কশ্যপ আর দিতির ঘরে যমজ পুত্রসন্তান হলে আনন্দে তারা আপ্লুত। নাম রাখা হলো হিরণ্যকশিপু (স্বর্ণকেশ) আর হিরণ্যাক্ষ(স্বর্ণনয়ন)। চেহারার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নাম। ( এসব দেখে মনে হয় সোনালী চুল সোনালী চোখের এই মানুষেরা উত্তরপশ্চিমাংশের বা উত্তরের কোনো মানুষদলের লোক )। দিতির সন্তান বলে এরা দৈত্য নামেও পরিচিত।
গণকঠাকুর গণনা করে কইলেন দুই পুত্র খুবই তেজস্বী আর শক্তিশালী হবে, শস্ত্রবিদ্যা আর মল্লবিদ্যায় হবে অতুলনীয়। কিন্তু এক পুত্র স্বল্পায়ু হবে। আর অন্য পুত্র দীর্ঘায়ু আর বিপুল কীর্তির অধিকারী হবে। তারপরে আরো যা ঘটনাবহুল জীবন তার হবে সেই বিষয়ে গণক আর তেমন কিছু বলতে পারছেন না, খুবই তীব্র আর ঘন আলোড়নপূর্ণ সে ঘটনাবলি। সে হিসেব করতে গেলে নন-পার্টার্বেটিভ ক্যালকুলেশন লাগবে তা আয়ত্ত নয় কোনো গণকেরই। দিতি চাইছিলেন কোন্ পুত্র স্বল্পায়ু হবে আর কেনই বা স্বল্পায়ু হবে, সেটা কাটান দেবার কোনো উপায় আছে কিনা এসব জানতে, কিন্তু জ্ঞানী কশ্যপ উপদেশ দিলেন, "যা জানা যাচ্ছে না তা জানার চেষ্টা করে দুঃখ পেয়ে কি লাভ? তার চেয়ে মানবজীবনের সব সুখ ও দুঃখ বরণ করার জন্য প্রস্তুত থাকাই তো বুদ্ধিমানের কাজ!" কিন্তু মায়ের মন মনে না, উতলা হয়েই থাকে। কিছুদিন পরে তাদের একটি কন্যা হয়, নাম রাখা হয় হোলিকা।
কশ্যপের আরেকজন স্ত্রী হলেন অদিতি, তারও অনেক পুত্রকন্যা। বরুণ, পবন, ইন্দ্র, সূর্য, ঊষা, অগ্নি ইত্যাদি। অদিতির সন্তান বলে এরা আদিত্য নামে পরিচিত।
দৈত্য ও আদিত্যরা একই পিতার সন্তান। ছোটোবেলায় একইসাথে খেলাধূলা করে নিশ্চয় এরা বেড়ে উঠছিলো। কিন্তু কালক্রমে এদের মধ্যে মারামারি রেষারেষি রাগারাগি বিদ্বেষ এইসব তিক্ততা দেখা যেতে লাগলো। দৈত্যদের অভিযোগ ছিলো উভয়দলই নাতিনাতনি হলেও দেবাদিদেব বিষ্ণু খুব পক্ষপাত দেখান আদিত্যদের দিকে। ওদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেন আর এদিকে দৈত্যরা কিছু করলে বা না করলেও ওদের জব্দ করার ফন্দি খোঁজেন। এটা কোন্ দেশী ইকুয়াল অপরচুনিটি গার্ডিয়ানশিপ?
এদিকে দিন যায়। বালক থেকে হিরণ্যাক্ষ হিরণ্যকশিপু তরুণ হয়ে ওঠে। দূরদেশের রূপেগুণে অতুলনীয়া রাজকুমারীদের সাথে ওদের বিয়ে-থা দিয়ে সুখী হন কশ্যপ ও দিতি। মল্লবিদ্যায় খুব পারদর্শী হয়ে একদিন হিরণ্যাক্ষ বরুণভাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে হাজির প্রীতিম্যাচের আশায়। কিন্তু বরুণ তাড়াতাড়ি সুইমিং পুলে নেমে গিয়ে বলে,"ভাই, দেখছোই তো আমি এখন সাঁতারে ব্যস্ত। নইলে আমার তো খুবই ইচ্ছা ছিলো তোমার সঙ্গে একটু লড়ি, কিন্তু আমার চেয়ে ভালো প্রতিদ্বন্দী হবে ইন্দ্র। তুমি বরং তার বাড়ীতে যাও ভাই।"
মনে মনে হেসে হিরণ্যাক্ষ চললো সেইদিকেই। এরা এত ভয় পায় কেন? সেতো শুধু প্রীতিমূলক মল্লযুদ্ধই করতে এসেছে। বৈমাত্রিয় হলেও ভাইই তো এরা, সে কী এদের কোনো ক্ষতি করতে পারে?
বরুণের পাঠানো দ্রুতগামী দূত ইন্দ্রকে আগেই খবর দিয়ে ফেলেছে যে হিরণ্যাক্ষ আসছে। পড়ি কি মরি করে ইন্দ্র দৌড় দিলেন বিষ্ণুর বাড়ীর দিকে। "বাঁচান আমাকে দেবাদিদেব, ঐ ব্যাটা দৈত্যকে বিশ্বাস কি? ও একটা নীরেট গুন্ডা। প্রীতিমল্লযুদ্ধের নাম করে এখুনি আমাকে থেঁতলে মেরে ফেলবে।"
বিষ্ণু কইলেন, "তোমার চিন্তার কোনো কারণ নেই। তুমি এখানে নিশ্চিন্তে রিল্যাক্স করো। অপ্সরারাও আছে, তারা তোমার সেবাযত্ন ও নৃত্যগীতাদি করবে। আমি দেখছি ঐ ব্যাটা গুন্ডার কী ব্যবস্থা করা যায়। আরে আগেই আমি কশ্যপকে বলেছিলাম-ওরে এতগুলি বিয়ে করিস না, হরেদরে সবই সেই একই। কিন্তু সে শুনলো? মুখ উদাস করে বলে গোলাপ বকুল শিউলি পদ্ম টগর যূথী জবা সবই তো ফুল, কিন্তু সব কি এক? এখন বোঝো। সে দিতিকে বিয়ে না করলে এইসব গুন্ডাপান্ডা আসতেই তো পারতো না। এখন ঝামেলা যত আমার।"
এদিকে ইন্দ্রকে বাড়ীতে না পেয়ে হিরণ্যাক্ষ এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে সমুদ্রের তীরে এসে হাজির। গরমও বেশ সেদিন, এদিকে সামনে নীল সমুদ্র। হিরণ্যাক্ষ জলে নেমে পড়ল স্নান করতে। ডুব দিয়ে দেখে সে এক অবাক কান্ড। এক বিরাট দাঁতাল বরাহ জলের ভিতরে! হিরণ্যাক্ষ তো একেবারে হতভম্ব! জলচর বরাহ আবার হয় নাকি? সেই বরাহ আসলে সত্যি সত্যি বরাহ নয়, বিষ্ণুর বরাহ রূপ, বরাহ অবতার।
হিরণ্যাক্ষ ব্যাপার গুরুতর বুঝে জল থেকে উঠে পড়ল, কিন্তু তাতেও রক্ষা পেল না। বরাহ অবতার জল থেকে বার হয়ে এসে হিরণ্যাক্ষকে দন্তাঘাতে ছিন্নভিন্ন করে বধ করলো। মানবজীবন থেকে মুক্তি পেয়ে সে ফিরে গেল প্রতীক্ষালোকে। পরের জন্ম আরো বহুকাল পরে।
এদিকে হিরণ্যকশিপু তো প্রিয় ভাইয়ের এমন ভয়ানক মৃত্যুর খবর শুনে রেগে আগুন। সে গল্প পরের পর্বে।
মন্তব্য
হিরণ্যকশিপু , হিরন্যকশিপু!! কত্ত কত্ত গল্প যে শুনেছি ছোটবেলায় এর-- একদম দেশ বিদেশের উপকথার দেব সাহিত্য কুটিরের পাতা থেকে উঠে এলো যেন। কিন্তু দেবী, এই হিন্দী সিরিয়ালঢংয়ে ফির মিলেঙ্গে ব্রেক কে বাদ্ বলাটাতে খুবই মেজাজ খারাপ হলো। আমি তো হিরণ্যকশিপুর গল্প শুনতেই পড়তে ঢুকলাম। পবল দিক্কার!
আরে হিন্দি সিরিয়ালওয়ালারা তো এই করেই দুটো করেকম্মে খাচ্ছে। সিরিয়ালের আইডিয়াই তো এইসব রেকারিং গল্প থেকে। গল্পের ফানই তো ঐখানে। ঐ "ব্রেক কে বাদ" এ।
একবারে বলে দিলে তো সেই গোটা মহাভারত দুই লাইনে জিস্ট করে দেওয়া যায়-"পান্ডবে আর কৌরবেতে ভীষণ লড়াই হলো/ লড়াই করে কৌরবেরা ঝাড়েবংশে মোলো।"
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তারপর???
------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
তারপরে? সে এক বিরাট গিয়ানজাম! সে গল্প তো কমু পরের দিন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাঃ বাঃ!! বেড়ে জমেছে!
বেড়ে গেলেই জমে যায়। দইয়ের কেস!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অপেক্ষায় রইলাম
কেউ অপেক্ষায় রইলেন শুনলে লিখতে ইচ্ছে করে।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মহাভারতের কাহিনীকে উপকথা বলার কারণ কি? নিজের মতো করে কিছু ঘটনাপ্রবাহ আপনি তৈরি করেছেন, সংলাপ-ও। সুতরাং এটাকে মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে রিমিক্স টাইপের কোনো নাম দেয়া যায় কিনা, ভেবে দেখেন।
আইকনোগ্রাফি পড়তে গিয়ে আমরা রামায়ন, মহাভারত ও বেদ-বেদান্ত পড়েছিলাম। আইকনোগ্রাফিতে শিল্পীরাও কিন্তু মূল কাহিনী-র কিছু পরিবর্তন/সংযোজন ঘটিয়েছেন, ওখান থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন।
আর একটা কথা, সচেতনভাবেই "হরেদরে" শব্দটা ব্যবহার করেছেন কিনা জানিনা। মূল টেক্সট-এ ছিল নাকি? আমি কিছুটা কনফিউজড। জানেন নিশ্চয়ই, হরে কিন্তু শিব। বিষ্ণুর শ্বশুর। বিষ্ণুর মুখদিয়ে হরেদরে শব্দটা বের হবে কিনা...? এমন যতো শব্দ আছে, ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।
ভালো কথা, পুরাণ বিনির্মাণের জন্য আর্কিওলজিক্যাল ফাইন্ডিংস এবং আগে যেমন বললাম, আইকনিক তথ্য- এগুলো সহকারে কিছু করা যায় কিনা, চিন্তা করে দেখতে পারেন। আমরা আবার গল্প লিখতে পারি না, কিন্তু গল্প লেখার অনেক উপাদান জোগাড় করতে পারি।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
এই গল্প মহাভারতে আছে শ্রুত কাহিনি হিসাবে, কাউকে গল্প শোনানো হচ্ছে এইভাবে। প্রত্যক্ষ গল্পের মধ্যে নয়। আসল কাহিনি আছে বিষ্ণুপুরাণে আর সৌরপুরাণে ও আছে কিছুটা। পুরাণের ব্যাপার গুলোকেই উপকথা বলছি।
কারণ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার যে গল্প লিখেছি সেও তাদের পুরাণের, গ্রীক গল্পগুলোও। পরে অ্যাজটেক আর মায়াদের কিছু কাহিনি লেখার ইচ্ছে আছে যা তাদের পুরাণের। পুরাণ আর মহাকাব্য মিলেমিশে যায় প্রায় সব সংস্কৃতিতেই, পরে সেটা দেখা যাবে হয়তো।
আসলে হরেদরে ধরনের শব্দ ব্যবহার করছি ভাষাটাকে খুব চেনার মধ্যে রাখার জন্য। পৌরাণিক গল্প তো তৎসম শব্দেই লেখা হতো আগের কালে। ভেবে দেখলাম তাতে হয়তো আড়ষ্ট হয়ে যাবে ফ্লোটা।
তথ্য টথ্য যদি যোগাড় করে দিতে পারেন খুব ভালো হয়। আসলে কি জানেন প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য গুলো যদি গল্পের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কারণ আমাদের মতন সাধারণ মানুষ ইতিহাসের সন তারিখ দেড়গজী লম্বা নামধাম শুনলে ভড়কে যাই, কিন্তু ইতিহাস আশ্রিত গল্প হলে আয়েস করে পড়ি। উদাহরণ দেখুন সুনীলের "সেই সময়", উপন্যাস আকারে বলে কত আদর করে লোকে পড়েছে। অথবা শরদিন্দুর অমিতাভ, বিষকন্যা, চুয়াচন্দন। গল্পের টানে মানুষ পড়েছে ও মুগ্ধ হয়েছে।
আশা করি বোঝাতে পারলাম। সাহিত্য কথাটার একটা অর্থ শুনেছি "সহিত এর ভাব", পাঠকের কত কাছে যাওয়া যায়, কত নিবিড় করে ছোঁয়া যায় তার অনুভব। আমার খুবই সঙ্গত মনে হয় এই মানেটা। সত্যি তো মানুষ কেন কষ্ট করে গল্প পড়বে বা কবিতা পড়বে যদি না তার হৃদয়ের কাছে কেউ কিছু দিয়েছে এই টানটা অনুভব না করে ? এইসব কারণেই এই প্রচলিত শব্দ আর আবহ ব্যবহারের চেষ্টা।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
'হর' মানে শিব হয় ঠিকই, কিন্তু সেটাই একমাত্র অর্থ নয়। হর মানে প্রত্যেকও হয়, হরেকরকম (হর এক রকম)। হরে-দরে শব্দটা সেই লাইনেই আছে বলে মনে হয়। কাজেই বিষ্ণু বোধ হয় চাইলে বলতে পারেন, শ্বশুরমশাই রাগবেন না।
হেহে! আমি একটা কথা শিখেছিলাম ছোটবেলায়ঃ হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায়, হরিকে দেখিয়া হরি, হরিতে লুকায়... মানেটা ছিল যতদূর মনে পড়ে েরকমঃ জলের উপর পদ্মফুল তার উপর একটা ব্যাঙ...সে ব্যাঙ সাপকে দেখে জলেই লুকায়...
তুলিদি...চালিয়ে যান...তবে মূল গল্পের চেয়ে 'ব্রেক কে বাদ' বেশি হয়ে যাচ্ছে! পর্বগুলো আরো বড় করেন...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমার শোনা ধাঁধাটা এইরকম ছিলো-
হরির উপরে হরি
হরি বসে তায়
হরিরে দেখিয়া হরি
হরিতে পালায়।
কিসের কথা বলা হচ্ছে?
উত্তর হলো-জলের উপরে পদ্মপাতা, সেই পাতার উপরে ব্যাঙ বসে আছে, সাপ যেই এসেছে তাই দেখে ব্যাঙ জলে ঝাঁপ দিয়েছে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জমে গেছে ! কাহিনী পুরা জমে গেছে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
জমে গেছে? কন কি?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই সিরিজ এখন থেকে নিয়মিত পড়তে হবে। মজা পাইসি- লেখার স্টাইলটাও ভালো- পুরাণের পুরোন পুরোন ভাব নাই
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
পুরানো ভাবটা কাটানোর জন্য প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করেছি অনেক। আসলে এগুলো চিরন্তন কাহিনি, চিরনূতন। ভাবুন তো তিন হাজার বছর আগে, দুই হাজার বছর আগে, এক হাজার বছর আগে এই একই গল্প কত ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বলে গেছেন কত কথকেরা! কিছুতেই এসব গল্প পুরানো হয় না।
ভালো থাকবেন।
_______________________________
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ইহা পুরান না, নতুন। পরের পর্ব ছাড়ুন জলদি।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ ভুতুম।
পরের পর্ব আসবে, রহু ধৈর্যং। পরের পর্ব বেশ বড়ো হবার কথা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন