উপমহাদেশের পুরান নানান চমকপ্রদ কাহিনিতে ঠাসা। আজকে বলি জয় আর বিজয়ের গল্প।
জয় আর বিজয় ছিলো বৈকুন্ঠের দুই দ্বাররক্ষক। বৈকুন্ঠপুরীর মূল ফটকের দু'পাশে শূলহস্তে দাঁড়িয়ে তারা নিত্য প্রহরা দিত। খুবই কর্তব্যনিষ্ঠ ছিলো তারা দুজনেই। বৈকুন্ঠপতি বিষ্ণু আর তাঁর পত্নী লক্ষ্মী দু'জনেই ছেলেদুটির উপরে খুবই প্রসন্ন ছিলেন।
একদিন মহাতেজা মুনি দুর্বাসা এসে ফটকে হাজির। খবর দেবার তর সয় না তাঁর, তক্ষুনি তিনি ভিতরে যাবেন। তিনি আবার খুব রাগী ঋষি, কথায় কথায় শাপ দিয়ে ভস্ম করে দেন। কিন্তু জয় বিজয়ের প্রাণের দায় (চাকরি গেলে উপায় কি হবে?), তারা ঋষিকে আটকায় আর সামান্য সময় প্রার্থনা করে ভিতরে খবর দেবার জন্য। বৈকুন্ঠপতি কি অবস্থায় আছেন কেজানে! হয়তো লক্ষ্মীর সঙ্গে ইয়ার্কি-ফাজলামি করছেন কিংবা তাঁকে দিয়ে পা টেপাচ্ছেন! খবর পেলে ঋষি অভ্যর্থনার জন্য প্রস্তুত হবার সময় পাবেন। তা না হয়ে এখুনি দুর্বাসা ঢুকে পড়লে জয়বিজয়ের চাকরি যে নিশ্চিত নট, সে বিষয়ে তারা স্থিরনিশ্চিত।
কিন্তু পড়েছে দুর্বাসার সামনে, তাদের বাঁচায় কে? ঋষি রেগে একেবারে আগুন। বললেন, "তোরা এমন পাষন্ড যে আমাকে আটকাস? জানিস আমি কে? আর স্বয়ং জগদীশ্বরের এত নিকটে বাস করেও তোদের হৃদয়ে এত অন্ধকার? আমি শাপ দিলাম তোদের পতন হবে, তোরা পৃথিবীতে জন্ম নিবি, জীবন কাটাবি ও মারা যাবি। আবার জন্ম নিবি। এইভাবে অনেকবার। পার্থিবজন্মে বিষ্ণুভজনা করে করে তোদের পাপ ক্ষয় হলে আবার এখানে স্থান পাবি।"
ওরে বাবা, সেই সাংঘাতিক পৃথিবী! সেখানে জন্ম! তাও আবার বারবার। আতঙ্কে আর দুঃখে জয় বিজয় কেঁদে লুটিয়ে পড়ে ঋষির পায়ে, বলে, "আমরা কি করেছি যে এরকম শাপ দিলেন আমাদের? এখন কি হবে! ঋষি, শাপমুক্তির কি কোনো উপায় নেই? "
এদিকে ফটকে গন্ডগোল শুনে বিষ্ণুও বেরিয়ে এসেছেন। দু'পক্ষের কথাই তিনি মনোযোগ সহকারে শুনলেন। জয়বিজয়ের জন্য করুণায় তাঁর অন্তর ভরে গেল। সত্যিই তো, ছেলেদুটো নিজেদের কর্তব্য করেছে মাত্র! এর জন্য এই ভয়াবহ শাস্তি খুবই অনুচিত! কিন্তু দুর্বাসা তো যে সে মুনি নন, তিনি একবার শাপ দিয়ে ফেললে আর ফেরানোর উপায় নেই।
আলাপ আলোচনায় শেষ অবধি একটা রফা হলো। এরা পার্থিবজন্মে যদি বিষ্ণুকে ভক্তিভরে ভজনা করে তাহলে সাতবার জন্ম নিতে হবে, তাতেই শাপমুক্তি। আর যদি বিষ্ণুকে শত্রুরূপে ভজনা করে তাহলে তিনজন্মেই মুক্তি সম্ভব, তবে কিনা শত্রুরূপে ভজনা খুব কঠিন আর কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
জয় বিজয় বলে," যত কষ্ট হোক, আমরা শত্রুরূপেই ভজনা করবো। তিনজন্মেই ঝামেলা চুকিয়ে ফিরে আসতে চাই। আহা কতদিন দেখতে পাবো না এই আপনভূমি!" দু'জনেই হাতের পাতায় চোখ মোছে।
ঋষি বললেন,"তবে তাই হোক। "
জয় ও বিজয় পৃথিবীতে জন্ম নিলো, প্রথমবার দুই যমজভাই হিরণ্যকশিপু আর হিরণ্যাক্ষ রূপে। তার পরে সে এক রোমহর্ষক কাহিনি। সে গল্প পরের পর্বে।
মন্তব্য
নাহ, গল্প হলো না। এ তো মোটে গল্পের পেঁয়াজ চড়িয়ে শেষ করলেন।
ঠিক। সবে ফোড়ন পড়লো গরম তেলে।
আসল লম্বা গল্প এর পরে। পৃথিবীকে ওরা যত ভয় পাক, সব গল্প ঘটেছে সেখানেই। সবে তো দুই ভাই জন্মালো। এর পরে বড় হোক! খেল তো তারপরে!
ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব ছাড়ুন তুলিদি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পরের পর্ব দিয়ে দিয়েছি ভাই।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হ... পরের কাহিনী বিরাট... পুরা রামায়ণ... চলুক...
তবে এই পর্বে তো আসলেই কিছু নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পরের বিশাল কাহিনি যারে কয় মহাভারত!
উপমহাদেশের গল্পগুলোর সুবিধা আছে, সিরিয়াল গল্প! চলছে তো চলছেই, এক গল্প থেকে আরেক, সেখান থেকে আরেক....
এই পর্বে পেঁয়াজ-ফোড়ন। আমার এক বন্ধুনী ছুটির দিনে আমাদের সাথে নিয়ে চিকেন রাঁধতো। সে বলতো," তেলে সবে পেঁয়াজ পড়েছে আর তুলি তাতেই বলতে শুরু করেছে রান্না হবে খাসা! "
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হ
এইতো আপনি আপনার মূল লেখায় ফিরে এলেন
মাঝে মাঝে কী যে কঠিন কাহিনী লিখেন (যেমন ঠিক আগের পোস্টটা। আমি টাইটেলটাও বানান করে পড়তে পারি না)
০২
আপনার উপকথার সংখ্যা কতো হলো? ১০০ হতে বাকি কত?
১। মূল লেখায় ফিরে আসা! ঠিকই কইছেন। কিন্তু আগের পোস্টটার তো নাম তেমন কিছু জটিল না ক্রতক্রতু, হরিণবর্ত্মিকা, শল্লকীজিঘাংসা কিবা শোয়ার্জেনেগারের মতন।
২। ১০০ হইতে বহু বাকী! তবে যেই সিরিয়ালের মধ্যে ঢুকে পড়েছি, গল্পের রেকারিং ডেসিমাল, টুকটুক করে দিতে থাকলে ১০০ হয়েও যেতে পারে কোনোদিন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
পরের পর্বের টুকটাক আইডিয়া তো জানা- তাই মনে হয় ওইটাতে মজা পাবো...
এই পর্ব যে শুরুর আগেই শেষিয়ে গেলো।
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
পরের পর্ব তুলে দিলাম। তবে এর পরের পর্ব আরো ঘটনাবহুল। -----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চা খেতে গেলেন নাকি? এমন ফাঁকিবাজি চলবে না, লিখুন পরের পর্ব। জানা গল্প হলেও আবার পড়তে ভালো লাগে লেখার গুণে।
না না চা আজকাল আর তেমন খাই না। দুই তিনকাপ কফি খাই শুধু।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুউম। অপেক্ষায়। আসুক। চলুক।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
চলবে মনে হয় যদি লেখার ফুরসৎ হয়।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন