এই পথ পাকদন্ডীর মত, ঘুরতে ঘুরতে পাহাড়কে বেড় দিয়ে চূড়ার দিকে উঠছে। সেখানে কী আছে? সেই গল্পের মিনার, সেই অলৌকিক জ্যোৎস্নাপক্ষী, লৌকিক গল্পে যার জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা উত্তাল হয়ে উঠেছে? জানি না।
ঘুর ঘুর ঘূরণপথে চলতে চলতে কুয়াশা সরে গিয়ে চমকে ওঠে গুচ্ছ গুচ্ছ গাঢ় কমলা ফুল! সেই ফুল ছোঁয়ার আর্তি আঙুলের ডগায় নিয়ে বাতাস মাখা। কবে যেন এমন ফুলেদের দেখেছিলাম? সে কি কোনো শরতে নাকি বসন্তে? মনের কথাগুলো কি গুণগুণি পাখি হয়ে যায়, ছটরফটর করতে করতে পাখা ঝাপটে আকাশে পাড়ি দেয়? "পাগল বসন্তদিন এসেছিলো আমার আঙিনায় ....." সে কেমন পাগল? যে পাগল কেবল পাগল করে বেড়ায়?
ক্লান্তি জড়িয়ে ধরে নরম আদরে। চিকরিচিকরি পাতাওয়ালা গাছটার ছায়ায় বসি। ঐ একটু দূরের ঝর্ণাটা এখানে এক উচ্ছল কিশোরী নদী হয়েছে, পাথরে পাথরে খুশি খুশি ফেনা মাখিয়ে মাখিয়ে খেলতে খেলতে এগিয়ে যাচ্ছে নিচের মাঠের দিকে। শত শত মাইল পার হয়ে ও কি সমুদ্রে পৌঁছাতে পেরেছিলো? নাকি মাঝপথেই কোনো আশ্চর্য নীলনদ তাকে বুকে টেনে নিয়ে বিলুপ্ত করে দিয়েছিলো গভীর একাকারতায়? নাকি কোনো মরুভূমি শুষে নিয়েছিলো ওর সুধা? কেজানে! কিন্তু সব নদীই আসলে সাগরে পৌঁছায় ঠিকই। জলের সাগর বা আকাশের অদেখা সাগর! নইলে নতুন হবে কিকরে সে? আমার এই ব্যবহৃত জীর্ণ জীবনও যেমন একদিন মরণতীর্থে পৌঁছাবে।
নাহ, আর বিশ্রামে কাজ নেই, উঠে দাঁড়াই, ধুলাবালি কুটোকাটা ঝেড়ে ফেলি পোশাক থেকে। উপরে তাকাতেই রোদ্দুরের এক টুকরো সোনালী বাতাসা এসে পড়ে চিবুকে। চিরল-চিরল পাতাগুলোর ফাঁক দিয়ে সূর্য বলছে টুকি টুকি টুকি!
রুমী হাসছে, বলছে, " হয়ে গেল বিশ্রাম? চল তবে আবার রওনা হই।"
আমার গলায় আগ্রহ, "রুমী, কী আছে ওখানে?"
রুমীর চোখে দুষ্টু হাসির একটা ঝিলিক খেলে যায়, জবাব না দিয়ে সে গান শুরু করে, " কী ঈ ঈ আছে পথের শেষে"।
রাগ করে একটা ধাক্কা দেবার জন্য হাত তুলি, হাত শুধু ছুঁয়ে যায় একমুঠো বাতাস। আস্তে আস্তে আলগা মুঠো থেকে উড়ে যায় চিরকুটটা! রুমীর লেখা প্রথম চিঠি, কত বছর আগের সেই বসন্তোৎসবের সন্ধ্যা-উড়ে গেল সেই সব আকাশ রাঙানো পলাশ শিমূল অমলতাস, মনকেমনিয়া হাওয়ায় ভেসে আসা কুহু কুহু, সেই লাল সবুজ গোলাপী নীল আবীর, উড়ছে উড়ছে ঐ তো আমাদের কৈশোর উড়ে গেল চিরকুটের ডানায়। এ চিরকুটের কথা জানতো শুধু দু'টি মানুষ, আজ জানলো বাতাস, আকাশ, বনের ছায়াসবুজ।
রুমীর গানের গলা চমৎকার ছিলো, সে ছবিও আঁকতো খুব সুন্দর। কিন্তু ওর বাবামা তাকে চালচুলোহীন গায়ক বা ভবঘুরে চিত্রশিল্পী হিসাবে দেখতে চাইলো না। রুমী ও অভিমান করে ছেড়ে দিলো সব। ছবি আঁকা, গান গাওয়া, এমনকি কবিতা পড়াও। কারিগরী বিদ্যা শিখতে যখন সে গেল দেশের অন্য প্রান্তে তখন তার পরিবারের সবার খুশি আর গর্ব দ্যাখে কে! ছেলে পড়েশুনে পাশ করে বড় চাকরি করবে, টাকাপয়সায় থৈ থৈ করবে তার দুনিয়া।
আরো একপাক ঘুরে গেছি এখন। রুমীর সঙ্গে তাল রাখতে পারি না। এরা এত তাড়াতাড়ি হাঁটে কেমন করে আর কেনই বা? আরেকটু আস্তেধীরে চললে কী এমন মহাশাস্ত্র অশুদ্ধ হয়? হাওয়া এখন হালকা, রোদ আরেকটু কড়া। আকাশ আরো নীল লাগে। হাতের মুঠো আলগা করে বাতাসে ভাসাই ওর দ্বিতীয় আর শেষ চিঠিটা। দূরের শহর থেকে লিখেছিলো আমাকে, অনেক কায়দা করে ওর বোনকে লেখা চিঠির খামের মধ্যে আরেকটা ছোটো খামে ভরে দিয়েছিলো। ওর বোন আমাকে লুকিয়ে এনে দিয়েছিলো চিঠিটা। চিঠির সমস্তটা জুড়ে বন্দী পাখির ডানা ঝাপটানি। সেই চিঠি কানের কাছে নিয়ে চুপটি শুয়ে শুয়ে সেই ডানার আর্তি শুনেছিলাম সারারাত। আমার আর কী করার ছিলো? কিছু কী করতে পারতাম? আজ এতদিন পরে সেই পাখি খাঁচা খুলে উড়ে গেল।
পৌঁছে গেছি চূড়ায়, একদিকে ভয় ধরানো খাদ, অনেক নিচে চিকচিক করে নদীটা। কিন্তু উপরে শুধু নীল, নীল, আরো নীল। অপরাজিতার মত নীল। আকাশ ছড়ায়ে গেছে কোথায় আকাশে....পালকের মতন সাদা মেঘেরা ভাসে ঐ নীল সমুদ্রে। আহ, কী সুন্দর!
রুমী, রুমীঈঈঈই, আমি বুঝতে পেরেছি, আমি দেখতে পেয়েছি সেই ম্যাজিক দরজাটা। খুলে যাচ্ছে, খুলে যাচ্ছে দরজাটা। পালকের মতন হালকা লাগছে। চিঠি দু'খানা পেলি তুই? ও দুটোর মতন এবার আমিও ......
***
মন্তব্য
"ক্লান্ত আমি, শ্রান্ত আমি.. আমায় একটু একা থাকতে দাও/
আমার আকাশ, আমার করে একটু এবার দেখতে দাও/
মানুষ আমি, আমারো তো ইচ্ছে করে মন ভেজাতে/
তোমরা অনেক দ্রুত হাঁটো.. ক্লান্ত লাগে তাল মেলাতে"
অঞ্জনের এই গানটা মনে পড়ে গেলো...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর।
এখানে এইধরনের যেসব লিখি যেমন "জ্যোৎস্নাপৃথিবী" বা এই "বিজন পথের গল্প"-এগুলো নিয়ে আমার একটু দ্বিধা আছে। এগুলোকে কি গল্প বলা যায়? আপনার কী মনে হয়? নাকি খুব অসম্পূর্ণ লাগে? অনেক কথা না বলা রয়ে গেল বলে মনে হয় কি?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আমার তো গল্পই মনে হলো। গল্পের নামটা খুব সুন্দর। আমি হলে দিতাম "রুমীর ডাক" সাহিত্য মনে হয় একেই বলে।
আপনার লেখার স্টাইলটা জোস্, ভাল ভোকাবুলারি না থাকলে এমন করে লেখা অনেক কষ্ট
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
আমিও প্রথমে রুমীকথা নাম দেবো ঠিক করেছিলাম। কিন্তু সেই বিখ্যাত মরমীয়া কবির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে যদি কনফিউশন হয় তাই অন্য নাম দিলাম।:-)
পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ওরে বাবা, এইটুকুনি মানুষ.. অতো কি আর বুঝি?
তুলিদি; আমার ভাল্লাগে আপনার ভাষার কারুকাজ.. (আসলে হিংসে লাগে)
অসম্পূর্ণ মনে হয় না কখনোই, হয়তো খানিকটে অতৃপ্তি কাজ করে.. আরেকটু বড় হলে বেশ হতো, এরকম আর কি!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এইটুকুনি মানুষ বুঝি?
আমি ভেবেছিলাম মস্তবড়ো মানুষ! মানুষ কী চেহারায় বয়সে সম্পদে বিদ্যায়বুদ্ধিতে বড় হয় গো মেয়ে?সে বড় হয় হৃদয়ের বিশালতায়।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অবশ্যই গল্প বলা যায় এবং খুব ভালো গল্প বলা যায়। ভালো লাগে আপনার লেখা।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমৎকার লাগলো।
একটা ছোট্ট কৌতুহল ! আপনার 'ঊষাসন্ততি'(আরো বড় কলেবরে) কি কিছুদিন আগে একটি সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে? খুব ভালো লেগেছে। লেখিকার নাম নিয়ে একটু দ্বিধা থাকায় জানতে চাইলাম। (সংশয়ে আছি প্রশ্নটা করে আপনাকে বিরক্ত করলাম কি না ! তেমন হলে ক্ষমাপ্রার্থী।)
ধন্যবাদ বইখাতা।
আর আপনার প্রশ্নের জবাবে বলি, না না বিরক্ত কেন হবো? হ্যাঁ গল্প বের হয়েছে শুনেছি যে বন্ধুরা দেখেছেন তারা বললেন। সে সাময়িকী থেকে ওঁরা আমাকে ক'মাস আগে জানিয়েছিলেন বের হবে, কবে হবে তা বলেন নি, আমার কাছে এখনো সে পত্রিকা পৌঁছায় নি।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কোন পত্রিকা বলতে আশা করি আপত্তি নেই?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
না না আপত্তি কীসের?
এই তো বইখাতা, আপনের কি আপত্তি আছে?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঠিকাছে- সোজাসাপ্টা কোয়েশ্চেন-
পত্রিকা/সাময়িকীর নাম কি?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
সেতো বইখাতা জানে।
আমার সাক্ষ্য তো হীয়ারসে! আপনি না আইন পড়েন?
----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
না, আমি আইনের এক্কেবারে দক্ষিনমেরুর কিছু একটা পড়ি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
তুলিরেখাপু রাগ করবেন কিনা জানিনা, আমি একজন উৎসুক পাঠককে লেখার খবর দিতে চাই! 'ঊষাসন্ততি' পড়েছি 'দেশ' পত্রিকায়, ১৭ ফেব্রুয়ারী সংখ্যায় (তারিখটা ঠিক নাও হতে পারে তবে ফেব্রুয়ারীতেই)। চমৎকার গল্প।আপনিও পড়ে ফেলুন !
না না রাগ করবো কেন?
বেশ একটা অ্যাড ও হয়ে গেল!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আচ্ছা! ধন্যবাদ আপনাকে।
এক স্লাইস কেক। মন ভরলো।
এক স্লাইস কেক! বা:
পাঠাইয়া দেন ফেডেক্সে!
পরেরবার একডজন সামোসা পাঠাইয়েন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার বিজন পথের গল্প ভালো লাগলো
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মুস্তাফিজ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার লেখার ভক্ত সেই কবে থেকে । যে ভাষা আয়ত্বে নিয়ে বসে আছেন;___ ঈর্ষা হয় , জানেন ! ভালো লাগলো এটাও।
হুম, ইদানীং দেখি, আপনার গল্পগুলো আরো বিস্তার আশা করে ।
আর ও হ্যাঁ, এর চেয়ে ভালো শিরোনাম কি হতে পারতো ? এমন যার হাতের জাদু, তাঁর লেখার শিরোনাম `রুমিকথা`র মতো সরল রেখার যাত্রা হতে যাবে কেন !! শিরোনামের মাধ্যমে পাঠককে ``ইহা হইলো তাহা`` বলে দেবার দিন বাংলা সাহিত্য মনে হয় অনেক আগেই ফেলে এসেছে ।
ভালো থাকুন ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুমন সুপান্থ,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার ভাষায় যে যাদু সে যাদু আমার কলমে থাকলে আমি ধন্য হতাম।
আর ইদানীং এই ধরনের টুকরো গল্প লেখার চেষ্টা করছি, কণিকাগল্প। এক টুকরো আয়নার মধ্যে দেখা ছবি তুলে দেওয়া, বাকীটুকু পাঠক কল্পনা করে নেবেন। "জ্যোৎস্নাপৃথিবী" ও ওরকম কণিকাগল্প। তারপরে সব কণিকা একসাথে করে একদিন হয়তো একটা মালা হবে।
আর নামের ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন একদম ঠিক। আসলে নামেই যদি সব বলেই দেওয়া হলো তাহলে পাঠকের কল্পনার জায়গা রইলো কোথায়?
ভালো থাকবেন কবি, আপনার যাদুভাষায় আমাদের মোহিত করে নিয়ে যাবেন সেই ম্যাজিকদেশে যেখানে পাথরমাটির সংসারের দুঃখবিষাদ, আশাহত হওয়া আর কঠিন সংঘাতগুলি নেই।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন