আফ্রিকা মহাদেশের উপকথাগুলি বিচিত্ররকম সুন্দর। হয়তো এতরকমের মানুষ, এত রকমের সমাজভাবনা, এত ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র, এত ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, গল্প বলা আর শোনার দীর্ঘ ট্রাডিশন-এইসবই উপকথার এত সমৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে তুলেছে।
আজকে বলি আফ্রিকার দক্ষিণাংশের সান(San) জাতির উপকথা। গল্পটি অপূর্ব! এই গল্পে আছে: একেবারে প্রথমে সৃষ্টিকর্তা ক্যাগেন সব পশুপ... আফ্রিকা মহাদেশের উপকথাগুলি বিচিত্ররকম সুন্দর। হয়তো এতরকমের মানুষ, এত রকমের সমাজভাবনা, এত ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র, এত ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, গল্প বলা আর শোনার দীর্ঘ ট্রাডিশন-এইসবই উপকথার এত সমৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে তুলেছে।
আজকে বলি আফ্রিকার দক্ষিণাংশের সান (San) জাতির উপকথা। গল্পটি অপূর্ব! এই গল্পে আছে: একেবারে প্রথমে সৃষ্টিকর্তা ক্যাগেন সব পশুপাখি তৈরী করে পৃথিবীতে ছেড়ে দিলেন, কিন্তু না বানালেন কোনো পুকুর, না কোনো নদী, না কোনো ঝর্ণা বা প্রস্রবন। কোনো ঘাসজমি নেই, কোনো ফলের গাছ নেই, চারিদিকে শুধু ধূ ধূ বালির মরু, তীব্র সূর্য আগুন ঢেলে তাতিয়ে তোলে তা সারাদিন। পশুপাখিরা সবাই পশুপাখি মেরেই মাংস ভক্ষণ করে আর তৃষ্ণা মেটায় রক্তে। কী ভয়ঙ্কর রক্তলাল সেইসব দিন, কারুর জীবনেরই কোনো নিরাপত্তা নেই।
এক ছিলো বিরাট হাতি, সে এইসব দেখে ব্যথিত। সে বলে, "এইরকম চলতে পারে না, পারে না, পারে না।"
পশুপাখিরা কাছিয়ে আসে, কৌতূহলী হয়ে বলে, " তাহলে?"
মহানহৃদয় হাতি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে," আমি মরে গেলে আমার দেহের পশম থেকে গজাবে ঘাস। আমার শিরাউপশিরা থেকে হবে তরমুজের লতা, তাতে রসটুসটুস তরমুজ ফলবে। আমার হাড়গুলি থেকে হবে ফলের গাছ, রসালো ফল হবে তাতে। আর কাউকে মাংস খেতে হবে না, রক্তপান করতে হবে না। প্রচুর খাবার আর পানীয় পাবে সব পশুপাখি। "
আগ্রহ-উদগ্রীব হয়ে সবাই হাতির দিকে চেয়ে থাকে, একজন বলে," কবে, সে কবে? আহা কবে? "
হাতি বলে, "কী জানি! আমরা, হাতিরা তো অনেকদিন বাঁচি। দেখা যাক কী হয়।"
সবাই আশায়-আশায় চলে যায়, ভাবতে ভাবতে যায় একদিন মরু সবুজ হবে, কত ঘাস, কত ফল, মাটিতে কত রসালো তরমুজ! এত তৃষ্ণা থাকবে না, ক্ষুধা থাকবে না, রক্তলোলুপ এইসব ভয়ানক দিনের অবসান হবে। কিন্তু সে কবে? " কবে তৃষিত এ মরু ছাড়িয়া যাইবো তোমার রসাল নন্দনে?"
এক ছিল মস্ত সাপ, সে হাতিকে এসে বললো, "হাতি, সত্যিই তুমি তোমার নিজের জীবন দিয়ে আমাদের জীবন সুন্দর করতে চাও, আমাদের রক্ষা করতে চাও?"
হাতি বলে, "হ্যাঁ, সত্যি। এই বীভৎস যন্ত্রণা আর চোখে দেখতে পারি না। এর অবসান চাই।"
সাপ বলে, "আরেকবার ভেবে দ্যাখো। সকলের জীবন সুন্দর হবে কিন্তু তার জন্য চরম মূল্য যে তোমাকে দিতে হবে!"
হাতি বলে, "আমি ভেবে দেখেছি, অনেকবার। আমি তৈরী।"
সাপ বলে, "তবে তাই হোক।" বিদ্যুতের মতন চমকে ওঠে সাপের ফণা, গভীর দংশন করে সে হাতিকে, সবটুকু বিষ ঢেলে দেয়। হাতি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, যন্ত্রণায় নীল হয়ে যেতে থাকে তার বিরাট দেহ। কিছু পরেই মৃত্যু হয় হাতির।
হাতির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে আগুনের মতন, দলে দলে পশুপাখিরা এসে হামলে পড়ে হাতির মৃতদেহের উপরে। পেট ভরে মাংস খায়, তৃষ্ণা মিটিয়ে রক্তপান করে। তারা খায় আর পান করে, খেতে খেতে দিন ফুরায় প্রায়, আর কিছু পড়ে থাকে না চামড়া, হাড় আর শিরাউপশিরা ছাড়া। একসময় সূর্য নামে পাটে, পরিতৃপ্ত উদরে পশুপাখিরা ঘুমাতে যায়। বহুদিন পরে পেট ভরে খেতে পেয়েছে তারা, মিটাতে পেরেছে তৃষ্ণা।
পরদিন সকালে একে একে জেগে উঠতে থাকে পশুপাখিরা, আবার তপতপে গরম দিন, আবার ক্ষুধা আবার তৃষ্ণা। আবার সেই যন্ত্রণা। সকলে উন্মত্তের মতন "হা খাবার হা পানীয়" শুরু করে।
সাপ বলে, "আরে তোমরা এত অধীর হয়ো না। মনে আছে হাতির প্রতিশ্রুতির কথা?"
পশুপাখিদের স্মৃতিশক্তি বেশী না, অনেকেরই কিছু মনে নেই, শুধু কয়েকজন তোতলাতে তোতলাতে বলে, " হ্যাঁ , কী যেন ....হাতি বলেছিলো সে মরে গেলে তার হাড় থেকে ফলগাছ হবে....তাই বলেছিলো না? কিন্তু হাতি তো মরেনি। সাপ, তুমি তাকে মেরেছ।"
সাপ ক্রুদ্ধ হয়ে ফোঁস করে ওঠে,"এখন আমার নামে দোষ, না? সুবিধাটুকু পাওয়া হয়ে গেলে এরা সব ভুলে যায়! আয়, কে খেতে চাস আমার রক্ত, এগিয়ে আয় সাহস থাকে তো।"
সাপের ক্রুদ্ধ চেহারা দেখে সবাই পিছু হটে, সাপের বিষদাঁতের কথা কে না জানে! সাপকে কেউ ঘাঁটাতে চায় না।
অনাহারেই আর বিনা পানীয়েই কেটে যায় একটি দিন, ক্রমে সূর্যাস্ত হয়। রাতের বেলা একে একে পরিচিত তারারা ফোটে আকাশে। তার সঙ্গে দেখা দেয় নতুন এক তারা, সেই তারা এগিয়ে আসতে থাকে। ভয়ে শিউরে ওঠে সব প্রাণী, বলে, "ঐ যে হাতির আত্মা। আমাদের ধ্বংস করতে আসছে।"
চুপ করে দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকে পশুপাখিরা, নতুন তারাটি এগিয়ে আসতে আসতে এসে স্থির হয় হাতির দেহাবশেষের উপরে। সহসা হাতির হাড়গুলি খাড়া হয়ে ওঠে, শিকড় গজিয়ে ছড়িয়ে যায় মাটির গভীরে, উপরে ডালাপালা গজায়, পাতাপত্তর হয়। ফলের গাছ হয়ে যায় ওরা। হাতির শিরাউপশিরা থেকে তরমুজের লতা হয়, রসালো তরমুজ ধরে তাতে। আর হাতির গায়ের পশম থেকে হয় মস্ত মস্ত ঘাস, হাতিঘাসের জঙ্গল বলে যা এখন পরিচিত।
পরদিন সকালে পশুপাখিদের আনন্দ দ্যাখে কে! দলে দলে হরিণ খরগোশ গরু ভেড়া জেব্রা ঘোড়া আর বাকী সবাই বেরিয়ে পড়ে খেতে। মাঠভরা সবুজ ঘাস, আহা! শুধু কিছু কিছু প্রাণী চিতা, হায়না, সিংহ, নেকড়ে, পেঁচা-এইরকম কিছু প্রাণী বললো মাংস ছাড়া তারা বাঁচতে পারবে না, তারা চলে গেলো রাত্রির অন্ধকারে, রাতে শিকার ধরে খাবে। শকুন বললো যে তারও মাংস লাগবে কিন্তু সে নিজে মারবে না, এমনি এমনি কেউ মরে গেলে তবে খাবে।
খাবারদাবাড়ের ব্যবস্থা তো হয়ে গেলো, কিন্তু পানীয়? কী ভীষণ তৃষ্ণা! আবার সাপকে তারা বলে, " পানীয় চাই, পানীয় চাই। তেষ্টায় মরে গেলাম।"
সাপ বলে, "ফলে রস আছে, তরমুজেও। ঘাসেও। সেসবে তেষ্টা মেটে না তোমাদের?"
কিন্তু কেউ শোনে না, আহ, তৃষ্ণা! আবার তারা তাকাতে থাকে এদিক ওদিক, নধর কচি কোনো প্রাণীর মিঠা রক্তে তারা তৃষা মিটাবে।
সাপ বাধা দেয়, বলে, "না না না, আর নয়। মহান হাতি নিজের জীবন দিলো তোমাদের জন্য, তবু তোমাদের সন্তুষ্টি নেই। দাঁড়াও, দেখি কী করা যায়।"
সাপ মাটিতে গর্ত করে নেমে গেলো পাতালে, সেখান থেকে ফণা আর লেজের ঝাপটা দিয়ে ঠেলে ঠেলে পাতালের জল নিয়ে এলো উপরে, দেখা দিলো ঝর্ণা ও প্রস্রবণ। নিচু নিচু জায়গা জলে ভরে গিয়ে হলো পুকুর দিঘি হ্রদ, নদী বয়ে গেল উপত্যকার মাঝ দিয়ে।
খাদ্য ও পানীয়ের সমস্যা মিটে গেল, এখন পৃথিবী ঘাসেপাতায়লতায়গাছে সবুজ, স্নিগ্ধ জলের এখন অভাব নেই। সকলে সুখী।
সাপ রইলো না, আগুনে ঝাঁপ দিয়ে সে ফিরে গেলো স্বর্গে, সে কাউকে বলে নি যে হাতিকে সে মর্মান্তিক ভালোবাসতো, তাকে ছাড়া সে থাকবে কেমন করে?
রয়ে গেছে হাতিঘাসের জঙ্গল, রয়ে গেছে সেই জলকুন্ড যেখানে প্রথম পাতালের জল নিয়ে এসেছিলো সাপ। আর রয়ে গেছে এই গল্প।
ছবি: সৌজন্যে মূলত পাঠক রাজর্ষি
এই গল্পটা এত আশ্চর্যরকম, বহু ভিন্ন ভিন্ন দেশের উপকথা, পুরাণ ও ইতিহাসের সঙ্গেও এত মিল যে আজকেই দিয়ে দিতে ইচ্ছে হলো। এইরকম গল্পের ছায়া পরে রেড ইন্ডিয়ান ভুট্টাদেবতার গল্পে, অাজটেকদের কোয়েটজেলকোআটল এর গল্পেও পাই যেখানে একজন স্বেচ্ছায় নিজের জীবনের বিনিময়ে গোটা জাতিকে বাঁচায়। পরে খ্রীষ্টীয় ভাবনাতেও তাই দেখি।
মন্তব্য
এইটা আপনার দেওয়া উপকথাগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভালো লাগলো। ছবির মতো সুন্দর গল্প!
আরে এই উপকথা প্রথম পড়ে আমি টাস্কি লেগে গেছিলাম!
এতটাই টাস্কি খেয়েছিলাম যে গল্পটা নিজের মাতৃভাষায় নিজের মতন করে না লেখা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছিলাম না।
হাতি আর সাপ দুজনকেই এত ভালো লাগলো এত ভালো লাগলো ....
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দাঁড়ান আপনাকে একটা ছোট্টো ছবি মেইল করি, এই গল্পের জন্য।
জুড়ে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।
ছবি সম্পূর্ণতা আনলো কাহিনিতে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দারুণ!
ধন্যবাদ আলাভোলা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
১০০টা হতে আর ৮৯টা বাকি মাত্র
হ্যাঁ, স্যর।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই গল্পটা খুবই কিউউউট লাগলো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার গল্প।
হাতি আর সাপ এত ভাল জানা ছিল না।
ধন্যবাদ অনিন্দিতা।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- হুমম
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মূলত পাঠক,
একটা ছবি আঁকবেন? আমি লেখাটা মেইলে পাঠাচ্ছি।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দুটো গল্পের জন্যই ছবি এঁকে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আমি পেয়েছি, একটা তুলেও দিয়েছি।
ছবি দেখে আমি থ হয়ে ছিলাম ঘন্টাখানেক।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এক ঘন্টা থ হলেন? খুব জমাট বঁেধে গিয়েছিলেন বুঝি?
ভালো লাগলো খুবই।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন