১
আমার অনেক গ্রীষ্মছুটির দুপুর ছিলো
দুপুর জুড়ে রোদের ঝুড়ি উপুড় ছিলো-
আমকাঁঠালের ছায়ায় ছায়ায়,
বনসবুজের স্নিগ্ধ মায়ায়-
লুকিয়ে কোথায় গল্প-টাপুরটুপুর ছিলো।
আমার অনেক গ্রীষ্মছুটির দুপুর ছিলো.....
বটের ছায়ায় জলটল্টল্ ঝিল ছিলো,
তির্তিরে ঢেউ রোদ্দুরে ঝিল্মিল্ ছিলো-
দূর আকাশের নীল খিলানে
বাতাসবাড়ীর দরদালানে
একলা একলা ভাসতে থাকা চিল ছিলো।
আমার অনেক গ্রীষ্মছুটির দুপুর ছিলো
দুপুরগুলো রোদে উপুড়ঝুপুড় ছিলো....
২
হঠাৎ পাওয়া বৃষ্টিছুটির প্রহর ছিলো
গাঙের জলে ফেনার ফুলের লহর ছিলো,
মেঘবতী সেই বৃষ্টিবেলায়
নাওভাসানো মোচার খোলায়-
জলটুব্টুব্ রুপোর রঙের মোহর ছিলো।
গুব্ গুব্ গুব্ গুবগুবিটা লুকিয়ে ডাকে
হারিয়ে যাওয়া জামের বনের পাতার ফাঁকে,
চাল্তাবনের হাওয়ার কাঁপন
লেবুফুলের গন্ধে আপন
ফিরে আসে অচেনা কোন্ পথের বাঁকে-
গুব্ গুব্ গুব্ গুবগুবিটা লুকিয়ে ডাকে.....
***
মন্তব্য
অসাধারন!!!
কী করে এমন চমৎকার লেখেন---??!!!
খুব ভালো লাগল,খুব---
ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লাগায় আমারও অনেক ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্রথমটা বেশি জোস!
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আরো ছিলো, শরত্ হেমন্ত শীত বসন্ত-
কিন্তু সেগুলো --থাক, থাক সেগুলো।
আপনাকে ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমারো এক সময় গ্রীষ্মছুটির দুপুর ছিল। এখন নাই। শুধু আছে গ্রীষ্মছুটির দুপুরের নস্টালজিয়া।
এখন আর কি ই বা আছে? সবই বদলে গেছে। মনও। কেউ কেউ তো অহঙ্কারে মটমট করতে বলে জেট-সেট লাইফ। বোঝেও না ক্রীতদাসের লাইফ।
তবু কিন্তু কোথাও কোথাও খাঁটি কিছু বেঁচে থাকেই। নইলে দেখুন আপনারা এত ভালোবাসায় কেন এই ঘর গড়বেন?
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
শরত-হেমন্ত-শীত-বসন্তও চাই। দিতে হবে, দিতে হবে।
ভয়াবহ ছন্দ!
গ্রীষ্মের মতো প্রখর প্রবল, তবু বর্ষার মতোই শ্যামল সজল।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দিতে হবে? মানে দিতে হবেই? বলছিলাম কি, নিতান্তই দিতে হবে?
ধন্যবাদ ছন্দ ভয়াবহ লাগার জন্য।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হ্যাঁ, দেতে অইবে!
ভালোই চিঠাচিঠি হইলো দেখলাম। মজা পাইলাম।
-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
খুব...খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা...আরো চাই!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আমার ধন্যতা জানাই।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কি মিষ্টি লাগে পড়তে !
আপনার কি ডায়েরি লেখার অভ্যাস আছে?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ডাইরি তো লিখিনা, কিন্তু যখন যা মনে আসে চিঠির মতন লিখে রাখি। অবশ্যই কাউকে
সে চিঠি পাঠানোর নয়।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমিও শিমূলের কথা ধার করে বলতে চাই - কি মিষ্টি ছন্দ!!
আহা, চিঠিগুলো আমাকে পাঠাবেন? কত্তদিন হাতে লেখা চিঠি পাই না
আর, সুন্দর বাংলায় লেখা চিঠির প্রতি আমার ভয়াবহ দুর্বলতা
চিঠিগুলো?
"প্রিয় চকোরী,
আজ সকালে উঠিয়া মুখহাত ধুইয়া খেন্তিপিসির বানানো চা-রুটি খাইয়া যেই না আয়েস করিয়া খবরের কাগজ পড়িতে বসিয়াছি, অমনি চিল-চিত্কার! "আরে অলপ্পাইয়া, দুফরে গিলতে হইবো না? কিছু নাই কি রান্ধুম? যা অখ্খনই বাজারে যা! " কি আর করি, বাঁচিতে গেলে মানিতেই হইবে এইসকল উত্পাত। জীবনটা ছারখার হইয়া গেলো। থলি লইয়া ব্যাজারমুখে হালদার-বাজারের দিকে রওনা দিলাম। বাজারে গিয়া বাছিয়া বাছিয়া পালং, ঢেঁড়শ,ঝিঙা,চিচিঙা, কয়েকটুকরা কাতলামাছ, চাইরটা মুরগীর ডিম,ধইন্যা পাতা,আদা, সরিষাশাক এইসব সওদা করিতে হইলো। তাহার পরে -----------" আরো দেড়মাইল চলবে।
এইরকম সব চিঠি!
প্রিয় তুলিরেখা,
হায় আমার পোড়াকপাল, আপনি কি না ভাবিলেন যে অমন চিঠি আমার পছন্দ নয়? না কি আমি উহাকে 'সুন্দর' বাংলায় লেখা চিঠির গোত্রে ফেলিতে তিলমাত্র দ্বিধাবোধ করিব?! ধিক্ আপনাকে, আপনি আমায় ভুল বুঝিয়াছেন!
কিন্তু, হালদার বাজারে তো ভালো মাছ পাওয়া যায় না। ভালো মাছ উঠে জগুবাবুর বাজারে। অথবা হগ সাহেবের মার্কেটেও দেখিলে দেখা যায় ......
সে যাহাই হউক, মোদ্দা কথা হইলো পত্রলেখক/লেখিকার বোধহয় দ্বিপ্রাহরিক আহারের পরিমাণ একটু কমাইলেই ভালো। বাজারের ফর্দ্দ আর আহারের মাত্রা যদি সমানুপাতিক হইয়া থাকে, তাহা হইলে মনে লয় - চকোরী আর বেশীদিন এহেন মনোহর পত্রলাভের সৌভাগ্য অর্জন করিবে না
প্রিয় স্নিগ্ধা,
ভালো মত্স না পাওয়ার আর দ্বিপ্রাহরিক আহারের আয়োজনের স্বল্পতার কথা মুঠাফোনে শুনিয়া কোমলহৃদয়া চকোরী কাঁদিয়া ফেলিলো। তারপরে তাড়াতাড়ি করিয়া লইট্যা ভর্তা বানাইয়া লালুকে দিয়া টিফিনক্যারিতে করিয়া পাঠাইয়াছে। এদিকে বাজার হইতে কাঁচা মরিচ আনিতে ভুলিয়া গিয়াছিলাম বলিয়া বাড়ীতে আসিবামাত্র খুবই একচোট ঝাড়ের মুখে পড়িতে হইলো,ঝাড় তো নহে যেন ঝড়। জীবনটা জ্বলিয়াপুড়িয়া খাক হইয়া গেলো। ঘামিয়া ঘুমিয়া তিনমাইল তিনমাইল হাটিয়া বাজার করিয়া ফিরিয়া এ কী অভ্যর্থনা? যাহাই হউক জিরাইয়া লইয়া আবার গিয়া মরিচ লইয়া আসিলাম।
এখন লইট্যা ভর্তা দি্য়া গরম ভাত খাইতেছি। আপনাকে প্যাক করিয়া চকোরীর লইট্যা ভর্তা পাঠাইলাম। একবার খাইলে জিন্দেগীতে ভুলিতে পারিবেন না।
ইতি-
)) ) )
বাহ্। সুন্দরতো!!!!!!!!!
- এরকম সোজা করে কোবতে লেখবেন, তাইলে আমিও দাঁত বসাতে পারবো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রে পামর!!!!!!!!!!!! দাঁত বসাতে চাস? "িু" হয়েছিস নাকি?
- হা হা হা
িু তো খালি কামড়ায়, কাঠিটা, লাঠিটা, চামড়াটা- যা পায় তাই! আমি ঐরকম না। আমি তক্তা ধরেই পেরেক বসাই
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ কইলেই হইলো? উদাহরণ কৈ?একটা নাম কন তো আগে।
- হিমুর উদাহরণ?
সে তো ভুড়ি ভুড়ি। এই সেদিনও সে সব রেখে হঠাৎ দৌড়ে গিয়ে পিতলের বান্দর মূর্তিতে গিয়া কামড় মাইরা বসলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হিমুর নাম কখন কইলাম আমি? আমি কইলাম "িু" । আপনে কইলাম আমারে ইচ্ছা কইরা ব্যান খাওয়াইতে চান।
হিমুর ভুড়ি থুইয়া পারলে নিজের ভুড়ি থেকে একটা উদাহরণ দ্যান দেখি।
- হেহ হেহ হেহ
এইটা একটা ট্র্যাপ আছিলো। আপনে যে আমার দোস্তের নামে খাইষ্টা কথা কৈতাছেন, এইটা প্রমাণ করোনের লাইগ্যা। খাইছেন ধরা
আমার ভুড়ি নাই মিয়া। আমার ফিগার ছিলিম। ভুড়ি থুইয়া পারলে ফিগারের কাহিনী জিগান
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নেক্সট টাইম কাসেলে আইলে পাপোষের উপ্রে শুবি। ম্যাট্রেস বাতাস দিয়া ফুলাইয়া খাতির করার কোন মানেই হয় না তোর মতো খাতিরহারামকে। আর আমার ২৪ ইউরো মানিঅর্ডার কৈরা পাঠায় দিস।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- দোস্ত, তোর লাইগ্যা করলাম চুরি আর তুই আইসা করলি ইউনুইচ্চামি?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আফনেরা তো মহা কাবিল!
কিন্তু বান্দর কামড়ান ক্যা? ডারউইন সায়েবের লগে ঝগড়া নাকি?
খুব সুন্দর লাগলো পড়তে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন