মুখ আঁটা খাম। উপরে ঠিকানা লেখা। হাতের লেখাটা চেনা। খুলি না খাম, হাতে নিয়ে চুপ করে বসে থাকি, খামের উপরে আলতো করে হাত বোলাই। পুরানো বন্ধুর চিঠি।
বন্ধু? একদিন খুব বন্ধুই তো ছিলো, প্রিয় বন্ধু! পাশাপাশি হেঁটে গেছি কত মাইল পথ! সে হাঁটা সাত পায়ের অনেক বেশী। সাত লক্ষ পা নাকি সাত কোটি পা নাকি তারও বেশী? কিজানি! তারপরেই কি ঝড় এসেছিলো? সেই ঝড়ে আর পাশে পেলাম না তাকে? আমাকে ঝড়ের আকাশের নিচে অন্ধকারে ফেলে সে কি পালালো তার আত্মরক্ষাগুহায়? তাই কি? মনে নেই, মনে নেই কিছু। মনে করতে চাই না। বিচার করার আমি কে?
খুলি না খাম, খুলবো না কোনোদিন। হয়তো ক্ষমা চেয়ে লিখেছে বা হয়তো আত্মপক্ষ সমর্থন করে কিছু বলেছে কিংবা হয়তো এসব কিছু না, অন্য কিছু লিখেছে। পড়বো না কোনোদিন। একদিন জীর্ণ হয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যাবে খামশুদ্ধ চিঠিটা। যাক। সবই তো জীর্ণ হয়ে যাবে একদিন। তারাবাজির ফুলকির মতন সবই তো নিভে যাবে একদিন।
বন্ধ খামটা নিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসি, জোনাকি ঝিলমিল গাছগুলোর দিকে চেয়ে থাকি। এই বারান্দায় কত ঝিলমিল গল্পসন্ধ্যা কেটেছিলো! আজ সেসব গতজন্মের কথা বলে মনে হয়। আকাশের সুপ্রাচীন ঐ তারারা আমার দিকে চেয়ে থাকে। মানুষের চোখের আয়নায় ওরা কি ওদের চেহারা দেখতে পায়? সে ছবি কি কাঁপে?
অচল ঘড়ির মত থমকে আছে সময়
স্পর্শে যে আনন্দবৈদ্যুতি ছিলো
জোনাকি ঝিকমিক্ সেই সন্ধ্যায়-
আজ কেন নেই সে বিদ্যুৎ ?
ছায়ার সঙ্গে ছায়া মিলে যায়,
জলে মিশে যায় জল-
আগুনে হারিয়ে যায় আগুন,
মহাশূন্যে মিশে গেছে নামহীন আকাঙ্ক্ষাসব
ধুয়েমুছে গেছে আমাদের স্মৃতি ও অহং-
তবু অনন্ত এ অশ্রুধারা কার?
নক্ষত্রের জন্মমৃত্যু পার হয়ে
অফুরাণ ভেসে আসতে থাকা
এ কোন্ অরূপ কান্না?
গৃহত্যাগী জ্যোৎস্নার টানে ঘর ভুলে
আজও নীবারার দিকে চলে যাত্রী,
পায়ে পায়ে রেখে যায় গাঢ় অভিমান-
ছলছল জলে নদী সবই ধুয়ে নেয়।
নীলাভ বিস্মৃতিজলে সুখদুখ-
চাওয়াপাওয়া সবই ভেসে যায়।
ঘড়িই অচল শুধু, সময় নির্বিকার বয়ে যায়।
মন্তব্য
লেখা নিয়ে কিছু নাই বা বললাম। শুধু জানবেন আমি আপনার লেখার ভীষণ ভক্ত।
আচ্ছা, নীবারা অর্থ কী?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নীবারা একটা নদীর নাম। মহাভারতে পেয়েছি। মোক্ষাভিলাষীরা এই নদীতে স্নান করেই সন্ন্যাসজীবনে প্রবেশ করতেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- জীবন হালায় বহমান, এর চেয়ে বড় কোনো সত্য নাই। বাদবাকি যা আছে সব 'হুদাই'!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাজমুল হুদা?
এই কথাখান দখল নিলাম- অবশ্যই কপিরাইট আপ্নের থাকবে।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ঠিকই বলেছেন। মহাসমুদ্রে টুকরো টুকরো কাঠের মতন ভেসে যায় জীব, মাঝে মাঝে কাছাকাছি এসে দেখা হয়, তারপরে আবার দূরে।
মহাসমুদ্রটাই শুধু সত্য, সে নির্বিকার ঢেউ তুলে ঝড় তুলে ঘূর্ণী তুলে আবার ঝড় থামিয়ে শান্ত হয়ে সোনার আলোর দিগন্ত সাজিয়ে নানাবিধ কান্ড করে চলেছে নিজের মতন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
গৃহত্যাগী জোছনা ।
খুবই ভয়াবহরকমের মনখারাপকরা দুটো শব্দ। খুব সংক্রামক।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ্যাঁ, গৃহত্যাগী জ্যোৎস্না বড় মারাত্মক। আকাশপৃথিবী ভরে দিয়ে এমন করে বাইরে টানে !
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই রে, আমি তো বন্ধ খাম পেলেই লাফ দিয়ে খুলে ফেলি
কবিতার মাঝখানের দুটা প্যারা খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ আনন্দী কল্যাণ।
আরে বন্ধ খাম কে না খোলে! এখানে খুলছে না বলেই তো সেটা গল্প হয়ে গেছে!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
না কাঁপা কি সম্ভব?? এতোই শক্ত সে অভিঘাত! হায়রে, 'বন্ধু' শব্দটার প্রতি আশৈশব দুর্বলতা - তারপরও কতো বন্ধুবিচ্ছেদ ......
তাই তো! কিছু কিছু জিনিস যে কেন এড়ানো যায় না! এত কাঁটা যে কেন!
আপনি আছেন কেমন? লেখাটেখা তো কিছু দেন না কত যুগ ধরে! কিছু লিখবেন প্লীজ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এর মানে যে কী কেজানে!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হুমানো 'হুদাই' আরকি।
লেখাটি সুন্দর।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ আশরাফ মাহমুদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এতো আমারও প্রশ্ন!
---- মনজুর এলাহী ----
এ প্রশ্নের জবাব কি কেউ জানে?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এখানেই থেকে গেলাম।
ধন্যবাদ অভিষেক।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অদ্ভুত সুন্দর লিখেন আপনি।
তবে এই লাইনটা কঠিন লেগেছে উপলব্ধিতে - "মানুষের চোখের আয়নায় ওরা কি ওদের চেহারা দেখতে পায়?"
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
হ্যাঁ," মানুষের চোখের আয়নায়...."এই লাইনটা একটু কঠিন ঠিকই। আমরা কতটুকুই বা জানি বলুন!
আমার সিগনেচারে জীবনানন্দের কবিতার লাইনেও এই কথাই দেখতে পাবেন। এর আগের লাইন গুলো আরো অদ্ভুত ছিলো- "পৃথিবী চায় নি যারে/ মানুষ করেছে যারে ভয়/ অনেক গভীর রাতে তারায় তারায়/ মুখ ঢাকে তবুও সে-"
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন