• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

উতলধারা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৮/২০০৯ - ৭:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কতকাল সময় আর খেলেনা আমায় নিয়ে! সেই লুকোচুরি, দৌড় দৌড়, টুকি টুকি টুকি! সেইসব অরূপগন্ধী সকাল, সেইসব শিরশিরে হাওয়া, সেই মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুর, ক্লান্ত মধুর বুকলফুল বিকাল, মনকেমন করা হেমন্তগোধূলির ম্লান রাঙামাটি আলো, আনন্দের শরতের দ্রুতচ্ছন্দ প্রহর- সবকিছুর ভিতর দিয়ে টুকি টুকি টুকি করে দৌড়!

বৃদ্ধ কাল হাসিমুখ দাদামশায়ের মতন, একমুখ সাদা দাড়ি শরতের মেঘের মতন--সবকিছু নিয়ে ঐ আলোছায়া হাসিকান্না দু:খসুখ রাগবিরাগের ভিতরে সস্নেহ হাসি নিয়ে চেয়ে থাকতেন। কেউ যে কাল পেরিয়ে যেতে পারেনা জীয়ন্তে! অথচ ঐ বুড়ো দাদুর কি যে স্নেহ, বারে বারে ধরা দিতে চান কচি কচি আঙুলগুলোর মধ্যে। ঐ শিরাওঠা হাতগুলো ওঁর, কি কোমল কি স্নিগ্ধ!

জলদা হয়ে কোর্টের বাইরে পড়ে যাওয়া বালিকাটিকে নিজের পাশে ডেকে এনে খেলতেন তিনি, ওর ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু যা কেউ কোনোদিন দেখেনি-তা উনি মুছে দিতেন ওঁর সাদা উত্তরীয়ে। দখিন বাতাসে শুকিয়ে যেতো সে জলের দাগ।

মার্চের বিকেলে কি মনকেমনকরা বাতাস বইতো! ছাদের উপর থেকে কত দূর পর্যন্ত দেখা যেতো। ঐ দূরে পশ্চিমে গাছের ঘন সবুজ রেখা নীল হয়ে আসতো, সেখানে আকাশে নীল বুকে মিশে গেছে পৃথিবীর সবুজ আঁচলটি। দিগন্তকুহেলী এসে ঢেকে দিয়েছে সে ঘন রহস্য।

সবাই যখন ব্যস্ত থাকে নানা কাজে অকাজে, তখনই কি কুঁড়িরা ফুল হয়ে ফুটে যায়? আকাশ থেকে টুপ টুপ করে তারাগুলো কি তখন নেমে পড়ে সমুদ্দুরে?

ঐ তো ওরা গানের ক্লাসে চলে যাচ্ছে খাতা বগলে নিয়ে, শনিবারের বিকেলমাঠ একলা পড়ে আছে, কেউ আজ খেলবে না হাডুডু, কাকজোড়া, জেলেমাছ, নামপাতাপাতি, বুড়ী বসন্তী, ভাইবোন বা এমনি এমনি কোনো তখনি বানানো খেলা। তাই বুঝি মাঠের মনখারাপ? কোণের খেজুরগাছগুলোরও মনখারাপ? তাই মাঠ শনিবারের বিকেল এলেই অমন চুপ হয়ে যায়?

মাঠের পাশে ঐ তো ঝুনিদিদিদের বাগান- জিনিয়া ফুল লাগায় ওরা। আর কত রঙের গোলাপ! তুলতে পারা যায় না। সবসময় বুড়ো রাগী একটা মানুষ পাহারা দেয়। ঝুনিদিদির রিটায়ার করা বাবা। রিটায়ার করলে কি লোকে খুব রাগী হয়ে যায়? কাজকর্ম থাকে না বলে? তখন খালি চোর ধরার মতলব খোঁজে?

ঝুনিদিদের পাশেই অনুদের বাড়ী, ওর ভালো নাম অনুব্রতা। ওখানে কতকিছুই হবে, আমাদের রবীন্দ্রজয়ন্তী, পর পর বেশ অনেক বছর ওদের প্রশস্ত ছাদে, তারপরে একদিন আমাদের উল্কা দেখার রাত্রি। একদিন ওর বাবার স্মৃতিসভাও।

তরতর কলকল করে বয়ে যায় নদী, অদ্ভুত শব্দ ওঠে তীরে তীরে। অথচ এই কালনদীটি নিত্য বহমানা, তবু কী নি:শব্দ! আমিই কি দাঁড়িয়ে গেলাম হঠাৎ, নদীপারের সিডার গাছটির মতন? চুপচাপ স্থবির হয়ে? খেলা বন্ধ হয়ে গেলো? আর নতুন দিনগুলো হাতের মুঠো বন্ধ করে দুষ্টু দুষ্টু হাসিমুখে বলছে না, " বলো তো কি আছে?"

অথচ কি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এখনো ক্লাস ফোরের সেই নতুন ঘরখানা, দোতলায়, দক্ষিণের জানালায় আমগাছের মাথা, উত্তরে ফাঁকা, পুবের দিকে ছোট্টো মাঠখানা, ঐদিকের জানালার পাশেই ব্ল্যাকবোর্ডখানা রাখা। সদাবিষন্ন পুষ্পাদিদিমণি ক্লাস-টিচার। বয়স্ক মহিলা সবসময় সরু পাড়ের সাদা একখানা শাড়ী কুঁচি না দিয়ে সাধারণভাবে পরতেন, মুখে হাসি দেখা ছিলো অত্যন্ত বিরল ঘটনা। উনি অঙ্ক করাতেন আমাদের। হাসিবিহীন কঠিন কর্তব্যের মতন বোর্ডে বুঝিয়ে বুঝিয়ে করাতেন পাটিগণিত, ভগ্নাংশ, গুননীয়ক, গুণিতক।

ঐ তো দেখতে পাচ্ছি পশ্চিমের দেয়ালে ঝোলানো অনেক অনেক ছবি, আগের বছরের দাদাদিদিরা দিয়েছিলো। এখন সেই দিদিরা অনেকেই দুটো মোড় পার হয়ে যে বড়ো হাইস্কুল, সেখানে পড়ে। আমরাও যাবো পরের বছর। তাই ঐ ছবিগুলো দেখলেই আমাদের ডানার কুঁড়ি চঞ্চল হয়ে ওঠে। যেন দিনবদলের ছাড়পত্রের গন্ধ লেগে থাকে ঐ ছবি ঝোলানো দেয়ালে। অপটু হাতের বালকবালিকাদের জলরঙে বা প্যাস্টেলে আঁকা ছবি, কত যত্ন করে বাঁধিয়ে রেখেছেন দিদিমণিরা। এই ক্লাসরুমটাই তো একদম নতুন, চালু হোলো মোটে গত বছর।

সোমাদির হাতের সৌরজগৎ এর ছবিখানা কি যে আবিষ্ট করে দিতো! অথচ রঙবিহীন জ্যামিতি শুধু। সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে কালো দিয়ে আঁকা সব গ্রহগুলো আর কক্ষপথসমূহ, মাপের ও কোনো মাবাপ নেই। অথচ কি যে হতো ও ছবিটার দিকে তাকালে, শিরশির করতো সারা গা। তাই ওটার দিকে তাকাতাম না ছুটির আগের ক্লাসগুলোতে। ছুটির সময় তাকিয়ে নিয়ে বাড়ী ফেরা, আহা ঐ শিরশিরানিটুকু সঙ্গে লেগে থাকতো গোটা পথটা জুড়ে।

হাঁটাপথের পাশে পুকুর, মধুফুলের ঝোপ, খাটালে মস্ত মস্ত কালো কালো মোষ, ছোটো একটি গুমটি দোকান, মস্ত পাঁচিলে ঘেরা প্রাসাদের মতন একটি বাড়ী, বাড়ীর নাম নফর ধাম। আহা, অত বড়োলোক কেন নফর হবে? কারই বা নফর সে? এইসব প্রশ্ন ভাবতে ভাবতে দৃশ্যপট বদলে গিয়ে এইবারে এসে গেলো বড়োমাঠ, সেখানে এখন কেউ নেই বটে, তবে আরেকটু পরেই বড়ো দাদারা ফুটবল খেলতে আসবে।

এইবারে বাড়ী। বইয়ের ব্যাগ রেখে হাতমুখ ধুয়ে খেলতে যাওয়া, আমাদের খেজুরতলার মাঠে। পুতুল, মামণি, পারমিতা, পম্পি, টুম্পা রুম্পা দুই টুলটুলে বোন, মেনেদি, মৌদি, সোনাদি। জয়দা, টুটুনদা, সোমেনদা, শিব্রামদা। কত নাম মনে পড়ছে। গরমকালের বিকেলগুলোতে অনেক সময় পাওয়া যেতো, টুপ করে সূর্য ডুবে যেতো না তাড়াতাড়ি। অনেকক্ষণ খেলা জমতো। তারপরে ধুলোপায়ে বাড়ী ফিরে কুয়োর ঠান্ডা জলে হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসা। বেশীরভাগ দিনই লোডশেডিং তাই হ্যারিকেন লন্ঠনের আলোতে পড়াশুনো।

তবুও কুলকুল করে এসবের আড়ালে আড়ালে বয়ে যায় সময়, একা একা লাগে খুব। কোথায় যেন তীব্র দলছুট আমার হৃদয় নির্জন বনে পলাশগাছের নীচে একা দাঁড়িয়ে আছে। এক্ষুণি যেন কোথা থেকে উড়ে আসবে এক অলৌকিক নীলপাখি, ওর একটি পালক উড়ে এসে পড়বে ফ্রকের সামনের কুঁচিতে।

অনু একটু আলাদা রকমের কাছের বন্ধু, বারে বারে ভাব আড়ি ভাব আড়ি করে করে কোথায় যেন মিল হয়ে গেছে ওর মনের সঙ্গে আমার। জানিনা এ কতদিনের অথবা সত্যি কিনা, তবু অবাক লাগে। আর কারুর সঙ্গে তো এমন হয় নি!

"ঐ দ্যাখ মিলি তিনখানা জ্বলজ্বলে তারা একলাইনে, কালপুরুষের কোমরবন্ধ।" বসন্তের সন্ধ্যায় দক্ষিণ আকাশে অঙ্গুলিনির্দেশ করে অনুই তো বলছে, ঐ তো কেমন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি! মানুষের স্মৃতি কি সময়ের নদীর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে? তীরবর্তী সিডার গাছটির মতন?

অগণ্য তারা ছড়ানো নির্মল বাসন্তী সন্ধ্যায় কি এক তরঙ্গ এসে লাগে প্রাণের কোন্ গোপণ গভীর নিশীথবীণায়, যেখানে কে যেন স্তব্ধ হয়ে বসে আছে আমার জন্য, নীরব, অন্ধকার, তার মুখ দেখা যায় না। এই কি সেই "ডুব ডুব ডুব রূপসাগরে আমার মন/ তলাতল খুঁজলে পাতাল পাবি রে সেই কৃষ্ণধন।" এই কি সেই? সেই, সেই, সেই?

আমি এইবারে অনুকে চেনাচ্ছি সপ্তর্ষি, রাজহংসমন্ডল, অভিজিৎ- নীল তারাটি---সে কবে? কতকালের পরে? কত জল বয়ে গেছিলো মাঝে পৃথিবীর সমস্ত নদীতে নদীতে? গঙ্গায় নীলে মিসৌরিতে ওব ইনিসি লেনায়?

"জানিস মিলি, আমার কাকে সবচেয়ে ভালো লাগে? "

"কাকে?"

আবার হাত আকাশে বাড়িয়ে দিয়ে অনু বলে,"কালপুরুষকে।"

কালপুরুষের জন্য তীব্র তৃষা মনে লুকিয়ে রেখে আমি ঝট করে বলে দিই," আমার ভালো লাগে সপ্তর্ষিকে।"

অনুব্রতা হেসে লুটিয়ে পড়ে প্রায়," ওরে বাবা, একসঙ্গে সাতজনকে? "

তার কতকাল পরে, সদ্য-বিবাহিতা অনুব্রতা বস্ত্রালংকারে সুসজ্জিতা হয়ে স্বামীর সঙ্গে হাওড়া স্টেশনে এসেছে,পরিজনেরা জিনিসপত্র সমেত তুলে দিলো ওদের কামরায়, ব্যাঙ্গলোরগামী দম্পতির সামনে সন্ধ্যার খোলা জানালায় ঝলমল করে কালপুরুষ। শৈশব কৈশোর ছেড়ে যাবার বেদনায় অনু নীরবে উঠে চোখে জল দিতে যায়, এক একা কালপুরুষের দিকে চেয়ে ওর আয়ত চোখ দুটি জলে ভরে যায়। পৃথিবীর সংসার কি অয়স্কঠিন! সব স্বপ্ন কেমন শ্যাওলা ধরে যায়, কত তাড়াতাড়ি মিছা হয়ে হয়ে যায়।
"তোকে দিলাম তোকে দিলাম তোকে দিলাম মিলি, আমার কালপুরুষ তোকে দিলাম।"

নির্বিকার রেলগাড়ী চলে ঝমঝমঝম, সব চেনা কিছু দূরে মিলিয়ে যায়, ঠিক তখন আমি সন্ধ্যার ছাদে। কালপুরুষ আমার দিকে চেয়ে ভ্রূভঙ্গী করে, কতকাল আগে থেকেই তো সবটা রহস্য সে জানে। আমি দু'হাত প্রসারিত করে যতটা সম্ভব ততটা আঁকড়ে ধরি এই ক্ষুদ্র বাহুতে, মুখ গুঁজে দিই ঐ নীহারিকায়। ওর হাতদুটি অস্ত্র মুক্ত হয়ে নেমে এসেছে আমার মাথার চুলের উপরে। প্রার্থনা করি, " কখনো কখনো কখনো যেন সংসার না নিতে পারে আমাকে ছিঁড়ে তোমার বুক থেকে।" এতকালের সযত্ন সঞ্চিত অশ্রু অঝোরে ঝরে পড়ে অবারিত ভিজিয়ে দিতে থাকে ওর নীল বুক। সে হাসে, ওর থেকে ছিঁড়ে নেবে, এমন সাধ্য কি থাকতে পারে কখনো ক্ষুদ্র পৃথিবীর সংসারের?

সময়ের নীলধারার পাশে শান্ত ন্যগ্রোধ বৃক্ষটির মতন পাখিটিকে কোলে নিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে অজ নিত্য শাশ্বত আলো-অন্ধকারের হৃদয়। মেঘের মতন তার চুলগুলি চেনা আকাশের নীলটুকু পার হয়ে কোন গভীর মধরাত্রিনীলের চেয়েও গাঢ়তর নীলের মধ্যে হারিয়ে গেছে। অসীমের প্রান্ত ছেয়ে উতলধারা বাদলের মতন ঝরে পড়তে থাকে সুধা, আলোর আলো, সকল আলোর সারাৎসার। অবিরাম ঝরে, ঝরে,ঝরে, অন্তহীন বিরামহীন অঝোরধারা।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আজ খুব মেঘলা দিন... সকাল থেকে একটা মন কেমন করা ভাব, কাজকাম ভাল্লাগেনা...
তখন আপনার শিরোনাম দেখেই মনে হইলো এইটা বুঝি বুড়ো রবীর গান...

গান না পেলেও খুব মন খ্রাপ হলো না। লেখাটা ভালো লাগলো অনেক...

গানটা তাইলে আমিই দিলাম...
http://www.esnips.com/doc/5b1eaff0-2c9f-44de-8fa9-968347542aec/UTAL-DHARA-BADOL-JHORE_PURBA-DAM
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

এখানেও মেঘলা আজ। মনকেমনকরা মেঘলা দিন।
গানের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তীরন্দাজ এর ছবি

আপনার চিত্রকল্পগুলো প্রতিবারই খুব সুন্দর! ভালো লাগে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তীরুদা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

জাহিদ হোসেন এর ছবি

ভারী মন কেমন করা লেখা। ভাগ্যিস-আমাদের এখানে প্রখর রোদ। আকাশ মেঘলা হলে এই লেখা পড়বার পর আর কোন কিছুতেই মন বসতো না।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ জাহিদ হোসেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

গতকাল অবধি ডিসি-তে ছিলাম যেখানে ঝলমলে রোদ। কাল রাতে বিমান অবতরণে দেরি হলো ঝড়জলের জন্য, আজ সকালেও ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে, এর মধ্যে আপনার লেখাটা দিব্যি জমে গেলো।

তুলিরেখা এর ছবি

ঝলমলে রোদ থেকে এসে ঝুমঝুমা বৃষ্টিতে পড়লেন! খুবই ইয়ে ব্যাপার! যাই হোক, কদিন পরে রোদ উঠবে আশা করি।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না বিষ্টি, না রোদ, না জল, না আকাশ, না ফুল, না তারা, না ভাষা, না স্বপ্ন, না কল্পনা, না সুখ- প্রতিদিনের বর্তমান পৃথিবীর ঊর্ধ্বে এই কালহীন কথাগুলায় আমার মাথা খারাপ হবে না তো কী হবে?!
(চলুক) ক্যাম্নে সম্ভব!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

তুলিরেখা এর ছবি

মাথা খারাপ হবে না।
কিন্তু আপনের লেখা কই?
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

এক লহমা এর ছবি

^:)^
এমন লেখা কেন আরো আসেনা!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

তুলিরেখা এর ছবি

লেখারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে । ধরতে গেলেই ফুড়ুৎ।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।