প্রবাসী হওয়ার অনেক হ্যাপা। সবচেয়ে বড় ঝামেলা হচ্ছে হাতে কোন সময় থাকে না। সর্বদাই ব্যস্ত থাকতে হয়। এইদেশে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বসে দুদন্ড গল্প করার জো নেই – সব সময়েই তাড়াহুড়া। মার্কিন দেশ এক বিশাল বাজার বিশেষ, এইখানে আমরা সব সময়েই অদৃশ্য বাজারের থলি হাতে ঘোরাঘুরি করি।
দোকানে গিয়ে উননব্বই ডলার নিরানব্বই সেন্টের জিনিসের দাম ২৫% ডিসকাউন্টের পরে কতো হবে, সেটা বের করতে হয়, দোকান থেকে বেরিয়ে আরেকটি দোকানে ঢুকে পালং শাক কিনতে হয়, বাই ওয়ান গেট টু ফ্রি ডিল আছে কিনা সেটাও খুঁজে দেখতে হয়। এরপরে পাশের দোকানে গিয়ে গাড়ির অয়েল চেঞ্জ করতে হয়, দশ ডলারের ডিসাকাউন্ট হয়ত আগামীকাল থাকবে না। তারপর আরেকটা দোকানে গিয়ে রাতের দাওয়াতের জন্য গিফট কিনতে হয়।
ক্লাস সেভেনে শেখা পাটিগণিতের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে করতে আমাদের দিন শেষ। ফুরিয়ার ট্র্যান্সফরমেশন কোত্থাও লাগে না।
প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই মিছিলে আছেন। তাঁরা বড় গাড়ি কিনছেন, আরও বড় বাড়ি কিনছেন, একটা বাড়ি থাকলে দ্বিতীয়টা কিনছেন, এই হাটবাজারের সুফল এবং কুফল দুটোই ধারণ করছেন। দাওয়াতে গিয়ে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করছেন, যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাইছেন – অবশ্যই আন্তর্জাতিক ও স্বচ্ছ মানের। বাসায় ফিরে গিয়ে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ছেন – পরদিন সকাল সাড়ে ছয়টায় আরেকটা বাজারময় দিন শুরু করতে হবে।
আমিও হয়ত এর ব্যতিক্রম নই। তবু মাঝে মাঝে রাতের বেলা সেই পাগলাটে দাড়িওয়ালা লোকটা একটু ঝামেলা বাঁধিয়ে বসে। দেশকে নির্বাসনে পাঠিয়ে বাস্তবতা নিয়ে একটু আরাম করে যে বাঁচবো তার উপায় নেই। দীর্ঘশ্বাসের মতো ভেসে আসে সেই লোকটার পংক্তিগুলো...
কথা ছিলো, ভাষার কসম খেয়ে আমরা দাঁড়াবো ঘিরে
আমাদের মাতৃভূমি, জল, অরন্য, জমিন, আমাদের
পাহাড় ও সমুদ্রের আদিগন্ত উপকূল-
আজন্ম এ-জলাভূমি খুঁজে পাবে প্রকৃত সীমানা তার।
।।২।।
আসলেই আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার কথা ছিল। সাধের ধর্ম নিরপেক্ষতা, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ, সুবিচার, গরম ভাতের গন্ধ,– এইসব হাবিজাবি কতো কিছু ছিল তালিকাতে। স্বপ্ন দেখার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে এক সময় না এক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হয়। ঘোরতর বাস্তবতা হলো আমরা ৭১ এর যুদ্ধের অপরাধীদের বিচার করতে পারিনি, ধর্ম নিরপেক্ষতা দিতে পারি নি, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ পাই নি, এমনকি ভালো একটা ইতিহাসও পাইনি...
কথা ছিলো, আর্য বা মোঘল নয়, এ-জমিন অনার্যের হবে।
অথচ এখনো আদিবাসী পিতাদের শৃঙ্খলিত জীবনের
ধারাবাহিকতা
কৃষকের রন্ধ্রে রক্তে বুনে যায় বন্দিত্বের বীজ।
মাতৃভূমি-খন্ডিত দেহের পরে তার থাবা বসিয়েছে
আর্য বণিকের হাত।
আর কী অবাক! ইতিহাসে দেখি সব
লুটেরা দস্যুর জয়গানে ঠাসা,
প্রশস্তি, বহিরাগত তস্করের নামে নানারঙা পতাকা ওড়ায়।
দুটো বড় রাজনৈতিক দল আর সেনাবাহিনী মিলে গত ৪২ বছর যেই “সুশাসন” আমাদেরকে দিয়েছেন তাতে কি আশান্বিত হওয়ার মতো আসলেই কিছু আছে?
একদল ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করেছে, আরেকটি দল মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করেছে। কিন্তু চুরি, লুটতরাজ, নদী দখল, চাঁদাবাজী, হল দখল ইত্যাদি বিষয়গুলোতে তারা তাদের কর্মে অভাবনীয় ঐক্য দেখিয়েছে। এর পাশাপাশি ৭১ এর পরাজিত ধর্ম ব্যবসায়ী শক্তির বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে।
এমনই এক দুঃসময়ে শাহবাগের আন্দোলন আমাকে আশার আলো দেখায়। সেটা নিয়ে আমার এই লেখাতে অনেক কিছুই লিখেছি।
আমার প্রজন্মের প্রবাসী অনেক শিক্ষিত বাংলাদেশিই এই আন্দোলনকে সন্দেহের চোখে দেখেন। আমাকে এটা বিচলিত করে না। আমার প্রজন্মের মানুষেরা বড় হয়েছেন এক জং ধরা সময়ে। ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি তারা অনেকেই দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মতো মানুষের কাছ থেকে ধর্ম শিক্ষা নিয়েছেন। সুতরাং পিএইডি ডিগ্রিধারী বুদ্ধি বিকলাঙ্গ মানুষের সংখ্যা যে আমার প্রজন্মে অনেক থাকবে সেটা কোন বিস্ময়ের ব্যাপার নয়।
আমার ছয় বছরের মেয়ে একদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে রোজা পার্কের কথা বলল। রোজা পার্ক যিনি সাদা মানুষকে তার সিট ছেড়ে দিতে রাজি হননি, তিনি রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন অন্যায় আইনের বিরুদ্ধে, সে আইন যারা তৈরি করেছিল তাদের কথা কেউ মনে রাখেনি অথচ আইন যিনি ভেঙেছেন তার কথা স্মরণ করা হয় শ্রদ্ধা ভরে।
মার্কিন দেশের সিভিল রাইট মুভমেন্টের পরে মাত্র চার দশক বছর পার হয়েছে। এরই মধ্যে গায়ের চামড়ার রঙের ব্যাপারে এই দেশের মানুষের মধ্যে বিশাল পরিবর্তন এসেছে। হঠাৎ করে মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন কিভাবে এলো? অনেক স্টেটের মানুষ বেশ অগ্রসর চিন্তা করতেন ঠিকই কিন্তু অনেক রক্ষণশীল রাজ্যে ভয়াবহ পরিমান রেসিজম বিরাজ করত ষাটের দশক পর্যন্ত। সেই রাজ্যগুলোতেও আজ যথেষ্ট সহনীয় অবস্থা। মেয়ের রোজা পার্ক নিয়ে নানান প্রশ্নের মধ্যে সেই উত্তর পেলাম। স্কুলগুলো বাচ্চারা ছোট থাকতেই মাথার মধ্যে বর্ণবাদের বিরুদ্ধবাদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। শৈশবের শিক্ষা প্রায় চিরস্থায়ী। নইলে শুধু আইন করে বর্ণবাদের মতো মানুষের মজ্জাগত ইতরামি বন্ধ করা সম্ভব হতো না।
ঠিক একই নিয়মে আশির দশকে যারা বড় হয়েছেন, তারাও অন্য এক ধরণের রাষ্ট্রীয় “মগজ ধোলাইয়ের” শিকার হয়েছেন। সুতরাং এরা যখন স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের বিচারের দাবী করেন, মৌলবাদীদের প্রতি দুর্বল থাকেন, হিন্দুদের উপর হামলায় নীরব থাকেন, স্বাধীনতা দিবসে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালালে ভুরু কুঁচকান কিন্তু বাস পোড়ালে তাতে দোষ দেখেন না – আমি অবাক হই না। যেই বিষাক্ত শিক্ষা নিয়ে আমরা বড় হয়ে উঠেছি – তার ফলাফল এর থেকে বেশি ভালো হবে না। আমি দেখেছি যে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে এই মগজ ধোলাইয়ের পরিমান অনেক বেশি।
এর বিপরীতেও মানুষ আছেন – যারা সেই টালমাটাল সময়ে বড় হয়েও ঠিক ইতিহাস ধারণ করতে পেরেছেন। এই ২০১৩ তে এসে টের পাচ্ছি যে আশির দশকের কালো ছায়া অনেকখানি দূর করতে পেরেছি আমরা। এই ধারা চলতে থাকলে হয়ত ২০ বছর পরে আমরা সেটার সুফল পাবো। শাহবাগ আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে সেই সত্যটা দর্শন করিয়ে দিল।
তবে বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন তাদের জন্য সবচেয়ে দুঃসংবাদ হচ্ছে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোথাও তাদের যাওয়ার উপায় নেই। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে হলে আর কোন বিকল্প নেই।
আমি বিশ্বাস করি যে এই বিচার আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে করেনি। এরচেয়ে অনেক শক্তিশালী প্রসেকিউশন টিম তৈরি করা যেত এবং সরকারের সেই সামর্থ্য ছিল এবং এখনো আছে।
।।৩।।
কিছুদিন আগে হিউস্টন থেকে একজন ছাত্র জানালেন যে তারা একই দিনে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে শাহবাগের সাথে সংহতি জানাতে চান। আমাদের অস্টিন শহর চাইলে যোগ দিতে পারে। আমার এই শহরে শাহবাগের সমর্থনে মানুষ ঠিক হারিকেন দিয়ে না খুঁজতে হলেও এদের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এর পাশাপাশি বাজারময় এই দেশে মানুষের জীবনের চাপও কম নয়।
কিন্তু দেখা গেল আমাদের শহরে একজন, দুইজন করে অনেকেই দাঁড়িয়ে গেল শাহবাগের পাশে – ঠিক যেমনটি ভাবে শাহবাগ দাঁড়িয়ে ছিল। আমার কাছে এটাই শাহবাগের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মনে হয়, সাধারণ মানুষের শক্তিটা শাহবাগ আরেকবার দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের।
খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে ঠিক হলো যে ২৪ শে মার্চ আমরাও অস্টিন শহরের স্টেট ক্যাপিটালের দক্ষিণদিকের সিঁড়ি – যেটা মূল প্রবেশপথের ঠিক পাশেই – সেখানে আমরা সংহতি প্রকাশ করব বিশ্বের বাকি শহরগুলোর মতো। টিমে সৃজনশীল মানুষ থাকাতে আমি মোটামুটি ফাঁকিবাজি করে পার পেয়ে গেলাম।
দিনটা ছিল ঝকঝকে – কিন্তু হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা আর বাতাস। বাতাসকে উপেক্ষা করাটাও মনে হয় শাহবাগেরই শিক্ষা, তাই এরই মধ্যে বাচ্চা-কাচ্চা, বুড়ো বাবা-মাকে নিয়ে অনেকেই ঠিক সময়ে উপস্থিত হলেন।
আমাদের সাথে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে করা প্রচুর পোস্টার, অস্টিন ফর শাহবাগ লেখা মাথার পট্টি, বাংলাদেশ আর মার্কিন দেশের পতাকা, আর বিশুদ্ধ আবেগ।
বহুবছর পরে আবারও হেঁড়ে গলায় জাতীয় সঙ্গীত গাইলাম। সেই সাথে আমার অনেক আগের শাহবাগের কথা মনে পড়ল। শাহবাগের মোড় থেকে এলিফেন্ট রোডের দিকে একটু এগিয়ে গেলে একটা বিলবোর্ড দেখা যেত, সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল। তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে তখন নির্বাসনে দেওয়া হয়েছে – আর সেই বিলবোর্ডে ঘষে ঘষে তাঁর ছবি উঠানো হয়েছে। চেষ্টা করলে তাঁকে একটু একটু চেনা যায়...শ্লোগান, গান, কবিতা আবৃত্তি, যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের চিত্র, অনুষ্ঠান এগিয়ে চলছে প্ল্যানমাফিক...অস্টিন শহরের রোদময় দিনে আমি সেই পুরানো জং পড়া সময়ের কথা ভাবছি। সেই সময়ে আজকের এই দিনটার কথা আমরা কেউ কল্পনাও করি, জং-টাকেই ভবিতব্য ভেবেছিলাম।
সেই সব কথা মনে পড়ে যায় বারে বারে...বিলবোর্ডে প্রায় অদৃশ্য বঙ্গবন্ধু, তার স্মৃতিময় রেসকোর্স নেই, বইপত্র থেকে ইতিহাস উধাও, রাজকার আর পাকিস্তানের নাম যেন প্রায় ভাসুরের নামের মতো নিষিদ্ধ, শৈশবের শুনশান ভীরু শাহবাগ যেন অকুতোভয় হয় ফিরে এসেছে তিন দশকের পরে...শান্ত কিন্তু রুদ্র মূর্তি নিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে ঘষে ঘষে ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। মানুষের হৃদয় বিলবোর্ড নয়।
মনে পড়ে যায় আমার সহপাঠি আর বন্ধু শহীদ পরিবারের ছেলেগুলোর কথা, তাদের শৈশবের কষ্ট, চেনা-অচেনা হাজারো মানুষের কষ্টের গল্প, রুমীদের গল্প, রমা চৌধুরীদের গল্প...আমরা এতোদিন পরে মেরুদণ্ড উঁচু করে সেই সব অন্যায়ের বিচার চাইতে পেরেছি।
আমাদের অনেক কিছুর কথা ছিল সুবিনয়, পৃথিবীতে আর কোনো জাতি এতোটা প্রতারিত হয় নি...আমরা যতখানি প্রতরণা পেয়েছি। সেই দাড়িওয়ালা পাগলাটে লোকটার কথা বারবার মনে হয়, আর এই আশাহীন দিনগুলোতে শাহবাগের তরুণেরা হঠাৎ আলোটা জাগিয়ে রাখেন আর আবারও স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করেন...আবারও কেউ এসে কথা দিয়ে যায়।
কথা ছিলো রক্ত-প্লাবনের পর মুক্ত হবে শস্যক্ষেত,
রাখালেরা পুনর্বার বাশিঁতে আঙুল রেখে
রাখালিয়া বাজাবে বিশদ।
কথা ছিলো বৃক্ষের সমাজে কেউ কাঠের বিপনি খুলে বসবে না,
চিত্রর তরুন হরিণেরা সহসাই হয়ে উঠবে না
রপ্তানিযোগ্য চামড়ার প্যাকেট।
কথা ছিলো, চিল-ডাকা নদীর কিনারে একদিন ফিরে যাবো।
একদিন বট বিরিক্ষির ছায়ার নিচে জড়ো হবে
সহজিয়া বাউলেরা,
তাদের মায়াবী আঙুরের টোকা ঢেউ তুলবে একতারায়-
একদিন সুবিনয় এসে জড়িয়ে ধরে বলবেঃ উদ্ধার পেয়েছি।
[কথা ছিল সুবিনয়ঃ রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ]
[স্লাইড শোঃ অস্টিন শহরে শাহবাগের সমর্থনে র্যালি]
[সাথে অস্টিনবাসীর তৈরি শাহবাগের শ্রুতিমধুর গান ফ্রি – মুক্তবাজারের বিশেষ সুবিধা]
মন্তব্য
দারুণ লেখা।
খুব কম বয়স থেকেই বাসায় অভিভাবক এবং স্কুলে শিক্ষকদের কাছ থেকে সঠিক শিক্ষা না পেলে বাচ্চারা স্বাধীনতার মূল আদর্শ নিয়ে বেড়ে উঠতে পারবে না, (বড় হয়ে কতজন নিজের আগ্রহে শিখবে-জানবে-মানবে, তা অনিশ্চিত), এবং সেটা না হলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা বুকে লালন করি, সেটার বাস্তবায়নও ক্রমেই পেছাতে থাকবে।
ধন্যবাদ। ইতিহাস বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব সবারই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
---------------------
আমার ফ্লিকার
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ তাসনীম ভাই,
মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনা ছড়িয়ে যাক প্রজন্মান্তরে।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সামাজিক মিডিয়ার এই যুগে সেই জং ধরা সময়ের পুনরুত্থান হয়ত সম্ভব হবে না, অন্তত যতদিন ব্লগ-ফেসবুক সেন্সরশিপমুক্ত থাকছে। মুক্তিযুদ্ধের অনেক অনেক অনেক পরে জন্মেও আমি ব্লগের কল্যাণে ইতিহাসবোধ ও রাজনীতি-সচেতনতা ডেভেলপ করতে সমর্থ হয়েছি। আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্মের অনেকেই এভাবে পথ ফিরে পাবে।
Big Brother is watching you.
Goodreads shelf
কোন এক কারণে মন্তব্য করতে বেশ অসুবিধা হচ্ছে।
আপনার মতো আমিও আশাবাদী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রথমে লেখাটা পড়লাম, লেখার পরতে পরতে যেন একটা বিষণ্ণ অথচ দীপ্ত প্রত্যয় এর সোপান খুঁজে পেলাম। ছবিগুলি দেখলাম, মনে একটা আন্দোলন হল। শেষে গান শুনে নিস্তব্ধ হলাম..
অসাধারণ তাসনীম ভাই
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার লাগলো পুরো লেখাটি। ধন্যবাদ।
-মনি শামিম
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আপনার লেখায় আর আলাদাভাবে প্রশংসা করার কিছু নাই। বরাবরের মতই খুব আপন লেখা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছোটবেলার শিক্ষা চিরস্থায়ী হবার অর্থ হলো, মানুষ বড় হয়ে পুরনো বিশ্বাস যাচাই করে দেখার চেষ্টা করে না। উচ্চশিক্ষা শুধু চাকুরীতে উন্নতি করার কাজে লাগানো কি নিদারুণ একটা অপচয়!
বেশিরভাগ মানুষের জন্যই শিক্ষাটা অর্থোপার্জনের একটা টুল - সেটা কাজে লাগিয়ে কিছু অ্যানালাইসিস করাটা এইজন্য আর হয়ে উঠে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জয় হোক জাগ্রত জনতার, জয় হোক মানবতার, জয় হোক স্বাধীনতার স্বপ্নের ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
জয় হোক স্বাধীনতার স্বপ্নের।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারণ লেখা, কষ্টকর হলেও প্রত্যেকটা অবসার্ভেশনের সাথে সহমত হতে হলো। হিংসার বীজ যে কত ছোটবলা থেকে মনের ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া হয় আমাদের দেশে ভাবতে অবাক লাগে। কত সুদূরপ্রশারী শ্মত্রুপক্ষের নীলনক্ষা আর আমরা শুধু নিজেদের মধ্যে লড়েই গেলাম আর রাজনীতিকরা ব্যবসা করেই গেল!
এতবছরের হতশা-ব্যার্থতার কথা ভুলে এখন তাকিয়ে আছি শাহবাগের দিকে। জয় হোক সেই ছেলেমেয়েগুলির যারা নাওয়া-খাওয়া-আপনজন ফেলে দিনের পর দিন লড়ে যাচ্ছে। আশা করতে ভয় লাগে তবু মনে হয়, এরা পারবে।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পরে আবার এক প্রজন্মের মাঝে ফিরে এলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, "আমরা যে মুক্তি চেয়েছিলাম তা শুধুমাত্র রাজনৈতিক মুক্তি ছিলোনা বা একটি স্বাধীন ভূখন্ড ও পতাকার জন্যমাত্র ছিলোনা। সে মুক্তির উদ্দেশ্য ছিলো বাংলার (অবশ্যই পূর্ব বাংলা বা তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান) আপামর জনসাধারণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি, সব ধরনের শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তি, সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা। একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণহীন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা। এবং এটাকেই আমরা 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা' হিসাবে হৃদয়ে ধারণ করেছি।"
রুদ্রের কথা বড্ড মনে পড়ে গেল, অনেক সান্ধ্য আসর কেটেছে, রুদ্র ও িনারের সাথে।
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। আশাবাদী হতে বড্ড মন চায়।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বুঝতে পারি না, "অশিক্ষিত" এই প্রফেশনালরা সবাই কিভাবে মার্কিন দেশের শহরতলিতে একসাথে জমায়েত হলেন? একাত্তরেও কি একই দশা ছিলো?
লেখাটা কেন এদ্দিন চোখে পরে নাই ভাবছি। জীবনের চাপ এখানেও কম নয়।
একটা স্তব্ধতা ভর করে আছে লেখাটা শেষ করার পর থেকেই।
তবে সেটা থাকুক। এই স্তব্ধতা আমাদের মতন 'আর কিছু আশা করি না রে ভাই' টাইপের মানুষদের মনে 'আশা' না হউক, তার চাইতে অনেক আবছা, অনেক হাল্কা একটা 'কিছু' তৈরি করতে অন্তত পারে।
নতুন মন্তব্য করুন