।।১।।
আমি জ্ঞান-গর্ভ কোন কিছু লিখতে পারি না। প্রথম এবং প্রধানতম কারণ হচ্ছে জ্ঞানের অভাব। তবে এই অভাব থাকলেই যে জ্ঞান সমৃদ্ধ কিছু লেখা যাবে না – সেটা মনে হয় সত্য নয়। পত্র-পত্রিকা বা ব্লগে যেই সব লেখা মাঝে মাঝে পড়ি তাতে মনে হয় জ্ঞান-গর্ভ লেখার পূর্ব শর্ত হিসাবে গর্ভে জ্ঞান থাকতে হবে এই রকম কোন সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা নেই।
জ্ঞান দিতে না পারলেও কিন্তু আমি জ্ঞান নিতে বেশ ভালোবাসি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি – মূলত জ্ঞান দুই প্রকার। প্রথমটা হচ্ছে ভারী জ্ঞান – অর্থাৎ জ্ঞানের ওজন আপনাকে ভারাক্রান্ত করে ফেলবে। অনেক অনেক গুরুগম্ভীর কথার মধ্যে মধ্যে সেই সব জ্ঞান লুকিয়ে থাকবে – জ্ঞানের ওজনে ঘুম আসার সম্ভবনা আছে। সেই সব জ্ঞান মাথায় এন্টেনা লাগিয়ে ধরতে হয়।
দ্বিতীয় জ্ঞান হচ্ছে লঘু জ্ঞান। আটপৌরে আর সোজাসাপ্টা কথাবার্তার মধ্যে মধ্যে অনেক মূল্যবান তথ্য লুকিয়ে থাকে। ওজনহীন সেই জ্ঞান হৃদয়ে রাখতে হলে কিছু মাত্র ভার নিতে হয় না। হঠাৎ হঠাৎ জীবনের চলার বাঁকে বাঁকে সেই জ্ঞানের মূল্যগুলো টের পাওয়া যায়। আমার বাবা কারওয়ান বাজারে মুলামুলিময় যুদ্ধ শেষে রিকশাতে উঠে আমাকে বলেছিলেন – মুলামুলি ছাড়া আমি যেন কোনদিন কিছু না কিনি। সেই সহজ কথার গভীরতা নিয়ে আমি পুরো একটা লেখা লিখেছি।
।।২।।
লঘুস্বরে বলা অমৃত সমান এক জ্ঞানের সন্ধান পেয়েছিলাম কলেজে পড়ার সময়ে। কিন্তু আগে সেই সময়টা নিয়ে কিছু বলে নেই। বাংলাদেশে তখন স্বৈরাচার নামক এক লোকের শাসন চলছে। আমরা তাকে উঠতে বসতে গালাগাল করি। মিথ্যুকদের শিরোমনি সেই লোক এখনো বহাল তবিয়তে আছে – মাঝে মাঝে আর বাকি সব ইতরদের তুলনায় তার ইতরামি ম্লান হয়ে যায়। জাতীয় জীবনে আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি যে প্রতি সরকারের ইতরামি আমরা পরের বার অতিক্রম করব।
সে যাই হোক – সেই আমলে টিভিতে চ্যানেল ছিল একটাই। সেই চ্যানেলে প্রতিদিন রাতে মিথ্যা সংবাদ প্রচার হতো। আটটার সংবাদকে লোকে বলত ঠাট্টার সংবাদ। আক্ষরিকভাবেই সাহেব-বিবি আর গোলামের খবর দিয়েই কাজ সারা হতো। রাতে আমরা রেডিওতে বিবিসি বা ভোয়া শুনতাম, ঘ্যাষ ঘ্যাষ, চু ওওওও শব্দের মধ্য দিয়ে সঠিক খবরগুলো দিনে মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য শুনতে পেতাম।
সেই তুলনায় এখন খবর পাওয়ার কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ঝকঝকে চ্যানেল, সুন্দরী নিউজ অ্যাঙ্কর, লাইভ সম্প্রচার সব কিছুই আছে – মোটামুটি কি হয়েছে বোঝার জন্য অল্প কিছু সময় ব্যয় করলেই হয় – সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার বিবিসির সংবাদের জন্য বসে থাকার কোন দরকার নেই।
কিন্তু ফেসবুক খুললে বুঝতে পারি এই সুসময়ের সবটাই ভালো নয়। অনলাইনে এখন বিপুল জনপ্রিয় কিছু সাইট আছে, ওগুলোও বিবিসি অর্থাৎ বাঁশেরকেল্লা ব্রডকাস্টিং সার্ভিস। মিথ্যে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে গোলযোগ তৈরির করার মতো এই রকম সাইটের জনপ্রিয়তা আমাকে বিস্মিত করেছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাপকাঠিতে উচ্চশিক্ষিত মানুষজন সেই খবর বিশ্বাস করছে, ফেসবুকে শেয়ার করছে, সেটার সত্যতা নিয়ে বিতর্ক করছে। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির উপর বিশ্বাস আমার খুব বেশি না থাকলেও সেটা এখন প্রায় লোপ পেতে চলেছে।
এই সময়েও মানুষ কেন বাঁশেরকেল্লার খবর এতো ভালবাসে সেটা দেখার জন্য বাঁশেরকেল্লাতে আমি মাঝে মাঝে ঢুঁ মারি। দুনিয়া জোড়া বাঁশেরকেল্লা – কয়েক লাখ তার গ্রাহক। ওদের খবরাখবর সেই স্বৈরাচারের আমলের খবরকেও হার মানিয়ে দিতে পারে। আমি নিশ্চিত বাঁশের কেল্লার অ্যাডমিনদের আশির দশকের বিটিভির মহাপরিচালক শুধু টুপি নয়, আরও অনেক কিছু খুলেই সম্মান জানাতেন।
আশির দশকে বড় হয়ে ওঠা আমি এই সময়টাকে মনে করেছিলাম অবাধ তথ্যপ্রবাহের সময়, কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ ব্যবহার করে গুজব, প্রোপাগান্ডা ছড়ানো কতখানি সম্ভব সেইটা গত কয়েক মাসের ঘটনাতেই বুঝে গেছি। এটাকে আর সুসময় মনে হয় না আমার।
আশির দশকের সেই সময়ে মানুষ মিথ্যাটাকে বর্জন করত খুব সহজেই– আজ মাত্র দুই দশক পরে কেনই বা সেই একই দেশের মানুষ এতো বিপুলভাবে মিথ্যেটাই আঁকড়ে ধরছে? আপাতভাবে সফল, বুদ্ধিমান এবং পড়াশোনা করা লোক এইগুলো কেনই বা বিশ্বাস করছে? নাকি গণতন্ত্র, অবাধ তথ্যপ্রবাহ-টবাহ ঠিক আমাদের জন্য নয়? নাকি আমরা জাতিগতভাবে ষড়যন্ত্রতন্ত্রে বিশ্বাসী?
আমাদের শিক্ষার ভেতরে কোথাও নিশ্চয় ত্রুটি রয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িকতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার এই জিনিসগুলোর শেকড় আমাদের অনেক অনেক ভেতরে, সেইগুলোকে উপড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে না এখনো।
ঢাকার রিকশাওয়ালারা যাত্রীদের নীচতায় ব্যথিত হলে মাঝে মাঝে বলত – সার্ট-প্যান্ট পরলেই ভদ্রলোক হওয়া যায় না। ঠিক একইভাবে মনে হয় লেখাপড়া করলেই শিক্ষিত হওয়া যায় সেই নিশ্চয়তা নেই।
।।৩।।
আমাদের “শিক্ষিত” জনগোষ্ঠির মধ্যে আরও একটা ব্যাপার লক্ষণীয়। তাঁরা মানবতা রোগে আক্রান্ত। এই মানবতা রোগটা প্রায় সাময়িক চুলকানির মতো, সব সময়ে থাকে না। হেফাজতে ইসলামের অশান্তিপূর্ণ অবরোধ ৫ই মে’র মতিঝিলকে প্রায় যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেটা বন্ধের কোনো অহিংস উপায় ছিল বলে আমার মনে হয় না। মতিঝিলে ওদের সমাবেশ না করতে দিলেই হয়ত সবচেয়ে ভালো ছিল।
কিন্তু এর পরদিন বাঁশেরকেল্লা সহ বাদবাকি ছাগু মাধ্যমগুলো এবং এদের ভক্ত সাবস্ক্রাইবাররা ফেসবুকে শুরু করলেন আড়াই হাজার মৃত্যুর গুজব। আমি আমার বন্ধু তালিকার অনেককেই সবেগে এই গুজবগুলো প্রচার ও এই নিয়ে প্রচারণা চালাতে দেখলাম।
মানবতা এক পক্ষীয় ব্যাপার না। গত তিন মাসের চলমান ঘটনাতে অনেক পুলিশও প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন সরকারী কর্মকর্তা, অনেক হিন্দু বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। শুধু জামাত-হেফাজত প্রাণ হারালেই যে মানবতা বিপন্ন হয় সেটা কিন্তু নয়। কিন্তু সিজন্যাল মানবতা প্রায় দাদ রোগের মতো - এর চুলকানি সব সময়ে থাকে না।
হেফাজত/জামাতের আন্দোলনের ব্যাপারে গণহত্যা, ২৫ শে মার্চের কালোরাত্রি এইসব শব্দ/তুলনা খুব ইচ্ছে করেই ব্যবহার করা হচ্ছে। মধ্যযুগীয় এই আন্দোলনের সাথে ১৯৭১ সালের তুলনা দেওয়া স্রেফ একটা অশ্লীলতা। কিন্তু এটা করা হচ্ছে ইচ্ছে করেই। কারণ এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে যুদ্ধপরাধীদের বিচার ভন্ডুলের চেষ্টা – ৭১ সাথে একটা প্যারালাল তৈরি করতে পারলে যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ হালকা করার কিছুটা সহজ হবে।
কত লোক মারা গেলে গণহত্যা হবে এই প্রশ্নের সদুত্তর আমি খুঁজে পাই নি। কিন্তু এই গুজবগুলো যারা তৈরি তারা খুব ভালো মতোই জানে যে ৫০ এর জায়গাতে ২৫০০ নিহত হওয়ার ঘটনা যেই ক্রোধ তৈরি করবে সেই ক্রোধ সামনের দিনগুলোতে আরও প্রাণহানী ডেকে আনবে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই গুজবগুলো প্রচারে যারা সাহায্য করছে তারা শিক্ষিত লোকই। কিন্তু অর্থপোর্জন ছাড়া আর অন্য কিছুতে আমরা শিক্ষার সুফল কাজে লাগাতে নারাজ।
এই দেশে মানুষের দাম সস্তা। কেউ কাপড় বানাতে গিয়ে জীবন্ত কবরে চলে যায় আর কেউ ক্ষমতার লড়াই নিজের প্রাণ দেয়। দিনশেষে আমি আমার দেশের মানুষের জীবনের যেই প্রাইস ট্যাগটা দেখতে পাই - সেটা চোখে পানি নিয়ে আসার মতো অশ্লীল।
আমার এক বাল্যবন্ধু এতিমখানায় থাকতো। নাম ছিল মাসুদ। আমাদের বাসার পাশেই ওর খালার বাসা। সেইখানে মাঝে মাঝে আসতো। মাসুদের বাবা-মা সবই ছিল, এতিমখানায় সবাই এতিম নয়। স্বাভাবিক, সুন্দর, হাসিখুশি বালক। আমি যখন শিব্রাম চক্রবর্তী পড়ছি তখন সে বেতের বাড়ি খাচ্ছে হরদম। হেফাজতের অল্পবয়েসি ছেলেগুলো দেখে আমার মাসুদের কথা মনে হয় - আমি ওদের ঘৃণা করতে পারি না, ওদের দেখলে আমার দুঃখ হয়। ক্ষমতার এই দাবা খেলাতে ওই ছেলেগুলোও গার্মেন্টসের কর্মীদের মতো অসহায়। প্রয়াত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ শৈশবে মাদ্রাসাতে পড়তেন - ওই জীবনের ছবি এঁকেছেন তিনি - মমতা দিয়ে, ক্রোধ নিয়ে নয়। এই কাজটা খুব কম মানুষই করেছেন।
পুলিশের গুলি দেখলেই আমরা মানবতা ডেকে আনি - আর মাদ্রাসার ছেলেদের শুধু কোরবানির চামড়া দিয়ে কাজ সারি। আমার হেফাজত সমর্থক বন্ধুরা সবাই দেশে-বিদেশে পড়াশুনা করেছেন, উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন। নিজের সন্তানকে সুশিক্ষা দিচ্ছেন - অনেকেই ইংরেজি মাধ্যমে তাদের পড়ান। রাতে নিজের ঘরে রনি জেমস ডিও, ব্ল্যাক সাবাথ শুনেন অথবা জীবনানন্দ পড়েন। মাদ্রাসার দিকে পা-টাও মাড়ান না কেউ। এই শিক্ষার কি কি ত্রুটি আছে সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো প্রয়োজনটাও মনে করে না। এমনকি জামাতের কর্পোরেট হাউজগুলোও কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের চাকরি দেয় না। এই ছেলেগুলো কি স্বপ্ন নিয়ে বাঁচবে? বেঁচে থাকতে হলে একটু ভালো থাকার স্বপ্ন দেখতে হয় - যেটা আমি আর আপনি রোজই দেখি। প্রতিদিনই মানবতা ভাইয়ার গলা চেপে ধরছি আমরা, কিন্তু শুধু পুলিশ দেখলেই সেটার বেগ অনুভব করি কেন?
