আজকে একটা হিট্টাইট উপকথা। হিট্টাইটরা থাকতো আনাতোলিয়ায়(বর্তমান তুরষ্ক), এদের খুব রমরমা ছিলো খ্রী:পূ: ১৫৯০ নাগাদ, তারপরে খ্রী:পূ: ১২০০ নাগাদ আস্তে আস্তে পতন ঘটে, তারো পরে আরো কয় শতাব্দী এরা ছিলো ঐখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে, তবে তখন ক্ষমতা-টমতা আর বিশেষ ছিলো না জাতি হিসাবে।
ইহুদীদের সঙ্গে এদের একসময় কিছু কানেকশান হয়েছিলো, সলোমনের মা বাথশেবা একজন হিট্টাইট, সেই হিসাবে লুপ্ত হলেও এরা লুপ্ত হয় নাই, সলোমনের মধ্য দিয়ে কিছুটা ইহুদী হয়ে বেঁচে গেছে। আসলে কোনো জনজাতিই কি একেবারে লুপ্ত হয়ে যায়?
পুরাকীর্তি প্রচুর রয়ে গেছে এদের, প্রচুর শিলাখন্ডে কীলক লিপিতে লেখা নানা সব জিনিস, প্রচুর গপ্পো টপ্পো সেসব থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উপকথায় ফিরে আসি। কৃষির দেবতা তেলেপিণু একদিন গেলেন মহা রেগে, কেন রেগে গেলেন কেউ জানে না, রেগে গিয়ে ডান পায়ের জুতা বাঁপায়ে আর বাঁপায়ের জুতা ডানপায়ে গলিয়ে নিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে গেলেন রাগে ফুলতে ফুলতে।
তিনি গেলেন তো গেলেনই, ফেরার নামটি নাই। মানুষের জমিতে শস্য ফলে না, সব কুয়াশায় ঢাকা, আগুন জ্বলে না কাঠে-সে এক মারাত্মক অবস্থা। মানুষ মরতে শুরু করলো, দেবতারাও মানুষের পূজা না পেয়ে শুকিয়ে যেতে লাগলেন।
তখন তেলেপিণুর বাবা-ইনি আবহাওয়ার দেবতা-খুব ক্ষেপে গিয়ে প্রথম একটা ঈগল পাঠালেন তেলেপিণুকে খুঁজতে, সে কিছু পেলো না, তিনি নিজেই এসে তেলেপিনুর ঘরের দরজায় দুম দ্দুম দ্দুম দ্দুম করে লাঠিপেটা করলেন, কিন্তু তেলেপিণু তো বাড়ীতেই নেই, শোনে কে?
তেলেপিণুর মা, মাতৃকাদেবী হন্নহন্না (অন্নপূর্ণার সঙ্গে নামের মিলটা দেখেছেন? ) তখন হন্যে হয়ে এক ছোট্টো মৌমাছিকে শিখিয়ে পড়িয়ে দিলেন পাঠিয়ে, সে মৌমাছি উড়তে উড়তে গিয়ে দ্যাখে বনের মধ্যে একবোঝা পাতার বালিশ করে তার উপরে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে তেলেপিণু। মৌমাছি দিলো ওকে হুল ফুটিয়ে-তাতে তেলেপিনু জেগে উঠলো বটে, কিন্তু গেলো আরো চটে-চটে গিয়ে গেলো ক্ষেপে।
তেলেপিণুর রাগের চোটে পৃথিবীতে বন্যা শুরু হলো, মানুষ পশু বাড়ীঘর গেলো ভেসে। যাদুর দেবতা কামরুসেপাস তখন পাহাড়ের ধারে এসে বারোখান ভেড়া, চব্বিশ হাঁড়ি ভুট্টা, ছত্রিশ কলস সুরা-এসব দিয়ে তেলেপিণুর অর্চনার ব্যবস্থা করলেন।
মন্ত্র পড়ে কামরুসেপাস কইলেন "পাতালের দুয়ারী, সাত দরোজা খোলো, সাত হুড়কা আলগা করো, তোমার ব্রোঞ্জ কলসে ধরে নাও তেলেপিণুর রাগ, ক্ষোভ ও দুর্বুদ্ধি। সব ভিতরে নিয়ে তারপরে সাতদুয়ার এঁটে সাত হুড়কা লাগাও, কোনোদিন আর ওগুলো বেরোতে দিও না।"
তো, তাই হলো। তেলেপিণুর রাগ ক্ষোধ দুর্বুদ্ধি দূর হলো, সোনালী ঈগলের পিঠে চেপে তিনি ফিরে এলেন ও পূজার্চনা গ্রহণ করে খুশী হলেন। আর অসুবিধা রইলো না, ঢালাও ফসল ফললো, গোলাভরা ফসল তুলে লোকে আনন্দে নাচগানের অনুষ্ঠান করলো। আর অবশ্যই দেবতাদের তুষ্ট করার জন্য এলাহি পূজার্চনার ব্যবস্থাও করলো।
অত:পর সকলে সুখেশান্তিতে ....মানে যেমন হয় আরকি!
ছবি: মূলত অনেককিছু রাজর্ষি
(কোনোদিন যদি আমার বই বের করার মতন দুর্ঘট ব্যাপার ঘটে, তবে ইলাস্ট্রেশন বিষয়ে কোনো অসুবিধা দেখা দেবে বলে মনে হয় না। )
মন্তব্য
কোনদিন যদি আপনার বই বের করার মতো দুর্ঘট ব্যাপারটা ঘটেই যায়, কোন বিষয়েই কোন অসুবিধা দেখা দেবে বলে মনে হয় না!!
তেলেপিণু এত্তো রাগী কেনু? ব্যাদ্দপ!
খুবই রাগী। ওর বাবা ও তো! দরজায় দ্দুম দ্দুম করে! জেনেটিক রাগ।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আর বইয়ের ব্যাপারে তো? তাহলে আপনি স্পনসর করছেন! যাক বাঁচা গেলো।
চিরকালই আমার একটা সন্দেহ ছিলো কোনোদিন হয়তো ভালো মালকড়িওলা স্পনসর পেয়ে যেতেও পারি।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পরাণপ্রিয় তুলিরেখা - এসব কী বলচেন? স্পন্সরর লাগপে তা আগে বল্বেন্না? আমি ভয়ানক, ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ মালকড়িসম্পন্ন!! মাঝে, মাঝে আমি এত্তু টাহা দিয়ে কী কর্ব্বো ভেবে না পেয়ে নোট দিয়ে নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে ফাসিয়ে দেই, তাও যদি কিছু কমে
তবে, বই যে আপনার বের হওয়া খুবই সম্ভব, সেটা তো বোধ করি নিজেও বোঝেন?
২০১০এ না আপনে আমারে টেকা দেয়ার কথা?
আহা, ওভাবে ভাসিয়ে ফাসিয়ে না দিয়ে এই আমরা সম্মিলিত ভদ্রাভদ্রজনেরা আছি, তাদের সম্মানী টম্মানী নববর্ষে কলসী উৎসর্গ বোতল উৎসর্গ এইসব ভালো কাজে দিলেও তো পারেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বই বের করলে করেন তাতে কোন আপত্তি নেই আমার কিন্তু আমি এত সময় আপেক্ষা করতে পারব না তা আগে থেকে বলে রাখলাম। বই বের করার চিন্তা মাথায় থাকা ভালো কিন্তু তাতে যেন তের নম্বর প্রকাশে কোন ধরনের অবহেলা না হয়।
শাহিদুর রহমান শাহিদ
আহা, অধীর হন কেন জনাব? জানেনই তো তের হলো গিয়ে কিসের জানি ফের!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা,
আপনাকে যেন সে ফেরে না ধরে।
শাহিদুর রহমান শাহিদ
জ্বি
আর ভূমিকাটা হবে আমার লেখা আপনাকে নিয়ে সেই উপকথার গল্পটা
ইলাস্ট্রেশন টিক
ভূমিকা টিক
যাক দুখানা টিক পড়লো, এখন বাকীগুলোতে টিক পড়ে গেলেই কেল্লাফতে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জমিয়ে রাখছি, আর মাস ছয়েক পরেই কাজে দিবে রূপকথাগুলো।
জমিয়ে রাখছেন বুঝি? আহা শুনিঅ বড়অ ভালা লাগিলঅ (উড়িয়া স্টাইল)
কিন্তু ছয় মাস পরে কি হবে সেটা বড় জানার ইচ্ছা ছিলো স্যর।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরেহ, অভিনন্দন!
অভিনন্দন হে শাহেনশাহ !!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আরে নাহ্! আমার অভিনন্দন হালাল হইতে বহু দেরী । এগুলো সদ্যজন্মানো ভাতিজার জন্যই তোলা আছে আপাততঃ
নতুন মন্তব্য করুন