আমি মানুষটা রান্নাবান্নার ব্যাপারে বেজায় আইলসা মানে যারে কয় গিয়া রক্ষণশীল। ডালতরকারি নিত্যতা সূত্রও সম্ভবত আমারই খানিকটা পরিবর্তিত পুনরাবিষ্কার (মহাভারতে সেই সূর্যের দেওয়া অক্ষয় তাম্রস্থলী এই ব্যাপারে পাইওনিয়ার)।
নিত্যতা সূত্র লইয়া ভাবতাছেন তো? ব্যাপারটা হইলো সোজা। একদিন বেশ সময় টময় আছে দেইখা জম্পেশ কইরা একটা তরকারি রান্না করা হইলো, তাতে গরম তেলে ফোড়ন টোড়ন নিয়ম মত দিয়া ফুলকপি টমাটো আলু কড়াইশুটী গাজর বরবটি হ্যালোপিনো যা যা পাওয়া গেল. সব দেওয়া হইলো, কুচানো চিকেনও পাওয়া গেলে দেওয়া গেল। এই জিনিসটি যত্ন কইরা করার পরে তো ভাত বা রুটির সাথে খাওয়া হইলো। খাওয়ার পরে নিশ্চিতরূপেই হরেকরকমবা তরকারিটা খানিকটা কইমা গেল। পরের দিন কুছ পরোয়া নাই, খানিকটা মুগ মুসুর বা আধাভাঙা মটর যারে এরা কয় ইয়েলো স্প্লিট তা খানিকটা লইয়া সিদ্ধ কইরা তরকারিতে দেওয়া হইলো। সেইদিন আর সেইরাতে খাওয়ার পরে খানিকটা কইমা গেল দেইখা তারপরদিন কিছু আলুগাজরব্রোকোলি কুচাইয়া মিশাইয়া দেওয়া হইলো। ডালতরকারি দুইয়ে মিল্যা পরিমাণ একই থাকতে থাকলো খাওয়া সত্ত্বেও। একেবারে অক্ষয় অমৃতপাত্র যারে কয়।
তো সেই আমি যে কিনা কালেভদ্রে আয়োজনের রান্না করি, সেও দিফিও র চমৎকার বিরিয়ানি রেসিপি দেইখা নাইচা উঠলো। যদ্দূর সম্ভব বিশ্বস্তভাবে অনুসরণ কইরা (সামান্য সামান্য মডিফিকেশন বাদ দিলে আরকি ) প্রায় সব পয়েন্ট কভার কইরা বানাইয়া ফেললো বিরিয়ানি। তারপরে খাইয়া তাব্ধা হইয়া রইলো। পরেরদিন বাসি বিরিয়ানির স্বাদ আরো খুললো। সমস্ত ক্রেডিট দিফিওর পাওনা।
এর পরে যেই হারে চিকেন পিরীত বাড়লো, কেজানে কোনদিন হয়তো চিকেন চৌরিচৌরা খাওয়াইয়া দিবো আমারে। জানেন না চিকেন চৌরিচৌরা? সে হইলো আমাদের লামাহরিদাদার রেসিপি। চোরাই চিকেন দিয়া নাকি রানতে হয় রাত বারোটার পরে আর খাইতে হয় রাত দুইটার আগে। কী দিয়া কী করে কয় নাই, তবে খাইতে নাকি হয় কেয়াবাৎ।
একবার ওনারা --তখন ওনারা কলেজে, কয়েক বন্ধু মিলা মুরগী চুরি করতে গেল হোস্টেলের পাশের মুর্গীফার্মে। সেইখানে মুরগীর খাঁচার উপরে নাকি মালিক ঘুমাইতো।(কী কর্তব্যপরায়ণ মালিক, কন দেখি একবার! ) মুরগীর কঁক কক শুইনা মালিক উইঠা পড়লো আর চোরের দলের কয়েকজন তার চোখমুখগলা জোরে চাইপা ধরলো। সে বেচারা ভয় পাইয়া কয়, " আ আ আমি নিজে হাতে মুরগী বাইছা দিতাছি, আমারে মাইরেন না।" কিন্তু চোরের দলের পান্ডা-রান্নাটা যার রেসিপিতে, সে কয় "না, ও নিজে দিলে ডাকাতি হইয়া যাইবো, রান্নাটা হইয়া যাইবো চিকেন ডাকাতিয়া। তার রেসিপি আলাদা। ব্যাটারে মটকা মাইরা পইড়া থাকতে ক।" তো, তাই হইলো, মালিক মটকা মাইরা পইড়া রইলো আর চোরেরা চিকেন নিয়া গিয়া চিকেন চৌরিচৌরা রানলো। খাইয়া তর হইল।
রান্নাঘর সিরিয়ালে বাঁধামুগমুরগী দেইখা ট্রাই দিলাম, ভালোই হইলো। মুগডাল মরিচ মশলা ঘী ইত্যাদি দিয়া টাইট ঝোল কইরা সেই ঘন গ্রেভির উপরে ভিনিগারে ভিজানো মুরগীর কড়া কইরা ভাজা ঠ্যাঙ। উপরে বাঁধাকপির বড় বড় টুকরা দিয়া ড্রেসিং । খাইতে খারাপ না, পরোটা রুটী দিয়াও চলে। এই পথ দিয়া নিজে আবিষ্কার করলাম ফুলমুসুরমুরগী। কী জিনিস বুইঝা লন।
তবে একটা কথা কই, চিরকাল কাজে লাগে। আইলসামিতে হয়তো রান্ধেন নাই বা খুব ঝড়বৃষ্টি হইতাছে, বাইরনের উপায় নাই। ঘরে আছে ভাত আর আলুভর্তা। তখন কড়াইতে একটু তেল আর একটু মাখন গরম কইরা খানিকটা গোটা জিরা আর গোটা যোয়ান দিয়া দেন, চড়চড়াইয়া উঠলেই নামাইয়া আলুভর্তা ভাতের উপরে ছড়াইয়া দেন, লবণ কাঁচামরিচ ডইলা খান, খাইয়া খুশমেজাজ হইবেন।
মন্তব্য
বলেছেন ভাল-ই তবে আরো ভাল হয় কেউ রেঁধে-বেড়ে এইসব (বা আর এট্টু শর্টকার্ট-ও চলতে পারে) খাওয়ালে, আরো ভাল হয় যদি আমায় নিজে উঠে এঁটো থালা-বাটি বেসিনে না নামাতে হয়
ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে
কন কী?
কোনদিন কইবেন কবুতর-মায়ের লাহান যদি খাওয়াইয়া দেয়, চোখ বুইজা পইড়া রইবেন, মাপাখির ছানাদের খাওয়ানোর মতন খাওয়াইবো(অন্য পাখির ছানাদের তবু চেঁচাইতে লাগে, কবুতরের সেই ঝামেলাও নাই)। থালাবাটির ঝামেলাই নাই!
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ভাল্লাগসে...
একবার একটা রেসিপি দিয়েছলাম সচলে...পুরানো ব্লগের বিজ্ঞাপন দিয়ে গেলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেখলাম আপনার পুরানো লেখাটা। চমৎকার রুমমেট আপনার! ধুনফুন সব মিশাইছে বইলা হেলা কইরেন না, জাইনা রাখবেন জগতের সব কিছু হইলো গিয়া লিনিয়ার কম্বিনেশন, যত বেশী জিনিসের কম্বিনেশন, তত তার শক্তি।
শুভ খাওয়াদাওয়া।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিপা একটা রেস্টুরেন্ট খুলেন। মনে হইতাছে আপনার রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন নতুন নতুন আইটেম খাওয়া যাইবে! তয় সাবধান, খাবার এর সাথে খাবার পানির পরিবর্তে খাবার সেলাইন সরবরাহ করতে ভুলবেন না।
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
=================================
"রঙিন কাফনে মোড়া উৎসুক চোখে
ছায়া ছায়া প্রতিবিম্ব দেখি
মানুষ দেখি না।।"
রেস্টুরেন্টের আইডিয়া খুব ভালো। দেশি ভাই ছাড়াও বিদেশি ভায়ারাও ভালা পাইবো। রোজ নতুন নতুন রেসিপি। এখন আপনে স্পনসর করলেই ব্যবসা শুরু করি।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
১. নিত্যতার সূত্র অতিব পছন্দ হয়েছে। আমার জীবনে রুমমেট আসার আগে এই নিত্যতার সূত্র এক নাগাড়ে সপ্তাহ দুই ধরে চলতো। এখন রুমমেটের যন্ত্রণায় পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষা-নীরিক্ষা পুরাই বন্ধ। হুমকির মুখে গ্যালিলিওর বিজ্ঞান সাধনার দশা কী হয়েছিলো সেতো সবাই জানেন।
২. হ্যালোপিনো মানে কি jalapeño? একটা বানান ভুল হয়েছে। হরেকরকমবা নহে হরেকরকম্বা হইবেক।
৩. জীবনে একবার "চিকেন চৌরিচৌরা" খাবার সুযোগ প্রায় ঘটেছিল। কাকাতো ভাই তারই দিদির মুরগী গাপ করে দিয়েছিলেন। ওটা যে দিদির ছিলো তা জানা ছিল না। এদিকে জ্যাঠাইমার কাছ থেকে আমরা রেসিপি জেনে, মশলা-টশলা জোগাড় করে (মানে জ্যাঠাইমার ভাঁড়ার থেকে সরিয়ে) একাকার করে ফেলেছি। সন্ধ্যা বেলায় দিদি দাদাকে (কাকাতো ভাইকে) বললেন, "পিন্টু, বিকেল থেকে বড় লাল মুরগীটা খুঁজে পাচ্ছিনা; একটু খুঁজে দ্যাখ তো"! অতএব আমাদের "চিকেন চৌরিচৌরা" খাবার সেখানেই ইতি।
৪. আলুভর্তা-ভাতের (সাথে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, ধনেপাতা, সর্ষের তেল) এই রেসিপিটা মাঝে মধ্যে বানাই। তবে সেখানে গোটা জিরা বা যোয়ান দেবার উপায় নেই। জিরা/যোয়ানের গন্ধ পেলে রুমমেট এই ঘটির ব্যাটাকে হাওড়া ব্রীজ পার করে ডমজুরে রেখে আসবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরে তেমন তেমন ইনকুইজিশানে পইড়া নিত্যতা অনিত্য হইয়া যায়, আর এ তো রান্নাবান্না। তবে মশাই গ্যালিলিওদের দেশের রান্নায় বড় অলিভ অয়েল দেয়, সবকিছুতে খানিকটা কইরা ঢাইলা দেয়। কী অবস্থা!
উচ্চারণ হ্যালোপিনো। স্প্যানিশ টাইপ উচ্চারণ। সান হোসে র মতন।
আমাগো এক ঘটি বন্ধু বাংলা রেসিপি দেইখা রানতে গেছিলো, মরিচগুঁড়া ( ঘটীরা কয় লঙ্কাগুড়া) দেইখা আকাশপাতাল ভাবে, তারপরে ধইরা লইছে গোলমরিচগুঁড়া, অনেকটা দিছে রান্নায়, তারপরে অবস্থা কাহিল। ওর একজন গাইড দরকার ছিলো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা, ঝ্যাঁটা খুন্তি অক্ষয় হউক, নারদ নারদ ............
পইড়া মজা পাইলাম।
মাঝে মাঝে এমন সহজ কইরা লেখলে আপনের লেখা পড়ুনের সাহস পাই!
ভাল থাকুন, অনেক ভাল । সবসময় ।
মজা পাইলেন? খাইলে আরো মজা পাইতেন।
ভালা থাইকেন গো।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
রেস্টুরেন্ট ডেলিগুলোতে নিত্যতা সুত্র চলছে হরহামেসাই। আজকে যেটা বিফ ক্যাসরোল, কালকেই সেটা গুলাশ স্যুপ। আজকে যেটা চিকেন আলা কিয়েভ, কালকে সেটা চিকেন মাশরুম স্যুপ। আজকে যেটা ফ্রুট ককটেল, কালকে সেটা মাল্টি-ভিটামিন স্মুদি।
গুড অবজারভেশন।
আমাদের দেশেও যেদিন রেস্টুরেন্ট চালু করা হয় সেদিন এক কড়াই ভর্তি তেল দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়। তারপর সেটাতে ভোরে লুচি; সকালে সিঙ্গারা-সমুচা; দুপুরে মাছ; বিকালে পুরী-পিঁয়াজু-আলুর চপ-বেগুনী-মোগলাই; রাতে ফ্রায়েড চিকেন ভাজা হয়। শুধু পরিমাণে কমে গেলে মাঝে মাঝে দুএক লিটার তেল যোগ করা হয়।
পাতলা ডালের ক্ষেত্রেও নাকি এই ফর্মুলা চালানো হয়; শুধু টক হিসেবে তাতে কখনো টমেটো, কখনো কাঁচা আম, কখনো জলপাই, কখনো কচি চালতা, কখনো পাকা তেঁতুল যোগ করা হয়। কখনো ঐ ডালে বাজে গন্ধ হলে তাতে পাঁচ ফোড়ন, রসুন, মেথি, জিরা ইত্যাদির ফোড়ন দিয়ে গন্ধ কমানো হয়। নানা রকম টক ব্যবহারে ডালের pH লেভেল 1-এর কাছাকাছি চলে গেলে তাতে বাটা ডাল আর পানি যোগ করে pH লেভেল 5~6 এর মধ্যে রাখা হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধূরো। ‘নিত্যতা সূত্র’ নাম দেখে সিরিয়্যাসলি পড়তে বসলাম, পেটের ক্ষুধা ভোলার জন্য...।
(একবার স্কটলেন্ডে এক উইকএন্ডের এক দুপুরে প্রচন্ড ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে এক ‘ইন্ডিয়ান’ রেস্টোর্যান্টে ‘স্পেশাল স্যুপ অভ দ্য ডে’ লেখা দেখে ঢুকে স্যুপের ওর্ডার দিলাম। মেইন কোর্সে ‘তড়কা ডাল’ ওর্ডার দেবার সময় বাংলায় বলে ভাই স্পেশাল স্যুপ এবং তড়কা ডাল একই জিনিস...!)
তড়কা-ডাল কেমন ছিলো?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
রেসিপি বুঝলাম, কিন্তু কয়েকটা সায়েন্টিফিক টার্ম বুঝলাম না। এই যেমন ধরেন, "কড়াইশুটি"! এই জিনিস কী? তারপর একেবারে শেষে যে বললেন "যোয়ান" দিতে। আমি জোয়ান মানুষ ঠিকাছি, আমারে দিতে কৈলেও ঠিক ছিলো, কিন্তু এই যোয়ান আমি কৈত্থেইকা আনি?
আরও কী কী জানি আছে, এখন মনে পড়তাছে না। মনে পড়লে বলে যাবো নি। তবে মুরগী চুরি করে বিরিয়ানি খাওয়ার একটা ঘটনা আছে ছোটবেলার। পুরা ক্যারাব্যারা কাহিনি। সেইটা অবশ্য এখন বলতে ইচ্ছা করতেছে না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কড়াইশুটি হল আমরা যেটাকে মটরশুটি বলি, ইংরেজিতে Sugar Snap Peas, জসীমউদ্দিনের রাখাল ছেলে কবিতায় ছিল না, "চলতে পথে কড়াইশুটি জড়িয়ে দু'টি পা"?
আর যোয়ান মেথির মত দেখতেই একরকম মশলা, গন্ধের জন্য দেওয়া হয়, ইংরেজিতে বলে Carom seeds.
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
মটরশুটিই ছিল না?
যোয়ান --> জাউন?
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মাই ব্যাড, মটরশুঁটিই, এই যে এইখানে। আর যোয়ান/জাউন ঠিক আছে।
মটরশুঁটি চৌরিচোরাও কিন্তু অনেক মজার। রাতের বেলা ক্ষেত থেকে তুলে সিদ্ধ করে লবন দিয়ে খেতে... আহ, জিভে পানি চলে আসলো।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
আমি যখন অনেক ছোট, এই তিনের মতো বয়স, ছোটমামা একবার খেপানো শুরু করল। আমাকে দেখলেই বলে - কী রে? তোর বাপ নাকি সেদিন মুরগি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল?!
আমি ছোট, মশকরা বুঝি না, প্রতিবাদ করতে থাকি, মামা মজা পায়, দুঃখে যখন চোখে পানি চলে আসে, মামা ঝুঁটি ধরে নেড়ে দেয় আদর করে।
তারপরে একদিন খুব রাগ হলো, বললাম, তুমি জানলা কীভাবে? নিশ্চয় তুমি মুরগির পাহারাদার ছিলা!
মামা আর জ্বালায় নাই!
লেখা অনেক মজার লাগলো। তবে সত্যি সত্যি বাসি খাবার বারবার গরম করতে থাকলে কিন্তু পুষ্টি উপাদান কমে যায় বলে জানি। যা থাকে তা হলো ক্ষতিকর ফ্যাটগুলো, বিশেষ করে বারবার একই তেল ফুটালে, যেমন করে আমাদের দেশের রাস্তার পাশের দোকানগুলোয়, তবে সেই জন্যেই সেগুলো খেতেও অনেক বেশি মজার!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
মোক্ষম জবাব দিয়েছেন মামারে!
তেল ? বলি তেল পাইলেন কই? সায়েব হইছি যে, সব্জি টুকরা আর ডালভিজানো মিশাই।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
জম্পেশ!
ধইন্যাপাতা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এদ্দিনে জানেনই নিশ্চয়ই আমি কী ভয়ানক বিচক্ষণ একজন মানুষ? (না জানলে কিন্তু আপনার বিচক্ষণতা নিয়েই আমার ভয়ানক সন্দেহ হবে!!) আমি তাই কোন কোন ব্যাপারে রক্ষণশীল, আর কোন কোন ব্যাপারে উদার। এই যেমন রান্না টান্না করার ব্যাপারে আমি খুবই রক্ষণশীল হলেও খাওয়ার ব্যাপারে মনটাকে (অ্যালং উইথ মাই বপুখানি) যতখানি সম্ভব প্রসারিত করে ফেলসি। এই যেমন ধরেন গিয়ে আপনি বা অন্য কোন সচল আমাকে রেন্ধে টেন্ধে যদি কিছু খাওয়াইতেই চান, আমি নিতান্তই বাধা দিবো না আর কি!
নিত্যতার সূত্রটা একদম নিদারুণ হইসে কিন্তু!!!
আহা জানেনই তো বিচক্ষণেরাই বিচক্ষণ চিনতে পারে?
আমারও একই নীতি, রক্ষণশীল প্রগতিশীল। বন্ধুগণ যদি নিতান্তই খাওয়াইতে চান, রান্ধিয়া বা দোকানে নিয়া, তাহাদের কোমল হৃদয়ে ব্যথা দেই না "না" বলিয়া। আপনি বিচক্ষণ ব্যক্তি, বন্ধুগণের মধ্যে কারা কারা পড়েন, নিতান্তই ধরিয়া ফেলিয়াছেন।
শুভেচ্ছা লন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন