মায়ের বুকের কাছে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে তৃণার। কেমন একটা নরম ওমের গল্প সেখানে! সে কল্পনায় অনুভব করার চেষ্টা করে কেমন হবে সেই দেশ! কিন্তু মাকে বলতে পারে না, কেমন সঙ্কোচ হয়। মা আবার তাড়িয়ে দেয় যদি? যদি বলে যা যা, চলে যা?
মা নিতো না তৃণাকে। তৃণা ওর ঠাকুমার সঙ্গে সঙ্গে থাকতো সবসময়, ঘুমাতো ও ঠাকুমার সঙ্গে। মায়ের সঙ্গে ঘুমাতো ছোট্টো ভাইটা। একেকদিন মায়ের সঙ্গে ঘুমাতে চাইলে মা ঠেলে বার করে দিতো-বলতো, "না না আজকে না, আরেকদিন।" ঠেলে দেওয়া সেই কোমল মেয়েটা মরে যেতো তক্ষুনি, জানে তৃণা। জন্মাতো অন্য একটা তৃণা- যে জানে পৃথিবী কত কঠিন, যে জানে প্রত্যাখ্যান কাকে বলে,আঘাত কাকে বলে, আগুন কাকে বলে। ঠেলে দেওয়া মেয়েটা কোমল মন নিয়ে মরে যেতো, সে তো জানতে চায় নি কাকে বলে আঘাত, কাকে বলে অবহেলা, কাকে বলে প্রত্যাখ্যান-আর তা তাকে জানতেও হবে না।
"আরেকদিন"-মা বলতো তৃণাকে। মানে আরেকদিন মা নেবে তাকে। কোলের কাছে, ওই কোমল ওমের মধ্যে। সেই আরেকদিন আর আসে নি, বছরে বছরে কত্ত বড় হয়ে গেছে তৃণা, উঠানের আমাগাছটার মতন। তারপরে একদিন নিজের এক ঘর হয়েছে তার, সেখানে আর কেউ নেই, শুধু তৃণা আর তার বইয়েরা। না, মা নেই সেখানে। বিছানা করে দিয়ে, মশারি গুঁজে দিয়ে মা চলে যায়, তৃণা তার কেউ না। তার যে সত্যি-মেয়ে ছিলো, সেতো মরে গেছে কবে! মা জানতেও পারে নি।
ঠাকুমাও নেই আর, সময়ের কাছে সাক্ষ্য দিতে চলে গেছে কোন্ অজানায়, যেখান থেকে আর কেউ ফিরে আসে না। আসে না কি? হয়তো আসে, অন্য কোনো নতুন সময়ে, অন্য কোনো নব-রূপকথায়! সেই ছোট্টো মেয়েটা, অবাক রাত্রে চুপচাপ মরে গেছিলো যে, সে কি কোনোদিন ফিরে আসবে? অন্য কোনো দেশেকালে, অন্য কোনো জীবনে? না আসাই ভালো তার, না আসাই ভালো। এ জগত্ কঠিন, বড়ই কঠিন তার পক্ষে।
জানালার বাইরে উথালপাথাল জ্যোত্স্নায় আকুল পৃথিবী, তৃণা আস্তে আস্তে বিছানা ছেড়ে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। দখিণ হাওয়া ঝুরুঝুরু করে শব্দ করছে আমগাছটার পাতায় পাতায়। যেন কানে কানে কথা কইছে। তৃণার চোখের জল কবে শুকিয়ে গেছে, একদিন সব ফিরে আসবে-সে জানে। যেমন ফিরে আসে হারিয়ে যাওয়া নদী! তখন এইসব ঘরবাড়ী, উঠান,আমগাছ, ধানক্ষেত,ঝিরিঝিরি দখিণ হাওয়া, ঘুমিয়ে থাকা সব প্রিয় মানুষেরা-তারা কোথায় থাকবে?
কোথায় হবে সেই ফিরে আসা? সে কি পৃথিবীতেই নাকি অন্য কোথাও? নিশ্চয় অন্য কোথাও, যেখানে মানুষের জীবনের ক্ষুদ্রতাগুলি,নিষ্ঠুরতাগুলি নেই, যেখানে অসীম করুণা আলোর মতন ছড়িয়ে আছে অসীমতর হয়ে! চোখ বন্ধ করে তৃণা, ফিসফিস করে বলে, "আমি একদিন যাবো তোর কাছে, একা একাই যাবো। সমুদ্রনীল তোর শাড়ী, তাতে তারার চুমকি বসানো। আমি ঠিক চিনতে পারবো দেখিস। তোর চোখের মধ্যে যে আকাশ লুকানো, আমি ঠিক তোকে চিনে নেবো দেখিস। আমার ভুল হবে না। এই পাথরকঠিন খোলসের ভিতরে আমি লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমার পরশমাণিক, সেখানে পৌঁছে তোকে তা দেবো।" সে ফিরে আসে বিছানায়, শান্ত ঘুমের ওমের মধ্যে নিজেকে সমর্পণ করে।
***
এবারে শুধু ছুটি কাটানো, এবারের ছুটিই তৃণার শেষ ছুটি। অঢেল সময়, দৌড়াদৌড়ি নেই। কতদিন তো শুধু দৌড়াদৌড়িতেই গেল! এবারে শুধু বিশ্রাম। বাবামাকে সে এখনও কিছু বলে নি, কদিন পরে তো জানতে পারবেই তারা।
বাড়ীতে শুধু তারা তিনজন এবারে, ভাই দূরের শহরে চলে গেছে চাকরি নিয়ে। তৃণা তার সমস্ত সঞ্চয় ঠিকঠাক সময়ে ট্রানস্ফার করার ব্যবস্থা করেই এসেছে। ভাই জানে, কিন্তু সে ভাইকে না করেছে বাবামাকে কিছু জানাতে। পরে তো.....
তৃণার প্রিয় লালশাক, বেশী করে ঝাল দেওয়া টোমাটোসর্ষে, নারকেল দেওয়া মুগডাল আর লাউচিংড়ি রেঁধেছিলো মা। সঙ্গে ছিলো গরম ভাতে নতুন আলুসেদ্ধ-কাঁচা মরিচ
আর সর্ষের তেল দিয়ে মেখে। আ:, তৃণার খুব প্রিয়। খুব তৃপ্তি করে খেয়েছে সে। মাছমাংস আর খেতে ইচ্ছে করে না তার, এতদিন নানাকিসিমের মাংসই তো খেয়ে গেছে বিদেশ বিভুঁইয়ে, এখন আবার ছোটোবেলার প্রিয় খাবারগুলো খেতে ইচ্ছে করে তার, সামান্য সব জিনিস, কত অসামান্য আজ! তখন কতকিছু সে চাইতে পারতো না, চাইলে বকুনি খেতে হতো। আজ তাকে এরা কত কি দিতে চায়, আজ সে নিয়ে কি করবে? সময় তো আর নেই!
রাত্তিরে নিজের ঘরে একা একাই শুয়ে ছিলো তৃণা, ঘুমিয়ে পড়েছিলো সে। ঘুম ভেঙে দ্যাখে পাশে মা। মা কি কিছু বুঝতে পেরেছে? তৃণা মায়ের হাত নিয়ে নিজের পিঠের উপরে রাখে, মা বলে,"কি রে মনা?" তৃণা ফিসফিস করে বলে,"মা, অনেক আগে তোমার থেকে চুরি করতাম, তোমার পার্স থেকে লুকিয়ে নিতাম টাকা। চাইলে যদি বকো, তাই চুরি করে নিতাম। ট্রেনে বাসে টিকিট কাটতে লাগতো। মাঝে মাঝে দুপুরে খুব খিদেও পেত। দু'টাকার ঝালমুড়ি কিনে খেতাম। টাকা যে নিতাম, তুমি তা জানতে পারোনি তখন, জানলে হয়তো শাস্তি দিতে। দাও, এখন শাস্তি দাও।"
মা আস্তে আস্তে তৃণার পিঠে হাত বুলায়, বলে, "টাকা তো আমার না মনা, আমি কি চাকরি করতাম? সব তোর বাবার টাকা। এমনিতে তো তোকে দেওয়ারই কথা, ট্রেনবাসের জন্য, দুপুরে খাবার জন্য। তুই নিয়েছিস, ঠিকই তো করেছিস।" তৃণা হাসে, বলে, "তখন জানলে কি এই বলতে? তখন জানলে ডান্ডাপেটা করতে। নাও, এখন মারো।" মায়ের হাত ধরে তৃণা আবার পিঠের উপরে রাখে।
মা তৃণাকে জড়িয়ে ধরে চুপ করে থাকে, তারপরে চুলে বিলি কেটে দেয়। অনেকক্ষণ। তৃণা শুনতে পায় মায়ের অস্ফুট ফোঁপানি। মা বলে,"কেন রে তুই আমাদের জানাস নি? তোর ভাইকেও বারণ করেছিস? কেন রে মনা? আমরা কি তোর এত পর?"
তৃণা চমকে ওঠে। বলে,"ও তোমাদের বলে দিয়েছে? ইশ, এত করে বারণ করলাম! তবু বলে দিলো? "
মা কাঁদছে, তৃণা চোখ মোছায় মায়ের। বলে, "আর কয়মাস পরে ট্রানস্ফার নিয়ে এই শহরে চলে আসবে ভাই। তখন ওকে বিয়ে দিয়ে সংসারী করে দিও। আমি ওর বান্ধবীকে দেখেছি মা, খুব ভালো মেয়ে। দেখো, ওরা সুখী হবে। তোমাদের খুব ভালো হবে। ভাইকে আমি কোনোদিন ঈর্ষা করিনি মা, ও ও আমাকে কোনোদিন ঈর্ষা করেনি। এত সুন্দর ছোটোবেলা ছিলো আমাদের! সেই খেলার মাঠ, সেই ধানক্ষেতে লুকোচুরি, সেই বন্ধুরা....."
মায়ের কান্না আরো বেড়েছে, দু'হাতে মায়ের চোখ মোছাতে মোছাতে অশ্রুহীনা তৃণা ঘোরলাগা মানুষের মতন বলে যায়,"এমন জীবনের জন্য আবার আসতে ইচ্ছে করে। কতকিছু দেখা হলো না, সাধ রয়ে গেলো। সেই বিরাট জলপ্রপাত, জলের বিরাট প্রাচীরের মতন ঝরছে-দেখা হলো না। দেখা হলো না প্রশান্ত-মহাসাগরের সেই রঙীন জলমেলা-হাজারে হাজারে রঙীন নৌকা, জলে কোটি কোটি মাছ আর আকাশে লাখ লাখ পাখির ঝাঁক-দেখা হলো না। হাত বোলানো হলো না একটা পোষা ডলফিনের পিঠে--সাধ রয়ে গেলো। আসতে আবার হয়তো হবে, পরজন্মে যদি তোমার কোলেই আসি মা, তখন আমায় তাড়িয়ে দিও না।"
মা আকুল কান্নায় মেয়েকে সিক্ত করে দিয়ে কত কি বলতে থাকে, নিরশ্রু চোখ মেলে তৃণা চেয়ে থাকে, আর বেশী দেরি নেই। শক্ত মাটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে টলটল সমুদ্রে পাড়ি দেবার সময় হয়ে এলো, ঐ তো পালকের নৌকাটি দেখা দিয়েছে দূরে। সে নিরুচ্চারে প্রার্থনা করে,"ওগো কান্ডারী, নিরশ্রু-কারাগার থেকে মুক্ত করো, ধুয়ে দাও পুণ্য অশ্রুসলিলে।"
তখন পুবে ফরসা হয়ে আসছে, তারারা মিলিয়ে যাচ্ছে।
(শেষ)
মন্তব্য
লেখাটা ফাটাফাটি রকম ভালো লাগলো। আপনি তৃণাকে দিয়ে অনেক সুন্দর করে মন খারাপ করিয়ে দিলেন।
ধইন্যবাদ।
জ্বর নিয়া মনখারাপ কইরা থাইকেন না। জ্বর সারাইয়া লাহান।
ভালা থাইকেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ধূসর গোধূলি,
জ্বর সেরেছে তো?
যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা জিগাই।
আপনি গল্প এত ভালো বুঝেন, কিন্তু কবিতা দেখলে এমুন উশখুশ করেন কেন?
কবিতাও তো একপ্রকার গল্পই!
------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
কেন ? গল্প তো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মন খারাপ করা তো!
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সত্যিই মন খারাপ করা লেখা আপুনি ।
কিভাবে যে এত সুন্দর করে ঝরঝরে গল্প লিখে যাও তাই ভাবি মাঝেসাঝে !
--------------------------------------------------------
মনখারাপ কোরো না।
মানুষের জীবন এরকমই, তিক্তে মধুরে মেশামিশি।
ভালো থেকো।
----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুম...... ভাল লাগল লেখাটা ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
শুনে আমারও অনেক ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্লীজ মডারেটর,
কোণার ফটুকটা বদলাইয়া নতুনটা দ্যান।
আগাম ধইন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সরি বুঝলাম না। কোন কোনার ফটো বদলে কোন টা দিবো?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি তো আপলোডালাম একটা ছোট্টোমতন গ্যালাক্সি!
দু:খিত এরকম কোন ছবি তো দেখছি না। ইমেইল করে দিবেন? আর কোথায় জুড়ে দিবো ছবিটা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি এখন লগিন।
এইমাত্র আবার ছবিটা তুলেছি। দেখুন তো গেল কিনা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কিছু একটা ভুল হচ্ছে মনে হয়। ছবিটা দেখছি না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আবার দিলাম। এইবারে দেখুন দেখি!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জটিল প্রসিডিউর এর জন্য দুঃখিত। আপনি অনুগ্রহ করে এটা দেখুন: http://www.sachalayatan.com/faq/show/716#q_772
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনেক ধন্যবাদ।
আমি বারে বারে প্রোফাইলে গিয়ে পালটাতে গিয়ে গিয়ামজাম করেছি।
এখন ছবিতে পালটালাম।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিদি,
আপনি যে প্রোফাইল ছবি বদলাতে চাচ্ছেন সেটা এই প্রথম বললেন। দুবার জিজ্ঞেস করার পর কিছু বললেন না দেখে, আমি ভাবছিলাম আপনি যেহেতু এই পোস্টে কমেন্ট করেছেন তাই এই পোস্ট ছবি জুড়তে চান। মিস কমিউনিকেশনের জন্য দুঃখিত।
যেহেতু প্রোফাইলের ছবি বদলাতে হলে আমাকে আগে ছবিটা পেতে হবে তাই অনুরোধ করব ছবিটা হয় সচলায়তনে আপলোড করে আমাকে জানান, নয় ইমেইল করে দিন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
গল্পটা অনেক অনেক সুন্দর।
অনেক ধন্যবাদ, শান্ত।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন