গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সচলে অতিথি-সচল হয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। তার আগে উঁকি মেরে মেরে চলে যেতাম, এখানের লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগতো কিন্তু নিজে কেমন করে লেখা যায় সেই কৌশল কিছুতেই বুঝতে পারি নি। ঘটনাচক্রে একদিন জানা হয়ে গেল তাও। তারপরে আর কি, ব্যস! বেশ নেশা জমলো, হাবিজাবি যা পারি লিখে যাই, একসময়ে ছবিও জুড়তে শিখলাম। তারপর একদিন পূর্ণ সচলও হয়ে গেলাম। খেয়াল করে দেখি আজকের এই পোস্টটা হবে ২০০ তম পোস্ট। কবে এতগুলো হয়ে গেল! জানি বেশীরভাগ লেখাই ছিলো হাবিজাবি, আবজাব। এইসব পড়তে না জানি কত লোকের জান পেরেশান হয়েছে! ঈশ! সহৃদয় মানুষ সবাই, কেউ তাই বকেন নি। তাই ভাবলাম কি করা যায়, সচলের খোলা জানালাটা দিয়ে যে রৌদ্রগন্ধ আর আকাশি ডাক আসে, তাকে ভালোবাসা জানিয়ে এই লেখাটা দিয়ে যাই।
আকাশ জুড়ে এত তারা, তারায় তারায় যেন ঠাসাঠেসি হয়ে আছে! বড়ো বড়ো উজল তারাদের পিছনে অপেক্ষাকৃত অনুজ্জ্বল তারাদের ভীড়, তারও পরে তারাচূর্ণের মতন ছড়িয়ে আছে আলোর আভা। কী অদ্ভুত! ঐ মহাবিশ্ব, ঐ বিশালতা, ঐ আলো অন্ধকার! হাল্কা ক্ষুদ্র সাদা রেশমী রুমালের মতন গ্যালাক্সির প্রলেপ দেখা যায়, অ্যান্ড্রোমিডা! মনে পড়েছে! চারিদিকে কী বিরাট খোলা নির্জন মরু! কি কোমল রাত্রিবাতাস! কোথাও কোনো শব্দ নেই দিগন্ত থেকে দিগন্তে!
তারার আলোয় চোখ চেয়ে থাকতে থাকতে ঘুমপাড়ানি গানের মতন একটা সুর ভেসে এলো, না কানে নয়, মনের মধ্যে। কোথায় সে শুনেছিলো এই আশ্চর্য বিষন্ন সুর? চোখ বুজে আসে ওর, মনে পড়ে একটা ধানক্ষেত, সবুজ চারাগুলো জলের মধ্যে, লকলক করে নাচছে বর্ষার বাতাসে, মস্ত বড়ো একটা গোল চাঁদের হলুদ আলো ছড়িয়ে আছে স্বপ্নের মতন, এক কোঁচকানো বাদামী চামড়ার বুড়ীমানুষ ওকে কোলে নিয়ে বারান্দায় হাঁটতে হাঁটতে ঐ গান গাইছেন, শব্দগুলো স্পষ্ট হচ্ছে না, শুধু একটা টানা সুরের কাঁপা কাঁপা কিছু তরঙ্গ ... একবার জোর দখিনা বাতাসে উড়ে আসা শব্দের মতন মুহূর্তের জন্য শোনা গেলো, "আয় ঘুম যায় ঘুম" তারপরেই ফের শুধু হাওয়ায় কাঁপা সুরতরঙ্গ, কথা নেই আর। কোন্ গান এটা? কবে কোথায় শুনেছিলো ও?
ওর কিছুই মনে পড়ে না, চোখ মেলে দেখে আকাশে জ্বলে উঠলো একটা তারা, ফস করে মিলিয়ে গেলো তারপরে। ওটাকে বলে উল্কা, মিটিয়র। সে জানে।
আবার সেই আয় ঘুম যায় ঘুমের অনতিস্পষ্ট একটা লাইন, তার সঙ্গে "খাট নাই পালং নাই ... "বলে একটা কী যেন লাইন আসতে গিয়েও হারিয়ে গেলো। নেশাচ্ছন্নের মতন ঘুমিয়ে পড়লো ও, ঢালের উপরে এলিয়ে রইলো ওর মাথা, জখম হওয়া হাতে কাঁধে কনুইয়ের কাছে আর হাঁটুতে রক্তচিহ্ন ছিলো। কিন্তু সাংঘাতিক কিছু নয়, রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেছিলো।
পুবমুখী ওর ঘুমন্ত মুখে ঊষার আলো পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো, এবারে ও উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করে সফল হলো, আস্তে আস্তে পা ফেলে ফেলে ও এগোচ্ছিলো। ঐ দূরের সবুজ সবুজ ওগুলো কি? ক্যাকটাস ঝাড়? নাকি কোনো বাগান নাকি ক্ষেত? কোনো গাঁ? বাদামী পাহাড়টি আগে কোথাও দেখেছে কি সে?
খুব জলতেষ্টা, আহ, জল কোথায় পাবে? হয়তো ঐ বাদামী পাহাড়ের কাছে ... এইরকম একটা অতি ভোরের হাল্কা একটা ছবি একঝলকের জন্য ভেসে উঠলো মনের মধ্যে, সেদিনও সে ঐ দিকেই যাচ্ছিলো, ক্লান্ত ছিলো কিন্তু ব্যথা ছিলো না এত, সে কবে?
মনে পড়ে না, সে হাঁটতে থাকে অল্প খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, আহ, খুব জলতেষ্টা! দূরের সবুজ আরো স্পষ্ট হচ্ছে, আকাশে এখন অনেক বেশী আলো। পুবের দিকে লাল,সেখান থেকে লাল একটা গোলার মতন সূর্য উঠবে, সে জানে।
কুয়োটা দেখা গেলো, চারপাশে গোল করে পাথর দিয়ে ঘেরা, কাছে গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলো কাকচক্ষু জল, অনেক নীচে। ঐ তো পাথরটা, তার পাশে গিয়ে বসে পড়বে ও। কে যেন আসবে, কার যেন আসার কথা?
মনে পড়ে না, ক্লান্ত ও চুপ করে বসে দেখে পায়ের কাটা থেকে নতুন করে রক্ত বেরুচ্ছে। ও ট্রাউজারের পাশের পকেটে হাত ঢোকায়, কতগুলো টিসুপেপার উঠে আসে, তার একটা নিয়ে চাপা দেয় রক্তবেরুনো ক্ষতটায়। আস্তে আস্তে এলিয়ে শুয়ে পড়ে, আবার ঘুম আসছে।
ঘুম ঘুম ঘুম ঘুমের মধ্যে একটা আশ্চর্য লাইন মনে পড়ে-"ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল"-কোথায় পড়েছিলো সে? কার মুখে শুনেছিলো? ঘুম। স্বপ্ন। স্বপ্নের মধ্যে নীল চাঁদ একটা।
মন্তব্য
আপনাকে ওয়াচে রাখা হলো
ওয়াচে?
চিনিলবণ সহযোগে মোটা লাঠিও সঙ্গে আছে নাকি?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এক বছরে ২০০ পোস্ট !! খাইছে !!! আপনাকে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এই প্রথম আপনার কাপপ্লেটে চা পেলাম! খুবই খুশ!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অভিনন্দন। কিন্তু সেই সঙ্গে সাবধান বাণী: জম্পেশ খানাদানা না পাইলে কিন্তু আপনার ২০০ লেখার স্বীকৃতি দেয়া হবেনা! এবং মডুদের সঙ্গে চক্রান্ত করে আপনার সব লেখায় ভাগজোখ করে নিজেদের নাম বসিয়ে নেয়া হবে
(আপনি বরং আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করেন। তাইলে এই সুযোগে ভাল কিছু লেখার মালিক হতে পারব )
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আহা নামে কী আসে যায়?
অভিনন্দনে আপ্লুত।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনে এক্কেরে অমানুষ। আর কিচ্ছু বলার নাই।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
মূলত পাঠক,
আপনার লেখার যা ভালো মান ও জনপ্রিয়তা, একটাই ১০০ র সমান। সেই হিসাবে দেখুন কত হলো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অভিনন্দন তুলিরেখা! আপনার হাজার পোস্ট দেখতে চাই সচলে
আপনার অভিনন্দনে খুবই আনন্দিত হলাম, কমরেড।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গান্ধারী নাকি শতপুত্রের জননী হয়েছিলেন - তাও এক জনমে; আর আপনি পনের মাসে দুইশ' পোস্টের জননী!!! ব্যাসদেবটা যে কোথায় গেলেন, আর গণপতিই বা কোথায়? এ'কথা "কলির মহাভারতে" এখনি লিখে রাখতে হবে যে! নয়তো তার মধ্যে পাঁচশ' পোস্ট দিয়ে এসে বলবেন "কলির মহাভারত" সংশোধন করতে হবে।
অভিনন্দন তুলিরেখা! দুইশ'র সীমা দুই সহস্রকে ছাড়িয়ে যাক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরে ক্লোনিং টেকনোলোজি ছিলো ওদের, গান্ধারীর গোটা জন্ম লাগেও নি (ছেলেগুলো সব প্রায় একবয়সী দেখেন নি? )। গান্ধারী শুধু ১০০ জন সারোগেট মাদার হায়ার করেন। পরে বিচ্ছু ছেলেগুলোকে সামলাতে যে আরো কত লোক হায়ার করতে হলো উপরওয়ালা জানেন।
আপনার অভিনন্দন ধন্যবাদের সহিত গৃহীত হইলো।
---------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কিছুকাল আবশ্যিক বিশ্রামে যাবার পালা এখন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ছুটির দরখাস্ত (জমা দেন আর না দেন) সচলের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সেই একই কথা আবারও বলি, খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
আর ২০০-র অভিনন্দন!
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।
ধন্যবাদ আহির ভৈরব।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমি কিন্তু আপনার মহাবিশ্ব বিষয়ক লেখাগুলো খুব মজা করে পড়ি। আরো লিখবেন।
নতুন মন্তব্য করুন