• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আকাশি রঙের বৃষ্টি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০২/০৪/২০১০ - ১১:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্ধ্যার আকাশ ভরে তারারা জেগে উঠছে। নির্জন দ্বীপের বাতিঘরে আলো জ্বলছে। আশমানি জলের ধারের পাথরে বসে আছে চুপ করে। সমুদ্রের ধারে কি প্রবল হাওয়া! ঐ যে দূরে জলদিগন্ত, পশ্চিমের সেই জলরেখার উপরে আকাশ, সেখানে আশ্চর্য রঙীন সূর্যাস্তের রেশ রয়ে গেছে এখনো।

দিনের আলো যতক্ষণ ছিলো আশমানি কথা বলেছে অনেক। ঝিনুক কুড়িয়ে কুড়িয়ে রেখেছে রুমালে জড়িয়ে। এখন সে চুপ, পাথরের উপরে বসে আছে একেবারে পাথরটারই মতন স্তব্ধ।

হিন্দোল কাছে এসে কিছুটা উদ্বিঘ্ন গলায় বলে, "তোমার হঠাৎ কী হলো আশমানি? একদম চুপ হয়ে গেলে যে! "

খুব মৃদুগলায় আপনমনে কথা বলার মতন গুণগুণ করে আশমানি, " সময় আমাদের ঘিরে রাখে মৃদু বৃষ্টির মতন/ অশেষ সময়, সুখদুখমন্থন সময়/ মেঘপালকের ঘরের মতন উড়ে যায় জীবন----"

হিন্দোল বলে, "কতদিন তোমার আবৃত্তি শুনি নি। তুমি কী অসাধারণ আবৃত্তি করতে!"

আশমানি মনে করতে চেষ্টা করে কার লেখা লাইন গুলো! মনে পড়ে, পড়ে, পড়ে না। মনে পড়ে ছাদের উপরে স্নিগ্ধ ঠান্ডা রাত, অনেক বছর আগের একটা রাত, ঘুমেলা চোখে এসে লাগছিলো তারাদের বিস্ময়, কতকাল হয়ে গেলো! সেই একই তারারা আজো আকাশে, অথচ পুরানো হয় না, একই প্রথমদিনের ঝিমঝিম শিরশিরানি চারিয়ে যায় চোখের ভিতর দিয়ে আরো ঘন গহণে।

"বাণী নাহি তবু কানে কানে/কী যে শুনি----" কে গাইতো? আশমানির গলায় সুর ছিলো না, ওকে গেয়ে শোনাতো মিমি। আজ কোথায় সে? কোথাও নেই, কোথাও না। এই বিরাট পৃথিবীর কোনো কোণেই আর তাকে খুঁজে পাবে না আশমানি। অথচ কী অদ্ভুত! সে স্পষ্ট শুনছে মিমি গাইছে, ওর সুরেলা কিশোরী কন্ঠ ছড়িয়ে পড়ছে ওই মেঘপালকের ঘর পর্যন্ত- " আকাশ জুড়ে শুনিনু ঐ বাজে/ তোমারি নাম সকল তারার মাঝে/ সে নামখানি নেমে এলো ভুঁয়ে/ কখন আমার ললাট গেলো ছুঁয়ে---"

আশমানি আস্তে আস্তে বলে, "হিন্দোল, জানো ক্লাস নাইনে পড়ার সময় সময় আমরা স্কুল থেকে গেলাম দীঘা। সেখান থেকে সবাই ফিরে এলাম, শুধু ফিরলো না মিমি। ওর ভালো নাম ছিলো সায়ন্তনী। সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে ডুবে গেল, সমুদ্র তার জীবনটুকু শুষে নিয়ে দেহটা ফিরিয়ে দিলো। "

সমব্যথীর মতন হিন্দোল আশমানির হাত ধরে চুপ করে থাকে, কোনো কোনো মুহূর্ত আসে যখন নৈ:শব্দকে শব্দের চেয়ে অনেক বেশী দরকার হয়। কতক্ষণ তারা চুপ করে বসে ছিলো হাতে হাত রেখে তা বুঝি জানে শুধু সমুদ্রের হাওয়া, ফিসফিস করে হাওয়া কানে কানে কী সব বলে যায় তারা অনবরত। আকাশের তারারা নির্বিকার, এমন হাসিকান্না আসা যাওয়া হারানো পাওয়া কত দেখেছে ওরা, কতকাল ধরে দেখছে! মানুষের কত আনন্দবেদনার ইতিহাসের পাশ দিয়ে নিজের মতন করে চলে গেছে তাদের অপলক আলো।

আশমানি বলে, " জানো হিন্দোল, সূর্যের চিঠি পেলাম কাল। সে বিয়ে করতে চলেছে। আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। হিন্দোল, ঠিক মানুষকে আমরা চিনতে পারি না কেন? আমরা কেন ভুল মানুষকে ভালোবাসি আর সে ভুলের খেসারত দিতে দিতে জীবনটাই কেটে যায় ? "

হিন্দোলের হাতটা শক্ত করে চাপ দেয় আশমানির হাতে, স্পর্শের বৈদ্যুতি ভাষায় সাহস দিতে চায়, সান্ত্বনা দিতে চায়। আরো কিছু বলতে চায় কিনা কেজানে! আরো একটা ভুলের জালে জড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করে না আশমানির। তার চেয়ে এই তো সে বেশ ভালো আছে, ঝাড়া হাতপা। বিদেশে বিভুঁইয়ে চেনাজানা মানুষদের হাজারো প্রশ্ন থেকে অনেক দূরে-

তবু কেন এত সূচালো বেদনা বুকের মধ্যেটায়? কেন সব বলে দিয়ে হালকা হতে ইচ্ছে করে? না, শক্ত হতে হবে, শক্ত হতে হবে। প্রাণপণে নিজেকে সামলাতে চেষ্টা করে আশমানি। সেই তারা-ফুটফুট রাত, সেই কচি গলার একলা কান্না---সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে প্রতিহত করে আশমানি। নিষ্পলক দৃষ্টি মেলে সে চেয়ে থাকে সামনে, অন্তহীন ঢেউ আসে যায়, কত নির্বিকার! তবু কেন তাকে ফুলে ফুলে ওঠা অশ্রু বলে মনে হচ্ছে আজ আশমানির?

আশমানি উঠে পড়ে, পোশাক থেকে বালি ঝাড়তে ঝাড়তে বলে," চলো, কাছের কোনো মোটেলে উঠি, এত রাতে এতটা লম্বা ড্রাইভ করে না ফিরে কালকে সকালে ফিরবো না হয়। "

হিন্দোল বলে, " চলো। "

সমুদ্রতীর থেকে ক্লান্ত পায়ে পাথুরে পার্কিং লটের দিকে ফিরছে তারা, সমুদ্রের হাওয়া একইভাবে মুখেচুলে সবল ঝাপটা লাগিয়ে যাচ্ছে, বাতিঘরের আলো ঘুরছে, আলোছায়ার খেলা ঐ জলে, এই ডাঙায়।

গাড়ীর কাছে এসে আশমানি বলে, "হিন্দোল, উপমার সঙ্গে কি যোগাযোগ আছে তোমার? জানো সে কেমন আছে? "

"দু'বছর আগে উপমা মারা গেছে। বাচ্চা হতে গিয়ে। কিসব নাকি জটিলতা ছিলো অপারেশানে। বাচ্চাটা বেঁচেছে, মেয়ে। উপমার স্বামী আবার বিয়ে করেছে গতবছর।"

হিন্দোলের গলা সাংবাদিকের মতন, হেলদোলহীন। যেন একটা সাধারণ খবর দিচ্ছে। আশমানির গলার কাছটায় কী যেন একটা আটকে গেছে, সে কথা বলতে চেষ্টা করেও পারছে না। শুধু হিন্দোলের হাতখানা শক্ত করে চেপে ধরলো।

মোটেলটা কাছেই ছিলো, ব্রীজ পার হয়ে দ্বীপ থেকে মূল ভূখন্ডে ঢোকার পরেই খানিক এগিয়ে সুন্দর মোটেল। তারা চেক ইন করলো রাতের জন্য। দুই বেডের ঘর। ছিমছাম সাজানো। টিভিটা অন করে সোফায় বসলো হিন্দোল।

কফির সরঞ্জাম ঘরেই থাকে, দু'কাপ বানিয়ে পেপার কাপে ঢাললো আশমানি। হিন্দোল দুধচিনি ছাড়া কালো কফি খায়, আশমানি অবশ্য নিজের কফিতে চিনি দুধ মেশায়। কফি খেতে খেতে টিভিতে পিরামিড দেখছিলো ওরা। ডকুমেন্টারি।

খুব ঘুম পায়, দু'চোখের পাতা জড়িয়ে আসে, সোফা থেকে কোনোরকমে বিছানায় এসে বালিশে মাথা ঢেলে দেয় আশমানি। একসময় শরীর আচ্ছন্ন করে ঘুম নেমে আসে।

চারিদিকে জল, ছলছল জল। এই দ্বীপ খুব ছোটো। যেকোনো দিকে একটুখানি গেলেই নীল সমুদ্র। অথৈ সমুদ্র। বেগুনি ফুলেভরা সবুজ লতাজড়ানো নারিকেলকান্ডে ঠেস দিয়ে বসে থাকে সে। তার কী যেন একটা করার ছিলো, কিছুতেই মনে পড়ে না। কী তার নাম সেও মনে নেই। সে কোথা থেকে এলো এখানে সেও সে জানে না।

এখানে সে খুব একলা, তার কেউ নেই, কিছু জিনিসপত্রও নেই। লাগেও তো না কিছু , জিনিসপত্র থেকেই বা কী লাভ হোতো? কুয়াশা কুয়াশা স্মৃতিবিস্মৃতি আছে শুধু। সাদা ধূসর কালো নীল লাল সব টুকরো টুকরো আকারহীন স্মৃতি। মাঝে মাঝে খুব ঠান্ডা লাগে তার, একটা নরম ওমের কথা মনে পড়ে, কার যেন কোলের মধ্যে সে ছিলো, সেখানে মনোরম উষ্ণতা ছিলো।

একটা খুব শীত শীত দুপুর ছিলো, আকাশে পাক খাওয়া চিল ছিলো। ছাদে মাদুর বিছিয়ে বসে ছিলো কারা জানি দু'জন। মুখ দুখানা মনে পড়ে না, বাষ্পে গড়া মুখের মতন মিলিয়ে যায়। আরো একদিন--সেবারে সন্ধ্যা ছিলো, ছলছলে জ্যোৎস্না ছলছলে জ্যোৎস্না--

কারুর মুখে যেন খুব গভীর বিষাদ ছিলো, জলভরা মেঘের মতন জমাট বিষাদ। কার যেন টলটল করে নড়ছিলো ঠোঁটজোড়া, কিন্তু কথা ফুটছিলো না। কে সে? মনে পড়ে না।

একটা দুপুরবেলার ঝিল ছিলো, সেখানে টুপ করে একটা ঢিল পড়েছিলো, জলবৃত্ত ছড়িয়ে যাচ্ছিলো, ছড়িয়ে যাচ্ছিলো, হারিয়ে যাচ্ছিলো হারিয়ে যাচ্ছিলো--

একটা অসংখ্য ঘুড়িওড়া আকাশ ছিলো, সে যেন কী একটা উৎসবের দিন, সবাই সেদিন ঘুড়ি ওড়ায়, কী উৎসব সেটা? তার মনে পড়ে না।

দূর থেকে কে যেন ডাকছিলো, রুণা-আ-আ-আ, কার নাম সেটা? কাকে ডাকছিলো? কে ডাকছিলো? সেটা কি তারই নাম?

আনমনে সে লতায় হাত রাখে, ভাবে কী যেন একটা করার ছিলো! মনে পড়ে না কেন? সে ভাবে কী নাম না খুঁজে নিজেই নিজেকে একটা নাম দিয়ে দিলে কেমন হয়? মনে হতেই উঠে দাঁড়ায় সে, চলতে থাকে, জলরেখার একদম কাছে এসে থামে। হেসে ওঠে অকারণে।

দূরে আকাশ যেখানে নত হয়ে পড়েছে জলে, সেইখান থেকে বেরিয়ে আসে লাল সূর্য, লাল হৃৎপিন্ডের মত, স্পন্দিত আলো ছড়িয়ে পড়ে চরাচরে। প্রথম মানবীর মতন একলা মেয়েটি আবার হেসে ওঠে, আবরণমুক্ত হয়ে এগিয়ে যায় জলের দিকে, অবগাহণপ্রত্যাশায়।

ওর খোলা চুলের ঢালে জড়িয়ে যায় সাদা ফেনা, চিকচিক করে ওঠে ভোরের আলো। স্নান করতে করতে সে হাসছে, তার কিচ্ছু মনে নেই সে কে, অথচ মনে আছে আকাশ, জল, সূর্য, আগুন, মাটি, বালি, ঝিনুক। দু'হাতের মুঠায় নোনাপানি নিয়ে আকাশের দিকে ছুঁড়ে দেয় সে। তার ঠোঁট নড়ে, সে সম্বোধন করে আকাশকে, বাতাসকে, জলকে, আলোকে। একটা চমৎকার নীল মেঘ উড়ে আসে তার মাথার উপরে, টুপটাপ ঝরতে শুরু করে আকাশি রঙের বৃষ্টি।

ঘুম ভাঙে আশমানির, এখন স্নিগ্ধ শান্তি। এই স্বপ্ন তার চেনা, অনেকবার দেখেছে সে। এইটা তার খুব অন্যরকম, সুন্দর একটা স্বপ্ন। একটা হালকা পালকের মতন স্বপ্ন, একটা অলৌকিক মুক্তির স্বাদ। স্বপ্নের ভিতরের মেয়েটাকে কখনো মনে হয় খুব চেনা, আবার কখনো একদম অচেনা। কখনো মেয়েটা সে নিজেই, আবার কখনো বা তার হারিয়ে যাওয়া প্রিয়মুখ।

ভোর হয়ে গেছে, পুবের জানালার পর্দা সরিয়ে দাঁড়ায় আশমানি। টলটলে জলের ভিতর দিয়ে দেখে উঠে আসছে লাল সূর্য, মেঘগুলো সব কমলা। হিন্দোল গভীর ঘুমে, ওর ঘুমন্ত মুখটা শিশুর মতন, মায়ায় ভরে যায় আশমানির বুকের ভিতরটা। বহুদিনের শুখা জমিনের উপরে সেখানে তখন নেমেছে বৃষ্টি, আকাশি রঙের বৃষ্টি, ঠিক সেই স্বপ্নটার মতন।

*****


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

"কোনো কোনো মুহূর্ত আসে যখন নৈ:শব্দকে শব্দের চেয়ে অনেক বেশী দরকার হয়"

অসাধারণ !! :-)

খুউব ইচ্ছা ছিল গুড রেটিং ৫ দেবার । কিন্তু আফসোস !! আমার মত 'অতিথি লেখক'-দের রেটিং দেবার কোন ব্যবস্থা 'সচলায়তন'-এ রাখা হয় নি :-(

মুক্ত বিহঙ্গ

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ।
রেটিং নিয়ে ভাববেন না, আপনার ভালো লেগেছে এটাই তো পুরস্কার!
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সংসপ্তক এর ছবি

বর্ণনায় সেন্ট মার্টিন্সের কথা মনে পড়ে গেলো।
.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

তুলিরেখা এর ছবি

আমারও সমুদ্রের তীরের বর্ণনা পড়লেই চেনা সমুদ্রতীর ঝাউবন বালি সমুদ্রপাখি ঝিনুক লালকাঁকড়া মনে পড়তে থাকে। :-)
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কারুবাসনা এর ছবি

গুড।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।


----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।

তুলিরেখা এর ছবি

থ্যাঙ্ক ইউ কারু। :-)
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আপনার লেখায় কোথায় যেন নিজেকে খুঁজে পাই।
তাই বার বার ফিরে আসি।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অনিন্দিতা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

orko13 এর ছবি

অদ্ভুত ভালো লাগলো,তুলে রাখা স্মৃতির ঘর থেকে ঘুরে আসা হলো...:)
ধন্যবাদ।।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অর্ক।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

তিথীডোর এর ছবি

"যেখানে সমস্ত রাত্রি নক্ষত্রের আলো পড়ে ঝরে,
গান গায় যেখানে সাগর তার জলের উল্লাসে,
একদিন হয়তো কে জানে
তুমি আর আমি..
ঠান্ডা ফেনা ঝিনুকের মত চুপি থামি
সেইখানে..
তোমারে পাবো কি আমি কোনদিন? নক্ষত্রের তলে
অনেক চলার পথ, সমুদ্রের জলে!!"

(হাসি) অদ্ভুত সুন্দর তুলিদি!

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
অপূর্ব কবিতা! এই কবি এক যাদুকর!
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

meye এর ছবি

সে ভুলের খেসারত দিতে দিতে জীবনটাই কেটে যায় ?

আপামণি এইটা দামী কথা :)
লেখা ভালো লাগলো।

মেয়ে

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
মানুষের জীবন এমন করে ঠিকেভুলে জড়ানো যে মাঝে মাঝে বোঝাই যায় না কোন্‌টা কী।
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

বইখাতা এর ছবি

খুব সুন্দর ! সত্যি বলতে কি, আপনি যেভাবে দৃশ্যবণর্না করেন, ঠিক সেভাবেই আমি করতে চাই, কিন্তু আমারটা হয়না।

তুলিরেখা এর ছবি

বিনয় হচ্ছে? আপনার লেখা চমৎকার!
বর্ণনা টর্নণা নিয়ে ভাববেন না, নিজের মতন ঝরঝরিয়ে লিখে যান, দেখবেন খুব ভালো হয়েছে।
ভালো থাকবেন, লেখা চালিয়ে যাবেন।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

তুলিরেখা, আপনার এই লেখাটা অসম্ভব ভালো লাগা দিলো।
ভালো থাকবেন।
মধুবন্তী

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মধুবন্তী মেঘ। আপনাদের ভালোলাগাটুকুই সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার।
ভালো থাকবেন।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মজার ব্যাপার দেখেন, আমি আশমানিকে বারবার পড়ছিলাম আশামণি! :)

এখন যে আর দেশ বিদেশের উপকথা লিখছেন না! বড় ভালো পাইতাম সিরিজটাকে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তুলিরেখা এর ছবি

আশমানিকে আশামণি? বলেন কী???? :-?
খুবই জটিল সিম্পটম। :-?
দেশবিদেশের উপকথা আবার আসবে, রহু ধৈর্যং। :-)

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হরফ এর ছবি

তুলিরেখা, লগালাম আপনার লেখায় ফিডব্যাক ফিডব্যাক দেবো বলে:-) ভাল লাগল, কিন্তু মন খারাপ হয়ে গেল বেজায়। কেন?আচ্ছা কতগুলো খোলা গল্প পড়ে আছে আপনার বলুন দেখি? একপা একপা করে এগোন না ওগুলো। প্লীজ, অনুরোধ রইল।

__________________________
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

তুলিরেখা এর ছবি

আহা কী করি ভাই, গল্পেরা নিজেরা না এগোতে চাইলে আর কী করা! ঠেলাধাক্কা দিয়ে তো আর তাদের নড়ানো যায় না। :-?
ভালো থাকবেন, পড়েছেন বলে অনেক ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।