১।
নীলমেঘ ভেঙে নীল বৃষ্টিকণারা নেমে আসছিল, একের পর এক। টুপ টাপ টুপ টাপ করে ঝরে পড়ছিল রাধাশ্যামের মন্দিরের বাগানের গভীর দিঘির কালো জলে। মস্ত মস্ত নীল মুক্তোর মতন জলবিন্দু। কালো জলে ডুবে যাচ্ছিলো। ওরা কোথায় যায়?
ওই দিঘি কত গভীর কেউ জানে না, ঘাট থেকে জলে নেমে একটু এগোলেই আর থই পাওয়া যায় না, তখন সাঁতার দিতে হয়। আমি সাঁতার জানি না, তাই পাথরের ঘাটের কাছ থেকে বেশী দূরে যাই নি। লোকে গল্প বলে নাকি দিঘির গভীর তলদেশে আছে মণিমুক্তাসাজানো জলগুহা, তা হলো পাতালের দরজা। ঐ গুহাপথে পাতালে পৌঁছলে নাকি দেখা যাবে পাতালের রাজ্য, তাতে হীরা, মুক্তা, মণি, মাণিক্য ছড়াছড়ি যায়।
আহা, পাতালে পৌঁছতে পারলে বেশ হতো! তাহলে এই ছেঁড়া কালো জামা পরতে হতো না আর, পেট ভরে খেতেও পেতাম দু'বেলা। যেখানে এত ধনদৌলত ছড়াছড়ি যায়, সেখানে ভালো ভালো খাবারও নিশ্চয় অনেক। মা ও এত মারতো না তাহলে, পেতই বা কোথায় আমাকে? আমি তো তখন সে-এ-এ-এ-ই পাতালের রাজ্যে! বা:, বেশ মজা হোতো!
" টুনি, ও টুনি, কই গেলি তুই? " মা ডাকে, আমি দিবাস্বপ্ন ভেঙে জেগে উঠি। কোথায় বৃষ্টি? খটখট করছে দুপুর। ঘাটলার অশ্বত্থছায়া থেকে উঠে পড়ি। মা বেরোবে বিকালের কাজে, আমায় ঘরে থাকতে হবে। যাই, দেরি হলে মা আবার চুলের মুঠি ধরে এমন চড় দেবে যে গালে দাগ পড়ে যাবে। একদিন দিয়েছিল ওরকম, ঘুরে পড়ে গেছিলাম মেঝেতে।
যেতে যেতে ফিরে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলি, "যাই দিঘি, কালকে আবার আসবো। " দিঘি কি বললো শোনা হলো না। আচ্ছা, সত্যি কি পাতালরাজ্য আছে? জলমানুষেরা আছে? থাকলে বেশ হতো কিন্তু! মা পেট ভরে খেতে দেয় না, দেবেই বা কোত্থেকে? একা একা খেটে আমাকে আর দুটো ভাইকে খেতে পরতে দেওয়া আবার নিজের জন্য ও তো লাগে, এ কি সহজ? আরেকটু বড় হলে আমি ও কাজ করতে শুরু করলে তখন বেশ ভালো হবে। পেট ভরে খেতে পাবো, আস্ত কাপড় পরতে পাবো। সে কবে?
হয়তো আর কিছুদিন পরেই মা সঙ্গে করে নিয়ে যাবে, কোনো বাসায় কাজ ঢুকিয়ে দেবে। এই তো পাশের ঝুপড়ির মালতিকে গত মাসে স্টেশনের কাছের ঐ উঁচু বিল্ডিং এর এক বাসাবাড়ীতে কাজে ঢুকিয়ে দিয়েছে ওর মা। মালতি তো আমার বয়সীই প্রায়, একটু বড়ো। সেরকম হলেও ভালো হয়, বাসাবাড়ীতে ফ্যান আছে, হাওয়া খাওয়া যায়, টিভি আছে দেখা যায়। সবসময় তো আর কাজ না, কাজ ফুরালে টিভি দ্যাখা যায়। তাছাড়া মালিকেরা জামাকাপড়ও দেয় অনেক, ওদের ছেলেমেয়েদের একটু পুরানো হয়ে যাওয়া জামা দিয়ে দেয় কাজের লোকেদের।খাবারদাবারও ভালো পায় সেখানে মালতি। বেশ মজাতেই আছে। মালতি মাঝে মাঝে আসে, ওর মাসমাইনের টাকা ওর মাকে দিয়ে যায়।
পৌঁছে গেছি, মা যথারীতি রেগে আছে। আমার দিকে তেড়ে এসে বলে, "কোন্হানো ছিলি এৎক্ষণ? ধুমসা মাইয়া রাতদিন টইটই কইরা পাড়াটোলাইয়া বেড়ানো, বাড়ীর কাজকামগুলান আগাইয়া রাখলে তো পারিস, তা করনের নাম নাই! তাইলে যে মা'র সুবিধা হয়! ছোডো ভাই দুইডারে দেইখা রাখলেও তো কাজ হয়। তা না, ইনি পাড়াটোলানি! দাঁড়া, এমুন মজা দেখামু আইজ! "
বলতে না বলতেই চুলে টান আর ঠাস করে ডান গালে এক প্রচন্ড জোরে চড়, পড়ে যেতে যেতে সামলাই, চোখে অন্ধকার। সেটা সামলাতে না সামলাতেই বাঁ গালে আরেক চড়। আ:, কেন মা এত মারে! এইবারে মালতি আসলে ওকে চুপি চুপি জিজ্ঞেস করবো ওর চেনা কোনো বাসাবাড়ীতে কাজের লোক রাখবে কিনা কেউ। ও যদি বলে হ্যাঁ, তাহলে ওর সঙ্গে চলে যাবো মাকে না জানিয়ে।
লুকিয়ে চোখের জল মুছে ফেলে মাকে বলি, " আমি ছুটনরে আর বুড়নরে দেইখা রাখতেছি। তুমি কাজে যাও।"
ঘুমিয়ে থাকা ভাইদের পাশে গিয়ে বসি, তালপাতার আধাভাঙা পাখাটা দিয়ে আস্তে আস্তে হাওয়া করতে থাকি। মা কিন্তু তখুনি যায় না, আমাকে একটা রুটি আর অল্প কাঁচকলাভর্তা এনে দিয়ে বলে," খিদা পায় নাই তর? সেই তো সহালে পান্তা খাইলি, তারপরে তো আর কিছু খাস নাই!"
আমি মায়ের দিকে না তাকিয়ে মাথা নেড়ে বলি, " খিদা পায় নাই। রাইখা দাও, রাত্রে দিও।" আমার মুখের কষ বেয়ে রক্ত পড়ে, ছেঁড়া ফ্রকের হাতায় মুছি। মা যাতে না দেখতে পায় সেই চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু মা দেখতে পেল।
মা খুব কেমন রকম গলায় বলে, "কি রে, তর মুখে রক্ত? এত লাগলো?"
কাছে এসে আমাকে আলতো করে ধরে, আমি চোখ বন্ধ করি, হাতের পাখাটা পড়ে যায়। নীল মেঘ ভেঙে নীল বৃষ্টিরা নেমে আসছে, অনেক অনেক নীল বৃষ্টিকণা। টুপ্ টুপ্ করে ডুবে যাচ্ছে দিঘির কালো জলে। আমিও ডুবে যাচ্ছি ওদের সঙ্গে, আমার সারা শরীরে ঠান্ডা জলের ছোঁয়া লাগছে, দেখতে পাচ্ছি চারপাশে মাছেরা সাঁতরে বেড়াচ্ছে, বড় বড় সব মাছ। আকাশিনীল রঙের একটা মস্তবড় মাছ আমার কাছে এসে কথা বলে উঠলো, বললো, " পাতালের প্রাসাদে যাবে? এসো আমার সঙ্গে।" সে ডানা নেড়ে নেড়ে সাঁতরে চলে পথ দেখিয়ে, আমি পিছু পিছু চলি। কিন্তু আমি তো ভালো সাঁতরাতে পারি না, আমার হাত-পা সব ভারী হয়ে আসে, খুব কাশি পায়, কাশি চাপতে পারি না, কাশতে কাশতে ঝলক ঝলক রক্ত উঠে আসে, জল লাল হয়ে যায়।
আহ, আর যাওয়া হলো না প্রাসাদে। সেই যেখানে ধনরত্ন মণিমুক্তা ছড়াছড়ি, যেখানে কোনো কষ্ট নেই, যেখানে খিদে পেলেই খেতে পাওয়া যায়। যেখানে একজন খুব সুন্দর মা আছে। কেউ সেখানে মারে না। আহ, যাওয়া হলো না। মাছকে বলি, "ও মাছ, মাছ, শোনো, একটু থামবা? আমি যে পারিনা আগাইতে। " মাছটা পিছন ফেরে, ওর হাসিহাসি মুখটা বদলে যায়, বদলে যায় আরো। চেনা কার মুখের মতন হয়ে যায়।
আমি চোখ মেলি, চোখে মুখে ফোঁটা ফোঁটা জল, মা ঝুঁকে পড়েছে আমার মুখের দিকে। জলের ঝাপটা দিচ্ছিলো বোধহয়। আমার চেতন হয়েছে দেখে সোজা হয়ে বসে। আমি উঠে বসতে গেলে মা বলে, " শুইয়া থাক, শুইয়া থাক, উঠতে হইবো না। "
আমি তবু উঠে বসি, কোনোরকমে বলি, "আহ, আ আ আমারে একটু জল খাইতে দিবা?"
মা গেলাসে করে জল এনে গেলাস আমার মুখে তুলে খাইয়ে দেয়।
আমি মাকে জিগ্গেস করি , "কাজে যাও নাই? "
"তরে এমুন রাইখা যামু? এহন একটু ভালা লাগে রে টুনি? "
"এহন ভালা। তুমি যাও কাজে। আমি ভাইদের কাছে শুইয়া শুইয়া বাতাস করি।"
মা কাছে এসে আমার মাথাটা নিজের বুকে চেপে ধরে বললো, " বুজতে পারি নাই টুনি, তর এত জোরে লাগব বইলা। আমি তরে দুইটা রুটি খাওয়াইয়া তারপরে যাই কাজে। "
রুটি-ভর্তা মা খাওয়ায়, আমি নিজেই খেতে পারতাম, কিন্তু মা নিজে হাতে করে খাওয়ায়, আমি খেয়ে যাই। মুখের ভিতরে কোথাও কেটে গেছে হয়তো, জ্বালাজ্বালা করে, কিছু বলি না। কি হবে বলে? দু'দিন গেলে সেরে যাবে।
মা কেমন কোমল গলায় বলে, " আমার কথা শুইনা চললেই ত আমার রাগ হয় না। কেন ঘুইরা ঘুইরা বেড়াস, কত বিপদ আপদ আছে জানস? কথা না শুনলেই ত আমার রাগ উঠে। টুনি, কথা শুইনা চললে আর কিছু কমু না। শুনবি ত, টুনি?"
আমি মাথা কাত করে জানাই শুনবো। মা বিপদ-আপদের কথা বলে প্রায়ই, কিসের বিপদ? কিজানি হয়তো ছেলেধরারা ধরে নিয়ে যেতে পারে, সেই বিপদ।
(চায়ের বিরতি )
মন্তব্য
ভালো লাগলো আপনার গল্প।
মেয়েটির দুঃখ, তার কল্পনায় বৃষ্টির ধারা, জলের নীচের বর্ণনা সব জীবন্ত লাগছিলো। গল্পের শেষটা মনে হয় অনুমান করতে পারছি....
ধন্যবাদ।
শেষটা অনুমান করতে পারছেন, বলেন কি?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মন খারাপ করে দিলেন ভরা বিকেলে!
গল্পটা মনখারাপ করে দিলো আপনার?
