবাদ মিঠুন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
facebook
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন