৯
ওর আস্তে আস্তে চেতনা ফিরে এলো, মাথার একপাশে ভোঁতা একটা ব্যথা শুধু। ও কাত হয়, রাস্তার ঢালু ধার বেয়ে গড়াতে গড়াতে এসে ও পড়ে আছে একটা গুল্মঝাড়ের পায়ের কাছে। ওর গাড়ীটা পাথরে ধাক্কা খেয়ে কিছুটা কাত হয়ে আছে, সামনেটা তুবড়েছে খানিকটা।
ও সেসব দেখতে পেলো না নিচের থেকে, উঠে বসতে গেলো, কিন্তু পারলো না, মাথা ঘুরে ফের পড়ে গেলো। এইবারে চিৎ হয়ে শুয়ে হাতপা ছড়িয়ে উপরের দিকে তাকাতেই সমস্ত ব্যথাবেদনা যেন উধাও হয়ে গেলো। আকাশ জুড়ে এত তারা, যেন ঠাসাঠেসি হয়ে আছে! বড়ো বড়ো উজল তারাদের পিছনে অপেক্ষাকৃত অনুজ্জ্বল তারাদের ভীড়, তারও পরে তারাচূর্ণের মতন ছড়িয়ে আছে আলোর আভা। কী অদ্ভুত! ঐ মহাবিশ্ব, ঐ বিশালতা, ঐ আলো অন্ধকার! হাল্কা ক্ষুদ্র সাদা রেশমী রুমালের মতন গ্যালাক্সির প্রলেপ দেখা যায়, অ্যান্ড্রোমিডা! মনে পড়ছে! চারিদিকে কী বিরাট খোলা নির্জন মরু! কী কোমল রাত্রিবাতাস! কোথাও কোনো শব্দ নেই দিগন্ত থেকে দিগন্তে!
তারার আলোয় চোখ চেয়ে থাকতে থাকতে ঘুমপাড়ানি গানের মতন একটা সুর ভেসে এলো, না কানে নয়, মনের মধ্যে। কোথায় সে শুনেছিলো এই আশ্চর্য বিষন্ন সুর? চোখ বুজে আসে ওর, মনে পড়ে একটা ক্ষেত, সবুজ চারাগুলো জলের মধ্যে, লকলক করে নাচছে বর্ষার বাতাসে, মস্ত বড়ো একটা গোল চাঁদের হলুদ আলো ছড়িয়ে আছে স্বপ্নের আলোর মতন, এক কোঁচকানো বাদামী চামড়ার বুড়ীমানুষ ওকে কোলে নিয়ে বারান্দায় হাঁটতে হাঁটতে ঐ গান গাইছেন, শব্দগুলো স্পস্ট হচ্ছে না, শুধু একটা টানা সুরের কাঁপা কাঁপা কিছু তরঙ্গ ...
একবার জোর দখিন বাতাসে উড়ে আসা শব্দের মতন মুহূর্তজন্য শোনা গেলো, " আয় রে খোকন ফিরে আয় / খোকন গেছে কাদের না'য় " তারপরেই ফের শুধু হাওয়ায় কাঁপা সুরতরঙ্গ, কথা নেই আর। কোন্ গান এটা? কবে কোথায় শুনেছিলো ও? নাকি কোথাও শোনে নি, শুধুই কল্পনা?
ওর কিছুই মনে পড়ে না, চোখ মেলে দেখে আকাশে জ্বলে উঠলো একটা তারা, ফস করে মিলিয়ে গেলো তারপরে। ওটাকে বলে উল্কা, মিটিয়র। সে জানে। আবার সেই আয় রে খোকন গানের অনতিস্পষ্ট একটা লাইন, আবার নতুন একটা গানের "খোকা নামে পাখিটি কোন্ বনেতে থাকে " বলে একটা কী যেন কথা আসতে গিয়েও হারিয়ে গেলো। নেশাচ্ছন্নের মতন ঘুমিয়ে পড়লো ও, ঢালের উপরে এলিয়ে রইলো ওর মাথা, জখম হওয়া হাতে কাঁধে কনুইয়ের কাছে আর হাঁটুতে রক্তচিহ্ন ছিলো। কিন্তু সাংঘাতিক কিছু নয়, রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেছিলো।
ওর ঘুমন্ত মুখে ঊষার আলো পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো, এবারে ও উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করে সফল হলো, আস্তে আস্তে পা ফেলে ফেলে ও এগোচ্ছিলো। ঐ দূরের সবুজ সবুজ ওগুলো কী? ক্যাকটাস ঝাড়? নাকি কোনো বাগান নাকি ক্ষেত? কোনো গা?ঁ বাদামী পাহাড়টি আগে কোথাও দেখেছে কি সে? খুব জলতেষ্টা,আহ, জল কোথায় পাবে? হয়তো ঐ বাদামী পাহাড়ের কাছে ...
এইরকম একটা অতি ভোরের হাল্কা একটা ছবি একঝলকের জন্য ভেসে উঠলো মনের মধ্যে,সেদিনও সে ঐ দিকেই যাচ্ছিলো, ক্লান্ত ছিলো কিন্তু ব্যথা ছিলো না এত, সে কবে? মনে পড়ে না, সে হাঁটতে থাকে অল্প খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে, আহ, কী জলতেষ্টা! সবুজগুলো আরো স্পষ্ট হচ্ছে, আকাশে এখন অনেক বেশী আলো। পুবের দিকে লাল, সেখান থেকে লাল একটা গোলার মতন সূর্য উঠবে, সে জানে।
কুয়োটা দেখা গেলো, চারপাশে গোল করে পাথর দিয়ে ঘেরা, কাছে গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলো কাকচক্ষু জল, অনেক নীচে। ঐ তো পাথরটা, তার পাশে গিয়ে বসে পড়বে ও। কে যেন আসবে, কার যেন আসার কথা?
মনে পড়ে না, ক্লান্ত ও চুপ করে বসে দেখে পায়ের কাটা থেকে নতুন করে রক্ত বেরুচ্ছে। ও ট্রাউজারের পাশের পকেটে হাত ঢোকায়, কতগুলো টিসুপেপার উঠে আসে, তার একটা নিয়ে চাপা দেয় রক্তবেরুনো ক্ষতটায়। আস্তে আস্তে এলিয়ে শুয়ে পড়ে, আবার ঘুম আসছে। সঙ্গে স্বপ্ন। স্বপ্নের মধ্যে নীল চাঁদ একটা।
জলের ঝাপটা লাগে ওর মুখে, ঠান্ডা লাগে সেই জলের ছোঁয়া, চোখ মেলে দেখে ঝুঁকে আছে একটি মেয়ে,খয়েরী রঙের খাটো স্কার্ট আর সবুজ রঙের আঁটো পুরোহাতা ব্লাউজ পরা, মাথায় একটা রুমাল বাঁকা করে বাঁধা। মেয়েটা দু'হাতের অঞ্জলিতে জল নিয়ে ওর চোখেমুখে দিচ্ছিলো। ওকে চোখ মেলতে দেখে মেয়েটা হাসে, কী যেন বলে। মেয়েটার চোখের তারা দু'খানা গভীর কালো, হাসিটা এমন সুন্দর যেন ভোরের আলোর মতন ছড়িয়ে পড়ছে ঠোঁটে গালে চোখে কপালে, ঝলমল করছে চোখ দুটো। আগে ও কোথায় যেন একবার দেখেছিলো একে! কোথায়? কবে? কিছুই মনে পড়ে না।
আস্তে আস্তে ওঠে ও, অজ্ঞান হয়ে গেছিলো? মেয়েটা চোখেমুখে জল দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনলো? মেয়েটার হাতে কলসীভরা জল, সে দিকে ইংগিত করে জল খেতে চায় ও। মেয়েটা জল দেয়, ও জল খায়। আগে এরকম কবে যেন হয়েছিলো?
ওর কাঁধের আর হাতের শুকিয়ে যাওয়া রক্তচিহ্নের দিকে নির্দেশ করে কী যেন জিজ্ঞেস করে মেয়েটা,ও বুঝতে পারে না। সম্ভবত জখমগুলো কেমন করে হলো বা জখম সাংঘাতিক কিনা জানতে চাইছে। কিভাবে উত্তর দেবে বুঝতে না পেরে ও নিজের ভাষাতেই বলে,"কেটে গেছিলো। কেটে গেছিলো। এখন রক্ত বন্ধ হয়ে গেছে।"
মেয়েটা ওর হাত ধরে টেনে তোলার মতন ভঙ্গী করে কি যেন বলে, অন্য হাত দিয়ে দূরে গাঁয়ের ক্ষেতি আর বাড়ীগুলোর দিকে দেখায়। কী করতে বলছে? ওর সঙ্গে যেতে বলছে?
ও হাসার চেষ্টা করে মাথা কাত করে বলে, জিগেস করে," তোমার সঙ্গে যেতে বলছো?"
মেয়েটা হুড়হুড় করে কীসব বলে হাসে, তারপরেই অল্প চিন্তিত হয়ে আবার কীযেন জিজ্ঞেস করে। হাঁটার ভঙ্গী করে দেখায়, তারপরে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে থাকে। হয়তো জানতে চাইছে হাঁটতে পারবে কিনা এত জখম নিয়ে।
ও উঠে দাঁড়ায় আস্তে আস্তে সাবধানে। হাসে, বলে," পারবো হাঁটতে। চলো তোমার বাড়ীতে নিয়ে চলো। খুব খিদে পেয়েছে, বাড়ীতে নিয়ে খেতে দেবে তো?"
মেয়েটা ঝকঝকে হাসে,কলসী টলসী বাঁ কাখে নিয়ে অসংকোচে ডান হাতে ওর বাঁ হাতখানা ধরে, আসতে হাসতে হুড় হুড় করে কত্তকিছু বলতে বলতে চলতে থাকে ওর বাড়ীর দিকে।
মরুভূমির মাঝখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জল-উত্স ঘিরে গড়ে ওঠা জনপদ, শক্ত কন্টকগুল্মের ঝাড়, খেজুরকুঞ্জ, জোয়ার বাজরা রাগি ফসলের সবুজ ক্ষেত, মরুর ফলবাগান, তাকে ঘিরে কোথাও কোথাও পাথরের বেড়া,পাথরের পাশে পাথর সাজিয়ে একটা সীমানা দেখানো আরকি আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরে কুটির। এই নিয়েই ক্ষুদ্র জনপদখানি বাদামী পাহাড়ের কোল ঘেঁষে।
মেয়েটা ওর হাত ধরে নিজের ঘরের দিকে নিয়ে যায়, বিশ্লথ পায়ে স্বপ্নগতের মতন চলে ও। কিন্তু ওর ভালো লাগছিলো। ক্লান্তি, পথদুর্ঘটনাজনিত বেদনা, স্মৃতিহীনতার অস্বস্তি সত্বেও ওর ভালো লাগছিলো এই হৃদয়বতী মরুকন্যার সঙ্গে চলতে। মনে হচ্ছিলো কোথায় কেমন করে যেন এই অল্পচেনা মেয়েটির সঙ্গে জীবনের সুতো জড়িয়ে আছে ওর।
পাথুরে বেড়ায় ঘেরা একটুকরো সব্জিবাগানের মাঝে ছোট্টো কুটিরখানি, পাথরের বেড়া আর শুকনো খড়পাতা ছাউনি, আনততলের মতন ছাউনি, সুন্দর লাগে দেখতে। সামনের একটা ছোট্টো পরিপাটী দাওয়া ।সেখানে চাটাই বিছিয়ে ওকে বসতে দিলো মেয়েটা, কালো পাথরের মসৃণ থালায় এনে দিলো একরকম খাবার, পাথরের গেলাসে এনে দিলো জল।
তারপরে পাশে বসে ওর দিকে চেয়ে হেসে কী যেন বললো, হয়তো ওকে খেতে বলছে। ও কী করবে ভেবে পেলো না। মেয়েটা আকারে ইঙ্গিতে বোঝাবার চেষ্টা করছে যে ওকে এসব খেতে হবে, জল খেতে হবে।ও ইতস্তত করে,ওর খেতে ইচ্ছে করছে না এখন, যদিও খিদে আছে। এতটা হেঁটে পায়ের হাতের জখমের জায়গাগুলো নতুন করে বেশী ব্যথা করছে।
হয়তো মেয়েটা কিছু অনুমান করলো ওর ম্রিয়মান মুখ দেখে, হঠাৎ উঠে দৌড়ে গিয়ে নিয়ে এলো কিছু ভেষজ, একপাত্র জল আর কিছু পরিষ্কার কাপড়। ওর আহত জায়গাগুলো জলেভেজা কাপড়ে ভালো করে মুছে মুছে ভেষজ দাঁতে চিবিয়ে থেঁতো করে দিয়ে দিতে লাগলো ক্ষতগুলোতে। পরিষ্কার শুকনো কাপড়ের খন্ড দিয়ে বেঁধেও দিতে লাগলো।
অতি ভালো ওষুধ, দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমার আর সঙ্গে আরামের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়তে লাগলো ওর মস্তিষ্কে। ও চুপ করে গ্রহণ করলো পরিচর্যা, হয়ে গেলে নত হয়ে থ্যাংকস দিলো মেয়েটিকে। মেয়েটা হাসছিলো, উজল চোখ মেলে ওর দিকে তাকিয়ে কি যেন জিজ্ঞেস করলো, ও কিছু বুঝলো না। মেয়েটা হাল ছাড়লো না, নিজের হাত নিজের হৃৎপিন্ডের উপরে নিয়ে বললো " তিহা তিহা তিহা",তারপরে জিজ্ঞাসু চোখ মেলে নিজের ভাষায় জানতে চাইলো,"তুমি? তুমি? তুমি?"
ওর আরামে ঘুম চলে আসছিলো, কী নাম ছিলো ওর? মনে পড়ে না, মনে পড়ে না। মিষ্টি খাবারের খন্ড তিহা ওর মুখে তুলে দিতে দিতে হেসে নিজের ভাষায় বললো, "আমি তোমার নাম দিলাম তিশান। তিশান, তিশান, তিশান।"
ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছিলো ওর, ও হাসলো, কী সুন্দর নাম,তিশান!!!!
পুরানো স্মৃতির কী দরকার, এইখানে, এই মরুজনপদে, এই মরুকন্যা তিহার ঘরে নবজন্ম হয়েছে তিশানের। একটা বহুকালরুদ্ধ শান্তির নি:শ্বাস ফেলে তিশান চোখ বন্ধ করে। তলিয়ে যায় নিশ্চিন্ত নিরুপদ্রব নিদ্রায়।
(চলবে)
মন্তব্য
লেখার গাঁথুনি খুব ভালো লেগেছে। বিষয়বস্তু চমতকার। অনেক ধন্যবাদ।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
ধন্যবাদ শেখ নজরুল।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সব্বোনাশ! আমি কদিন আসিনি? প্রিয় লেখকের লেখাগুলো জমে গেছে যে অনেক। আমি নাহয় পিছন থেকে আসি।
মধুবন্তী
প্রিয় লেখক ? কন কি আপনে?
ভালো থাকবেন, অনেক ধন্যবাদ। সবগুলো পড়া হলে বলবেন কিন্তু কাহিনি কেমন হচ্ছে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার এই সিরিজটা বেশ ভাল লাগছে।
পড়ার সময় মনে হয় একটা স্বপ্নের শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
যেকোনো গল্প তো আসলে একধরনের স্বপ্নই! নয় কি?
আপনার ভালো লাগছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
উদ্ধৃতিঃ
'কী কোমল রাত্রিবাতাস! কোথাও কোনো শব্দ নেই দিগন্ত থেকে দিগন্তে!'
খুব সুন্দর গাঁথুনিতে গল্পটি এগোচ্ছে। আমার খুব ভাল লাগছে পড়তে। পরের পর্বের প্রত্যাশায় থাকলাম।
ভাল থাকবেন ভাই তলিরেখা।
শেখ আমিনুল ইসলাম
আপনার ভালো লাগছে জেনে খুবই পুলকিত হলাম। পরের পর্ব আসবে শীঘ্রই।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- ক্লোনিং-এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া? যে কারণে সে আস্তে আস্তে ভুলে যাচ্ছে সবকিছু! তিশানের বর্ণনা শুনে তো ক্লোন-গিবানকেই মনে হলো।
এই অধ্যায়টা কেমন একটু ছাড়া ছাড়া লাগলো। অধ্যায়টা নিজেই একটা আলাদা গল্প হয়ে গেলো যেনো! বলছিলাম, মূল কাহিনী থেকে ছাড়া ছাড়া লাগার কথা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গাড়ী উলটে গিয়ে সে বাইরে ছিটকে পড়ে। মাথায় আঘাত লেগেছিলো তো! তাই ভুলে যাচ্ছে! এ ভুলে যাওয়া তার শাপে বর হয়েছে।
পরে আরো কাহিনি আইলে আর ছাড়া ছাড়া লাগবে না, মনে হবে দু'খানা পথ ভাগ হয়ে গিয়ে সমান্তরালে চলছে।
ভালো থাকবেন। কচিকলাপাতা পোশাক পরা কানে পান্নার দুল পরা কপালে সবুজ টিপ পরা(টিপের মাঝখানে সোনালি চিকমিক) সেই তারে পাইলেন জোনাকির রঙ ঝিলমিল সন্ধ্যায় যখন সব পাখি ঘরে ফেরে সব নদী ঘুমায় ?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন