বছরের পর বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে দেখাশোনার আর কথা কওয়ার পরে যখন একদিন হঠাৎ করে সব থামিয়ে দিতে হল তানকে, পুরানো সবকিছু মুছে ফেললো বন্ধু, তখন তান চুপ করে গেল একদম। ওর মনে হলো ওর নিজের ত্রুটি, ও মানুষ চিনতে পারেনি। সে কাউকে দোষ দেয় নি, শুধু চুপ করে গেল সাগরতীরের পাথরখন্ডটির মতন। চারপাশে ফেনার ফুল ছড়িয়ে ঢেউয়েরা এসেছে গেছে, সে চুপ। সেই পাথরটায় এসেই তারা বসতো রোজ বিকালে। সব শেষ হবার পরেও তান সেখানে আসতো রোজ বিকালে, চুপ করে বসে থাকতো। একা।
বহুদিন গেছে নিষ্ফলা মরুভূমি। অন্ধকারে পথহারা। মানুষ যখন " ভিতরের মানুষ" হারিয়ে ফেলে তখন তো সে গোলেম, জম্বি, রোবট। সময়ের ক্রীতদাসের মতন শিকলবিদ্ধ জীবন, সকালের পরে দুপুর, দুপুরের পর বিকাল, বিকালের পর সন্ধ্যা, সন্ধ্যার পর রাত-আবার সকাল আবার দুপুর---এক অসীম ক্লান্তিকর অন্তহীন চক্র। সেই অন্ধকারে সময়কে ভারী পাথর বলে মনে হয়, কিছুই নতুন ঘটেনা সেখানে, কি ভয়ানক ক্লান্তিকর অর্থহীন সবকিছু।
অবশেষে একদিন! বুঝি করুণা হলো। তান খুঁজে পেল মরূদ্যান, মরীচিকা নয়, মরীচিকা নয়, তান ছুটে গিয়ে জলে মুখ ডুবালো! সত্যি সত্যি জল, স্নিগ্ধ জল, নোনাপানি নয়, নদীর মিঠাপানি।
জলের শরীরে জলহাত রেখে ডুবে যায় কানাকানি,
বালিপাড় ধরে চুপি চুপি হাঁটে ভুল মনজানাজানি-
আকাশগন্ধী শাড়ী পরা সেই সন্ধ্যারঙের মেয়ে,
হাওয়াওড়া চুলে কার যেন ভুলে তারারা গিয়েছে ছেয়ে।
নতুন পাতার দিন তো কবেই নি:শেষে গেছে চলে
মায়াবতী মেঘ প্রতিদিন কেন তবু সেই কথা বলে?
আগুনদিনের সঙ্গীত শুনে বিদ্যুতরেখা এঁকে-
হরিণের মতো কারা গেল ছুটে পথে এ চিহ্ন রেখে?
জলের শরীরে জলহাত রেখে ডুবে যায় ভুল দিন
দিগন্ত থেকে দিগন্ত ছেয়ে তারারা দিয়েছে ঋণ।
রাতের কুঠার লাফিয়ে কাটবে অপরিচয়ের নাড়ী
প্রহর তো কাটে প্রহরের মত, প্রহরী গিয়েছে বাড়ী।
ছবিসূত্র: আন্তর্জাল
মন্তব্য
ভাল লাগলো বিমূর্ত লেখাটি।
(ছবিটা দেখে হঠাত্ মনে হয়েছিল অনিকেত লিখেছে ।)
রানা, ধন্যবাদ।
কিন্তু, কিন্তু ... বিমূর্ত লাগলো?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কিছু বলবো না আর, ঠিক করেছি।
হায় হায়, একেবারেই কিছু বলবেন না?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুব চমৎকার লাগলো।
ধন্যবাদ বইখাতা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভালো লাগল।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
আপনার ভালো লাগলো আমারও শুনে খুব ভালো লাগছে।
আপনার সিগনেচার লাইনটা অপূর্ব!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ফারহানা সিমলা
ইস!!! আমিও যদি ফিরে পেতাম এমন কোনো মরূদ্যান,যদি তান হতে পারতাম!!! সত্যি সত্যি জল, স্নিগ্ধ জল, নোনাপানি নয়, নদীর মিঠাপানি যদি আমাকেও স্পর্শ করতো !!!!
ধন্যবাদ।
ফারহানা সিমলা
আপনাকেও ধনবাদ ফারহানা সিমলা।
একদিন নিশ্চয় আপনিও পাবেন সেই স্নিগ্ধ মরূদ্যান। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন