কবে সে এক বসন্তে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ১৮/০৪/২০০৯ - ৩:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শহরটার নাম ন্যাচেজ ( Natchez )৷ নদীর তীরে পুরানো শহর, তবে নতুন দেশের হিসেব কিনা, মাত্র শ'দেড়েক কি শদুয়েক বছর হলেই বলে ঢের পুরানো৷ তবে শোনা গেলো ঐ শহরে প্রাচীন রেড ইন্ডিয়ানদের সমাধিভূমি আছে, জায়গাটি সত্যিই বহুকাল যাবত্ মানুষের তৈরী জনপদ ছিলো, তবে তখন তো শহর ছিলো না সেটা! ছিলো আরণ্যক যাযাবরদের জনপদ মাত্র৷

বসন্তের শেষদিকে এক সকালবেলা, আবহাওয়া ভারী চমত্‌কার! ঘনপল্লবিত গাছেদের পাতায় পাতায় ঝলমল করছে সোনালী রোদ, তুলোমেঘ ওড়া নীল আকাশে পাক খাচ্ছে চিলেরা। বেড়াতে যাবার পক্ষে আদর্শ দিন। রওনা দিই আমরা৷ সঙ্গে ভ্রমণগাইড হিসাবে একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা, যাতে শহরটির দ্রষ্টব্য ইত্যাদি আর হোটেল রেস্তঁরার বর্ণনা আর ম্যাপ৷

ফ্রীওয়ে দিয়ে হু হু করে চলেছে গাড়ী, দু'পাশে ঘন সবুজ দীর্ঘদেহ পাইনগাছের আড়াল, মাঠ বা চারণক্ষেত্র দেখতে দেয় না৷ এই সুন্দর সবুজ দেশে কেবল এইটাই কষ্ট অনুভব করি, আদিগন্ত খোলা মাঠের ঐপারে সূর্য, এই জিনিসটা মিস করি৷ এদেশের পশ্চিমের দিকে বা মধ্যখানেও অমন নাকি আছে হাজার হাজার মাইল দীর্ঘ খোলা মাঠ, তার ঐপারে আবীরলাল সূর্য অস্ত যাচ্ছে, মেঘে মেঘে আকাশকুসুমের অঞ্জলি দিতে দিতে৷ একদিন হয়তো দেখা হয়ে যাবে তাও৷

ন্যাচেজ শহরটির নাম ন্যাচেজ নামের রেড ইন্ডিয়ান উপজাতির নামে, যদিও উপজাতির উচ্চারণ নাকি নোচি৷ ওরা সমাধির উপরে স্তূপ বানাতো যার উপরিভাগ সমতল৷ ওদের দলনেতাকে বলতো মহান সূর্য৷ কবেই ওরা হারিয়ে গেছে, দেখা যাক, ঐ হারিয়ে যাওয়া নচিকেতাদের কোনো চিহ্ন কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় কিনা৷

কাছাকাছি হতে থাকি রহস্যময় শহরের, বাতাসে নদীর গন্ধ পাই, বন্ধু হেসে বলে ক্রফিশের গন্ধ৷ এখানে ক্রফিশ বলে একরকম চিংড়ি কাঁকড়ার মাঝামাঝি দেখতে জলজ জীব খুব আদরণীয় খাবার, ক্রফিশ বয়েল বলে উত্সবও হয় খোলা মাঠে, যাতে গামলা গামলা ক্রফিশ সেদ্ধ এনে লোহার চৌবাচ্চার মতন বড়ো ট্রেতে ঢেলে দেয়, সঙ্গে থাকে আলুসেদ্ধ ভুট্টাসেদ্ধ ইত্যাদি৷ কাগজের প্লেটে ক্রফিশ আর সেদ্ধ আলুভুট্টা তুলে এনে মাঠের ঘাসের উপরে গোল হয়ে বসে সবাই মিলে ক্রফিশ ছাড়িয়ে ছাড়িয়ে খাবার স্বাদই আলাদা, যেন ময়দানে সবাই মিলে ফুচকা খাচ্ছি৷

ন্যাচেজে পৌঁছে প্রথমেই খাবারের জায়গার সন্ধান করা হলো, সেখানে বেশ ভালোমত লাঞ্চ সেরে তারপরে মিউজিয়ামে যাওয়া, সেখানে ন্যাচেজ উপজাতির শিলনোড়া, মাটির ভাঙা পাত্র, হাতুড়ীবাটালিজাতীয় কিছু যন্ত্র রাখা আছে প্রিজার্ভ করে আর আছে ছবি৷ কিন্তু আমাদের উত্সুক মন এতে তৃপ্ত হয় না, আরো দেখতে চায়৷

এখানের গাইডেড টুর বড়ো বড়ো প্রাসাদ দেখানোর জন্য, গত শতকে তৈরী সুন্দর সুন্দর বড়ো বড়ো প্রাসাদ, প্রত্যেকটার নামটাম আছে, গাইডেরা ঘুরিয়ে দেখায় প্রাসাদের ঘরদোর, আয়না, রূপোর টিসেট, শোবার ঘরে পুরানো আমলের মস্ত মস্ত কারুকার্য্যকরা খুঁটি আর পায়াওলা খাট৷ এক প্রাসাদের বাগানে নীল ফুলের পাশে আমরা ভ্রমণকারী দলটা ছবি তুলি, তারপরে একটু জিরিয়ে নিতে গাছের ছায়ায় বসি৷ ভারী রৌদ্রকরোজ্জল দিনটা৷ সকলেই ঘেমে উঠেছে এত ঘুরে৷

নচিকেতাদের রেখে যাওয়া কোনো চিহ্ন দেখতে মন ব্যকুল, কিন্তু কোথায়? নিশ্চিহ্ন হয়ে মিলিয়ে গেছে কি তারা? এতো তাদেরই ভূমিখন্ড,কত হাজার হাজার বছর ধরে তাদেরই মুক্ত দুনিয়া ছিলো, কারা দুদিনের আপস্টার্টেরা এসে এমন করে খেদিয়ে দিলো তাদের সবাইকে? কিছুই আর রইলো না মনে করানোর মতন যে তারা ছিলো? শুধু নামটা বিকৃত উচ্চারণে হলেও রয়ে গেছে কেমন করে!

রোদ পড়ে আসা বিকেলে আমরা গিয়ে সেই সমাধিভূমিতে পৌঁছাই৷ সবুজ ঘাসে ঢাকা সেই সমতলশীর্ষ স্তূপের কাছে, দীর্ঘ দীর্ঘ ওক পাইন ম্যাগনোলিয়া ছায়া মেলে রেখেছে মাঠে৷ স্তূপের পায়ের কাছে গিয়ে বসি, ছবিটবি তোলা হয়৷ মাঠের মধ্যে একটা খড়ের কুটির বানানো আছে, নাকি দেখানোর জন্য যে প্রাচীন ন্যাচেজরা কিরকম বাড়ীতে থাকতো৷ খড়ের বাড়ীটার কাছে গিয়েও আমরা ছবি তুলি, বাড়ীর দরজাটা অত্যন্ত ক্ষুদ্র, ওরা কি হামাগুঁড়ি দিয়ে ঘরে ঢুকতো নাকি?

"আরণ্যক" মনে পড়ে যায় খাপছাড়াভাবে, ইতিহাসের পরাজিতরা হারিয়ে যায় নি:শব্দে, কোথাও কোনো বিচূর্ণীত অস্থিকঙ্কালের রেখায় তবু থেকে যায় কিছু চিহ্ন কোথাও না কোথাও৷ আমরা তাদের খুঁজে পাই না৷ খুঁজতে চাই ও কি তেমন করে? দিন আনা দিন খাওয়া ছাপোষা আমরা কেমন করেই বা খুঁজবো এই সান্ত্বনা দিই৷

সমাধিমাঠ থেকে বিরাট নদীটির তীরের ফুলগাছের পার্কে এসে দাঁড়াই, বুক ভরে নদীর হাওয়া টেনে নিই, পাথরের লতাগৃহগুলি দেখে সুন্দর লাগে, হয়তো বিগত দিনের মস্ত মস্ত স্কার্টপরা ছবির মত সুন্দরীরা ঐ মার্বেল পাথরের লতাগৃহে পালকের পাখা হাতে শুয়ে বসে দ্বিপ্রহরের নদীর দৃশ্য উপভোগ করতেন৷ নদীর উপরে বার্জ দেখা যায়, পার্কের সিঁড়ি ধরে নেমে গিয়ে চটি খুলে রেখে নদীর জলে পা ডুবাই, আহ! কী ঠান্ডা! মিসিসিপির জলে গঙ্গহৃদয় দুলে ওঠে, সীমানাচিহ্ন মুছে যায়, হরিদ্বারের খরস্রোতা গঙ্গার স্পর্শ পাই এই জলে, যাদু নাকি? ভ্রমণ-সঙ্গী বন্ধুরা হাসছে, আমি উঠে আসি দ্রুত চটি পরে নিয়ে, এবারে ফেরার সময় হয়ে এলো, ছায়ারা দীর্ঘতর হয়েছে৷

ফিরে যেতে যেতে জাগনস্বপ্নে হাজার বছরের পূর্বেকার নাচেজে ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করতে থাকি, তখন এইসব পথ ছিলো না, প্রাসাদ ছিলো না, পার্ক ছিলো না লতাগৃহ ছিলো না, কিন্তু ছিলো সবুজ মহারণ্য, ছিলো ঐ মহা বিপুলা নদী৷ ছিলো সরল মুক্ত মানুষের দল, অজস্র পশুপাখীসরীসৃপ যাদের অনেকেই এখন বিলুপ্ত৷ মানুষের নাম হতো প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে--বনকুসুম, বলাকা, ঋষভ, ঋক্ষবান ....যাযাবর তারা পাড়ি দিতো অরণ্য থেকে অরণ্যান্তরে ...ডানহাতের মুঠোর মধ্যে ছিঁড়ে আনা সুগন্ধী ঘাসের গোছা, সন্তর্পণে হাত তুলে আনি নাকের কাছে ... এই চিরঞ্জীব তৃণসৌরভ আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাক সেই ফেলে আসা বহুদূর অতীতে৷ খুলে দাও খুলে দাও দুয়ার, তুলে নাও তুলে নাও গন্ডী৷ "আমি যে তোর প্রথম মেয়ে / আমি যে তোর ছা-/ কৃপণ বর্তমানের থেকে পিছন ফিরে যা৷"

ঐ যেখানে তরুণ ঋক্ষবান শিকারে বেশ কিছুদিন কাটিয়ে এক শেষবিকেলে অরণ্য থেকে গাঁয়ে ফিরে দেখে গ্রামের চিহ্ন নেই, যাযাবরেরা সব অস্থায়ী বাড়ীঘর তাঁবুতাঁবা তুলে চলে গেছে, শুধু একটি ছোটো গাঁটরি নিয়ে গ্রামের প্রান্তে ওর জন্যে অপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে আছে বনকুসুমী৷ ওর সুন্দর কালো চোখের মণিতে টলটল করছে ভালোবাসা আর অশ্রুজল, শুধু নতুন গাঁয়ের পথটুকু দেখিয়েই যে ওকে বিদায় নিতে হবে! যেতে যেতে বনজ্যোত্স্না উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, বনসুরভি ভেসে আসে হাওয়ায় হাওয়ায়, অরণ্য মর্মর যেন বিরহীর দীর্ঘশ্বাস৷ তরুণ ঋক্ষবানের পিছে পিছে নরম পায়ে ধীরে ধীরে আসে তার নীরব সহচরী৷ নতুন গাঁয়ে পৌঁছে ঋক্ষবান দূর থেকে আগুন দেখতে পায়,পরিচিত কন্ঠস্বরগুলি শুনতে পায়, পিছনে তাকিয়ে কিন্তু আর বনকুসুমীকে দেখতে পায় না, রাত্রিশেষের জ্যোত্স্নার মতন সে মিলিয়ে গেছে প্রান্তরে ....

পরিচিতজনেরা অজস্র জিজ্ঞাসায় ভরে দিতে দিতে ঋক্ষবানকে নিয়ে যেতে থাকে গাঁয়ের মধ্যে, মধ্যস্থলে পবিত্র বৃক্ষের নীচে, বনকুসুমীর সমাধির কাছে, মাত্র কয়েকদিন আগে ওকে সমাধিস্থ করা হয়েছে যেখানে৷ হতবাক, স্তম্ভিত ঋক্ষবানের চোখ মুখ শরীর হৃদয় মন ইহলোক পরলোকের উপর দিয়ে ঝড়ের ঘূর্নীধুলো উঠে সব ঢেকে দেয় ...

শহরের কাছাকাছি এসে গেছি, বন্ধুদের উত্ফুল্ল উত্তেজিত গলায় ঘোর কেটে যায়৷ ঘর কাছে এসে গেছে৷ সবায়ের নাকি বেজায় খিদেও পেয়ে গেছে৷ কাছের টাকোবেলে থামা হলো৷ এদের মেক্সিকান খাবার যেমন খেতে ভালো তেমনি রিজনেবল দাম৷ সফট টাকো বীন বারিটো আর নাচো খেতে খেতে সারাদিনের ছোট্টো ছোট্টো মুহূর্তের গল্প করি আমরা৷ তা থেকে গল্প আস্তে আস্তে সরে যায়৷ পেরুর ছেলেমেয়ে লিও আর আইরিস, ওরা স্বামী স্ত্রী, দুজনে ওদের দেশের গল্প করে, পাহাড়ী গাঁয়ের ছেলে লিও সমুদ্র-উপকূলের শহরের কলেজে পড়তে এসে কেমন করে ফুল্লকুসুমের মতন এই আইরিসের প্রেমে পড়েছিলো ...ঋক্ষবান ও বনকুসুমীরা থেকে যায়, কোথাও না কোথাও ঠিকই থেকে যায়, নইলে কেমন করে বারে বারে শীতের সাদা জোব্বা সরিয়ে ফেলে কচি সবুজ বসন্ত খিলখিল করে হেসে ওঠে?


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার!

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

সাথে ফোটো থাকলে আর চমৎকার হতো !

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভ্রমণটা কি মানস না শারীর?
কল্পনা করলেন, না কি সত্যিই গেছিলেন সশরীরে?
আপনার লেখা স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে, বিজ্ঞান-লেখাগুলান বাদে অবশ্য। হাসি
বৈচিত্র্যেও আপনি কম যান না মোটে। তাই সন্দেহ না, আমার লাগে ঘোর। দেঁতো হাসি

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি
স্বগত: এই জিনিস যদি বানিয়ে বানিয়ে লিখতে পারতাম তাহলে তো কথাই ছিলো না।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বিশ্বাস যান- আপনার দিকশূন্যপুর নিয়ে কথাগুলোই আমার কাছে সত্যের চেয়েও ঘোরতর সত্য মনে হয়, লোভজাগানিয়া তো বটেই। হাসি
কে বললো- আপনি বানিয়ে লিখতে পারতেন না! আপনি বেশি পারেন। এত বেশি না পারলেও এমন কিছু ক্ষতি হ'তো না।

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাহ
চমৎকার.........

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুমন সুপান্থ এর ছবি

লোভজাগানিয়া লেখা ...একদিন ঠিক দেখতে আসবো জানবেন ...এসে দেখে যাবো ঘনপল্লবিত গাছেদের পাতায় পাতায় ঝলমল করছে সোনালী রোদ, তুলোমেঘ ওড়া নীল আকাশে পাক খাচ্ছে চিলেরা

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তুলিরেখা এর ছবি

অবশ্যই আসবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বহু আগে একটা ওয়েস্টার্ণ গল্পে এই 'ন্যাচেজ' শহরের কথা পড়েছিলাম।
আজ আপনার বর্ণনায় আবার সেই বুনো পশ্চিমে ফিরে গেলাম...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

তুলিরেখা এর ছবি

কোন্‌ গল্পে পড়েছিলেন?

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

আমার প্রবল কনফুশন
হচ্ছে। কমেন্টে ছবি জুড়ে দিতে পারছি, এদিকে লেখায় পারছি না জুড়তে।

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

কি বলবো আর! লেখায় পারিনা, আমি কমেন্টেই দেবো!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

গোলাপ১গোলাপ১

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।