অগ্নিজাতক

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ০৯/১২/২০০৯ - ১০:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই লেখাটি বহু বছর আগে প্রকাশিত। খুঁজতে খুঁজতে পুরানো ফাইলে পেলাম। ভাবলাম সচল বন্ধুদের কাছে দিয়ে দেখি তারা কী বলেন। সামান্য কিছুটা বদলানো হয়েছে নতুন পরিবেশনের সময়


অগ্নি অস্তিত্ববান ছিলো সূর্যে, আকাশে বিদ্যুতে, জীবন্ত আগ্নেয়শৈলের জ্বালামুখে, অরণ্যে দাবানলে ও সমুদ্রে বাড়বানলে। কিন্তু সে ছিলো না হিমকন্থা প্রস্তরগুহায়, ছিলো না বৃক্ষচারী প্রায়মানবের সন্নিধানে। তীব্র শীতপ্রবল উত্তরী অক্ষের দেশে ছিলো কুয়াশা, ছিলো নিষ্ঠুর তুষারঝঞ্ঝা ও হিমজমাট প্রান্তর। হিমকন্থা প্রায়মানবেরা অগ্নিকে আহ্বান করিয়াছিল ভাষাহীন চিত্কৃত প্রার্থনায়।

সুদূরে দক্ষিণ সমুদ্রের দেশের ধীবরী, তরল অন্ধকার ছড়াইয়া আসা সন্ধ্যায়, সাগরবেলায় চাহিয়া আছে পশ্চিমে, সেইখানে জল লোহিতবর্ণ হইয়া ছলচ্ছল করিতেছে। ঐ তীব্র লোহিত বর্ণ, জননী গর্ভোত্সারিত রক্তধারার মত জীবন্ত মনে হয়। ঐ অমৃতের সমুদ্রে অবগাহন করিয়াই কিনা সূর্য প্রতিদিন নবজাত হন!

হে দ্যুলোকের দেবগণ, ঐ দিক দিগন্তরে ছড়ানো অসংখ্য দ্বীপমালার কোনটিতে হইবে আমার গন্তব্য? কোথায় আছে সেই লোহিত সমুদ্রের দুয়ার? অনন্ত জীবনের ঝর্ণা?

অনুকূল সমুদ্রস্রোতে তরী লইয়া আসিয়া পড়ে ধীবরেরা, তাদের জালে মৎস্য ও কূর্মের ভীড়। সমুদ্রবেলায় দ্রুত বন্টনের শেষে ওদের ফিরিয়া যাইতে হইবে ঘরে।

পর্বতসানুতেও বেলা পড়িয়া আসিতেছে, নদীতীরের বালুচর স্বর্ণপ্রভ। শিকারজীবীরা দিনের শেষজল পান করিয়া ফিরিয়া যাইবে মৌচাকের মতন গুহাসমূহে।

ইন্দ্রনীলপ্রভ মেঘ ঘনায় উপত্যকা জুড়িয়া, সন্ধ্যা-আকাশ বহিয়া আনিতেছে কী অদ্ভুত অনাস্বাদিত বার্তা! কিছু একটা ঘটিতে চলিয়াছে, এই হলুদ বালুচরবর্তী ভাষাহীন প্রায়মানবেরা অনূভূতি দ্বারা বোঝে, কিন্তু স্পষ্ট করিয়া বুঝিতে পারে না সেইটা কী।

নারী ও পুরুষ ঘনিষ্ঠ হইয়া দাঁড়াইয়া থাকে গুহামুখে, শিশুরাও উন্মুখ। সিংহের মতন সুকেশর মেঘেরা আকাশে খেলা করিয়া বেড়ায়, শোঁ শোঁ ঝড়ো বাতাসে উড়িতে থাকে শুষ্ক পত্রসম্ভার। দক্ষিণ পশ্চিমে ঝলসিয়া উঠে বিদ্যুৎ। আকাশের অগ্নিদেবতা। পাবক-অভিলাষী মানবকের জন্য এইবারে তিনি আসিবেন, আসিবেন এইখানে, এইখানে, এইখানে।

স্বেদবিজড়িত চকিত নিদ্রাভঙ্গে চমকিয়া উঠি, কে আমার হাত ধরিয়া আছে? এই হাতের উপর এইমাত্র ছিলো তপ্ত অগ্নিস্পর্শ, চরিতার্থকামা নারীর মরচক্ষুতে স্পষ্ট হইয়াছিলো পাবকের নখবিলিখন। সে কোথায় গেল? এইখানে এইখানে এইখানেই তো ছিলো, এইমাত্র, এই মুহূর্তেই।

প্রৌঢ় হয়ে আসা সঙ্গীর বলিরেখাময় মুখে আর রূপ নাই, পরিণতিও নাই। কালের অমোঘ হস্তাবলেপে মুহূর্তে মুহূর্তে ক্ষয় হইয়া যাই আমরা, ঝরিয়া যাই, ক্ষয় হইয়া যায় আমাদের সব স্বপ্ন ও যন্ত্রণা। সব তাপ নিভিয়া আসে ধীরে ধীরে।

শয্যায় উপাধানে মাটিতে ছড়াইয়া পড়িয়া থাকে আমাদের অগণিত মর্ষনজাত ও ধর্ষণজাত সন্তানেরা। নানা আকৃতির ও চেহারার নর ও নারীরা। ঘুমন্ত ও আধাঘুমন্ত। কেউ কেউ জাগ্রতও। কেউ শুইয়া থাকে শিথিল একটি দীর্ঘ দন্ডের মতন, কেউ গুটাইয়া গোল হইয়া গর্ভস্থ শিশুর মত, কেউ এলোমেলো একগোছা খড়ের মত।

কিন্তু ঐ অনন্ত অগ্নি? ঐ অন্তহীন জ্বালামুখ? কোথায় প্রচ্ছন্ন হইয়া আছো ছদ্মবেশী? কোথায় কিসের আবরণে ঢাকিয়াছ লেলিহজিহ্বা তোমার? কামার্তা মানবীকে এইমাত্র লেহন করিয়া গেছ যা দ্বারা?

একটি উচ্চ ঢিবির মতো এখানে। ক্লান্ত যোদ্ধা সেই ঢিবিতে উঠিলেন। কেন যে এখনো ভারী অস্ত্রটি তিনি সঙ্গেই লইয়া যাইতেছেন কে জানে! কোনোক্রমে সেটি টানিতে টানিতে তিনি ঢিবির উল্টাদিক দিয়া নামিয়া গেলেন। তারপরে প্রায় ছুটিতে লাগিলেন। আ:, এত তৃষ্ণা কেন? কেন এখনো এইসব বোধগুলি তাকে ছাড়িয়া যায় না?

উপত্যকা অতর্কিতে নামিয়া গেছে নীচে। সেখানে টলটল করিতেছে হ্রদের জল। ক্লান্ত তৃষ্ণার্ত যোদ্ধা চাহিয়া থাকেন সেইদিকে। তারপরে প্রথমে তার অস্ত্রটি ফেলিয়া দেন জলের কিনারে, পরে নিজে নামিয়া আসেন পাথরে পাথরে সাবধানে পদস্থাপন করিয়া। তারপরে জলের মধ্যে প্রায় লুটাইয়া পড়িয়া আকন্ঠ পান করেন সেই ঠান্ডা, স্নিগ্ধ জল। আ:।

বৌষট্ বৌষট্ বৌষট্ --অসংখ্য অশ্বের খুরের শব্দ পাই, ধূসর ও গৈরিক প্রান্তর জুড়িয়া তাহাদের হিল্লোলিত দেহভঙ্গী। শস্যময় হরিৎ দুধমধুর দেশের দিকে আরোহীদের যাত্রা, তাহাদের জ্বলজ্বলে কঠিন চক্ষে বিপুল তৃষ্ণা। অল্পস্তন্যে পৃথিবী তাহাদের ক্ষুধার্ত করিয়া রাখিয়াছে, তাই তাহারা খুঁড়িয়া লইয়া আসিবে পাতালের ধনরত্ন, আকাশের রৌদ্রজল, বাতাসের গতি ও প্রাণের লাবণ্য। বিপুল প্রস্তরস্তূপ অতি জটিল ও সূক্ষ্ণ হিসাবের দ্বারা একটির উপর আরেকটি চাপাইয়া মন্দির তৈরী হইবে মরুবালুরাশির উপরে, কৃত্রিম পর্বতের মত এর উচ্চশীর্ষ ভেদ করিয়া যাইবে আকাশে ভাসমান মেঘসমূহ। উঁকি দিয়া দেখিয়া লইবে স্বর্গের প্রাসাদ।


কত নক্ষত্র নিভিয়া গিয়াছে, কত নক্ষত্র জ্বলিয়াছে নূতন! পৃথিবীর প্রেমনত চক্ষে দূর দূরান্তের আলো আসিয়া লাগে, ক্রমশ আরো আরো কল্পপূর্বের আলো, যখন পৃথিবী ছিলো না, সূর্য ছিলো না, বিপুলা আকাশগঙ্গা ছায়াপথ স্বপ্নবৎ লুকাইয়া ছিলো কোন্ জটিল গণিতের গোলোকধাঁধায়, সেই আদিযুগের আলো এসে পরশ করিয়া যায় পৃথিবীকে। সেই আদি অগ্নির তাপ ফুরাইয়া যায় নাই, রহিয়া গিয়াছে আজও।

হে পাবক, হে পবিত্র অগ্নি, জাতবেদা হুতাশন, আমার জন্মমরণ চরিতার্থ করিয়া বাজিয়া ওঠো, ঐ ফুলের আগুন যে নীল দিগন্তে মিলাইয়া গিয়াছে, ঐ তীব্র আকাঙ্ক্ষার সন্তানেরা যে প্রশান্ত সমুদ্রের কিনারে নামিয়া গিয়াছে তটপঙ্ক অতিক্রম করিতে করিতে, সেইখানে একই বিন্দুতে যখন তুমি আমি ও এই মহাজগৎ একীভূত হইয়া ছিলো, সেইখানে, ঠিক সেইখানে। এতটুকুও কি সরিয়াছে সেই ব্রাহ্মবিন্দু ও সেই অনাদ্যন্ত ব্রাহ্মমুহূর্ত? অনি:শেষ ও অনবরত অনাবৃত অথচ চিরকাল দূরে সরিয়া যায়?

জ্বলুক জ্বলুক তোমার দীপ্তিঢালা সুধা, ঐ শিখায় ধন্য হৌক এই নশ্বরতার সমস্ত আর্তি বেদনা দু:খ ও সুখ। এসো, সর্বাঙ্গ লেহন করো, চির চরিতার্থ হৌক এই পৃথিবীবদ্ধ হিয়া।

আমারা একে অপরে নিহিত ছিলাম আদি অগ্নির স্বপ্নে, তখনো সে তাপ তীব্রভাবে অস্তিত্ববান, প্রথম তিন মিনিটের সমস্ত আলোড়ন বিদারণ শরণ ও বিশরণ এর পরে সৃষ্টিমুখী মথিত সমুদ্রের মতন শান্ত ও পরিপ্লুত।

সুবোধ্য দুর্বোধ্যতার সীমা পার হইয়া যাও ধ্যানের মধ্যে, হে শুদ্ধশীল। দেখিতে পাও কি নীল স্নিগ্ধতা? বুঝিতে পারো কি সীমাহীন অন্তহীন রাত্রির গভীর প্রসন্ন মণিময় আহ্বান? পদ্মের পাপড়িগুলি অদৃশ্য, নিহিত মণিগুলি ঝলমল করছে জ্যোতিকণিকার মতন। "ওম্ মণিপদ্মে হুম।"

গভীর স্বরে বাজিয়া উঠিয়াছে সুরেলা ঘন্টা, পার্বত্য বিহারটির হৃদয়োত্সারিত মন্ত্রাঞ্জলির মতন। শুদ্ধশীল, চলো আমরা ঐখানে যাই। এখন ঊষালগ্ন, ভারী পবিত্র এখন সবকিছু, প্রকৃতি এখন গায়ত্রীগান গাহিতেছে।

ঐ দ্যাখো উচ্চশীর্ষ সরল গাছগুলি পর্বতগাত্রে, উর্ধমুখ মৌন। গভীর ধ্যানরাত্রির শেষে চক্ষু মেলিয়া উদয়দিগন্তের দিকে চাহিয়া আছে। ভূলোক ভূবলোক ও স্বর্লোকে আলোর শঙ্খ বাজছে, শুনিতে পাইতেছ কি?

হে বরেণ্য সবিতা, সেই আলোর রথ আসুক এইখানে এইখানে এইখানে। ঠিক এই হৃদয়ের মাঝখানটিতে, এই চেতনার পদ্মকোষে, এই মর্মরিত মন-অরণ্যের লুক্কায়িত বৃক্ষবাটিকায়।

সেই মাতৃস্বরূপা স্তন্যদায়িনী তটিনী। তীরবর্তী হলুদ বালুচরে, সেই পর্বত কন্দরবাসী মানবের ত্রস্ত অস্তিত্বের সম্মুখে তিনি আসিয়াছিলেন। আজও যেমন আসেন, মুহূর্তে মুহূর্তে। অনভিজ্ঞ অপ্রস্তুত প্রায়মানবের সম্মুখে অতর্কিতে আসিয়াছিলেন তিনি।

বজ্রপাতে জ্বলিয়া উঠিলো শুষ্কমৃত বৃক্ষ। অট্টহাস্যে আকাশ কাঁপাইয়া দিলো তীব্র রক্তরঙ অনল। লেলিহজিহ্বা পাবক আকাশ লেহন করিতে উঠলো। শুদ্ধশীল, আমরা অগ্রসর হইয়া গেলাম, অগণিত সময়খন্ডকে পার হইতে হইতে। উত্তপ্ত হলকা আমাদের ললাট নেত্র নাসা মুখ বাহু হৃদয় উদর জননেন্দ্রিয় উরু ও চরণ স্পর্শ করিয়া করিয়া থামিতে বলিলো, সহজাত ভয়ানুভূতি আমাদের পায়ে পায়ে বাধার মত জড়াইয়া যাইতে লাগিলো, কিন্তু আমরা তথাপি থামিলাম না।

অগণিত অতীত-আত্মা কর্ণচ্ছেদী অভিশাপে জর্জরিত করিতে লাগলো আমাদের শ্রবণাতীত শ্রবনেন্দ্রিয়, তথাপি আমরা থামিলাম না। ঐ পাবকশিখা হয় আমাদের দগ্ধ করিয়া দিক, নাহয় আমরা উহাকে লইয়া আসি আমাদের প্রাণের দক্ষিণ বাতায়ণে। অগণিত দৈত্যদানব বাধা দিলো, অসংখ্য আমরা মরিয়া মরিয়া ছাই হইয়া যাইতে লাগলাম। ভস্মসাৎ হইয়া যাইতে লাগিলাম । ফের জন্ম লইয়া অগ্রসর হইলাম। আমাদের হাতের শুদ্ধ বৃক্ষশাখায় তাকে আনিবোই আনিবোই আনিবোই আমরা।

সে আসিলো, দক্ষিণাগ্নি হইয়া জ্বলিয়া উঠিলো অগ্নিমন্দিরে, যজ্ঞস্থলীতে। আমরা সমিধ ও ঘৃত দ্বারা উপাসনা অব্যাহত রাখলাম। সে প্রদীপ হইয়া দূর করিয়া দিলো অন্ধকার, প্রথমে বাহিরের, ক্রমে ধীরে ধীরে অভ্যন্তরের।

কিন্তু শুদ্ধশীল, শেষ পর্যন্ত এ কোথায় আসিলাম? মঞ্জরিত বোধি দেখতে প্রার্থনা করিয়াছিলাম আমরা,আলোর তরু, পরম আলো। কী দেখিলাম? হে আলোর ঈশ্বর, এ কী দেখিলাম?

দিগন্ত হইতে দিগন্ত পর্যন্ত মহা বালুরাশি। মহাবিস্তৃত মরুভূ। এই মরুতে শ্বেতবালুকা। এই নির্জন মরুতেই আমাদের অগ্নিবৃক্ষ পাতাল ও গভীর অতল হইতে উত্থিত হইয়া সপ্তস্বর্গ লেহিতে জিহ্বা প্রসারিত করিল। রোষরক্তিম প্রলয়মেঘের ছত্রাককুন্ডলী দেখিয়া আমাদের চেতনা স্থবির হইয়া গেলো। অসহনীয় উত্তপে মরুবালুকা স্ফটিক হইয়া গেলো।

সুদূর অতীতের সেই প্রথমাগ্নির পবিত্রলগ্নে যে অন্ধকার জলীয় দানব আমাদের অগ্নিসম্মুখে ভয়হীন হইতে দেখিয়া অভিশাপ দিয়াছিলো, প্রচন্ড নিষ্ঠুর বাধা দিয়াছিলো, সে উচ্চন্ড হাসিতে হাসিতে সহসা কান্নায় শতধা হইয়া গেলো। মিহিন বৃষ্টি নামিলো আকাশ হইতে।

জ্বলিয়া উঠিলো প্রলয় অগ্নিবৃক্ষ বারে বারে, উত্তরে দক্ষিণে, পুবে পশ্চিমে। অসংখ্য সমুদ্রবেলা স্ফটিক হইয়া গেলো। অসংখ্য মরু অপেক্ষা করিতে লাগিলো স্ফটিক হইবে বলিয়া।

অনন্ত জীবনের ঝর্ণার রক্তিম উত্স আবিষ্কার করিতে চাহিয়াছিলো যে ধীবরী, তাহার পথ নির্দেশক নক্ষত্র শত টুকরায় ভাঙিয়া জলরাশির নিম্নে ডুবিয়া গেলো। অগ্নিবৃক্ষ থামিলো না, ক্রমশ আরো আরো সবুজ গ্রাস করিতে লাগিলো ক্ষুধার্ত ব্যয়ত আননে। বারে বারে তাহার নির্মম করোটীচিহ্নিত পতাকা জ্বলিয়া উঠিলো সাগরে ভূধরে দ্বীপে দ্বীপান্তরে।


শুদ্ধশীল, সুদূর কপোতকূট গিরিবাস হইতে কবে অসিবে সেই শ্বেতপক্ষী, ডানায় নতুন আলো লইয়া? আমাদের মুক্ত করিবে অন্তহীন মৃত্যু হইতে?

পর্বতারোহণে ক্লান্তি আমার দু'পায়ে জড়াইয়া যাইতেছে শৈবালের মতন। শুদ্ধশীল হাত বাড়াইয়া আমার হাতটি ধরিলেন। ঘন্টার শব্দ শান্ত হইয়া গিয়াছে, পর্বতে নতুন সূর্যের অলো ঝলমল করিতেছে। একটি অফুরান চুম্বনের মধ্যে মিলিয়া যাইতে যাইতে আমরা অনুভব করিলাম, অগ্নি, জল, মৃত্তিকা, শিলারাশি, অনিল ও ব্যোম, বিঘূর্নিত মথিত আলোড়িত হইতে হইতেও এক এক একই। অভ্যন্তরে সেই শুদ্ধ অগ্নির তাপ অনুভবই আমাদের শেষ সসংজ্ঞ স্মৃতি।

(শেষ)


মন্তব্য

তুলিরেখা এর ছবি

এই লেখাটা নিজের পাতায় সরিয়ে নিই?

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অভিজিৎ [অতিথি] এর ছবি

নেন।

তুলিরেখা এর ছবি

সরিয়ে নিলাম। ধন্যবাদ।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।