ঐখানে শব্দের কয়েক টুকরা সবুজ দ্বীপ জেগে ছিলো নৈঃশব্দ্যের আদিগন্ত নীল সমুদ্রের বুকে। শব্দে ও নৈঃশব্দ্যে ছিলো গোপণ বোঝাপড়া। তাদের খেলা দেখতে সূর্য উঠতো পুবে, আবার খেলা দেখতে দেখতেই বেলা ঢলে পড়তো।একদিন ঈশান কোণ থেকে ঘূর্ণীঝড় উঠে এসে ওদের সব হিসাব এলোমেলো করে দিলো-
এখানে সোনালী রূপালী শব্দেরা সাঁতরে বেড়ায়-
তণ্বী রূপালী মাছেদের সঙ্গে খেলা করে,
কালচে সবুজ নরম শৈবালের মধ্যে
মুখ ঢুকিয়ে ঢুকিয়ে খাদ্য খোঁজে।
শীঘ্রই এখানে শব্দশিকারীরা
আসবে বলে গুজব শোনা যাচ্ছে-
শব্দেরা পালাবে তারা আসতে শুরু করলেই.....
ওই যে মাঠের শেষে নীল পাহাড়ের পা-
সেখানে ছিলো শব্দমালার ঘর।
সে মালা গাঁথতো ভোরের ফুলে-
সে জল আনতো কাজলাদিঘির থেকে,
সে গান গাইতো ফাগুনের চাঁদনি রাতে,
সেই গান ঘিরে এসে বসতো উজল গ্রহনক্ষত্রেরা....
সেই ঘর নিলাম হয়ে গেলো-
শব্দমালা চলে গেলো দূর দেশে,
সব শব্দেরা পালিয়ে গেলো-
মালা থেকে ছিঁড়ে যাওয়া মুক্তোদানার মত....
এমনি করে পালাতে পালাতে
এমনি করে হারিয়ে যেতে যেতে-
একদিন শব্দেরা ঘুরে দাঁড়াবে,দাঁড়াবে, দাঁড়াবেই....
মন্তব্য
সুন্দর !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মালা থেকে ছিঁড়ে যাওয়া মুক্তোদানার মত....
খুব ভাল উপমা! সুন্দর কবিতা!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
খুব সুন্দর কবিতা !
--------------------------------------------------------
অনেকদিন পরে কবিতার পাতায় এসে দেখি কমেন্টগুলি।
ধন্যবাদ রইলো।
এদিকে কবিতার খাতায় ধুলা পড়ে গেছে, কতদিন খোলা হয় না।
সচলে এত ভালো ভালো কবি আছেন, সম্প্রতি দেখেছি তাদের, তাদের যেকোনো লেখাই কবিতা হয়ে ওঠে, মহাজাগতিক প্রেরণা তাদের কলমে। ভারী সংকুচিত বোধ করছি এই আনাড়ী কবিতার খাতাটা খুলেছিলাম বলে। এইটা নাহয় বন্ধ ই রাখা যাক বাকীসময়।
নতুন মন্তব্য করুন