• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

দেশবিদেশের উপকথা-জাপান

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ১৩/০৭/২০১০ - ৬:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে অনেক অনেকদিন আগের কথা। সাগরতীরের এক গাঁয়ে উরাশিমা নামে এক গরীব ধীবর থাকতো। এক মা ছাড়া তিনকূলে তার কেউ ছিলো না। ছোট্টো এক কুটিরে তারা মা-ছেলেয় থাকতো। ছেলে সারাদিন সাগরে জাল ফেলে যা মাছ পেতো তা হাটে বেচে কোনোক্রমে তাদের গ্রাসাচ্ছাদন চালাতো।

উরাশিমার মায়ের বয়স হয়েছে, সে ছেলেকে বলতো, "খোকা, আমি বুড়া হয়েছি, আর কতকাল সংসার টানতে পারি বল। তুই এবারে দেখেশুনে একটা ভালো বিয়ে কর। তোর বৌয়ের হাতে সংসার বুঝিয়ে দিয়ে আমি নিশ্চিন্তে চোখ বুঁজি।"

উরাশিমা কান দেয় না, বেশি জোরাজুরি করলে বলে, "মাগো, আমরা যে খুব গরিব। সারাদিন খেটেখুটে দুজনেরই ভালো করে চলে না, আরেকজনকে এনে কষ্ট দেবার কোনো মানে হয়?"

ছেলেকে লুকিয়ে চোখ মুছে ফেলে মা চলে যান, মনে মনে প্রার্থনা করেন, আহা এমন যদি হতো ছেলের দারিদ্র দূর হয়ে যেতো, টুকটুকে মেয়ে খুঁজে ওকে বিয়ে দিতাম, ওদের সব দু:খ টেনে নিয়ে আমি স্বর্গে চলে যেতাম। ওদের সোনার সংসার হতো, সুখ উথলে পড়তো সেখানে।

দিন যায় রাত কাটে, বছর ঘুরে যায়। তারা যেই গরীব সেই গরীবই থাকে। মায়ের অনেক অনুরোধেও উরাশিমা বিয়ে করেনি। একদিন সমুদ্রে জাল ফেলে উরাশিমা দেখে ছোট্টো একটা কচ্ছপ তার জালে জড়িয়েছে। জাল থেকে ছাড়িয়ে হাতে নিয়ে আক্ষেপে মাথা নাড়ে উরাশিমা। বলে, "আজ আমাদের উপোস করে থাকতে হবে দেখছি। কোনো মাছ পড়লো না জালে, এই এক বিঘত কচ্ছপ দিয়ে কী হবে?"

কচ্ছপটা বলে, " ভালোমানুষের ছেলে, ছেড়ে দাও গো আমায়, মিনতি করি। দেখো হয়তো একদিন আমি তোমার কোনো উপকার করতে পারি।"

দয়ালু উরাশিমা বলে, "ঠিক আছে ছেড়ে দিলাম। তোমায় ধরে রেখেই বা আমার কী হবে? সাবধানে যেও গো কচ্ছপ। আবার কারুর জালে জড়িয়ে যেও না যেন।" সে আস্তে করে জলে নামিয়ে দিলো কচ্ছপটাকে।

সেইদিন উপোসেই গেল মা-ছেলের। সব শুনে উরাশিমার মা বলেছিলো "আহা, বেশ করেছিস ছেড়ে দিয়েছিস। দেখিস, তোর ভালো হবে।"

তিনবছর পরে একদিন মাছ ধরতে বেরিয়ে প্রচন্ড ঝড়ে পড়লো উরাশিমা, জাল ছিঁড়ে গেল, জেলেডিঙি ভেঙে গেল, সে নিজেও প্রায় ডুবে যায় যায় এমন সময় গভীর জলের ভিতর থেকে পরিচিত গলা! সেই কচ্ছপটা! কী বিরাট বড় হয়ে গেছে সে। সে এসে বললো, "ভালোমানুষের ছেলে, শিগগির আমার পিঠে জুত করে বসো তো, তোমায় নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাই।"

উরাশিমা কচ্ছপের পিঠে বসে বেশ করে তার গলা জড়িয়ে ধরলো আর কচ্ছপ ডুব ডুব ডুব দিয়ে একেবারে সাগরের তলায় যেখানে ড্রাগনরাজের মণিমাণিক্য ভরা সুখের রাজ্য সেখানে নিয়ে হাজির করলো তাকে।

সেই কচ্ছপ ছিলো ড্রাগনরাজকুমারীর সখী। সখীর প্রাণরক্ষার জন্য উরাশিমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে এলো পরমাসুন্দরী ড্রাগন রাজকুমারী। উরাশিমাকে দেখে তার চোখে পলক পড়ে না, এদিকে উরাশিমারও চোখের পলক পড়ে না। প্রথম দেখাতেই এরা দু'জন পরস্পরকে খুব ভালোবেসে ফেললো। ক'দিন পরে মহাধুমধামে দু'জনের বিয়ে হয়ে গেল। ড্রাগনরাজের প্রজারা নিমন্ত্রণ খেয়ে মহা সুখে বাড়ী গেল।

তারপরে সুখে দিন যায় নবদম্পতির, শুধু উরাশিমার মনের মধ্যে তার মায়ের জন্য উদ্বেগ। এরা তাকে এত আদরযত্ন করছে সে সঙ্কোচে কিছু বলতেও পারে না, মনের উদ্বেগ মনেই চেপে রাখে। কিন্তু তিনটি বছর ওভাবে কাটিয়ে সে আর পারলো না, বৌকে বললো সব খুলে।

রাজকুমারী বিষণ্ন মুখে চেয়ে রইলো স্বামীর দিকে, আস্তে আস্তে বললো, "তুমি চলে যাবে! " তার চোখ থেকে ঝরঝরিয়ে অশ্রুজল ঝরে পড়তে লাগলো।

উরাশিমা অনেক চেষ্টায় বৌকে শান্ত করে বলে, "আরে আমি তো মায়ের সঙ্গে দেখা করেই ফিরে আসবো। তুমি এমন করছো যেন আমি আর ফিরবো না।"

অনেক সাধ্যসাধনার পরে রাজকুমারী রাজি হোলো উরাশিমাকে যেতে দিতে। রাজকুমারীর সখী সেই বিরাট কচ্ছপ এসে হাজির, সেই পৌঁছে দেবে ডাঙায় উরাশিমার গ্রামে।

বিদায় নেবার কালে রাজকুমারী এক রত্নখচিত বাক্স উরাশিমার হাতে দিয়ে বলে, "খুব সাবধানে রাখবে এই বাক্স। কিছুতেই এই বাক্স খুলো না। যদি খোলো তবে আর আমাদের দেখা হবে না। আমার মাথার দিব্যি রইলো, কিছুতেই খুলো না।" উরাশিমা শপথ করে বলে সে খুলবে না।

গ্রামে এসে তো উরাশিমা অবাক! সব বদলে গেছে। মাত্র তিনবছর আগে সে চলে গেছিলো, এর মধ্যেই সব এত বদলে গেল?

তাদের কুটির যেখানে ছিলো সেখানে পাথরের চৌবাচ্চা আর বাগানের তিনধাপ পাথুরে সিঁড়ি ছাড়া আর কিছু নেই, সেসবও জঙ্গুলে আগাছায় ঢাকা।

গ্রামে কোনো চেনাজানা কেউ নেই। উরাশিমা যেন ধাঁধায় পড়েছে, কী হলো এখানে?

এক খুব বুড়োমানুষের কাছে গিয়ে সে জিজ্ঞাসা করে, "দয়া করে আমাকে বলবেন এই গাঁয়ে উরাশিমা বলে কোনো ধীবর ছিলো কিনা।"

বুড়োমানুষটি ভালো করে ঠাহর করে তাকে দেখলো, তারপরে বললো, "সে যে আজ থেকে তিনশো বছর আগের কথা। কথিত আছে উরাশিমা বলে এক তরুণ ধীবর ছিলো এখানে। সে সমুদ্রের নিচের ড্রাগনরাজ্যে চলে গেছিলো বলে গল্প আছে। সেখানে নাকি ড্রাগনরাজকুমারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিলো। আরে, গল্পের কী আর কোনো আগামাথা থাকে? বলে দিলেই হোলো আরকি। ড্রাগনরাজ্য বলে কি কিছু আছে নাকি? তার আবার রাজকুমারী! "

উরাশিমা বিস্ময়ে চিৎকার করে ওঠে। বলে, " না না তিনশো বছর না, মাত্র তিন বছর আগে আমি চলে গেছিলাম। আমি উরাশিমা, আমিই সেই উরাশিমা। সত্যিই ড্রাগন রাজকুমারীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। এই দ্যাখো তার দেওয়া উপহার।" সে সেই রত্নখচিত বাক্স টেনে বার করে খুলে ফেললো উত্তেজনার মাথায়।

বাক্স থেকে নীলচে-সাদা ধোঁয়া বেরিয়ে এলো, আর কিছু ছিলো না বাক্সে। তিনশো বছরের বোঝা আছড়ে পড়লো স্বল্পায়ু মরমানবের শরীরে। আতঙ্কে নীল হয়ে সে দেখলো মুহূর্তে সে জরাজীর্ণ বৃদ্ধ হয়ে গেল। তারপরে তার দেহ ধুলা হয়ে মিশে গেল ধুলায়। ধুলা থেকে সে এসেছিলো, ধুলাতেই ফিরে গেল।

হয়তো কোনো সময়বিহীন স্বপ্নলোকে তার আবার দেখা হয়েছিলো তার বৌয়ের সঙ্গে, সেখানে কাল কোনোকিছু জীর্ণ করে না। সেখানে অনন্ত যৌবন, অনন্ত সুখ, অনন্ত মিলন।

----


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

জাপানের তাঙ্গো প্রদেশের মিযু-নো-ইয়ে গ্রামের তরুণ জেলে উরাশিমা তারো'র আখ্যানটি সুপরিচিত। বাংলা ভাষায়ও এর বহু অনুবাদ হয়েছে। আপনি বাংলা রূপান্তর করার সময় যথেষ্ঠ স্বাধীনতা নিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। উরাশিমার পরিচয় বর্ণনায়, কচ্ছপের সাথে তার পরিচয় পর্বে, রিউগু-জো'র প্রাসাদ রিন গিন পর্বে, ড্রাগন রাজকন্যা ওতোহিমে পর্বে এমনকি জাদুর বাক্স তামাতে-বাকো পর্বে আমার জানার সাথে আপনার বর্ণনার কিছু অমিল আছে। রূপান্তরের সময় আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে অমনটা করে থাকেন তাহলে বলার কিছু নেই। এর আগে আপনি একটি আখ্যানকে চমৎকারভাবে আমাদের দেশীয় পটভূমিতে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু এবারতো অমন রূপান্তর করেননি তাই একটু খুঁত খুঁত লাগছে।

সে যাকগে, আপনার হাতে আরো ছয়মাস সময় আছে। এরমধ্যে একশ'টা আখ্যান শেষ করে ফেলুন। আগামী ফেব্রুয়ারীর বইমেলাতে আপনার "দেশবিদেশের উপকথা" বইটা বের করতে হবেনা! আপনি লিখে ফেলুন, বই বের করার জন্য আপনার স্পনসর ঠাক্‌মাতো রেডিই আছেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তুলিরেখা এর ছবি

আরে ষষ্ঠ পান্ডব যে! আসলেই বাঙালির মতন করতে গেছি কিছুটা, বাঙালি মা ছেলের সাথে যেভাবে কথা কয়, সেরকম। মূল গল্পে অবশ্য খুব বেশী স্বাধীনতা নেই নি, আসলে মূল গল্পেরও নাকি অনেক ভার্শন আছে।

আপনে আর ঠাকমা থাকতে স্পনসরের অভাব? আপনি নিজের কমেন্ট, তথ্যাবলি আর উপকথা বিষয়ক নিজস্ব রিসার্চ এগুলি যোগ করলে বইখানা বইয়ের মতন হবে। এখন একজন ভালো ছবি আঁকিয়ে আর একজন মালদার প্রকাশক দরকার। :-)

কিন্তু ঠাকমা গেলেন কই কন তো!

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. গল্প বলার জন্য আপনি যে ঢঙটি বেছে নিয়েছেন সেটি আমার বেশ পছন্দ। বেশিরভাগ লেখক ভাষান্তর বা রূপান্তর করার সময় ভাষার সাবলীলতা হারিয়ে যায়। সেখানে আপনার যে ভাষা তা তরতর করে পড়া যায়।

২. স্বাভাবিকভাবে উপকথাগুলোর অনেকগুলো ভার্শান থাকবে। লোকের মুখে প্রচারিত হলে একজনের গল্পের "কালো ছাও" আরেকজনের গল্পে "কাকের ছাও" হয়ে যায়। তাই ভাষান্তর/রূপান্তরের সময় প্রাপ্ত ভার্শানগুলো থেকে একটা মধ্যবর্তী এলাবোরেট ভার্শান তৈরি করে নেয়া ভালো। এতে নতুন ভাষার পাঠক মজা থেকে বঞ্চিত হবেন না। আমি আপনাকে অমন ধারণা দেবারই চেষ্টা করেছি।

৩. আমি আবার স্পনসর হলাম কবে? ঠাক্‌মাইতো আপনাকে "এইসব ব্যাপার্না" জাতীয় ধারণা দিয়েছিলেন। তাকেই ধরুন, সে আপনার বাড়ির কাছে থাকে, আর আমি তো চার সহস্রাধিক ক্রোশ দূরে থাকি।

৪. আপনি দেখি জোর করে আমাকে গবেষক বানিয়ে ছাড়বেন! উপকথা নিয়ে গবেষণা করেছি এমন কিছু দেখাতে পারবেন? লীলেনকে ফাঁকি দিয়ে একশটা গল্পের বদলে পঞ্চাশটা দেবার জন্য এখন আমার প্রবন্ধের গল্প বানাচ্ছেন। এসব কথায় লীলেন ভুললেও এই শর্মা ভুলবেনা। বেলা থাকতে থাকতে একশটা পুরোনোর জন্য লিখতে বসে পড়ুন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দারুণ

তুলিরেখা এর ছবি

ধন্যবাদ লীলেনদা।
গুণে টুনে দেখলাম এখন অবধি গোটা ৩৫ মতন উপকথা বলা হয়েছে মাত্র। ৫০ টা হলে তখন আপনি ভূমিকা লিখবেন। :-)
বাকী ৫০ টার ব্যাপার? সেটা ষষ্ঠ পান্ডবদা উপকথা বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে পুরিয়ে দেবেন।:-)

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক আগে বিটিভিতে জাপানি অথবা চাইনিজ কিছু ছবি অথবা সিরিজ দেখাত। সেখানে এরকম কিছু ছিল। পানির নিচে রাজত্ব এইসব। কাহিনি আর এখন কিছুই মনে নাই। আপনার এই লেখা পড়ে সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে গেল।

আপনার এই সিরিজটা দারুন হচ্ছে। আপনার অবশ্যই এগুলো নিয়ে বই বের করা উচিত।

অনন্ত

তুলিরেখা এর ছবি

বই? বই করা কি সোজা কথা?

আপনের ভালো লেগেছে শুনে ভাল্লাগলো।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নাশতারান এর ছবি

এ গল্প শৈশবে পড়েছি। এশিয়ার উপকথা নামে কয়েক খণ্ডের গল্পসমগ্রে। অনেকদিন পর পড়ে ভালো লাগলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তুলিরেখা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বুনোহাঁস।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

দুর্দান্ত!
আমি আপনার রূপকথা সংকলনের অপেক্ষায়..

তুলিরেখা এর ছবি

আর আমি স্পনসরদের অপেক্ষায়।
:-)

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কনফুসিয়াস এর ছবি

দারুণ গল্প!
তনুদি, তুমি সত্যিই এগুলো এক সাথে করে একটা বই করে ফেলতে পারো এবার।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

তুলিরেখা এর ছবি

বই, ভেবে দেখি।
তনুদি তো আর নাই রে ভাই। :-(

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ওডিন এর ছবি

আমিও বইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম! রূপকথা হাতে নিয়ে না পড়লে কেমন জানি লাগে। :)
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

তুলিরেখা এর ছবি

বেশ একটা ঘুঘুডাকা নির্জন দুপুর, বেলী ফুলের সুবাস বাতাসে, গাছের ছায়ায় চাটাই বিছিয়ে শুয়ে তবে না রূপকথা পড়ার মজা!

আর শুনতে হলে সন্ধেবেলা দাদিমাকে ঘিরে কুচোকাচাদের সাথে বসে তালের বড়া খেতে খেতে। :-)

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দারুণ
বইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তুলিরেখা এর ছবি

ভালো আর্টিস্ট আর প্রকাশকের খোঁজ আনুন, তবে না বই!
:-)

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

রাজকন্যা বালিকাটা মোটেও সুবিধার না। সে যে বাক্সটা হাবির হাতে তুলে দিলো, সেইটার কাজটা আসলে কী? না দিলে ক্ষতিটা কী হইতো শুনি! খোঁজ নিয়ে দেখেন, হয়তো ড্রাগনরাজ্যের দৈনিকগুলোতে সেদিন আট কলামের নিউজ হেডলাইন ছাপা হয়েছিলো, 'স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে বলি হয়ে তিনশ বছরের জীর্ণ বৃদ্ধে পরিণত হলো জোয়ান মর্দ স্বামী'!

তুলিরেখা এর ছবি

আরে যাদুবাক্স না দিলে উরাশিমা আসতো কী করে পৃথিবীতে? আসার পথেই তো ধূলা আর ধোয়া হয়ে যেতো! তিনশো বছর কি সোজা কথা??? ঐ বাক্সে যে বয়স আটকে রাখা হয়েছিলো, তিনশো বছরের বয়সের ভার।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।