অণোরণীয়ান থেকে মহতোমহীয়ান (৯)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০২/১০/২০০৯ - ৮:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বর্তমান সময়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে একটা অভিযান চলছে একীভূত ক্ষেত্রতত্ত্ব খুঁজে পাবার৷ ইউনিফাইড ফিল্ড থিওরি৷ এই থিওরি মিলিয়ে দেবে অতি ক্ষুদ্র আর অতি বৃহতের জগত৷ মিলিয়ে দেবে কোয়ান্টাম তত্ত্ব আর সাধারণ আপেক্ষিকতাকে(জেনারেল রিলেটিভিটি), এইরকম যুক্তিগ্রাহ্য আশা করা হচ্ছে৷

কোয়ান্টাম তত্ত্ব কাজ করে সাব-অ্যাটমিক কণাদের নিয়ে, সমস্ত মৌলকণাদের নিয়ে৷ এখানে সবই মেনে চলে কোয়ান্টাম অনিশ্চয়তা৷ কিন্তু অতি বৃহৎ জগত, গ্রহ নক্ষত্র গ্যালাক্সি আর গোটা মহাবিশ্ব মেনে চলে জেনেরাল রিলেটিভিটি৷ জেনেরাল রিলেটিভিটি কিন্তু ক্লাসিকাল তত্ত্ব, কোয়ান্টামের অনিশ্চয়তাকে এ তত্ত্ব সামাল দিতে পারে না৷ তাই এই দুই তত্ত্বে বিরোধ মেটাতে খোঁজ হচ্ছে একীভূত তত্ত্ব৷ কিন্তু বেশ কঠিন এটা খুঁজে পাওয়া৷

প্রধানত তিন পথে কাজ চলছে। স্ট্রিং তত্ত্ব, লুপ কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি আর নন-কমুটেটিভ জ্যামিতি৷ স্ট্রিংতত্ত্ব দাবী করে প্রতিটা সাব-অ্যাটমিক কণাই আসলে বিন্দুকণা নয়, তন্তু৷ স্পেসটাইমে ছড়িয়ে আছে, কম্পিত হচ্ছে। এই কম্পনের হেরফেরেই একেক কণা একেকরকম৷ এর মধ্যের অংক বেশ জটিল, তবে বহু লোকে করে৷ ইদানীং প্রচুর গবেষক এই ফিল্ডে, এনারা মনে করেন স্ট্রিং থিওরিই সেই ইউনিফাইড থিওরি৷ এর একটা অসুবিধা হলো পরীক্ষা করে দেখার উপায় এখনো নেই, এত ক্ষুদ্র এই তন্তুরা, আলট্রা মাইক্রোস্কোপিক, সেই প্লাংক দৈর্ঘ্যের সঙ্গে তুলনীয়। প্লাংক দৈর্ঘ্য হলো ১০^ -৩৫ মিটার৷ এর আরেকটা অসুবিধা হলো প্রচলিত চারখানা (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, সময়) মাত্রায় এই তন্তুদের চলে না, এদের জন্য এগারোটা মাত্রা লাগে! কী ভয়ানক ব্যাপার!

চারটে ডাইমেনশনই মাথাটাথা ঘুরিয়ে আমাদের হতভম্ব করে দেবার পক্ষে যথেষ্ট, তার উপরে এগারোটা! যারে কয় একা রামে রক্ষা নাই, সুগ্রীব দোসর! বহু বিজ্ঞানী বহুৎ চটেছেন, এই বাড়তি ডাইমেনশন এসে যাওয়ায় ঝামেলা হয়ে গেছে৷ তার উপরে এই তন্তুতত্ত্বের সঙ্গে বুড়ো আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার ঐ যে ত্যারাব্যাঁকা স্পেসটাইম, তা ঠিক যায় না৷ তন্তুবিদেরা বলেন তন্তু বুনে বুনেই স্পেসটাইম হয়েছে! কিন্তু সব ছাড়িয়ে ফেললে? পড়ে থাকে কি? স্পেসটাইম থাকে কি থাকে না?

এইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সোজা না। পুরো ব্যাপারটাই অত্যন্ত গোলমেলে অবস্থায়, এখনো৷ স্ট্রিংতত্ব উদ্ভাবনের এত বছর পরেও৷ প্রধান অসুবিধা এক্সপেরিমেন্টালি কিছু প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে, কারণ এই তত্ত্বের পরোক্ষ পরীক্ষণীয় প্রমাণ পেতে গেলে এনার্জী স্কেলে যত চড়তে হবে, তত এনার্জেটিক পরীক্ষার টেকনোলজি এখনো আমাদের হাতে নেই৷ তবে জোরকদমে কাজ চলছে, একটা মেশিন তৈরী হয়ে গেছে, কিছুদিন পর থেকে থেকে পরীক্ষা শুরু করবে৷ এই মেশিনের নাম লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার( LHC )৷ বিজ্ঞানীরা খুব আশা করছেন ওখানে অন্তত কিছু কিছু খুব হাল্কা সুপারপার্টনার পাওয়া গেলেও যেতে পারে৷

এখন এই সুপারপার্টনার ব্যাপারটি কি জিনিস? তন্তুতত্ত্বের অংক থেকে সুপার সিমেট্রি বলে এক চমত্কার জিনিস বেরিয়ে আসে৷ এই সুপারসিমেট্রি থেকে জানা যায় প্রকৃতিতে যত মৌলকণা আছে, যেমন ইলেকট্রন, ফোটন, বিভিন্ন কোয়ার্কেরা--সকলের জন্য আছে একটি করে সুপার-পার্টনার, ঠিক যেন ঐ মৌলকণাটিই কিন্তু বহুগুণ বেশী ভর সম্পন্ন৷ নামও দেওয়া হয় এইভাবে, ইলেকট্রনের জন্য সিলেক্টন্র, ফোটনের জন্য ফোটিনো ইত্যাদি৷ কিন্তু এদের অস্তিত্বের প্রমাণ অন্তত পরোক্ষভাবেও না পাওয়া পর্যন্ত সুপারসিমেট্রিকে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না৷ এদিকে এদের সবচেয়ে হাল্কাটাকেও পরীক্ষায় ধরতে গেলে যত এনার্জী লাগবে, নেই আমাদের নাগালের মধ্যে৷ একেবারে উভয়সংকট! হয়তো এল এইচ সি কিছুটা আলো দেখাতে পারবে এই ভজঘট অবস্থায়৷

এদিকে চেনাজানা উপর-নীচ সামনা-পিছন ডাইন-বাম ছাড়া আরো প্রচুর মাত্রার কথাও বলছে তন্তুতত্ত্ব, সেও আরেক জটিল ব্যাপার৷ বিরোধীরা স্বভাবতই প্রশ্ন তুলেছেন- কি হলো সেইসব মাত্রার? তাদের কেন এই চেনা ত্রিমাত্রার মতন বোঝা যায় না? তন্তুবাদীরা অঙ্ক করে দেখিয়ে দিয়েছেন বাড়তি মাত্রাগুলি এত সংকুচিত হয়ে আছে যে বলার নয়, গুটিয়ে সুটিয়ে প্রোটনের চেয়েও ছোটো আকারে চলে গেছে, চেনা জগতে কিকরে বোঝা যাবে তবে? প্রত্যেকটা বিন্দুতেই নাকি বাড়তি বাড়তি ছয়টা করে স্থানিক মাত্রা! কী কান্ড ! বিন্দুতে সিন্ধু জাতীয় ব্যাপার৷


ছবি : প্রতি বিন্দুতে গুটিয়ে থাকা অতিরিক্ত মাত্রারা।

এরপরে ক্রমাগত আরো গন্ডগোল বাড়তে লেগেছে, মহাকর্ষ নাকি অত মাত্রার আধিক্যের জন্য ক্ষুদ্র স্কেলে আমাদের চেনা জগতের মতন আচরণ করে না, কিছুটা অন্যভাবে করে৷ আমাদের চেনা জগতে মহাকর্ষ দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতের যে সূত্রটি মানে তা নাকি ক্ষুদ্র স্কেলে খাটে না, সেখানে নাকি অন্য সূত্র৷

এর পরে আছে জ্যামিতির সমস্যা, কত অকল্পনীয় সংখ্যক সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে ভেবেই মাথাটাথা ঘুরে একাকার৷ কিছু লোক তার মধ্যেও ঠান্ডামাথা, গুণে গেঁথে বলেছেন, টেন টু দ্য পাওয়ার হান্ড্রেড(১০^১০০) সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন জ্যামিতির তন্তুতত্ত্ব থাকতে পারে!

পরে এই বিষয়ে আরো কথা হবে।

ছবিসূত্র: আন্তর্জাল


মন্তব্য

রানা [অতিথি] এর ছবি

তুলিরেখা, তোমার লেখাগুলো ভাল লাগে । তুমি কি পদার্থবিদ্যার ছাত্রী? (তুমি করেই বললাম কারণ ধরে নিচ্ছি তুমি অনেক অনেক ছোট)।

দু'টি মন্তব্য । প্রথমতঃ স্ট্রিং থিওরি কোন ফিল্ড থিওরি নয়। আর বিভিন্ন ফোর্সর ইউনিফিকেশনের চেয়ে বড় চিন্তা হল গ্রাভিটির কোয়ান্টাম তত্ত্ব পাওয়া । লুপ কোয়ান্টাম গ্রাভিটি বা নন-কমুট্যাতিভ জিওমেট্রি এরকম, সেখানে ইউনিফিকেশনের চিন্তা নাই । এরকম গ্রাভিটির কোয়ান্টাময়নের আরও স্কিম আছে, প্রতিটিই কিছু সাফল্যের মুখ দেখেছে (যেমন ব্ল্যাকহোলের এনট্রপির সঠিক মান পাওয়া)। স্ট্রিং থিওরিই একমাত্র যেখানে গ্রাভিটি অন্যান্য ফিল্ডের সাথে আশ্চর্যজনক চলে আসে (তারপরও এটি সঠিক সে বিষয়ে কোন গ্যারান্টি নেই।)

"তন্তুবাদীরা অঙ্ক করে দেখিয়ে দিয়েছেন বাড়তি মাত্রাগুলি এত সংকুচিত হয়ে আছে যে বলার নয়, গুটিয়ে সুটিয়ে প্রোটনের চেয়েও ছোটো আকারে চলে গেছে, চেনা জগতে কিকরে বোঝা যাবে তবে?" কথাটা এরকম হতে হবে "তন্তুবাদীরা অঙ্ক করে দেখিয়েছেন বাড়তি মাত্রাগুলি গুটিয়ে থাকতে পারে, তাই হয়তোবা আমরা দেখতে পারি না ...." কারণ কমপ্যাক্টিফিকেশন হতেই হবে সেটা স্ট্রিং থিওরি বলে না ।

অনিকেত এর ছবি

@ রানা গুরু গুরু

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রানা। আপনাকে আপনি করেই বলছি, আপনি কত বড় তাতো জানি না। আপনি বলাই সেফ। হাসি

স্ট্রিং থিওরিকে ফিল্ড থিওরি একেবারেই যে বলা যায় না তাও কিন্তু নয়। মালদাসেনা ডুয়ালিটি যদি দেখি তাহলে এদের মধ্যে করেসপন্ডেন্স পাওয়া যায়। ADS/ AFT করেসপন্ডেন্স। এডওয়ার্ড উইটেনের গবেষণা ও তো তাই নিয়েই। স্ট্রিং তত্ত্বের এর ক্ষেত্রতাত্ত্বিক চেহারা বার করা নিয়েই তাঁর কাজ।

তবে একেবারে প্রথম যখন স্ট্রিং ধারণা এসেছিলো, তখন কিছুতেই ক্ষেত্রতাত্ত্বিক চেহারা দেওয়া যাচ্ছিলো না, কজালিটি ভেঙে যাচ্ছিলো। পরবর্তীকালে সফলভাবে সেই বাধা অতিক্রম করেন প্রতিভাবান বিজ্ঞানীরা। এসব নিয়ে বলতে গেলে এত এত ডুয়ালিটি আর অর্বিফোল্ড কোহোমোলজি এইসব জটিল জিনিস এসে যাবে যে ব্যাপারটা বোরিং হয়ে যাবে যারা এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রটিতে পড়াশোনা করেন নি তাদের জন্য। তবু পরে কোনো পর্বে এসব নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছে আছে যতদূর সম্ভব ননবোরিং করে ।

আর মাত্রার গুটিয়ে থাকার বিষয়ে আপনি যা বলেছেন ঠিক। ওটা একটা সম্ভাবনামাত্র। তবে আরো নানা ব্যাপার আছে। কেউ কেউ লার্জ এক্সট্রা ডাইমেনশনের মডেলও দিয়েছেন।

ভালো থাকবেন। এইরকম চিন্তা উসকে দেওয়া কমেন্ট করবেন। হাসি

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রানা [অতিথি] এর ছবি

তুলিরেখা, তোমার উত্তরের জন্য ধন্যবাদ । বুঝতে পারলাম তুমি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে কথাটি বলেছো।

তারপরও আমি বলবো স্ট্রিং থিওরিকে ঠিক ফিল্ড থিওরি বলার সময় এখনও আসেনি । ADS/CFT correspondence-অ্যান্টি ডিসিটার স্পেসের স্ট্রিং থিওরি আর সেই স্পেসের সীমানাতে (বাউন্ডারিতে) কনফরমাল ফিল্ড থিওরির সমতুল্যতার প্রস্তাবনা, কোন সার্বিক ডুয়ালিটি নয় । ৯৭-এ মাল্ডাসেনার এই প্রস্তাবনা আর ৯৮-এর উপর উইটেনের পেপেরের পর সবাই যখন এতে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তখনই অনেক দল-না-ত্যাগী ফিল্ড থিওস্টরা হেসে বলেছিল, স্ট্রিং থিওরি তাহলে ফিল্ড থিওরিতে নেমে এলো। অন্যদিকে স্ট্রিং থিওরির লো-এনার্জি লিমিট সুপারগ্রাভিটি হওয়াটা আর সুপারগ্রাভিটিতে না নেমে স্ট্রিং থিওরির কিছু প্রেডিক্ট করতে না পারার অক্ষমতাও দল-না-ত্যাগী ফিল্ডথিওরিস্টদের পরিতৃপ্তির কারণ ছিল বরাবর। (বহুদিন সুপারগ্রাভিটিকেই তাত্ত্বিক পদার্থবিদরা একীভূত ক্ষেত্রতত্ত্বের স্বপ্নপূরণ ভেবেছিল, স্ট্রিং থিওরির আবির্ভাবের পরে প্রায় সবাই একে একে দলছুট হয়ে স্ট্রিং থিওরিতে কাজ শুরু করে ।) আরও বলে রাখা ভাল যে, ADS/CFT correspondence-কে এর সীমিত পরিসরের মাঝেও "প্রমাণ" করা যায়নি, যদিও এর সত্যতার প্রচুর টেস্ট হয়েছে । তবে ফিল্ড থিওরিকে স্পর্শ করেই হোক, এটা না থাকলে স্ট্রিং থিওরির উপর বিশ্বাস প্রায় উঠেই যেত।

বড় সমস্যা: বিভিন্ন লুপের যোগফল সসীম কিনা এ পর্যন্ত তা বিশ্বাস করলেও কেউ দেখাতে পারেনি স্ট্রিং থিওরিতে। সেক্ষেত্রে এটা কিভাবে পুরোনো সুপারগ্রাভিটি থেকে ভাল ? এর জন্যই ধীরে ধীরে গ্রাভিটি বা মহাকর্ষতত্ত্বের অন্য কোয়ান্টাম থিওরি জনপ্রিয় হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত মতামতে এসব কোনটাই গাণিতিকভাবে স্ট্রিং থিওরি মত সুন্দর নয়, তবে এটা কোন যুক্তি নয়।

তুমি কোথায় কি করছো জানতে পারলাম না তোমার বিভিন্ন লেখা ঘেটে। তোমাকে তুমি বলার কারণ বন্ধু অনিকেত তোমাকে তুমি বলে। ধরেই নিয়েছি তুমি ছোট। ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

তুলিরেখা এর ছবি

না না ক্ষমাটমা কিসব বলছেন ! অনিকেত এল এইচ সি নিয়ে লিখতেন, সেই লেখার লেজ ধরে আমি সচলে ঢুকে পড়ি, সেই থেকেই পরিচয়। উনি উদার হৃদয় বলেই তুমি বলেন। হাসি
আমি অতি সামান্য প্রাণী। তেমন কিছু না, এখান ওখান থেকে এটা ওটা জানার চেষ্টা করি মাত্র। আসলে তেমন কিছু জানি না।

যতটুকু যা জানতে পেরেছি তা হলো, আগে সুপারগ্র্যাভিটি বলে একটা তত্ত্ব ঠেলে তোলার চেষ্টা হচ্ছিলো ক্ষুদ্র আর বৃহৎ জগৎকে মেলানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু কিছুতেই সমস্যাগুলো অতিক্রম করা যাচ্ছিলো না। সুপারগ্র্যাভিটি ছিলো নন-রিনর্মালাইজেবল। মানে কিনা হিসাব করতে গেলেই নানারকম উদভুটে ইনফিনিটি এসে যায়, যা নিয়ে আদৌ কিছু আর করা যায় না। বাস্তব জগতের পদার্থ নিয়ে বলতে গেলে তো ওরকম অসীম মান এসে গেলে চলবে না।
স্ট্রিং-তত্ত্ব এসব ঝামেলা মিটিয়ে দিলো নিখুত করে। কোনো অসীম মান আসে নি, এ বেশ একটা সসীম মানের কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি দিলো। এর অতিরিক্ত মাত্রাটাত্রা যা ছিলো, তার কয়েকটাকে অঙ্কের কায়দায় গোটানোর পরে পরে বোনাস হিসাবে পাওয়া গেল নানা কণাজগতের প্রমিত তত্ত্বের নানা প্রতিসাম্যের ব্যাখা।

একরকম স্ট্রিংকে বলে হেটেরোটিক স্ট্রিং। এরা দুপ্রান্ত ঘুরিয়ে এনে একটা আরেকটার সাথে জুড়ে দেওয়া গোল লুপের মতন স্ট্রিং। এদের কম্পন দু'রকম-বামাবর্তী আর দক্ষিণাবর্তী, দু'ধরনের কম্পনের জন্য হিসেবপত্র ও করতে হবে দু'রকমভাবে। দক্ষিণাবর্তী স্ট্রিং থাকে দশমাত্রা জগতে, আর বামাবর্তী স্ট্রিং থাকে ছাব্বিশমাত্রার জগতে যার আবার ষোলোটা মাত্রা গুটিয়ে গেছে। এই জন্যই এদের বলে হেটেরোটিক স্ট্রিং, বামাবর্তী আর দক্ষিণাবর্তী স্ট্রিং ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার স্পেসে থাকে বলে। এরা মিলিত হয়ে তৈরী করে অভিন্ন সুপারস্ট্রিং তত্ত্ব।
কিন্তু ছাব্বিশের মধ্য থেকে ওই যে ষোলোটা মাত্রা গেল গুটিয়ে, তার কি হবে? আরে তারাই তো অনেক সুবিধা করে দিলো! ছাব্বিশখান মাত্রা দিয়ে কোয়ান্টাম আর রিলেটিভিটির সব সিমেট্রিগুলোকে ব্যাখা করে ফেলা গেল। তাহলে দেখা গেল কি? আমাদের চেনা চতুর্মাত্রিক জগতে যে নানান প্রতিসাম্য ও সুষমা, এসব এসেছে উচ্চমাত্রার প্রতিসাম্য থেকে। বিজ্ঞানীরা কন, "The symmetries of the subatomic realm are but remnants of the symmetry of higher dimensional space."

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিকেত এর ছবি

এইবার তোমাদের দুইজনের লেখাই কেবল মাথা নয় বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে গেল----

ওরে উচ্চশক্তির গবেষকবৃন্দ, রসো রসো---কাগজ-কলম সস্তা বলে এইরকম হরে-দরে থিওরী কপচাতে হবে বুঝি চোখ টিপি ???

উচ্চশক্তির পদার্থবিদদের আমি সচেতনভাবে এড়িয়ে চলি মূলতঃ দুইটি কারণে-----প্রথমতঃ এই ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অগ্রগতি এতটা নৈর্ব্যক্তিক পর্যায়ে চলে গেছে যে গণিত আর পদার্থবিজ্ঞানের সীমারেখাটা প্রায় ঝাপসা হয়ে গেছে(আমার মতে)---আর দ্বিতীয়তঃ(এবং এইটাই হল আসল কারণ)---আমি এইসব একেবারেই বুঝি না---হে হে হে ---আর জানেনই তো---যখন লোকে কোন কিছু বুঝতে পারে না তখনই সেটার গালমন্দ করে----

রানা [অতিথি] এর ছবি

উচ্চশক্তির পদার্থবিদদের সম্মন্ধে তোমাদের ধারণার জন্যইতো...

রানা [অতিথি] এর ছবি

মানে বলছিলাম কি,
উচ্চশক্তির পদার্থবিদদের সম্মন্ধে তোমাদের এই উচ্চ ধারণাই তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ।

রানা [অতিথি] এর ছবি

"যতটুকু যা জানতে পেরেছি তা হলো, আগে সুপারগ্র্যাভিটি বলে একটা তত্ত্ব ঠেলে তোলার চেষ্টা হচ্ছিলো ক্ষুদ্র আর বৃহৎ জগৎকে মেলানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু কিছুতেই সমস্যাগুলো অতিক্রম করা যাচ্ছিলো না। সুপারগ্র্যাভিটি ছিলো নন-রিনর্মালাইজেবল। মানে কিনা হিসাব করতে গেলেই নানারকম উদভুটে ইনফিনিটি এসে যায়, যা নিয়ে আদৌ কিছু আর করা যায় না। বাস্তব জগতের পদার্থ নিয়ে বলতে গেলে তো ওরকম অসীম মান এসে গেলে চলবে না। স্ট্রিং-তত্ত্ব এসব ঝামেলা মিটিয়ে দিলো নিখুত করে।"

নারে ভাই স্ট্রিং-তত্ত্ব এসব ঝামেলা মিটাতে পারেনি । যেমনটি বলছিলাম, সুপারগ্র্যাভিটি স্ট্রিং-তত্ত্ব শুরু হবার আগে সবচেয়ে ভাল বেট ছিল। সুপারগ্র্যাভিটি হল গ্রাভিটি ও সুপারসিমেট্রর সম্মিলন, সাথে অন্যান্য ম্যাটার ফিল্ডও যোগ করা যায়, তাই সেটা ছিল ইউনিফাইড কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওর। শুনবে অনেকেই বলবে সুপারগ্র্যাভিটি নন-রিনর্মালাইজেবল। কিন্তু সত্যি কথা কি দ্বিতীয় লুপের পর এর ক্যালকুলেশন এতই জটিল হয়ে যায় যে কেউ সেটা করে দেখেনি। অন্যদিকে নতুর আশার আলো নিয়ে আসে স্ট্রিং-থিওরি যেখানে ফিল্ড থিওরির পয়েন্ট পার্টিকলের ফাইনম্যান ডায়াগ্রামের জায়গায় আসে মসৃণ দ্বিমাত্রিক জ্যামিতি। মসৃণতা সসীমতা আনে, কিন্তু অসীম এরকম মসৃণ টার্মগুলোর যোগফল সসীম, অর্থাত্ স্ট্রিং-তত্ত্বের লুপ এক্সপানসন "বোরেল সামেবল", এটা কেউ দেখায়নি । তবে অবাক হবে এই দেখে যে অনেকেই এটা বিশ্বাস করে যে এটা দেখানো হয়েছে।

যেমনটি আগে বলেছি, স্ট্রিং থিওরির লো-এনার্জি লিমিট সুপারগ্রাভিটি, আর এই স্তরে না নেমে স্ট্রিং থিওরির কিছু প্রেডিক্ট করতে পারে নি । সুতরাং স্ট্রিং-তত্ত্বের মাঝেই সুপারগ্র্যাভিটি নতুন প্রাণ পেয়ে যায় ( তাই বলে স্ট্রিং-তত্ত্ব আর সুপারগ্র্যাভিটি এক জিনিস নয়।) শুধু প্রাণ নয়, কলেবরেও বৃদ্ধি পেয়েছে, নতুন "মাত্রা"ও লাভ করেছে।

ভাল থেকো।

তুলিরেখা এর ছবি

মাঝে মাঝে মনে হয় এই যে এত একটা এক্সচেঞ্জ, দুইটা এক্সচেঞ্জ, তিনটা এক্সচেঞ্জ এরকম করে না করে কোনো অ্যাপ্রক্সিমেশন স্কিম যেমন T= V+VGT ধরনের কোনো স্কিম দিয়ে সরাসরি T এর মেট্রিক্স এলিমেন্ট বার করা যায় না? স্ক্যাটারিং এ যেভাবে করে? নইলে যেসব জায়গায় কাপলিং এর মান একের বেশী সেসব জায়গায় তো ডাইভার্জ করবেই! দুই তিনটার পরেই আর কনট্রোলে থাকবে না।

প্রপাগেটর বিষয়েও আমার একটা খটকা আছে। তবে ভয়ে কাউকে বলি না।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রানা [অতিথি] এর ছবি

"আমি অতি সামান্য প্রাণী। তেমন কিছু না, এখান ওখান থেকে এটা ওটা জানার চেষ্টা করি মাত্র। আসলে তেমন কিছু জানি না। "

আমার কিন্তু তা মনে হয়নি তোমার কোন লেখা পড়ে হাসি

পরিচয় না দিতে চাইলে জোর নেই । তবে জানলে ভাল লাগতো ।

অনিকেত এর ছবি

@ তুলিরেখা চলুক

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সচেতন নাগরিক এর ছবি

ভাইসব মাফ চাই, এইসব বুঝতে গেলে এতদিন যা শিখেছিলাম সব ভুলে যাব!!!

তুলিরেখা এর ছবি

আহা ভুলে যাবেন কেন? এতদিন যা শিখেছেন তার মধ্যে কোন্‌টা কিরকম, ভালো না মন্দ, কতখানি জল মেশানো কতখানি খাঁটি, কোনটা সোনা কোন্‌টা পিতল বুঝতে পারবেন। হাসি
আসলে সবই বুঝলেন মায়ার কারবার, কোন্‌টা খাঁটি কোন্‌টা মিছা আমরা কেউ কি তা জানি?
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ঈগল এর ছবি

আচ্ছা তার মানে কি এই যে ৩ টি ছাড়া অন্য স্থানিক মাত্রায় বৃহৎ স্কেলে যাওয়া সম্ভব নয়?

তুলিরেখা এর ছবি

আছে আছে তারও মডেল আছে। লার্জ এক্সট্রা ডাইমেনশনের মডেলও অনেকে দিয়েছেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

গৌতম এর ছবি

তবে জোরকদমে কাজ চলছে, একটা মেশিন তৈরী হয়ে গেছে, কিছুদিন পর থেকে থেকে পরীক্ষা শুরু করবে৷ এই মেশিনের নাম লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার( LHC )৷ বিজ্ঞানীরা খুব আশা করছেন ওখানে অন্তত কিছু কিছু খুব হাল্কা সুপারপার্টনার পাওয়া গেলেও যেতে পারে৷
এই পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে তো! প্রথমবার পরীক্ষার পর মেশিন নষ্ট থাকায় সেটিকে ঠিক করার জন্য মাস দুয়েক সময় বিরতি নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এখন আবার কাজ পুরোদমে কাজে লেগে পড়েছেন বলে শুনেছি।

বছর দুয়েক আগে রিচার্ড ফাইনম্যানের একটা বই পড়ছিলাম- এই বিষয়ে। ভদ্রলোক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে একজন লিজেন্ড, চেষ্টা করেছেন বিষয়টাকে আমজনতার জন্য সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন করার। সেখানে তিনি বলছিলেন- কোয়ান্টাম তত্ত্বের এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো বুঝতে হলে সাধারণ আপেক্ষিকতার অনেক ধারণা প্রথমেই মাথা থেকে দূর করতে হবে। একদম খালি মাথায় কোয়ান্টাম তত্ত্বের সেই উদাহরণগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। না হলে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সেগুলোকে অবাস্তব মনে হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বেশ কিছু উদাহরণও দিয়েছেন তিনি ওই বইতে- যদিও সেগুলো এখন আর মনে নেই। তবে পড়তে পড়তে একপর্যায়ে আর এগুতো পারি নি... কারণ এ বিষয়ে নিজের কোনো তাত্ত্বিক ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকাতে বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো মাথা থেকে কোনোমতেই দূর করা যাচ্ছিলো না, আর যাচ্ছিলো না বলেই যেখানে যেখানে তিনি উদাহরণ দিয়ে কিছু কিছু বিষয় ভাবতে বলেছিলেন, সেখানে আটকে যাচ্ছিলাম।

কী কঠিন বিষয়রে বাবা! আর আপনি লিখছেন সেগুলো নিয়ে!! ধন্য!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

তুলিরেখা এর ছবি

আরে কোয়ান্টামের জগতের উদ্ভট ব্যাপারস্যাপার নিয়ে গোটা গোটা বই লেখা যায়। কনসেপচুয়ালি কোনো কোনো ব্যাপার এত অবাক করা যে মেনে নিতেই অসুবিধা হয়। কিন্তু সব এক্সপেরিমেন্টে সমর্থন পাওয়া যায় বলেই বিজ্ঞানীরা মেনে নিয়েছেন। নইলে এদের মতন সন্দেহ বাদীরা কি মানতেন? চিন্তিত

আর এল এইচ সি তে কাজ শুরু হবে সামনের মাসে। এখন মেশিনপত্র ঠিক করা আর চেক করা চলছে। সোজা কাজ তো না, সাতাশ মাইল টানেল সাততলা ডিটেকটার, ঘরসমান বড়ো বড়ো ম্যাগনেট, তাদের আবার রাখতে হয় অতি শীতল অবস্থায়। সোজা কথা নাকি? বিশাল ব্যাপার।

বিষয় যাই হোক, নিজে কম জানি বলেই মজাসে ইতংবিতং বকে যাই। জানেনই তো সব। যেখানে দেবদূতেরা যেতে ভয় পান কারা সেখানে ফরফর করে? হাসি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মূলত পাঠক এর ছবি

এই সব জ্ঞানের বিষয় দেখলেই এমন ভয় লাগে যে হাত পা পেটের ভেতর সঁেধিয়ে যায়। তবুও ঠিক করেছি, আপনার সিরিজ শেষ হলে সবটা একসাথে পড়বোই পড়বো। এখন অল্প অল্প পড়ছি, কিন্তু মোটা মাথায় কিছুই ঢোকে না তাই মন্তব্য করতে পারি না।

তুলিরেখা এর ছবি

না না এসব কি বলছেন?
আমারো ভয় লাগে বোরিং হয়ে যায় বলে, তাই সিরিজটা মাঝে মাঝে থামিয়ে রাখি।
লেখা সকলের পড়ার মতন না হলে সেটা আমারই ত্রুটি । নীড়পাতা তো সকলের জন্য।
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হিগস বোসন আর সুপার পার্টনার কি একই কণা? বোকার মতন প্রশ্ন হলে মাফ করবেন, আমি একজন আগ্রহী পাঠত ছাড়া আর কিছু না!

আমার বক্তব্য হচ্ছে সবাই যদি যার যার মতন থিওরী দিতে থাকে, তাহলে কণা যদি একটা বেরিয়েই আসে ঐ LHC থেকে, তাহলে কোনটা কার কণা সেটা নিয়ে আবার মারামারি লাগবে কি না।

হিগসের থিওরী পড়ে মনে হয়েছিলো এরকম তো হতেই পারে। আবার আপনার সুপার সিমেট্রি পড়ে মনে হচ্ছে এটাও তো হতে পারে! তবে সুপার পার্টনার যদি থাকবেই তাহলে এতো ভারি কণা এতদিনেও না খুঁজে পাবার কারণটা একটু বলবেন।

সিরিজে স্ট্রিং ত্তব ঢুকে যাওয়ায় ভাল লাগছে হাসি আশা করি আরও কিছুদূর অগ্রসর হবেন এই লাইনে।

তুলিরেখা এর ছবি

না হিগস বোসন আর সুপারপার্টনার এক না। সুপারপার্টনার অনেক, প্রত্যেক ফার্মিয়ন আর বোসন কণার জন্যই ম্যাসিভ সুপারপার্টনার থাকার কথা এই মডেলে, হিগস বোসন একটা বিশেষ কণা। হিগস ফিল্ডের থেকে উৎপন্ন।

কোন্‌টা কার কণা সেই নিয়ে মারামারি তো লাগবেই। হাসি মানে যদি রাশিরাশি নতুন কণা দেখা দেয়, কি ভয়াবহ কান্ড যে হবে।
এতদিন খুঁজে না পাবার কারণ হলো এত উচ্চশক্তির প্রোব তো ছিলো না। এইরকম ১৪ ট্রিলিয়ন ইলেকট্রন ভোল্টের প্রোব তো সোজা কথা না। ম্যাসিভ কণা তৈরী করতে খুব উচ্চ শক্তিঘনত্ব লাগে। আরে টপ কোয়ার্ক তো ভারী বলেই আবিষ্কার হতে এত দেরি হলো! ডিটেকটার ও খুব ভালো হতে হবে, কারণ ম্যাসিভ কণারা খুব দ্রুত ডিকে করে যায় নিম্ন ভরের স্টেবল কণায়।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।