।।১।।
স্কুলে ঢোকার মুখেই তপনের দেখা পায় সজল। স্কুলের গেটের কাছের ঝাঁকড়া বটগাছটার নিচে আমড়াওয়ালার দোকানের সামনে। আমড়াটাকে ফুলের মতো কেটে ওতে ঝাল লবণ মাখিয়ে দিয়েছে আমড়াওয়ালা।
সজলকে দেখেই তপন দ্রুত বড় একটা কামড় বসিয়ে দেয় আমড়াতে। গোটা দুয়েক আমড়ার পাপড়ি চালান হয়ে যায় পেটে। সজল কিছু বলার আগেই তপন বলে ওঠে...
“তোকে নিজামী স্যার গতকাল খুঁজেছিল ক্লাসে...”
পেটটা কেমন গুলিয়ে উঠে সজলের। শফিক নিজামী স্যার ভূগোল পড়ান। ছয় নম্বর পিরিয়ড। প্রতিদিন স্যারের লক্ষ্য থাকে গোটা পনেরজন ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার। স্যার এই কাজটা খুব পছন্দ করেন। বই থেকে মুখস্ত বলতে হয়। না পারলে প্রথমে দুই হাতের ফাঁকে পেন্সিল গুঁজে দিয়ে চাপ দেন, এরপর গোটা তিনেক স্কেল একসঙ্গে নিয়ে মারতে থাকেন। স্যার রসিকতা করে বলেন যে উনি নাকি শরীরের এমন জায়গাতে মারেন যে বাসায় গিয়ে সেটা আর কেউ দেখাতে পারবে না। পৃথিবীতে নিজামী নামে একটাও ভালো লোক কেন জন্মায় নি সেটা নিয়ে মাঝে মাঝে সজল চিন্তা করে।
"স্যার আজকে মঙ্গোলিয়ার খনিজ সম্পদ মুখস্থ করতে বলেছেন...তোকে গতকাল ক্লাসে পায় নাই, আজকে ধরবে...” আমড়ার ফুলগুলো শেষ হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। তপন এখন আমড়ার মধ্যের ভাগটাকে সাইজ করছে।
“তোরে ধরছে গতকাল?" সজল ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে।
“নাহ...আমাকে ধরে নাই...কালকে ইদ্রিস, শহীদ, জুয়েল এদের বানিয়েছে...হি হি হি, আমি বেঁচে গেছি...স্যার আসলে রোল নম্বর দেখে ধরে...২০ এর পরে যাদের রোল এরা তো পড়া কম পারে, তাই স্যার শুরু করে ২১ থেকে...গতকাল ৩৪ পর্যন্ত ধরা খেয়েছে...তোর রোল ৩৫...তুই ক্লাসে ছিলি না, স্যার তাই ৩৪ শে গিয়ে থেমেছে" আমড়ার অবশিষ্ট অংশটা ক্রিকেট প্লেয়ারদের মতো ছুঁড়ে ফেলে তপন।
আরেক দফা ভয়ের স্রোত বয়ে যায় সজলের মেরুদণ্ড দিয়ে। সজলের আর তপনের রোল পাশাপাশি, ৩৫ আর ৩৬। ক্লাসে ছাত্র আছে ৫০ জন। তপন গর্ব করে বলে আমরা হচ্ছি টেইল এন্ডার ব্যাটসম্যান, মাঝে সাঝে ঝলসে উঠতে পারি, শুধু পড়াশোনাটা করি না দেখে।
“তোরেও তো ধরবে স্যার আজকে...” সজল শুকনো গলায় বলে।
“হুম, আমি জানি। আমার মার খেয়ে অভ্যাস আছে। বাসায় তো অনেক মার খাই।" নির্বিকার গলায় জবাব দেয় তপন।
এই কথাটাও সত্য। তপনের বাবা আর মা কেউই নেই। থাকে ভাই আর ভাবির সাথে। ভাবি উঠতে বসতে প্রচুর বকাঝকা আর মার-ধোর করে। মার খেয়ে খেয়ে ওর অভ্যাস হয়ে গেছে। বাসার মারকে তপন বলে নেট প্র্যাকটিস, বাসাতে প্র্যাকটিস হয় দেখে স্কুলে নাকি মার খেতে ওর কোনো অসুবিধাই হয় না।
“শোন, বেকুবের মতো ক্লাসে বসে থাকিস না...” চাপাস্বরে তপন বলে। "আমি আজকে টিফিন টাইমেই ভাগছি...টিফিনের দুই পিরিয়ড পরে স্যারের ক্লাস...”
“টিফিন টাইমে মঙ্গোলিয়ার খনিজ সম্পদ মুখস্থ করা যায় না?” মরিয়া হয়ে সজল জিজ্ঞেস করে।
“নাহ...পুরা হোপলেস কেস...আমি কাল রাতে বই খুলেছিলাম...সাত পৃষ্ঠা...এইটুকুন দেশের এতো খনিজ সম্পদ থাকার দরকারটা কি? ইম্পসিবল...আমি ক্লাসে থাকছি না...তুইও চল...চল্লিশ-পঞ্চাশ জনের ক্লাসে দুইজন না থাকলে কিছু হবে না। আর আজকে দুই একটা ভালো ছেলেও মার খাবে...মারুফ আর সজীবও কিছু পড়ে নাই...খনিজ সম্পদ খুব কঠিন লেগেছে ওদের কাছেও...মারুফ খনিজ সম্পদ বাদ দিয়ে আয়াতুল কুরসি পড়ছে... হি হি হি...”
এরই মধ্যে ঢং ঢং ঢং শব্দ শোনা যায়। মালুম ভাই ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। টিফিনের আগে প্রথম চারটা পিরিয়ড। খুব বিপদের ক্লাস নেই। শুধু রুহুল আমিন স্যারেরটা বাদ দিলে। স্যার ইংরেজি গ্রামার পড়ান, পড়ার চেয়ে গল্প করতেই বেশি ভালোবাসেন। একটু ক্ষ্যাপাটে মানুষ – মাঝে মাঝে রেগে যান হঠাৎ করেই। রেগে গেলে সামনে যাকে পান তাকেই মারেন। মারধোরের ব্যাপারে এক্সপার্ট তপন বের করেছে যে স্যার মার সাধারণত প্রথম তিনটা বেঞ্চের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, কারণ স্যার ক্লাসে এরচেয়ে বেশি দূর পর্যন্ত হাঁটেন না। থার্ড বেঞ্চের বাইরে গিয়ে উনি শুধু একমাত্র অতনুকেই মারেন। স্কুলের মারধোরের ব্যাপারে তপন প্রায় পিএইচডি ডিগ্রি করে ফেলেছে।
রুহুল আমিন স্যারের ক্লাসে কোনো বিপদ হলো না ওদের। কিন্তু ফার্স্ট বেঞ্চে বসা মজনু মার খেলো। ক্লাসে ঢুকেই স্যার বলেছিলেন...
“আমাদের মনের ভেতর অনেকগুলো দরজা আছে...আমরা বই পড়ি সেই দরজাগুলোকে খুলে দেওয়ার জন্য...বই হচ্ছে সেই দরজাগুলোর চাবি...মজনু বই দে...আমরা যতোই সেই দরজাগুলো খুলি, ততই বাইরের হাওয়া সেই দরজা দিয়ে ঢুকে ...(রাগত স্বরে) বই দে মজনু...কিন্তু সব দরজা খোলাও বিপদজনক, অনেক খারাপ বাতাসও আছে, এই কারণে আমাদের পড়তে হবে ভালো ভালো বই...(আরও বেশি রাগত স্বরে) এই মজনু বই দে...আজকে আমি নবীজির জীবনী নিয়ে একটা বইয়ের নাম...স্যার প্রচন্ড রেগে গিয়ে আবারও বললেন...বই দে মজনু...”
স্যারের লেকচারের বই আর মজনুর কাছে চাওয়া বই এক নয়। স্যার মজনুর কাছ থেকে ইংরেজি গ্রামার বই চাইছিলেন, আর সবাইকে নবীজীর জীবনী বই পড়ার মাহাত্ম্য বর্ণনা করছিলেন। বেচরা মজনু সেটা বুঝে নি।
মজনুর পিঠের উপর নেমে আসা দমাদম কিলের আওয়াজে ক্লাসে সবার মুখে একটু ভয়ের রেখা দেখা যায়। রুহুল আমিন স্যার এক ক্লাসে একজনের বেশি কাউকে মারেন না...সুতরাং বাকি কারো বিপদ হলো না - কিন্তু ছয় নম্বর পিরিয়ডে কি হবে?
নিজামী স্যারের হাইয়েস্ট রেকর্ড হচ্ছে ২৯ জনকে মারা...এক অজানা আশংকা সবার মুখের রেখাতে। লুকিয়ে লুকিয়ে সেবার বই না পড়ে সব্বাই ভূগোল বইটা বের করে...মঙ্গোলিয়াতে এতো খনিজ সম্পদ কেন দিলেন ঈশ্বর?
।।২।।
আজকের টিফিন টাইমটা একটু অন্যরকমের। অন্যান্য দিন ক্লাসের ছেলেরা বাইরে গিয়ে হৈ-চৈ করে ফুটবল খেলে, আজকে প্রায় সব্বাই ক্লাসে বসে ভূগোল বই পড়ছে। ভালো ছাত্র, খারাপ ছাত্র নির্বিশেষে। মৃদু একটা গুঞ্জন ভেসে আসছে ক্লাস থেকে।
এরই মধ্যে তপন ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে সজলকে ডাক দেয়।
“চল আমার সাথে, স্কুলের পেছনের দেওয়াল টপকে বের হয়ে যাব, সামনে দিয়ে ব্যাগ নিয়ে বেরুনো যাবে না...শহীদুর রহমান স্যার মাঝে মাঝে ওই গেটে বসে থাকেন...”
“না-রে...ধরা পড়লে আব্বা জানবে আর আব্বা জানলে পিঠের চামড়া থাকবে না...” সজল ভয়ে ভয়ে বলে।
ঠোঁটে কামড় দিয়ে একটু চিন্তা করে তপন। “তুই এক কাজ কর, ছুটির একটা দরখাস্ত লিখে অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যারের রুমে যা...আমি ওইটাও করি মাঝে মাঝে...”
হঠাৎই হাতে চাঁদ পায় সজল। ছুটির একটা দরখাস্ত নিয়ে ছুটি মঞ্জুর করে চলে গেলে এই পালানোটা একদম বৈধ কাজই হবে। সমস্যা হচ্ছে ওর হাতের লেখা বেশি ভালো না, অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডস্যার সিদ্ধেশ্বর হালদার স্যার আবার হাতের লেখার দিকে খুব নজর দেন।
“তপন দোস্ত, তুই ভাগার আগে আমাকে একটা দরখাস্ত লিখে দে-না, প্লিজ, তোকে কালকে মামুর দোকানে চটপটি খাওয়াবো...আমার হাতের লেখা আবার খুব ইয়ে...হালদার স্যার একদম ইয়ে পছন্দ করেন না...লিখে দে আমার খুব মাথা ধরেছে ছুটি দরকার...” কাতর অনুনয় করে সজল।
তপন প্রায় চলেই গিয়েছিল। ব্যাগ খুলে খাতার সাদা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে দ্রুত খসখস করে দরখাস্তটা লিখে ভাঁজ করে দিল সে।
“একদম হাড্রেন্ড পার্সেন্ট সাক্সেস পাবি...আমি রমনা পার্কে থাকবো, রেঁস্তোরার পাশের জায়গাটাতে...তুই ছুটি নিয়ে চলে আয় ওইখানে...” দ্রুত অদৃশ্য হয়ে যায় তপন।
।।৩।।
সিদ্ধেশ্বর হালদার স্যারকে ভয় পায় না, এইরকম মানুষ খুব কমই আছে এই স্কুলে। ছাত্র এবং শিক্ষক দু'জনেই তাঁকে বিস্তর ভয় পায়। সারাবছর উনি সবুজ রঙের একটা প্যান্ট আর সাদা শার্ট পরে স্কুলে আসেন। ভারী চশমার পেছনে রাগী দুটো চোখ। গলার স্বর শুনলে মনে হয় মাইক বাজছে।
স্যার দুজন অভিভাবকের সাথে কথা বলছিলেন। টেবিলের পাশে শুকনো মুখ করে সজল দাঁড়িয়ে আছে। হাতে ভাঁজ না খোলা দরখাস্ত...
“এই ছেলে তুমি কি চাও?” হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন স্যার।
সজল একহাত কপালে দিয়ে অন্য হাতে দরখাস্তটা এগিয়ে দেয়। মুখটা একটু বিকৃত করে কষ্টের অভিনয় করে।
“স্যার, দুপুর থেকে মাথাটা খুব ধরেছে...একটু ছুটি পেলে বাসাতে গিয়ে রেস্ট...”
গম্ভীর মুখে স্যার দরখাস্তটা খুলেন। হালদার স্যারের কপালটা একটু কুচকে উঠে। আচমকা চেয়ার থেকে উঠে স্যার সজলের জুলফির পাশের চুলটা খামচে ধরেন। অপর হাতটা দিয়ে মাথার চুলগুলোকে জাপ্টে ধরেন। বিস্মিত অভিভাবক দুইজনের সামনে স্যার মিনিট খানেক সজলের রফাদফা করেন।
“এই স্টুপিড – মাথা ধরা কমেছে এখন?” হুংকার দিয়ে হালদার স্যারের জিজ্ঞাসা।
“জ্বি - স্যার...”
“নিয়ে যা তোর দরখাস্ত, কাকে দিয়ে কি লিখেয়েছিস...হতভাগা...লেজখসা বানর...”
খোলা দরখাস্তটা এইবার পড়ার ফুসরত হয় সজলের। ওতে লেখা আছে...
“বিনীত নিবেদন এই যে, আজ দ্বিতীয় পিরিয়ডের পর থেকে আমি পেটে প্রবল বেদনা অনুভব করছি। চতুর্থ পিরিয়ডে এসে সেই ব্যথা একদম অসহনীয় লাগছে। এই পেটের পীড়ার কারণে আপনার নিকট স্কুল ত্যাগের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি...”
।।৪।।
"তোকে বললাম মাথা ধরা আর তুই পেট খারাপ লেখলি কেন?” স্কুল থেকে সরাসরি তপনের বাসাতে হাজির হয় সজল। বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতায় তার মনটা বিষণ্ণ। আর শুধু যে মন বিষণ্ণ তাই না, এখনও সজলের জুলফি টনটন করছে, সেই সঙ্গের নিজামী স্যারের সৌজন্যে এমন জায়গা টনটন করছে যে সেটা আর ভদ্রসমাজে বলার মতো না।
"আরে উজবুক তুই দরখাস্তটা খুলে একবার পড়বি না?”
“পড়ার দরকার কি...তোকে তো বললাম যে মাথা ধরেছে বলে লিখে দিতে...”
“আরে মাথা ধরা বললে কি করবে জানিস তো...হালদার স্যার চুলের মুঠি ধরে কিছুক্ষণ ঝাঁকিয়ে বলবে যে, ম্যাসাজ করে দিলাম, এইবার ক্লাসে গিয়ে পড়াশুনা কর...”
সজল যে সেটা আবিষ্কার করে ফেলেছে তা আর খুলে বলল না।
একটু সহানূভূতি নিয়ে তপন বলে "আরে শোন...স্কুল থেকে ছুটি নিতে হলে সব সময়ে বলবি পেট খারাপ...কেন জানিস তো...পেট খারাপ থাকলে ইয়ে করে ক্লাস-টাস নষ্ট করে ফেলতে পারিস...ক্লাসরুম নষ্ট হলে স্যারদের হাজারটা ঝামেলা...এই কারণে ওটা হচ্ছে ছুটি একদম অব্যর্থ মহৌষোধ...মাথা ব্যথা নিয়ে উলটে পড়ে গেলেও স্কুলের কোনো অসুবিধা নেই...এইগুলো হচ্ছে কমন সেন্স দোস্ত...একদম কমন সেন্স...বুঝলি ছাগল...”
###
মন্তব্য
আপনি মানুষ ভাল না । আমার সরকারি স্কুলের ৬-১০ শ্রেণী মনে করাইয়া দিছেন। হায়রে সেই দিনগুলি। কোন কারণ ছাড়াই যে কত মাইর খাইলাম। এক স্যার বলতেন প্রি-এম্পটিভ মেজার।
তবে ঐসব স্যাররা কিন্তু মানুষ বানাইতেন ঠিকই । এতটা ব্যবসায়িক হোন নাই।
ধন্যবাদ। তবে বিনা কারণে মারধোর করার মতো স্যারেরাও ছিলেন প্রচুর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
@তাসনীম ভাই- ঠিক বলছেন
আমাদের এক স্যার ছিলেন। খুব কড়া কড়া ভাব দেখাতেন- কিন্তু দুষ্টু পোলাপাইন পাত্তা দিতোনা। এই স্যার পোলাপাইনের বাঁদরামিতে অতিষ্ঠ হয়ে খালি "লাস্ট ওয়ার্নিং" দিতেন। তাও লাভ হতোনা। বেচারা কয়বার যে "লাস্ট ওয়ার্নিং" দিতেন ………….
আহা সেইসব দিন - কত মনে পরে আর কত যে মিস করি।
মাইর খাইতে হইলেও সেইসব দিনে আবার ফিরতে চাই চাই চাই্!!!!!!!
আমি মাঝে মাঝে ভেবে দেখি - আমাদের যেই সব স্যারদেরকে বুড়ো মনে হতো সেই সময়ে, তাঁদের অনেকের সেই সময়ের বয়েস আমার বর্তমান বয়সের চেয়ে কম। ওনাদের জীবন থেকে অন্তত ১০/১৫ বছর আয়ু আমরা নাশ করেছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা! সেইসব সোনালী দিন!
জীবন থেকে নেওয়া নাকি?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ।
কিছু জীবন, কিছু কল্পনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ। মাথার চেয়ে পেট বড় - কমন সেন্স
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মজা পেলাম
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শেষ? এক দুই পর্ব করে এইটা টানেন তাসনীম ভাই। একটা কিশোর উপন্যাস হোক।
..................................................................
#Banshibir.
এই রকম টুকটাক আরও লিখবো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি নিশ্চিত এটা শেষ নয়, আরো আছে। ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ। আরও কিছু লিখবো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খেক খেক খেক। কি সব দিন আছিল
ঠিক কথা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতই লিখেছেন
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপ্নি খ্রাপ লুক
কেনু কেনু কেনু?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইয়ে, মহাষৌধ> মহৌষোধ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বানান ঠিক করলাম।
ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাকি মহৌষধ ?
****************************************
তরতর করে পড়ে গেলাম।
****************************************
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খ্রাপ খ্রাপ
facebook
কিন্তু কেনু?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুন লাগল তাসনীম ভাই।
আপনার গল্পের কিছু ঘটনা ঠিক যেন নিজের স্কুল লাইফের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে। এর মধ্যে আমার হাই স্কুলের (কলেজিয়েট স্কুল চট্টগ্রাম) প্রথম দিনটার কথা সাড়া জীবন মনে রাখব:
নতুন স্কুলের সর্বপ্রথম দিন তাই আব্বুও সাথে আসলেন, আর কোন কারণে সেদিন একটু দেরী হয়ে গিয়েছিল। স্কুলে পৌঁছে দেখি জাতীয় সংগীত আর পিটি প্রায়ই শেষ হয়ে গেছে - তাড়াতাড়ি করে মাঠে যাচ্ছি এমন সময় সহ-প্রধান শিক্ষক জহরলাল স্যার খপ করে আমাকে ধরে নিয়ে আলাদা একটা লাইনের শেষে দাঁড় করালেন - লাইনটাতে আমার মতনই আরো কয়েকজন লেটলতিফ।
কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখলাম লাইনে দাঁড়ানো আমার সামনের সবাই একে একে "ক্যারাত বেত" এর স্বাদ নিচ্ছে। এদিকে আমি দরদর করে ঘামছি, একবার বেতের দিকে তাকাই আর একবার সাহায্য কাতর চোখে আব্বুর দিকে তাকাই (উনি আমার স্কুলব্যাগ হাতে নিয়ে হতভম্ব হয়ে কি ঘটছে তা বুঝার চেস্টা করছিলেন)। অবশেষে আমার পালা এলো, স্যার হুংকার ছেড়ে বলল "এই লম্বু, তোকে আগেও দেখেছি - সবসময় দেরি করিস, আজকে মজা বুঝবি" আমি তোতলাতে তোতলাতে বললাম: "স্যার আজকে স্কুলের আমার প্রথম দিন!"। এরপরের স্মৃতিটা কিছুটা আবছা তবে শেষ পর্যন্ত আব্বুর হস্তক্ষেপে সেদিনের মতন বেঁচে গিয়েছিলাম
স্যারদের কাছে কৃতজ্ঞতার শেষ নেই কিন্তু এই বেত কালচারটা আমার কিশোর মনে সেদিন কি পরিমান ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছিল তা এই ২১ বসন্ত পরে এসেও মাঝে মাঝে অনুভব করি।
স্কুলে মারধোর কি আজকাল আগের মতো হয়? আগে একেকটা দিন মার ছাড়া গেলে মনে হতো বিরাট জয় হয়েছে। বেত কালচারের কুপ্রভাব তো টের পাই - এখন কেউ বেতের বাড়ি মারে না দেখে তো আর নতুন কিছু শিখতে পারি না - শিক্ষার সাথে বেতের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শেষ!!! আমার তো আরও পড়তে ইচ্ছা করছিল ভাইয়া। এমন আরও লিখুন ভাইয়া। আমার ছোটবেলা আর স্কুলবেলা সারা জীবনের সবচেয়ে প্রিয়। এখনও সেই ছোটবেলা ছেড়ে বড় হয়ে উঠতে পারি নি যদিও তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে জীবনে কোনোদিন স্কুলে মার খাই নি। কোন কিছুর জন্যেই না। দুষ্টামি অথবা পড়া না পারা এমন কিছুর জন্যেই না। মার খাবার এই ভীতি থেকে আমি বঞ্চিত হয়েছি। তবে কেউ মার খাচ্ছে অথবা পড়া না পেরে দাঁড়িয়ে আছে দেখলে খুব মন খারাপ হতো।
লেখা বরাবরের মত অসাধারণ! আপনাকে প্রায় বলতে ইচ্ছে করে এতো ভাল লেখেন কেমন করে ভাইয়া? আমাকে একটু শিখিয়ে দেবেন? ইদানিং মন খুব খারাপ। আমার কিছু লেখা হচ্ছে না
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
আরও কিছু লিখবো। সময় যদিও খুব সংকীর্ণ।
আপনিও লিখতে থাকুন। সাধনেই মুক্তি।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপ্নে ভস্লুক----
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এতো তারাতারি শেষ হয়ে গেল ক্যান?
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
১৫০০ শব্দ আছে এতে - তাও ছোট
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এত অল্পে শেষ করে দিলেন বস? মাথা ধরেছিলো নাকি ?
পেটে প্রবল বেদনা ছিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই ,
স্কুলে একবার বগলের নিচে রসুন নিয়ে বসে ছিলাম জ্বরের অপেক্ষায়। জ্বর ও আসলনা, ছুটিও পাওয়া হলনা। আপনার সৌজন্যে এইসব পুরানো স্মৃতি আবার মনে পড়ল।
গল্পটা খানিকটা তাড়াহুড়া করে লেখা বলে মনে হচ্ছে।
ব্যাপার না। সিরিজ চলুক 'শিশুপালন" এর মত করে।
টুকটাক গল্প চলবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
১০০ তে ১০১, দারুন ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি যে হাইস্কুলে পড়েছি সেখানে আবার মারধোর করা নিষেধ ছিল। কিন্তু ওটার বদলে কত অদ্ভূত শাস্তি যে দিতে দেখেছি শিক্ষকদের! একজন 'লাস্ট ওয়ার্নিং' স্যারও ছিলেন। আহা, কত নিত্যনতুন দুষ্টুমির ছিল সেই দিনগুলো! খুব ভালো লাগলো পড়ে।
অটঃ শিশুরা কি বড় হয়ে গেল নাকি ভাইয়া? অনেকদিন শিশুপালন পড়ি না।
শিশুরাও বড় হয়েছে - কিন্তু আমার সময় প্রায় শূন্যের কোঠায় - সমস্যা সেই খানে
স্কুলে মারধোর না করলে সেই স্কুল একটু পানসে পানসে লাগে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আসলেই, কমনসেন্সের উপরে আর কিছু নাই।
পট করে লেখা ফুরায়ে গেল! ছোটবেলার স্কুলের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সময়সুযোগ করে বড় একটা কিশোর গল্পে হাত দিয়েন একটা।
১৫০০ শব্দকেও লোকে কম বলছে কেন
মাথায় একটা উপন্যাস আর কিছু ছোটগল্প ঘোরাঘুরি করছে। ব্যক্তিগত ঝামেলাতে লিখতে পারছি না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ... স্কুল জীবনের অসংখ্য ঘটনা মনে পড়ে গেলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই। সেই ঘটনাগুলো লিখতে শুরু করেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবটুকু স্মৃতি দৃশ্যপটে....
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমাদের ইংরেজি পড়াতেন দেলোয়ার স্যার। দেলোয়ার দুইখান থাকায় এনার নামকরণ হয় ডি-টু।
এনার বদভ্যেস ছিল অনবরত "তুমি কি হাঁস খেয়েছ যে হাসছো?" বলা আর সেকেন্ডে ৫টা করে বেতের বারি দেওয়া।
আমার প্রায়শই মনে হত এরা অনেকেই সম্ভবত মানসিক প্রতিবন্ধী। এখনও তাইই মনে হয়।
আমার প্রায়শই মনে হত এরা অনেকেই সম্ভবত মানসিক প্রতিবন্ধী - আমারও মাঝে মাঝে তাই মনে হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা, মার খাওয়ার সেই হলদে দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। গল্পটা পড়ে বিপদেই পড়েছিলাম - অফিসে বসে তো হাসতে পারি না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নিজামী নামে একটা অন্তত ভালো লোক পেয়েছি বস্। এই যে দেখেন তিনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যাক তবুও একজন পাওয়া গেল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেকদিন পরে লিখলেন ভাইয়া।
খুব ভাল লাগল। আমাদের মাইর খাওয়ার ব্যাপার না থাকলেও সমাজ ক্লাসে পড়া ধরা এবং অন্যান্য মানসিক শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। তখন অনেকেই আয়াতুল কুরসি, সূরা, দুআ, কালাম যে যা পারে পড়তে থাকতাম।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই সব স্যারকেই চিনলাম শুধু নিজামী ছাড়া। ভূগোল এর রশীদ স্যার ব্যাতীত আর কারও নাম মনে করতে পারছিনা। লেখার জন্য ।
আপনিও কি ল্যাব নাকি? শফিক নিজামী নামে ভয়াবহ একজন ছিলেন, ১৯৮১/৮২ সালে সম্ভবত স্কুল ছেড়ে দিয়ে ছিলেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ও তাই বলেন ভাইয়া। আমি ৮৩-৯৩।
তাইলে মর্যাল অফ দ্য ইশটোরি কি খারাইলো??
'ছোট দেশে বেশী খনিজ সম্পদ থাকা উচিত না' নাকি 'খনিজ সম্পদের থিকা আয়াতুল কুরসী বেশী ফলদায়ক'??
উহুঁ, ছুটির জন্য সব সময় পেটে ব্যথার অজুহাত সর্বোত্তম
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগলো তাসনিম ভাই। বিশেষ করে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে দরখাস্ত নিয়ে গিয়ে দারুন প্রাপ্তির বিষয়টি । তাছাড়া লেখাটি মনে করিয়ে দেয় সেই স্কুল পালানো জীবনের কথা।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অসাধারন লাগলো ভাই, স্কুলজীবনের স্মৃতিগুলো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠলো। আর কি বলি- ধোলাইও খেয়েছি বেশ!
একটা ঘটনা শেয়ার করি- স্কুলে নাটক হবে, রোজিনা হবে রুহুল আমিনের মা। নাটকের একটি দৃশ্যে রুহুল রোজিনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করবে। রিহার্সেলের সময় রুহুল যেই রোজিনার পা ছুতে যায়, অমনি দুজনেই হেসে ওঠে। পরে স্যারের বেতের হুমকীতে স্টেজে রুহুল শেষ পর্যন্ত রোজিনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কিছুদিন বিভিন্ন কারনে মনটা বড্ড বিষণ্ণ। তায় আপনি আবার প্রায় পঞ্চাশ বছর আগের ঝাপসা হয়ে আসা অনেক টুকরো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। ভাবছি ভাল হলো নাকি মন্দ !
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইস্কুল লাইফের কথা মনে করিয়ে দিলেন তাসনীম ভাই। আমি আবার হেডস্যারের সাইন নকল করাতে বেশ পটু ছিলাম কিনা
যেদিন দেওয়াল টপকাইতে কষ্ট লাগতো সেদিন দরখাস্ত লিখে এই সাইন মেরেই কাজ চালিয়ে দিতাম।
কলেজে দুই বছর মিশনারিদের ঠ্যালায় ঠিকমত পালাইতে পারি নাই।
ভার্সিটিতে উঠে পালানোর হার আবার অনেক বেড়েছিল। মনে পড়ে, বাশার স্যারের ইলেক্ট্রিক মেশিন ক্লাসে সামনের দরজা দিয়েই নির্বিকার মুখে বের হয়ে যেতাম। স্যারও নির্বিকার মুখেই মেনে নিতেন
ধন্যবাদ কিষাণ। থার্ড ইয়ারে আমাদের মেশিন পড়াতেন বাশার স্যার। বুয়েটে বাং মারতে অবশ্য দরখাস্ত লাগে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ!
আমি মাথাব্যাথা লিখেই অষ্টম শ্রেণিতে ছুটি পাইছি! তবে এরপরের কোন ক্লাশে রোল কলের পরে উপস্থিত থাকি নাই!
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি laboratorian?
হ্যাঁ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন