৫
ঝড়ের রাতের সেই ভয়ংকর অবস্থার পরে ল্যাব কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ সংযোগ আসতেই লেগে গেলো বহু ঘন্টা! পরদিন সিকিউরিটি অত্যন্ত কড়া, ক্লিনিকে গিবানের শুশ্রুষা চলছে, সেই রাতে ও অজ্ঞান হয়ে ছিলো প্রায় পাঁচ ঘন্টা, যদিও বাইরে থেকে তেমন আঘাত কিছু বোঝা যায় নি, কিন্তু ওর ইন্টার্ন্যাল হেমারেজ হয়েছিলো।
ওর একটি গাড়ী নিপাত্তা, সঙ্গে সেই গাড়ীতে যেসব জিনিস ছিলো যেমন লাইসেন্স, আইডি ইত্যাদি, সবই নিপাত্তা। সিকিউরিটি টীম সবরকম চেষ্টা করছে খুঁজে পাওয়ার, সবরকম কন্ট্যাক্ট কাজে লাগিয়ে। কিন্তু সবচেয়ে মুশকিল হলো,এত কাছে অন্যদেশের বর্ডার, মরুভূমির কিছু অংশ পেরিয়ে যদি গাড়ীচোর অন্যদেশে চলে যায়, সেখানকার পুলিশকে অ্যালার্ট করতে সময়ের প্রয়োজন,ততক্ষণে সে নাম্বার টাম্বার বদলে ফেলবে নিশ্চিন্তে।
গাড়ীটির চেয়ে অনেক বেশী চিন্তার কারণ হলো ক্লোনের দেহের কোনো হদিশ মেলেনি। জারটি পড়ে আছে ভাঙা, কাত হয়ে পড়া, সমস্ত তরল ঘর জুড়ে ছড়ানো, বৃষ্টিতে খানিক ধুয়ে যাওয়া, কিন্তু ক্লোন মানুষটি কোথায় সেই সম্পর্কে কারুর বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। কোনোরকম হাতের ছাপ বা পায়ের ছাপও কোথাও নেই, এত বৃষ্টিতে তা থাকার কথাও নয় অবশ্য।
এই ক্লোন রিসার্চারদের জানা আছে যে ক্লোনের বেরিয়ে আসার সময় হয়ে গেছিলো। গবেষকদের মধ্যে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন গিবানের ক্লোনই তার গাড়ী নিয়ে চলে গেছে। তার স্মৃতি তো আসলে এই গিবানের স্মৃতির প্রতিলিপিমাত্র! সেতো জানেনা যে সে আলাদা ব্যক্তিত্ব!
ক্লিনিকে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে নানা তার আর নল এখানে ওখানে জোড়া অবস্থায় ঘুমিয়ে আছে গিবান, ওর জ্ঞান ফেরানোর পরে সিডেটিভ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। ঘরটিতে সব সময়ের জন্য দুজন স্পেশালাইজড নার্স রয়েছেন। তাছাড়া ডাক্তাররা তো সবসময় অ্যালার্ট!
ডক্টর বারিষ পেরিটান, এই ক্লোন তৈরীর টীমের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী, ভদ্রলোক এই বিপর্যয়ে খুবই মুষড়ে পড়েছেন। গিবান ওঁকে পিতৃতুল্য মনে করতো। এখন এই কাজ শেষের মুখে, আড়াই বছরের পরিশ্রমের সফল্যের মুখে একি অভাবনীয় কান্ড ঘটে গেলো?
ক্লিনিকেই অপেক্ষা করছেন ডক্টর পেরিটান, প্রতি ঘন্টায় খোঁজ নিচ্ছেন গিবানের অবস্থার, ও ভালো হয়ে উঠে বসলে কি করেই বা তিনি ওকে সব বলবেন, এই ভেবে ধূসর হয়ে যাচ্ছেন।
ভেনা, ডক্টর প্রসাদের সেক্রেটারি, এসে বললো, " স্যর,আপনি সেই সকাল থেকে এখানে বসে আছেন। এবারে চলুন। আপনার নিজেরও তো বিশ্রামের প্রয়োজন। শুধু শুধু টেনশন করে কোনো লাভ হবে কি?"
ডক্টর পেরিটান তবু চুপ করে চেয়ে থাকেন ভেনার দিকে, ওঠেন না সোফা থেকে, কি করবেন কিছু বুঝতে পারছেন না। ভেনা ওঁর হাত ধরে তোলে,বাইরে নিয়ে যেতে যেতে বলে,"একটু সময় দিন, দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। শুধু শুধু টেনশন করে নিজেকে অসুস্থ করে ফেলবেন না।"
সম্মতিসূচকভাবে মাথা নাড়তে নাড়তে বাধ্য ছেলের মতন ভেনার সঙ্গে চলতে থাকেন ড: পেরিটান। যদিও তিনি একটুও যেতে চাইছিলেন না দূরে। নিজের কোয়ার্টারে পৌঁছে ডক্টর পেরিটান বৈঠকখানার সোফাতে এমনভাবে এলিয়ে পড়লেন যে ভেনা পৌঁছে দিয়েই চলে যেতে পারলো না। রান্নাঘরে গিয়ে কফি আর টোস্ট তৈরী করে নিয়ে এলো ডক্টর পেরিটানের জন্য। ধন্যবাদ দিয়ে খেতে শুরু করলেন পেরিটান, এতক্ষণে তিনি বুঝতে পেরেছেন কতটা ক্ষুধার্ত ছিলেন।
খাওয়ার মাঝপথে লিঙ্কে কুলুকুলু। প্রফেসর মার্ডক, আরেকজন বিজ্ঞানী এই টীমে, তিনি কথা বললেন খানিকক্ষণ ডক্টর পেরিটানের সঙ্গে। প্রধানত টেনশন কম রাখার কথাই, খানিক সান্ত্বনাবাক্য ইত্যাদি, ডক্টর পেরিটান কথা বলে বেশ কিছুটা হাল্কা হলেন।
ড: পেরিটানকে লাঞ্চ রান্না দিয়ে করে ভালো করে ঠিক ঠাক সব ঢাকাচাপা দিয়ে ওনাকে ঠিক একটার সময় সব খেয়ে নিতে বলে তারপরে বাড়ী গেলো ভেনা। দৈহিক ও মানসিক ভাবে খুব ক্লান্ত থাকায় ড: পেরিটান শোবার ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন অল্পক্ষণের মধ্যেই।
ভেনার সঙ্গে থাকে ওর বয়ফ্রেন্ড রাউল, সেও এই প্রোজেক্টে আছে। সে এখান কার একজন ফিনানশিয়াল অ্যানালিস্ট। এই আইডিয়ালিস্ট স্বপ্নদর্শী দলের মধ্যে যারা কিছুটা অন্তত প্র্যাকটিকাল তাদের মধ্যে রাউল একজন।
ভেনা ফিরতেই কাজের টেবিলে ডেটাশিটে চোখ বোলাতে ব্যস্ত রাউলের জিজ্ঞাসু চোখ ওকে ছুঁয়ে যায়, কিন্তু কিছু বলে না। ভেনা ক্লান্ত হাসে, কৈফিয়ত দেয়, সত্যি কথাই বলে, প্রৌঢ় ড: পেরিটানের সঙ্গে এদের দুজনের স্নেহের সম্পর্ক।
রাউল হেসে অস্ফুটে একটা রসালো ইয়ার্কি করে, কিন্তু ভেনা শুনতে পেয়ে যায়, রাগ করে একটু বকে রাউলকে। কিন্তু রাউল তাড়াতাড়ি মাফ চায়, বলে," সরি সরি। ভেনা, তুমি রান্না করবে এখন? আমি সাহায্য করতে পারি।"
সে উঠে পড়ে চেয়ার থেকে, বলে," কী রাঁধবে? কালকে অতক্ষণ পাওয়ার ছিলো না বলে ফ্রীজের খাবার সব গেছে নষ্ট হয়ে, সব ফেলে দিয়েছি। "
"বেশ করেছ।" সংক্ষেপে বলে আনাজ ছুরি কাটিংবোর্ড এসব বার করতে থাকে ভেনা।
রাউল করুণ মুখে বলে," সরি ভেনা। তুমি রাগ করে আছো নাকি?"
আনাজ কুটতে কুটতে ভেনা বলে,"না। যাও না লেন্টিল ধুয়ে আনো না, হীটার অন করে বসাও না। কোনো কাজের না, খালি কথা, খালি কথা।"
রাউল ডাল ধুয়ে বসিয়ে দেয় হীটারে। ভেনার আনাজ কোটা শেষ, কি তাড়াতাড়ি পিস পিস করে কুটে ফেলেছে সব আলু, গাজর, ক্যাপসিকাম, টোমাটো, বরবটি, সাদা বেগুন, বেগুনী বেগুন---- এতদিন দেখেও আজও রাউলের খুব অবাক লাগে। মেয়েরা খত তাড়াতাড়ি না কাজ করতে পারে এইসব। রাউলের ঘন্টাখানেক লাগতো।
কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা আর কারিপাতা ফোড়ন দিয়ে ভেনা বলে, "শোনো চারটে ডিম বার করো। আজকে আর বেশী ঝামেলা করলাম না, এই তরকারিপাতি ভাজা ভাজা করে ডিমদিয়ে ভেজে মশলা টশলা দিয়ে বেশ যা হবে সেটাই করে ফেলবো। দেখো, খেতে ভালোই লাগবে।"
রাউল অতি দ্রুত ভেনার কানের পাশে ঠোঁট ছুঁইয়ে দৌড়ে চলে যায় ডিম আনতে, ভেনা রেগে গিয়ে বলে,"অসভ্য!!!" পুরো লাল হয়ে যায় ওর উনুনতাপে অল্প লাল হওয়া মুখ।
রান্না শেষ করে সব গুছিয়ে জায়গা ধুয়েমুছে তবে ভেনা স্নানে ঢুকলো। খুব গোছানো আর চৌকস গিন্নী টাইপের মেয়ে ভেনা। রাউলের খুব ইনফিরিয়র লাগে মাঝে মাঝে ওর দ্রুত অথচ ছন্দময় কাজ দেখে।
রাউলের স্নান হয়ে গেছিলো আগেই, সে প্লেটে রুটি বাটিতে ডাল সাজিয়ে রেডি করে টেবিল। দু'জনে খেতে বসে অনেক গল্পটল্প হলো ওদের, বহুদিন বাদে এইরকম ছুটি। এদের দেখে মনেই হচ্ছিলো না কিছু অস্বাভাবিক ঘটে গেছে মাত্র আগের রাতে।
দু'জনের লিঙ্কেই বেশ কিছু কল এলো, সবই এখানের বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকেই, শুধু একবার রাউলের ফোনে একজন বাইরের,ওকে উঠে দূরে গিয়ে কথা বলতে হলো।
ভেনার ব্যাপারটা অদ্ভুত, ও জানে রাউল একটা গন্ডগোলে জড়াচ্ছে, অথচ ওকে টেনে বার করার আশা ছাড়তে পারে না। খুব আস্তে আস্তে চিবোতে চিবোতে ও রাউলের সমস্ত আচরণগুলির স্মৃতি মনের মধ্যে তোলাপড়া করে, বেচারা প্রথম দিকে কী সাংঘাতিক ছটফট করতো! তখন ও চাইছিলো না ঐভাবে অন্তর্ঘাতে সায় দিতে, একসময় সেই ছটফটানি কমে গেলো, ও রাজী হয়ে গেলো।
ভেনার কষ্ট হতো ওর মুখ দেখে তখন, একজন মানুষ আরেকজন হয়ে যাচ্ছে, দেখতে একইরকম, একই দেহ,অথচ হৃদয় বন্দী শিকারীর জালে, আগের মানুষটি দীর্ঘ ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছে, নতুন ক্রুর নিষ্ঠুর দানব জেগে উঠছে, যে আগের সুস্থ মানুষটির নকল করে অভিনয় করে যাচ্ছে।
ভেনা জানে একদিন ঘুমিয়ে পড়া সত্তা জেগে উঠে লড়াই শুরু করবে, ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে দুই সত্তাই, একজন জিতবে অন্যজন মরে যাবে। সেদিন যদি মানুষটি জেতে ভেনা হাত ধরে থাকবে তার, প্রাণ দিয়ে শুশ্রুষা করে সারিয়ে দেবে সব ক্ষত।
আর যদি দানব জেতে? শিউরে ওঠে ভেনা, তাহলে কী করবে তাও জানে ভেনা, হয়তো খুব কঠিন, কিন্তু উপায় নেই, তাই নির্দেশ দেওয়া আছে ওকে। সেই দানবসত্তার রাউলকে হত্যা করে ওকে চলে যেতে হবে মেইন স্টেশানে, সেখানে ওকে ডিসম্যান্টল করে ফেলা হবে। ভেনা মানুষ নয়, হিউম্যানয়েড রোবট, অথচ রাউল বুঝতে পারেনি কোনোদিন।
(চলবে)
মন্তব্য
ভাই ভাল লাগল
পরের পর্বের প্রত্যাশায় থাকলাম।
ভালো থাকুন।
শেখ আমিনুল ইসলাম
ধন্যবাদ ভাই।
পরের পর্ব আসছে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
বাহ্ নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- ভেনার ব্যাপারে শেষে এসে ধাক্কাই খেলাম একটু!
একটা জিনিষ বুঝলাম না, মরুভূমির মধ্যে এই ল্যাবের গাড়ি চোরের আইডিয়া আসে কেনো? লোকজন গণনা করলেই তো বের হয়ে যায় যে ক্লোন গিবানই গাড়ি নিয়ে চলে গেছে। আর সেক্ষেত্রে গিবান কোন জায়গায় যেতে পারে, সেটা হিসেব করলেই ক্লোন গিবানের হদিস মিলে যায়।
ড্যান ব্রাউনের ডিজিটাল ফোর্ট্রেস-এও এমন একটা জটিলতা দেখেছি। শেষের দিকে আণবিক সংখ্যার একটা সোজা হিসাব নিয়ে অতো জ্ঞানী-গুণী মানুষের হুদাই পেরেশান হয়ে যাওয়া।
তবে, গল্পটা কিন্তু ভালোই লাগছে। কাঁচাছোলা মার্কা মন্তব্যে কিছু মনে করবেন না যেনো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দু'খানা দেশ যে! লোক গুনবে কাদের? মানে দু'পাশে দু'খানা দেশ! গিবান যেখান থেকে এলো আর যেখানে এসে ওরিয়ানার সাথে মিললো, দুটো আলাদা দেশ! মাঝে মরুভূমিতে ছড়ানো ছিটানো ট্র্যাডিশনাল ট্রাইবাল রিজার্ভেশন টাইপের জিনিস! ক্লোন গিবানের কাছে আসল গিবানের আইডি পাসপোর্ট সবকিছু! আর মনে মনেও তো সে আসল গিবান! ব্যাপার গুরুচরণ!
আর লোকগণনা যে কী প্যাঁচের জিনিস তা প্রতিটি সংখ্যাতাত্ত্বিক জানেন।
বড় বড় দেশে অনেক লোক গণনার লিস্টের বাইরে থাকে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। প্রত্যেকবারেই এরকম গঠনমূলক কমেন্ট দেবেন, হ্যাঁ ?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার লেখার ধরণ এমনই যে ভালো না লেগে উপায় থাকে না, মন ছুঁয়ে গেলো প্রতিবারের মতই।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
ধন্যবাদ মণিকা।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এতো দৌড়ের উপর থাকি, সচলে ঠিক মতো সবার লেখা পড়া হয়না। ওনেকগুলো লেখা দেখি বেরিয়ে গেছে আপনার। যাক এই সিরিজ টা ভালো লাগ্লো, বাকীগুলো পড়ে তারপর বল্বো।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ বর্ষা।
শীঘ্রই আসিতেছে নতুন পর্ব।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন