অণোরণীয়ান থেকে মহতোমহীয়ান (৮)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ৩০/০৯/২০০৯ - ৮:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে বিশ্বতত্ত্বের আরেক চমকপ্রদ মডেল নিয়ে কিছু কথা। মাল্টিভার্স বা বহুজগৎ তত্ত্ব। কিভাবে এলো এই তত্ত্ব? কারাই বা দিলেন এই তত্ত্ব?

ক্যালটেকের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ শন ক্যারোল চিন্তিত ছিলেন সময়ের গতিমুখ নিয়ে। কেন সময় একমুখী? কেন সর্বদাই গতকাল থেকে আজ হয়ে আগামীকালের দিকে বয়ে চলে সময়? সময়ের ধারা কি উল্টোদিকে বইতে পারে কোথাও? কোথাও কি আগামীকাল->আজ->গতকাল হতে পারে? যদি না হয়, তবে তার কারণ কি? "পরে" কেন পরে? "আগে" কেন আগে? প্রতিসাম্যের(সিমেট্রি) ধারনা সময়ের ব্যাপারে চলে না কেন? মহাবিশ্ব এই মুহূর্ত থেকে t বিলিয়ন বছর পরে যা হবে t বিলিয়ন বছর আগে তা ছিলো না, অন্যরকম ছিলো। সময়সাম্য নেই আমাদের মহাবিশ্বে, তার কারণ কি?

উচ্চতর মাত্রার ব্যাপারেও শন ক্যারোল খুব উদার। তারও বেশী। শুধু অতিরিক্ত মাত্রা জুড়ে দিয়েই ক্ষান্ত হতে চান না, তিনি অসংখ্য মহাবিশ্ব জুড়তে চান তাঁর তত্ত্বে। তিনি দেখাতে চান সময়ের গতি কোথাও অতীতমুখী, কোথাও ভবিষ্যৎমুখী।

কোনো সমীকরণ যদি কোনো একটি কণার গতি বর্ণনা করে, সেখানে সময় অতীতমুখী না ভবিষ্যৎমুখী বোঝার উপায় নেই, +t সময়কে -t দিয়ে বদলে দিলেও সমীকরণ একই থাকে, সময় একেবারে প্রতিসম। ধরা যাক একটি রেণু জলের মধ্যে ব্রাউনীয় গতিতে এলেমেলো ঘুরছে। মাইক্রোস্কোপ লাগানো সিসিডি ক্যামেরায় এর গতির ভিডিওচিত্র তুলে নিয়ে পরে চালিয়ে দেখলে দেখা যাবে ভিডিও সোজা বা উল্টো চালালে একইরকম দেখাচ্ছে। কোন্‌টা আগে কোন্‌টা পরে বোঝার উপায় নেই, একইরকম এলেমেলো গতি। কোনো কণা বৃত্তাকারে ঘুরছে, এর গতির ভিডিও তুললেও একই, সোজা বা উল্টা চালালে তফাৎ ধরা পড়ে না।

কিন্তু বহু কোটি কণার সমাহারে তৈরী কোনো বড় বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যাপার গুরুতর। বহু কণার সম্মিলিত আচরণ সময়কে একটা একমুখিনতা দেয়,তখন পার্থক্য করা যায় কোন্‌টা আগে কোন্‌টা পরে। চীনা মাটির কাপ হাত থেকে শক্ত মেঝেয় ফেলে দিন, ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে, টুকরোগুলো লাফিয়ে জড়ো হয়ে জুড়ে গিয়ে কাপ আর হবে না( চীনেমাটির কাপপ্লেটের ব্যবসা যারা করে তারা শান্তিতে করেকম্মে খাবে)। অর্থাৎ পরিষ্কার "আগে" আর "পরে" আলাদা করা যাচ্ছে এই বড় বস্তুদের ক্ষেত্রে।

প্রতিটা তন্ত্র(সিস্টেম) চলতে চায় সুস্থিতির(ইকুইলিব্রিয়াম) দিকে, এনট্রপি বলে একটা মাপ ব্যবহার করা হয় পূর্ণ সুস্থিতি থেকে তন্ত্রটি কত দূরে তা বোঝানোর জন্য। যে কোনো সিস্টেমে এনট্রপি কেবল বাড়ে, বেড়েই চলে, কখনো কমে না। আমাদের চেতনায় সময়ও চলে কম এনট্রপির থেকে বেশী এনট্রপির দিকে। তাই সময়ের গতিমুখ অতীত থেকে ভবিষ্যতের দিকে। পূর্ণ ইকুইলিব্রিয়ামে পৌঁছে গেলে তখন এনট্রপি সর্বোচ্চ, সময়ের আর তখন কোনো অর্থ নেই কারণ কোনো পরিবর্তন আর হচ্ছে না।

আমাদের মহাবিশ্ব তেরো দশমিক সাত বিলিয়ন বছরের পুরানো। এ যখন প্রসারিত হতে শুরু করেছিলো তখন এর এনট্রপি ছিলো খুব কম। যত সময় যেতে থাকলো তত এনট্রপি বাড়তে লাগলো। কেন প্রথমে এনট্রপি কম ছিলো? আরো বহু বেশী সম্ভাবনা ছিলো এমন কোনো অবস্থায় শুরু হওয়া যে ক্ষেত্রে এনট্রপি শুরুতেই থাকতো খুব বেশী। কিন্তু সেরকম অবস্থায় তো শুরু হয় নি! এটা এমন অবস্থাতেই শুরু হয়েছে যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হতে পারে গ্যালাক্সিরা,তারারা, গ্রহেরা। সৃষ্টি হতে পারে জীবন, বিবর্তনের ধারা বেয়ে আসতে পারে আমাদের মতন জীব যারা প্রশ্ন করতে পারে এই যে বিপুল জগৎ- এর শুরু কোথায়, শেষ কোথায়?

কেন এমন হলো? শুধুই এক আশ্চর্য সমাপতন? মিরাকল? শন ক্যারোল এই ধরনের ব্যাখায় সন্তুষ্ট না মোটেই, তিনি এর প্রকৃত বৈজ্ঞানিক ব্যাখা খুঁজে পেয়েছেন ইনফ্লেশন তত্ত্বের মধ্যে।

আশির দশকে বিজ্ঞানী অ্যালান গাথ দিয়েছিলেন মহাবিশ্বের ইনফ্লেশনের তত্ত্ব। তাঁর তত্ত্ব অনুসারে আমাদের মহাবিশ্ব একটা অতি দ্রুত বিপুল প্রসারণের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলো যে প্রসারণে এই মহাবিশ্ব অতি অল্প সময়ে অতি ক্ষুদ্র আকারের অবস্থা থেকে বহু বহু কোটি গুণ বড় আকার ধারণ করে। এই মারাত্মক দ্রুত প্রসারণকেই বলে ইনফ্লেশন।

পরে গাথ ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা বলেন যে ওরকম ইনফ্লেশন শুধু একবার না, ঘটেছে অনেকবার। শুধু আমাদের মহাবিশ্বই না, এরকম দ্রুত ফুলে ওঠা জগৎ তৈরী হয়েছে আরো অসংখ্য। আসলে ইউনিভার্স না,আছে মালটিভার্স। অসংখ্য প্রসারণশীল জগৎ।

শন ক্যারোল বলেন ( এবং অঙ্ক কষে দেখান ) যে অসংখ্য মহাবিশ্ব বেরিয়ে আসতে পরে শূন্য থেকে। কারণ শূন্য শুধু শূন্য নয়, আমরা যাকে শূন্য বলে ভাবি তা আসলে অবিরাম কোয়ান্টাম আলোড়নে আলোড়িত। সেখানে অনবরত চলতে থাকে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশান, ক্রমাগত চলতে থাকে ভার্চুয়াল কণাদের সৃষ্টি ও ধ্বংস। এই কোয়ান্টাম আলোড়ন থেকেই ইনফ্লেশন শুরু হয়ে বেরিয়ে আসে অগণিত মহাবিশ্ব। কিছু কিছু সঙ্কুচিত হয়ে মুছে যায়, কিছু কিছু প্রসারিত হতেই থাকে, হতেই থাকে। আবার তার ভিতরেও স্থানকাল একসময় খুব বস্তুবিরল হয়ে যায়, সেখানে আবার নতুন মহাবিশ্ব ফুটে উঠতে পারে। অসীম জগৎ, অনন্ত গতিময় সৃষ্টিস্থিতিলয়। এই সব বহু জগতে কোথাও সময় ভবিষ্যমুখী, কোথাও অতীতমুখী, কোথাও এনট্রপি খুব কম থেকে শুরু হয়, কোথাও শুরুতেই বেশী থাকে। আমাদের মতন মহাবিশ্ব গুলিতে যেখানে শুরুতে এনট্রপি কম ছিলো আর সময়ের গতি অতীত থেকে ভবিষ্যৎমুখী সেখানেই জটিল গঠনের গ্যালাক্সিরা তৈরী হয়, তারারা জ্বলে ওঠে, গ্রহেরা তৈরী হয়। আমাদের মতন জটিল জীবেরা তৈরী হয়। আমাদের মহাবিশ্বের যে জীবন তৈরী হওয়ার অনুকূল অবস্থা, তা সমাপতন নয়। অনেক মহাবিশ্বের মধ্যে সে একটামাত্র, এখানে জীব-অনূকূল পরিবেশ আছে বলেই আমরা এসেছি, আমরা আসবো বলে এত মেপেজুপে হিসেব করে মহাবিশ্ব তৈরী হয় নি।

মাল্টিভার্স তত্ত্বে মাল্টিভার্স চিরকাল ছিলো, আছে, থাকবে। সংখ্যাতত্ত্বের দিক দিয়ে বিচার করলে এর অবস্থাও চিরকাল একই, যত মহাবিশ্ব সৃষ্টি হচ্ছে ততগুলিই লয় পাচ্ছে। সবমিলিয়ে দেখতে গেলে চিরকাল একই আছে। চিরকালীন আলোড়ন ও পরিবর্তনের মধ্যে অচঞ্চল, অপরিবর্তনীয়।

ছবিসূত্র: আন্তর্জাল


মন্তব্য

বর্ষা এর ছবি

বাহ! বেশ লেখাতো । ১-৭ পড়বো তো

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ বর্ষা।
আশা করছি সিরিজটা চালিয়ে যেতে পারবো যদি না জালে ফেঁসে গিয়ে একেবারে আটকে যাই।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

গৌতম এর ছবি

বাপরে! কী সব কঠিন কঠিন লেখা লিখেন। অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে যায়!

সম্ভবত শ্রোয়েডিঞ্জারের বিড়াল সাহেবের পর থেকে এই মাল্টিভার্সের উদ্ভব। বিষয়টা যদিও গোলমেলে, তবে অনেক বিজ্ঞানী নাকি মাল্টিভার্সে বিশ্বাসী। হলিউডে তো এ নিয়ে একটা ছবিই আছে- জেট লি-র- দ্য ওয়ান।

শুধু মাল্টিভার্স নিয়ে বিস্তারিত লেখা দিলে খুশি হই।

আর এই সিরিজ শেষ করার পর ই-বুকের দাবি জানাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তুলিরেখা এর ছবি

কোয়ান্টাম তাত্ত্বিকেরা অনেকেই মাল্টিভার্স আইডিয়া পছন্দ করেন। এভারেটের মালটিভার্স থিওরি অনেকদিনের।
সিরিজ শেষ হবার পর? আরে সিরিজ চালাতে পারাই উপরওলার ইচ্ছা, মাঝে মাঝে একেবারে আটকে যাই। মন খারাপ
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কীর্তিনাশা এর ছবি

দুর্দান্ত লেখা।

মাল্টিভার্স সম্বন্ধে আরো জানতে চাই।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ কীর্তিনাশা।
আশা করি পরে কখনো আরো কিছু লিখতে পারবো মাল্টিভার্স বিষয়ে।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ব্রাউনীয় গতির উদাহরণটা বেশ লাগল!

এনট্রপি শুরুতে যথেষ্ট বেশী ছিল এরকম মহাবিশ্ব বোধ করি কম আয়ূষ্কাল সম্পন্ন হবে। উদাহরন কি আছে এরকম মহাবিশ্বের? নাকি শুধুই ম্যাথমেটিক্স?!

আচ্ছা স্ট্রিং তত্বে তো এই মাল্টিভার্স ইউনিগুলোরই একটার সাথে আরেকটার পেচিয়ে (overlapping universe) যাবার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তাই না?! সেটা হলে তো এক বিশ্ব থেকে আরেক বিশ্বে চলে যাওয়ার (বা এক সময় থেকে অন্য সময়ে চলে যাওয়া) একটা সমূহ সম্ভাবনা দেখা যায়!! String Theory নিয়ে লেখেন দয়া করে! আপনি লিখলে নির্ঘাত বুঝে ফেলবো হাসি

এই পর্বটাও অত্যন্ত সুস্বাদূ। তবে আগের পর্বে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই মোতাবেক আরো লিখবেন আশা করি। ওটা ওখানেই ফেলে রাখবেন না আশা করি হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ। ব্রাউনীয় গতি বেশ চমৎকার ব্যাপার! আইনস্টাইনের একেবারে প্রথমদিকের কিছু কাজ এই গতির উপরে, জানেন? অ্যাটমের ধারনা পাকাপোক্ত হতে এই ব্যাপারটা খুব কাজে লেগেছিল।

আরে ভাই, এনট্রপি বেশী মহাবিশ্ব থাকলেই বা কি না থাকলেই বা কি? আমাদের অবজার্ভেশনের আওতায় তো তা এমনিতেও পড়বে না ওমনিতেও পড়বে না। নিজেদের এনট্রপি লইয়াই যারে কয় লড়াদশা অবস্থা! মন খারাপ

প্যারালেল ইউনিভার্সে চলে যাবার পথ, ওয়ার্মহোল, এইসব ব্যাপার নিয়ে প্রচুর গবেষণা চলছে। এইসব নিয়ে সামান্য যা জানি তা নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে ছিলো, আছেও। কিন্তু ভয় হয় বোরিং হয়ে যাবে।

আগের পর্বটার কিছু এডিটিং করতে হবে, একটু সময় পেলেই করে দেবো।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মাহবুবুল হক এর ছবি

দেখিলাম, পড়িলাম, কিছুই বুঝিলাম না। এতসব জটিল বিষয় মগজে বোরিং সৃষ্টি করে না ? কয়েকটা লাইন বুঝিবার জন্য মনটা আকুপাকু করিতে লাগিল কিন্তু জট ছাড়িল না। বুঝি আর না বুঝি পড়িয়া যাইব ঠিক করিয়াছি। হকিং পড়িতে গিয়াও আমার একই দশা হইয়াছিল। আমি হাল ছাড়ি নাই হকিং হাল ছাড়িয়া দিয়াছিল।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনের তেনার( বা হবু তেনার) কাছে যান এক বাক্সো মার্বেল আর একটা ঢাকনাবন্ধ টিনের কৌটা লইয়া। ওনারে কন আপনেরে না দেখাইয়া টিনের কৌটায় কয়েকটা মার্বেল ভইরা ঢাকনা দিয়া আপনের কানের কাছে কৌটা ঝাঁকাইতে। তিনি কইবেন, "কয়টা মার্বেল? কয়টা মার্বেল?"
আপনেরে কইতে হইবে কয়টা মার্বেল। দশ দানের খেলা, যদি পাঁচবারও ঠিক কইতে পারেন, বুঝবেন কেল্লা ফতে।
দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুন হাসি
যদিও ফিজিক্স আর ম্যাথস আমার চোখের বিষ মন খারাপ (অবশ্য সে দোষ বিদ্যার নয় বিদ্যার্থীর)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তুলিরেখা এর ছবি

আহা তাও যে কষ্ট করে পড়লেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার লেখা অণুজীববিদ্যার মজাদার সহজপাঠ কিন্তু আমি খুব মন দিয়ে পড়ি। চমৎকার লেখেন আপনি।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শিক্ষানবিস এর ছবি

এনট্রপির সাথে সময়ের এই সম্পর্ক প্রথম জেনেছিলাম শন ক্যারলের ব্লগ থেকে। এখনও নিয়মিত ব্লগটা পড়ি। তার নতুন কোন পেপার বেরোলেই ব্লগে একটা পপ আর্টিকেল চলে আসে। সেটা পড়েই অনেক কিছু বুঝে নেয়া যায়। সবার জন্য ক্যারল এবং ক্যালটেক এর আরও কয়েকজন বিশ্বতত্ত্ববিদ এর ব্লগের লিংকটা দিলাম:

- কসমিক ভ্যারিয়েন্স

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

তুলিরেখা এর ছবি

থার্মোডাইনামিক্সের ক্লাসেও অনেকসময় শিক্ষকেরা বলেন সময় আর এনট্রপির বিষয়ে। দ্বিতীয় সূত্রের সময়ে।
লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ।
পরের পর্ব আসতে হয়তো একটু সময় লাগবে। কী বিষয়টা ফোকাসে রেখে লেখা যায় তাই ভাবছি।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

অসংখ্য বিশ্বময় এই জটিল তত্ত্বের সৃষ্টি কি কেবল সময়ের ভবিষ্যতগামিতা ব্যাখ্যার জন্যে, নাকি আরো উপযোগ আছে? এ তত্ত্ব কি পর্যবেক্ষণসাধ্য?

--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।