মাঝে মাঝে অদ্ভুত শূন্যতা আসে। সুখদু:খ দিয়ে নিবিড় করে ভরাট যে জীবনটা, সেটার থেকে ছিঁড়ে গিয়ে ভেসে যাবার মতন একটা অসহায় অনুভব। স্বপ্নের মধ্যে গলা চিরে চিত্কার করলেও যেমন কোনো শব্দ হয় না সেরকম একটা অনুভব। ভয়ের স্বপ্নের মধ্য থেকে যেমন ছুটে পালানো যায় না তেমন একটা কিছু।
স্বজনভরা সংসার থেকে হারিয়ে গিয়ে দূর কোনো নির্জন প্রান্তরে নিজেকে আবিষ্কার করার মতন অসহায় শূন্যতা। সজল বর্ষাদিনের ঝরঝর গানের মধ্য থেকে হারিয়ে গিয়ে তৃষ্ণার্ত বৈশাখী মাঠের মতন রিক্ততা। ভীষণ নির্জনতা। নৈ:শব্দকে এত ঘন লাগে, মনে হয় যেন গিলে নেবে।
অনেক পুরানো এক সন্ধ্যাবেলার মতন, হঠাত্ অজানার সামনে দাঁড়িয়ে থমকে গিয়েছিলো যে শিশুটি, সাথে সাথে থমকে দাঁড়িয়েছিলো তার সময়ের স্রোতোধারা, চারিপাশে ঘূর্ণী তুলে ছুটে গেছে কালজল, সে আটকা পড়ে গেছে সময়হীন নৈ:শব্দলোকে।
অথবা ধূলিধূসরিত সেই অভিযাত্রীর মতন, ভোরের ঘুমভাঙা অস্ফুট আলোয় যে শুনেছিলো ভিখারীর গানে অপার্থিব আকুতি-"হামকো ভি সাথ লে লে/ ম্যয় রহ গয়া আকেলে" --ওগো পথিক, দূরের পথিক, আমাকে সাথে নাও, আমি যে একলা পড়ে রইলাম --উঠে এসে আর কাউকে দেখতে পায় নি। তার ট্রেন পৌঁছে গেছিলো স্টেশনে, হল্লাগোল্লার মধ্যে হারিয়ে গেছিলো সুরের আকুতি। নাকি স্বপ্নে শুনেছিলো সেও?
অথবা সেই অভিমানী কিশোরীটির মতন, কালপুরুষের তরবারির তারার ছায়ার দিকে চেয়ে যে বসে থাকতো সন্ধ্যার নদীতীরে একা একা। "পিপাসার জল আছে কি নদীর স্রোতে?/ধ্রুবপদ ছোঁয়া ওই অফুরাণ ব্রতে?/ তৃণরোমাঞ্চে কেঁপে ওঠে নদীতীর/ জীবনতিয়াস ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া নীড়/ শীতমোড়া নীড়ে মায়ের পালকে উম্/ স্বপ্নের ঘরে ব্যথাটলটল ঘুম / ঘুমকথা ভেঙে ডাক দেবে দক্ষিণা / সোনার হাঁসের আলোকবিলাসী ডানা ....."
মানুষ অপেক্ষা করতে চায় না, তবু মানুষকে কেবলই অপেক্ষা করতে হয়, আরোগ্যের অপেক্ষা, ভালোবাসার অপেক্ষা, মুক্তির অপেক্ষা.....
মন্তব্য
ভালো লাগলো...
ধন্যবাদ রইলো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মন খারাপ কইরেন না আফামনি... আমিও এই অবস্থায় আছি... তবে এই অবস্থায় থাকলে আপনার কি ইচ্ছা করে জানিনা, আমার মাঝেমধ্যে আশপাশের লোকদের বেদম পিটাইতে ইচ্ছা করে...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
তাইলে আর কি! পিটাইতে শুরু করেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এতো অস্থির হইলে ক্যামনে হইবো তুলিপু ?
ধৈর্য্যশীলতা একটা বড় গুণ বুঝলা !
কিছু কিছু মনের কথা মিলে গেল।
--------------------------------------------------------
ধৈর্য।
ঠিকই তো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গদ্যে গুপ্ত ওই কবিটা-পংক্তিগুলো কি অন্য কারো? না কি আপনারই আততায়ী চয়ন?
ক্যান্ যে মনখারাপ মানুষটার আরো অ্যাতো মনখারাপ করান আপনে এইসব আততায়ী চোরাগুপ্তা মোচড়াবেগ লেইখা!
স্রোতধারাকে উচ্চারণের জন্য 'স্রোতোধারা'এবং ওম্-কে ঘুমের সাথে মিলানোর জন্য 'উম্' করা- এইসব চিন্তাশীল সাহসদের জন্য অভিনন্দন, অভিবাদন।
------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আততায়ী!!!!
কন্ কি? কই? কোন্হানো আততায়ী ? হাতে কি বন্দুক না বোম?
ঝাইড়া এক দৌড় দিতে হইবো নাকি?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হাতে কি-বোর্ড! বাজনা বাজায়, আড়ালে খাজনাও।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
তাই কন! বন্দুক নাই!
তাইলে আর চিন্তা কি?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই মাঝে মাঝে অকারন মন খারাপের কোন ওষুধ কেনো নাই? কোন কারন নেই কিন্তু মনটা খারাপ হয়েই থাকে। ভাল্লাগে না।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কোনো ওষুধ নাই
জীবনব্যাধি!
সক্রেতিস নাকি শেষে আইসা উদ্দাম নাচতে নাচতে কইছিলো, "হা হা হা। এইবারে পাইয়াছি দরওয়াজা খোলা। ওহে বন্ধু, মানতের দুইটা মুরগী দেবতারে দিও, জীবনব্যাধি সারিয়া যাবে এইবার সক্রেতিসের, তাইরে নাইরে না না না ।"
আসলে কি হইছিলো কেজানে! এক আধুনিক আঁতেল লেখক গম্ভীর কবিতায় এইরম লিখছিলো, আমি ছ্যাবলমি কইরা গদ্যে কইলাম।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন