আগুন-আগুন খেলা আপাতত শেষ, এখন রণক্ষেত্র শান্ত। বিজয়ী ও বিজিত উভয়েই নিদ্রায়।
শুধু নদীরা অক্লান্ত। তাদের থামাথামি নেই, ঘুম নেই। স্রোতোধারা ধুয়ে নিয়ে যায় সব ক্ষত, সব ক্ষতি, সব জয়-পরাজয়।
না ফুরানো একটা গল্প এ, উলের গোলার খুলতে থাকা উলের মতন গড়াতে গড়াতে হারাতে থাকে। গড়ায় আর হারায়, গড়ায় আর হারায় ...
আগুন-আগুন খেলা শেষ হয়ে গেলে
ক্লান্ত সেকেন্দারও অস্ত্রভার ফেলে'-
প্রলাপের ঘোরজ্বরে তৃষামুখ মেলে'
একা একা বলে যায়, জল কোথা মেলে?
জ্বরতৃষা লেখা থাকে নশ্বর কপালে
স্নিগ্ধ শুশ্রূষার জল নদীতেই ফলে,
সব জয়-পরাজয় শেষ হয়ে গেলে
শান্তিপর্বে চিতাগ্নি নেভে অশ্রুজলে।
তবুও কোথাও, কোনো দূর শিলামূলে
অনন্ত অগ্নিশিখা একা জেগে থাকে-
অনি:শেষ যাত্রীদল একই পথে চলে
এ পথের শেষ কোথা, কোন্ ঘূর্ণিবাঁকে?
মন্তব্য
সিকান্দার হুজুরকে নিয়ে আপনিও লেখা দিলেন? ছি ছি।
তবে সেকান্দারের কথা আসতেই কেন জানি ঘোর কে ঘোড়া আর তৃষা কে হ্রেষা পড়ে ফেলেছি
সেকেন্দার বেঁচে গেছে মরে গিয়ে, বুড়াবয়স অবধি বেঁচে সীজারের মতন মাথায় টাক পড়লে কী কষ্টটাই না হতো।
তবে আপনার হৃষ্টপটোল চালাক মানুষ, তিনি ওরিয়েন্টেশানের ঝামেলায় না গিয়ে ছোটোখাটো এক রাজকন্যা আর অল্পস্বল্প যৌতুকেই হৃষ্ট।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা আমি ওই সেকেন্দারের কথা বলি নাই, জমিন্দার সেকেন্দারের কথা বলিচি...
আহারে বেচারা জমিন্দার! সে আর সেকেন্দার হবে কী করে?
বাঁশ খেয়ে খেয়ে সে তো বাঁশন্দার হয়ে গেচে!
আপনার হৃষ্টপটোল এই ব্যাপারে কিছু বলে টলে গ্যাচেন? -----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আরে, হৃষ্টপটোল কি আমার গুরু ছিলেন নাকি, খালি আপনার আপনার কইতেছেন? আপনার ইরাদা সুবিধার দেখি না...
এমন ইষ্টনামের মতন এক হৃষ্টনাম দিয়েছেন দেখে ভাবলাম হা হরি, ছোঁড়াটার হইলো কী? একলব্যর মতন মানসশিষ্য হইলো বুঝি হৃষ্টপটোলের।
পটোলের গুরুর গুরু সুকৃতি, তো তারে লইয়া তো শুনি মারামারি করতো শিষ্যরা, নিজেদের মধ্যে ডুয়েল লড়তো, যে জিততো সেদিনের মত গুরু তার জিম্মায়।
" বল মা তারা দাঁড়াই কোথা " গাইতে গাইতে সুকৃতি জিম্মেদারের সঙ্গে চলতেন করুণ চোখে অন্যজনের দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সুকৃতি নামটা খুবই ভাল, তবে একটু মহিলা মহিলা লাগে... তার উপরে তাকে নিয়ে ডুয়েল লড়া শুনলে... যাহোক এসব কেচ্ছা শুনি নাই।
আর শুনলে বুক দুরুদুরু করে... ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে রোজগার করতে হয় এ বিদেশ বিভুঁইয়ে, (আমার ছাত্রীরা আবার আমার পড়ানোকে বেশ ভালু পায়) এইসব জিম্মেদারের কথা শুনলে... রাত্রে আবার না দুঃস্বপ্ন দেখে ফেলি, আমার আবার একটু দুঃস্বপ্ন দেখার অভ্যাস আছে কিনা।
আহা কেচ্ছা কেন? এ তো রেনেসাঁ। নবজাগরণ!
আর সামান্য এক জিম্মেদার ভেবেই ভয় পান? ভাবুন সেই প্রাচীন কালের কুলীন বামুনদের কথাটা একবার! তাদের কতই না সইতে হলো সমাজে মুখ রাখার জন্য। সে বেচারাদের সে দু:খ কেউ বুঝলো না।
আর আপনার সেই সিসিলিয় বালকের কথা ভেবে মনে হলো আহা একটু নাহয় হি হি করেছে, সারাদিন গম্ভীর মুখে স্ট্যাটিস্টিক্স করতে করতে এত সব আনসার্টেনটির মধ্যে শুধু তার একটাই সান্ত্বনা, " তুই আছিস একেশ্বরী, সেথায় নাই কোনো স্ট্যাটিস্টিকস!" ছাত্রীকে বুঝিয়ে বলবেন হাসলে যেন রাগ না করে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন