দেশবিদেশের উপকথা(১)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ২৯/০৪/২০০৯ - ১১:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চীনদেশের উপকথা

গ্রেকো-রোমান উপকথার শক্ত রাগী রাগী টাফ টাফ সব দেবতাদের সাংঘাতিক-সাংঘাতিক গল্প শুনে আমাদের যখন তিরিক্কি মেজাজ, তখন চীন দেশের একটি গল্প স্নিগ্ধ জলের মতন, মিঠে সরবতের মতন আমাদের মেজাজ জুড়িয়ে দিয়েছিলো। আজকে সেই গল্প বলতে ইচ্ছে করছে।

জীবনদেবতা শাউশিং আর মৃত্যুদেবতা পি-তাউয়ের গল্প। চীনদেশে স্পাইকা বা চিত্রা তারাকে জীবনদেবতা ও দীর্ঘ আয়ুর দেবতা শাউশিং এর সঙ্গে অ্যাসোসিয়েট করা হয়। জ্বলজ্বলে হাসি চোখে নিয়ে একমুখ সাদা দাড়ি সেই বৃদ্ধ দেবতা সস্নেহে পৃথিবীর মানুষের দিকে তাকিয়ে আছেন।

এর সম্পর্কে কবিতা আছে অনেক, আমাদের বাঙালি কবি তারই একটার অনুবাদে বলেছেন,
"মেঘের মতন সাদা চুল তার, সাদা দাড়ি ধবধবে
মুখে লেগে আছে প্রাণের হাসির ফেনাই বুঝিবা হবে
কেহ যদি তারে কখনো শুধায় এ হাসি কোথায় পেলে?
সাধু হেসে কয় পেয়েছি হদৃয় আঁখিজলে ধুয়ে ফেলে।
... "

চীনদেশের এক পরিবারে এক পুত্র জন্মালে খুব আনন্দের জোয়ার বয়ে গেলো পরিবারে। কিন্তু সে আনন্দ স্থায়ী হলো না, জ্যোতিষী গণনা করে দেখলেন ছেলেটির আয়ু মাত্র ১৯ বছর। এত তরুণ বয়সে সে মারা যাবে।

বাবামা দু:খ বুকে চেপে যত্ন আত্তি করেন ছেলের, দিনে দিনে সে বেড়ে উঠতে থাকে, সুন্দর হতে থাকে, শক্তিশালী হতে থাকে, শস্ত্র ও শাস্ত্রশিক্ষায় পারঙ্গম হয়ে ওঠে। তার দিকে চেয়ে গোপণে বাবামায়ের দীর্ঘশ্বাস পড়ে।

এসব কথা কি বেশীদিন চেপে রাখা যায়? একদিন সেই ছেলেও জেনে ফেললো সব। কিন্তু তরুণ বয়সে মৃত্যুভাবনা নিয়ে বিষন্ন হয়ে বসে থাকতে কারুর ভালো লাগে না, সে তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যায়, মাঝে মাঝে শুধু একটা ভয় চমকে ওঠে তার মনের মধ্যে, আঠেরো হয়ে এলো তার, আর মাত্র একটা বছর পরে এই সুন্দর পৃথিবী, এই স্নেহময় বাবামা, এই এত এত ভালো ভালো বন্ধুবান্ধব সব ছেড়ে ... জোর করে মন থেকে ভাবনা তাড়িয়ে দেয় সে, কিন্তু একেবারে তাড়াতে পারে না।

এই করে দিন যায়, এখন সে আরো বড়ো, আর মাত্র কয়েকটা সপ্তাহ সে থাকবে বেঁচে। সে শিকারে গিয়ে ইচ্ছে করে দলছাড়া হয়ে গভীর অরণ্যে ঢুকে চুপ করে এক গাছতলায় বসলো। বসে বসে নানা কথা ভাবতে ভাবতে একসময় গভীর ঘুমে সে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো।

ঘুম ভেঙে দেখে বেলা পড়ে এসেছে, ঢলে পড়া সূর্য তির্যক আলো ঢেলে দিচ্ছে গাছের ফাঁকফোঁকড় দিয়ে। বনের মধ্যে একটুখানি ঘাসে ঢাকা পরিষ্কার জায়্গায় দুই বুড়ো বসে দাবা খেলছেন, একজনের পোশাক বনের মতন সবুজ, আরেকজনের পোশাক রাত্রির মতন নীল, তাতে তারা আঁকা।

