পরবর্তীতে বড় হয়ে আমি বুঝতে পেরেছি ভাবটা বুঝতে হলে প্রথমে "ভাউ" বুঝতে হবে। নতুন অফিসে গেলে বসের ভাউ, বিয়ে করলে শ্বশুর বাড়ির ভাউ, প্রবাস থেকে ফিরলে বন্ধুদের আড্ডার ভাউ, সরকার চালাতে গেলে বিরোধীদলের ভাউ, গান গাইতে গেলে দর্শকের ভাউ - এই সবই প্রথম বুঝতে হবে। আমরা যত ভাউয়ের কাছাকাছি যেতে পারবো ততই ভাবের দর্শন পরিস্কার হবে। আমি ভাষাবিদ নই, তবে ভাব আর ভাউ একই জিনিস হওয়ার সম্ভবনাও ক্ষীণ নয়।
সুতরাং "যখন বৃষ্টি এলো" ছবির নাম "দ্য রেইন" করা হলো তখন আমরা কিছুই বলি নি। শুধু কার্টুন পত্রিকা উন্মাদ "দ্য ফাদার" (ওটা বাংলা ছবি কিন্তু নামটা ইংরেজি ছিল) ছবির বাংলা নাম দিয়ে দিল "যখন বাবা এলো" তখন লোকজন বিস্তর হাসি-তামাশা শুরু করে দিল। সেই উন্মাদীয় প্রেরণাতেই আমার এই লেখার ইংরেজি নাম হচ্ছে দ্য ট্রিপ যেটার বঙ্গানুবাদ করেছি - যখন ভ্রমণ এলো। তবে এর মধ্যেও ভাবানুবাদের ব্যাপার আছে। সেটা পরে পরিস্কার করব।
এমনিতে ভ্রমণ কাহিনী লেখা খুব কঠিন কিছু না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তারেক অণু - পৃথিবীর ওপরে, নিচে, মাঝখানে অথবা পেটের মধ্যে যেইখানেই যাক না কেন, গোটা দশেক লেখা দিবেই। কর্ম সম্পাদনকালে বাথরুমের জানালার বাইরে দিয়ে পঞ্চমীর চাঁদ দেখলেই দেখেলেই আমরা একটা আনকোরা লেখা পাই তার কাছ থেকে। এই লোককে রবিন আইল্যান্ডে আটকে রাখলেও সে দরজার খিল নিয়ে নতুন নতুন লেখা দিবে - আমাদের বিমোহিত করবে। সুতরাং ভ্রমণকাহিনী লেখার সব কঠিন দিকটা হচ্ছে প্রথমে বের করা তারেক অণু কোথায় যায় নি - এর পরে সেই কাহিনী তুলে ধরা। লোকমুখে শুনেছি সেই মার্কিন মুল্লুকে আগামী বছর আসবে - সুতরাং এর আগেই আমাদের গল্পগুলো ফেনিয়ে ফেনিয়ে বলতে হবে আপনাদের।
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। আর আমার দৌড় হচ্ছে পোর্টল্যান্ড পর্যন্ত। প্রতি বছরই আমি পৃথিবীর ম্যাপ উল্টে-পাল্টে দেখি, সুইডেন থেকে সুনামগঞ্জ অথবা ব্রাজিল থেকে অস্ট্রেলিয়া অনেক কিছুরই পরিকল্পনা করি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পোর্টল্যান্ডে যাওয়াটাই ঠিক করি। এর কিছু অবশ্য কারণ আছে।
প্রথম এবং মূলকারণ হচ্ছে আমার বাল্যবন্ধু এহসান নাজিম। গত পাঁচ বছর ধরে নাজিম পোর্টল্যান্ডেই থাকে। নাজিমের সামন্য একটু পরিচয় দিয়ে নেই। নাজিম এবং আমি কলেজ জীবন থেকে একসাথে পড়ি। এক সময়ে নাজিম কবিতা লেখার পাশাপাশি একটু-আধটু লেখাপড়া করতো, কিন্তু এখন তিন পুত্রের পিতা হওয়ার পরে কবিতাটাকে একটু দূরে সরিয়ে রেখে সংসার ধর্ম পালন করছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর যেকোন বই পেলেই সে জোগাড় করে ফেলে এবং ধার দিতে কুন্ঠা করে না। মধ্যবয়েসে এসে আমাদের বন্ধুদের অনেকেই ধার্মিক হয়েছে নাজিমও তাদের মধ্যে একজন। ফেসবুক দেখলে মনে হয় আমার সেই ধার্মিক বন্ধুদের অনেকেই ইসলাম ধর্মের বদলে জামাতি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন - তাদের পোস্ট থেকে কেমন বোঁটকা একটা গন্ধ আসে। নাজিম এক সাংঘাতিক ব্যতিক্রম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেমন ধারণ করে সে - ঠিক তেমনি ধর্মীয় অনুশাসনগুলোও মেনে চলে। নাজিমের সাথে একসময়ে প্রতিদিন দেখা হতো - সিগারেট ভাগ করে খেতাম আমরা - যদিও আমরা সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি - কিন্তু স্মৃতি বিসজর্ন দেই নি। স্মৃতি ভাগ করে খাওয়ার জন্য বছরে একবার দেখা হলেও মন্দ লাগে না।
যদিও নাজিম আর আগের মতো কবিতা লেখে না, কিন্তু বহুদিন পরে প্রায় কৈফিয়তের মতোই এই কবিতাটা সে লিখেছে...
গৃহের কবি/এহসান নাজিম
না হয় আমি গৃহের কবি
কাজের শেষে সদাই করে বাড়ি ফিরি --
সবার মতই ভাবনা করি, আহার করি
পাঁচ দশটা গৃহীর মতোই
তোমার পাশেই ঘুমিয়ে পড়ি,
না হয় আমি কান্না দেখে কাঁদতে বসি -
গভীর রাতে দুঃস্বপ্নের তাড়া খেয়ে
হাতড়ে পাচড়ে তোমায় খুজি ।
হঠাৎ করে উঁকি দেয়া বাউন্ডেলে
মনের জন্য দুঃখ চেপে কবর খুঁড়ি,
জ্যোৎস্না কালেও বদ্ধ দুয়ার
ছটফটিয়ে নিজেই মরি ..
আমি যদি এই কবিতার রিভিউ লিখতাম, তবে শুরু করতাম এই লাইনগুলো দিয়ে -
গেরস্ত কবি হওয়া ঝামেলা কম না। জীবনের চাপ আমাদেরকে প্রায় মোহাম্মদপুরের বিহারি দোকানের চাপের কাছাকাছি নিয়ে গেছে...
মে-মাসের এক বুধবার আমি ম্যাপ-ট্যাপ দেখে অনেক চিন্তাভাবনা করে তৃতীয়বারের মতো পোর্টল্যান্ড যাওয়ার জন্য টিকেট কাটলাম। এইবার পোর্টল্যান্ডের দ্বিতীয় ফজিলত বর্ণনা করব। প্রতিবার অনেক অনেক নতুন জিনিস দেখার মতো আছে মার্কিন দেশের এই পশ্চিম উপকূলে। তিনবার ভ্রমণের পর যদি আমি "হেফাজতে পোর্টল্যান্ড" উপাধী পেয়েছি - তবুও এখন অনেক অনেক কিছু দেখা হয় নি। ওয়াশিংটন রাজ্য একদম পাশেই। ক্যানাডার পশ্চিম উপকূলের বৃটিশ কলাম্বিয়া রাজ্য এইখান খুব দূরের পথ নয়। ভ্যাঙ্কুভার ভ্রমণ নিয়ে লেখার একটা লিঙ্ক এখানে দিলাম। পুরো জায়গাটার ভাউ বুঝতে আরও অনেক অনেকদিন লাগবে। ঠিক হলো জুন মাসের আঠারো তারিখ আমি পোর্টল্যান্ডের পৌঁছাবো।
টিকিট রেডি করার দুই তিন পরেই আমাদের অফিসের পিকনিক ছিল। প্রতি বছর অফিসের দুটো পিকনিক হয়। খাবারের আয়োজন প্রচুর থাকে - সামুচা, ইডলি, দোসা, ভেজি বিরিয়ানি থেকে শুরু করে গরু, শুয়োর, বিয়ার সহবস্থান করে টেবিলে - একদম পাশাপাশি। সাধে কি আর এই দেশকে মেল্টিং পট বলে। হালাল আর হারামকে একই টেবিলে আরামে স্থাপন করাটাই মার্কিন দেশের মূলনীতিগুলোর একটা। আমিও সেই মূলনীতি পালন করে যাচ্ছিলাম, এই সময়ে আমার বস আমাকে ডাকলেন। বস দেখতে ব্রায়ান লারার মতো - হঠাৎ করে দেখলে ব্রায়ান লারার মামাতো ভাই বলে মনে হবে - ওই দেশেরই লোক তিনি। ধরা যাক তার নাম ব্রায়ান।
একটু ইতঃস্তত করে তিনি জিজ্ঞেস করলেন...
"তুমি গত নভেম্বরে অন্য একটা টিমে চাকরি খুঁজছিলে, এখনো কি সেই চেষ্টা করছো?"
আমি একটু তব্দা খেয়ে যাই। আমি যেন অন্য টিমে না যাই - সেই বিষয়ে প্রচুর নসিহত করেছিল এই ব্যাটা - সেই কথা আর তুললাম না। আমি জানালাম আমি এই টিমেই যাকে বলে [url= http://www.youtube.com/watch?v=wWXTLoWiVIc]হ্যাপি অ্যাজ অ্যা হিপো[/url]।
আমার এই জবাবে সে খুব বিব্রত হলো এবং আমতা আমতা করা শুরু করল।
"ইয়ে, এখন মনে হচ্ছে তখন চলে গেলেই ভালো হতো...এই টিমে বিরাট একটা ছাঁটাই হবে...একদম ইয়ে ব্যাপার..."
আমার একটু কেমন কেমন লাগা শুরু করল। বিয়ার খেতে এতো তিতা কেন? একটু চিনি দেয় না কেন শালারা? মাংসটা কেমন কাঁচা কাঁচা...মার্কিন দেশে চাকরি চলে যাওয়ার ব্যাপার প্ল্যানের ভেতর রাখতে হয়। কিন্তু ফায়ার ড্রিল এক জিনিস আর সত্যিকারের আগুন লাগা অন্য ব্যাপার। অলরেডি পোর্টল্যান্ডের টিকেট কেটে রেখেছি। মোটামোটি অফেরৎযোগ্য টিকেট। যাত্রার বাকি আছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ।
আমি কয়েকদিন পরেই দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। মাঠের মধ্যে অফিসের সহকর্মীদের সাথে দৌড়াচ্ছি। এটা নিশ্চিতভাবে আবুল হোসেন অনুপ্রাণিত এক স্বপ্ন। দৌড়ে যে লাস্ট হবে সে চাকরি হারাবে। আমি জীবনে দৌড়ে লাস্ট ছাড়া কিছু হই নি - একবার অংক দৌড়ে লাস্টের আগের স্পটটা পেয়েছিলাম, কিন্তু অংক ভুল হওয়াতে আবার সেই লাস্ট পজিশনে ফিরতে হয়েছে। দুঃস্বপ্ন দেখে ঘেমে জেগে উঠি। এর মধ্যে পোর্টল্যান্ড ট্রিপ? অফিস জুড়ে ছাঁটাইয়ের গুজব।
আমাদের বাংলা ভাষাও অনেক শক্তিশালী এক ভাষা। সবচেয়ে শক্তিশালী শব্দগুলোর একটা হচ্ছে "ধুর্বাল"। এই শব্দটা নিমিষেই হারানো শক্তি ফিরিয়ে দেয়। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমিও মন্ত্র জপার মতো উচ্চারণ করলাম এই শব্দগুলো। যা হওয়ার তা-ই হবে - আমি পোর্টল্যান্ডে যাওয়া বাদ দেব না। সাম টাইম অ্যা ম্যান গটা ডু হোয়াট অ্যা ম্যান গট অ্যা ডু। বসকে বিস্মিত করে দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়ে নিলাম।
এরপর থেকেই দুঃশ্চিন্তা আর দুঃস্বপ্ন সব উধাও। আমি দিনগুণতে লাগলাম - কখন ভ্রমণ আসবে। বিশ, উনিশ, আঠারো...তিন...দুই...এক...একদিন সকালে আমি গাট্টিবোচকা নিয়ে হাজির হলাম বিমানবন্দরে। যাবতীয় নিয়ম কানুন চুকিয়ে বিমানের দরজার কাছে পৌঁছে অন্য এক টিমের সহকর্মীর সাথে দেখা হলো।
"টেক ইজ করার জন্য বেরুচ্ছি...আগামি দুই সপ্তাহ ফ্লোরিডাতে থাকবো..." একগাল হেসে তিনি জানালেন।
"হ্যাভ অ্যা গুড টাইম, যা হওয়ার তাই হবে...স্ক্রু দেম"...যাওয়ার আগে উপদেশ দিয়ে গেলেন।
আমি বিমানে উঠতে উঠতে দ্য ট্রিপের ভাবার্থ বুঝতে পারলাম। দ্য ট্রিপ মানে হচ্ছে - যখন ভ্রমণ এলো - একদম নিশ্চিতভাবেই।
(চলবে)
নানান কারণে সচলে প্রায় চার মাস লেখা হয় নি। লেখালেখি যেমন অভ্যাসের ব্যাপার, তেমনি লেখা বন্ধ করে দেয়াও অভ্যাসের ব্যাপার। আলস্য কাটিয়ে লিখতে বসে মনে হলো এই ভ্রমণটা নিয়েই লিখি না কেন?
ভ্রমণ কাহিনিতে নিদেনপক্ষে একটা ছবি দেওয়া উচিত। খুঁজে পেতে দুই-একটা পাহাড়ের ছবি জুড়ে দিলাম। গল্প সল্প পরে করব।
মন্তব্য
মুড়ি-চানাচুর নিয়ে বসলুম। চা খাবেন না। চা ক্ষুধামন্দার কারন।
____________________________________________________________________________________
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।
মুড়ি বাসি হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার দেয়া ছবি ওয়াশিংটন স্টেইটের অলিম্পিক মাউন্টেইনে তোলা মনে হচ্ছে, সেখানকার কি?
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
প্রথম ছবিটা অলিম্পিক মাউন্টেনের হারিকেন রিজে তোলা। নিচের ছবিটা মাউন্ট রেনিয়ারে তোলা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গাছে উঠায়ে মইটা কেড়ে নিলেন। জুত করে পড়তে বসছি এতদিন পর আপনার লেখা পেয়ে ... সাথে বিশাল এক মগ কফি ... বস কাছাকাছি আসায় বললাম I will follow up with you later যার মানে কিনা দূরে গিয়া মর ... মাঝখানে দুইবার ফোন বাজল ধরলাম না ... ইত্যাদি ইত্যাদি করে ফুস করেই দেখি লেখা শেষ ... তাত্তারি পরের কাহিনী বলেন
আশা করছি দ্রুতই পরের পর্ব দিতে পারবো। তবে প্রতি পর্ব ছোট সাইজের হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আগে 'like' দিলাম । পরে পড়বো । জানি ঠকবো না ।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
"ধুর্বাল" এইডা কিছু হইল! শুরুর আগেই খুন!
আয়েশ করে শুয়ে শুয়ে পড়ার চিন্তা করছিলাম, যাই গা লিখতে বসি,
নাহ তাসনীম ভাই বিশাল দাগা দিলেন, বিয়াপক দুর্নাম সহ
facebook
আরে ভাই একটা পর্ব শূন্য, এই ধৈইজ্জ ধারণ করতে হবে। আপনি এই মুল্লুকে আসার আগেই লেখা শেষ করতে পারবো আশা রাখি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শেষ করতে করতে - পপকর্ণ টাটকা নাও থাকতে পারে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তারপরে কি হইল? পর্ব ১ থেকে ১০ একবারে দেন কালকে বা পরশু।
..................................................................
#Banshibir.
এরপরে কি হলো একটু চিন্তাভাবনা করে লিখতে হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খাইসে, ভ্রমণকাহিনীও বানাই বানাই ল্যাখপেন নাকি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নাহ, আমার স্মৃতিশক্তি দুর্বল
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লেখালেখি যে কঠিন পরিশ্রমের কাজ সেটা আপনার লেখা পড়েই বুঝতে পারলাম,অর্ধেক লিখে বলে দিলেন আজ বিদায়।এটা হইলো কিছু?
কৌতুহলকে জাগিয়ে দিয়ে ধপাস করে দিলেন আবার নিভিয়ে ।তাড়াতাড়ি শেষ করেন,না হলে এই গল্পটা আর মাথা থেকে যাবে না।আপনার বন্ধু নাজিম সম্পর্কে ও জানার আগ্রহ বাড়ছে,বেশি ভাগ ট্রেডিশনাল বাঙালি যৌবনে প্রচন্ড রকম অবিশ্বাসী(নাস্তিক)হলেও শেষ বয়সে কঠিন আস্তিক হয়ে যায়,আল মাহমুদের মতো।যাইহোক, এটা মূল বিষয় না।অপেক্ষায় থাকলাম যেন তাড়াতাড়ি পাই।লেখা হইছে ভাই।
মাসুদ সজীব
ধন্যবাদ, পরের পর্বগুলো সব ছোট ছোট সাইজের হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অপেক্ষার চেয়ে মধুর কষ্ট আর নাই।
অপেক্ষার মত অপেক্ষা হলে,যে এবং যার জন্য অপেক্ষা দুজনেরই লাগে।
শুরুতেই শেষ করে দিলেন।
শাকিল অরিত
আস্তে আস্তে লিখছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেলাম। অনেকের মতো আমিও রসিয়ে পড়বার প্রস্তুতি নিয়েই শুরু করেছিলাম, কিন্তু আমার ছোট্ট মগের কফি শেষ হবার আগেই দেখি লেখা শেষ। এইটা লেখার গুণে না ছোট আকারের লেখার জন্য সেটা বোঝার চেষ্টা করছি।
লেখাটা আমার সাধারণ লেখার ৬০% সাইজ
তবে ফিরে আসার জন্য খুব ছোট নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দ্যা ওয়েটঃ অপেক্ষার পালা ০
চা বিক্কুট শেষ করে তাড়াতাড়ি লেখা নামান। এতদিন পরে লিখলেন তাও শুরু না হতেই শেষ?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বড় সাইজের দিতে গেলে আরও চার মাস লাগতো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আব্বাগো আর ফাইরতেছিনা টাইপের লেখা চাই
সেইটা তো মনে হয় শিশুপালন
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভ্রমণ ইস্যুতে আমার ভাল বদনাম আছে। এমনিই 'পা' ছোট, তাতে আবার লোকজন চোখ বুঁজে কুবাক্য কয়---
''এইসব খুকী নিয়ে সমিস্যা। প্রথম প্রথম আমাকে নাও আমাকে নাও বলে হাত পা ছড়ায় কাঁদবে। এরপর একা একা ক্যাম্নে যাব, কি খাব বলে ঠোঁট ফুলাবে।''
জালিম দুনিয়া।
পরের পর্ব জলদি দিন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আসব দ্রুতই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লোকেরা কি করে ভ্রমণকাহিনী লেখে কে জানে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জুইত কইরা হোমওয়ার্ক বাদ্দিয়া পড়তে বসলাম! দেখি শুরু হইতে না হইতে লেখা শেষ! তাত্তাড়ি পরের পর্ব দেন
---------------------
আমার ফ্লিকার
হোমওয়ার্ক ফ্রেন্ডলি সাইজ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গুজব মানুষকে ভেঙ্গে দেয় আবার দুঃসাহসীও করে
আমরাও কেমন জানি '৬৭ জনের লিস্ট' সংক্রান্ত 'গুজব' ['ফ্যাক্ট' কি না তার কঠিন খোজখবর করা হচ্ছে ] শুনছি আর সন্ধ্যায় বেরিয়ে সদলবলে হাকিম চত্তরে গিয়ে চপ উড়িয়ে আসছি (চিংড়িরটা সুবিধার না, মুরগারটা ভালোই)! কারণ-
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লাইনে আসলাম
গুড
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অফ টপিক প্রশ্নঃ আপনি কি গভঃ ল্যাব এর ছাত্র নাকি?
হ্যাঁ - আমি পুরো দশ বছর কাটিয়েছি ওইখানে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জুত করে বসলাম, এইবার গল্প সল্প শুরু করেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
পর্ব-১ থেকে শুরু হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনেও দেখি তুলিরেখাদির স্টাইল ধরলেন -মাত্র যখন জমে উঠেছে খেল, তখনই "বোল্ট ফ্রম দি ব্লু"! ভাবছি আপনারও লেখার শেষে আগে এসে দেখবো পরের পর্বে সমাপ্য কিনা!
____________________________
নাহ তিন/চার পর্ব হবে হয়ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তীব্র মানসিক যাতনায় ভুগছিলাম । আপনি জানেননা আপনি আমার কি উপকার করলেন !
"সাম টাইম অ্যা ম্যান গটা ডু হোয়াট অ্যা ম্যান গট অ্যা ডু"
উপকার করে পেরে আনন্দিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নাম না থাকলে এটা যে আপনারই লেখা মনে হয় ধরতে পারতাম না। কেমন যেন অন্য রকম লাগল - আপনার সিগনেচার টোনটা ছিল না। খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে লিখেছেন নাকি?
****************************************
খুবই দ্রুত লেখা, আমি আবার লেখা শুরু করতে চাইছিলাম, নানান কারণে শুরু করতে পারছিলাম, ফাইন্যালি শুরু করে দিলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আস্তে আস্তে লিখছেন এই কথা শুনে আমি ৫টন ওজনের একটা মাইন্ড(বোমা না,কষ্ট) খেলাম।জানেনিতো সমগ্র বাংলাদেশ ৫টন ওজন ।তরাতরি শেষ করেন ভাই।
মাসুদ সজীব।
দ্বিতীয় পর্বে আসবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
‘ধূর্বাল’ শব্দটি এসেছে আল ফাসারি ‘হুবাল’ থেকে হুবাল (অঃছঃ) ছিলেন বিখ্যাত (আসলে কুখ্যাত?) উবিল বিন ছুবিল-এর বড় ভাইয়ের বাবা-শ্বশুরের নানাতো ভাইয়ের চাচাতো ভায়রার ফুপু শাশুড়ির খালাতো নন্দাইযের - - -
সেইেআত্মীয়তা সূত্রেই তিনি আমাদেরও আত্মীয়, এবং জানের দোস্ত
আশা করি বিষয়টিকে কিঞ্চিৎ ক্লিয়ার করতে পেরেছি
পুরা ক্লিয়ার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পাঁচ দিন পারায়া গেছে, পরের ল্যাখা কো ভাইডি?
ধৈইজ্জ ধারণ করুন ভাইডি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কিছু মানুষজন আছে, চরম রসিক, রস টেপাইয়া পড়ে। লেখে ভাল, হাতে সোনা ফলে। রসিক যে, সেটা সে বুঝে, ভাল লেখে সেটাও সে বুঝে, মাইনষে তারে পছন্দ করে, এটাও সে উপভোগ করে, কিন্তু আইলসা। খোদার কসম আমি আসনীম ভাইরে আইলসা কই নাই।
আমি সিওর এইটা চরম উদাসকে বলা হয়েছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
নতুন মন্তব্য করুন