আপনি একটা বেড়ানোর মজার গল্প দিন তবে(কত্তদিন কিছু বেড়ানোর গল্প দেন না, কমিকস ছবি দেন না, সেই নানাদেশের মানুষের ছবি আঁকবেন বললেন যে! সেই হুবাননামের কমিকস ! ), বেশ সুখে আর দুখে কাটাকাটি হয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মজার গল্প দেবো শিগগির। একখানা যা জম্পেশ সিনেমা দেখলাম না, লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে! ছবি এখন আঁকতে পারছি না, স্থানচ্যূত কি না তাই, সরঞ্জাম নেই সাথে।
আপনি এত সুন্দর করে লেখেন কিভাবে? ভাবতে ভাবতে লেখেন, নাকি লিখতে লিখতে ভাবেন?
ধন্যবাদ।
এমনিই কীবোর্ডে ঠকাঠক করে লিখি, তেমন ভেবে টেবে নিয়ম মেনে লিখতে গেলে পারি না লিখতে, কেমন যেন দড়িদড়া জড়িয়ে গেল বলে মনে হয়, লেখাটা মুখ থুবড়ে পড়ে। তখন রেখে দেই, আর লিখি না। আবার মাঝে মাঝে কেমন একটা মনে হয়, হাত নিশপিশ করে( মারামারির জন্য না ), লেখাগুলো তখনই হয়।
আবারও ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগলো। মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়লাম। অসম্ভব সাবলীল ও জীবন্ত।
অনেক ধন্যবাদ অতিথি লেখক। আপনার নামটি লিখতে ভুলে গেছেন যে!
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার লাগে আপনার লেখা। সবসময়ই।
অনেক ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির।
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লেখাটা অনেক কাব্যময়, অন্তত প্রথমে দুই প্যারা। আমি ট্যাগ না দেখেই পড়তে শুরু করে কবিতা ভেবেছিলাম। পরে বুঝলাম গল্প।
মাঝে মাঝে গল্পের চেয়ে গল্পহীন কবিতা বেশি টানে। আপনার এই লেখাটা তেমন।
চায়ের বিরতি মানে কী? চা খেয়ে বাকিটুকু লিখবেন? এখানেই নাকি নতুন পোস্টে?
ধন্যবাদ।
চায়ের বিরতি মানে?
সে কথা আমাকে জিগান কেন, মডুরা ও ভালো জানে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনাকে তো ভালো মানুষ বলেই জানতাম।
আপনিও চায়ের বিরতিতে...?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহা, সৎসঙ্গের একটা সুপ্রভাব আছে না?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগলো।
_____________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুব ভালো লিখেন আপনি, আমি যোজন যোজন মাইল দূর থেকে ঈর্ষান্বিত হই। আপনার লেখার গুনেই এই গল্পটা পড়া যাচ্ছে। বিষয় বস্তু কিন্তু বহু ব্যবহারে জর্জরিত। তুলিরেখা এই আবেগী ঘেরাটোপের বাইরে কিছু লিখুন না প্লীজ।
ধন্যবাদ মামুন।
আসলে এই আবেগটুকু ছাড়া কিইবা আছে বলেন, এইটুকুই তো আমাদের "মানুষ" করে রাখে, ধূলামাটিজলের মানুষ, হাসি আর চোখের জলের মানুষ। নাহলে তো ইস্পাতের রোবট, উপরে হিসাব কষার কল বসানো।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি ভাষাদীন আরো একবার!
কী ক'রে চেনা ছবিও এমন পাতালপুরীর মতো সুন্দর আঁকেন আপনি!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এই গল্পটা পড়তে একটু দেরী হয়ে গেলো...। আপনার ভাষায় আসলে এতো ছোট ছোট কারুকাজ থাকে- আমি সোজাভাষী বেকুব পাঠক - ধরে নিতে কষ্ট হয়...।
এই গল্পটা কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে-এরকম আরো চাই।
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
নতুন মন্তব্য করুন