ছেলেটি গিয়ে এদের কাছে চুপ করে বসলো। এনারা দুজন কিছু বললেন না, যেমন দাবা খেলেছিলেন খেলেই চললেন। নীলপোশাক বুড়ো ভারী গম্ভীর আর সবুজপোষাক বুড়ো বেশ হাসিখুশী। নীলপোশাক চাল দিলেন, বললেন "৩৮। আহা বেশ মাঝামাঝি, কমও নয়, বেশীও নয়।"
সবুজ পোশাক দাবার চাল দিলেন, বললেন," ৫০।এও মাঝামাঝি।"
নীলপোষাক বুড়ো আবার চাল দিলেন,"৭। ঈশ, খুব কম। "

অনেকক্ষণ খেলাটা দেখে ছেলেটা বুঝলো এরা মানুষের জীবনও মৃত্যু দাবা খেলে ঠিক করেন, সবুজ পোশাক বুড়ো জীবনদেবতা হলেন শাউশিং আর নীলপোশাক হলেন মৃত্যুদেবতা পিতাউ।

এদের পায়ে লুটিয়ে পড়ে সেই তরুণ বললো,"আপনারা আমার জীবন নিয়ে আরেকবার খেলুন। দয়া করুন। আমার মা বাবা আমাকে এভাবে হারিয়ে বাঁচবেন না।"

জীবনদেবতা শাউশিং স্নেহকরুণ হেসে কইলেন,"বাছা, এতো ছেলেখেলা নয়। জীবনের আর মরণের খাতায় একবার উঠে গেলে আরকি সেই সংখ্যা পালটানো যায়? কিন্তু পিতাউ এর কাছে তুমি প্রার্থনা করো বাছা, জীবন আমার হাতে, কিন্তু মৃত্যু তো ওনার হাতে।"

পিতাউ গম্ভীর লোক বটে কিন্তু রাগেন নি। ছেলেটা যখন ওনার পায়ে পড়ে কাকুতি মিনতি করছে, তখন উনি আস্তে আস্তে ওকে ধরে তুললেন, বললেন,"শোনো, খেলা একবার হয়ে গেলে আর কিছু করা যায় না। তবে একটা উপায় আছে, তোমার আয়ু উল্টে দিচ্ছি, ছিলো ১৯, করে দিলাম ৯১। কি এবার খুশী?"

ছেলেটা কিচ্ছু বলতেই পারলো না,আনন্দে আপ্লুত হয়ে লুটিয়ে পড়ে এদের প্রণাম করে যখন মাথা তুললো তখন ওনারা কেউ নেই। রোদও নেই,সন্ধ্যে নেমে গেছে। দক্ষিণ আকাশ থেকে ওকে চেয়ে দেখছেন শাউশিং আর উত্তর আকাশ থেকে পিতাউ।

এরপর একানব্বই বছর সে এদের প্রদীপ দিয়েছে, আর প্রার্থনা করছে সকলের মঙ্গল।


মন্তব্য

মূলত পাঠক এর ছবি

সুন্দর গল্প, তার উপর সুন্দর বলার কায়দা আপনার! ভালো না লেগে যায়?

তুলিরেখা এর ছবি

ধইনবাদ, ধইনবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

এমন আরো চাই।

তুলিরেখা এর ছবি

আসার সময় হইলেই তেনারা আসতে থাকবেন। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

খেকশিয়াল এর ছবি

দারুণ দারুণ! এরকম আরো চাই!!

------------------------------
'..দ্রিমু য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

তুলিরেখা এর ছবি

ধইনবাদ। হবে হবে সব হবে। রহু ধৈর্যং। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

যদি ছেলেটার আয়ুষ্কাল হত ২০? তাহলে দয়ালু মৃতু্যদেবতা বড় বিপদে পড়ে যেতেন!
লেখা সুন্দর হয়েছে। রূপকথা, উপকথা আমার প্রিয়।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- তুলিরেখা নেক্সট গল্পে ডিসক্লেইমার দিবেন, "এইখানে কোনো নিউক্যালীর আদমী থাকলে আমি ওয়াজ করুম না!" দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা এর ছবি

আহা, এইখানেই তো চৈনিক গণিতের তেলেসমাতি!
তখন হয়তো বয়স উলটে দিতো! ২০ এর পরে ২১ না হয়ে হতো ১৯, ১৮, ১৭ ... এইভাবে কমতে কমতে ১০ হলে আবার বাড়তে দেয়া হতো। সেই হযবরল এর দুই বুড়োর গল্পের মতন! হাসি
মূল পয়েন্ট তো অঙ্ক না, করুণা! যেমন গ্রেকো-রোমানে মূল পয়েন্টই হলো এর বিপরীত, ভীষণরকম ক্ষেপেটেপে গিয়ে ভীষণরকম শাস্তিটাস্তি দেওয়া আর তাই নিয়ে ইয়া মোটা মোটা নাটক লিখে রাতভর যাত্রাপালা করা! একেকটা নাটক আবার হুম করে ধরে মাঝপথে ধুম করে ঝুলিয়ে রেখে শেষ! নাকি মহান ট্রাজেডি না কচুপোড়া না কাঁচকলার আগা! ধরে ধরে নাট্যকারগুলোর দাড়ি ছিঁড়ে দিতে ইচ্ছা করে! নেহাত আড়াই তিন হাজার বছর আগের বলে পারা যায় না। মন খারাপ
যাইহোক লেখা ভালোলাগায় ধন্যবাদ। কিন্তু লোককথার ধন্যবাদ লেখকের প্রাপ্য নয়,লোকগণের প্রাপ্য। তাদের সদয় হৃদয়ই তো এর স্রষ্টা!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এইসব গল্প আমারো ভালো লাগে ভীষণ।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুর্দান্ত

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

চমৎকার গল্প!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

তুলিরেখা এর ছবি

আপনার চমত্‌কার লাগলো শুনে আমারো চমত্‌কার লাগলো।
হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হুম।
গল্প ভালো।
বলাও ভালো।

মৃদুল ভাইয়ের সাথে আমিও চিন্তিত্ হৈলাম!
তবু ভাগ্যিস, সেইটা ১৯-ই ছিল, ২০ ছিল না।
তার ওপর আবার যদি ২২ হ'তো?! তাইলে এই স্বপ্ন দেইখ্যাই কী আর না দেইখ্যাই কী?!
ইশ্ কী বিপদ!

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

আগের জবাব দেখুন। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হ দেখছি তো আগের জবাব!
কিন্তু, এইসব ভেজাল হিসাবের শুভঙ্করীতে পাঠকের চোখে ধূলা কিংবা নাকে দড়ি দেয়া চলবে না, চলবে না,, চলবে না,,, চোখ টিপি খাইছে

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আকতার আহমেদ এর ছবি

চলুক!

তুলিরেখা এর ছবি

হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

এই সব ২০-২২ ভুল ধরা পাবলিকের জন্যই আজকাল গ্রামের চারণকবিরাও ফোক-লোর লেখা ছেড়ে মুদির দোকান দিয়ে বসেছে। আর চীনের উপদেবতারা রহস্যজগতের কারবার তুলে দিয়ে গুদামে বসে আমেরিকায় রপ্তানির জন্য প্লাস্টিকের খেলনা বানাচ্ছে। যাচ্ছেতাই!! হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

কী? ভালোই তো শলা হচ্ছে, চিপায় চিপায় সমিতি হচ্ছে, না? কানমন্ত্র দিয়ে অন্য পাঠকের বিরুদ্ধে লেখকের মনে বিষের চাষ করার এই হীনস্বার্থপ্রণোদিত চেষ্টা এই জাতি এই সমাজ কিছুতেই মেনে নেবে না, না, না, না! চোখ টিপি খাইছে

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

এক্কেবারে!
কোনো কোনো উপদেবতা আবার ভিনজগতের উপদেবী পেয়ে ট্রিডিঙ্গিপিডি চড়ে ভিনগ্রহে পালিয়েছেন! হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

ধইনবাদ।:-)
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

পটলবাবু [অতিথি] এর ছবি

মিষ্টি রূপকথা। শুভেচ্ছা।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ পটলবাবু।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সিরাত এর ছবি

হাসি! চলুক!

চীনাগো মিথোলোজিতেও অংক আর দাবা। শালারা কি সাধে অংক পারে এত?

তুলিরেখা এর ছবি

এরা যাকে বলে হাড়ে হাড়ে অঙ্ক! হাসি
শুধু অঙ্কই বা কেন, সেই সে বাপের বাড়ী থেকে ফেরার সময় চীনের লক্ষ্মী বৌমার শাশুড়ীর জন্য কাগজে করে হাওয়া আর কাগজে করে আগুন আনার গপ্পোটা জানেন না? হাসি
জাপানী বাবাজীরাও কম না, হাড়ে হাড়ে ক্র্যাফটি।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।