আজকে হেফাজতের উত্থান বিস্ময়কর কিছু নয়। যেই অন্যায় সমাজ আর শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা তৈরি করেছি - এটা তার সরাসরি প্রতিক্রিয়া। দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার ছাড়া একে ঠিক করা যাবে না। শুধু যে মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কার দরকার তা-ও না, গত কয়েকমাস ধরে চলা সহিংসতা আর আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে যে আমাদের সাধারণ শিক্ষারও বিপুল সংস্কার খুবই প্রয়োজন।
।।৪।।
কথা থেকে দূরে সরে গেছি। বলছিলাম জ্ঞানের গল্প। সেই আমলের বিটিভিতে খবর বাদ দিলে বাদবাকি প্রোগ্রাম মন্দ হতো না। আশির দশকের মাঝামাঝি বিটিভি কার্ল সাগানের কসমস দেখানো শুরু করল। এটা বিশ্বজগতের শুরু থেকে শুরু করে বহু বহু জটিল বিষয়কে স্পর্শ করেছে – খুব সহজ ভাষাতে। বিষয়গুলো নিয়ে ছোট ছোট নাট্যরূপ তৈরি করে সাগান সাহেব খুব ভালো মতো মাথার ভেতর ঢুকতে পেরেছিলেন। কার্ল সাগানের ইংরেজি আমাদের বাংলা মিডিয়ামে পড়া মাথাতেও অনায়াসে ঢুকে যেত। জ্ঞানকে ওজনাদার হতে হবে না – সেই তথ্য আমার সেই কসমস দেখেই শেখা।
অনেক অনেক বছর পরে নেটফ্লিক্সে কসমস দেখা শুরু করলাম আবার। একটা পর্বের অনেকখানি জুড়ে ছিলেন ষোড়শ শতকের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী কেপলার। জাতিতে জার্মান জোহানেস কেপলার ছিলেন একজন ঈশ্বরপ্রেমী ধার্মিক মানুষ। চার্চে শিক্ষা পেয়েছিলেন। গ্রহ-নক্ষত্রের গতিপথ নিয়ে ভাবনা আর গবেষণা করতে করতে আবিষ্কার করে ফেলেন ওদের কক্ষপথের সূত্রগুলো।
এর পাশাপাশি বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে তিনি মানব ইতিহাসের প্রথম সায়েন্স ফিকশনটা লিখেন। কল্পনা আর বাস্তবের লাগাম ছাড়া ভাবনা নিয়ে লেখা পৃথিবীর প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর নাম – [url= http://en.wikipedia.org/wiki/Somnium_%28novel%29]সমনিয়াম[/url] – যার মানে হচ্ছে – স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের গল্পের মানুষ স্পেসশিপ করে চাঁদে যায় – সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পৃথিবীর মানুষকে আরও সাড়ে তিনশ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।
মনে হয় কেপলার মানুষটাকে আমি এই বইটার নাম শুনেই চিনে ফেলতে পারি। লোকটা স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্নের পিছে ছুটতেন। এই সময়ে জন্মগ্রহন করলে কেপলার হয়ত আইনস্টাইনের মতো সেলেব্রিটি হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তিনি ভুল সময়ে জন্ম নিয়েছিলেন। চার্চের কোপানলে পড়লেন তিনি। নিচের একটা ক্লিপ শেয়ার করছি ইউটিউব থেকে। পুরো ব্যাপারটা জানা যাবে এখান থেকে।
কেপলারের সময়ের ইউরোপের সাথে আজকের বাংলাদেশের বড় মিল খুঁজে পাই আমি। আমি নিশ্চিত বুঝতে পারি – হেফাজত, জামাত, মাহমুদুর রহমান সব্বাই ছিল কেপলারের সময়ে – অন্য নামে, অন্য চেহারাতে – কিন্তু ধর্ম নিয়ে বেসাতির চেহারাটা একটুও পালটায় নি – এই চারশ বছরে।
কিন্তু সেই সময়েও কেপলারের মতো মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর বাকিরা হয়ত জীবন নিয়ে কোন মতে বেঁচে ছিলেন – দমবন্ধ করে কাটিয়ে দিয়েছেন দিনের পর দিন। ওদের মধ্যেও হয়ত শিক্ষিত লোকের সংখ্যা কম ছিল না। তাদের কথা আমরা জানি না –কিন্তু স্বপ্ন দেখা মানুষটার নাম কয়েকশ বছর পরের পৃথিবীর মানুষও মনে রেখেছে এবং রাখবে।
ইউটিউব বন্ধ করা যায়, চাইলে ফেসবুকে তালা মারা যায়, ইন্টারনেটকে রুদ্ধ করা যায়, ভিন্ন মতকে নাস্তিক বলে উইচহান্ট করা যায়, ধর্মের নামে দমন করা যায় – কিন্তু স্বপ্নের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো শক্তি আজও কোন রাষ্ট্র অর্জন করতে পারেনি। স্বল্প বুদ্ধি দিয়ে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় জ্ঞানের সাথে স্বপ্নের কোথাও একটা মিল আছে। প্রতিটি জ্ঞানই হয়তো একদিন কারো কারো না স্বপ্ন ছিল।
ধর্মান্ধ গোষ্ঠিকে তুষ্ট করতে জেলে যেতে হয়েছে ব্লগারদের। বিএনপি জামাত সরকার আসলে আর কি কি ধরনের খড়্গ নেমে আসবে সেটা সহজেই বোঝা যায়। কিন্তু তার পরও মুক্তবুদ্ধির চিন্তা দেশ থেকে উঠে যায় নি। আমি নিশ্চিত স্বপ্নচারী মানুষ এখনো স্বপ্ন দেখে। সবচেয়ে কঠিনতম সময়েও দেখবে। মধ্যযুগের স্বপ্নচারী কেপলারের গল্প দেশ নিয়ে আমার আশা জাগিয়ে রাখে।
আমি জানি আমাদের দেশেও স্বপ্নটা বেঁচে থাকবে – আগামীকালের জন্য। প্যান্ডোরার বাক্সের সেই আশার মতো। আশা আর স্বপ্ন নিয়েই আমরা কিন্তু বেঁচে থাকি।
####
[সড়ক দুর্ঘটনাতে আহত হয়ে সিমন হাসপাতালে আছে এগারো দিনের বেশি হয়ে গেল। আমার লেখাতে ওর মন্তব্য প্রায়ই থাকতো। আশা রাখছি দ্রুতই সুস্থ হয়ে ওকে মন্তব্যের ঘরে দেখতে পাবো - চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা সুদর্শন ছেলেটাকে - যার চেহারাতে এখনো শিশুদের সারল্যটা রয়ে গেছে। আশারাখি ওর কন্যাও খুব শিগগিরি বাবার কোলে উঠতে পাবে।
আমাদের এই স্বপ্নটা নিশ্চয়ই সফল হবে।]
মন্তব্য
দুইটা ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছি না হলে আমি এখনই পড়ে কমেন্ট করতাম
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ঠিক আছে ফিরে এসে পড়ে নিয়ে মন্তব্য করবেন তাহলে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্বপ্ন আছে বলেই তো মানুষ বেঁচে আছে তাসনীম ভাই। কিন্তু কথা হল হেফাজতিরাও কিন্তু ওদের লাইনেই স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
চিন্তাধারার নিয়ন্ত্রিত অবস্থাকে কি স্বপ্ন বলব, সুমাদ্রী ভাই, নাকি সম্মোহন?
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
আশা করি সেই দুঃস্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
০১
দেশের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করলে প্রায়ই আবিষ্কার করি, বহু সমস্যা আসলে নিজেদের মধ্যে তালগোল পাঁকানো। আপনি একটা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে থাকলে একসময় আবিষ্কার করবেন যে আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন অন্য একটা সমস্যার সামনে এসে পড়েছেন। সমস্যার এই শাখামৃগরূপ আমাকে একসময় আশ্চর্য, পরে বিরক্ত এবং শেষে হতাশ করলেও, এক সময় মনে হলো কিছু বেসিক সমস্যার সমাধানের মাধ্যমেই আসলে বাকিগুলিকে সমাধান করা সম্ভব,কিংবা দুর্বল করে ফেলা সম্ভব। যেমন ধরা যাক, নৈতিকতা শিক্ষা। কোনো এক বিচিত্র উপায়ে (যেহেতু জানি না উপায়টা কী, তাই ব্ল্যাক বক্স টাইপের কিছু কল্পনা করে নিচ্ছি) যদি শিশুদেরকে ছোট থেকেই বেসিক নৈতিকতার শিক্ষাটুকু দিতে পারতাম আমরা, অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যেতো। আমরা সমস্যার যে বিপুলা পৃথিবীতে খাবি খাচ্ছি, তার থেকে বের হওয়ার পথ সম্ভবত এই বেসিক কিন্তু জটিল সমস্যাগুলির সমাধান করাই।
০২
পড়াশোনার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর বুঝতে পারছি যে, উচ্চ শিক্ষার পথে পচুর গেঞ্জাম। সিরিয়াস সমস্যা চিরকালই মানুষকে দার্শনিক করে তুলে, আমিও অল্পবিস্তর দার্শনিক হয়ে গেছি। নিজের গবেষণায় কী ফল আসবে, সেই চিন্তায় আতংকিত না হয়ে, বৃহত্তর ব্যাপারে চিন্তা করি। বিস্তর পর্যবেক্ষণে এই সিদ্ধান্তে আসলাম- পৃথিবীর বহু বড় কিংবা গ্রাউন্ডব্রেকিং আবিষ্কারের ক্ষেত্রেই, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পাওয়া উত্তরটা বেশ সরল। সোজা কথায়, দুর্দান্ত সব গবেষণার ফলাফলের এলিগেন্স আসলে এর সারল্যে। কিন্তু এই সরল উত্তরটা পাওয়ার জন্য, যে পদ্ধতিগুলি তারা বের করেছেন, সেটা আমার মনে হয়েছে স্বপ্ন দেখা ছাড়া সম্ভব না। খুব কঠিন একটা অংকের সমাধান করার জন্য হয়তো পাতার পর পাতা ক্যালকুলাস কষতে হবে, কিন্তু ইন দ্য ফার্স্ট প্লেস- এরকম কিছু যে হওয়া সম্ভব, এর জন্য স্বপ্ন/কল্পনার তো বিকল্প দেখি না।
মানুষ যেদিন আর কল্পনা করতে পারবে না, সেদিনই সম্ভবত সভ্যতার নিচে নেমে যাওয়া শুরু হবে।
০৩
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। খুবই ভালো লাগলো
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ।
শিশুপালন করতে গিয়ে বুঝতে পারি শৈশব মানুষের সারা জীবন নিয়ন্ত্রণ করে। ভালো মানুষ তৈরি করতে হলে খুব অল্প বয়েস থেকে শুরু করতে হবে ট্রেনিং। কল্পনাহীন কেউই না কিন্তু সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করা বিষাক্ত শিক্ষা আমরা অল্প বয়েস থেকেই দেওয়া শুরু করি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি একসময় সচলে ঢুকতাম আপনার লেখা পড়ার জন্য, পড়া শেষে আবার চলে যেতাম অন্যখানে. কত হাজার লোক যে এরকম শুধু আপনার লেখা পড়তে আসে আপনার সম্ভবত কোনো আইডিয়া নাই তাসনীম ভাই.
..................................................................
#Banshibir.
আমারো ধারণা তাই- এজন্যই মনে হয় তাসনীম ভাই এত কম কম লেখে
"ভালো জিনিস কম বলেই তা ভালো, না হলে নিজেরই ভিড়ের ঠেলায় তা হয়ে যেত মাঝারী" - রবীন্দ্রনাথ।
কিন্তু আমি তাসনীম ভাইয়ের ভালো লেখা নিজের ভিড়ের ঠেলায় মাঝারী হয়ে যেতে দেখতে চাই - চাই -চাই।
হ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কম লেখার কারণ অবশ্য সময়াভাব। কিন্তু লিখছি মোটামুটি নিয়মিতভাবেই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হ। আমি প্রতিদিন সচলে ঢুকি, একবার, দুইবার, তিনবার। অনেকদিন ধরে কমেন্ট করা হচ্ছে না। দৌড়ের উপ্রে আছি। কিন্তু তাসনীম ভাইয়ের লেখা হইলে কমেন্ট না কইরা থাকাটা অপরাধ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ সত্যপীর। তোমাকে সচলে আনতে পারার কিছু ক্রেডিট তাহলে আমি নিতে পারি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ সত্যপীর। তোমাকে সচলে আনতে পারার কিছু ক্রেডিট তাহলে আমি নিতে পারি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পুরাই। শিশুপালন এবং স্মৃতির শহর সচলায়তনের সেরা দুইটা সিরিজ।
..................................................................
#Banshibir.
অসাধারণ!!!!
--------------------------
সুবোধ অবোধ
---------------------------
শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি কেন এত বোকা হয়?!!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিক্ষা নিয়ে কিছু চিন্তা মাথায় ঘুরছে কিছুদিন,
আমাদের দেশে, বেশিরভাগ মানুষ শিক্ষার সুযোগ পায় না। যারা শিক্ষার সুযোগ পায়, তাদের প্রায় সবাই-ই সেটাকে স্রেফ চাকরী পাবার পূর্বশর্ত মনে করে। ফলে উচ্চশিক্ষিত হয়েও তাদের অন্ধকার কাটে না।
বাকি থাকে অল্প কয়েকজন যারা শিক্ষার মর্ম বুঝতে পারে। কিন্তু এদের মধ্যেও আছে স্থবিরতা, এদের বেশিরভাগই মনে করে, জ্ঞান হচ্ছে মাথার মধ্যে ভরে নিয়ে সকাল বিকাল বসে বসে জাবর কাটার জিনিশ। জ্ঞানী-উদ্যোগী বা জ্ঞানপ্রেমী-উদ্যোগী শ্রেণীর মানুষ নেই বললেই চলে। এই কারণেই, এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগেও, সিগন্যালের চেয়ে নয়েজের প্রবাহই বেড়ে চলেছে।
আর স্বপ্ন নিয়ে বলা যায়, স্বপ্ন শুধু দেখার জিনিশ না। স্বপ্ন হলো বাস্তবায়নের জিনিশ। শুধু দেখে বসে থাকলে সেটা অলিকই থাকে।
কেপলার যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলো, সেগুলো দেখেই সে বসে থাকেনি। তার সারাজীবনের কঠোর সাধনা সেই স্বপ্নতাড়িত হয়েই এগিয়ে গেছে। শতবর্ষ পরে তার সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে, ঐ সাধনার ফলেই। স্বপ্ন কমবেশি সবাই-ই দেখে, কিন্তু স্বপ্নতাড়িত হতে না পারলে ওতে কোনো কাজ হয় না।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গেলে অনেক সাধনা লাগে - কিন্তু পূর্বশত হচ্ছে স্বপ্নটা দেখতে হবে। পয়সা আয়ের উদ্দেশ্যে শিক্ষিত না হলে হয়ত অনেকেই স্বপ্নের পেছনে দৌড়াতো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দামী লেখা।
হ্যাঁ, স্বপ্ন তো দেখতেই হবে। আর স্বপ্নে স্বপ্নে লড়াই-ও চলবে।
তার-ও পরে থাকে যে কথা - স্বপ্নটা নিয়ে লড়ে যাওয়া!
-
একলহমা
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখাটাও জ্ঞানের হইছে।
যাহোক, পড়লাম এবং বিমোহিত হলাম। আজকাল ফেইসবুক'ও 'বুক' হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত জ্ঞানী আলোচনা আর সমালোচনায় গিজগিজ করে। আমি ওয়াদা করেছি, ফেইসবুকে কোন জ্ঞানের আলোচনায় অংশ নিবো না। কারণ ঐ আপনার কথাটা - গর্ভে জ্ঞান নাই।
আপনার কথার প্রতিটি হরফের সাথে সহমত প্রকাশ করছি আর এটাকে আমার লেখা হিসেবে দাবী করছি। কারণ বলতে চাইলেও এইভাবে বলা আমার পক্ষে অসম্ভবের চেয়েও বেশি কিছু। আমি ভারী কিছু লিখতে বা বলতে পারি না। সেটা ফেইসবুক থেকেই শিখছি।
ধন্যবাদ।
আপনার লেখা কিন্তু দেখছি না অনেক দিন, মন্তব্যে যখন উপস্থিত আছেন তারমানে সচল পড়ছেন। শুরু করে দিন না হাত খুলে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনের কথাগুলো অন্যের লেখায় দেখার মাঝে একটা ঝরঝরে আনন্দ আছে।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
ধন্যবাদ ঈয়াসীন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হলো যেন বৈঠকখানার কোনো আড্ডার কথা শুনলাম। ভালো লাগল আপনার বক্তব্য। পুরোটার সাথে, এক কথায় বললে, একমত।
আমি মনে করি আমাদের দেশে প্রকৃত শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তারপরও কিছু আদর্শবান মানুষ আছেন, স্বপ্নবাজ মানুষ আছেন, যাদের উপর ভর করে দেশ টিকে আছে, চলছে, এগোচ্ছে।
আপনার এই লেখাটাও কাউকে না কাউকে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রেরণা দেবে, এই বিশ্বাস করি।
ভালো থাকবেন।
বিঃদ্রঃ বিবিসি - বাঁশেরকেল্লা ব্রডকাস্টিং "সার্ভিস" হবে না। তাহলে বলতে হবে "বিবিএস"। তবে, বাংলায় চিন্তা করলে "ব-ব-স"-তে মিল আছে।
ধন্যবাদ অপ্র। ওইটকে বাঁশেরকেল্লা ব্রডকাস্টিং সেন্টার করতে হবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কেপলারের এপিটাফে লেখাছিলো স্বরচিত দুই লাইন,
“I measured the skies, now the shadows I measure.
Sky-bound was the mind, Earth-bound the body rests.”
স্বপ্নই আমাদের এগিয়ে নিয়েছে এবং নিবে, যতই বাঁধা আসুক।
facebook
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বর্তমানে বংলাদেশে মাদ্রাসা ছাত্রের সংখ্যা, ৩২ লক্ষ এবং মাদ্রাসা শিক্ষকের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৬ হাজার। বলা হয়ে থাকে এই বিশাল সংখ্যার মাদ্রাসা ছাত্রের অধিকাংশের অভিভাবকেরা কিশোর বয়সে এদের ভরনপোষণ করতে অপারগ হবার কারনে এদেরকে মাদ্রাসা বা এতিমখানায় ভর্তি করে দেয়। মূল বিষয়টি হচ্ছে, 'সম্পদের অসম বন্টন'। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কিন্তু সম্পদের সুসম বন্টনের কথা বলা ছিলো। মানবতা, বিবেকবোধ, ইত্যাকার বিষয় এখন দেখানোর বিষয়, ব্যাক্তিজীবনে পালনের বিষয় নয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, সেটুকুই আমাদের আশা ভরসার জায়গা। আর শিক্ষার কথা বলছেন ? সেটা এখন কোন পর্যায়ে তা আপনি ভালই জানেন। এই দেখুন, কথায় কথায় বোধহয় জ্ঞানের কথা বলে ফেললুম।
লেখা ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ও, আরেকটা কথা, স্বপ্ন সবাই দেখে। স্বপ্ন ছাড়া বাঁচা যায়না। তবে কেউ স্বপ্ন দেখে, গাড়ি,বাড়ি, নারীর আর কেউ সমাজ পরিবর্তনের।
আপনার লেখা পড়তে এতো ভাল্লাগে
ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
স্বপ্নের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মত শক্তি আজও কোন রাষ্ট্র অর্জন করতে পারেনি। দারুণ কথা তাসনিম ভাই।
আপনার লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়ি। অনেক বিষয়কে খুব সাবলীলভাবে ক্রমস ফুটিয়ে তলেছেন। আপনাকে স্যালুট। আমিও স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর দেশ আর ভালো আগামীর। ভালো থাকবেন।
আপনার স্বপ্নটা বেঁচে থাকুক। ধন্যবাদ আপনাকে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এটাকে বলে Factoid।
একটা মজার বিষয় - জনাব ফালুকে BNP র ছেলেরা, ২৫০০ শহীদের খবর না দেবার জন্য, পিটিয়েছিল।
তাই - নাকি? এটা জানতাম না তো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, স্বপ্ন নিয়ে এ লেখাটাও বরাবরের মতই খুব ভাল লাগল।
বাংলাদেশের মত দেশে, যেখানে সাধারণ মানুষ স্বপ্ন দেখতে লজ্জা্ পায়, স্বপ্নভঙ্গের ভয়ে, সেখানে মূল প্রশ্ন হচ্ছে- স্বপ্নটা কাদের দেখা উচিৎ? আমরা, সাধারণেরা তো প্রতিনিয়ত টিকে থাকার সংগ্রামে ব্যস্ত। ১০টা ৬টা অফিস, রাস্তায় জ্যাম আরো ৪ ঘন্টা- এতকিছুর পর স্বপ্ন দ্যাখার ফুরসতই বা কোথায়? আর ফুরসত না হয় বের করে নিলাম, দেশ নিয়ে বাস্তবধর্মী স্বপ্ন দেখলাম বেছে বেছে, স্বপ্ন বাস্তবায়নের কৌশলও বের করলাম খেটেখুটে, কিন্তু যাব কার কাছে? কে আমার/আমাদের স্বপ্নটা কী, কেন- সেটা বুঝতে আসছে ?
বহু আগেই ড। মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলে গেছেন, যে দেশে গুনীর সমাদর নেই, সেখানে গুনী জন্মায় না। আজ মাঝে মাঝেই ভাবি, আমরা কি কথাটা উল্টো বুঝলাম? সেই জন্যই কি আমরা স্বপ্নটপ্নর থোড়াই কেয়ার করে ‘নগদ যা পাও হাত পেতে নাও’ এ এত বিশ্বাসী?
তাই বা বলি কি করে? বিশ্বাস ব্যাপারটাই তো আজকাল চোখে পড়ে না।
খুব প্রাণিত হলাম লেখা পড়ে। যারা প্রাণিত হলে এ জদপদের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা ছিল, তাদের মত মহা মহা মানবরা এ লেখা পড়বে কী-না, সন্দেহ। পড়লেও তাদের অন্তসারশূণ্য হৃদয়ে এ লেখার মর্মবাণী পৌছাবে কী-না, সেটাও প্রশ্ন।
পরীক্ষার জন্যে লেখাটা পড়তে পারি নাই আগে। 'শিক্ষিত' হওয়ার চেষ্টা! অন্তত সার্টিফিকেট পাওয়ার চেষ্টা তো ছিলই।
শেষের কয়েকমাসে 'বন্ধু'দের সাথে দুরত্ব বেড়েছে অনেক। অনেকের সাথে কথা বলারও ইচ্ছে নেই আর। সিজনাল মানবতাবাদী, সুশীল ভেকধারী ভণ্ড সম্প্রদায়কে দূরে রাখাই শ্রেয়। জেগে জেগে ঘুমায় ওরা- স্বপ্ন দেখবে কী করে।
স্বপ্নবাজী
নতুন মন্তব্য করুন