চল্টা ওঠা এখানে সেখানে তোবড়ানো থালাটা দু'হাতে ধরে দাঁড়িয়ে আছে মৈত্রেয়। কত নিশ্চন্দ্রা অমানিশা এসেছে চলে গেছে, কত শুক্লা তৃতীয়ার বাঁকা হাসি পরা আকাশ এসেছে, চলে গেছে। সে দাঁড়িয়ে আছে অতন্দ্র, ভিক্ষাপাত্রটি দু'হাতে ধরে।
কী পড়বে সে থালায়? সুধা না গরল? হাসি না কান্না? ছিন্ন ছিন্ন রহস্যঋকগুলি নাকি পূর্ণাবয়ব সঞ্জীবনীমন্ত্র ? জানে না মৈত্রেয়। সে শুধু দাঁড়িয়ে থাকে, স্থির ধৈর্যে। কোথায় অশ্বত্থ কোথায় নৈরঞ্জনা কোথায় উরুবিল্ব কোথায় সুজাতা কোথায় নালক, কোথায় মৃগদাব---- সে জানে না। কী সে প্রার্থনা করে? জল না আগুন? সৃষ্টিমুখী নীহারিকা নাকি ভয়ঙ্কর নক্ষত্রবিস্ফোরণ? জীবন না মৃত্যু, কোন্টা অমৃত?
সে জানে না, সে শুধু দাঁড়িয়ে থাকে তার উন্মুখ ভিক্ষাপাত্র আকাশের নিচে মেলে ধরে। স্বাতীজল কি সত্যি ঝরে পড়ে কখনো? সে জানে না। কখনো কি চিত্রা থেকে নেমে আসে সেই মেঘমানুষ, যে বলে, তোমরা সুখী হও, শান্তি পাও, তোমাদের সব যুদ্ধের আগুন নিভে যাক নির্বাণজলে? সে জানে না।
রাতের গল্পগুলো আলোতে অল্প হলো,
স্বল্পসঞ্চয়ে ধরেছে ঘুণ-
এবারে জল্পনা, সেও তো অল্প না
কল্পতরু জুড়ে কী গুণগুণ!
না বুঝে পথে নামা ফাগুণ তালকানা,
রণে ও বনে লাগে লাল আগুন-
কোথায় ঘর ছিলো কোথায় ছিলো পর
কোথায় পান ছিলো কোথায় চুন!
নিপথ জঙ্গলে অফলা দিন চলে
কখনো জল ঝরে কখনো খুন,
পাথরডাঙা জুড়ে লোহার ছিটেবেড়া
সাঁঝের করবী তবু ভরেছে তূণ!
অশেষ গল্পগুলো ঘূর্ণিজলের মতন ঘুরছে তার চারপাশে, অজস্র রঙ ঝলমল করছে স্রোতে। কবে সে পেয়েছিলো সপ্তপর্ণ ফুলের সেই নেশানেশা গন্ধ? কবে একটা মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুরের ভিতর দিয়ে সে আসছিলো দীর্ঘ বালিপথ ঠেলে? কবে এক আশ্চর্য বিকালে তার বুকের ভিতর প্রথম অচেনা শিহরণ শিরশির করে উঠেছিলো? সেদিনের সন্ধ্যাতারার দিকে চেয়ে কী মনে হয়েছিলো তার?
কিছু মনে পড়ে না ভালো করে, তবে পড়বে, পড়বে। এ থালা উপচে পড়বে ভিক্ষায়, সব হারানো স্মৃতি, ভুলে যাওয়া ভালোবাসা, সব হারানো সব পাওয়া সব জীবন সব মরণ----- বহু বহু জীবন বহু বহু মরণ---
মন্তব্য
_________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার লেখার হাত সত্যিই ঈর্ষণীয়... ভাল থাকুন..
______________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
বর্ণ অনুচ্ছেদ, থ্যাঙ্কস।
আপনিও ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নিপথ জঙ্গলে অফলা দিন চলে
কখনো জল ঝরে কখনো খুন...
সুন্দর!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ সুলতানা শিমূল।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাল লাগা জানাই!
______________
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
লেখাগুলো পড়তে পড়তে কেমন এক ভালোলাগায় ছেয়ে যায় মন...
লেখগুলো তাই পড়ে যাই তুলিদি...
শুভকামনা
---------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো,
গৃহী হয়ে কে কবে কী পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধন্যবাদ মউ।
আমি কিন্তু আপনার লেখাগুলোর অপেক্ষায় থাকি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সেইই পুরোনো কথা....
আপনার লেখা সবসময়ই ভাল্লাগে!!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শুনে ভালো লাগলো তিথীডোর।
ভালো থাকবেন।
---------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সুধা/গরল হাসি/কান্না জল/আগুন জীবন/মৃত্যু অমৃত/গরলের মাঝামাঝি কিছু নেই? ঝুলন্ত সময়ে মূক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাকে কী বলা যায়?
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ত্রিশঙ্কু।
তবে শেষে একটা কিছু সেটলমেন্ট ঠিকই হয়ে যায় আরকি, ঝুলে থাকা ত্রিশঙ্কু এসকালেট করে উপরে চলে গিয়ে উর্বশীমেনকারম্ভার গান শোনে নাচ দেখে, এদিকে বশিষ্ঠ টশিষ্ট বিশ্বামিত্র টিত্র সবাই খুশ। মোগাম্বো খুশ ।
শুধু রয়ে যায় অর্ধেক হয়ে থমকে যাওয়া সেই অন্য স্বর্গ, হলে তা কেমন হতো কেউ জানে না।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার লেখায় এত মায়া...! প্রতিবারই পড়ে অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে-গুছিয়ে বলা হয় না। আজও গুছিয়ে বলা হলো না!
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
মণিকা,
আপনার ভালো লাগে শুনে ভালো লাগলো। আপনার মন্তব্য থেকে শক্তি পাই।
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনার দৃশ্যনির্মাণ আর শব্দযোজনায় হাজারো প্রণাম। শুধু মনে হয়েছে মাঝখানে ওই পংক্তিমালা না থাকলে বোধহয় আরো সুশোভন আর সাবলীল হতো, চিত্রকল্প ফুটে উঠতো সহস্রদল হয়ে।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ধন্যবাদ মহাস্থবির। আজকাল আপনার নামমিতার জাতক পড়ছি, জানেন?
আসলে কবিতা পংক্তিগুলো মিসম্যাচ হয়ে গেছে, দেবার ইচ্ছে ছিলো অন্যকিছু।
সে যাই হোক, ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একবার খালি হয়ে যাওয় থালা কি আর উপচে পড়ে কোনোদিন একই ভিক্ষায়?
০২
আপনার এই কথনকাব্যগুলোর আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য আছে। সম্ভবত কবিতা থেকে একটুখানি বাস্তব আর গদ্য থেকে একটুখানি ঘোরলাগা...
০৩
রূপকথা সিরিজ কই?
০১
নতুন ভিক্ষা যে! একই তো না!
০২
খামখেয়ালি লেখা।
০৩
হায়, সেসব রূপকথা!
সেসব দিন, সেইসব ছবি, সেইসব গল্প!
কোথায় গেল !!!!!!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আজ এখানে যা চাঁদিফাটা রোদ আর গরম, "মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুর"টা ভালোই মালুম পেলাম।
এখানে একবারে তপতপে অবস্থা!
আধা বেকড হয়ে গেছি, এখন উপরের তিনি টেবিলে তুলে লবণ আর মরিচগুঁড়া দেন কখন সেই আশঙ্কায় আছি।
আপনি কেমন আছেন? ঘোরাঘুরি কি এখনো তেমনি চলছে?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন