কত কোটি কোটি নক্ষত্র নিভে গেছে, কত শত কোটি জ্বলে উঠেছে নতুন! পৃথিবী তার প্রেমঘন কালো চোখ মেলে রাখে দূরবিসর্পী নক্ষত্রবীথিকায়। তার আধেক ঘুমেলা চোখে এসে লাগে দূর-দূরান্তের আলো, ক্রমশ আরো আরো কল্পপূর্বের আলো। তখন পৃথিবী ছিলো না, সূর্য ছিলো না, বিপুলা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ স্বপ্নের মতো লুকিয়ে ছিলো কোন্ জটিল গণিতের গোলকধাঁধায়, শুধু ছিলো আলো, তাপদীপ্ত সৃষ্টিমুহূর্তের আলো। সেই আদিযুগের দীপ্তি এসে পরশ দিয়ে যায় পৃথিবীর সবুজ হৃদয়ে। আদি অগ্নির তাপ ফুরিয়ে যায় নি, রয়ে গেছে আজও।
ঐ ফুলের আগুন যে নীল দিগন্তে মিলিয়ে গেছে, তীব্র আকাংক্ষার সন্তানেরা যে প্রশান্ত সমুদ্রের কিনারে নেমে গেছে তটপঙ্ক অতিক্রম করতে করতে, সেইখানে একই বিন্দুতে যখন তুমি আমি ও এই মহাজগৎ একীভূত হয়ে ছিলো, সেইখানে, ঠিক সেইখানে আবার দেখা হবে। এতটুকুও কি সরেছে সেই ব্রাহ্মবিন্দু ও সেই অনাদ্যন্ত ব্রাহ্মমুহূর্ত? অনি:শেষ,অনবরত, অনাবৃত অথচ চিরকাল অধরা ছায়ার মতন, কেবলই দূর থেকে আরো দূরে সরে যায়।
আমরা একে অপরে নিহিত ছিলাম আদি অগ্নির স্বপ্নে, তখনো সে তাপ তীব্রভাবে অস্তিত্ববান, প্রথম তিন মিনিটের সমস্ত আলোড়ন বিদারণ শরণ ও বিশরণের পরে সৃষ্টিমুখী মথিত সমুদ্রের মতন শান্ত ও পরিপ্লুত। আবার জ্বলুক তোমার দীপ্তিঢালা সুধা, ঐ শিখায় ধন্য হোক এই নশ্বরতার সমস্ত আর্তি বেদনা দু:খ ও সুখ। এসো, সর্বাঙ্গ লেহন করো, চির চরিতার্থ হোক এই মৃত্তিকাবদ্ধ হৃদয় আমার।
সুবোধ্য দুর্বোধ্যতার সীমা পেরিয়ে যাও ধ্যানের মধ্যে, হে শুদ্ধশীল। দেখতে পাচ্ছ কি গভীর নীল স্নিগ্ধতা? বুঝতে পারছ কি সীমানাহীন আদিঅন্তহীন রাত্রির গভীর প্রসন্ন মণিময় আহ্বান? পদ্মের পাপড়িগুলি অদৃশ্য, নিহিত মণিগুলি ঝলমল করছে জ্যোতিকণিকার মতন। "ওম্ মণিপদ্মে হুম।"
হেমন্ত-রাতে বেগুনী অন্ধকারে
ছন্দ-না-মানা রক্তকরবী দল,
চোখ-আঁকা ঘটে অভ্র আবীর কুচি
ঝিনুকের নায়ে টলটলে স্বাতীজল।
মন্তব্য
খুব সুন্দর লেখা, ভালো লাগলো খুব!
_______________________________
আর সব যুদ্ধের মৃত্যুর মুখে হঠাৎ হাসির মতো ফুটে ওঠা পদ্মহাঁস
সে আমার গোপন আরাধ্য অভিলাষ!
--আবুল হাসান
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আরে এরই মধ্যে কমেন্ট দেখে তো আমি অবাক!
ধন্যবাদ মণিকা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সকল মডুদের কাছে অনুরোধ, রেটিং যদি কেউ দেন, সেটা কে দিয়েছেন দেখার কোনো ব্যবস্থা হতে পারে কি? না হলে উদোর বোঝা বুধোর ঘাড়ে পড়ার মতন ভুল বোঝাবুঝি হবার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অতি ভালো লাগলো। প্রায় অসাধারণ, হা হা হা .. ৪.৫!
নিজে আমি কখনো কারুর লেখাতে কোনো রেটিং দিই না, ভালো লাগলে কমেন্টে বলে দিই। ব্যক্তিগতভাবে রেটিং প্রথায় আমার বিশ্বাস নেই, তবে তা নিতান্ত নিজের মত। যারা রেটিং দেন তাদের মতকে অবশ্যই শ্রদ্ধা করি।
এদিকে হয়েছে আরেক গন্ডগোল, কমেন্ট কে করলো সে তো বোঝা যায়, কমেন্টের সাথেই থাকে। কিন্তু রেটিং কে দিলো সেটা তো জানা যায় না। এক লেখায় গিয়ে পড়ে একজন কমেন্ট দিয়ে এলেন, এদিকে কে যেন সেই লেখায় রেটিং দিয়েছেন। এখন লেখক ভাবতে পারেন যিনি কমেন্ট দিলেন তিনিই বুঝি রেটিং দিলেন! ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।
এটা এড়াবার উপায় কি?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনি যেটা ধরেছেন সেটা আসলেই এক সমস্যা। অনেক সময় এমন হয় যে কোন পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়েছি যেখানে কেউ মন্তব্য করেনি অথচ রেটিং করেছে '১'। তখন সেই লেখায় মন্তব্য করলে অনেকে ভাবতে পারে আমিই বোধহয় রেটিং করেছি ১ অথচ বলছি ভালো লেগেছে। এটা একটা সমস্যা বটে। তবে রেটিং নিয়ে মাথা না ঘামালেই সমস্যাটা আর সমস্যা মনে হয়না।
রেটিং থাকুক, যে যার মতো রেট করুক, কী আসে যায় এতে? আপনার প্রশ্নের উত্তর জানা নেই আমার।
আপনার কথাই ঠিক, যে যার মতন রেটিং করুক।
শুধু কে করলেন জানা গেলে ভালো হতো আরকি। নইলে কেমন যেন অদৃশ্য মানব কেস বলে মনে হয়।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা,
ভালো লাগে আপনের লেখা।
যখন থাকি একা,
খুলি সচলায়তনের নীড়পাতা,
যদি পাই আপনার সুন্দর লেখার দেখা।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
আহা, তাই বুঝি?
ভালো লাগলো শুনে।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মাথার কয়েক গজ উপরে দিয়ে গেল
ফিজিক্স না না বুঝি, ব্লগরব্লগরও যদি না বুঝি ক্যমনে হবে?
ভাল কথা, ওইদিন পড়লাম কলাইডারটারে নাকি উপরওয়ালা আটকায়ে রাখছে; পৃথিবী ধ্বংস হইতে দিবে না বইলা। কিছুতেই কিছু করা যাচ্ছে না। ঠাট্টা না। কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছে এই কথা।
আরে তাই বলছে নাকি বিজ্ঞানীরা? পরমধার্মিক ও বিশ্বাসী দেখছি এই বিজ্ঞানীরা!
(জেনিভার নাগরিকেরাও আটকাতে পারে, যে পরিমাণ বিদ্যুত লাগবে! উফফফ। আর বুঝতেই পারছেন কোলাবোরেশানে কাজ, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজনের যে কি অবস্থা হয়! গোলেমালে হরিবোল! ইমিডিয়েট অ্যাপ্লিকেশন আর তাতে টাকা বানানোর উপায় থাকলে এতদিনে দুনিয়ার কর্পোরেট ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ উতরে দিতো। জিন প্রোজেক্টে কি হলো? অতি দ্রুত কাজ হয়েছে সেখানে। কারণ ড্রাগ ইন্ডাস্ট্রি একেবারে উদগ্রীব হয়ে ছিলো। )
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সত্য কথা। ডিএনএ ম্যাপিং এত দ্রুত হবে, অনেকেই মনে হয় ধারণা করেননি।
কলাইডারের আধি-কথা এখানে পড়েছিলাম।
লিঙ্কটা পড়লাম! কত রকমের গল্পই যে মানুষের কল্পনায় আসে! -----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- বলি, আধা ঘুমেলা জিনিষটা কী? ঘুমেলা শব্দটার প্রথম অক্ষরটা কিঞ্চিৎ বাঁ-য়ে সরে গেলে অবস্থাটা কী হতো ভাবেন তো দেখি!
আর আপনে এতো কঠিন করে লিখেন ক্যান? সোজা করে লিখতে পারেন না? আমাদের মতো ম্যাঙ্গো পাবলিকের লাইগ্যা। ইমুন পাষাণ ক্যান গো আপনে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আচ্ছা, সমস্কিতে কই। আধা ঘুমেলা মানে হইলো অর্ধনিদ্রামগ্ন।
আরে "Pen is mightier than the sword" এর প্রথম স্পেস উড়ে গিয়ে কি কান্ড হয়েছিলো জানেন না?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই মন্তব্য পড়ে ধুগো নিশ্চিত দড়ি খুঁজব হাহা
- কথা কৈলাম সইত্য। দড়ি খুঁজতাছি। মাইটার জিনিষ বান্ধোনের লাইগ্যা। যার হাত্তি হেয় ই বান্ধে, একটা কথা আছে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূ গো,
সহজ কইরাই তো উপকথা লিখি! আপনে সেইগুলি দেখেন না গো? আপনেও তো কেমুন জানি!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন