ঝিলিক

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/১১/২০০৯ - ৮:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঝিলিককে আমার তেমন করে মনে পড়ে না। ওর ভালো নাম ছিলো তিলোত্তমা। ঝিলিকের মুখ, চুলের ঢাল, চলার ছন্দ, গালের টোল-সব কেমন আবছা হয়ে গেছে।কবেকার কথা সব! যেন গত জন্মের! অথচ অঙ্কের হিসেবে তেমন দূরের কিন্তু নয়! ওকে শেষ দেখার পর কতবার সূর্যপ্রদক্ষিণ করেছে পৃথিবী? মাত্র তিরিশবার। তাতেই এমন ঝাপসা হয়ে গেল স্মৃতি?

সমুদ্রের তীরে নারকেল গাছে দোলনা বেঁধে তার মধ্যে শুয়ে মৃদু মৃদু দুলতে দুলতে ঝিলিককে মনে করার চেষ্টা করি। দূরের নীলের মধ্যে উদাসভাবে পাক খাওয়া এক চিলের ডানায় আমার দৃষ্টি আটকে যায়। একখানা সাদা মেঘ ভেসে আসে নীলের উপরে। আকাশের আয়না থেকে ঝিলিকের ঝাপসা মুখখানা মিলিয়ে যায়।

দোলনায় শুয়ে কেন যেন নিজেকে শিশু মনে হয়। মনে হয় মৃদু এই হাওয়া কারুর হাল্কা হাতের ছোঁয়ার মতো আমার এই দোলায় এসে লাগছে। সমুদ্রের হাওয়া ক্রমে প্রবল হয়ে উঠতে থাকে। সূর্য ঝলমল করছে। কিছুদূরে বালির উপরে তোয়ালে পেতে শুয়ে আছে নন্দিনী, গত কুড়ি বছর ধরে ও আমার সঙ্গিনী। ছেলেমেয়েরা বড়ো হয়ে গেছে। তারা নিজেরাই ডেট করছে নিজেদের বন্ধু বান্ধবীর সঙ্গে।

এই শান্ত সমুদ্র-শহরটা ভালো লাগতো আমাদের দুজনেরই। এতদিন পরে এখানে একটা বাড়ী কিনে ফেলতে পেরেছি দুজনের জমানো টাকায়। এখন প্রত্যেক সপ্তাহান্তেই চলে আসছি। আর কি? এখানেই হয়তো বানপ্রস্থ নেবো।

এই এক জীবনে এত বদল! যেন মনে হয় জন্ম জন্ম ধরে পথ বেয়ে চলছি আর চলছি। অবুঝ শৈশব থেকে পুলক- বেদনার যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্যে পৌঁছে মৃত্যু-আবার নতুন শৈশব, কৈশোর, যৌবন। চক্রাকারে যেন ঘুরে চলেছি, বেরুবার পথ নেই। নিজের মনেই একটু হেসে ফেলি। যা:, সত্যি বুড়ো হয়ে গেলাম নাকি? নইলে এমন ঝলমলে সী-বীচে কিনা গীতার বাণী?

নন্দিনী এখনো অনেক ডাঁটো আছে। অনেক জীবনপিয়াসী। অবশ্য ও আমার থেকে বেশ অনেক বছরের ছোটো। পনেরো বছরের ছোটো। হঠাৎ একটা মজার কথা মনে এলো। মনে এলো আমার ষোলো বছরে গলায় বয়সা লেগে গেছে, বয়:সন্ধির নিষিদ্ধ স্বপ্নগুলো দেখতে আরম্ভ করেছি আর নন্দিনী তখন হামা দিচ্ছে। এক বছরের একটা তুলতুলে বাচ্চা। এত জোরে হেসে উঠলাম যে নন্দিনী তোয়ালে থেকে উঠে এলো আমার দোলনার কাছে।
"কী হলো তোমার ? হাসছো যে!"

"না, এমনি। একটা দারুণ মজার কথা মনে পড়লো।"

"তাই? তা কী এমন কথা, শুনি?" নন্দিনী ভ্রুভঙ্গী করে দাঁড়ায়।

"মনে হলো তুমি যখন হামা দিতে তখন আমি একটা দামড়া ছেলে।"

"এই, আবার ঐসব ভাবছো তুমি? এরকম করলে আমি এক্ষুনি তোমাকে আবার ড: বয়েডের কাছে নিয়ে যাবো কিন্তু।"

এই ড: বয়েড লোকটাকে আমার একটুও পছন্দ হয় না। সবসময় খালি বেশী বেশী চালাকি দেখানোর চেষ্টা করে। হুঁ, যেন আমি ওর চালাকিগুলো ধরতে পারবো না! নেহাৎ নন্দিনী চায়, তাই আমি ঐ লোকটার কাছে যাই সপ্তাহে একবার। নন্দিনীই নিয়ে যায়। কীসব চেকিং ফেকিং করে। বহুরকমের ওষুধও লিখে দেয়। নন্দিনীই ওসব কিনে টিনে আনে, নিয়ম করে খাওয়ায়। খালি আমাদের খরচ বাড়িয়ে দেওয়া ছাড়া তো এসবের আমি আর কোনো দ্বিতীয় মানে দেখতে পাইনা। নন্দিনী বলে করতেই হবে। খরচের নাকি ও তোয়াক্কা করে না। নিজের টাকা দিয়ে সব করবে। করুক, আমার কী? যা খুশী করতে চায় করুক।

নন্দিনী দোলনার পাশ দিয়ে ঝুঁকে পড়ে আমার বুকের উপরে মুখ রাখলো। আমার হাতটা আস্তে আস্তে ওর মাথার চুলের উপরে চলে এলো। আঙুলগুলো ওর নরম চুলগুলোর মধ্যে খেলতে খেলতে আমার দিকে ছোট্টো একটা বিজয়চিহ্ন দেখালো। আমি হেসে ফেললাম।

নন্দিনী মুখ তুলে আমার চোখে দিকে চেয়ে আছে। খুঁটিয়ে দেখছে আমাকে? কেন? নন্দিনী কি মনে করে আমি ঠিক স্বাভাবিক নই? তাই আমার হাসি কান্নাকেও প্রশ্ন করে?

মনে পড়লো প্রথম দিন ড: বয়েডের কাছে নিয়ে যাবার সময় আমাকে মোলায়েম করে কত কথাই না বোঝাচ্ছিলো। নাকি আমরা সব মানুষেরাই একটু না একটু অস্বাভাবিক। ১০০% স্বাভাবিক মানুষ নাকি কেউ নই। তাই মাঝে মাঝেই আমাদের নাকি চিকিত্সকের কাছে গিয়ে নিজেদের মন পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত। এটা নাকি কোনো অসুখ নয়-এটা নাকি একটা শারীরিক অবস্থামাত্র। যেন আমি একটা বাচ্চা ছেলে! তবু গেলাম। নন্দিনীকে চটাতে চাই না। এই প্রায় বুড়ো বয়সে ওকে ছাড়া অন্ধকারই তো দেখবো।

ওর জিজ্ঞাসু চোখকে নিজের দিকে টেনে নিই। আমার আঙুল দিয়ে ওর চোখের পাতা বন্ধ করে দিই। তার পরে ঠোঁট ছোঁয়াই ওর বন্ধ চোখের পাতায়। ওর মুখ অল্প অল্প করে হাসি ফুটতে দেখে আমার ভালো লাগে। ও এখনো চোখ বন্ধ করেই আছে। আমার হঠাৎ বিদ্যুত্চমকের মতো মনে পড়ে সুদূর অতীতের এক দুর্গাপূজা, সপ্তমীর সকাল-কী আশ্চর্য নীল ছিল সেদিন আকাশটা! ঝিলিক তখন মাত্র বারো, আমি ষোলো-কিন্তু সেদিন আমরা হঠাৎ যেন বড়ো হয়ে গেলাম! প্রথম চুম্বনের স্মৃতি কি এমনই হয়? সবার? আহ:, এতকাল পরে কেন এসব মনে পড়ছে?

এই তো আমার স্ত্রী, নন্দিনী, এত সেবাযত্নে, ভালোবাসায় আমায় ঘিরে রেখেছে। পনেরো বছরের বড়ো একজন মানুষকে স্বামী হিসেবে পেয়েও কোনো অতৃপ্তি বা দু:খ তো ওর হয় নি! কিন্তু আমার কেন এরকম হচ্ছে এই জীবনের গোধূলিবেলায়?

মনে মনে বলি," ঝিলিক, তুমি চলে যাও। আমার নন্দিনী আছে, আমার বৌ, আমার দুটো ছেলেমেয়ে আছে। রণ -আমার ছেলে, সে কলেজে পড়ছে। রীতা- আমার মেয়ে সে সামনের বছর থেকে কলেজে যাবে। আমাদের সুখী সংসার। এর মধ্যে এসে এতদিন বাদে তুমি ঝড় তুলো না ঝিলিক। দোহাই তোমার।"

নন্দিনী মাথা তুলে জিজ্ঞাসু চোখে আমার দিকে চেয়ে আছে আবার। উদ্বিগ্ন কেন লাগছে ওকে দেখতে? ও:, এই মেয়েটা কেন আমাকে এমন করে ঘিরে থাকে? কেন নিশ্চিন্তে আমাকে ছেড়ে দিয়ে বেশীক্ষণ দূরে থাকতে পারেনা?

জোর করে তিলোত্তমাকে মন থেকে সরিয়ে দিয়ে নন্দিনীর দিকে চেয়ে হেসে বলি, "নন্দিন, আজকে লাঞ্চে কি রাঁধছো? নাকি দুপুরবেলা কোথায় খেতে যাবার প্ল্যান করছো?"

নন্দিনী একটু খুশী হয়। কী কী রাঁধবে দুপুরে, বলতে শুরু করে। আমি খুব উত্সাহ দেখিয়ে একেবারে উঠে পড়ি। বলি," কয়েকটা ডাব পাড়তে পারলে দারুণ হতো। এই গরমে ডাবের জল, ও: চমত্কার।"

নন্দিনী বলে,"ডাব আছে ঘরে, মুখ কেটে আনি দাঁড়াও, স্ট্র দিয়েই আনছি।"

নন্দিনী দ্রুত পায়ে লন ছেড়ে বাড়ীর দিকে চলে যায়। ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আমার হঠাৎ মনে পড়ে আমার ছোটোবেলা আবার। ক'জন বন্ধু মিলে হই হই করে নারকেল গাছে চড়া। সত্যি, কত অন্যরকম ছিলাম তখন! এখন তো চেষ্টা করলেও পারবো না এই খাড়া নারকেল গাছে চড়তে! নারকেল গাছটার দিকে তাকাই। উপরে যেখানে ফল ধরে আছে গোছা গোছা।

আকাশে আবার ফিরে আসে ঝিলিকের মুখ। এবার সে মুখে শরত্ঘের হাল্কা ছায়া। আমার কেন জানি খুব কান্না পায়। কিন্তু তাহলে তো হবে না! আমি দ্রুত মুখ নামিয়ে ছুটে বাড়ীর দিকে যেতে থাকি। হাঁপ ধরে যাচ্ছে কেন? উ:, বুকের বাঁদিকটা----আহ, বহু শক্ত আঁচড়ের মতো যন্ত্রণা। বুক চেপে ধরে আমি গড়িয়ে পড়ি বালিতে। আহ, এবার শান্তি। শন্তি, শান্তি, শান্তি। অন্ধকার।

***

সময়ের কোনো বোধ ছিল না। কেজানে কতক্ষণ অমন ছিলাম। চোখ মেলে দেখলাম নন্দিনীর কোলে আমার মাথা। আমার চোখেমুখে জল দিয়েছে ও, মুখেচোখে এখনো তার ভেজা চিহ্ন। কিন্তু ওর চোখ দুটো এমন লালচে কেন? জলে ভরা? উঠে বসতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু ও আলতো করে ধরে শুইয়ে দিলো। বললো, " উঠতে হবে না। আরেকটু শুয়ে থাকো। বাব্বা, ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে একদম।"

আমি অপ্রস্তুত মুখে হাসলাম। বললাম, "কী করে যে কী হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না ভালো করে। একেবারে হঠাৎ। এরজন্য তুমি আবার ডাক্তার ডাকবে নাকি?"

"তাতো ডাকবোই। অসুখ বাঁধিয়ে বসে এখন কর্তাগিরি করার চেষ্টা একেবারে কোরোনা। এখন আমি যা বলি তাই শুনতে হবে।"

নন্দিনী খুব কড়া গলায় বলার চেষ্টা করছে কিন্তু ওর গলা এত নরম যে কিছুতেই কঠোরতা ফোটে না অনেক চেষ্টাতেও।

আবার মনে পড়ে ছোটোবেলার কথা। সত্যিই হয়তো বুড়ো হয়ে গেলাম। বুড়োরাই তো কেবল মনে করে বালকবেলা আর কৈশোরের কথা। কতদিন আগে, সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে একটা গল্প পড়েছিলাম "দিগন্তপ্রিয়"। এক পাখির গল্প। সে পাখি থাকে উত্তর মেরুতে, আর্কটিক টার্ন। সেই ছোট্টো পাখি প্রতি বছর শীতের সময় উড়ে যায় সোজা দক্ষিণ মেরুতে। আবার উত্তরে যখন গ্রীষ্ম আসে তখন তারা উড়তে উড়তে ফিরে আসে উত্তর মেরুঘেঁষা ওদের ঘর-গেরস্থালীতে।

এই গোষ্ঠীর একটি ছোট্টো পাখিকে নিয়ে গল্প ফেঁদেছিলেন লেখক। সে পাখি বৃটিশ দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে যখন উড়ে আসছিল তার বাবামায়ের সঙ্গে, তখন একটি দুর্ঘটনায় সে আটকে পড়ে বিদ্যুতবাহী তারের মধ্যে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়, প্রধানত এক কিশোরের উদ্যোগে। তারপর আহত পক্ষীশাবকের যথাসাধ্য সেবাশুশ্রুষা করে সেই কিশোর আর ওর মা মিলে। সুস্থ হয়ে উঠলে পাখিটিকে ছেড়ে দেয় তারা, ছেলেটা পাখিটার নাম দিয়েছিল দিগন্তপ্রিয়। ছেড়ে দেবার আগে দিগন্তপ্রিয়ের পায়ে পরিয়ে দেয় চিহ্নিত আংটি। যাতে ফিরে আসার পথে যদি আবার সে আসে তবে সেই আংটি খুলে স্মারক হিসেবে রেখে দিতে পারবে। দিগন্তপ্রিয় ঠিকই ফেরৎ যাবার পথে থেমেছিলো ওদের বাড়ীতে, কিন্তু তখন সেই কিশোর চলে গেছে অনেক দূরে, যেখান থেকে আর কেউ ফিরে আসে না।

দিগন্তপ্রিয়! কী অদ্ভুত সুন্দর নাম! মেরু থেকে মেরুতে অবিশ্রাম উড়ে চলার কল্পনা মনকে যে কেমন এক আশ্চর্য দোলায় দুলিয়ে দিত! তখন কী আর জানতাম যে আমাকেও একদিন চলে আসতে হবে এক সুদূর দেশে? অচেনা নদী আর সমুদ্রের তীরে? আমারও আর ফেরা হবে না?

দেশের বাড়ীর ছাদটা ছিল আমার মনের মতো। বাড়ীর পুরো পশ্চিম জুড়ে খোলা ধানক্ষেত। বহুদূর পর্যন্ত দেখা যেত ছাদে উঠলে। প্রতিদিন সেখান থেকে দেখতাম সূর্যাস্ত। পশ্চিমের পথে উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজগুলো কেমন ছোট্টো থেকে আরো ছোট্টো হয়ে একসময় বিন্দু হয়ে মিলিয়ে যেত। রঙীন মেঘেরা কত ছবি তৈরী করতো সন্ধ্যার আকাশে, দেখতে দেখতে মন কেমন করতো।

ঝিলিক বারবার আমায় বলতো ছাদে একখানা ঘর তৈরী করতে। কিন্তু আমার কি সেই ক্ষমতা ছিল যে ছাদে ঘর তৈরী করবো? তাই বারে বারে হেসে এড়িয়ে যেতে হতো, হাসি দিয়ে চাপা দিতে হতো নিদারুণ বেদনাকে। আমার সমস্ত মন চেয়েছিল সেই ছাদের ঘরখানি, কিন্তু বাস্তব অকরুণ। স্বপ্নে সেই ঘরখানি রয়ে গেলো- “ অনন্ত এ আকাশের কোলে/ টলটল নীলের মাঝার / এইখানে বাঁধিয়াছি ঘর / তোর তরে তারা রে আমার।"

ঝিলিক একা একা চলে গেছে দিগন্তপ্রিয়ের ডানা ছাড়িয়ে আরো আরো অনেক দূরে, সেদিনের সেই বোকা ভীতু যে ছেলেটা ওকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো, মর্মান্তিক প্রয়োজনের সময় ওর আশ্রয় যে হতে পারে নি, সে এসে চুপ করে বসে থাকে পাশটিতে। স্বার্থপরতার খাঁচায় আটকে গেছে ওর দিগন্তপ্রিয়, এতদিনে হয়তো খাঁচার দরজাটা খোলার সময় এলো।

"আমি আসছি ঝিলিক, দেখা হবে শীগগীর, কিছুতেই মাফ কোরো না আমায় তুমি।" ফিসফিস করে বলি।

শরৎমেঘে আবার ফুটে ওঠে ঝিলিকের মুখ, ঝকঝকে ওর সেই কিশোরীচোখ, সে চোখে দুষ্টু দুষ্টু হাসি। সেই সপ্তমী সকাল প্রলম্বিত হতে হতে আকাশ পৃথিবী ছেয়ে অনন্ত হয়ে যায়।

ঝিলিমিলি আকাশের কোলে
টলোটলো নীলের নহর-
সে পথের শেষে এসে দেখি
ঝিকিমিকি চোখ দুটি তোর।

******


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

একটানে নিশ্বেষ করলুম আর এখন ভাবতে বসলুম, আমি কি রবি ঠাকুরের শেষের কবিতা পড়লুম?
এস হোসাইন

---------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

তুলিরেখা এর ছবি

আরে ব্বাবা, শেষের কবিতা!!!! এসব বলে লজ্জা দেবেন না।
আপনার ভালো লাগাই আমার সামান্য কলমের পক্ষে বিরাট পুরস্কার!
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

আপুনি: তোমার লেখা এমনিতেই দারুণ লাগে...সুবিধে এই যে, নুতনের খোঁজে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়না...(হিঃহিঃ) তবে এই পোস্টটা সবচাইতে অসাধারণ!!! *তিথীডোর

তুলিরেখা এর ছবি

আহা তিথীডোর, এগুলো তেমন নতুন না তো! মানে ডাইরির কাছে নতুন না। তবে এখানে নতুন। হাসি
অনেক ধন্যবাদ রইলো।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মৃত্তিকা এর ছবি

খুব ভালো লাগলো গল্পটা!
আপনার প্রেমের গল্প গুলো বেশীর ভাগ বিয়োগান্ত হয় কেন তুলি'দি?

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ মৃত্তিকা।
বিয়োগান্ত বলে মনে হয় আপনার? আমার কিন্তু মনে হয় কোথাও কোনো অনন্ত মিলনের প্রতিশ্রুতি ঠিকই থেকে যায়।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

বাহ্ ! বেশ ভাল্লাগলো আপুনি।
কিন্তু উদাসী এক বিষন্নতায় ডুবে গেল মন।
"ঝিলিমিলি আকাশের কোলে
টলোটলো নীলের নহর-
সে পথের শেষে এসে দেখি
ঝিকিমিকি চোখ দুটি তোর।"

দারুণ!

-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ মউ।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রাহিন হায়দার এর ছবি

ভালো লেগেছে।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

রেজওয়ান [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখা পড়া হয়। কিন্তু এত কাব্যিক লেখায় আমার কাঠ কাঠ ভাষায় মন্তব্য দিতে কুন্ঠাবোধ হত।
শুধু এটুকুই বলি, অনেক ভালো লেগেছে।

তুলিরেখা এর ছবি

আপনি যে মন্তব্য দিলেন, এতে যে কত ভালো লাগলো কী বলবো।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার লেখার শিরোনামটা দেখার পর থেকেই মাথায় এই গানটা ঘুরছিলো। গুনগুন করছিলাম কাল থেকেই। একেবারে আসল গানটাই দিলাম এখানে-

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ গানটার জন্য।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তুলিরেখা এর ছবি

স্নিগ্ধাজীঈঈঈঈ, আপনে আছেন গো কাছাকাছি?
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।