সবকিছু কেমন অদ্ভুত লাগে, চেনা চেনা আকার, রঙ, শব্দ, ভাষা-সহসা সব অচেনা হয়ে যায়। অসহায় লাগে, খুব অসহায় লাগে। পাথরের সাক্ষীর মতন দাঁড়িয়ে আছি, চারিদিকে আর্তচিত্কার, রক্ত, আগুন, মৃত্যু! সশব্দে সবকিছু ভেঙেচুরে যাচ্ছে-কী ভীষণ অসহায় লাগছে! আত্মগ্লানি ছাড়া আর কোনো অনুভব নেই। আলো নেই, আলো নেই, সব আবছা-আরো ভীষণ অন্ধকারে ডুবে যাবার আগে সব যেন শ্যাওলাটে রঙের একটা পর্দার ভেতর থেকে চেয়ে আছে মৃতের চোখ মেলে।
তবু মানুষ এইসব সময়ও পেরিয়ে গেছে, এর পরেও এসেছে সকাল, আলো, পাখির গান। কিজানি হয়তো কালো সময়ের ও শেষ আছে, হয়তো আলো আছে, ওই পর্দার আড়ালে আলো ঠিকই অমলীন আছে!
দিশাহারার মতন উলটে যাই পুরানো খাতার পাতা-বেরিয়ে আসে কিছু কিছু লাইন, মরুভূমিতে হঠাত্ নামা অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিধারা-
অবাক-জীবন
মানুষের সবটুকু ক্রূরতা এখনও দেখিনি আমরা
দেখিনি বলেই বেঁচে থাকি কবোষ্ণ আশায়-
কবুতরের বুকের মত নরম,
ফুটন্ত ভাতের মত গরম
গ্রীষ্মপারের প্রথম বৃষ্টির মতন
কোমল ঘ্রাণলাগা আমাদের নড়বড়ে বাসায়।
বেঁচে থাকি পোড়া শহরের পাশে-
বেঁচে থাকি পোড়ো বন্দরের শ্বাসে,
বেঁচে থাকি রাত্রির ঝড়ভাঙা বাসায়,
ত্রস্ত মা-পাখির মত উষ্ণ ভোরের আশায়।
নির্বোধ অশ্রুমতী নদী বয়ে যায়-
বিকেলের প্রান্ত ছেড়ে সন্ধ্যাসীমায়,
আমাদের বেঁচে থাকা এমনই অলীক
আমাদের ভালোবাসা হেমন্ত শালিক-
রোগা গায়ে রোগা পায়ে খুঁজে ফেরে দানা
খুঁজে ঠিক পেলো কিনা হয় নাতো জানা-
আমাদের ভাবনারা মুঠা মুঠা তুলা
এলোমেলো ভেসে যায় বুকে নিয়ে বীজ
হয়তো কোথাও পাবে জন্ম-জমিন।
হয়তো কোথাও আছে আগুনের ডানা
উড়িয়ে পুড়িয়ে দিয়ে পুঁথি ফানাফানা,
বের করে নিয়ে আসে স্ফটিক পালক
বালির মিনার গড়া অবাক বালক-
আমাদের স্রোতে ভাসা কুচি কুচি গান
আলোর অধরা লীলা, স্ফূর্ত অণুপ্রাণ।
মন্তব্য
হয়তো ...
কালো সময় দ্রুত কেটে যাবে এই আশাবাদ বেঁচে থাকুক আমাদের মনে।
কবিতা টা খুব সুন্দর।
সত্যিই তো! মানুষের অসীম ক্ষমতার সবটুকুই ভাল হবে, তা নয়...
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
সুন্দর কবিতা ।
......................................................
উত্তর বাংলার অনাহারী যুবক
banglay likhte parchhi naa keno? tuli rekhaa to partase...
চোখবোঁজা
আপনি এ লেখাটা পড়ে নিন না, বাংলা লেখা মোটেই কঠিন না। কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিনের মধ্যেই হাত চলে আসবে।
আপনি বরাবরই ভালো লেখেন। এবারো তাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কবিতার ভূমিকাটাকেই কেন যেন মনে হলো কবিতাদের কবিতা....
আপনার লেখায় মন্তব্য করতে পারি না, এ নিয়ে আমার নিজের মধ্যে একটা অতুষ্টি আছে। সায়েন্স ফিকশন টানে না, ফিজিক্সের লেখাও তেমনি। আজ একটা কবিতা পেয়ে পড়লাম। পুরোটা বুঝি আর না বুঝি ভাল্লাগলো।
তারেক,
আপনাকে ধন্যবাদ।
এই আশাটুকু ছাড়া আর কি ই বা আছে আমাদের?
"মানুষ তবুও ঋণী মানুষেরই কাছে।"
"মুছে যায় পাহাড়ের শিঙে শিঙে গৃধিনীর অন্ধকার গান
আবার ফুরায় রাত্রি,হতাশ্বাস-
আবার তোমার গান করিছে নির্মাণ
নতুন সমুদ্র এক, সাদা রৌদ্র-
সবুজ ঘাসের মত প্রাণ,
পৃথিবীর ক্লান্ত বুকে।"
জীবনানন্দ আজও আমার প্রিয় কবি।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইমরুলকায়েস,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কীর্তিনাশা,
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাইকেন ভাই।
----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মাহবুব লীলেন,
কবিতাটা পুরানো কিন্তু ভূমিকাটা একদম দগদগে, সত্যিই বড়ো অসহায় লাগছিলো।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মন খারাপের সময় মন খারাপের বিষয়গুলো না লিখে লিখবেন হাবিজাবি ফাজলামি
আর মন ভালোর সময় লিখবেন মন খারাপের কথাগুলো....
এই থিউরি ফলো করে দেখেন
দেখবেন চমৎকার একটা ব্যালেন্স তৈরি হয়ে গেছে নিজের ভেতর
মাহবুব লীলেন,
দেখবো ফলো করে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আলমগীর,
আমি কিন্তু আপনার সব লেখা মনোযোগ দিয়ে পড়ি। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মন্তব্য করতে পারিনা, বিষয়গুলো খুব গভীর আর ব্যক্তিগত বলে।
এই ব্লগের পুরানো পাতাগুলোতে আরো কিছু কবিতামতন আছে।
ধন্যবাদ জানবেন, ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা
নির্দিষ্ট কারো মন্তব্যের জবাব দিতে চাইলে মন্তব্যটির ঠিক নিচেই "জবাব" এ ক্লিক করতে পারেন। এতে করে কে কার মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছে ধরা সহজ হয়।
লেখা চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ। এতদিন এই অপশনটা কেন জানি চোখে পড়ে নি!
এখন থেকে এভাবে লিখবো।
কোনার ছবিটা পালটাবো কেমনে? পুরানোটাই দেয় কেন নতুন আপলোডালাম কতগুলি তাও পুরানো লালফুল আসে কেন?
বেশ। ভক্তবাদ জানবেন।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
জানলাম।
ধন্যবাদের সাথে গৃহীত হলো।
নতুন মন্তব্য করুন